মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৪২১৮
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২১৮। হযরত নোবায়শা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পেয়ালাতে খায় এবং পরে উহা চাটিয়া লয়, পাত্রটি তাহার জন্য মাগফিরাত কামনা করে। – আহমদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب الأطعمة
وَعَن نُبَيْشَة

عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ فِي قَصْعَةٍ فَلَحَسَهَا اسْتَغْفَرَتْ لَهُ الْقَصْعَةُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২১৯
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২১৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় রাত্রি যাপন করে যে, তাহার হাতের মধ্যে খাদ্যের চিহ্ন (তেল, চর্বি ইত্যাদি) থাকিয়া যায়, সে উহা ধৌত করে নাই। পরে কোন কিছু তাহার অনিষ্ট করে, তবে সে যেন নিজেকেই দোষারোপ করে । —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الأطعمة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ بَاتَ وَفِي يَدِهِ غَمَرٌ لَمْ يَغْسِلْهُ فَأَصَابَهُ شَيْءٌ فَلَا يَلُومَنَّ إِلَّا نَفْسَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২২০
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে রুটির সারীদ এবং হায়সের সারীদ ছিল প্রিয় খাদ্য। —আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَن ابنِ عبَّاسٍ قَالَ: كَانَ أَحَبَّ الطَّعَامَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّرِيدُ مِنَ الْخُبْزِ والثريدُ منَ الحَيسِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৪২২১
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২১। হযরত আবু উসায়দ আনসারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা জয়তুনের তেল খাও এবং উহা গায়ে মালিশ কর। কারণ উহা হইল একটি কল্যাণময় বৃক্ষ হইতে (নির্গত)। —তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
كتاب الأطعمة
وَعَن أبي أُسَيدٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَلُوا الزَّيْتَ وَادَّهِنُوا بِهِ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
হাদীস নং: ৪২২২
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২২। হযরত উম্মে হানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ) আমার কাছে আসিয়া বলিলেনঃ তোমার নিকট খাওয়ার কিছু আছে কি ? আমি বলিলাম, শুকনা রুটি ও সিরকা ব্যতীত কিছুই নাই। তিনি বলিলেন, উহাই লও। বস্তুত যেই ঘরে সিরকা আছে, সেই ঘর সালনশূন্য নহে। – তিরমিযী, এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।
كتاب الأطعمة
وَعَن أم هَانِئ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَعِنْدَكِ شَيْءٌ» قُلْتُ: لَا إِلَّا خُبْزٌ يَابِسٌ وَخَلٌّ فَقَالَ: «هَاتِي مَا أَقْفَرَ بَيْتٌ مِنْ أَدَمٍ فِيهِ خَلٌّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২২৩
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৩। হযরত ইউসুফ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ) বলেন, একবার আমি নবী (ﷺ)কে দেখিয়াছি, তিনি এক টুকরা যবের রুটি লইয়া উহার উপরে খেজুর রাখিয়া বলিলেনঃ ইহা (খেজুর) উহার (রুটির) সালন। এবং (এই বলিয়া) উহা খাইলেন। –আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ فَوَضَعَ عَلَيْهَا تَمْرَةً فَقَالَ: «هَذِهِ إِدَامُ هَذِهِ» وَأَكَلَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৪২২৪
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৪। হযরত সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আমি মারাত্মকভাবে পীড়িত হইয়া পড়িলাম। নবী (ﷺ) আমার খোঁজখবর লইতে তাশরীফ আনিলেন। তিনি নিজের হাতখানা আমার দুই স্তনের মাঝখানে ( বুকের উপর) রাখিলেন। তাহাতে আমি আমার কলিজায় শীতলতা অনুভব করিলাম। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ তুমি একজন হৃদ-বেদনার রোগী। সুতরাং তুমি সকীফ গোত্রীয় হারেস ইবনে কালদার নিকট যাও। সে একজন চিকিৎসক। (পরে তিনি বলিলেন) সে যেন অবশ্যই মদীনার সাতটি আজওয়া খেজুর বীচিসহ পিষিয়া তোমার মুখের মধ্যে ঢালিয়া দেয়। –আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَن سعدٍ قَالَ: مَرِضْتُ مَرَضًا أَتَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ ثَدْيِيَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا عَلَى فُؤَادِي وَقَالَ: «إِنَّكَ رجلٌ مفْؤودٌ ائْتِ الْحَارِثَ بْنَ كَلَدَةَ أَخَا ثَقِيفٍ فَإِنَّهُ رجل يتطبب فليأخذ سبع تمرات منم عَجْوَةِ الْمَدِينَةِ فَلْيَجَأْهُنَّ بِنَوَاهُنَّ ثُمَّ لِيَلُدَّكَ بِهِنَّ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৪২২৫
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) তাজা পাকা খেজুর দ্বারা খরবুজা খাইতেন। – তিরমিযী, আর আবু দাউদ এই কথাটি বর্ধিত করিয়াছেন—এবং তিনি বলিতেন, ইহার (খরবুজার) শীতলতা উহার (খেজুরের) উষ্ণতা এবং উহার উষ্ণতা ইহার শীতলতা সংশোধন করিয়া দেয়। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।
كتاب الأطعمة
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْكُلُ الْبِطِّيخَ بِالرُّطَبِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَزَادَ أَبُو دَاوُدَ: وَيَقُولُ: «يَكْسِرُ حَرَّ هَذَا بِبَرْدِ هَذَا وَبَرْدَ هَذَا بِحَرِّ هَذَا» . وَقَالَ التِّرْمِذِيّ: هَذَا حَدِيث حسن غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২২৬
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ)-এর খেদমতে পুরাতন খেজুর পেশ করা হইল। তিনি উহা খুঁটিতে এবং উহা হইতে পোকা বাহির করিতে লাগিলেন। –আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَن أَنَسٍ قَالَ: أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَمْرٍ عَتِيقٍ فَجَعَلَ يُفَتِّشُهُ وَيُخْرِجُ السُّوسَ مِنْهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৪২২৭
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তবুকের যুদ্ধের সময় নবী (ﷺ)-এর জন্য এক টুকরা পনির আনা হইল। তখন তিনি ছুরি আনাইলেন এবং বিসমিল্লাহ্ বলিয়া কাটিলেন। –আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجُبُنَّةٍ فِي تَبُوكَ فَدَعَا بالسكين فسمَّى وقطَعَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২২৮
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৮। হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ঘি, পনির ও বন্য গাধা (খাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইল । তিনি বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার কিতাবে যাহাকিছু হালাল বলিয়াছেন উহাই হালাল এবং তাঁহার কিতাবে যাহাকিছু হারাম বলিয়াছেন, উহা হারাম। আর যাহা হইতে নীরব রহিয়াছেন তাহা মার্জনীয়। — ইবনে মাজাহ্ ও তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব। তবে অধিক সহীহ্ কথা হইল, উহা মউকুফ।
كتاب الأطعمة
وَعَنْ سَلْمَانَ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ السَّمْنِ وَالْجُبْنِ وَالْفِرَاءِ فَقَالَ: «الْحَلَالُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ وَالْحَرَامُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ مِمَّا عَفَا عَنْهُ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وموقوفٌ على الأصحِّ
হাদীস নং: ৪২২৯
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ঘি-দুধে মিশ্রিত চুপসা ভিজা ধবধবে সাদা উত্তম গমের আটার তৈয়ারী রুটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই কথা শুনিয়া জনতার মধ্য হইতে এক ব্যক্তি উঠিয়া দাঁড়াইল এবং (হুযূর [ﷺ]-এর আকাঙ্ক্ষানুযায়ী) রুটি তৈয়ার করিয়া তাঁহার খেদমতে লইয়া আসিল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, (যে ঘি দ্বারা রুটি প্রস্তুত করা হইয়াছে, উহা কেমন ধরনের পাত্রে রাখা ছিল? সে বলিল, গেবই সাপের চামড়ার থলির মধ্যে। তখন তিনি বলিলেন, (আমার সন্মুখ হইতে) ইহা তুলিয়া নাও। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ এবং আবু দাউদ বলিয়াছেন, হাদীসটি মুনকার।
كتاب الأطعمة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَدِدْتُ أَنَّ عِنْدِي خُبزةً بيضاءَ منْ بُرَّةٍ سَمْرَاءَ مُلَبَّقَةً بِسَمْنٍ وَلَبَنٍ» فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَاتَّخَذَهُ فَجَاءَ بِهِ فَقَالَ: «فِي أَيِّ شَيْءٍ كَانَ هَذَا؟» قَالَ فِي عُكَّةِ ضَبٍّ قَالَ: «ارْفَعْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ أَبُو دَاوُد: هَذَا حَدِيث مُنكر
হাদীস নং: ৪২৩০
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩০। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রান্না করা ব্যতীত রসুন খাইতে নিষেধ করিয়াছেন। — তিরমিযী ও আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَن أَكْلِ الثُّومِ إِلَّا مَطْبُوخًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৩১
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩১। হযরত আবু যিয়াদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে পিয়াজ (খাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইল। তিনি বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সর্বশেষ খানা যাহা খাইয়াছেন, তন্মধ্যে পিয়াজ ছিল। — আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَن أبي زيادٍ قَالَ: سُئلتْ عائشةُ عَنِ الْبَصَلِ فَقَالَتْ: إِنَّ آخِرَ طَعَامٍ أَكَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامُ فِيهِ بصل. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৩২
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩২। সোলামী গোত্রীয় বুরের দুই পুত্র বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের কাছে আসিলেন, তখন আমরা মাখন ও খেজুর তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত করিলাম। আসলে তিনি মাখন ও খেজুর (খাইতে) বেশী পছন্দ করিতেন। —আবু দাউদ
كتاب الأطعمة
وَعَن ابْنيْ بُسرٍ السُّلَمِيَّين قَالَا: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدَّمْنَا زُبْدًا وَتَمْرًا وَكَانَ يُحِبُّ الزبدَ والتمرِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৩৩
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৩। হযরত ইকরাশ ইবনে যুয়াইব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমাদের সম্মুখে বৃহদাকারের একটি খাদ্যপাত্র আনা হইল। পাত্রটি ছিল সারীদ ও গোশতের টুকরাবিশিষ্ট। আমি আমার হাত দিয়া পাত্রের চার পাশ হইতে লইতে লাগিলাম। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের সম্মুখ হইতে খাইতেছিলেন। এমন সময় তিনি বাম হাত দ্বারা আমার ডান হাত ধরিয়া ফেলিলেন, এবং বলিলেনঃ হে ইক্রাশ! এক জায়গা হইতে খাও, কেননা, ইহা এক প্রকারের খাদ্য। (বর্ণনাকারী ইকরাশ বলেন,) অতঃপর আমাদের সম্মুখে একখানি থালা আনা হইল। তন্মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্রকারের খেজুর। তখন আমি কেবলমাত্র আমার সম্মুখ হইতে খাইতে লাগিলাম। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাত গোটা থালার মধ্যেই ঘুরিতেছিল। তখন তিনি বলিলেন, হে ইকরাশ! থালার যেই জায়গা হইতে ইচ্ছা হয় খাও, কেননা, ইহা এক প্রকারের নহে। অতঃপর আমাদের জন্য পানি আনা হইল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের উভয় হাত ধুলেন এবং ভিজা হাত দ্বারা মুখমণ্ডল, বাহুদ্বয় ও মাথা মুছিয়া নিলেন এবং বলিলেন, হে ইকরাশ! ইহা হইল সেই খাদ্যের ওযূ যাহাকে আগুন পরিবর্তন করিয়া দিয়াছে। (অর্থাৎ, রান্না করা হইয়াছে।) —তিরমিযী
كتاب الأطعمة
وَعَنْ عِكْرَاشِ بْنِ ذُؤَيْبٍ قَالَ: أُتِينَا بِجَفْنَةٍ كَثِيرَة من الثَّرِيدِ وَالْوَذْرِ فَخَبَطْتُ بِيَدِي فِي نَوَاحِيهَا وَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ بَيْنِ يَدَيْهِ فَقَبَضَ بِيَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى يَدِيَ الْيُمْنَى ثُمَّ قَالَ: «يَا عِكْرَاشُ كُلْ مِنْ مَوْضِعٍ وَاحِدٍ فَإِنَّهُ طَعَامٌ وَاحِدٌ» . ثُمَّ أَتَيْنَا بِطَبَقٍ فِيهِ أَلْوَانُ التَّمْرِ فَجَعَلْتُ آكُلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَجَالَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطبقِ فَقَالَ: «يَا عِكْرَاشُ كُلْ مِنْ حَيْثُ شِئْتَ فَإِنَّهُ غَيْرُ لَوْنٍ وَاحِدٍ» ثُمَّ أَتَيْنَا بِمَاءٍ فَغَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ وَمسح بَلل كَفَّيْهِ وَجْهَهُ وَذِرَاعَيْهِ وَرَأْسَهُ وَقَالَ: «يَا عِكْرَاشُ هَذَا الْوُضُوءُ مِمَّا غَيَّرَتِ النَّارُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
হাদীস নং: ৪২৩৪
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরিবারস্থ কাহারো জ্বর হইলে তিনি হাসা প্রস্তুত করিতে বলিতেন এবং উহা চাটিয়া খাইতে নির্দেশ দিতেন। তিনি বলিতেনঃ ইহা চিন্তাযুক্ত মনকে সুদৃঢ় করে এবং পীড়িতের অন্তর হইতে রোগের ক্লেশকে দূর করে, যেমন তোমাদের নারীদের কেহ পানি দ্বারা নিজের মুখমণ্ডল হইতে ময়লা দূর করিয়া থাকে। – তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
كتاب الأطعمة
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَخَذَ أَهْلَهُ الْوَعْكُ أَمَرَ بِالْحَسَاءِ فصُنعَ ثمَّ أَمر فَحَسَوْا مِنْهُ وَكَانَ يَقُولُ: «إِنَّهُ لَيَرْتُو فُؤَادُ الحزين ويسرو عَن فؤاد السقيم كَمَا تسروا إِحْدَاكُنَّ الْوَسَخَ بِالْمَاءِ عَنْ وَجْهِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
হাদীস নং: ৪২৩৫
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২৩৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আজওয়া বেহেশতের ফল, উহার মধ্যে বিষ প্রতিষেধকতা রহিয়াছে। আর ব্যাঙের ছাতা মান্ন জাতীয়, উহার পানি চক্ষু রোগের জন্য উপশম। —তিরমিযী
كتاب الأطعمة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَجْوَةُ مِنَ الْجَنَّةِ وَفِيهَا شِفَاءٌ مِنَ السُّمِّ وَالْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وماؤُها شفاءٌ للعينِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৪৩
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের ইজ্জত করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তাহার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই ভাল কথা বলে, নতুবা যেন চুপ থাকে। অপর এক রেওয়ায়তে 'প্রতিবেশীর স্থলে রহিয়াছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই আত্মীয়ের হক আদায় করে। -মোত্তাঃ
كتاب الأطعمة
بَابُ الضِّيَافَةِ: الْفَصْل الأول
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُؤْذِ جَارَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ» . وَفِي رِوَايَةٍ: بَدَلَ «الْجَارِ» وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَصِلْ رحِمَه
হাদীস নং: ৪২৪৪
- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৪। হযরত আবু শুরাইহ্ আলকা'বী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তাহার অতিথির সম্মান করে। অতিথির জন্য উত্তম খানাপিনার ব্যবস্থা করা চাই এক দিন ও এক রাত। আর (সাধারণভাবে) আতিথেয়তা হইল তিন দিন। ইহার পর যাহা করিবে তাহা হইবে সদকা। আর মেহমানের জন্য জায়েয নহে এত সময় মেযবানের গৃহে অবস্থান করা যাহাতে তাহার কষ্ট হয়। —মোত্তাঃ
كتاب الأطعمة
وَعَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَالضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ فَمَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَهُ حَتَّى يُحَرِّجَهُ»