মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

হাদীস নং: ৩২৫৬
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৫৬। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে রমণী নিজের স্বামীকে সন্তোষ রেখে মৃত্যুবরণ করে, নিশ্চয় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিরমিযী
كتاب النكاح
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
হাদীস নং: ৩২৫৭
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৫৭। ত্বলক্ব ইবনু ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোনো স্বামী নিজ প্রয়োজনে স্বীয় স্ত্রীকে ডাকলে, সে যেন তৎক্ষণাৎ তার ডাকে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলার পাশে (গৃহকর্মীর কাজে) ব্যস্ত থাকে। তিরমিযী
كتاب النكاح
وَعَنْ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنور» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৩২৫৮
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৫৮। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ যখনই কোন নারী তাহার স্বামীকে দুনিয়াতে কোন কষ্ট দিতে থাকে, তখনই বেহেশতের হুরদের মধ্যে যে তাহার নারী হইবে সে বলে, (হে অভাগিনী,) তুমি তাহাকে কষ্ট দিও না –আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস করুন। তিনি তোমার নিকট তো পরবাসী। অল্প দিনের মধ্যেই তিনি তোমাকে ছাড়িয়া আমাদের নিকট চলিয়া আসিবেন। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب النكاح
وَعَنْ مُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تُؤْذِي امْرَأَةٌ زَوْجَهَا فِي الدُّنْيَا إِلَّا قَالَت زَوجته مِنَ الْحُورِ الْعِينِ: لَا تُؤْذِيهِ قَاتَلَكِ اللَّهُ فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكِ دَخِيلٌ يُوشِكُ أَنْ يُفَارِقَكِ إِلَيْنَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
হাদীস নং: ৩২৫৯
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৫৯। তাবেয়ী হাকীম ইবনে মুআবিয়া কুশাইরী তাঁহার বাপ হইতে বর্ণনা করেন যে, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমাদের কাহারও স্ত্রীর তাহার উপর কি হক রহিয়াছে? তিনি বলিলেনঃ তাহাকে খাওয়াইবে যখন তুমি খাইবে, তাহাকে পরাইবে যখন তুমি পরিবে এবং তাহার মুখমণ্ডলের উপর আঘাত করিবে না, তাহাকে অশ্লীল গালি দিবে না এবং ঘর ছাড়া তাহার নিকট হইতে পৃথক থাকিবে না। –আহমদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب النكاح
وَعَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ؟ قَالَ: «أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ وَلَا تَضْرِبِ الْوَجْهَ وَلَا تُقَبِّحْ وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৩২৬০
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬০। হযরত লকীত ইবনে সাবুরা (রাঃ) বলেন, একদা আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমার একটি বিবি আছে, যাহার মুখ চলে। তিনি বলিলেনঃ তাহাকে তালাক দিয়া দাও! আমি বলিলাম, তাহার ঘরে আমার সন্তান রহিয়াছে এবং সে আমার দীর্ঘ দিনের সঙ্গিনী। তিনি বলিলেন, তবে তাহাকে নসীহত কর (যেমন, কোরআনে রহিয়াছে,) যদি তাহার মধ্যে ভালাই থাকে তবে সে সহজে উহা গ্রহণ করিবে। কিন্তু তুমি তোমার বিছানার সাথীকে বাদীর ন্যায় মারিবে না। – আবু দাউদ
كتاب النكاح
وَعَنْ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي امْرَأَةً فِي لِسَانِهَا شَيْءٌ يَعْنِي الْبَذَاءَ قَالَ: «طَلِّقْهَا» . قُلْتُ: إِنَّ لِي مِنْهَا وَلَدًا وَلَهَا صُحْبَةٌ قَالَ: «فَمُرْهَا» يَقُولُ عِظْهَا «فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَقْبَلُ وَلَا تَضْرِبَنَّ ظَعِينَتَكَ ضَرْبَكَ أُمَيَّتَكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৩২৬১
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬১। হযরত আয়াস ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা আল্লাহর বাঁদীদেরে মারিও না। অতঃপর হযরত ওমর (রাঃ) একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসিয়া বলিলেন, হুযুর! এখন তো নারীরা পুরুষদের উপর দৌরাত্ম্য আরম্ভ করিয়াছে। অতঃপর তিনি তাহাদিগকে মারিতে অনুমতি দিলেন। তারপর বহু নারী আসিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিবিদের নিকট অভিযোগ করিতে লাগিল। ইহা দেখিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমাদের বহু নারী আসিয়া মুহাম্মাদের পরিবারের নিকট তাহাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছে—তোমাদের মধ্যে তাহারা কিছুতেই ভাল লোক নহে। — আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
كتاب النكاح
وَعَنْ إِيَاسِ بْنِ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَا تَضْرِبُوا إِمَاءِ اللَّهِ» فَجَاءَ عُمَرُ إِلَى رَسُولِ الله فَقَالَ: ذَئِرْنَ النِّسَاءُ عَلَى أَزْوَاجِهِنَّ فَرَخَّصَ فِي ضَرْبِهِنَّ فَأَطَافَ بَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءٌ كَثِيرٌ يَشْكُونَ أَزْوَاجَهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ طَافَ بِآلِ مُحَمَّدٍ نِسَاءٌ كَثِيرٌ يَشْكُونَ أَزْوَاجَهُنَّ لَيْسَ أُولَئِكَ بِخِيَارِكُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَه والدارمي
হাদীস নং: ৩২৬২
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সে আমাদের দলের নহে যে কোন নারীকে তাহার স্বামীর বিরুদ্ধে উস্কাইয়াছে অথবা কোন দাসকে তাহার মনিবের বিরুদ্ধে ক্ষেপাইয়াছে। –আবু দাউদ
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ خَبَّبَ امْرَأَةً عَلَى زَوْجِهَا أَوْ عَبْدًا عَلَى سَيّده» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৬৩
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মু'মিনদের মধ্যে সে অধিকতর পূর্ণ মু'মিন, যে (মানুষের পক্ষে) উত্তম ব্যবহারী এবং আপন পরিবারের পক্ষে নরম ও মেহেরবান। —তিরমিযী
كتاب النكاح
وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنهُ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِنَّ مِنْ أَكْمَلِ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وألطفهم بأَهْله» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৩২৬৪
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মু'মিনদের মধ্যে পূর্ণতর মু'মিন সে, যাহার ব্যবহার ভাল, আর তোমাদের মধ্যে ভাল সে, যে তার বিবিদের জন্য ভাল। – তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবু দাউদ “ব্যবহার ভাল”— পর্যন্ত।
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ

قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد إِلَى قَوْله «خلقا»
হাদীস নং: ৩২৬৫
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৫। বিবি আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তবুক অথবা হুনাইন যুদ্ধ (রাবীর সন্দেহ) হইতে মদীনা আগমন করিলেন; আর তখন তাঁহার ঘরের বারান্দায় একদিকে পর্দা টানানো ছিল। এসময় বাতাস বহিল আর পর্দার অপর দিক হইতে আয়েশার খেলার পুতুল প্রকাশিত হইয়া পড়িল। হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ আয়েশা, ইহা কি ? তিনি বলিলেন, আমার পুতুল। আয়েশা বলেন, হুযূর ইহাদের মধ্যখানে এক ঘোড়া দেখিলেন, যাহার নেকড়া নির্মিত দুইটি ডানা ছিল। হুযুর জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহাদের মধ্যখানে যে দেখিতেছি ইহা কি? তিনি বলিলেন, ঘোড়া। হুযূর বলিলেন, ইহার উপরে যে দেখিতেছি তাহা কি? আয়েশা বলেন, আমি বলিলাম, দুইটি ডানা। হুযূর বলিলেন, ঘোড়া, আবার তার দুইটি ডানা! আয়েশা বলিলেন, আপনি কি শুনেন নাই, হযরত সোলায়মানের ঘোড়ার ডানা ছিল? আয়েশা বলেন, ইহা শুনিয়া হুযূর হাসিয়া দিলেন, যাহাতে তাঁহার ভিতরের দাঁতসমূহ দেখা গেল। – আবু দাউদ
كتاب النكاح
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ غَزْوَة تَبُوك أَو حنين وَفِي سَهْوَتِهَا سِتْرٌ فَهَبَّتْ رِيحٌ فَكَشَفَتْ نَاحِيَةَ السِّتْرِ عَنْ بَنَاتٍ لِعَائِشَةَ لُعَبٍ فَقَالَ: «مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ؟» قَالَتْ: بَنَاتِي وَرَأَى بَيْنَهُنَّ فَرَسًا لَهُ جَنَاحَانِ مِنْ رِقَاعٍ فَقَالَ: «مَا هَذَا الَّذِي أَرَى وَسْطَهُنَّ؟» قَالَتْ: فَرَسٌ قَالَ: «وَمَا الَّذِي عَلَيْهِ؟» قَالَتْ: جَنَاحَانِ قَالَ: «فَرَسٌ لَهُ جَنَاحَانِ؟» قَالَتْ: أَمَا سَمِعْتَ أَنَّ لِسُلَيْمَانَ خَيْلًا لَهَا أَجْنِحَةٌ؟ قَالَتْ: فَضَحِكَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৩২৬৬
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৬। হযরত কায়স ইবনে সা'দ (রাঃ) বলেন, আমি হীরা নগরে গিয়াছিলাম। দেখিলাম তাহারা তাহাদের মোড়লকে সজদা করে। আমি মনে মনে বলিলাম, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সজদার অধিক উপযোগী। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসিলাম এবং বলিলাম, হুযুর, আমি হীরায় গিয়াছিলাম, দেখিলাম, তাহারা তাহাদের মোড়লকে সজদা করে। আমি মনে করি, হুযুরই সজদা পাওয়ার অধিক উপযোগী। তখন তিনি আমাকে বলিলেনঃ কায়স। যদি তুমি আমার কবরের নিকট পৌঁছ, তবে কি তুমি উহাকে সজদা করিবে ? আমি বলিলাম, না। হুযূর বলিলেন, তবে তোমরা (আমার জীবনেও) ইহা করিও না। মনে রাখ, যদি আমি কাহাকেও সজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে আমি নারীদেরে তাহাদের স্বামীদেরকে সজদা করার নির্দেশ দিতাম — যেহেতু আল্লাহ্ নারীদের উপর পুরুষদের আধিপত্য দিয়াছেন। –আবু দাউদ।
كتاب النكاح
الْفَصْل الثَّالِث
عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ: لَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَحَق أَن يسْجد لَهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: إِنِّي أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ أَحَقُّ بِأَنْ يُسْجَدَ لَكَ فَقَالَ لِي: «أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِى أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ؟» فَقُلْتُ: لَا فَقَالَ: «لَا تَفْعَلُوا لَو كنت آمُر أحد أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ حق» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৩২৬৭
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৭। আর আহমাদ মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
كتاب النكاح
وَرَوَاهُ أَحْمد عَن معَاذ بن جبل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৬৮
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৮। হযরত ওমর (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ কোন পুরুষ, যে তাহার স্ত্রীকে মারিয়াছে, এ ব্যাপারে তাহাকে (দুনিয়া ও আখেরাতে) জিজ্ঞাসা করা হইবে না। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب النكاح
وَعَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُسْأَلُ الرَّجُلُ فِيمَا ضَرَبَ امْرَأَتَهُ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৩২৬৯
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৯। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা একটি স্ত্রীলোক আসিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট বলিল, – আমরা তখন তাঁহার নিকট ছিলাম—হুযুর! আমার স্বামী সাফওয়ান ইবনে মুআত্তাল আমাকে মারেন যখন আমি নামায পড়ি, আমাকে রোযা ভাঙ্গিতে বাধ্য করেন যখন আমি রোযা রাখি এবং তিনি ফজরের নামায পড়েন না সূর্য উঠা ব্যতীত। আবু সায়ীদ বলেন, তখন সাফওয়ানও হুযূরের নিকট ছিল। হুযূর তাহাকে তাহার বিবির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। সাফওয়ান বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে যে বলিয়াছে, সে যখন নামায পড়ে আমি তাহাকে মারি—ইহার কথা হইল এই যে, সে এক সাথে (বড় বড়) দুইটি সূরা পড়ে, অথচ আপনি তাহা নিষেধ করিয়াছেন। আবু সায়ীদ বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে বলিলেনঃ একটি সূরাই সকল লোকের জন্য যথেষ্ট। অতঃপর সাফওয়ান বলিল, সে যে বলিয়াছে, আমি তাহাকে রোযা ভাঙ্গিতে বাধ্য করি—উহার ব্যাপার হইল এই যে, সে একাধারে রোযা রাখিতে শুরু করে, অথচ আমি একজন যুবক পুরুষ, আমি সংযম রক্ষা করিতে পারি না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, কোন নারী যেন নফল রোযা না রাখে তাহার স্বামীর অনুমতি ব্যতীত। এইরূপে সে যে বলিয়াছে—আমি সূর্য উঠা ছাড়া ফজরের নামায পড়ি না—ইহার কারণ হইল, (আমরা অধিক রাত্রি পর্যন্ত সেচের কাজ করি—তাই) দেরীতে উঠার অভ্যাস আমাদের পরিবারের রহিয়াছে, আমরা প্রায় জাগরিত হই না যাবৎ না সূর্য উঠে। হুযুর বলিলেন, সাফওয়ান, যখনই তুমি উঠিবে তখনই নামায পড়িবে। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب النكاح
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ عِنْده فَقَالَت: زَوْجِي صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ وَيُفَطِّرُنِي إِذَا صُمْتُ وَلَا يُصَلِّي الْفَجْرَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ قَالَ: وَصَفْوَانُ عِنْدَهُ قَالَ: فَسَأَلَهُ عَمَّا قَالَت فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَّا قَوْلُهَا: يَضْرِبُنِي إِذَا صَلَّيْتُ فَإِنَّهَا تَقْرَأُ بِسُورَتَيْنِ وَقَدْ نَهَيْتُهَا قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كَانَتْ سُورَةً وَاحِدَةً لَكَفَتِ النَّاسَ» . قَالَ: وَأَمَّا قَوْلُهَا يُفَطِّرُنِي إِذَا صُمْتُ فَإِنَّهَا تَنْطَلِقُ تَصُوم وَأَنا رجل شَاب فَلَا أَصْبِر فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَصُومُ امْرَأَةٌ إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا» وَأَمَّا قَوْلُهَا: إِنِّي لَا أُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإنَّا أهل بَيت قد عرف لنا ذَاك لَا نَكَادُ نَسْتَيْقِظُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ قَالَ: «فَإِذَا اسْتَيْقَظْتَ يَا صَفْوَانُ فَصَلِّ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه