মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ১৮৬
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৬। হযরত মালেক ইবনে আনাস (রাযিঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের মধ্যে দু'টি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যে পর্যন্ত তোমরা সেই বন্ধু দু'টি মজবুতভাবে ধরে থাকবে পথ হারাবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নত। -মুয়াত্তা
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَن مَالك بن أنس مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ رَسُولِهِ «. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৭
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৭। হযরত গুযাইফ ইবনে হারেছ সুমালী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখনই কোন সম্প্রদায় একটি বেদআতের প্রচলন করেছে, তখনই একটি সুন্নত লোপ পেয়েছে; সুতরাং একটি সুন্নত মজবুতভাবে ধরে রাখা একটি বেদআতের প্রচলন করা হতে উত্তম। -আহমদ
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَن غُضَيْف بن الْحَارِث الثمالِي قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَا أَحْدَثَ قَوْمٌ بِدْعَةً إِلَّا رُفِعَ مِثْلُهَا مِنَ السُّنَّةِ فَتَمَسُّكٌ بِسُنَّةٍ خَيْرٌ مِنْ إِحْدَاث بِدعَة)

رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৮
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৮। হযরত হাসসান ইবনে ছাবেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখনই কোন সম্প্রদায় তাদের দ্বীনের মধ্যে কোন বেদআত সৃষ্টি করেছে তখনই আল্লাহ্ পাক তাদের মধ্য হতে ঐ পরিমাণ সুন্নত তুলে নিয়েছেন। এরপর রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তা আর তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে না। -দারেমী
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَنْ حَسَّانَ قَالَ: «مَا ابْتَدَعَ قَوْمٌ بِدْعَةً فِي دِينِهِمْ إِلَّا نَزَعَ اللَّهُ مِنْ سُنَّتِهِمْ مِثْلَهَا ثُمَّ لَا يُعِيدُهَا إِلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَة.» رَوَاهُ الدَّارمِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮৯
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৮৯। হযরত ইবরাহীম ইবনে মাইসারা (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন বেদআতকারীকে সম্মান দেখায়, সে নিশ্চিতরূপে ইসলাম ধ্বংসের ব্যাপারে সাহায্য করে। বাইহাকী
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَن إِبْرَاهِيم بن ميسرَة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ وَقَّرَ صَاحِبَ بِدْعَةٍ فَقَدْ أَعَانَ عَلَى هَدْمِ الْإِسْلَامِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الايمان مُرْسلا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯০
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব শিক্ষা করেছে, তারপর তাতে নিহিত বিষয়সমূহের অনুসরণ করেছে আল্লাহ্ তাকে দুনিয়ায় গোমরাহী থেকে হেদায়াত করবেন এবং পরকালে তাকে হিসাব নিকাশের খারাবী হতে রক্ষা করবেন। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআনে পাকের অনুসরণ করবে, সে দুনিয়ায় গোমরাহ হবে না এবং পরকালেও বদনছীব হবে না। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। ভালো যে আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, সে দুনিয়ায় গোমরাহ হবে না এবং পরকালেও বদনছীব হবে না।" -রাযীন
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: من تعلم كتاب الله ثمَّ ابتع مَا فِيهِ هَدَاهُ اللَّهُ مِنَ الضَّلَالَةِ فِي الدُّنْيَا وَوَقَاهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سُوءَ الْحِسَابِ

وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: مَنِ اقْتَدَى بِكِتَابِ اللَّهِ لَا يَضِلُّ فِي الدُّنْيَا وَلَا يَشْقَى فِي الْآخِرَةِ ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: (فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يضل وَلَا يشقى)

رَوَاهُ رزين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯১
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক একটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করেছেন। যেমন একটি সরল সঠিক রাস্তা। তার দুইপার্শ্বে দু'টি প্রাচীর, যাতে বহু দরজা রয়েছে এবং সেই দরজাসমূহে পর্দা লটকানো। আর রাস্তার মাথায় জনৈক আহ্বানকারী, যে মানুষকে এভাবে ডাকছে যে, তোমরা এ রাস্তাটির উপর মজবুতভাবে থাকো। এদিকে সেদিকে যেও না। আর সে রাস্তার উপর রয়েছে অপর এক আহ্বানকারী। যখনই কোন লোক ঐ সকল দরজার কোন একটি দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে ইচ্ছা করছে অমনি সে তাকে ডেকে বলছে, সাবধান! ওটা খুলো না।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ব্যাখ্যায় বললেন যে, সেই সরল সঠিক রাস্তা হল ইসলাম। আর উক্ত খোলা দরজাসমূহ হল আল্লাহ' কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ। আর লটকানো পর্দা হল আল্লাহর নির্দেশিত সীমানা। রাস্তার মাথার আহ্বানকারী হল কুরআনে পাক। আর তার উপরের আহ্বানকারী হল প্রত্যেক মু'মিনের অন্তরে বিদ্যমান আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়োজিত এক উপদেশদাতা। -রাযীন
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا وَعَنْ جَنَبَتَيِ الصِّرَاطِ سُورَانِ فِيهِمَا أَبْوَابٌ مُفَتَّحَةٌ وَعَلَى الْأَبْوَابِ سُتُورٌ مُرَخَاةٌ وَعِنْدَ رَأْسِ الصِّرَاطِ دَاعٍ يَقُولُ: اسْتَقِيمُوا عَلَى الصِّرَاطِ وَلَا تَعْوَجُّوا وَفَوْقَ ذَلِكَ دَاعٍ يَدْعُو كُلَّمَا هَمَّ عَبْدٌ أَنْ يَفْتَحَ شَيْئًا مِنْ تِلْكَ الْأَبْوَابِ قَالَ: وَيْحَكَ لَا تَفْتَحْهُ فَإِنَّكَ إِنْ تَفْتَحْهُ تَلِجْهُ . ثُمَّ فَسَّرَهُ فَأَخْبَرَ: أَنَّ الصِّرَاطَ هُوَ الْإِسْلَامُ وَأَنَّ الْأَبْوَابَ الْمُفَتَّحَةَ مَحَارِمُ اللَّهِ وَأَنَّ السُّتُورَ الْمُرَخَاةَ حُدُودُ اللَّهِ وَأَنَّ الدَّاعِيَ عَلَى رَأْسِ الصِّرَاطِ هُوَ الْقُرْآنُ وَأَنَّ الدَّاعِيَ مِنْ فَوْقِهِ وَاعِظُ اللَّهِ فِي قَلْبِ كُلِّ مُؤمن)

رَوَاهُ رزين وَأحمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯২
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯২। ইমাম বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানে এ হাদীসটিকে নাও্ওয়াস ইবনু সাম্’আন (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযীও একই সাহাবী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন, তবে অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্তাকারে।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَكَذَا التِّرْمِذِيُّ عَنْهُ إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أخصر مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯৩
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কারো তরীকা অনুসরণ করতে চায়, সে যেন দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণকারী লোকদের তরীকা অনুসরণ করে। কেননা জীবিত লোকেরা ফেতনা হতে নিরাপদ নয়। (যে মৃত ব্যক্তিদের কথা বললাম) তারা হলেন হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ, যারা এই উম্মতের সর্বোত্তম লোক ছিলেন নেক হৃদয়, গভীর জ্ঞান অকৃত্রিম স্বভাব হওয়ার দিক থেকে। আল্লাহ্ পাক তাদেরকে স্বীয় নবীর সাহচর্য ও দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মনোনীত করেছিলেন; সুতরাং তোমরা তাদের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উপলব্ধি কর। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ কর এবং তাদের স্বভাব-চরিত্র যথাসাধ্য অবলম্বন কর। কেননা তারা (সম্পূর্ণরূপে) সরল সঠিক পথে ছিলেন। -রাযীন
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: مَنْ كَانَ مُسْتَنًّا فليسن بِمَنْ قَدْ مَاتَ فَإِنَّ الْحَيَّ لَا تُؤْمَنُ عَلَيْهِ الْفِتْنَةُ. أُولَئِكَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوا أَفْضَلَ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبَرَّهَا قُلُوبًا وَأَعْمَقَهَا عِلْمًا وَأَقَلَّهَا تَكَلُّفًا اخْتَارَهُمُ اللَّهُ لِصُحْبَةِ نَبِيِّهِ وَلِإِقَامَةِ دِينِهِ فَاعْرِفُوا لَهُمْ فَضْلَهُمْ وَاتَّبِعُوهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ وَتَمَسَّكُوا بِمَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ أَخْلَاقِهِمْ وَسِيَرِهِمْ فَإِنَّهُمْ كَانُوا عَلَى الْهَدْيِ الْمُسْتَقِيمِ. رَوَاهُ رزين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯৪
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৪। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তাওরাত কিতাবের একটি নোসখা নিয়ে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা তাওরাত কিতাবের একটি কপি। রাসূলে পাক (ﷺ) নীরব রইলেন। হযরত উমর (রাযিঃ) তা পাঠ করতে শুরু করলেন। (সাথে সাথে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা পরিবর্তন হতে লাগল। তা লক্ষ্য করে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ওমর তোমার সর্বনাশ হয়েছে, তুমি কি দেখছ না! রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা মুবারক কি রূপ ধারণ করেছে? তখন ওমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন, আমি আল্লাহর নাখুশী এবং তাঁর রাসূলের নাখুশী হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমরা আল্লাহ্ পাককে প্রভু, ইসলামকে দীন এবং হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবীরূপে লাভ করে সন্তুষ্ট হয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার জীবন! এই সময় যদি তোমাদের নিকট হযরত মুসা (আ)-ও আত্মপ্রকাশ করতেন আর তোমরা আমাকে রেখে তার অনুসরণ করতে তা হলে নিশ্চিতরূপে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়তে। এমনকি মুসা (আ) যদি এখন জীবিত থাকতেন আর আমার নবুয়াতের যামানা পেতেন তবে তিনিও নিশ্চিতরূপে আমার অনুসরণ করতেন। -দারেমী
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
عَن جَابِرٍ: (أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنُسْخَةٍ مِنَ التَّوْرَاةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذِهِ نُسْخَةٌ مِنَ التَّوْرَاةِ فَسَكَتَ فَجَعَلَ يقْرَأ وَوجه رَسُول الله يَتَغَيَّرُ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ثَكِلَتْكَ الثَّوَاكِلُ مَا تَرَى مَا بِوَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَظَرَ عُمَرُ إِلَى وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَعُوذُ بِاللَّه من غضب الله وَغَضب رَسُوله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ بَدَا لَكُمْ مُوسَى فَاتَّبَعْتُمُوهُ وَتَرَكْتُمُونِي لَضَلَلْتُمْ عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ وَلَوْ كَانَ حَيًّا وَأَدْرَكَ نُبُوَّتِي لَاتَّبَعَنِي)

رَوَاهُ الدَّارمِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯৫
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৫। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমার কালাম আল্লাহর কালামকে রহিত করে না; বরং আল্লাহর কালাম আমার কালামকে রহিত করে। তাছাড়া আল্লাহর এক কালাম তাঁর অপর কালামকে রহিত করে।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَلَامِي لَا يَنْسَخُ كَلَامَ اللَّهِ وَكَلَامُ اللَّهِ يَنْسَخُ كَلَامِي وَكَلَامُ اللَّهِ يَنْسَخُ بعضه بَعْضًا»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯৬
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমাদের হাদীসসমূহ একটি অপরটিকে রহিত করে দেয়। ষেভাবে কুরআনে পাকের এক কালাম অপর একটি কালামকে রহিত করে।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَحَادِيثَنَا يَنْسَخُ بَعْضهَا بَعْضًا كنسخ الْقُرْآن»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯৭
- ঈমানের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৭। হযরত আবু ছা'লাবা খুশানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক কতক বস্তুকে ফরজরূপে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। সেগুলোকে তোমরা বিনষ্ট তথা পরিত্যাগ করবে না। এমনিভাবে কিছু বিষয়কে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, সেগুলোর আমল করবে না, আর কতকগুলো সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেইগুলি লঙ্ঘন করবে না। আর যে সকল ব্যাপারে তিনি ভুলবশতঃ নয়; বরং ইচ্ছাকৃতভাবেই চুপ রয়েছেন, সেই বিষয়গুলোকে খুঁজতে যাবে না। —উপরোক্ত হাদীসত্রয় দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন।
كتاب الإيمان
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
وَعَن أبي ثَعْلَبَة الْخُشَنِي قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ فَرَضَ فَرَائِضَ فَلَا تُضَيِّعُوهَا وَحَرَّمَ حُرُمَاتٍ فَلَا تَنْتَهِكُوهَا وَحَدَّ حُدُودًا فَلَا تَعْتَدُوهَا وَسَكَتَ عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ غَيْرِ نِسْيَانٍ فَلَا تَبْحَثُوا عَنْهَا» . رَوَى الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ الدَّارَقُطْنِيُّ
tahqiq

তাহকীক: