মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৯৬১
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে
৫৯৬১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোগ যখন বাড়িয়া গেল এবং তিনি বেহুশ হইতে লাগিলেন, তখন ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, আহা। আমার আব্বাজান কত কষ্ট পাইতেছেন। এই কথা শুনিয়া রাসুলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন: তোমার আব্বাজানের উপর আজিকার পর আর কোন কষ্ট নাই। অতঃপর যখন তিনি ইনতেকাল করিলেন, তখন ফাতেমা (রাঃ) বলিতে লাগিলেন, "ওগো আমার আব্বাজান। রব আপনাকে আহ্বান করিয়াছেন এবং ইহাতে সাড়া দিয়া আপনিও তাঁহার সান্নিধ্যে চলিয়া গেলেন। ওগো আমার আব্বাজান। জান্নাতুল ফেরদাউস আপনার স্থান। হায়। আমার আব্বাজান! আপনার মৃত্যু-সংবাদ আমি জিবরাঈলকে শুনাইতেছি।' (হযরত আনাস বলেন,) রাসুলুল্লাহ্ (ছাঃ)-কে যখন দাফন করা হইল, তখন ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, হে আনাস, তোমাদের অন্তর ইহা কিরূপে সহ্য করিল যে, তোমরা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মাটি ঢালিলে । —বুখারী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَن أنس قَالَ: لما ثقل النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ يَتَغَشَّاهُ الْكَرْبُ. فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: وَاكَرْبَ آبَاهْ فَقَالَ لَهَا: «لَيْسَ عَلَى أَبِيكِ كَرْبٌ بَعْدَ الْيَوْمِ» . فَلَمَّا مَاتَ قَالَتْ: يَا أَبَتَاهُ أَجَابَ رَبًّا دَعَاهُ يَا أَبَتَاهُ مَنْ جَنَّةُ الْفِرْدَوْسِ مَأْوَاهُ يَا أَبَتَاهُ إِلَى جِبْرِيلَ نَنْعَاهُ. فَلَمَّا دُفِنَ قَالَتْ فَاطِمَةُ: يَا أَنَسُ أَطَابَتْ أَنْفُسُكُمْ أَنْ تَحْثُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التُّرَابَ؟ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৬৪
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে
৫৯৬৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সুস্থ অবস্থায় প্রায়শ বলিতেন, প্রত্যেক নবীকে মৃত্যুর পূর্বে জান্নাতে তাঁহার নিবাস দেখাইয়া দেওয়া হয়, তারপর তাঁহাকে এখতিয়ার দেওয়া হয়। (অর্থাৎ, তিনি চাহিলে কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়ায় থাকিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করিলে জান্নাতে গিয়া অবস্থান করিতে পারেন।) হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন মৃত্যু-রোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁহার মাথা ছিল আমার রানের উপর। এই সময় তিনি অচেতন হইয়া পড়িলেন। অতঃপর চৈতন্য ফিরিয়া আসিলে ঘরের ছাদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। তারপর বলিলেনঃ হে আল্লাহ্। উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বন্ধুর সঙ্গে। তখন আমি মনে মনে বলিলাম, এখন তিনি আমাদের কাছে থাকা পছন্দ করিবেন না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আর আমি ইহা বুঝিতে পারিলাম, সুস্থ অবস্থায় তিনি যেই কথাটি বলিতেন, ইহা সেই কথারই বহিঃপ্রকাশ। আর সেই কথাটি হইল, প্রত্যেক নবীকে মৃত্যুর পূর্বে জান্নাতে তাঁহার নিবাস দেখাইয়া দেওয়ার পর তাঁহাকে এখতিয়ার দেওয়া হয়। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) সর্বশেষ এই বাক্যটি উচ্চারণ করেন, “আল্লা-হুম্মা আররাফীকাল আ'লা।” –মোত্তাঃ
كتاب الفضائل والشمائل
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ صَحِيح: «لَنْ يُقْبَضَ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يُرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرَ» . قَالَتْ عَائِشَةُ: فَلَمَّا نَزَلَ بِهِ ورأسُه على فَخذِي غُشِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَأَشْخَصَ بَصَرُهُ إِلَى السَّقْفِ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الْأَعْلَى» . قُلْتُ: إِذَنْ لَا يَخْتَارُنَا. قَالَتْ: وَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَدِيثُ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُنَا بِهِ وَهُوَ صَحِيحٌ فِي قَوْلِهِ: «إِنَّهُ لَنْ يُقْبَضَ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يُرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرَ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَكَانَ آخِرُ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «اللَّهُمَّ الرفيق الْأَعْلَى» . مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক: