মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ২৬৬৬
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৬৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আবতাহে অবতরণ করা সুন্নত নহে। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহাতে এ জন্যই অবতরণ করিয়াছিলেন যে, উহা তাঁহার (মদীনা) রওয়ানা হওয়ার পক্ষে সুবিধাজনক ছিল—যখন তিনি রওয়ানা হন। মোত্তাঃ
كتاب المناسك
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: نُزُولُ الْأَبْطَحِ لَيْسَ بِسُنَّةٍ إِنَّمَا نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَنَّهُ كَانَ أسمح لِخُرُوجِهِ إِذا خرج
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৬৭
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৬৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি তানঈম হইতে উমরার এহরাম বাধিলাম, অতঃপর মক্কায় পৌঁছিয়া আমার কাযা উমরা সমাধা করিলাম। আর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য আবতাহে অপেক্ষা করিলেন, যাবৎ না আমি অবসর হইলাম। অতঃপর তিনি লোকদিগকে (মদীনা) রওয়ানা হইতে হুকুম দিলেন এবং নিজে রওয়ানা হইলেন (মক্কার দিকে) এবং বায়তুল্লাহ্ শরীফ পৌঁছিয়া উহার (বিদায়ী) তওয়াফ করিলেন ফজরের নামাযের পূর্বে। তৎপর মদীনার দিকে রওয়ানা হইলেন। মেশকাত প্রণেতা বলেন, বাগাবী ইহাকে প্রথম পরিচ্ছেদে স্থান দিলেও আমি ইহাকে সহীহাইনে পাই নাই; বরং সামান্য বেশকমের সাথে ইহা আবু দাউদে রহিয়াছে।
كتاب المناسك
وَعَنْهَا قَالَتْ: أَحْرَمْتُ مِنَ التَّنْعِيمِ بِعُمْرَةٍ فَدَخَلْتُ فَقَضَيْتُ عُمْرَتِي وَانْتَظَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم بالأبطحِ حَتَّى فَرَغْتُ فَأَمَرَ النَّاسَ بِالرَّحِيلِ فَخَرَجَ فَمَرَّ بِالْبَيْتِ فَطَافَ بِهِ قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَدِينَةِ. هَذَا الْحَدِيثُ مَا وَجَدْتُهُ بِرِوَايَةِ الشَّيْخَيْنِ بَلْ بِرِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ مَعَ اخْتِلَاف يسير فِي آخِره
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৬৮
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৬৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, লোক চারিদিক হইতে দেশের দিকে ফিরিত। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: তোমাদের মধ্যে কেহই যেন দেশের দিকে না ফিরে, যাবৎ না তাহার শেষ মোলাকাত হয় বায়তুল্লাহ্ শরীফের সাথে। তবে ঋতুগ্রস্তাদের জন্য ইহা বাদ দেওয়া হইল। -মোত্তাঃ
كتاب المناسك
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ النَّاسُ يَنْصَرِفُونَ فِي كُلِّ وَجْهٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَنْفِرَنَّ أَحَدُكُمْ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ إِلَّا أَنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْحَائِضِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৬৯
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৬৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, মদীনা রওয়ানা হইবার রাতেই বিবি সাফিয়্যার ঋতু আরম্ভ হইল। তিনি বলিলেন, মনে হয় আমি আপনাদিগকে আটকাইয়া ফেলিলাম। ইহা শুনিয়া নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন ধ্বংস হউক, নিপাত যাক। সে কি কোরবানীর দিনে তওয়াফ করিয়াছে? বলা হইল, হ্যাঁ। হুযূর (ছাঃ) বলিলেন; তবে রওয়ানা হও! —মোত্তাঃ
كتاب المناسك
وَعَن عائشةَ قَالَتْ: حَاضَتْ صَفِيَّةُ لَيْلَةَ النَّفْرِ فَقَالَتْ: مَا أُرَانِي إِلَّا حَابِسَتَكُمْ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَقْرَى حَلْقَى أَطَافَتْ يَوْمَ النَّحْرِ؟» قيل: نعم. قَالَ: «فانفري»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৭০
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৭০। হযরত আমর ইবনে আহওয়াস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বিদায় হজ্জে বলিতে শুনিয়াছি, হে লোকসকল! ইহা কোন্ দিন ? তাঁহারা বলিলেন, ইহা ‘হজ্জে আকবর' বা বড় হজ্জের দিন। তখন তিনি বলিলেনঃ তোমাদের একের জান, মাল ও ইয্যত অন্যের পক্ষে পবিত্র। যেইরূপে এই শহরে (এই মাসে) এই দিন পবিত্র। সাবধান! কোন অপরাধী যেন নিজের জীবনের উপর অপরাধ না করে। সাবধান, কোন অপরাধী যেন আপন ছেলের প্রতি অপরাধ না করে এবং কোন ছেলে যেন আপন পিতার প্রতি অপরাধ না করে। সাবধান, শয়তান চিরতরে নিরাশ হইয়াছে যে, এই শহরে তাহার পূজা হইবে; কিন্তু তাহার তাবেদারী হইবে তোমাদের সেসকল কাজের মধ্য দিয়া, যেসকল কাজকে তোমরা তুচ্ছ বলিয়া মনে কর, আর তাহাতে সে খুশী হইবে। — ইবনে মাজাহ্ ও তিরমিযী। তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলিয়াছেন।
كتاب المناسك
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْأَحْوَصِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: «أَيُّ يَوْمٍ هَذَا؟» قَالُوا: يَوْمُ النَّحْر الْأَكْبَرِ. قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلا لَا يجني جانٍ عَلَى نَفْسِهِ وَلَا يَجْنِي جَانٍ عَلَى وَلَدِهِ وَلَا مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ أَلَا وَإِنَّ الشَّيْطَانَ قد أَيسَ أَنْ يُعْبَدَ فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَبَدًا وَلَكِنْ ستكونُ لهُ طاعةٌ فِيمَا تحتقرونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَسَيَرْضَى بِهِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالتِّرْمِذِيّ وَصَححهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৭১
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৭১। হযরত রাফে' ইবনে আমর মুযানী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে একটি সাদা কালো মিশ্রিত খচ্চরের উপর থাকিয়া মিনায় ভাষণ দান করিতে দেখিয়াছি, যখন বেলা উপরে উঠিয়াছিল এবং হযরত আলী উহা লোকদিগকে উচ্চঃস্বরে পৌঁছাইতেছিলেন, আর লোক ছিল তখন কেহ দাঁড়ানো আর কেহ বসা। –আবু দাউদ
كتاب المناسك
وَعَن رافعِ بنِ عمروٍ والمُزَني قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ بِمِنًى حِينَ ارْتَفَعَ الضُّحَى عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ وَعَلِيٌّ يُعَبِّرُ عَنْهُ وَالنَّاسُ بَين قَائِم وقاعد. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক: