আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৯৭৯
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
৪৪৫- হাতে চুমা দেয়া।
৯৭৯. হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, আমরা একটি যুদ্ধে ছিলাম। (প্রচণ্ড যুদ্ধের মধ্যে) আমরা ছত্রভঙ্গ হইয়া যাই। তখন আমরা বলাবলি করিতে লাগিলাম, আমরা কেমন করিয়া নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করিব যেখানে আমরা যুদ্ধ হইতে পলায়ন করিয়াছি। এমনই যুগ-সন্ধিক্ষণে নাযিল হইল কুরআন শরীফের আয়াতঃ (إِلاَّ مُتَحَرِّفًا لِقِتَالٍ) “অবশ্য যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন স্বরূপ যদি কেহ যুদ্ধ হইতে পশ্চাৎপদ হয় তবে স্বতন্ত্র কথা” (সূরা আনফালঃ ১৬) ।
তখন আমরা বলাবলি করিতে লাগিলাম, আমরা আর মদীনায় গিয়া পা দিব না। তাহা হইলে আমাদিগকে কেহ দেখিবে না। আমরা আরও বলাবলি করিতে লাগিলাম, যদি আমরা মদীনায় যাই (তবে লোকে কি বলিবে?) অতঃপর নানা কথা ভাবিয়া আমরা মদীনায় গিয়া উপস্থিত হইলাম। নবী করীম (ﷺ) ফজরের নামায পড়িয়া তখন বাহির হইয়াছেন। আমরা বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমরা তো পলাতকের দল! ফরমাইলেনঃ কে বলে তোমরা পলাতকের দল বরং তোমরা তো হইতেছ, পাল্টা আক্রমণকারী দল! (অর্থাৎ পাল্টা আক্রমণ করিবার সদুদ্দেশ্যই তোমরা যুদ্ধ হইতে পশ্চাৎপসারণ করিয়া থাকিবে নিশ্চয়ই।) যদিও বা তোমাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয় নাই। আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হস্ত চুম্বন করিলাম। তিনি বলিয়া উঠিলেনঃ আমিও কিন্তু তোমাদেরই একজন।
তখন আমরা বলাবলি করিতে লাগিলাম, আমরা আর মদীনায় গিয়া পা দিব না। তাহা হইলে আমাদিগকে কেহ দেখিবে না। আমরা আরও বলাবলি করিতে লাগিলাম, যদি আমরা মদীনায় যাই (তবে লোকে কি বলিবে?) অতঃপর নানা কথা ভাবিয়া আমরা মদীনায় গিয়া উপস্থিত হইলাম। নবী করীম (ﷺ) ফজরের নামায পড়িয়া তখন বাহির হইয়াছেন। আমরা বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমরা তো পলাতকের দল! ফরমাইলেনঃ কে বলে তোমরা পলাতকের দল বরং তোমরা তো হইতেছ, পাল্টা আক্রমণকারী দল! (অর্থাৎ পাল্টা আক্রমণ করিবার সদুদ্দেশ্যই তোমরা যুদ্ধ হইতে পশ্চাৎপসারণ করিয়া থাকিবে নিশ্চয়ই।) যদিও বা তোমাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয় নাই। আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হস্ত চুম্বন করিলাম। তিনি বলিয়া উঠিলেনঃ আমিও কিন্তু তোমাদেরই একজন।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
بَابُ تَقْبِيلِ الْيَدِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا فِي غَزْوَةٍ، فَحَاصَ النَّاسُ حَيْصَةً، قُلْنَا: كَيْفَ نَلْقَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ فَرَرْنَا؟ فَنَزَلَتْ: (إِلاَّ مُتَحَرِّفًا لِقِتَالٍ)، فَقُلْنَا: لاَ نَقْدِمُ الْمَدِينَةَ، فَلاَ يَرَانَا أَحَدٌ، فَقُلْنَا: لَوْ قَدِمْنَا، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ، قُلْنَا: نَحْنُ الْفَرَّارُونَ، قَالَ: أَنْتُمُ الْعَكَّارُونَ، فَقَبَّلْنَا يَدَهُ، قَالَ: أَنَا فِئَتُكُمْ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৮০
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
৪৪৫- হাতে চুমা দেয়া।
৯৮০. আব্দুর রহমান ইব্ন রাযীন বলেন, আমরা একদা রাবাযা নামক স্থান অতিক্রম করিতেছিলাম। আমাদিগকে বলা হইল যে, (রাসূলুল্লাহর সাহাবী) হযরত সালমা ইব্ন আক্ওয়া (রাযিঃ) এখানে বসবাস করেন। আমরা তাঁহার খেদমতে গিয়া উপস্থিত হইলাম এবং তাঁহাকে সালাম করিলাম। তিনি তাঁহার হস্তদ্বয় বাহির করিলেন এবং বলিলেনঃ এই দুই হস্তে আমি আল্লাহ্র নবীর হাতে বায়আত গ্রহণ করিয়াছি। এই বলিয়া তিনি তাঁহার এক হাতের তালু বাহির করিলেন। যাহা ছিল উটের পাঞ্জার মত বেশ মাংসল ও মসৃণ। আমরা উঠিয়া তাঁহার সেই তালুতে চুম্বন করিলাম।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَزِينٍ قَالَ: مَرَرْنَا بِالرَّبَذَةِ فَقِيلَ لَنَا: هَا هُنَا سَلَمَةُ بْنُ الأَكْوَعِ، فَأَتَيْنَاهُ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ، فَأَخْرَجَ يَدَيْهِ فَقَالَ: بَايَعْتُ بِهَاتَيْنِ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأَخْرَجَ كَفًّا لَهُ ضَخْمَةً كَأَنَّهَا كَفُّ بَعِيرٍ، فَقُمْنَا إِلَيْهَا فَقَبَّلْنَاهَا.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৮১
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
৪৪৫- হাতে চুমা দেয়া।
৯৮১. সাবিত হযরত আনাসকে বলিলেনঃ আপনি কি স্বহস্তে নবী করীম (ﷺ)-কে স্পর্শ করিয়াছেন? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি তাঁহার হাত চুম্বন করিলেন।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، قَالَ ثَابِتٌ لأَنَسٍ: أَمَسَسْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَقَبَّلَهَا.
তাহকীক: