মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
যিহার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৪
যিহার অধ্যায়
অধ্যায় : যিহার
পরিচ্ছেদ: যিহার-এর ভাষা ও কারণ
পরিচ্ছেদ: যিহার-এর ভাষা ও কারণ
৪৪। খাওলা বিনত সা'লাবা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার এবং আওস ইবন সামিত (রা)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা সূরা মুজাদালা-এর শুরুর আয়াতসমুহ অবতীর্ণ করেন। তিনি বলেন, আমি তার স্ত্রী ছিলাম। তিনি ছিলেন অতিবৃদ্ধ। তার স্বভাব খারাপ ও রুক্ষ হয়ে গিয়েছিলো। তিনি বলেন, একদা তিনি আমার নিকট আসলে আমি কোন এক ব্যাপারে তার সঙ্গে বিতর্ক করলাম। এজন্য তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, তুমি আমার জন্য আমার মায়ের পিঠের ন্যায়। খাওলা (রা) বলেন, এরপর তিনি (ঘর হতে) বেরিয়ে কিছুক্ষণ নিজ গোত্রের মজলিসে বসেন। এরপর আমার নিকট এসে তিনি আমার সঙ্গে সহবাস করার ইচ্ছা করলেন। খাওলা (রা) বলেন, তখন আমি বললাম, যে সত্তার হাতে খাওলা-এর আত্মা তার শপথ! আপনি আমার সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন না। কেননা আপনি তো আমাকে যা বলার তাই বলেছেন। সুতরাং আমাদের ব্যাপারে আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। খাওলা (রা) বলেন, এরপর তিনি আমার ওপর চেপে বসেন। কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করি। দূর্বল অতিবৃদ্ধ ব্যক্তির ওপর স্ত্রীলোক যেরূপ বিজয়ী হয় সেরূপ আমিও তার ওপর বিজয়ী হলাম। আমি তাকে আমার নিকট হতে দূরে সরিয়ে দিলাম। তিনি বলেন, এরপর আমি সেখান থেকে আমার এক প্রতিবেশীর নিকট গেলাম। তার থেকে কাপড় ধার নিয়ে আমি রাসূলূল্লাহ-এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি তার সামনে বসে আমার স্বামী আমাকে যা বলেছেন তা ব্যক্ত করলাম এবং আমি তার নিকট আমার প্রতি স্বামীর অপব্যবহার সম্বন্ধে অভিযোগ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে খুওয়াইলা। সে তোমার চাচাত ভাই এবং অতিবৃদ্ধ মানুষ। অতএব তার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তার নিকট অভিযোগ পেশ করেই যাচ্ছিলাম। অবশেষে আমার ব্যাপারে কুরআন মজীদের আয়াত অবতীর্ণ হয়। (ওহী অবতরণকালে) রাসূলূল্লাহ (ﷺ)-কে যা আচ্ছাদন করে থাকে তা তাকে আচ্ছাদন করল। কিছুক্ষণ পর তা কেটে গেল। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে খুওয়াইলা, আল্লাহ তোমার ও তোমার স্বামীর ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। তারপর তিনি আমার নিকট পাঠ করেন-
{قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا وَتَشْتَكِي إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَا إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ - وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ مُهِينٌ} [المجادلة: 1 - 5]
(আল্লাহ অবশ্যই শুনেছেন সে নারীর কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সঙ্গে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর নিকটও ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা) হতে (এবং কাফিরদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব) পর্যন্ত।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তাকে তুমি বল, সে যেন একটি দাস আযাদ করে। খাওলা (রা) বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), দাস আযাদ করার মত সাধ্য তার নেই। তিনি বললেন, তবে সে যেন একাধারে দু'মাস সাওম পালন করে। খাওলা (রা) বলেন, আমি বললাম, তিনি তো অতিবৃদ্ধ। সাওম পালন করার মত শক্তি নেই। তিনি বললেন, তবে সে যেন ষাটজন মিসকীনকে এক ওয়াসাক (৬০ সা' = ২১০ সের) খেজুর খাওয়ায়। খাওলা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। আল্লাহর শপথ! এটাও তিনি পারবেন না। খাওলা (রা) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে আমি তাকে এক 'আরাক (১৫ বা ১৬ সা') খেজুর দিয়ে সাহায্য করব? খাওলা (রা) বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আমি তাকে আরো এক 'আরাক খেজুর দিয়ে সহযোগিতা করব। তিনি বললেন, তবে এটা তোমার উপযুক্ত ও প্রশংসনীয় কাজ হবে। তুমি যাও এবং তার পক্ষ হতে সাদাকা কর আর তোমার চাচাত ভাইয়ের কল্যাণ কামনা কর। খাওলা (রা) বলেন, আমি তাই করলাম। আবদুল্লাহ (ইবন ইমাম আহমাদ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন যে, বর্ণনাকারী সা'দ (র) বলেছেন, 'আরাক হল একটি বড় পাত্র।
(আবূ দাউদ। মুনযিরী (র) ও আবু দাউদ (র) হাদীসটি সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেন নি। শাওকানী (র) বলেছেন, এর সনদে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক রয়েছে। কিন্তু মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক নির্ভরযোগ্য মুদাল্লিস। তবে উক্ত বর্ণনায় তিনি 'আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন' বাক্য ব্যবহার করেছেন। সুতরাং এটা তাদলীস মুক্ত।)
{قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا وَتَشْتَكِي إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَا إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ - وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ مُهِينٌ} [المجادلة: 1 - 5]
(আল্লাহ অবশ্যই শুনেছেন সে নারীর কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সঙ্গে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর নিকটও ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা) হতে (এবং কাফিরদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব) পর্যন্ত।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তাকে তুমি বল, সে যেন একটি দাস আযাদ করে। খাওলা (রা) বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), দাস আযাদ করার মত সাধ্য তার নেই। তিনি বললেন, তবে সে যেন একাধারে দু'মাস সাওম পালন করে। খাওলা (রা) বলেন, আমি বললাম, তিনি তো অতিবৃদ্ধ। সাওম পালন করার মত শক্তি নেই। তিনি বললেন, তবে সে যেন ষাটজন মিসকীনকে এক ওয়াসাক (৬০ সা' = ২১০ সের) খেজুর খাওয়ায়। খাওলা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। আল্লাহর শপথ! এটাও তিনি পারবেন না। খাওলা (রা) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে আমি তাকে এক 'আরাক (১৫ বা ১৬ সা') খেজুর দিয়ে সাহায্য করব? খাওলা (রা) বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আমি তাকে আরো এক 'আরাক খেজুর দিয়ে সহযোগিতা করব। তিনি বললেন, তবে এটা তোমার উপযুক্ত ও প্রশংসনীয় কাজ হবে। তুমি যাও এবং তার পক্ষ হতে সাদাকা কর আর তোমার চাচাত ভাইয়ের কল্যাণ কামনা কর। খাওলা (রা) বলেন, আমি তাই করলাম। আবদুল্লাহ (ইবন ইমাম আহমাদ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন যে, বর্ণনাকারী সা'দ (র) বলেছেন, 'আরাক হল একটি বড় পাত্র।
(আবূ দাউদ। মুনযিরী (র) ও আবু দাউদ (র) হাদীসটি সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেন নি। শাওকানী (র) বলেছেন, এর সনদে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক রয়েছে। কিন্তু মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক নির্ভরযোগ্য মুদাল্লিস। তবে উক্ত বর্ণনায় তিনি 'আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন' বাক্য ব্যবহার করেছেন। সুতরাং এটা তাদলীস মুক্ত।)
كتاب الظهار
كتاب الظهار
باب ما جاء في لفظه وسببه
باب ما جاء في لفظه وسببه
عن خولة بنت ثعلبة قالت والله في وفي أوس بن الصامت أنزل الله عز وجل صدر سورة المجادلة قالت كنث عنده وكان شيخا كبيرا قد ساء خلقه وضجر قالت فدخل علي يوما فراجعته بشيء فغضب فقال أنت علي كظهر أمي، قالت ثم خرج فجلس في نادي قومه ساعة ثم دخل علي فإذا هو يريدني على نفسي، قالت فقلت كلا والذي نفس خويلة بيده لا تخلص إلي وقد قلت ما قلت حتى يحكم الله ورسوله فينا بحكمه، قالت فواثبني وامتنعت منه فغلبته بما تغلب به المرأة الشيخ الضعيف فألقيته عني، قالت ثم خرجت إلى بعض جاراتي فاستعرت منها ثيابها ثم خرجت حتى جئت رسول الله صلى الله عليه وسلم فجلست بين يديه فذكرت له ما لقيت منه فجعلت أشكو إليه صلى الله عليه وسلم ما ألقى في سوء خلقه، قالت فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم بقول يا خويلة ابن عمك شيخ كبير فاتقي الله فيه قالت فوالله ما برحت حتى نزل في القرآن فتغشى رسول الله صلى الله عليه وسلم ما كان يتغشاه ثم سرى عنه فقال لي يا خويلة قد أنزل الله فيك وفي صاحبك، ثم قرأ علي {قد سمع الله قول التي تجادلك في زوجها وتشتكي إلى الله: والله يسمع تحاوركما إن الله سميع بصير- إلى قوله- وللكافرين عذاب أليم} فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم مريه فليعتق رقبة، قالت فقلت يا رسول الله ما عنده ما يعتق، قال فليصم شهرين متتابعين، قالت فقلت والله يا رسول الله إنه شيخ كبير ما به من صيام، قال فليطعم ستين مسكينا وسقا من تمر، قالت قلت والله يا رسول الله ما ذاك عنده قالت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فإنا سنعينه بعرق من تمر، قالت فقلت وأنا يا رسول الله سأعينه بعرق آخر قال قد أصبت وأحسنت فاذهبي فتصدقي عنه ثم استوصى بابن عمك خيرا، قالت ففعلت، قال عبد الله قال أبي قال سعد العرق الصن

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫
যিহার অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রমাযান মাসে দিনের বেলা সহবাসের আশংকায় স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করা।
৪৫। সালামা ইবন সাখর আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি স্ত্রী সহবাসে অন্যপুরুষের তুলনায় অধিক সামর্থ্যবান ছিলাম। রমযান মাস আসলে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সে মাস অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত যিহার করি। এই ভয়ে যে, হয়ত আমি রাতের বেলা আমার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হব। এরপর ক্রমাগত তা করেই যাব; অবশেষে হয়ত একদিন আমার এমন অবস্থায় হবে যে, আমি এটা থেকে বিরত হতে পারব না। একদা সে আমার খেদমত করছিল। তখন হঠাৎ তার সৌন্দর্য আমার নিকট প্রকাশ পেয়ে যায়। তখন আমি তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ি। ভোর হলে আমি আমার সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট গিয়ে তাদেরকে উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে সংবাদ দিলাম। আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আমার সঙ্গে নবী (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে আমার ঘটনা তাকে অবহিত কর। তারা বলল, না, আল্লাহর শপথ! আমরা এটা করব না। আমরা আশংকা করি যে, হয়ত আমাদের সম্বন্ধে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হবে অথবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের ব্যাপারে এমন কথা বলবেন, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক খুঁত হয়ে থাকবে। সুতরাং তুমি যাও এবং যা পার তা কর। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি বের হয়ে নবী (ﷺ)-এর নিকট আসলাম এবং তাকে আমার ঘটনা অবহিত করলাম। তিনি আমাকে বললেন, তুমি এরূপ করেছো? আমি বললাম, আমি এরূপ করেছি। তিনি আবার বললেন, তুমি এরূপ করেছো? আমি বললাম, আমি এরূপ করেছি। তিনি বললেন, তুমি এরূপ করেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমিই এরূপ করেছি। আপনি এখন আমার ওপর আল্লাহর বিধান জারি করুন। আমি তা সয়ে নিব। তিনি বললেন, তুমি একটি দাস আযাদ কর। সালামা (রা) বলেন, তখন আমি আমার ঘাড়ের ওপর হাত মেরে বললাম, হ্যাঁ, যে সত্তা আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন তার শপথ! আমি এটা ব্যতীত অন্য কিছুর মালিক নই। তিনি বললেন, তবে দু'মাস সাওম পালন কর। সালামা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আমি তো সাওম পালন করেই এ বিপদে আক্রান্ত হয়েছি। তিনি বললেন, তবে তুমি সাদাকা কর। সালামা (রা) বলেন, আমি বললাম, যে সত্তা আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন তার শপথ। আমরা গতরাত অনাহারে কাঠিয়েছি, সে রাতে আমাদের কোন খাবার ছিল না। তিনি বললেন, তুমি বনূ যুরায়ক গোত্রের সাদাকা উসূলকারীর নিকট যাও এবং তাকে বল, সে যেন তোমাকে খাদ্যশস্য দান করে। তারপর তুমি তোমার পক্ষ হতে এক ওয়াসাক (মিসকীনদেরকে) খাইয়ে দেবে। আর অবশিষ্টাংশ দ্বারা তুমি তোমার এবং তোমার পরিজনের প্রয়োজন পূরণ করবে। সালামা (রা) বলেন, এরপর আমি আমার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে তাদেরকে বললাম, আমি তোমাদের নিকট সংকীর্ণতা এবং মন্দ পরামর্শ পেয়েছি আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে প্রশস্ততা ও বরকত পেয়েছি। তিনি আমাকে তোমাদের সাদাকার মাল গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা তা আমার নিকট আদায় কর। সালামা (রা) বলেন, এরপর তারা আমার নিকট তা আদায় করে।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী। তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন আর ইবন খুযায়মা (র) ও ইবনুল জারূদ (র) সহীহ বলেছেন। হাফিয (র) বলেছেন, এর সনদে সংযোগ-বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কেননা, বর্ণনাকারী সুলায়মান (র) সালামা (রা)-এর সাক্ষাত পাননি।)
(আবূ দাউদ, তিরমিযী। তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন আর ইবন খুযায়মা (র) ও ইবনুল জারূদ (র) সহীহ বলেছেন। হাফিয (র) বলেছেন, এর সনদে সংযোগ-বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কেননা, বর্ণনাকারী সুলায়মান (র) সালামা (রা)-এর সাক্ষাত পাননি।)
كتاب الظهار
باب من ظاهر من امرأته في رمضان خشية الوقوع في الجماع بالنهار
عن سلمة بن صخر الأنصاري قال كنت امرءاً قد أوتيت من جماع النساء ما لم يؤت غيري، فلما دخل رمضان تظهرت من امرأتي حتى ينسلخ رمضان فرقا من أن أصيب في ليلتي فأتتابع في ذلك إلى أن يدركني النهار وأنا لا أقدر أن أنزع فبينما هي تخدمني إذ تكشف لي منها شيء فوثبت عليها، فلما أصبحت غدوت على قومي فأخبرتهم خبري وقلت لهم انطلقوا معي إلى النبي صلى الله عليه وسلم فأخبره بأمري، فقالوا لا والله لا نفعل، نتخوف أن ينزل فينا قرآن أو يقول فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم مقالة يتبقى علينا عارها، ولكن اذهب أنت فاصنع ما بدا لك، قال فخرجت فأتيت النبي صلى الله عليه وسلم فأخبرته خبري فقال لي أنت بذاك؟ فقلت أنا بذاك، فقال أنت بذاك؟ فقلت أنا بذاك، فقال أنت بذاك؟ قلت نعم ها أنذا فامضى في حكم الله عز وجل فإني صابر له، قال أعتق رقبة قال فضربت صفحة رقبتي بيدي وقلت لا والذي بعثك بالحق ما أصبحت أملك غيرها قال فصم شهرين، قال قلت يا رسول الله وهل أصابني ما أصابني إلا في الصيام، قال فتصدق، قال فقلت والذي بعثك بالحق لقد بتنا ليلتنا هذه وحشا مالنا عشاء، قال اذهب إلى صاحب صدقة بني زريق فقل له فليدفعها إليك فأطعم عنك منها وسقا ثم استعن بسائره عليك وعلى عيالك قال فرجعت إلى قومي فقلت وجدت عندكم الضيق وسوء الرأي ووجدت عند رسول الله صلى الله عليه وسلم السعة والبركة، وقد أمر لي بصدقتكم فادفعوها لي، قال فدفعوها إلى

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬
যিহার অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রমাযান মাসে দিনের বেলা সহবাসের আশংকায় স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করা।
৪৬। উপরোক্ত সূত্রে তার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করে কাফফারা দেওয়ার পূর্বে তার সাথে সঙ্গম করি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কাফ্ফারা দিতে বলেন।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। এটা একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ জন্য এটা হাসান।)
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। এটা একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ জন্য এটা হাসান।)
كتاب الظهار
باب من ظاهر من امرأته في رمضان خشية الوقوع في الجماع بالنهار
وعنه بالسند المتقدم قال تظاهرت من امرأتي ثم وقعت بها قبل أكفر فسألت النبي صلى الله عليه وسلم فأفتاني بالكفارة

তাহকীক: