আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৯- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৫০
- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান
সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি যা ভেসে পানির উপরিভাগে চলে আসে।
৬৫০। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুর রহমান ইবনে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র কাছে সমুদ্র বক্ষ থেকে নিক্ষিপ্ত প্রাণী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তা খেতে নিষেধ করলেন। অতঃপর তিনি নিজ ঘরে গিয়ে কুরআন মজীদ চাইলেন, অতঃপর এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার এবং তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে। যেখানে তোমরা অবস্থান করো— সেখানেও তা খেতে পারো এবং কাফেলার জন্যও তা রসদ বানানো যেতে পারে" (সূরা মাইদাঃ ৯৬)। নাফে (রাহঃ) বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে আব্দুর রহমানের কাছে একথা বলার জন্য পাঠান যে, “তাতে কোন দোষ নেই। অতএব তা খেতে পারো।”
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা ইবনে উমার (রাযিঃ)-র এই শেষোক্ত মত গ্রহণ করেছি। সমুদ্র যা তীরে ছুড়ে ফেলে দেয় বা পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে যা আটকে যায়—তা খাওয়ায় কোন দোষ নেই। কিন্তু অসুখের কারণে মরে ভেসে উঠা প্রাণী খাওয়া মাকরূহ। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এই মত।
كتاب الضحايا وما يجزئ منها
بَابُ: مَا لَفَظَهُ الْبَحْرُ مِنَ السَّمَكِ الطَّافِي وَغَيْرِهِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي هُرَيْرَةَ، سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ " عَمَّا لَفَظَهُ الْبَحْرُ؟ فَنَهَاهُ عَنْهُ، ثُمَّ انْقَلَبَ فَدَعَا بِمُصْحَفٍ فَقَرَأَ: {أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ} [المائدة: 96] "، قَالَ نَافِعٌ: فَأَرْسَلَنِي إِلَيْهِ أنْ لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ فَكُلْهُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ الآخِرِ نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِمَا لَفَظَهُ الْبَحْرُ وَبِمَا حَسَرَ عَنْهُ الْمَاءُ إِنَّمَا يُكْرَهُ مِنْ ذَلِكَ الطَّافِي، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক: