আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০৫৯
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
৪৮২- পর্দা সংক্রান্ত আয়াত কিভাবে নাযিল হয়েছে?
১০৫৯. ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) বলেন, হযরত আনাস (রাযিঃ) বলিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মদীনার শুভাগমনের সময় তাঁহার বয়স ছিল দশ বছর। তিনি (আনাস) বলেন, আমার মা-খালাগণ আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমত করার জন্য সর্বদা তাগিদ করিতেন। আমি দীর্ঘ দশ বছর তাঁহার খেদমতে নিয়োজিত থাকি এবং তিনি যখন ইন্তিকাল করেন তখন আমার বয়স ছিল কুড়ি বছর। সেই সুবাদে পর্দার (আয়াতের) শানে-নুযূল সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত। পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার ঘটনাটা এরূপঃ রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) হযরত যায়নাব বিনতে জাহাশকে বিবাহ করেন এবং তাঁহার সহিত বাসর রাত্রি যাপনের পর সকালে ওলীমার দাওয়াত করেন। লোকজন খাওয়া-দাওয়ার পর চলিয়া যায়, কিন্তু কয়েকজন লোক তাঁহার ওখানে থাকিয়া যান এবং তাঁহারা তাঁহাদের এ বৈঠক দীর্ঘায়িত করেন। ইহাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (বিব্রতবোধ করেন এবং) উঠিয়া বাহির হইয়া যান এবং আমিও বাহির হইয়া যাই, যাহাতে (এই ইশারা বুঝিয়া) তাঁহারাও বাহির হইয়া যান। তিনি বাহিরে আসিয়া পায়চারি করিতে থাকেন এবং আমিও তাঁহার সাথে পায়চারি করিতে থাকি। নবী (ﷺ) পায়চারি করিতে করিতে হযরত আয়েশার হুজ্‌রার দহলিজে গিয়া পৌছেন। অতঃপর উহারা ততক্ষণে চলিয়া গিয়া থাকিবেন এই ধারণা করিয়া তিনি ফিরিয়া আসেন এবং আমিও তাঁহার সহিত ফিরিয়া আসি। তিনি বিবি যায়নাবের কাছে যান কিন্তু তাঁহারা তখনও বসিয়া ছিলেন। তিনি আবার বাহির হইলেন এবং সাথে সাথে আমিও বাহির হইলাম। তিনি (ﷺ) পুনরায় হযরত আয়েশার দহলিজে গিয়া পৌছেন। অতঃপর ধারণা করেন যে, এতক্ষণে হয়ত তাহারা চলিয়া গিয়াছেন। তাই তিনি ফিরিয়া আসেন এবং আমিও তাঁহার সহিত ফিরিয়া আসি। তখন দেখা গেল যে, তাঁহারা চলিয়া গিয়াছেন। এই সময় নবী করীম (ﷺ) তাঁহার এবং আমার মধ্যে পর্দা টানিয়া দেন এবং তখনই পর্দার হুকুম-সম্বলিত আয়াত নাযিল হয়।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
بَابُ‏:‏ كَيْفَ نَزَلَتْ آيَةُ الْحِجَابِ‏؟‏
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنِي أَنَسٌ، أَنَّهُ كَانَ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ مَقْدَمَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ، فَكُنَّ أُمَّهَاتِي يُوَطِّوَنَّنِي عَلَى خِدْمَتِهِ، فَخَدَمْتُهُ عَشْرَ سِنِينَ، وَتُوُفِّيَ وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ، فَكُنْتُ أَعْلَمَ النَّاسِ بِشَأْنِ الْحِجَابِ، فَكَانَ أَوَّلُ مَا نَزَلَ مَا ابْتَنَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، أَصْبَحَ بِهَا عَرُوسًا، فَدَعَى الْقَوْمَ فَأَصَابُوا مِنَ الطَّعَامِ، ثُمَّ خَرَجُوا، وَبَقِيَ رَهْطٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَأَطَالُوا الْمُكْثَ، فَقَامَ فَخَرَجَ وَخَرَجْتُ لِكَيْ يَخْرُجُوا، فَمَشَى فَمَشَيْتُ مَعَهُ، حَتَّى جَاءَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى زَيْنَبَ، فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ حَتَّى بَلَغَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، وَظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، فَإِذَا هُمْ قَدْ خَرَجُوا، فَضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنِي وَبَيْنَهُ السِّتْرَ، وَأَنْزَلَ الْحِجَابَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক: