মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৪৯১
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইয়াযীদ খাতমী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আপন দো'আয় বলিতেন, “আল্লাহ্! আমাকে তোমার মহব্বত এবং যাহার মহব্বত তোমার নিকট আমাকে কাজ দিবে তাহার মহব্বত দান কর। আল্লাহ! আমি ভালবাসি এমন যাহা তুমি আমাকে দান করিয়াছ, উহাকে তুমি আমার পক্ষে অবলম্বনস্বরূপ কর যাহা তুমি ভালবাস তাহার জন্য। আল্লাহ্, আমি যাহা ভালবাসি তাহার যতখানি তুমি আমা হইতে দূরে রাখিয়াছ, উহাকে তুমি যাহা আমার পক্ষে ভালবাস তাহা করার জন্য সুযোগস্বরূপ কর! – তিরমিযী
كتاب الدعوات
وَعَن عبد الله يزِيد الخطمي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: «اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يَنْفَعُنِي حُبُّهُ عِنْدَكَ اللَّهُمَّ مَا رَزَقْتَنِي مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ قُوَّةً لِي فِيمَا تُحِبُّ اللَّهُمَّ مَا زَوَيْتَ عَنِّي مِمَّا أحب فاجعله فراغا ي فِيمَا تحب» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯২
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯২। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন মজলিস হইতে খুব কমই উঠিতেন, যাবৎ না তাঁহার সহচরদের জন্য এই দো'আ করিতেন, “আল্লাহ্! তুমি আমাদিগকে ঐ পরিমাণ তোমার ভয় দান কর, যাহা দ্বারা তুমি আমাদের মধ্যে ও তোমার নাফরমানীর মধ্যে বাধা সৃষ্টি করিবে; তোমার এবাদত-আনুগত্যের ঐ পরিমাণ দান কর যাহা দ্বারা তুমি আমাদিগকে তোমার জান্নাতে পৌঁছাইবে এবং তোমার প্রতি বিশ্বাসের ঐ পরিমাণ দান কর, যদ্বারা তুমি আমাদের প্রতি দুনিয়ার বিপদসমূহ সহজ করিয়া দিবে। আল্লাহ, আমাদের উপকার সাধিত কর আমাদের কানের দ্বারা, আমাদের চোখের দ্বারা ও আমাদের শক্তির দ্বারা, যাবৎ তুমি আমাদিগকে বাঁচাইয়া রাখ! আল্লাহ্, তুমি আমাদের উত্তরাধিকারী বাকী রাখ! আল্লাহ্, তুমি আমাদের প্রতিশোধকে সীমাবদ্ধ রাখ তাহাদের প্রতি, যাহারা আমাদের প্রতি জুলুম করিয়াছে এবং আমাদের সাহায্য কর তাহাদের বিরুদ্ধে, যাহারা আমাদের সাথে শত্রুতা করিয়াছে! আল্লাহ্, আমাদের দ্বীন সম্পর্কে আমাদিগকে কোন বিপদে ফেলিও না এবং দুনিয়াকে আমাদের প্রধান চিন্তার বিষয় ও জ্ঞানের পরিসীমা করিও না। আল্লাহ্, আমাদের প্রতি চাপাইয়া দিও না তাহাদিগকে যাহারা আমাদের প্রতি দয়া করিবে না।” — তিরমিযী। তিনি বলিয়াছেন হাদীসটি হাসান গরীব। (মিরকাত অনুসারে)
كتاب الدعوات
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَلَّمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُومُ مِنْ مَجْلِسٍ حَتَّى يَدْعُوَ بِهَؤُلَاءِ الدَّعَوَاتِ لِأَصْحَابِهِ: «اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُولُ بِهِ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مُصِيْبَاتِ الدُّنْيَا وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
হাদীস নং: ২৪৯৩
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিতেন, “আল্লাহ্! আমাদের উপকারে লাগাও যাহা আমাদিগকে শিক্ষা দিয়াছ এবং শিক্ষা দাও আমাদিগকে তাহা যাহা আমাদের উপকারে লাগিবে, আর জ্ঞান বৃদ্ধি কর আমাদের। আল্লাহর শোকর প্রত্যেক অবস্থায় এবং আমি আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাহি দোযখবাসীদের অবস্থা হইতে।” –তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ। —তিরমিযী বলেন, ইহার সনদ গরীব।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَزِدْنِي عِلْمًا الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ حَالِ أَهْلِ النَّارِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِسْنَادًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯৪
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯৪। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, যখন নবী করীম (ﷺ)-এর উপর ওহী নাযিল হইত তাঁহার মুখমণ্ডলের দিক হইতে মৌমাছির গুণগুণ শব্দের ন্যায় একরকম শব্দ শুনা যাইত। এইরূপে একদিন তাঁহার উপর ওহী নাযিল করা হইল। আমরা কতক্ষণ অপেক্ষা করিলাম। তিনি প্রকৃতিস্থ হইলেন, অতঃপর কেবলার দিকে ফিরিলেন এবং হাত উঠাইয়া বলিলেনঃ “আল্লাহ্! আমাদিগকে বেশী দাও, কমাইও না আমাদের ; আমাদিগকে সম্মানিত কর, অপমানিত করিও না; আমাদের প্রতি দান কর, আমাদিগকে বঞ্চিত করিও না; আমাদিগকে গ্রহণ কর, আমাদের বিপক্ষে কাহাকেও গ্রহণ করিও না; আমাদিগকে খুশী কর এবং আমাদের প্রতি খুশী থাক।”
অতঃপর বলিলেন, এখন আমার উপর দশটি আয়াত নাযিল হইল, যে উহা প্রতিষ্ঠা করিবে বেহেশতে দাখিল হইবে। অতঃপর তিনি (সূরা মু'মিনুনের শুরু হইতে) পাঠ করিতে লাগিলেন, ‘মু'মিনগণ কৃতকার্য হইয়াছে' যাহাতে দশটি আয়াত শেষ করিলেন। —আহমদ ও তিরমিযী
كتاب الدعوات
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ سُمِعَ عِنْدَ وَجْهِهِ دوِي كَدَوِيِّ النَّحْل فأنل عَلَيْهِ يَوْمًا فَمَكَثْنَا سَاعَةً فَسُرِّيَ عَنْهُ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ زِدْنَا وَلَا تَنْقُصْنَا وَأَكْرِمْنَا وَلَا تُهِنَّا وَأَعْطِنَا وَلَا تَحْرِمْنَا وَآثِرْنَا وَلَا تُؤْثِرْ عَلَيْنَا وَأَرْضِنَا وَارْضَ عَنَّا» . ثُمَّ قَالَ: «أُنْزِلَ عَلَيَّ عَشْرُ آيَاتٍ مَنْ أَقَامَهُنَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ» ثُمَّ قَرَأَ: (قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ)

حَتَّى خَتَمَ عَشْرَ آيَاتٍ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ২৪৯৫
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯৫। হযরত ওসমান ইবনে হুনাইফ (রাঃ) বলেন, এক দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, হুযূর আল্লাহর নিকট দো'আ করুন—তিনি যেন আমাকে কুশল দান করেন। তিনি বলিলেনঃ তুমি যদি চাও, আমি আল্লাহর নিকট দো'আ করিব; কিন্তু যদি চাও ছবর করিতে পার, আর ইহাই হইবে তোমার পক্ষে উত্তম। সে বলিল, হুযূর দো'আ করুন। ওসমান বলেন, হুযূর তাহাকে উত্তমরূপে ওযূ করিতে এবং এইরূপ দো'আ করিতে বলিলেন, “হে আল্লাহ্ ! তোমার নবী মুহাম্মাদ, যিনি রহমতের নবী, তাঁহার উসীলায় আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করিতেছি ও রুজু হইতেছি; এবং হে নবী! আমি আপনার উসীলায় আমার পরওয়ারদেগারের দিকে রুজু' হইতেছি যাহাতে তিনি আমার এই হাজত পূর্ণ করেন। আল্লাহ্, তুমি আমার ব্যাপারে তাঁহার সুপারিশ কবুল কর! - তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়া বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ ও গরীব।
كتاب الدعوات
عَن عثمانَ بنِ حُنَيفٍ قَالَ: إِنَّ رَجُلًا ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَنِي فَقَالَ: «إِنْ شِئْتَ دَعَوْتُ وَإِنْ شِئْتَ صَبَرْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» . قَالَ: فَادْعُهُ قَالَ: فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ فَيُحْسِنَ الْوُضُوءَ وَيَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ إِنِّي تَوَجَّهْتُ بِكَ إِلَى رَبِّي لِيَقْضِيَ لِي فِي حَاجَتِي هَذِهِ اللهُمَّ فشفّعْه فيَّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيب
হাদীস নং: ২৪৯৬
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯৬। হযরত আবুদ্দরদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নবী দাউদের দো'আ ছিল এই, তিনি বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে তোমার ভালবাসা চাই, আর যে তোমাকে ভালবাসে তাহার ভালবাসা এবং ঐ কাজের শক্তি চাই, যাহা আমাকে তোমার ভালবাসার দিকে লইয়া যাইবে। আল্লাহ্, তোমার ভালবাসাকে আমার কাছে আমার জান, আমার মাল, আমার পরিজন এবং ঠাণ্ডা পানি অপেক্ষাও অধিক প্রিয় কর।” আবুদ্দরদা বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন হযরত দাউদের স্মরণ করিতেন ও তাঁহার কাহিনী বর্ণনা করিতেন—বলিতেন, দাউদ ছিলেন (আপন যুগের) সর্বাপেক্ষা অধিক এবাদত-গোযার। – তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِنْ دُعَاءِ دَاوُدَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَالْعَمَلَ الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ نَفْسِي وَمَالِي وَأَهْلِي وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ» . قَالَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَكَرَ دَاوُدَ يُحَدِّثُ عَنْهُ يَقُولُ: «كَانَ أَعْبَدَ الْبَشَرِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৯৭
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দুআসমূহ
২৪৯৭। (তাবেয়ী) আতা ইবনে সায়েব তাঁহার পিতা সায়েব হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন, একবার সাহাবী আম্মার ইবনে ইয়াসির আমাদের এক নামায পড়াইলেন এবং উহাতে (সূরা-কেরাআত ইত্যাদি) সংক্ষেপ করিলেন, তখন লোকের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, আপনি যে নামায তাড়াতাড়ি পড়াইলেন এবং সংক্ষেপ করিলেন! তিনি বলিলেনঃ ইহাতে আমার ক্ষতি হইবে না। কেননা, উহাতে আমি সে সকল দো'আ পড়িয়াছি যাহা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে শুনিয়াছি। অতঃপর যখন তিনি চলিলেন, এক ব্যক্তি তাঁহার অনুসরণ করিল। আতা বলেন, তিনি হইলেন, আমার পিতা সায়েবই, তবে তিনি নিজের নাম প্রকাশ না করিয়া ইঙ্গিতে বলিলেন। তিনি হযরত আম্মারকে দো'আটি কি তাহা জিজ্ঞাসা করিলেন এবং পরে আসিয়া লোকদের জানাইলেন। দো'আটি এই—“আল্লাহ! আমি তোমার গায়েব জানার এবং সৃষ্টির উপর তোমার ক্ষমতা রাখার দোহাই দিয়া বলিতেছি—তুমি আমাকে ততদিন জীবিত রাখিবে, যতদিন জীবন আমার পক্ষে মঙ্গলকর বলিয়া জানিবে; আর আমাকে মৃত্যুদান করিবে, যখন তুমি মৃত্যুকে আমার পক্ষে কল্যাণকর বলিয়া জানিবে। আল্লাহ্, আমি তোমার নিকট চাই তোমার ভয় গোপনে ও প্রকাশ্যে এবং তোমার নিকট চাহি সত্য কথা বলার সাহস সন্তোষ ও অসন্তোষে। আল্লাহ্, আমি তোমার নিকট চাহি মধ্যপন্থা অবলম্বন করার তাওফীক অভাব ও সচ্ছলতায় এবং তোমার নিকট চাহি এমন নেয়ামত যাহা কখনও নিঃশেষ হইবে না, আরও তোমার নিকট চাহি চোখ জুড়াইবার বিষয়, যাহা কখনও বন্ধ হইবে না। আল্লাহ্, আমি তোমার নিকট চাহি তোমার হুকুমের উপর রাযী থাকার ইচ্ছা এবং তোমার নিকট চাহি মৃত্যুর পর উত্তম যিন্দেগী। আল্লাহ্, আমি তোমার নিকট চাহি (বেহেশতে) তোমার প্রতি দৃষ্টি করার স্বাদ গ্রহণ করিতে এবং চাহি তোমার সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষা ক্ষতিকর কষ্টে ও পথভ্রষ্টকারী ফাসাদে পড়া ব্যতীত। আল্লাহ্, আমাদিগকে ঈমানের ভূষণে ভূষিত কর এবং পথপ্রাপ্ত ও পথপ্রদর্শক কর!” –নাসায়ী
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: صَلَّى بِنَا عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ صَلَاةً فَأَوْجَزَ فِيهَا فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْقَوْمِ: لَقَدْ خَفَّفْتَ وَأَوْجَزْتَ الصَّلَاةَ فَقَالَ أَمَا عَلَيَّ ذَلِكَ لَقَدْ دَعَوْتُ فِيهَا بِدَعَوَاتٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قَامَ تَبِعَهُ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ هُوَ أَبِي غَيْرَ أَنَّهُ كَنَّى عَنْ نَفْسِهِ فَسَأَلَهُ عَنِ الدُّعَاءِ ثُمَّ جَاءَ فَأَخْبَرَ بِهِ الْقَوْمَ: «اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وقُدرتِكَ على الخَلقِ أَحْيني مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي اللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَى وَالْغَضَبِ وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لَا يَنْفَدُ وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضَى بَعْدَ الْقَضَاءِ وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ وَالشَّوْقِ إِلَى لِقَائِكَ فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ اللَّهُمَّ زِيِّنَا بِزِينَةِ الْإِيمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مَهْدِيِّينَ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ