মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৬৪১
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাইয়্যিতের গোসল ও কাফন
১৬৪১। হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ উত্তম কাফন হইতেছে হোল্লাহ্ এবং উত্তম কোরবানীর পশু হইতেছে শিংওয়ালা দুম্বা। — আবু দাউদ।
كتاب الجنائز
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ الْكَفَنِ الْحُلَّةُ وَخَيْرُ الْأُضْحِيَةِ الْكَبْشُ الْأَقْرَنُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ১৬৪২
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাইয়্যিতের গোসল ও কাফন
১৬৪২। তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে।
كتاب الجنائز
وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৩
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মাইয়্যিতের গোসল ও কাফন
১৬৪৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওহুদ যুদ্ধের শহীদগণের শরীর হইতে সামরিক লৌহ বস্ত্র ও চর্ম বস্ত্র খুলিয়া ফেলিতে এবং তাঁহাদিগকে তাঁহাদের রক্তের সাথে ও তাহাদের পরিধেয় বস্ত্রে দাফন করিতে বলিয়াছিলেন। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الجنائز
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلَى أُحُدٍ أَنْ ينْزع عَنْهُم الْحَدِيدُ وَالْجُلُودُ وَأَنْ يُدْفَنُوا بِدِمَائِهِمْ وَثِيَابِهِمْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৪
- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাইয়্যিতের গোসল ও কাফন
১৬৪৪। সা'দ তাঁহার পিতা ইবরাহীম হইতে এবং ইবরাহীম আপন পিতা হইতে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি রোযাদার ছিলেন, সন্ধ্যায় তাহার নিকট খাদ্য আনা হইলে তিনি বলিলেন, মুসআব ইবনে উমাইর (ওহুদ যুদ্ধে ) নিহত হইলেন, অথচ তিনি আমা অপেক্ষা উত্তম ছিলেন, আর তাঁহাকে কাফন দেওয়া হইল শুধু একটি চাদরে। তাঁহার মাথা ঢাকিয়া দিলে পা উলঙ্গ হইয়া যাইত এবং পা ঢাকিয়া দিলে মাথা উলঙ্গ হইয়া যাইত। ইবরাহীম বলেন, আমি মনে করি, তিনি ইহাও বলিয়াছেন যে, (হুযুরের চাচা) হামযা শহীদ হইলেন, অথচ তিনিও আমা অপেক্ষা উত্তম ছিলেন, (আর তাঁহার কাফনেরও এই অবস্থা ছিল।) অতঃপর দুনিয়া আমাদের জন্য প্রশস্ত হইয়া গেল কত প্রশস্ত ! অথবা তিনি বলিয়াছেন, আমরা পাইয়াছি দুনিয়ার যাহা পাইবার। অতএব, আমি ভয় করিতেছি যে, আমাদের নেক আমলের প্রতিফল আমাদিগকে আগেভাগে (দুনিয়াতেই) দেওয়া হইয়া গেল না কি? তৎপর তিনি কাঁদিতে লাগিলেন, এমন কি শেষ পর্যন্ত খানাই ত্যাগ করিলেন। —বুখারী
كتاب الجنائز
عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أُتِيَ بِطَعَامٍ وَكَانَ صَائِمًا فَقَالَ: قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي كُفِّنَ فِي بُرْدَةٍ إِنْ غُطِّيَ رَأْسُهُ بَدَتْ رِجْلَاهُ وَإِنْ غُطِّيَ رِجْلَاهُ بَدَا رَأْسُهُ وَأَرَاهُ قَالَ: وَقُتِلَ حَمْزَةُ وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي ثُمَّ بُسِطَ لَنَا مِنَ الدُّنْيَا مَا بُسِطَ أَوْ قَالَ: أُعْطِينَا مِنَ الدُّنْيَا مَا أُعْطِينَا وَلَقَدْ خَشِينَا أَنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا ثُمَّ جَعَلَ يَبْكِي حَتَّى تَرَكَ الطَّعَامَ. رَوَاهُ البُخَارِيّ