মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ১১৩৮
- নামাযের অধ্যায়
২৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মোকতাদীর কর্তব্য ও মসবুকের করণীয়
১১৩৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমরা ইমামের আগে যাইও না। ইমাম যখন 'তকবীর' বলিবেন তোমরা (মনে মনে) তকবীর' বলিবে, ইমাম যখন 'ওয়ালাদ্দারীন বলিবেল, তোমরা (মনে মনে) 'আমীন' বলিবে, ইমাম যখন রুকু করিবে তোমরা সাথে সাথে রুকু করিবে এবং ইমাম যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' বলিবেন, তোমরা সাথে সাথে বলিবে, 'আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ।' —মোত্তাঃ; কিন্তু বোখারী যখন বলিবে ওয়ালাদ্দাল্লীন' শব্দ উল্লেখ করেন নাই।
كتاب الصلاة
بَابُ مَا عَلَى الْمَأْمُومِ مِنَ الْمُتَابَعَةِ وَحُكْمِ الْمَسْبُوْقِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُبَادِرُوا الْإِمَامَ إِذَا كَبَّرَ فكبروا وَإِذا قَالَ: وَلَا الضَّالّين. فَقُولُوا: آمِينَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَك الْحَمد إِلَّا أَنَّ الْبُخَارِيَّ لَمْ يَذْكُرْ: وَإِذَا قَالَ: وَلَا الضَّالّين
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৩৯
- নামাযের অধ্যায়
২৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মোকতাদীর কর্তব্য ও মসবুকের করণীয়
১১৩৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদ ঘোড়ায় সওয়ার হইলেন এবং তথা হইতে পড়িয়া গেলেন, যাহাতে তাহার ডান পার্শ্ব আহত হইল। অতঃপর তিনি (ফরয) নামাযসমূহের একটি নামায় বসিয়া পড়িলেন, আর আমরাও তাহার পিছনে বসিয়াই পড়িলাম। যখন তিনি সালাম ফিরাইলেন, বলিলেন: ইমাম এ জন্যই করা হয়, যাহাতে তাহার অনুসরণ করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাড়াইয়া নামায পড়িবেন, তোমরাও দাড়াইয়া পড়িবে এবং ইমাম যখন রুকু করিবেন তোমরাও সাথে সাথে রুকু করিবে। ইমাম যখন মাথা উঠাইবেন তোমরাও সাথে সাথে মাথা উঠাইবে। আর ইমাম যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' বলিবেন, তখন (কিন্তু) তোমরা বলিবে, 'রাব্বানা লাকাল হামদ' এবং ইমাম যখন বসিয়া নামায পড়িবেন তোমরাও সকলে বসিয়াই পড়িবে।
(বোখারী বলেন, আমার শায়খ) হুমাইদী বলিয়াছেন, হুযুরের বাণী- 'ইমান যখন বসিয়া পড়িবেন তোমরাও বসিয়াই পড়িবে ইহা তাহার পূর্ব রোগকালীন বাণী। অতঃপর নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়া নামায পড়িয়াছেন আর লোক তাহার পিছনে দাড়াইয়াই পড়িয়াছেন, অথচ তিনি তাহাদিগকে বসিয়া পড়িতে নির্দেশ দেন নাই। নিয়ম হইল এই যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর পর কার্যসমূহের শেষেরটিরই অনুসরণ করিতে হয়। (সুতরাং এখানেও দাঁড়াইয়া পড়ারই অনুসরণ করিতে হইবে।)
ইহা বোখারীর বর্ণনা। ইমাম মুসলিম 'সকলে বসিয়া পড়িবে শব্দ পর্যন্ত তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু অপর এক বর্ণনা অনুসারে তিনি শেষের দিকে এই বাক্যটি বাড়াইয়া বলিয়াছেন, (অতঃপর হুযুর বলিয়াছেন,) "আর ইমামের বিরুদ্ধাচরণ করিবে না এবং যখন ইমাম সিজদা করেন তোমরাও সিজদা করিবে।"
(বোখারী বলেন, আমার শায়খ) হুমাইদী বলিয়াছেন, হুযুরের বাণী- 'ইমান যখন বসিয়া পড়িবেন তোমরাও বসিয়াই পড়িবে ইহা তাহার পূর্ব রোগকালীন বাণী। অতঃপর নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়া নামায পড়িয়াছেন আর লোক তাহার পিছনে দাড়াইয়াই পড়িয়াছেন, অথচ তিনি তাহাদিগকে বসিয়া পড়িতে নির্দেশ দেন নাই। নিয়ম হইল এই যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর পর কার্যসমূহের শেষেরটিরই অনুসরণ করিতে হয়। (সুতরাং এখানেও দাঁড়াইয়া পড়ারই অনুসরণ করিতে হইবে।)
ইহা বোখারীর বর্ণনা। ইমাম মুসলিম 'সকলে বসিয়া পড়িবে শব্দ পর্যন্ত তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু অপর এক বর্ণনা অনুসারে তিনি শেষের দিকে এই বাক্যটি বাড়াইয়া বলিয়াছেন, (অতঃপর হুযুর বলিয়াছেন,) "আর ইমামের বিরুদ্ধাচরণ করিবে না এবং যখন ইমাম সিজদা করেন তোমরাও সিজদা করিবে।"
كتاب الصلاة
بَابُ مَا عَلَى الْمَأْمُومِ مِنَ الْمُتَابَعَةِ وَحُكْمِ الْمَسْبُوْقِ
وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الْأَيْمَنُ فَصَلَّى صَلَاةً مِنَ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا صَلَّى قَائِما فصلوا قيَاما فَإِذا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبنَا وَلَك الْحَمد وَإِذا صلى قَائِما فصلوا قيَاما وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ»
قَالَ الْحُمَيْدِيُّ: قَوْلُهُ: «إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا» هُوَ فِي مَرَضِهِ الْقَدِيمِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامٌ لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْقُعُودِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْآخِرِ فَالْآخِرِ مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَاتَّفَقَ مُسْلِمٌ إِلَى أَجْمَعُونَ. وَزَادَ فِي رِوَايَةٍ: «فَلَا تختلفوا عَلَيْهِ وَإِذا سجد فاسجدوا»
قَالَ الْحُمَيْدِيُّ: قَوْلُهُ: «إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا» هُوَ فِي مَرَضِهِ الْقَدِيمِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامٌ لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْقُعُودِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْآخِرِ فَالْآخِرِ مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَاتَّفَقَ مُسْلِمٌ إِلَى أَجْمَعُونَ. وَزَادَ فِي رِوَايَةٍ: «فَلَا تختلفوا عَلَيْهِ وَإِذا سجد فاسجدوا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪০
- নামাযের অধ্যায়
২৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মোকতাদীর কর্তব্য ও মসবুকের করণীয়
১১৪০। হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, (এন্তেকালের পূর্বে) যখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোগ বাড়িয়া গেল, একবার বেলাল তাহাকে নামাযের সংবাদ দিতে আসিল। হুযুর বলিলেন : আবু বকরকে বল মানুষের নামায পড়াইয়া দিতে। সুতরাং আবু বকর সে কয়দিনের নামায পড়াইলেন। অতঃপর একদিন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছুটা উপশম বোধ করিলেন এবং দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়া মাটিতে পা হেঁচড়াইতে হেঁচড়াইতে মসজিদে প্রবেশ করিলেন। যখন হযরত আবু বকর হুযুরের পদধ্বনি শুনিতে পাইলেন, নিজে পিছনে সরিতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহাকে না সরিতেই ইঙ্গিত করিলেন। অতঃপর তিনি অগ্রসর হইয়া আবু বকরের বাম দিকে বসিয়া গেলেন। তখন হযরত আবু বকর দাঁড়াইয়া নামায পড়িতে লাগিলেন আর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়া (ইমামরূপে) নামায পড়িতে রহিলেন। (অর্থাৎ) হযরত আবু বকর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামাযের একতেদা করিলেন এবং লোক আবু বকরের নামাযের অনুসরণ করিল। —মোত্তাঃ
বোখারী ও মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, হযরত আবু বকর (মোকাব্বের হইয়া) লোক দিগকে (হুযূরের) তকবীর শুনাইতে লাগিলেন।
বোখারী ও মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, হযরত আবু বকর (মোকাব্বের হইয়া) লোক দিগকে (হুযূরের) তকবীর শুনাইতে লাগিলেন।
كتاب الصلاة
بَابُ مَا عَلَى الْمَأْمُومِ مِنَ الْمُتَابَعَةِ وَحُكْمِ الْمَسْبُوْقِ
وَعَن عَائِشَة قَالَتْ: لَمَّا ثَقُلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ بِلَال يوذنه لصَلَاة فَقَالَ: «مُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ» فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ تِلْكَ الْأَيَّامَ ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ خِفَّةً فَقَامَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلَاهُ يخطان فِي الْأَرْضِ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو بكر حسه ذهب أخر فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَن لَا يتَأَخَّر فجَاء حَتَّى يجلس عَن يسَار أبي بكر فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي قَاعِدًا يَقْتَدِي أَبُو بَكْرٍ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ مقتدون بِصَلَاة أبي بكر
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: يُسْمِعُ أَبُو بَكْرٍ النَّاسَ التَّكْبِير
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: يُسْمِعُ أَبُو بَكْرٍ النَّاسَ التَّكْبِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪১
- নামাযের অধ্যায়
২৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মোকতাদীর কর্তব্য ও মসবুকের করণীয়
১১৪১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ইমামের পূর্বে মাথা উঠায় সে কি ভয় করে না যে, তাহার মাথাকে আল্লাহ্ তা'আলা গাধার মাথায় রূপান্তর করিয়া দিবেন। –মোত্তাঃ
كتاب الصلاة
بَابُ مَا عَلَى الْمَأْمُومِ مِنَ الْمُتَابَعَةِ وَحُكْمِ الْمَسْبُوْقِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَا يَخْشَى الَّذِي يَرْفَعُ رَأْسَهُ قَبْلَ الْإِمَامِ أَنْ يُحَوِّلَ اللَّهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حمَار»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১১৪২
- নামাযের অধ্যায়
২৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মোকতাদীর কর্তব্য ও মসবুকের করণীয়
১১৪২। হযরত আলী ও মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ নামাযে উপস্থিত হইবে, তখন ইমাম যে অবস্থায় যাহা করিতে থাকিবে সেও যেন তাহাই করে। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب الصلاة
عَنْ عَلِيٍّ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ الصَّلَاةَ وَالْإِمَامُ عَلَى حَالٍ فَلْيَصْنَعْ كَمَا يَصْنَعُ الْإِمَامُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
তাহকীক: