মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৮১৫
- নামাযের অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
৮১৫। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শুরু করার সময় বলতেন, সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা'আলা জাদ্দুকা ওয়া লাইলাহা গাইরুকা" অর্থাৎ তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি হে আল্লাহ্! তোমার প্রশংসার সাথে। তোমার নাম মঙ্গলময়, তোমার মহিমা উচ্চ এবং তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। -তিরমিযী, আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ قَالَ: «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৮১৬
- নামাযের অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
৮১৬। ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন আবু সাঈদ (রাযিঃ) হতে। আর তিরমিযী (রহ) বলেছেন যে, এটা শুধু হারেছার সূত্রে বর্ণিত। তার স্মৃতিশক্তি সম্পর্কে অভিযোগ বিদ্যমান।
كتاب الصلاة
وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ

وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ حَارِثَةَ وَقَدْ تُكُلِّمَ فِيهِ مِنْ قِبَلِ حفظه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮১৭
- নামাযের অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
৮১৭। হযরত জোবায়ের ইবনে মোত'ইম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। একবার তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এক নামায পড়তে দেখেছেন। তিনি (তাকবীরে তাহরীমার পর) বললেন, আল্লাহ্ অতি মহান আল্লাহ্ অতি মহান আল্লাহ্ অতি মহান। আল্লাহর জন্য বহু প্রশংসা আল্লাহর জন্য বহু প্রশংসা আল্লাহর জন্য বহু প্রশংসা। আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, সকালে বিকালে (তিনবার) আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, বিতাড়িত শয়তান হতে। তার অহমিকা, তার যাদু এবং তার প্রতারণা হতে। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ
কিন্তু ইবনে মাজাহ ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরান বাক্যটি উল্লেখ করেন নি। অধিকন্তু তিনি শেষ দিকে শুধু মিনাশ শাইত্বানের রাজীম উল্লেখ করেছেন। হযরত ওমর (রাযিঃ) বলেছেন যে, “নফখ” শব্দের অর্থ অহমিকা। 'নফছ' অর্থ গান আর 'হাময' অর্থ পাগলের কাজ।
كتاب الصلاة
وَعَن جُبَير بن مطعم: أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةً قَالَ: «اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَان الله بكرَة وَأَصِيلا» ثَلَاثًا «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثَهِ وَهَمْزَهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ: «وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا» . وَذَكَرَ فِي آخِرِهِ: «مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: نَفْخُهُ الْكِبْرُ وَنَفْثُهُ الشِّعْرُ وهمزه الموتة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮১৮
- নামাযের অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
৮১৮। হযরত সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দু'টো নীরব থাকা সম্পর্কে স্মরণ রেখেছেন। একটি নীরব থাকা হল যখন তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলা শেষ করতেন। আর অপর নীরব থাকাটি হল, যখন তিনি গাইরিল মাগদ্বূবি আলাইহিম ওয়ালদ্দ্বোয়াল্লীন বাক্যটি পড়ে শেষ করতেন। সামুরাহর এই হাদীস যখন উবাই ইবনে কা'বের নিকট পৌঁছল, তিনি (উবাই ইবনে কা'ব) এর সত্যতা স্বীকার করলেন। —আবু দাউদ
তিরমিযী ইবনে মাজাহ এবং দারেমী এইরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصلاة
وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب: أَنَّهُ حَفِظَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَكْتَتَيْنِ: سَكْتَةً إِذَا كَبَّرَ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالّين)

فَصَدَّقَهُ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وروى التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي نَحوه
হাদীস নং: ৮১৯
- নামাযের অধ্যায়
১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
৮১৯। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন দ্বিতীয় রাকাতের পর (তাশাহহুদ পড়ে) দাঁড়াতেন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা কিরাত শুরু করতেন এবং নীরব থাকতেন না। -মুসলিম
হুমাইদী বর্ণনা করেছেন, তাঁর একা নামাযের সময় জামে' গ্রন্থকার মুসলিম হতে তদ্রূপ একা নামায পড়ার সময়ের কথা বলেছেন।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَة الثَّانِيَة استفتح الْقِرَاءَة ب «الْحَمد لله رب الْعَالمين» وَلَمْ يَسْكُتْ. هَكَذَا فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ. وَذَكَرَهُ الْحُمَيْدِيُّ فِي أَفْرَادِهِ وَكَذَا صَاحِبُ الْجَامِعِ عَنْ مُسلم وَحده
tahqiq

তাহকীক: