আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১২২৪
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
৫৭৯. তাসবীহ্-তাহ্লীলের মাহাত্ম্য
১২২৪. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ দুইটি অভ্যাস এমন, যাহা যে কোন মুসলমান করিলে সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করিবে, ঐ দুইটি কাজ অতি সহজ অথচ উহার আমলকারীর সংখ্যা অতি অল্প। আরয করা হইলঃ এই আমল দুইটি কী, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! ফরমাইলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর দশবার আল্লাহু আকবার’ বলিবে, দশবার আল্হামদু লিল্লাহ্’ বলিবে এবং দশবার ‘সুবহানাল্লাহ্’ বলিবে। মুখে বলিতে তো উহা (পাঁচ ওয়াক্তে) দেড়শত (বার) অথচ নেকীর পাল্লায় (ওজনে উহা) দেড় হাজার।
রাবী বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে হাতে উহা গণনা করিয়া পড়িতে দেখিয়াছি। আর যখন সে শয্যাগ্রহণ করিবে, তখনও “সুবহানাল্লাহ্, আল্হামদু লিল্লাহ্ ও আল্লাহু আকবার” (একশত বার) পড়িবে। উহা মুখে বলিতে একশত (বার), অথচ নেকীর পাল্লায় (ওজনে উহা) এক হাজার। এবার বল দেখি, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে দিবারাত্রির মধ্যে আড়াই হাজার গুনাহ্ করে ?
তখন বলা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! তাহা হইলে এমন দুইটি সহজ অথচ মাহাত্ম্যপূর্ণ অভ্যাস কেমন করিয়া ছাড়া পড়ে ? ফরমাইলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তি নামাযে থাকে, তখন শয়তান তাহার নিকট উপস্থিত হয় এবং তাহাকে তাহার অমুক অমুক প্রয়োজনের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়, ফলে সে আর যিক্র করিতে পারে না।
রাবী বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে হাতে উহা গণনা করিয়া পড়িতে দেখিয়াছি। আর যখন সে শয্যাগ্রহণ করিবে, তখনও “সুবহানাল্লাহ্, আল্হামদু লিল্লাহ্ ও আল্লাহু আকবার” (একশত বার) পড়িবে। উহা মুখে বলিতে একশত (বার), অথচ নেকীর পাল্লায় (ওজনে উহা) এক হাজার। এবার বল দেখি, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে দিবারাত্রির মধ্যে আড়াই হাজার গুনাহ্ করে ?
তখন বলা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! তাহা হইলে এমন দুইটি সহজ অথচ মাহাত্ম্যপূর্ণ অভ্যাস কেমন করিয়া ছাড়া পড়ে ? ফরমাইলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তি নামাযে থাকে, তখন শয়তান তাহার নিকট উপস্থিত হয় এবং তাহাকে তাহার অমুক অমুক প্রয়োজনের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়, ফলে সে আর যিক্র করিতে পারে না।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: خَلَّتَانِ لاَ يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَهُمَا يَسِيرٌ، وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ، قِيلَ: وَمَا هُمَا يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: يُكَبِّرُ أَحَدُكُمْ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا، وَيَحْمَدُ عَشْرًا، وَيُسَبِّحُ عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِئَةٌ عَلَى اللِّسَانِ، وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِئَةٍ فِي الْمِيزَانِ، فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَعُدُّهُنَّ بِيَدِهِ. وَإِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ سَبَّحَهُ وَحَمِدَهُ وَكَبَّرَهُ، فَتِلْكَ مِئَةٌ عَلَى اللِّسَانِ، وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ، فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِئَةِ سَيِّئَةٍ؟ قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، كَيْفَ لاَ يُحْصِيهِمَا؟ قَالَ: يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ فِي صَلاَتِهِ، فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةَ كَذَا وَكَذَا، فَلا يَذْكُرُهُ.
তাহকীক: