আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৪- শপথ ও মান্নতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৭৪৬
- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়
বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পদব্রজে যাওয়ার মানত করলে।
৭৪৬। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বাকর (রাহঃ) তার ফুফুর সূত্রে তিনি তার দাদীর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি কুবার মসজিদে পদব্রজে যাওয়ার মান্নত করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা পূর্ণ করার পূর্বেই মারা যান। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তার কন্যাকে তার পরিবর্তে পদব্রজে সেখানে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
كتاب الأيمان والنذر
بَابُ: الرَّجُلِ يَحْلِفُ بِالْمَشْيِ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمَّتِهِ، أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ عَنْ جَدَّتِهِ، أَنَّهَا كَانَت جَعَلَتْ عَلَيْهَا مَشْيًا إِلَى مَسْجِدِ قُبَاءَ، فَمَاتَتْ، وَلَمْ تَقْضِهِ، فَأَفْتَى ابْنُ عَبَّاسٍ ابْنَتَهَا أَنْ تَمْشِيَ عَنْهَا
হাদীস নং: ৭৪৭
- শপথ ও মান্নতের অধ্যায়
বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পদব্রজে যাওয়ার মানত করলে।
৭৪৭। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু হাবীবা (রাহঃ) বলেন, আমি উঠতি বয়সে এক ব্যক্তিকে বললাম, যদি কোন ব্যক্তি বলে, আমাকে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পদব্রজে যেতে হবে, কিন্তু সে মান্নতের উল্লেখ করেনি, এক্ষেত্রে তার উপর কিছুই ওয়াজিব হবে না। লোকটি বললো, আমি তোমাকে এই ছোট শসাটি দিচ্ছি। তুমি কি বলবে, আমাকে পদব্রজে বাইতুল্লাহ যেতে হবে? আমি বললাম, হ্যাঁ এবং আমি তাই বললাম। কিছুকাল পর আমার জ্ঞান-বুদ্ধি হলে আমাকে বলা হলো যে, কাবাঘর পর্যন্ত পদব্রজে যাওয়া তোমার উপর ওয়াজিব। অতএব আমি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের কাছে আসলাম। তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কাবাঘর পর্যন্ত পদব্রজে যাওয়া তোমার উপর ওয়াজিব। অতএব আমি কাবা ঘর পর্যন্ত পদব্রজে আসলাম।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। যে ব্যক্তি পদব্রজে কাবাঘর পর্যন্ত যাওয়া নিজের উপর ওয়াজিব করে নিয়েছে, তা মানত হিসাবে হোক বা না হোক, তার উপর পদব্রজে কাবাঘর পর্যন্ত যাওয়া ওয়াজিব। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।
كتاب الأيمان والنذر
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي حَبِيبَةَ، قَالَ: قُلْتُ لِرَجُلٍ، وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ، لَيْسَ عَلَى الرَّجُلِ يَقُولُ: عَلَيَّ الْمَشْيُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلا يُسَمِّي نَذْرًا شَيْءٌ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: هَلْ لَكَ [ص:262] إِلَى أَنْ أُعْطِيَكَ هَذَا الْجَرْوَ، لِجَرْوِ قِثَّاءٍ فِي يَدِهِ، وَتَقُولُ: عَلَيَّ مَشْيٌ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ تَعَالَى؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ، فَقُلْتُهُ، فَمَكَثْتُ حِينًا حَتَّى عَقَلْتُ، فَقِيلَ لِي: إِنَّ عَلَيْكَ مَشْيًا، فَجِئْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: عَلَيْكَ مَشْيٌ، فَمَشَيْتُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، مَنْ جَعَلَ عَلَيْهِ الْمَشْيَ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ لَزِمَهُ الْمَشْيُ إِنْ جَعَلَهُ نَذْرًا، أَوْ غَيْرَ نَذْرٍ.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক: