মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ১৩০২
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০২। হযরত সায়েব ইবনে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) সাহাবী উবাই ইবনে কা'ব ও তামীম দারীকে রমযান মাসে লোকদিগকে এগার রাকআত নামায পড়াইতে নির্দেশ দিয়াছিলেন। অতঃপর ইমাম একশত আয়াতের অধিক আয়াত সম্বলিত (বড় বড়) সূরাসমূহ পড়িতে থাকেন, যাহাতে আমরা দীর্ঘ সময় দাঁড়ানোর দরুন (ক্লান্ত হইয়া) ছড়িতে ভর দিতে বাধ্য হই। তখন আমরা ফজরের কাছাকাছি সময় ব্যতীত নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিতে পারিতাম না। — মালেক
كتاب الصلاة
وَعَن السَّائِب بن يزِيد قَالَ: أَمَرَ عُمَرُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَقُومَا لِلنَّاسِ فِي رَمَضَانَ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً فَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ بِالْمِئِينَ حَتَّى كُنَّا نَعْتَمِدُ عَلَى الْعَصَا مِنْ طُولِ الْقِيَامِ فَمَا كُنَّا نَنْصَرِفُ إِلَّا فِي فُرُوعِ الْفَجْرِ. رَوَاهُ مَالك
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০৩
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৩। তাবেয়ী হযরত আ'রাজ (রঃ) বলেন, আমরা লোকদিগকে (সাহাবীদিগকে) এইরূপই দেখিয়াছি, তাঁহারা রমযান মাসে (কুনূতে) কাফেরদিগকে অভিসম্পাত করিতেন এবং আরও দেখিয়াছি, ইমাম আট রাকআতে পূর্ণ সূরা বাকারা পড়িতেন। যখন ইমাম বার রাকআতে উহা পড়িতেন লোক মনে করিত যে, তিনি নামাযকে অনেক সংক্ষেপ করিলেন। —মালেক
كتاب الصلاة
وَعَن الْأَعْرَج قَالَ: مَا أَدْرَكْنَا النَّاسَ إِلَّا وَهُمْ يَلْعَنُونَ الْكَفَرَةَ فِي رَمَضَانَ قَالَ: وَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فِي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَإِذَا قَامَ بِهَا فِي ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً رَأَى النَّاسُ أَنه قد خفف. رَوَاهُ مَالك
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০৪
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু বকর বলেন, আমি, সাহাবী উবাই ইবনে কা'বকে বলিতে শুনিয়াছি, আমরা রমযান মাসে নামায হইতে ফিরিতাম, আর সেহরী ফউত হইয়া যাইবার আশংকায় খাদেমদিগকে তাড়াতাড়ি খানা প্রস্তুতের জন্য তাকীদ করিতাম। অপর বর্ণনায় আছে, ভোর হইয়া যাওয়ার আশংকায়। —মালেক
كتاب الصلاة
وَعَن عبد الله
بن أبي بكر قَالَ: سَمِعت أبي يَقُولُ: كُنَّا نَنْصَرِفُ فِي رَمَضَانَ مِنَ الْقِيَامِ فَنَسْتَعْجِلُ الْخَدَمَ بِالطَّعَامِ مَخَافَةَ فَوْتِ السَّحُورِ. وَفِي أُخْرَى مَخَافَة الْفجْر. رَوَاهُ مَالك
بن أبي بكر قَالَ: سَمِعت أبي يَقُولُ: كُنَّا نَنْصَرِفُ فِي رَمَضَانَ مِنَ الْقِيَامِ فَنَسْتَعْجِلُ الْخَدَمَ بِالطَّعَامِ مَخَافَةَ فَوْتِ السَّحُورِ. وَفِي أُخْرَى مَخَافَة الْفجْر. رَوَاهُ مَالك
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০৫
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, (আয়েশা!) তুমি জান কি এ রাত্রিতে অর্থাৎ, শবে বরাতের রাতে কি কি ঘটে? তিনি বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহাতে কি ঘটে? হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ উহাতে নির্ধারিত হয় এই বৎসর মানুষের যত সন্তান জন্মিবে। উহাতে নির্ধারিত হয় এই বৎসর মানুষের মধ্যে যাহারা মরিবে। উহাতে উঠান হয় মানুষের কর্মসমূহ এবং উহাতে অবতীর্ণ করা হয় মানুষের রিযিকসমূহ। অতঃপর হযরত আয়েশা (রাঃ) হুযুরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন ব্যক্তি কি বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না আল্লাহ্ তা'আলার রহমত ব্যতীত (আমল দ্বারা)? হুযূর (ﷺ) তিনবার করিয়া বলিলেন, কোন ব্যক্তিই বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না আল্লাহ্ তা'আলার রহমত ব্যতীত। আয়েশা বলেন, তখন আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনিও নহে ইয়া রাসূলাল্লাহ্? তখন তিনি আপন মাথার উপর হাত রাখিয়া বলিলেন, আমিও না; কিন্তু যদি আল্লাহ্ তা'আলা আপন রহমত দ্বারা আমায় ঢাকিয়া লন—ইহা তিনি তিনবার বলিলেন। —বায়হাকী দাওয়াতে কবীরে
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَل تدرين مَا هَذِه اللَّيْل؟» يَعْنِي لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ قَالَتْ: مَا فِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ: «فِيهَا أَنْ يُكْتَبَ كلُّ مَوْلُودٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَفِيهَا أَنْ يُكْتَبَ كُلُّ هَالِكٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَفِيهَا تُرْفَعُ أَعْمَالُهُمْ وَفِيهَا تَنْزِلُ أَرْزَاقُهُمْ» . فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا بِرَحْمَةِ اللَّهِ تَعَالَى؟ فَقَالَ: «مَا مِنْ أحد يدْخل الْجنَّة إِلَّا برحمة الله تَعَالَى» . ثَلَاثًا. قُلْتُ: وَلَا أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى هَامَتِهِ فَقَالَ: «وَلَا أَنَا إِلَّا أَنْ يَتَغَمَّدَنِيَ اللَّهُ بِرَحْمَتِهِ» . يَقُولُهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعْوَات الْكَبِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০৬
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৬। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন—রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ অর্ধ শা'বানের রাত্রিতে (শবে বরাতে) আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ হন এবং মাফ করিয়া দেন তাঁহার সকল সৃষ্টিকে — মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ব্যতীত। — ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০৭
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৭। কিন্তু ইমাম আহমদ ইহাকে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। আর তাহার এক রেওয়ায়তে রহিয়াছে, দুই ব্যক্তি ব্যতীত—বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ও মানুষ হত্যাকারী ব্যক্তি।
كتاب الصلاة
وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَفِي رِوَايَته: «إِلَّا اثْنَيْنِ مُشَاحِن وَقَاتل نفس»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩০৮
- নামাযের অধ্যায়
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০৮। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন অর্ধ শা'বান আসিবে, উহার রাত্রিতে তোমরা নামায পড়িবে এবং উহার দিনে তোমরা রোযা রাখিবে। কেননা, উহাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথেই আল্লাহ্ তা'আলা এই নিকটতম আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলিতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি—যাহাকে আমি ক্ষমা করিয়া দেই, কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি—যাহাকে আমি রিযিক দেই এবং কোন বিপন্ন ব্যক্তি (সাহায্যপ্রার্থী) আছ কি—যাহাকে আমি বিপদ মুক্ত করি। এভাবে আরও আরও ব্যক্তিকে ডাকেন যাবৎ না ফজর হয়। — ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ: أَلَا مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ؟ أَلَا مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ؟ أَلَا مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ؟ أَلَا كَذَا أَلَا كَذَا حَتَّى يطلع الْفجْر . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক: