মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ১১১
- ঈমানের অধ্যায়
৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১১। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মু'মিনদের নাবালেগ সন্তানদের অবস্থা কি হবে? তিনি বললেন, তারা তাদের পিতাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আমি বললাম, কোন আমল ব্যতিরেকেই? তিনি বললেন, (বেঁচে থাকলে) সে কিরূপ কাজ করত আল্লাহ তা সম্যক জানেন। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, তা হলে কাফির মুশরিকদের সন্তানদের অবস্থা কি হবে? তিনি বললেন, তাদের অবস্থাও তাদের পিতাদের অনুরূপ হবে। আমি বললাম, কোন আমল ব্যতিরেকেই? তিনি বললেন, তারা বেঁচে থাকলে কিরূপ কাজ করত আল্লাহ তা সম্যক অবগত। (আবু দাউদ)
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثاني
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَرَارِيُّ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: «مِنْ آبَائِهِمْ» . فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ بِلَا عَمَلٍ؟ قَالَ: «اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ» . قُلْتُ فذاراري الْمُشْرِكِينَ؟ قَالَ: «مِنْ آبَائِهِمْ» . قُلْتُ: بِلَا عَمَلٍ؟ قَالَ: «اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১২
- ঈমানের অধ্যায়
৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে মহিলা নিজ কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয় এবং যে কন্যাকে কবর দেওয়া হয় তারা উভয়ই দোযখে যাবে। (আবু দাউদ, তিরমিযী)
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثاني
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الوائدة والموؤدة فِي النَّار . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৩
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৩। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক তার সৃষ্টিকুলের প্রত্যেক বান্দার পাঁচটি বিষয় সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধান্ত করে রেখেছেনঃ (১) আয়ু, (২) আমল, (৩) অবস্থানস্থল বা মৃত্যুর স্থান, (৪) চলাফেরা এবং (৫) রিযিক। (আহমদ)
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
عَن أبي الدرداد قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَرَغَ إِلَى كُلِّ عَبْدٍ مِنْ خَلْقِهِ مِنْ خَمْسٍ: مِنْ أَجَلِهِ وَعَمَلِهِ وَمَضْجَعِهِ وَأَثَرِهِ وَرِزْقِهِ . رَوَاهُ أَحْمَدُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৪
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৪। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবে, রোজ কিয়ামতে তাকে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে। আর যে ব্যক্তি তদসম্পর্কে কোনরূপ আলোচনা করবে না তাকে সে সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেসও করা হবে না। (ইবনে মাজাহ)
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لم يسْأَل عَنهُ» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৫
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৫। হযরত ইবনে দায়লামী (রহ) বলেন, আমি হযরত উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ)-এর নিকটে এলাম এবং বললাম, তাকদীর সম্পর্কে আমার মনে কিছু প্রশ্ন উদয় হয়েছে। অতএব এ সম্বন্ধে আমাকে কিছু বলুন, হয়তো আল্লাহ তাআলা আমার অন্তর থেকে তা দূর করে দিবেন। তিনি বললেন, যদি আল্লাহ পাক আসমানবাসী ও জমিনবাসী সবাইকে আযাব দেন, তো দিবেন, তাতে তিনি অত্যাচারী হবেন না। আর তিনি যদি সকলকে দয়া করেন, তা হলে তাঁর দয়া তাদের জন্য তাদের আমলের চেয়ে উত্তম হবে। অতএব তুমি যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে ব্যয় কর, তা আল্লাহ পাক কবুল করবেন না, যতক্ষণ না তুমি তাকদীরে বিশ্বাস করবে এবং তুমি বিশ্বাস করবে, যা তোমার উপর ঘটেছে তা কখনও লঙ্ঘিত হবার নয়। আর যা তোমাকে লঙ্ঘন করেছে কিছুতেই তুমি তা পাওয়ার ছিলে না। যদি তুমি এর বিপরীত বিশ্বাসে মৃত্যুবরণ কর তবে অবশ্যই জাহান্নামে যাবে। ইবনে দায়লামী (রহ) বলেন, অতঃপর আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে এলাম, তিনিও অনুরূপ বললেন। তারপর আমি হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম, তিনিও একই কথা বললেন। অবশেষে আমি হযরত যায়েদ বিন সাবেতের (রাযিঃ) নিকট এলাম, তিনি আমাকে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজা)
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
وَعَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ قَالَ: أَتَيْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ فَقُلْتُ لَهُ: قَدْ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَيْء من الْقدر فَحَدثني بِشَيْء لَعَلَّ الله أَن يذهبه من قلبِي قَالَ لَو أَن الله عَذَّبَ أَهْلَ سَمَاوَاتِهِ وأَهْلَ أَرْضِهِ عَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ كَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ أَنْفَقْتَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ وَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَلَوْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا لَدَخَلْتَ النَّارَ قَالَ ثُمَّ أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ ثُمَّ أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فَقَالَ مثل ذَلِك قَالَ ثُمَّ أَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
হাদীস নং: ১১৬
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৬। নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক ইবনু উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক লোক আপনাকে সালাম দিয়েছে। উত্তরে ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, আমি শুনেছি, সে নাকি দ্বীনের মধ্যে নতুন মত তৈরী করেছে (অর্থাৎ- তাক্বদীরের প্রতি অবিশ্বাস করছে)। যদি প্রকৃতপক্ষে সে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু তৈরী করে থাকে, তাহলে আমার পক্ষ হতে তাকে কোন সালাম পৌঁছাবে না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার উম্মাতের অথবা এ উম্মাতের মধ্যে জমিনে ধ্বসে যাওয়া, চেহারা বিকৃত রূপ ধারণ করা, শিলা পাথর বর্ষণের মতো আল্লাহর কঠিন ’আযাব পতিত হবে, তাদের ওপর যারা তাক্বদীরের প্রতি অস্বীকারকারী হবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনু মাজাহ্; ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব)
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
عَن نَافِع أَن ابْن عمر جَاءَهُ رجل فَقَالَ إِنَّ فُلَانًا يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ فَقَالَ لَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ فَإِنْ كَانَ قَدْ أَحْدَثَ فَلَا تُقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول يكون فِي هَذِه الْأمة أَو فِي أمتِي الشَّك مِنْهُ خَسْفٌ أَوْ مَسْخٌ أَوْ قَذْفٌ فِي أَهْلِ الْقَدَرِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৭
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৭। ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ)-এর নিকট খদীজাহ্ (রাঃ)তাঁর (পূর্ব-স্বামীর) দু’টি সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, যারা জাহিলিয়্যাতের যুগে মারা গেছে (তারা কোথায় জান্নাতী, না জাহান্নামী)। উত্তরে রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তারা উভয়ে জাহান্নামী। ’আলী (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) (যখন সন্তানদের জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে বর্ণনা দেন তখন) খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর চেহারায় বিষণ্ণ ও অসন্তোষের ভাব লক্ষ্য করে বললেন, তুমি যদি তাদের অবস্থান বা অবস্থা দেখতে, তবে তুমি নিশ্চয়ই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে। অতঃপর খাদীজাহ্ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আপনার ঔরসে আমার যেসব সন্তান জন্মগ্রহণ করে মারা গেছে (ক্বাসিম ও ’আব্দুল্লাহ (রাঃ), তাদের কী হবে)? রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তারা জান্নাতে অবস্থান করছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মু’মিনগণ ও তাদের সন্তান-সন্ততিরা জান্নাতে এবং মুশরিক ও তাদের সন্তানাদিরা জাহান্নামে যাবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআনে পাকের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذرياتهم অর্থাৎ “যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের সন্তানরা তাদের পথ অনুসরণ করেছে, তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলিত করে দিব”। -আহমদ
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت خَدِيجَة النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ وَلَدَيْنِ مَاتَا لَهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هُمَا فِي النَّارِ قَالَ فَلَمَّا رأى الْكَرَاهِيَة فِي وَجْهِهَا قَالَ لَوْ رَأَيْتِ مَكَانَهُمَا لَأَبْغَضْتِهِمَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَوَلَدِي مِنْكَ قَالَ فِي الْجنَّة قَالَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْمُؤْمِنِينَ وَأَوْلَادَهُمْ فِي الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمُشْرِكِينَ وَأَوْلَادَهُمْ فِي النَّارِ ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذرياتهم)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৮
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৮। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ যখন হযরত আদম (আ)-কে সৃষ্টি করলেন, তখন তার পৃষ্ঠদেশে তাঁর কুদরতের হাত বুলিয়ে দিলেন। ফলে তার পৃষ্ঠদেশ হতে তার সমস্ত সন্তান বের হয়ে এল। যাদেরকে আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত পয়দা করবেন এবং তাদের সকলের দুই চক্ষুর মধ্যস্থলে একটি জ্যোতির ছটা সৃষ্টি করলেন। অতঃপর তাদেরকে হযরত আদম (আ)-এর সামনে পেশ করলেন। (তাদেরকে দেখে হযরত আদম (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! এরা কারা? আল্লাহ বললেন, তোমার সন্তান ও বংশধর। ঐ সময় তাঁর সন্তানদের একজনের উপর হযরত আদম (আ)-এর দৃষ্টি পড়ল এবং তার নূরের ছটায় তিনি আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! এ ব্যক্তি কে? আল্লাহ বললেন, তোমার সন্তান দাউদ। হযরত আদম (আ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আমার প্রতিপালক! আপনি তার আয়ু কত নির্ধারণ করেছেন? আল্লাহ বললেন, ষাট বৎসর। হযরত আদম (আঃ) বললে হে আমার প্রতিপালক! আমার আয়ু হতে চল্লিশ বছর তাকে বাড়িয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এই চল্লিশ বছর ছাড়া (বাকী নয়শত ষাট বছর আয়ু) যখন হযরত আদম (আ)-এর আয়ু শেষ হয়ে গেল, তখন ফিরিশতা আজরাইল (আ) এসে তার নিকট উপস্থিত হলেন। তাকে দেখে হযরত আদম (আ) বললেন, আমার আয়ুর এখনও কি চব্বিশ বছর অবশিষ্ট নেই? আজরাইল বললেন, তা কি আপনি আপনার সন্তান দাউদ (আ)-কে দান করেন নি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হযরত আদম (আ) তা অস্বীকার করলেন। এই কারণেই তার সন্তানরাও অস্বীকার করে থাকে। হযরত আদম (আ) ভুলে গিয়েছিলেন এবং (নিষিদ্ধ) বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করেছিলেন। যে কারণে তার সন্তানরাও ভুলে যায়। হযরত আদম (আ)-এর ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল। যে কারণে তার সন্তানদেরও ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়। (উল্লেখ্য যে হযরত দাউদ (আ)-এর আয়ুর এই পরিবর্তনও তার তাকদীরের শামিল)। -তিরমিযী
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدم مسح ظَهره فَسقط من ظَهْرِهِ كُلُّ نَسَمَةٍ هُوَ خَالِقُهَا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَجَعَلَ بَيْنَ عَيْنَيْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ وَبِيصًا مِنْ نُورٍ ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى آدَمَ فَقَالَ أَيْ رَبِّ مَنْ هَؤُلَاءِ قَالَ هَؤُلَاءِ ذُرِّيَّتُكَ فَرَأَى رَجُلًا مِنْهُمْ فَأَعْجَبَهُ وَبِيصُ مَا بَين عَيْنَيْهِ فَقَالَ أَي رب من هَذَا فَقَالَ هَذَا رجل من آخر الْأُمَم من ذريتك يُقَال لَهُ دَاوُدُ فَقَالَ رَبِّ كَمْ جَعَلْتَ عُمُرَهُ قَالَ سِتِّينَ سنة قَالَ أَي رب زده من عمري أَرْبَعِينَ سنة فَلَمَّا قضي عمر آدم جَاءَهُ ملك الْمَوْت فَقَالَ أَوَلَمْ يَبْقَ مِنْ عُمُرِي أَرْبَعُونَ سَنَةً قَالَ أولم تعطها ابْنك دَاوُد قَالَ فَجحد آدم فَجحدت ذُريَّته وَنسي آدم فنسيت ذُريَّته وخطئ آدم فخطئت ذُريَّته» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১৯
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৯। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) রাসূলে পাক (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক যখন হযরত আদম (আ)-কে পয়দা করলেন, তখন তার ডান কাঁধের উপর স্বীয় কুদরতের হাত স্থাপন করলেন। আর ক্ষুদ্র পিপীলিকার দলসদৃশ সুন্দর চাকচিক্যময় একদল মানুষ বের করলেন। এইভাবে তার বাম কাঁধের উপর স্বীয় কুদরতের হাত স্থাপন করলেন এবং কয়লাসদৃশ ঘোর কালো অপর একদল মানুষ বের করলেন। তারপর ডানদিকের দলটির প্রতি ইশারা করে বললেন, এরা বেহেশতী। এতে আমার কোন পরওয়া নেই। তারপর বামদিকের দলটির প্রতি ইশারা করে বললেন, এরা দোযখী। এতেও আমার কোন পরওয়া নেই। —আহমদ
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ حِينَ خَلَقَهُ فَضَرَبَ كَتِفَهُ الْيُمْنَى فَأَخْرَجَ ذُرِّيَّةً بَيْضَاءَ كَأَنَّهُمُ الذَّرُّ وَضَرَبَ كَتِفَهُ الْيُسْرَى فَأَخْرَجَ ذُرِّيَّةً سَوْدَاءَ كَأَنَّهُمُ الْحُمَمُ فَقَالَ لِلَّذِي فِي يَمِينِهِ إِلَى الْجَنَّةِ وَلَا أُبَالِي وَقَالَ للَّذي فِي كَفه الْيُسْرَى إِلَى النَّارِ وَلَا أُبَالِي» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২০
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১২০। হযরত আবু নাযরা (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের মধ্যে আবু আব্দুল্লাহ নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু শয্যায় তার বন্ধু-বান্ধবগণ তাকে দেখতে এলেন। ঐ সময় তিনি ক্রন্দন করছিলেন। আগন্তুকগণ তাকে ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞেস করলেন, আর বললেন, আপনাকে কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কথা বলেন নি যে, তোমার গোফ খাটো করবে। তারপর সর্বদা এভাবে খাটো রাখবে; যে পর্যন্ত না তুমি (বেহেশতে) আমার সাথে মিলিত হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এরূপও বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তাঁর ডান হাতে একমুষ্টি লোক এবং বামহাতে একমুষ্টি লোক নিয়ে বলেছেন, এরা বেহেশতী আর এরা দোযখী এবং আমি এই ব্যাপারে কারো পরোয়া করি না। অথচ আমার জানা নেই যে, এই দুই হাতের মুষ্টির মধ্যে আমি কোন হাতের মুষ্টির লোক। -আহমদ
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
وَعَن أبي نَضرة أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَالُ لَهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ دَخَلَ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ يَعُودُونَهُ وَهُوَ يَبْكِي فَقَالُوا لَهُ مَا يُبْكِيكَ أَلَمْ يَقُلْ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذْ مِنْ شَارِبِكَ ثُمَّ أَقِرَّهُ حَتَّى تَلْقَانِي قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَبَضَ بِيَمِينِهِ قَبْضَةً وَأُخْرَى بِالْيَدِ الْأُخْرَى وَقَالَ هَذِهِ لِهَذِهِ وَهَذِه لهَذِهِ وَلَا أُبَالِي فَلَا أَدْرِي فِي أَيِّ الْقَبْضَتَيْنِ أَنَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২১
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১২১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক না'মান নামক স্থানে অর্থাৎ আরাফাতে হযরত আদম (আ)-এর পৃষ্ঠদেশ হতে তার সন্তানদেরকে বের করে তাদের নিকট হতে অঙ্গীকার নিয়েছেন। তিনি হযরত আদম (আ)-এর মেরুদণ্ড হতে তার প্রত্যেক সন্তান, যাদেরকে তিনি (পরে) পয়দা করেছেন বের করেন এবং ক্ষুদ্র পিপীলিকাসদৃশ সেগুলোকে হযরত আদম (আ)-এর সামনে ছড়িয়ে দেন। তারপর সামনাসামনি হয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলল, হ্যাঁ অবশ্যই। আমরা তার সাক্ষী রইলাম। (আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম) এটা এজন্য যে, তোমরা যেন রোজ কিয়ামতে বলতে না পার যে, আমরা তো এই সম্পর্কে গাফেল ছিলাম। অথবা তোমরা যেন এরূপ বলতে না পার যে, আমাদের পূর্বপুরুষরাই তো এবং আমরা তাদের পরবর্তী বংশধর আমাদের পূর্বে শিরক করেছে তবে কি পথভ্রষ্টদের কৃতকর্মের জন্যে তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করবে? -আহমদ
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَخذ الله الْمِيثَاق من ظهر آدم بنعمان يَعْنِي عَرَفَة فَأخْرج من صلبه كل ذُرِّيَّة ذَرَاهَا فَنَثَرَهُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ كَالذَّرِّ ثُمَّ كَلَّمَهُمْ قِبَلًا قَالَ: (أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غافلين أَوْ تَقُولُوا إِنَّمَا أَشْرَكَ آبَاؤُنَا مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا ذُرِّيَّةً مِنْ بَعْدِهِمْ أَفَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ المبطلون)

رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২২
- ঈমানের অধ্যায়
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১২২। হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) "যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের সন্তানদিগকে বের করলেন” এই আয়াতটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ পাক তাদের একত্রিত করলেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম করে বানাতে ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তাদেরকে সেইভাবে আকৃতি দান করলেন এবং তাদেরকে কথা বলার শক্তি দিলেন। সুতরাং তারা কথা বলতে পারল, তারপর আল্লাহ পাক তাদের নিকট হতে অঙ্গীকার নিলেন এবং তাদেরকে নিজেদের ব্যাপারে সাক্ষী বানালেন। (জিজ্ঞেস করলেন) আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলল, হ্যাঁ। অতঃপর আল্লাহ পাক বললেন, আমি তোমাদের এই কথার উপর সাত আসমান এবং সাত যমিনকে সাক্ষী করছি এবং তোমাদের পিতা আদমকেও সাক্ষী করছি যেন তোমরা রোজ কিয়ামতে বলতে না পার যে, এটা আমরা জানতাম না। তোমরা জেনে রাখ যে, আমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং আমি ছাড়া তোমাদের কোন প্রতিপালকও নেই; সুতরাং তোমরা আমার সাথে কাউকেও অংশীদার বানাবে না। অতঃপর আমি তোমাদের নিকট আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করব। তারা তোমাদেরকে আমার এই ওয়াদা অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিবে। এছাড়া আমি তোমাদের নিকট আমার কিতাবসমূহ নাযিল করব। তখন তারা বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আপনিই আমাদের প্রতিপালক এবং আমাদের উপাস্য। আপনি ছাড়া আমাদের কোন প্রতিপালক নেই এবং আপনি ছাড়া আমাদের কোন উপাস্যও নেই। (হযরত উবাই বলেন) তারা এটা স্বীকার করল। অতঃপর হযরত আদম (আ)-কে তাদের উপর তুলে ধরা হল। তিনি সকলকে দেখতে লাগলেন। তিনি দেখলেন, তাদের মধ্যে ধনী, গরীব, সুন্দর, কুশ্রী সকল প্রকারই রয়েছে। (আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এই প্রভেদ দেখে) তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! তুমি এদের সকলকে একরূপ করলে না কেন? আল্লাহ বললেন, এই কারণে যে, এরা আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুক, আমি তাই চাই। আর তিনি তাদের মধ্যে নবী-রাসূলগণকে দেখলেন। সকলের মধ্যে তারা যেন (এক একটি) প্রদীপস্বরূপ। তাদের মধ্যে আলো ঝলমল করছে। তারা সাধারণ অঙ্গীকার ছাড়া রেসালাত ও নবুয়তের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বিশেষ অঙ্গীকারে আব্দ্ধ হলেন। এটাই আল্লাহ পাকের কালামে উল্লেখ রয়েছেঃ “আমি যখন নবী-রাসূলদের নিকট হতে তাদের বিশেষ অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম- হতে ঈসা ইবনে মারয়ামের নিকট হতেও” পর্যন্ত।
(হযরত উবাই বলেন) ঐ সকল রূহের মধ্যে হযরত ঈসা (আ)-এর রূহও ছিল। আল্লাহ পাক তা হযরত মরিয়মের প্রতি প্রেরণ করেছেন। (পরবর্তী বর্ণনাকারী বলেন) হযরত উবাই হতে এও বর্ণিত আছে যে, ঐ রূহ হযরত মারয়ামের মুখ দিয়ে দিয়ে প্রবেশ করেছিল। -আহমদ
كتاب الإيمان
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
عَن أبي بن كَعْب فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ (وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورهمْ ذرياتهم وأشهدهم على أنفسهم)
الْآيَة قَالَ جمعهم فجعلهم أرواحا ثُمَّ صَوَّرَهُمْ فَاسْتَنْطَقَهُمْ فَتَكَلَّمُوا ثُمَّ أَخَذَ عَلَيْهِمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالَ فَإِنِّي أشهد عَلَيْكُم السَّمَوَات السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ وَأُشْهِدُ عَلَيْكُمْ أَبَاكُمْ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَام أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَمْ نَعْلَمْ بِهَذَا اعْلَمُوا أَنَّهُ لَا إِلَهَ غَيْرِي وَلَا رَبَّ غَيْرِي فَلَا تُشْرِكُوا بِي شَيْئا وَإِنِّي سَأُرْسِلُ إِلَيْكُمْ رُسُلِي يُذَكِّرُونَكُمْ عَهْدِي وَمِيثَاقِي وَأُنْزِلُ عَلَيْكُمْ كُتُبِي قَالُوا شَهِدْنَا بِأَنَّكَ رَبُّنَا وَإِلَهُنَا لَا رب لَنَا غَيْرُكَ فَأَقَرُّوا بِذَلِكَ وَرُفِعَ عَلَيْهِمْ آدَمُ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ فَرَأَى الْغَنِيَّ وَالْفَقِيرَ وَحَسَنَ الصُّورَةِ وَدُونَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبِّ لَوْلَا سَوَّيْتَ بَيْنَ عِبَادِكَ قَالَ إِنِّي أَحْبَبْتُ أَنْ أَشْكُرَ وَرَأَى الْأَنْبِيَاءَ فِيهِمْ مِثْلَ السُّرُجِ عَلَيْهِمُ النُّورُ خُصُّوا بِمِيثَاقٍ آخَرَ فِي الرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى (وَإِذ أَخذنَا من النَّبِيين ميثاقهم)
إِلَى قَوْله (عِيسَى ابْن مَرْيَم)
كَانَ فِي تِلْكَ الْأَرْوَاحِ فَأَرْسَلَهُ إِلَى مَرْيَمَ فَحُدِّثَ عَنْ أُبَيٍّ أَنَّهُ دَخَلَ مِنْ فِيهَا. رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক: