মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৪২৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা অজু করলেন (অঙ্গসমূহ ধৌত করলে) দুই দুইবার করে এবং বললেন, এটা এক জ্যোতির উপর আর এক জ্যােতি।
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ وَقَالَ: هُوَ «نُورٌ عَلَى نُورٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৪
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৪। হযরত ওছমান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা অজু করলেন তিন তিনবার করে এবং বললেন, এটা আমার অজু এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের অজু। বিশেষতঃ হযরত ইবরাহীম (আ)-এর অজু। রাযীন হাদীস দুটো বর্ণনা করেছেন। ইমাম নববী (রহ) মুসলিম শরীফের ভাষ্যগ্রন্থে দ্বিতীয়টিকে দুর্বল মন্তব্য করেছেন।
كتاب الطهارة
وَعَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا وَقَالَ: «هَذَا وُضُوئِي وَوُضُوءُ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي وَوُضُوءُ إِبْرَاهِيمَ» . رَوَاهُمَا رَزِينٌ وَالنَّوَوِيُّ ضَعَّفَ الثَّانِي فِي شرح مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৫
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৫। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের জন্যই নতুন অজু করতেন এবং আমাদের প্রত্যেকের জন্য এক অজুই যথেষ্ট যদি না তার অজু ভঙ্গ হয়। -দারেমী
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَكَانَ أَحَدُنَا يَكْفِيهِ الْوُضُوءُ مَا لَمْ يُحْدِثْ. رَوَاهُ الدِّرَامِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৬। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন হাব্বান (রহ) বলেছেন, একদা আমি ওবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে জিজ্ঞেস করলাম, বলুন, আপনার পিতা আব্দুল্লাহ ইবন ওমর প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের জন্য যে নতুন অজু করতেন অজু ভঙ্গ হলেও ভঙ্গ না হলেও? তা তিনি কার নিকট হতে গ্রহণ করেছিলেন? ওবায়দুল্লাহ বললেন, আসমা বিনত যায়দ ইবন খাত্তাব তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা আলগাসীল তার নিকট (আসমার নিকট) বর্ণনা করেছেন, প্রথমে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের জন্যই নতুন অজু করতে আদেশ করা হয়েছিল, তাঁর অজু থাকুক কি না থাকুক। (তারপর) যখন এটা তাঁর উপর কঠিন হয়ে পড়ল, তখন প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য মেসওয়াক করতে বলা হল এবং অজু ভঙ্গ হওয়া ব্যতীত অজু করার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হল। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) দেখলেন যে, তিনি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য অজু করার সামর্থ্য রাখেন। তাই তিনি আমৃত্যু তেমনটি করেছেন। -আহমাদ
كتاب الطهارة
وَعَن مُحَمَّد بن يحيى بن حبَان الْأنْصَارِيّ ثمَّ الْمَازِني مَازِن بني النجار عَن عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قلت لَهُ أَرَأَيْتَ وُضُوءَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ عَمَّنْ أَخَذَهُ؟ فَقَالَ: حَدَّثَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أبي عَامر ابْن الْغَسِيلِ حَدَّثَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أُمِرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرَ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَوُضِعَ عَنْهُ الْوُضُوءُ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ قَالَ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً عَلَى ذَلِكَ كَانَ يَفْعَله حَتَّى مَاتَ. رَوَاهُ أَحْمد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা নবী পাক (ﷺ) সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাছ, (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এরূপ অপচয় কেন করহ সা'দ? হযরত সা'দ (রাযিঃ) বললেন, অজুতেও কি অপচয় আছে ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন নিশ্চয় আছে। প্রবাহমান নদীর তীরে বসে অজু করলেও (অপচয় আছে)। —আহমদ, ইবনে মাজাহ
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ: «مَا هَذَا السَّرَفُ يَا سَعْدُ» . قَالَ: أَفِي الْوُضُوءِ سَرَفٌ؟ قَالَ: «نَعَمْ وَإِنْ كُنْتَ عَلَى نَهْرٍ جَارٍ» . رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৮। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ), ইবন মাসউদ (রাযিঃ) এবং ইবন উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অজু করল এবং (তাতে) বিসমিল্লাহ বলল, সে তার সর্বশরীরকে পবিত্র করল। আর যে বিসমিল্লাহ না বলে অজু করল, সে শুধু তার অজুর স্থানগুলোকেই পবিত্র করল।
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَوَضَّأَ وَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ فَإِنَّهُ يُطَهِّرُ جَسَدَهُ كُلَّهُ وَمَنْ تَوَضَّأَ وَلَمْ يَذْكُرِ اسْمَ الله لم يطهر إِلَّا مَوضِع الْوضُوء»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২৯। হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের জন্য অজু করার সময় তাঁর আঙ্গুলে পরিহিত আংটি নেড়ে দিতেন। দারে কুতনী উপরোক্ত দু'টো হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং ইবনে মাজাহ শুধু শেষটি বর্ণনা করেছেন।
كتاب الطهارة
وَعَن أبي رَافع قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا تَوَضَّأَ وُضُوءَ الصَّلَاةِ حَرَّكَ خَاتَمَهُ فِي أُصْبُعه. رَوَاهُمَا الدَّارَقُطْنِيّ. وروى ابْن مَاجَه الْأَخير
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৩০। হযরত আবু হরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেহেন, তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীলোকের চারি শাখার (দুইহাত, দুইপার) সামনে বসে (সঙ্গমরত হয়ে) শুক্রস্থলনের প্রয়াস পায়, তখন নিশ্চিতরূপে গোসল ফরজ হয় (শুক্রস্খলন হোক বা না হোক)। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ الْغُسْلِ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذا جلس بَيْنَ شُعَبِهَا الْأَرْبَعِ ثُمَّ جَهَدَهَا فَقَدْ وَجَبَ الْغسْل وَإِن لم ينزل»
তাহকীক: