মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ৯২২
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২২। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করলে আল্লাহ পাক তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন। তার দশটি গুনাহ মাফ করা হবে এবং দশটি স্তর উপরে উঠিয়ে দেওয়া হবে। -নাসায়ী
كتاب الصلاة
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২৩
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৩। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতে আমার অধিক নিকটবর্তী সে-ই হবে, যে আমার উপর বেশী দরূদ পাঠ করবে। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২৪
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৪। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাকের কিছুসংখ্যক ফিরিশতা আছেন যারা দুনিয়ায় ভ্রমণ করে আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌঁছে দেয়। —নাসায়ী, দারেমী
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِيَ السَّلَامَ» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ والدارمي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২৫
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কেউ আমার উপর সালাম প্রেরণ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক আমার রূহ আমার নিকট ফিরিয়ে দেন। যাতে আমি তার সালামের জবাব দিতে পারি। -আবু দাউদ, বায়হাকী, দাওয়াতে কবীরে
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلَّا رَدَّ اللَّهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২৬
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা নিজেদের ঘরকে কবরস্থানে পরিণত করো না এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থান বানিও না। তোমরা আমার প্রতি দরূদ পাঠ করবে। নিশ্চয় তোমাদের দরূদ আমার প্রতি পৌঁছবে। তোমরা যেখানেই থাক না কেন। -নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلَاتكُمْ تبلغني حَيْثُ كُنْتُم» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২৭
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সে অপমানিত হউক, যার নিকট আমার নামোচ্চারণ করলে সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে না। অপমানিত হউক সে, যার নিকট রমজান মাস এসে তারা গুনাহ মাফের ব্যবস্থা ছাড়াই চলে যায় এবং অপমানিত হউক সে, যার নিকট তার পিতামাতা উভয় কিংবা তাদের একজন বার্ধক্যে উপনীত অথচ তাকে পিতামাতা বেহেশতে পৌঁছায় না। (অর্থাৎ পিতামাতার খেদমত দ্বারা বেহেশত লাভের উপযোগী হয় না।) –তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكبر أَو أَحدهمَا فَلم يدْخلَاهُ الْجنَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৯২৮
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৮। হযরত আবু তালহা আনছারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট তাশরীফ আনলেন। তখন তার চেহারায় খুশীর নিদর্শন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তিনি বললেন, আমার নিকট জিবরাঈল এসে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! আপনার প্রভু বলছেন যে, এটা কি আপনার সন্তুষ্টি বিধান করবে না যে, আপনার যে কোন উম্মত আপনার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করলে নিশ্চয় আমি তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করব? এভাবে আপনার যে কোন উম্মত আপনার উপর একবার সালাম পাঠালে আমি তার প্রতি দশবার শান্তি বর্ষণ করব। -নাসায়ী, দারেমী
كتاب الصلاة
وَعَن أبي طَلْحَة أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ ذَاتَ يَوْمٍ وَالْبِشْرُ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ: إِنَّهُ جَاءَنِي جِبْرِيلُ فَقَالَ: إِنَّ رَبَّكَ يَقُولُ أَمَا يُرْضِيكَ يَا مُحَمَّدُ أَنْ لَا يُصَلِّيَ عَلَيْكَ أَحَدٌ مِنْ أُمَّتِكَ إِلَّا صَلَّيْتُ عَلَيْهِ عَشْرًا وَلَا يُسَلِّمُ عَلَيْكَ أَحَدٌ مِنْ أُمَّتِكَ إِلَّا سَلَّمْتُ عَلَيْهِ عَشْرًا؟ . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَالدَّارِمِيُّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯২৯
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯২৯। হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি একদা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! (আমি দোয়া এবং দরূদ পাঠের জন্য একটি সময় নির্দিষ্ট করেছি। সেই সময়) আমি আপনার উপর বহু দরূদ পাঠ করি। আপনি বলুন ঐ সময়ের কি পরিমাণ আপনার প্রতি দরূদ পাঠের জন্য নির্দিষ্ট করব? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা, যে পরিমাণ তুমি চাও। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ করব? তিনি বললেন, যা তোমার ইচ্ছা। তবে যদি আরও বেশী পরিমাণ কর তা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমি বললাম, তবে কি অর্ধেক করব? তিনি বললেন যা তোমার ইচ্ছা। তবে যদি আরও বেশী কর, তা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমি বললাম, তবে কি দুই-তৃতীয়াংশ করব? তিনি বললেন, যা তোমার ইচ্ছা। তবে যদি এটা অপেক্ষাও বেশী কর, তা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমি বললাম, তা হলে সম্পূর্ণটাই আপনার জন্য নির্দিষ্ট করব। তখন তিনি বললেন, তবে তোমার নেক উদ্দেশ্য পূর্ণ এবং সার্থক হবে এবং তোমার গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যাবে। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِي؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُعَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» . قُلْتُ: النِّصْفَ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» قُلْتُ: فَالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» قُلْتُ: أَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِي كُلَّهَا؟ قَالَ: «إِذا يكفى همك وَيكفر لَك ذَنْبك» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৯৩০
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯৩০। হযরত ফাজালাহ ইবনে উবাইদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপবিষ্টাবস্থায় ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামায পড়ল। তারপর মুনাজাত শুরু করে শুধু বলল, হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে দয়া কর। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন, হে নামাযী ব্যক্তি! দোয়ার মধ্যে খুবই তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে; বরং যখন তুমি নামায পড়ে দোয়া শুরু করবে, তখন প্রথমে আল্লাহর গুণগান করবে। যার যোগ্য তিনিই। তারপর আমার উপর দরূদ পড়বে। তারপর দোয়া করবে। ফাজালাহ বলেন, এরপর আর এক ব্যক্তি এসে নামায পড়ল। সে আল্লাহর গুণগান করতঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি দরূদ পড়ল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, হে নামাযী ব্যক্তি! আল্লাহর দরবারে কিছু প্রার্থনা কর, তা কবুল হবে। -তিরমিযী, আবু দাউদ
ইমাম নাসায়ী (রহ) ও অনুরূপ রেওয়ায়াত করেছেন।
كتاب الصلاة
وَعَن فضَالة بن عُبَيْدٍ قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَقَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَجِلْتَ أَيُّهَا الْمُصَلِّي إِذَا صَلَّيْتَ فَقَعَدْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَصَلِّ عَلَيَّ ثُمَّ ادْعُهُ» . قَالَ: ثُمَّ صَلَّى رَجُلٌ آخَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّهَا الْمُصَلِّي ادْعُ تُجَبْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ نَحوه
হাদীস নং: ৯৩১
- নামাযের অধ্যায়
১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯৩১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি নামায পড়ছিলাম। আর নবী পাক (ﷺ) নিকটে উপস্থিত ছিলেন। আবুবকর (রাযিঃ) এবং ওমর (রাযিঃ)ও সেখানে ছিলেন। আমি যখন দোয়া করতে শুরু করলাম প্রথমে আল্লাহ্ পাকের গুণগান করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করলাম, তারপর আমার নিজের জন্য দোয়া শুরু করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর। তোমার প্রার্থনা পূরণ করা হবে। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كُنْتُ أُصَلِّي وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ مَعَهُ فَلَمَّا جَلَسْتُ بَدَأْتُ بِالثَّنَاءِ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى ثُمَّ الصَّلَاةُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ دَعَوْتُ لِنَفْسِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَلْ تعطه سل تعطه» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক: