মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
হাদীস নং: ১৫৪৬
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৪৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : শহীদ পাঁচ ব্যক্তি- (১) যে মহামারীতে মারা গিয়াছে, (২) যে পেটের অসুখে মারা গিয়াছে, (৩) যে পানিতে ডুবিয়া মারা গিয়াছে, (৪) যে দেওয়াল চাপা পড়িয়া মারা গিয়াছে এবং (৫) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে মারা গিয়াছে। — মোত্তাঃ
كتاب الجنائز
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الشُّهَدَاءُ خَمْسَةٌ الْمَطْعُونُ وَالْمَبْطُونُ وَالْغَرِيقُ وَصَاحب الْهدم والشهيد فِي سَبِيل الله»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৭
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৪৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলাম। তখন হুযুর আমাকে বলিলেন উহা হইল শাস্তি। আল্লাহ্ যাহার প্রতি ইচ্ছা করেন উহা প্রেরণ করেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা মু'মিনদের জন্য উহাকে রহমতস্বরূপ করিয়াছেন। যে কোন ব্যক্তি মহামারী প্রপীড়িত অঞ্চলে সওয়াবের নিয়তে সবর করে এবং বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্ যাহা তাহার জন্য নির্ধারণ করিয়াছেন তাহা ছাড়া তাহার প্রতি কিছুই বর্তাইবে না, তাহার জন্য শহীদের অনুরূপ সওয়াব রহিয়াছে। বুখারী
كتاب الجنائز
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الطَّاعُونِ فَأَخْبَرَنِي: «أَنَّهُ عَذَابٌ يَبْعَثُهُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَأَنَّ اللَّهَ جَعَلَهُ رَحْمَةً لِلْمُؤْمِنِينَ لَيْسَ مِنْ أَحَدٍ يَقَعُ الطَّاعُونُ فَيَمْكُثُ فِي بَلَدِهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا يَعْلَمُ أَنَّهُ لَا يُصِيبُهُ إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ شَهِيدٍ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৮
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৪৮। হযরত উসামা ইবনে যায়দ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: 'তাউন' হইল আযাববিশেষ, যাহা বনী ইসরাঈলের কোন একটি দলের প্রতি প্রেরিত হইয়াছিল অথবা (তিনি বলিয়াছেন,) তোমাদের পূর্বে যাহারা ছিল তাহাদের প্রতি প্রেরিত হইয়াছিল। অতএব, তোমরা যখন কোন স্থানে উহা আরম্ভ হইয়াছে বলিয়া শুনিবে, তথায় যাইবে না। কিন্তু যখন কোন স্থানে উহা আরম্ভ হয়, আর তোমরা তথায় থাক, তখন পলায়নের উদ্দেশ্যে তথা হইতে বাহিরও হইবে না। — মোড়াঃ
كتاب الجنائز
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الطَّاعُونُ رِجْزٌ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৯
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৪৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: আমি যখন আমার কোন বন্দাকে তাহার দুইটি প্রিয় বস্তু সম্পর্কে বিপদগ্রস্ত করি, আর সে উহাতে সবর করে, আমি তাহাকে উহাদের পরিবর্তে জান্নাত দান করিব। প্রিয় বস্তুদ্বয় অর্থে তিনি চক্ষুদ্বয়কেই বুঝাইয়াছেন। —বুখারী
كتاب الجنائز
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَن أَنَسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى: إِذَا ابْتَلَيْتُ عَبْدِي بِحَبِيبَتَيْهِ ثُمَّ صَبَرَ عَوَّضْتُهُ مِنْهُمَا الْجنَّة يُرِيد عَيْنَيْهِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫০
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫০। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে কোন মুসলমান সকাল বেলায় কোন মুসলমানকে দেখিতে যায়, তাহার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা দো'আ করিতে থাকে, যাবৎ না সন্ধ্যা হয়। যদি সে তাহাকে দেখিতে যায় সন্ধ্যা বেলায়, তাহার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা দোআ করিতে থাকে, যাবৎ না সকাল হয় এবং তাহার জন্য বেহেশতে একটি বাগান তৈয়ার হয়। – তিরমিযী ও আবু দাউদ
كتاب الجنائز
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا غُدْوَةً إِلَّا صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫১
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫১। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) একবার আমাকে দেখিতে আসিলেন আমার চোখের বেদনায় । –তিরমিযি ও আবু দাউদ
كتاب الجنائز
وَعَن زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ قَالَ: عَادَنِي النَّبِيُّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم من وجع كَانَ يُصِيبنِي. رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫২
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে উত্তমরূপে ওযূ করিয়া সওয়াবের উদ্দেশ্যে তাহার কোন মুসলমান ভাইকে দেখিতে যাইবে, তাহাকে জাহান্নাম হইতে ষাট বৎসরের পথ দূরে রাখা হইবে। –আবু দাউদ
كتاب الجنائز
وَعَنْ أَنَسٍ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ وَعَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ مُحْتَسِبًا بُوعِدَ مِنْ جَهَنَّمَ مسيرَة سِتِّينَ خَرِيفًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৩
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান কোন মুসলমানকে দেখিতে যায় এবং সাতবার বলে, “আমি মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করিতেছি, যিনি মহান আরশের অধিকারী, তিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন।" ইহাতে তাহাকে নিশ্চয় আরোগ্য দান করা হয়, যদি না তাহার অন্তিম কাল উপস্থিত হয়। – আবু দাউদ ও তিরমিযী
كتاب الجنائز
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا فَيَقُولُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ إِلَّا شُفِيَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ قَدْ حَضَرَ أَجَلُهُ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৪
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) তাহাদিগকে জ্বর এবং যাবতীয় বেদনার জন্য এইরূপ বলিতে শিক্ষা দিয়াছেন—“মহান আল্লাহর নামে — মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাহিতেছি সমস্ত রক্তপূর্ণ শিরার অপকার হইতে এবং দোযখের উত্তাপের অপকার হইতে।" — তিরমিযী
তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব। ইবরাহীম ইবনে ইসমাঈল ব্যতীত ইহা কেহ বর্ণনা করেন নাই, অথচ ইবরাহীম হইলেন 'যঈফ' রাবী।
তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব। ইবরাহীম ইবনে ইসমাঈল ব্যতীত ইহা কেহ বর্ণনা করেন নাই, অথচ ইবরাহীম হইলেন 'যঈফ' রাবী।
كتاب الجنائز
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ يعلمهُمْ من الْحمى وم الأوجاع كلهَا أَن يَقُولُوا: «بِسم الله الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عرق نعار وَمن شَرّ حر النَّارِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا يُعْرَفُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ يضعف فِي الحَدِيث
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৫
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৫। হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তোমাদের মধ্যে কেহ যখন কোন বেদনা অনুভব করে অথবা তাহার কোন মুসলমান ভাই তাহার নিকট বেদনার অভিযোগ করে, তখন সে যেন বলে, “আমাদের রব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রবু! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ হইতে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ হইতে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি,” ইহাতে তাহার বেদনা সারিয়া যাইবে। –আবু দাউদ
كتاب الجنائز
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنِ اشْتَكَى مِنْكُمْ شَيْئًا أَوِ اشْتَكَاهُ أَخٌ لَهُ فَلْيَقُلْ: رَبُّنَا اللَّهُ الَّذِي فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اسْمُكَ أَمرك فِي السَّمَاء وَالْأَرْض كَمَا أَن رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحْمَتَكَ فِي الْأَرْضِ اغْفِرْ لَنَا حُوبَنَا وَخَطَايَانَا أَنْتَ رَبُّ الطَّيِبِينَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِنْ شِفَائِكَ عَلَى هَذَا الْوَجَعِ. فَيَبْرَأُ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৬
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন কেহ কোন পীড়িতকে দেখিতে যায়, তখন সে যেন বলে, “হে আল্লাহ্! তোমার বন্দাকে আরোগ্য দান কর, যাহাতে সে তোমার উদ্দেশ্যে শত্রুকে আঘাত হানিতে পারে অথবা তোমার সন্তুষ্টির জন্য জানাযায় যাইতে পারে।” –আবু দাউদ
كتاب الجنائز
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا جَاءَ الرجل يعود مَرِيضا فَلْيقل ك اللَّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا أَوْ يَمْشِي لَكَ إِلَى جِنَازَةٍ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৭
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৭। তাবেয়ী আলী ইবনে যায়দ, তাবেয়ী উমাইয়া হইতে বর্ণনা করেন যে, উমাইয়া হযরত আয়েশাকে জিজ্ঞাসা করিলেন এই আয়াত সম্পর্কে – “যদি তোমরা প্রকাশ কর যাহা তোমাদের অন্তরে আছে (অন্যায় বিষয়) অথবা গোপন রাখ উহাকে, আল্লাহ্ সে সম্পর্কে তোমাদের হিসাব লইবেন।” এবং এই আয়াত সম্পর্কে—“যে অন্যায় কাজ করিবে সে উহার সাজা ভোগ করিবে।” তখন আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করার পর এ যাবৎ কেহ আমাকে ইহা জিজ্ঞাসা করে নাই। হুযূর বলিয়াছেনঃ এই দুই আয়াতে যে সাজার কথা বলা হইয়াছে, তাহা হইতেছে (দুনিয়াতে) বন্দার প্রতি যে জ্বর ও দুঃখ প্রভৃতি পৌঁছে, তাহা দ্বারা আল্লাহ্ যে সাজা দেন তাহা—এমন কি বন্দা তাহার জামার জেবে যে মাল রাখে, অতঃপর উহা হারাইয়া ফেলে এবং তজ্জন্য অস্থির হইয়া যায় (ইহাও তাহার সাজার অন্তর্গত।) — অবশেষে বন্দা তাহার গোনাহসমূহ হইতে (সাফ হইয়া) বাহির হয়, যেভাবে স্বর্ণ হাপরের আগুনে সাফ হইয়া বাহির হয়। – তিরমিযী
كتاب الجنائز
عَن عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أُمَيَّةَ أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَة عَن قَول الله تبَارك وَتَعَالَى: (إِن تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ الله)
وَعَنْ قَوْلِهِ: (مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ)
فَقَالَتْ: مَا سَأَلَنِي عَنْهَا أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَذِه معاتبة الله العَبْد فِيمَا يُصِيبُهُ مِنَ الْحُمَّى وَالنَّكْبَةِ حَتَّى الْبِضَاعَةِ يَضَعُهَا فِي يَدِ قَمِيصِهِ فَيَفْقِدُهَا فَيَفْزَعُ لَهَا حَتَّى إِنَّ الْعَبْدَ لَيَخْرُجُ مِنْ ذُنُوبِهِ كَمَا يَخْرُجُ التبر الْأَحْمَر من الْكِير» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
وَعَنْ قَوْلِهِ: (مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ)
فَقَالَتْ: مَا سَأَلَنِي عَنْهَا أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَذِه معاتبة الله العَبْد فِيمَا يُصِيبُهُ مِنَ الْحُمَّى وَالنَّكْبَةِ حَتَّى الْبِضَاعَةِ يَضَعُهَا فِي يَدِ قَمِيصِهِ فَيَفْقِدُهَا فَيَفْزَعُ لَهَا حَتَّى إِنَّ الْعَبْدَ لَيَخْرُجُ مِنْ ذُنُوبِهِ كَمَا يَخْرُجُ التبر الْأَحْمَر من الْكِير» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৮
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৮। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বন্দার প্রতি যে দুঃখ পৌঁছিয়া থাকে চাই উহা বড় হউক চাই ছোট, তাহা নিশ্চয় অপরাধের কারণে এবং যাহা আল্লাহ্ ক্ষমা করিয়া দেন তাহা ইহা অপেক্ষা অধিক। ইহার সমর্থনে হুযূর এই আয়াত পাঠ করিলেন— “তোমাদের প্রতি যে বিপদ পৌঁছে তাহা তোমাদের কৃতকর্মের দরুন, আর আল্লাহ্ ক্ষমা করিয়া দেন অনেক।” – তিরমিযী
كتاب الجنائز
وَعَنْ أَبِي مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يُصِيبُ عَبْدًا نَكْبَةٌ فَمَا فَوْقَهَا أَوْ دُونَهَا إِلَّا بِذَنَبٍ وَمَا يَعْفُو اللَّهُ عَنْهُ أَكْثَرُ وَقَرَأَ: (وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَن كثير)
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৫৯
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বন্দা যখন এবাদতের কোন ভাল নিয়ম পালন করিতে থাকে, অতঃপর রোগাক্রান্ত হইয়া পড়ে (এবং উহা বন্ধ হইয়া যায়), তখন তাহার প্রতি নিযুক্ত ফিরিশতাকে বলা হয়, সে মুক্ত অবস্থায় যাহা করিত তাহার অনুরূপ তাহার জন্য বরাবর লিখিতে থাক, যাবৎ না তাহাকে মুক্ত করিয়া দেই অথবা আমার দিকে তাহাকে ডাকিয়া লই।
كتاب الجنائز
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: إِن الْعَبْدَ إِذَا كَانَ عَلَى طَرِيقَةٍ حَسَنَةٍ مِنَ الْعِبَادَةِ ثُمَّ مَرِضَ قِيلَ لِلْمَلَكِ الْمُوَكَّلِ بِهِ: اكْتُبْ لَهُ مِثْلَ عَمَلِهِ إِذَا كَانَ طَلِيقًا حَتَّى أطلقهُ أَو أكفته إِلَيّ
তাহকীক: