মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

তালাক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
তালাক অধ্যায়
অধ্যায় : তালাক

পরিচ্ছেদ: প্রয়োজনে তালাক বৈধ, প্রয়োজন না হলে তা মাকরূহ হওয়া এবং এ বিষয়ে পিতার আনুগত্য প্রসঙ্গ।
১। 'আসিম ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাফসা বিনতে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-কে তালাক দেন। পরে তাকে ফিরিয়ে নেন।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, দারিমী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। আবু দাউদ (র) ও মুনযিরী (র) হাদীসটি সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেননি।)
كتاب الطلاق
كتاب الطلاق

باب في جوازه للحاجة وكراهته مع عدمها وطاعة الوالد فيه
عن عاصم بن عمرأن رسول الله صلى الله عليه وسلم طلق حفصة بنت عمر بن الخطاب ثم ارتجعها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
তালাক অধ্যায়
অধ্যায় : তালাক

পরিচ্ছেদ: প্রয়োজনে তালাক বৈধ, প্রয়োজন না হলে তা মাকরূহ হওয়া এবং এ বিষয়ে পিতার আনুগত্য প্রসঙ্গ।
২। লাকীত ইবন সাবিরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমার এক স্ত্রী আছে। তারপর তিনি তার কথাবার্তায় ঔদ্ধত্যপনা ও কষ্ট প্রদান সম্বন্ধে অভিযোগ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! সে (অনেক দিন হতে) আমার সংশ্রবে আছে এবং তার থেকে আমার সন্তানও রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে তাকে রেখে দাও এবং তাকে (কল্যাণকর বিষয়ের) নির্দেশ দাও। যদি তার মধ্যে ভাল কিছু থাকে, তবে সে অবশ্যই আমল করবে আর তুমি তোমার স্ত্রীকে প্রহার করো না; যেরূপ তোমার দাসীকে প্রহার করে থাক।
(হাদীসটি বিবাহ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الطلاق
كتاب الطلاق

باب في جوازه للحاجة وكراهته مع عدمها وطاعة الوالد فيه
عن لقيط بن صبرة قال يا رسول الله إن لي امرة فذكر من طول لسانها وإيذائها فقال طلقها، قال يا رسول إنها ذات صحبة وولد قال فأمسكها وأسرها فإن يك فيها خير فستفعل، ولا تضرب ظعينتك ضرب أمتك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
তালাক অধ্যায়
অধ্যায় : তালাক

পরিচ্ছেদ: প্রয়োজনে তালাক বৈধ, প্রয়োজন না হলে তা মাকরূহ হওয়া এবং এ বিষয়ে পিতার আনুগত্য প্রসঙ্গ।
৩। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আযাদকৃত দাস হযরত সাওবান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে মহিলা তার স্বামীর নিকট কোন অসুবিধা না থাকা সত্ত্বেও তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের ঘ্রাণও হারাম।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, দারিমী, ইবন হিব্বান, হাকিম। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্তে উপনীত হওয়ায় হাকিম (র) এটাকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী (র) তাকে সমর্থন করেছেন। হাফিয (র) বলেছেন, ইবন খুযায়মা (র) ও ইবন হিব্বান (র) ইহাকে সহীহ বলেছেন। আহমাদ (র)-এর বর্ণনায় এর সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
كتاب الطلاق
كتاب الطلاق

باب في جوازه للحاجة وكراهته مع عدمها وطاعة الوالد فيه
عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أيما امرأة سألت زوجها الطلاق من غير ما بأس فحرام عليها رائحة الجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
তালাক অধ্যায়
অধ্যায় : তালাক

পরিচ্ছেদ: প্রয়োজনে তালাক বৈধ, প্রয়োজন না হলে তা মাকরূহ হওয়া এবং এ বিষয়ে পিতার আনুগত্য প্রসঙ্গ।
৪। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব করবে না। কোন মহিলাকে তার ফুফু এবং খালার উপর (সতীনরূপে) বিয়ে করা যাবে না। কোন মহিলা তার বোনের তালাক চাইবে না, তার পাত্রে যা আছে তা ভোগ করার এবং নিজে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে। কেননা, আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তাই সে ভোগ করবে।
(হাদীসটি বিবাহ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الطلاق
كتاب الطلاق

باب في جوازه للحاجة وكراهته مع عدمها وطاعة الوالد فيه
عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يخطب الرجل على خطبة أخيه، ولا تنكح المرأة على عمتها ولا على خالتها، ولا تسأل طلاق أختها لتكتفئ ما في صفحتها ولتنكح فإنما لها ما كتب الله لها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
তালাক অধ্যায়
অধ্যায় : তালাক

পরিচ্ছেদ: প্রয়োজনে তালাক বৈধ, প্রয়োজন না হলে তা মাকরূহ হওয়া এবং এ বিষয়ে পিতার আনুগত্য প্রসঙ্গ।
৫। হামযাহ ইবন আবদিল্লাহ ইবন উমর (র) সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার এক স্ত্রী ছিল, তাকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা তাকে অপছন্দ করতেন। এ জন্য তিনি আমাকে নির্দেশ দেন যাতে আমি তাকে তালাক দেই। কিন্তু আমি তা করতে অস্বীকার করলাম। তারপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আব্দুল্লাহ ইবন উমর-এর এক স্ত্রী আছে, যাকে আমি অপছন্দ করি। এ জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, যাতে সে তাকে তালাক দেয়। কিন্তু সে তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র বললেন, হে আবদুল্লাহ! তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দাও। তারপর তিনি তাকে তালাক দিলেন। (অন্য শব্দে) তুমি তোমার পিতার কথা মান্য কর।
(ইমাম চতুষ্ঠয়। তিরমিযী (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আবূ দাউদ (র) এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেননি।)
كتاب الطلاق
كتاب الطلاق

باب في جوازه للحاجة وكراهته مع عدمها وطاعة الوالد فيه
عن حمزة بن عبد الله بن عمرعن أبيه قال كانت تحتي امرأة أحبها وكان عمر يكرهها فأمرني أن أطلقها فأبيت فأتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إن عند عبد الله بن عمر امرأة كرهتها ل فأمرته أن يطلقها فأبى، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عبد الله طلق امرأتك فطلقتها (وفي لفظ) فقال أطع أباك.
হাদীস নং: ৬
তালাক অধ্যায়
অনুচ্ছেদ : হায়েয অবস্থায় এবং সহবাসের পর গর্ভ সঞ্চারের নিদর্শন প্রকাশ না পেলে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়া নিষিদ্ধ।
৬। আনাস ইবন সীরীন (র) সূত্রে হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি (আনাস (র)) বলেন, আমি ইবন উমর (রা)-কে তার স্ত্রী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যাকে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে তালাক দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, আমি তাকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছিলাম। তারপর আমি ঘটনাটি (আমার পিতা) 'উমর (রা)-কে অবহিত করলে, তিনি নবী (ﷺ)-কে তা জানালেন। নবী (ﷺ) বললেন, তাকে নির্দেশ দাও যেন স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে। তারপর স্ত্রী (হায়েয হতে) পবিত্র হলে সুন্নাহ অনুযায়ী তালাক দিবে। ইবন উমর (রা) বলেন, আমি তাই করলাম। বর্ণনাকারী আনাস (র) বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি তাকে হায়েয অবস্থায় যে তালাক দিয়েছিলেন তা কি (তালাকের সংখ্যায়) গণ্য করেছেন? তিনি বললেন, আমার কি হল যে, আমি তা গণ্য করব না? যদিও আমি (যথাসময়ে তালাক দানে) ব্যর্থ হয়েছি এবং মূর্খতার পরিচয় দিয়েছি (অর্থাৎ হায়েয অবস্থা- তালাক দেওয়া মূর্খতাপূর্ণ কাজ। এতদসত্ত্বেও তালাক দিলে তা ধর্তব্য হবে।)
(বুখারী, মুসলিম, দারিমী, বায়হাকী, ইমাম চতুষ্ঠয় ও ইমামদ্বয়)
كتاب الطلاق
باب النهي عن الطلاق في الحيض وفي الطهر بعد أن يجامعها ما لم يبن حملها
عن أنس ابن سيرين عن ابن عمر قال سألته عن امرأته التي طلق على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال طلقتها وهي حائض فذكرت ذلك لعمر فذكره عمر للنبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم مر هـ فليراجعها فإذا طهرت فليطلقها في طهورها للسنة قال ففعلت، قال أنس فسألته هل اعتددت بالتي طلقتها وهي حائض؟ قال وما لي لا أعتد بها وإن كنت عجزت واستحمقت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
তালাক অধ্যায়
অনুচ্ছেদ : হায়েয অবস্থায় এবং সহবাসের পর গর্ভ সঞ্চারের নিদর্শন প্রকাশ না পেলে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়া নিষিদ্ধ।
৭। সালিম ইবন আবদিল্লাহ (র) সূত্রে হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি স্বীয় স্ত্রীকে হায়েযগ্রস্ত অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। উমর (রা) নবী (ﷺ) -কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তাকে নির্দেশ দাও সে যেন তাকে ফিরিয়ে এনে পবিত্র অথবা গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়।
(মুসলিম, বায়হাকী ও ইমাম চতুষ্ঠ)
كتاب الطلاق
باب النهي عن الطلاق في الحيض وفي الطهر بعد أن يجامعها ما لم يبن حملها
عن سالم يعني ابن عبد الله عن ابن عمر أنه طلق امرأته وهي حائض فسأل عمر النبي صلى الله عليه وسلم فقال مره فليراجعها ثم ليطلقها طاهرًا أو حاملا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
তালাক অধ্যায়
অনুচ্ছেদ : হায়েয অবস্থায় এবং সহবাসের পর গর্ভ সঞ্চারের নিদর্শন প্রকাশ না পেলে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়া নিষিদ্ধ।
৮। নাফি' (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন 'উমর (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে স্বীয় স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় এক তালাক দেন। তখন উমর (রা) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবদুল্লাহ তো স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় এক তালাক দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দেন যাতে তাকে ফিরিয়ে এনে (হায়েয হতে) পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত নিজের কাছে রাখে। তারপর পরবর্তী হায়েয আসলে তাকে হায়েয হতে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। তারপর তাকে তালাক দিতে চাইলে পবিত্র অবস্থায় সহবাস করার পূর্বে তালাক দিবে। এটাই সেই ইদ্দত যা অনুযায়ী আল্লাহ তা'আলা স্ত্রীদেরকে তালাক দানের জন্য নির্দেশ করেছেন। (বর্ণনাকারী বলেন) হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-কে এ (তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেওয়া) সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, যদি তুমি তোমার স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাক (তবে তাকে ফিরিয়ে নিবে)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর যদি তাকে তিন তালাক দিয়ে থাক তবে সে তোমার জন্য হারাম হয়ে যাবে, যাবত না সে তোমাকে ব্যতীত অন্য স্বামী বিয়ে করে। আর আল্লাহ তা'আলা স্ত্রী তালাক দানের ব্যাপারে তোমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা তুমি অমান্য করলে। (কেননা, তিনি স্ত্রীকে পবিত্র অবস্থায় তালাক দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আর তুমি তাকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছ।)
(মুসলিম, নাসাঈ ও ইমামদ্বয়)
كتاب الطلاق
باب النهي عن الطلاق في الحيض وفي الطهر بعد أن يجامعها ما لم يبن حملها
عن نافع أن عبد الله بن عمر طلق امرأته، وهي حائض تطليقه واحدة على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال عمر يا رسول الله إن عبد الله طلق امرأته تطليقة واحدة وهي حائض فأمره رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يراجعها ويمسكها حتى تطهر ثم تحيض عنده حيضة أخرى ثم يمهلها حتى تطهر من حيضتها فإن أراد أن يطلقها فليطلقها حين تطهر قبل أن يجامعها فتلك العدة التي أمر الله تعالى أن يطلق لها النساء، وكان عبد الله إذا سئل عن ذلك فقال لأحدهم أما أنت طلقت امرأتك مرة أو مرتين فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرني بها، فإن كنت طلقتها ثلاثا فقد حرمت عليك حتى تنكح زوجا غيرك وعصيت الله تعالى فيما أمرك من طلاق امرأتك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
তালাক অধ্যায়
অনুচ্ছেদ : হায়েয অবস্থায় এবং সহবাসের পর গর্ভ সঞ্চারের নিদর্শন প্রকাশ না পেলে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়া নিষিদ্ধ।
৯। আবূ যুবায়র (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত জাবির (রা)-কে সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যে তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তিনি বললেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। তখন (তার পিতা) উমর (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এসে তাকে এ বিষয়ে সংবাদ দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-বললেন, সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। কেননা, সে তার স্ত্রী।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ (র) বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী ইবন লাহি'আ ব্যতীত অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। হাদীসটি হাসান।)
كتاب الطلاق
باب النهي عن الطلاق في الحيض وفي الطهر بعد أن يجامعها ما لم يبن حملها
عن أبي الزبيرقال سألت جابرا عن الرجل يطلق امرأته وهي حائض فقال طلق عبد الله بن عمر امرأته وهي حائض فأتى عمر رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبره ذلك فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليراجعها فإنها امرأته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
তালাক অধ্যায়
অনুচ্ছেদ : হায়েয অবস্থায় এবং সহবাসের পর গর্ভ সঞ্চারের নিদর্শন প্রকাশ না পেলে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়া নিষিদ্ধ।
১০। ইবন জুরায়জ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আবু যুবায়র সংবাদ দিয়েছেন যে, আবদুর রহমান ইব্‌ন আয়মান (র) ইবন উমর (রা)-এর নিকট প্রশ্ন করেছিলেন আর আবূ যুবায়র তা শুনেছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিলে আপনি তা কিরূপ মনে করেন? তিনি বললেন, ইবন উমর (রা) তার স্ত্রীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে তালাক দিয়েছিলেন। এরপর (তার পিতা) উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবদুল্লাহ তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। নবী (ﷺ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। এ কথা বলে তিনি আমার দেওয়া তালাক আমার ওপর রদ করলেন, তিনি এটাকে কিছুই গণ্য করেন নি। তারপর বললেন, যখন সে পবিত্র হবে তখন (ইচ্ছা হলে) তাকে তালাক দিবে, অথবা তাকে রেখে দিবে। ইবন উমর (রা) বলেন, এরপর নবী (ﷺ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাঠ করলেন,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ .
(হে নবী (ﷺ)! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিতে ইচ্ছা কর, তবে তাদেরকে তালাক দিবে ইদ্দত শুরু হওয়ার পূর্বে)
বর্ণনাকারী ইবন জুরায়জ (র) বলেন, আমি মুজাহিদ (র)-কে এরূপই পাঠ করতে শুনেছি।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য ইমাম মুসলিম (র) وَلَمْ يَرَهَا شَيْئًا (তিনি এটাকে কিছুই গণ্য করেন নি) ব্যতীত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الطلاق
باب النهي عن الطلاق في الحيض وفي الطهر بعد أن يجامعها ما لم يبن حملها
عن ابن جريج أخبرني أبو الزبير أنه سمع عبد الرحمن بن أيمن يسأل ابن عمر وأبو الزبيريسمع فقال كيف ترى في رجل طلق امرأته حائضا؟ فقال أن ابن عمر طلق امرأته على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال عمر يا رسول الله أن عبد الله طلق امرأته وهي حائض، فقال النبي صلى الله عليه وسلم ليراجعها (على ولم يرها شيئا وقال فردها) إذا طهرت فليطلق أو يمسك قال ابن عمر وقرأ النبي صلى الله عليه وسلم {يا أيها النبي إذا طلقتم النساء فطلقوهن في قبل عدتهن} قال ابن جريج وسمعت مجاهدا يقرؤها كذلك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: একত্রে বা পৃথকভাবে তিন তালাক প্রসঙ্গ।
১১। ইবন আব্বাস (রা)-এর আযাদকৃত দাস 'ইকরিমা (র) সূত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনু মুত্তালিব সম্প্রদায়ের রুকানা ইবন আবদি ইয়াযীদ (রা) তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক প্রদান করেন। পরে তিনি তার প্রতি অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তুমি কিভাবে তালাক দিয়েছ? তিনি বললেন, আমি তাকে তিন তালাক দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, এক বৈঠকে দিয়েছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে এটা এক তালাক হয়েছে, যদি তুমি চাও তবে তাকে ফিরিয়ে আনতে পার। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তাকে ফিরিয়ে আনেন। (বর্ণনাকারী বলেন) এ জন্য ইবন আব্বাস (রা) মনে করেন যে, তালাক কেবল তুহুর (দুই হায়েযের মধ্যবর্তী সময়)-এর মধ্যে দিতে হয়। (অথ্যাৎ যে ব্যক্তি স্ত্রীকে তালাক দিতে চায় সে প্রত্যেক তুহুরে এক তালাক দিবে। এভাবে তিন তুহুরে তিন তালাক পূর্ণ করবে।)
(হাফিয (র) বলেছেন, হাদীসটি আহমাদ (র) ও আবূ ইয়া'লা (র) বর্ণনা করেছেন এবং তাঁরা এটাকে সহীহ বলেছেন। হাফিয ইবন কায়্যিম (র) বলেছেন, আহমাদ (র) এর সনদকে সহীহ ও হাসান বলেছেন।)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في طلاق الثلاث مجتمعا ومتفرقا
عن عكرمة مولى ابن عباس عن ابن عباس قال طلق ركانه بن عبد يزيد أخو بني مطلب امرأته ثلاثا في مجلس واحد فحزن عليها حزنا شديدا قال فسأله رسول الله صلى الله عليه وسلم كيف طلقتها؟ قال طلقتها ثلاثا، قال فقال في مجلس واحد؟ قال نعم، قال فإنما تلك واحدة فارجعها إن شئت، قال فرجعها فكان ابن عباس يرى إنما الطلاق عند كل طهر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: একত্রে বা পৃথকভাবে তিন তালাক প্রসঙ্গ।
১২। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবূ বাকর (রা)-এর যুগে এবং উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর শাসনামলের দু' বছর তিন তালাককে এক তালাক ধরা হত। তখন উমর (রা) বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি তাড়াহুড়া করেছে, যাতে তাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত ছিল। এখন যদি আমরা বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর করি, (তবে এটাই তাদের জন্য কল্যাণকর হবে।) সুতরাং তিনি এটা (তিন তালাকের ক্ষেত্রে তিন তালাকই পতিত হওয়ার বিধান) তাদের জন্য কার্যকর করে দিলেন।
(মুসলিম ও অন্যান্য। আবূ দাউদ (র)ও অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে অতিরিক্ত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর যুগে কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিলে তা এক তালাক ধরা হত। কিন্তু নববী (ﷺ) (র) আবু দাউদ-এর বর্ণনাকে দূর্বল সাব্যস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, হাদীসটি আইয়ূব সাখতিয়ানী (র) অজ্ঞাত কিছু লোক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং এটা হুজ্জত হতে পারে না।)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في طلاق الثلاث مجتمعا ومتفرقا
عن ابن عباس قال كن الطلاق على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبي بكر وسنتين من خلافة عمر بن الخطاب طلاق الثلاث واحدة، فقال عمر إن الناس قد استعجلوا في أمر كان لهم فيه أناة فلو أمضينا عليهم فأمضاه عليهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: একত্রে বা পৃথকভাবে তিন তালাক প্রসঙ্গ।
১৩। সাহল ইবন সা'দ সা'ঈদী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বনু 'আজলান গোত্রের উওয়ায়মির (রা) তার স্ত্রীর সঙ্গে লি'আন করেন তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), যদি আমি তাকে আটকে রাখি তবে তা জুলুম হবে। তাকে তালাক, তাকে তালাক, তাকে তালাক। অন্য শব্দে : এরপর নবী (ﷺ) নির্দেশ দানের পূর্বে তিনি তাকে তিন তালাক দেন। (অন্য শব্দেঃ) বর্ণনাকারী বলেন, তারপর এটাই লি'আনের নিয়ম হয়ে গেল।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في طلاق الثلاث مجتمعا ومتفرقا
عن سهل بن سعد الساعدي قال لما لا عن عويمر أخوبني العجلان امرأته قال يا رسول الله ظلمتها إن أمسكتها، هي الطلاق وهي الطلاق وهي الطلاق (وفي لفظ) فطلقها ثلاثا قبل أن يأمره النبي صلى الله عليه وسلم (وفي لفظ) قال فصارت سنة المتلاعنين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ইঙ্গিতসূচক শব্দে তালাক, যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে এবং স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদান প্রসঙ্গ।
১৪। জা'ফার ইবন বুরকান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যুহরী (রা)-এর নিকট এক লোক সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে তার স্ত্রীকে ইখতিয়ার দিলে স্ত্রী তাকেই গ্রহণ করল (তার বিধান কি?)। তিনি বললেন, আমার নিকট 'উরওয়া ইবন যুবায়র (র) হযরত 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট এসে বললেন, আমি তোমার নিকট একটি কথা বলব, কিন্তু তুমি তোমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ না করে ত্বড়িৎ উত্তর দিবে না। আমি বললাম, সে কথা কি? এরপর তিনি আমার নিকট পাঠ করলেন,

{يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلًا (28) وَإِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا} [الأحزاب: 28، 29]

“হে নবী (ﷺ)! তুমি তোমার স্ত্রীগণকে বল, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও উহার ভূষণ কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সঙ্গে তোমাদেরকে বিদায় দেই। আর যদি তোমরা কামনা কর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ও আখিরাত, তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।"
আয়েশা (রা) বলেন, এরপর আমি বললাম, আপনি আমাকে কোন বিষয়ে আমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ করতে নির্দেশ দিয়েছেন? আমি তো বরং আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল এবং আখিরাতের জীবন গ্রহণ করব।
বর্ণনাকারী বলেন, তার এ কথা শুনে নবী (ﷺ) আনন্দিত হলেন এবং এটা তার নিকট পছন্দ হল। এরপর তিনি বললেন, আমি তোমার নিকট যা ব্যক্ত করেছি তা তোমার সঙ্গিনীদের নিকটও ব্যক্ত করব। 'আয়েশা (রা) বলেন, তখন আমি তাকে বললাম তা হলে আমি যা গ্রহণ করলাম তা তাদের কাউকে জানাবেন না। কিন্তু তিনি তা মানেন নি। তিনি 'আয়েশা (রা)-এর নিকট বিষয়টি যেরূপ ব্যক্ত করেছেন সেরূপ তাদের নিকটও ব্যক্ত করলেন এবং বললেন যে, 'আয়েশা (রা) আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল ও আখিরাতের জীবন গ্রহণ করেছে। 'আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, আমরা সেটাকে তালাক মনে করি নি।
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في الطلاق بالكناية إذا نواه وتخيير الزوجة
عن جعفر بن برقان قال سألت الزهري عن الرجل يخير امرأته فتختاره، قال حدثني عروة بن الزبير عن عائشة رضي الله عنها قالت أتاني رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إني سأعرض عليك أمرا فلا عليك أن لا تعجلي فيه حتى تشاوري أبويك؟ فقلت وما هذا الأمر قتلا علي (يا أيها النبي قل لأزواجك إن كنتن تردن الحياة الدنيا وزينتها فتعالين أمتعكن وأسرحكن سراحا جميلا، وإن كنتن تردن الله ورسوله والدار الآخرة فإن الله أعد للمحسنات منكن أجرًا عظيما) قالت عائشة فقلت وفي أي ذلك تأمرني أشاور أبوي بل أريد الله ورسوله والدار الآخرة، قالت فسر بذلك النبي صلى الله عليه وسلم وأعجبه وقال سأعرض على صواحبك ما عرضت عليك، قالت فقلت له فلا تخبرهن بالذي اخترت فلم يفعل، وقال لهن كما قال لعائشة ثم يقول قد اختارت عائشة الله ورسوله والدار الآخرة، قالت عائشة قد خيرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم نر ذلك طلاقا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ইঙ্গিতসূচক শব্দে তালাক, যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে এবং স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদান প্রসঙ্গ।
১৫। আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী (ﷺ) তাঁর সহধর্মিণীগণকে দুনিয়া ও আখিরাত গ্রহণের ব্যাপারে ইখতিয়ার দিলেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে তালাকের ইখতিয়ার দেন নি।
(হাদীসটির সনদে বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবন উবায়দিল্লাহ ইবন রাফি' দুর্বল। যাহাবী (র) বলেছেন, 'মুহাম্মাদ ইবন উবায়দিল্লাহ ইবন আবি রাফি' তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে এ সূত্রটিকে হাদীসবিশারদগণ দুর্বল বলেছেন। বুখারী (র) বলেছেন, তার সূত্রে বর্ণিত হাদীস অগ্রহণযোগ্য।)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في الطلاق بالكناية إذا نواه وتخيير الزوجة
عن علي رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم خير نساءه الدنيا والآخرة (وفي رواية بين الدنيا والآخرة) ولم يخيرهن الطلاق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ইঙ্গিতসূচক শব্দে তালাক, যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে এবং স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদান প্রসঙ্গ।
১৬। আবু উসায়দ সা'ঈদী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জাওন গোত্রের জনৈক মহিলাকে আনা হলে তিনি তার কাছে গিয়ে বললেন, তুমি নিজেকে আমার নিকট সমর্পণ কর। সে বলল, কোন রাণী কি নিজেকে তার কোন প্রজার নিকট সমর্পন করতে পারে? সে আরো বলল, আমি তোমার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তুমি উপযুক্ত সত্তার আশ্রয় নিয়েছ। (বর্ণনাকারী বলেন) এরপর তিনি আমাদের নিকট এসে বললেন, হে আবূ উসায়দ! তাকে দু'টি কাতান কাপড় পরিয়ে দাও এবং তাকে তার পরিবারের নিকট পৌঁছিয়ে দাও।
(বুখারী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, ইবন আবি শায়বা ও অন্যান্য)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في الطلاق بالكناية إذا نواه وتخيير الزوجة
عن أبي أسيد الساعدي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أوتي بالجونية ودخل عليها قال هبي لي نفسك قالت وهل تهب الملائكة نفسها للسوقة؟ قالت إني أعوذ بالله منك قال لقد عذت بمعاذ ثم خرج علينا فقال يا أبا أسيد أكسها رازقيتين وألحقها بأهلها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ইঙ্গিতসূচক শব্দে তালাক, যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে এবং স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদান প্রসঙ্গ।
১৭। কা'ব ইবন মালিক (রা)-এর তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকা সম্বন্ধে বর্ণিত হাদীসে আছে, নবী (ﷺ) ও তার সাহাবীগণ তাকে ও তার দুই সাথীকে তাদের তাওবা কবুল হওয়ার নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে বয়কট করেছিলেন। তিনি বলেন, যখন এভাবে পঞ্চাশ দিনের মধ্যে চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয় তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দূত আমার নিকট এসে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আপনি আপনার স্ত্রী হতে দূরে থাকেন। কা'ব (রা) বলেন, তখন আমি বললাম, আমি তাকে তালাক দিব, না কি করব? তিনি বললেন, না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার অপর দুই সাথীর নিকটও অনুরূপ নির্দেশ পাঠান। তিনি বলেন, এরপর আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, তুমি তোমাদের পরিবারের নিকট যাও, তাদের নিকট অবস্থান কর, যাবত না আল্লাহ এ বিষয়ে কোন নির্দেশ দেন।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في الطلاق بالكناية إذا نواه وتخيير الزوجة
عن كعب بن مالك رضي الله عنه في حديث تخلفه عن غزوة تبوك وقد هجره وصاحبيه النبي صلى الله عليه وسلم والصحابة رضي الله عنهم قبل نزول توبتهم قال حتى إذا مضت أربعون ليلة من الخمسين إذا برسول الله صلى الله عليه وسلم يأتيني فقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرك أن تعتزل امرأتك، قال فقلت أطلقها أم ماذا أفعل؟ قال بل اعتزلها فلا تقربها، قال وأرسل إلى صاحبي بمثل ذلك، قال فقلت لامرأتي الحقي بأهلك فكوني عندهم حتى يقضي الله في هذا الأمر الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ইঙ্গিতসূচক শব্দে তালাক, যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে এবং স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদান প্রসঙ্গ।
১৮। ইসমা'ঈল (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার কাছে ইয়াহইয়া ইবন আবি কাসীর (র) পত্রযোগে 'ইকরিমা (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত উমর (রা) বলতেন, হারাম একটি শপথ। (অর্থাৎ যদি কেউ তার স্ত্রীকে বলে, 'তুমি আমার উপর হারাম' তবে এটা শপথের শ্রেণীভুক্ত হবে) যার কাফ্ফারা দিতে হবে।
(বায়হাকী। বর্ণনাটির সূত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্নতা থাকার কারণে তা দুর্বল। কেননা, বর্ণনাকারী 'ইকরিমা হযরত উমর (রা)-এর সাক্ষাত পান নি।)
হিশাম (র) বলেন, ইয়াহইয়া (র) আমার নিকট লিখেছেন, তিনি ইয়া'লা ইবন হাকীম (র) সূত্রে সাঈদ ইব্‌ন জুবায়র (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত ইবন 'আব্বাস (রা) কারও নিজ স্ত্রীকে 'হারাম' বলা সম্পর্কে বলতেন, এটা শপথ। এর কাফ্ফারা দিতে হবে। এরপর ইবন 'আব্বাস (রা) বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)।
كتاب الطلاق
باب ما جاء في الطلاق بالكناية إذا نواه وتخيير الزوجة
حدثنا إسماعيل أنبأنا هشام قال كتب إلي يحيى بن أبي كثير يحدث عن عكرمة أن عمر رضي الله عنه كان يقول في الحرام يمين يكفرها قال هشام وكتب إلي يحيى يحدث عن يعلى بن حكيم عن سعيد بن جبير أن ابن عباس كان يقول في الحرام يمين يكفرها فقال ابن عباس لقد كان لكم في رسول الله أسوة حسنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : চাপ প্রয়োগকৃত ব্যক্তির তালাক এবং বিবাহের পূর্বে শর্তযুক্ত তালাক প্রসঙ্গ।
১৯। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, বলপ্রয়োগে তালাক প্রদান এবং আযাদকরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
(আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ, হাকিম। মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাকিম (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। তবে ইমাম যাহাবী (র) তাকে রদ করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবন ওবায়দ মুসলিমের নিকট নির্ভরযোগ্য নন। আবূ হাতিম (র) বলেছেন, তিনি দুর্বল। তবে ইবন হিব্বান (র) তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। হাকিম (র) হাদীসটিকে আরও এক সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তাতে মুহাম্মাদ ইব্‌ন হাতিম নেই।)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في طلاق المكره ومن علق الطلاق قبل النكاح
عن عائشة قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا طلاق ولا عتاق في إغلاق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
তালাক অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : চাপ প্রয়োগকৃত ব্যক্তির তালাক এবং বিবাহের পূর্বে শর্তযুক্ত তালাক প্রসঙ্গ।
২০। 'আমর ইব্‌ন্ শু'আয়ব (র) তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যে মহিলা স্বীয় অধিকারে নেই তাকে তালাক দিলে তালাক হয় না। যে দাসের উপর মালিকানা নেই তাকে আযাদ করা যায় না। যে পণ্য অধিকারে নেই তা বিক্রি করা যায় না।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। আবূ দাউদ (র) এবং মুনযিরী (র) হাদীসটি সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেন নি। তিরমিযী (র) বলেছেন, এটা হাসান সহীহ।)
كتاب الطلاق
باب ما جاء في طلاق المكره ومن علق الطلاق قبل النكاح
عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ليس على رجل طلاق فيما لا يملك ولا عتاق فيما لا يملك ولا بيع فيما لا يملك
tahqiq

তাহকীক: