মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৯৮৯
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৮৯। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আবিসিনিয়া যাওয়ার পূর্বে আমরা নবী পাক (ﷺ)-কে তাঁর নামাযে থাকা অবস্থায় সালাম করতাম এবং তদবস্থায়ই তিনি তার জবাব দিতেন। অতঃপর যখন আমরা আবিসিনিয়া হতে ফিরে এলাম, তখন আমি তাঁকে নামাযের মধ্যে পেয়ে সালাম করলাম কিন্তু তিনি তার জবাব দিলেন না-যে পর্যন্ত নামায শেষ করলেন। তারপর বললেন, আল্লাহ্ তাঁর ইচ্ছানুযায়ী নতুন নির্দেশ দেন এবং নতুনভাবে কোন বস্তু নিষিদ্ধ করেন। এবার আল্লাহ্ পাক যে সকল নতুন হুকুম করেছেন তন্মধ্যে একটি হল, তোমরা নামাযের মধ্যে কথা বলবে না। এ কথা বলার পর তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন।
كتاب الصلاة
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ قَبْلَ أَنْ نَأْتِيَ أَرْضَ الْحَبَشَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ أَتَيْتُهُ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ حَتَّى إِذَا قَضَى صَلَاتَهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ ن وَإِن مِمَّا أحدث أَن لَا تتكلموا فِي الصَّلَاة» . فَرد عَليّ السَّلَام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯০
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯০। তারপর বললেন, নামায শুধু কুরআন তিলাওয়াত এবং শুধু আল্লাহর যিকিরের জন্যই; সুতরাং নামাযে থাকা অবস্থায় তোমার কাজ যেন শুধু এটাই হয়। —আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَقَالَ: «إِنَّمَا الصَّلَاةُ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللَّهِ فَإِذا كنت فِيهَا ليكن ذَلِك شَأْنك» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯১
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি হযরত বেলাল (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, (পূর্বে তারা যখন নামাযে রত থাকা অবস্থায় নবী পাক (ﷺ)-কে সালাম করতেন তিনি তখন কিভাবে তাদের জবাব দিতেন? বেলাল (রাযিঃ) বললেন, তিনি (ﷺ) হাতদ্বারা ইশারা করতেন। -তিরমিযী
নাসায়ী (রহ)-ও এরূপ একটি হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন; কিন্তু তাতে বেলাল (রাযিঃ)-এর স্থলে হযরত ছুহাইবকে জিজ্ঞেস করার কথা রয়েছে।
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قُلْتُ لِبِلَالٍ: كَيْفَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرُدُّ عَلَيْهِم حِين حانوا يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ؟ قَالَ: كَانَ يُشِيرُ بِيَدِهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَةِ النَّسَائِيِّ نَحوه وَعوض بِلَال صُهَيْب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯২
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯২। হযরত রিফাআ ইবনে রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পেছনে নামায পড়ছিলাম। হঠাৎ আমার হাঁচি এলে আমি বললাম, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর । পবিত্র প্রশংসা, কল্যাণময় প্রশংসা, যে প্রশংসাকে আমাদের প্রভু ভালবাসেন এবং পছন্দ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে জিজ্ঞেস করলেন, নামাযের মধ্যে এই কথাগুলো কে বলল? কেউ কোন জবাব দিল না। তিনি দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু এবারও কেউ কোন জবাব দিল না। তখন তিনি তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করলেন। রিফাআ বলেন, তখন আমি (ভয়ে) ভীতভাবে জবাব দিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললাম, আল্লাহর কসম! আমি দেখেছি, ত্রিশজনের অধিক ফিরিশতা এটা নিয়ে উপরে উঠার জন্য তাড়াহুড়া করছে। -তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَن رِفَاعَة بن رَافع قَالَ: صليت خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَطَسْتُ فَقلت الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ فَقَالَ: «مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلَاةِ؟» فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ فَقَالَ رِفَاعَةُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا بِضْعَةٌ وَثَلَاثُونَ مَلَكًا أَيُّهُمْ يَصْعَدُ بِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯৩
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নামাযের মধ্যে হাই আসে শয়তানের তরফ হতে; সুতরাং তোমাদের কারো হাই এলে সে যেন তা রোধ করতে সাধ্যানুরূপ চেষ্টা করে। -তিরমিযী
তিরমিযী এবং ইবনে মাজাহ অপর বর্ণনায় রয়েছে, সে যেন তার হাত মুখের উপর রাখে।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّثَاؤُبُ فِي الصَّلَاةِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَفِي أُخْرَى لَهُ وَلِابْنِ مَاجَهْ: «فَلْيَضَعْ يَدَهُ على فِيهِ»
হাদীস নং: ৯৯৪
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৪। হযরত কা'ব ইবনে উজরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ অজু করে এবং উত্তমরূপে অজু সম্পন্ন করে, তারপর নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে যেতে থাকে, তখন সে যেন তার এক হাতের অঙ্গুলি অন্য হাতের অঙ্গুলির মধ্যে প্রবেশ না করায়। কেননা সে তখন নামাযের মধ্যেই থাকে। —আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও দারেমী
كتاب الصلاة
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الْمَسْجِدِ فَلَا يُشَبِّكَنَّ بَيْنَ أَصَابِعِهِ فَإِنَّهُ فِي الصَّلَاة» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ والدارمي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯৫
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৫। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ্ পাক তাঁর বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন-যখন পর্যন্ত বান্দা নামাযে লিপ্ত থাকে এবং এদিক ওদিক না তাকায়। যখন সে এদিক সেদিক তাকাতে থাকে তখন আল্লাহ্ পাক তাঁর নজর ফিরিয়ে নেন।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَزَالُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُقْبِلًا عَلَى الْعَبْدِ وَهُوَ فِي صَلَاتِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ فَإِذَا الْتَفَتَ انْصَرَفَ عَنْهُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَالدَّارِمِيُّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯৬
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৬। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হে আনাস! তোমার দৃষ্টিকে তথায় নিবদ্ধ রাখবে যথায় তুমি সিজদাহ কর। -বায়হাকী
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا أَنَسُ اجْعَلْ بَصَرَكَ حَيْثُ تَسْجُدُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي سُنَنِهِ الْكَبِيرِ مِنْ طَرِيق الْحسن عَن أنس يرفعهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯৭
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৭। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নামাযের মধ্যে কখনও এদিক সেদিক তাকাবে না। এদিক সেদিক দেখা ধ্বংসের কারণ। তবে বিশেষ কোন কারণবশতঃ যদি তাকাতেই হয় তা হলে নফলে তাকাবে; ফরজ নামাযে নয়। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا بُنَيَّ إِيَّاكَ وَالِالْتِفَاتَ فِي الصَّلَاةِ فَإِنَّ الِالْتِفَاتَ فِي الصَّلَاةِ هَلَكَةٌ. فَإِنْ كَانَ لابد فَفِي التَّطَوُّع لَا فِي الْفَرْضِيَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯৮
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের মধ্যে ডানে বামে দেখতেন; কিন্তু ঘাড় পিঠের দিকে ঘুরিয়ে নিতেন না। -তিরমিযী, নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَلْحَظُ فِي الصَّلَاةِ يَمِينًا وَشِمَالًا وَلَا يَلْوِي عُنُقَهُ خَلْفَ ظَهْرِهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৯৯
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
৯৯৯। হযরত আদি ইবনে ছাবিত তার পিতার মাধ্যমে নিজ দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হাঁচি, তন্দ্রা এবং হাই তোলা নামাযের মধ্যে আর হায়েজ ও বমি এবং নাক হতে রক্ত পড়া শয়তানের তরফ হতে হয়ে থাকে (অর্থাৎ শয়তান এতে সহায়তা করে এবং আনন্দ লাভ করে)। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَفَعَهُ قَالَ: «الْعُطَاسُ وَالنُّعَاسُ وَالتَّثَاؤُبُ فِي الصَّلَاةِ وَالْحَيْضُ وَالْقَيْءُ وَالرُّعَافُ مِنَ الشَّيْطَانِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ১০০০
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০০। হযরত মুতাররিফ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গমন করলাম। তিনি তখন নামায পড়ছিলেন। আর তাঁর পেটের মধ্যে পাতিলে টগবগ করে ফোটার ন্যায় শব্দ হচ্ছিল। (অর্থাৎ তিনি কাঁদছিলেন)। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, আমি নবী পাক (ﷺ)-কে নামায পড়তে দেখলাম। তখন তাঁর বুকের মধ্যে ক্রন্দনের কারণে যাঁতা পেষণের ন্যায় শব্দ হচ্ছিল। -আহমদ
এছাড়া পৃথকভাবে নাসায়ী প্রথমটি এবং আবু দাউদ দ্বিতীয়টি বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصلاة
وَعَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي وَلِجَوْفِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الْمِرْجَلِ يَعْنِي: يَبْكِي

وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَفِي صَدْرِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ الرَّحَا مِنَ الْبُكَاءِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَرَوَى النَّسَائِيُّ الرِّوَايَةَ الْأُولَى وَأَبُو دَاوُدَ الثَّانِيَة
হাদীস নং: ১০০১
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০১। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ায় সে যেন তার সামনের কঙ্কর তুলে ফেলার চেষ্টা না করে। কেননা তখন আল্লাহর রহমত তার সম্মুখে থাকে। -আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَا يَمْسَحِ الْحَصَى فَإِنَّ الرَّحْمَةَ تُوَاجِهُهُ» . رَوَاهُ أَحَمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০২
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০২। (উম্মুল মু'মিনীন) হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) আফলাহ নামক আমাদের একটি যুবক ক্রীতদাসকে দেখলেন, সে যখন সিজদাহ করতে যায় সামনের ধুলাবালুকায় ফুঁ দেয়। তখন নবী পাক (ﷺ) বললেন, হে আফলাহ! তোমার মুখমণ্ডলে ধুলাবালু লাগতে দাও। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَن أم سَلمَة قَالَتْ: رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُلَامًا لَنَا يُقَالُ لَهُ: أَفْلَحُ إِذَا سَجَدَ نَفَخَ فَقَالَ: «يَا أَفْلَحُ تَرِّبْ وَجْهَكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০৩
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০৩। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নামাযের মধ্যে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ানো দোযখীদের শান্তিলাভের চেষ্টা সদৃশ। -শরহে সুন্নাহ
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الِاخْتِصَارُ فِي الصَّلَاةِ رَاحَةُ أَهْلِ النَّارِ» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০৪
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দুই কাল শত্রুকে নামাযের মধ্যেও মারতে পার। এক হল সাপ দ্বিতীয় বিচ্ছু। -আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী এবং নাসায়ী অনুরূপ অর্থে।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اقْتُلُوا الْأَسْوَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ الْحَيَّةَ وَالْعَقْرَبَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَلِلنَّسَائِيِّ مَعْنَاهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০৫
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০৫। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নফল নামায পড়ছিলেন, আর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। আমি এসে দরজা খুলতে বললাম। তখন তিনি একটু হেঁটে এসে আমার জন্য দরজা খুলে দিলেন। অতঃপর নিজ নামাযের স্থানে ফিরে গেলেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, দরজাটি অবশ্য কিবলার দিকে ছিল। —আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي تَطَوُّعًا وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ فَجِئْتُ فَاسْتَفْتَحْتُ فَمَشَى فَفَتَحَ لِي ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مُصَلَّاهُ وَذَكَرْتُ أَنَّ الْبَابَ كَانَ فِي الْقِبْلَةِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وروى النَّسَائِيّ نَحوه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০৬
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০৬। হযরত তালক ইবনে আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কারো নামাযের মধ্যে বায়ু নিঃসরণ হয় তখন সে যেন বের হয়ে অজু করে নেয়। তারপর নামায পুনরায় পড়ে। —আবু দাউদ, তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا فَسَا أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُعِدِ الصَّلَاةَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى التِّرْمِذِيّ مَعَ زِيَادَة ونقصان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০৭
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০৭। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে বায়ু নিঃসরণ করবে তখন সে যেন নিজ নাক ধরে বের হয়ে যায়। —আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أحدث أدكم فِي صَلَاتِهِ فَلْيَأْخُذْ بِأَنْفِهِ ثُمَّ لِيَنْصَرِفْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০০৮
- নামাযের অধ্যায়
১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়েয ও যে সব কাজ করা জায়েয
১০০৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ তার নামাযের শেষভাগে সালামের পূর্বক্ষণে বসা অবস্থায় হাওয়া ছেড়ে দেয়া, তবে তার নামায হয়ে যাবে। হাদীসটি তিরমিযী (রহ) বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন যে এর সনদ মজবুত নয়; বরং দুর্বল।
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أحدث أدكم وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلَاتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلَاتُهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ وَقَدِ اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَاده
tahqiq

তাহকীক: