মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

লি'আন অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৪৭
লি'আন অধ্যায়
অধ্যায় : লি'আন

পরিচ্ছেদ: লি'আনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারলে তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করা হত না।
৪৭। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, হযরত সা'দ ইবন উবাদা (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কোন পুরুষকে (আপত্তিকর অবস্থায়) পাই তবে কি আমি তাকে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করা পর্যন্ত অবকাশ দিব? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
كتاب اللعان

باب ما كان من إيجاب الحد على من قذف زوجته إن لم يأت بأربعة شهداء قبل نزول آيات اللعان
عن أبي هريرة أن سعد بن عبادة قال يا رسول الله إن وجدت مع امرأتي رجلا أمهله حتى آتاني بأربعة شهداء؟ قال نعم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৮
লি'আন অধ্যায়
অধ্যায় : লি'আন

পরিচ্ছেদ: লি'আনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারলে তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করা হত না।
৪৮। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন হিলাল ইবন উমাইয়া (রা) তার স্ত্রীকে ব্যাভিচারের অপবাদ দেয়, তখন তাকে বলা হল, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে আশিটি বেত্রাঘাত করবেন। তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে আশিটি বেত্রাঘাত করা অপেক্ষা অধিক ন্যায়পরায়ন। নিশ্চয় তিনি অবগত আছেন যে, আমি (স্বচক্ষে) তা দেখে নিশ্চিত হয়েছি এবং কথার শব্দ শুনেও নিশ্চিত হয়েছি। আল্লাহর শপথ! অবশ্যই তিনি আমাকে প্রহার করবেন না।
বর্ণনাকারী বলেন এরপর লি'আনের আয়াত অবতীর্ণ হয়।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب اللعان
كتاب اللعان

باب ما كان من إيجاب الحد على من قذف زوجته إن لم يأت بأربعة شهداء قبل نزول آيات اللعان
عن ابن عباس قال لما قذف هلال بن أمية امرأته قيل له والله ليجلدنك رسول الله صلى الله عليه وسلم ثمانين جلدة قال الله أعدل من ذلك أن يضربني ثمانين ضربة وقد علم أني قد رأيت حتى استيقنت وسمعت حتى استيقنت، لا والله لا يضربني أبدا قال فنزلت آية الملاعنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৯
লি'আন অধ্যায়
অধ্যায় : লি'আন

পরিচ্ছেদ: লি'আনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারলে তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করা হত না।
৪৯। আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা কয়েকজন জুম'আর দিন বিকালে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক আনসারী লোক বলল, যদি কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে কোন পুরুষকে (আপত্তিকর অবস্থায়) দেখে আর সে কারণে তাকে হত্যা করে তবে কি তোমরা তাকে হত্যা করবে? আর (চোখে দেখা বিষয়ে) কথা বললে বেত্রাঘাত করবে? যদি সে নীরব থাকে তবে ক্রোধ নিয়ে নীরব থাকবে। আল্লাহর শপথ! যদি আমি সুস্থ অবস্থায় প্রভাত করি তবে অবশ্যই এ সম্বন্ধে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট জিজ্ঞাসা করব। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সে তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করল। বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে কোন পুরুষকে (আপত্তিকর অবস্থা) দেখে তাকে হত্যা করে তবে কি আপনারা তাকে হত্যা করবেন আর (চোখে দেখা বিষয়ে) কথা বললে বেত্রাঘাত করবেন? যদি সে নীরব থাকে তবে ক্রোধ নিয়ে নীরব থাকবে। হে আল্লাহ! সে বিষয়ে ফয়সালা করুন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লি'আনের আয়াত অবতীর্ণ হয়। বর্ণনাকারী বলেন, সে লোকই সর্বপ্রথম এই ঘটনার শিকার হয়।
(মুসলিম আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ)
كتاب اللعان
كتاب اللعان

باب ما كان من إيجاب الحد على من قذف زوجته إن لم يأت بأربعة شهداء قبل نزول آيات اللعان
عن عبد الله قال كنا جلوسا عشية الجمعة في المسجد قال فقال رجل من الأنصار إن أحدنا رأى مع امرأته رجلا فقتله قتلتموه وإن تكلم جلدتموه وإن سكت سكت على غيظ، والله لئن أصبحت صالحا لأسألن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فسأله فقال يا رسول الله إن أحدنا رأى مع امرأته رجلا فقتله قتلتموه، وإن تكلم جلدتموه، وإن سكت سكت على غيظ اللهم احكم قال فأنزلت آية اللعان، قال فكان ذلك الرجل أول من ابتلى به
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫০
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: লি'আনের কারণে এবং অপবাদ ও লি'আন সংক্রান্ত আয়াতের ব্যাখ্যা এবং হিলাল ইবন উমাইয়া (রা)-এর ঘটনা।
৫০। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়-

وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا

অর্থ : যারা সাব্বী রমণীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি কশাঘাত করবে এবং কখনো তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না।
তখন আনসারী সাহাবীদের সরদার সা'দ ইবন উবাদা (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আয়াত কি এরূপই অবতীর্ণ হয়েছে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়। তোমাদের সরদার কী বলেন তা কি তোমরা গুনছ না? তারা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! তাকে ভর্ৎসনা করবেন না, কেননা তিনি অত্যন্ত আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন ব্যক্তি। আল্লাহর শপথ! তাঁর মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধের অতিশয়তাবশত তিনি কুমারী ব্যতীত অন্য কোন নারীকে বিবাহ করেন নি আর তিনি যে নারীকে তালাক দিয়েছেন তাকে আমাদের মধ্যে কেউ বিবাহ করার দুঃসাহস দেখায় নি। এরপর সা'দ (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ! ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! নিশ্চয় আমি বিশ্বাস করি যে এ আয়াত সত্য এবং তা আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু আমি এ জন্য বিস্মিত হচ্ছি যে, যদি আমি কোন ইতরকে (অর্থাৎ নিজ স্ত্রীকে) দেখি যে, কোন পুরুষ তার উরুর সঙ্গে উরু মিলিয়ে রেখেছে তবে চারজন সাক্ষী উপস্থিত না করে আমি তাকে তাড়াও করতে পারব না এবং নাড়াও দিতে পারব না। আল্লাহর শপথ! আমি তাদেরকে উপস্থিত করতে করতে সে তো তার কাজ সেরে ফেলবে। বর্ণনাকারী বলেন, এ অবস্থায় তারা কিছুকাল অতিবাহিত করলেন। ইতিমধ্যে হিলাল ইবন উমাইয়া (রা) যে তিনজনের তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করায়) তাওবা গৃহিত হয় তিনি তাদের একজন ছিলেন- তিনি সন্ধ্যা রাতে তার জমি হতে এসে নিজ স্ত্রীর নিকট এক পুরুষকে পান। তিনি তাকে স্বচক্ষে দেখেন এবং নিজ কানে (শব্দ) শুনেন। তিনি তাকে তাড়া করলেন না। ভোর হলে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি সন্ধ্যা রাতে আমার স্ত্রীর নিকট এসে তার কাছে এক পুরুষকে (আপত্তিকর অবস্থায়) পেয়েছি। আমি স্বচক্ষে দেখিছি এবং কানেও শব্দ শুনেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সংবাদটিকে অপছন্দ করলেন এবং এটা তার নিকট ভারি বোধ হল। আনসারী সাহাবীগণ একত্র হয়ে বললেন, সা'দ যা বলেছেন আমরাও সে বিপদে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। এখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিলাল ইবন উমাইয়া (রা)-কে বেত্রাঘাত করবেন এবং মুসলমানদের পক্ষে তার সাক্ষ্য বাতিল করবেন। এরপর হিলাল (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি আশা রাখি যে, আল্লাহ আমাকে এই বিপদ হতে মুক্ত হওয়ার রাস্তা দেখাবেন। তারপর হিলাল (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট যে ঘটনা নিয়ে এসেছি, তা আপনার নিকট ভারি বোধ হচ্ছে; কিন্তু আল্লাহ জানেন যে, আমি এ ক্ষেত্রে সত্যবাদী। (বর্ণনাকারী বলেন) আল্লাহর শপথ! রাসূলূল্লাহ তাকে বেত্রাঘাত করার সংকল্প করেছিলেন। এমন সময় আল্লাহ তাঁর রাসূল-এর ওপর ওহী অবতীর্ণ করলেন। যখন তার ওপর ওহী অবর্তীণ হত, তখন সাহাবীগণ তার চামড়ায় বিবর্ণতা দেখে বুঝতে পারতেন। অর্থাৎ (ওহী অবতীর্ণ হতে দেখে) ওহীর অবতরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা তার সংগে কথাবার্তা বলা হতে বিরত থাকলেন। অনন্তর নাযিল হল-
وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ أَرْبَعُ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ الْآيَةَ .
"এবং যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি ব্যভিচারের অভিযোগ তোলে, অথচ নিজেরা ব্যতীত কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করবে।”
অবতীর্ণ হলে রাসূলূল্লাহ আনন্দিত হয়ে বললেন, হে হিলাল! শুভ সংবাদ গ্রহণ কর। আল্লাহ তোমার জন্য স্বস্তি ও মুক্তির বিধান অবতীর্ণ করেছেন। হিলাল (রা) বললেন, আমি আমাদের প্রভু হতে তাই আশা করেছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সাহাবীদেরকে) বললেন, তোমরা তার স্ত্রীকে ডেকে পাঠাও। তারা তাকে ডেকে পাঠালে সে আসল। রাসূলূল্লাহ তাদের উভয়কে উক্ত আয়াত পড়ে শুনান ও নসীহত করেন এবং সংবাদ দেন যে, নিশ্চয় আখিরাতের আযাব দুনিয়ার শাস্তি অপেক্ষা কঠিনতর। হিলাল (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তার ব্যাপারে সত্য বলেছি। স্ত্রী বলল, সে মিথ্যা বলেছে। শেষে রাসূলূল্লাহ বললেন, তোমরা তাদের ওপর লি'আন কার্যকর কর। তারপর হিলাল (রা)-কে বলা হল, তুমি সাক্ষ্য দাও। তখন তিনি আল্লাহর শপথ করে চারবার সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি সত্যবাদী। পঞ্চমবার বলার সময় হিলাল (রা)-কে বলা হল, হে হিলাল! আল্লাহকে ভয় কর কেননা, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাব অপেক্ষা সহজতর আর নিঃসন্দেহে এটা হল আবশ্যককারী, যা তোমার ওপর আযাব অবধারিত করবে। এরপর হিলাল (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ! তিনি আমাকে এ কারণে শাস্তি দিবেন না; যেমন তিনি আমাকে এ কারণে বেত্রাঘাত করেননি। তারপর তিনি পঞ্চমবার সাক্ষ্য দিলেন যে, যদি তিনি মিথ্যাবাদী হন তবে তার ওপর আল্লাহর লা'নত। এরপর স্ত্রীলোককে বলা হল, তুমি আল্লাহর শপথ করে সাক্ষ্য দাও যে, সে মিথ্যাবাদী। এরপর পঞ্চমবারে তাকে বলা হল, আল্লাহকে ভয় কর। কেননা, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাব অপেক্ষা সহজতর আর নিঃসন্দেহে এটা হল আবশ্যককারী, যা তোমার ওপর আযাব অবধারিত করবে। (বর্ণনাকারী বলেন) তখন সে কিছুক্ষণ বিরত রইল। তারপর বলল, আল্লাহর শপথ! আমি আমার সম্প্রদায়কে অপদস্থ করব না। তারপর সে পঞ্চমবার সাক্ষ্য দিল যে, যদি সে (পুরুষ) সত্যবাদী হয় তবে তার ওপর আল্লাহর গযব। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের উভয়কে পৃথক করে দিলেন এবং তিনি নির্দেশ দিলেন যে, তার সন্তানকে পিতার সাথে সম্বন্ধযুক্ত করে ডাকা যাবে না। তাকে (স্ত্রীলোক) এর (সন্তানের) কারণে অথবা তার সন্তানকে অপবাদ দেওয়া যাবে না। যে ব্যক্তি তাকে (স্ত্রীলোককে) অথবা তার সন্তানকে অপবাদ দিবে তার ওপর দণ্ড কার্যকর হবে। এবং তিনি আরো নির্দেশ দেন যে, সে (মহিলা) যেহেতু তালাক ব্যতীত পৃথক হয়েছে এবং তাকে রেখে স্বামীর মৃত্যুও হয়নি তাই সে খোরপোষ এবং বাসস্থান পাবে না। এরপর তিনি বলেন, যদি সে এমন সন্তান প্রসব করে যার চুল লালচে রংয়ের আর উরু, নিতম্ব ও গোছা হালকা পাতলা তবে সে হবে হিলাল ইবন উমাইয়ার। আর যদি সে বাদামী রং, কোকড়ানো চুল, মোটাতাজা, স্থুল গোছা ও বড় নিতম্ববিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে তা হবে ঐ লোকের যার দ্বারা তাকে (স্ত্রীলোককে) অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরপর সে (স্ত্রীলোক) বাদামী রং, কোকড়ানো চুল, মোটাতাজা, স্থুল গোছাবিশিষ্ট, বড় নিতম্ববিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে। তখন রাসূলূল্লাহ বললেন, যদি শপথের বিধান না থাকত তবে তোমরা দেখতে, আমি তার কি অবস্থা করতাম। বর্ণনাকারী 'ইকরিমা (র) বলেন, পরবর্তীতে এই সন্তান এক শহরের গভর্নর হয়। তাকে তার মায়ের সাথে সম্পর্ক করা হত, পিতার সাথে নয়।
(আবূ দাউদ, বায়হাকী। হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী আব্বাদ ইবন মানসূর বিতর্কিত। অনেকে তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন আর অনেকে বলেছেন দুর্বল। তবে হাদীসটির সহায়ক অনেক বর্ণনা রয়েছে যা বুখারী মুসলিমসহ অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب اللعان
باب سببه وتفسير آيات القذف واللعان وقصة هلال بن أمية في ذلك
عن ابن عباس قال لما نزلت {والذين يرمون المحصنات ثم لم يأتوا بأربعة شهداء فاجلدوهم ثمانين جلدة ولا تقبلوا لهم شهادة أبدا} قال سعد بن عبادة وهو سيد الأنصار أهكذا أنزلت يا رسول الله؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا معشر الأنصار ألا تسمعون إلى ما يقول سيدكم؟ قالوا يا رسول الله لا تلمه فإنه رجل غيور، والله ما تزوج امرأة قط إلا بكرا، وما طلق امرأة له قط فاجترأ رجل منا على أن يتزوجها من شدة غيرته، فقال سعد والله يا رسول الله إني لأعلم أنها حق وأنها من الله تعالى ولكني قد تعجبت أني لو وجدت لكاعا تخذها رجل لم يكن لي أن أهيجه ولا أحركه حتى آتي بأربعة شهداء، فوالله لا آتي بهم حتى يقضي حاجته، قال فما لبثوا إلا يسيرا حتى جاء هلال بن أمية وهو أحد الثلاثة الذين تيب عليهم فجاء من أرضه عشاءا فوجد عند أهله رجلا فرأى بعينيه وسمع بأذنيه فلم يهجه حتى أصبح فغدا على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إني جئت أهلي عشاءا فوجدت عندها رجلا فرأيت بعيني وسمعت بأذني فكره رسول الله صلى الله عليه وسلم ما جاء به واشتد عليه واجتمعت الأنصار فقالوا قد ابتلينا بما قال سعد بن عبادة: الآن يضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم هلال بن أمية ويبطل شهادته في المسلمين، فقال هلال والله إني لأرجو أن يجعل الله لي منها مخرجا فقال هلال يا رسول الله إني قد أرى ما اشتد عليك مما جئت به والله يعلم أني لصادق ووالله إن رسول الله يريد أن يأمر بضربه إذ أنزل الله على رسوله الوحي وكان إذا نزل عليه الوحي عرفوا ذلك في تربد جلده يعني فأمسكوا عنه حتى فرغ من الوحي فنزلت {والذين يرمون أزواجهم ولم يكن لهم شهداء إلا أنفسهم فشهادة أحدهم أربع شهادات بالله} الآية فسري عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال أبشر يا هلال فقد جعل الله لك فرجا ومخرجا، فقال هلال قد كنت أرجو ذاك من ربي عز وجل، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أرسلوا إليها، فأرسلوا إليها فجاءت فقرأها رسول الله صلى الله عليه وسلم عليهما وذكرهما وأخبرهما أن عذاب الآخرة أشد من عذاب الدنيا فقال هلال والله يا رسول الله لقد صدقت عليها، فقالت كذب، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لاعنوا بينهما فقيل لهلال أشهد فشهد أربع شهادات بالله إنه لمن الصادقين، فلما كان في الخامسة قيل يا هلال اتق الله فإن عذاب الدنيا أهون من عذاب الآخرة وإن هذه الموجبة التي توجب عليك العذاب، فقال والله لا يعذبني الله عليها كما لم يجلدني عليها. فشهد في الخامسة أن لعنة الله عليه إن كان من الكاذبين، ثم قيل لها اشهدي أربع شهادات بالله إنه لمن الكاذبين، فلما كانت الخامسة قيل لها اتقي الله فإن عذاب الدنيا أهون من عذاب الآخرة وإن هذه الموجبة التي توجب عليك العذاب فتلكأت ساعة ثم قالت والله لا أفضح قومي فشهدت في الخامسة أن غضب الله عليها إن كان من الصادقين ففرق رسول الله بينهما وقضى أن لا يدعى ولدها لأب ولا ترمى هي به ولا يرمى ولدها ومن رماها أو رمى ولدها فعليه الحد وقضى أن لا يبيت لها عليه ولا قوت من أجل أنهما يتفرقان من غير طلاق ولا متوفى عنها، وقال إن جاءت به أصهب أريسح حمش الساقين فهو لهلال، وإن جاءت به أورق جعدا جماليا خدلج الساقين سابغ الأليتين فهو للذي رميت به، فجاءت به أورق جعدا جماليا خدلج الساقين سابغ الأليتين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لولا الأيمان لكان لي ولها شأن: قال عكرمة فكان بعد ذلك أميرا على مصر وكان يدعى لأمه وما يدعى لأبيه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫১
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: লি'আনের কারণে এবং অপবাদ ও লি'আন সংক্রান্ত আয়াতের ব্যাখ্যা এবং হিলাল ইবন উমাইয়া (রা)-এর ঘটনা।
৫১। সা'ঈদ ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমাকে ইবন যুবায়র (রা)-এর শাসনামলে লি'আনকারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, লি'আনকারীদেরকে কি পৃথক করে দেওয়া হবে? তখন আমি কী উত্তর দিব বুঝতে পারছিলাম না। শেষে আমি আমার স্থান হতে উঠে ইবন উমর (রা) ঘরে গেলাম। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবূ আবদির রহমান! লি'আন করার পর (স্বামী স্ত্রী) উভয়কে কি পৃথক করে দেওয়া হবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি বললেন, সর্বপ্রথম এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে অমুকের পুত্র অমুক। সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে কোন পুরুষকে অপকর্মে লিপ্ত দেখে (তবে সে কি করবে?) যদি সে এ বিষয়ে কথা বলে তবে সে ভীষণ বিপদজনক বিষয়ে কথা বলল আর যদি চুপ থাকে তবে অনুরূপ বিষয়ে চুপ থাকল। এরপর তিনি চুপ থাকলেন; কোন জবাব দিলেন না। পরবর্তীতে সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, আমি আপনাকে যে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সে মুসিবতে আমি নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। এরপর আল্লাহ তা'আলা সূরা নূর-এর এই আয়াত সমূহ অবতীর্ণ করেন, وَالَّذِينَ يَرْمُوْنَ أَزْوَاجَهُمْ
হতে أَنَّ غَضَبَ اللهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ পর্যন্ত।
(বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (লি'আনের কার্যক্রম) সর্বপ্রথম সে লোক হতে শুরু করেন। তাকে তিনি উপদেশ দেন এবং সংবাদ দেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাব অপেক্ষা সহজতর। সে লোক বলল, আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহকারে পাঠিয়েছেন, আমি আপনাকে মিথ্যা বলছি না। তারপর তিনি স্ত্রীলোকটির দিকে ফিরলেন, তাকে উপদেশ দিলেন এবং বললেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাব অপেক্ষা সহজতর। সে মহিলা বলল, আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহকারে পাঠিয়েছেন, নিশ্চয় সে মিথ্যাবাদী। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পুরুষ হতে (লি'আন গ্রহণ করা) শুরু করলেন। সে আল্লাহর শপথ করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদী। পঞ্চমবার বলল যে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার (নিজের) ওপর আল্লাহর লা'নত। এরপর তিনি স্ত্রীলোকটির প্রতি নযর দিলেন। সে আল্লাহর শপথ করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে (পুরুষ) মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবার বলল, যদি সে (পুরুষ) সত্যবাদী হয় তবে তার (স্ত্রীলোক) ওপর আল্লাহর গযব। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে পরস্পর হতে পৃথক করে দেন।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب سببه وتفسير آيات القذف واللعان وقصة هلال بن أمية في ذلك
عن سعيد بن جبيرقال سئلت عن المتلاعنين أيفرق بينهما في إمارة ابن الزبير، فما دريت ما أقول، فقمت من مكاني إلى منزل ابن عمر فقلت أبا عبد الرحمن المتلاعنين أيفرق بينهما؟ فقال سبحان الله إن أول من سأل عن ذلك فلان بن فلان قال يا رسول الله أرأيت الرجل يرى امرأته على فاحشة فإن تكلم تكلم بأمر عظيم، وإن سكت سكت على مثل ذلك، فسكت فلم يجبه فلما كان بعد أتاه فقال الذي سألتك عنه قد ابتليت به فأنزل الله عز وجل هؤلاء الآيات في سورة النور {والذين يرمون أزواجهم} حتى بلغ {أن غضب الله عليها إن كان من الصادقين} فبدأ بالرجل فوعظه وذكره وأخبره أن عذاب الدنيا أهون من عذاب الآخرة، فقال والذي بعثك بالحق ما كذبتك ثم ثنى بالمرأة فوعظها وذكرها وأخبرها أن عذاب الدنيا أهون من عذاب الآخرة. فقالت والذي بعثك بالحق إنه لكاذب، قال فبدأ بالرجل فشهد أربع شهادات بالله إنه لمن الصادقين، والخامسة أن لعنة الله عليه إن كان من الكاذبين، ثم ثنى بالمرأة فشهدت أربع شهادات بالله إنه لمن الكاذبين والخامسة أن غضب الله عليها إن كان من الصادقين، ثم فرق بينهما
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫২
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : উওয়ায়মির আজলানী (রা) ও তার স্ত্রীর লি'আন-এর ঘটনা।
৫২। ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত যে, তাকে সাহল ইবন সা'দ সংবাদ দিয়েছেন যে, উওয়ায়মির আজলানী (রা) হযরত 'আসিম ইবন 'আদী আনসারী (রা)-এর নিকট এসে বললেন, হে 'আসিম! আপনি এ সম্বন্ধে কি বলেন যে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য ব্যক্তিকে (আপত্তিকর অবস্থায়) দেখে তবে সে কি তাকে হত্যা করবে আর এর পরিবর্তে কি তোমরা তাকে হত্যা করবে, নাকি সে অন্য কিছু করবে? হে 'আসিম! তুমি আমার পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা কর। 'আসিম (রা) নবী (ﷺ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। কিন্তু রাসূলূল্লাহ এটাকে অপছন্দ করলেন এবং খারাপ ভাবলেন। এটা দেখে 'আসিম (রা)-এর কষ্ট অনুভূত হল। বর্ণনাকারী ইসহাক বলেন, ('আসিম (রা) এ জন্য কষ্ট পেলেন যে,) তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এ বিষয়ে কিছু শুনতে পান নি। তারপর 'আসিম (রা) বাড়ি ফিরলে উওয়াইমির (র) তার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে 'আসিম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে কী বলেছেন? 'আসিম (রা) উওয়াইমির (র)-কে বললেন, তুমি আমার নিকট কল্যাণকর কিছু নিয়ে আসনি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র এই কথা বলাকে অপছন্দ করলেন। উওয়ায়মির (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করব। (বর্ণনাকারী বলেন), এরপর উওয়ায়মির (রা) আসলেন এবং মানুষের মধ্যভাগে উপস্থিত নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে রাসূলূল্লাহ-কে বললেন, আপনি এ সম্বন্ধে কি বলেন যে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য ব্যাক্তিকে (আপত্তিকর অবস্থায়) দেখে তবে সে কি তাকে হত্যা করবে আর এর পরিবর্তে কি আপনারা তাকে হত্যা করবেন, নাকি সে অন্য কিছু করবে? রাসূলূল্লাহ তাকে বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রী যে অন্য কিছু করবে? রাসূলূল্লাহ তাকে বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রী সম্বন্ধে ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তুমি তাকে নিয়ে এসো। বর্ণনাকারী সাহল ইবন সা'দ (র) বলেন, এরপর তারা উভয়ে লি'আন করল, আমি সে সময় অন্যান্য লোকের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। যখন তারা লি'আন করে নিল উওয়ায়মির (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি আমি তাকে রেখে দেই তবে তো আমি তাকে মিথ্যা দোষারোপকারী সাব্যস্ত হব। এই বলে তিনি তাকে তিন তালাক দেন; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার পূর্বেই। অন্য বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, এটাই (পরবর্তী) লি'আনকারীদের জন্যও নিয়মে পরিণত হল। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, স্ত্রীলোকটির প্রতি লক্ষ্য রাখবে; যদি সে কৃষ্ণকায়, কালো চোখ ও বিশাল নিতম্ব বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে মনে করব যে, সে (উওয়ায়মির) সত্য বলেছে। আর যদি সে ওহরার (গিরগিটির সদৃশ বিষাক্ত প্রাণীবিশেষ) ন্যায় লালবর্ণ বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে মনে করব যে, সে মিথ্যাবাদী বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে সে (স্ত্রীলোক) মন্দগুণবিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, মালিক)
كتاب اللعان
باب قصة عويمر العجلاني مع زوجته في اللعان
عن ابن شهاب أن سهل بن سعد أخبره أن عويمر العجلاين جاء إلى عاصم بن عدي الأنصاري فقال يا عاصم أرأيت رجلا وجد مع امرأته رجلا أيقتله فتقتلونه أم كيف يفعل؟ سل لي عن ذلك يا عاصم رسول الله صلى الله عليه وسلم، فسأل عاصم النبي صلى الله عليه وسلم عن ذلك فكره رسول الله صلى الله عليه وسلم المسائل وعابلها حتى كبر على عاصم مما يسمع قال إسحاق ما سمع من رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما رجع عاصم إلى أهله جاءه عويمر فقال يا عاصم ماذا قال لك رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال عاصم لعويمر لم تأتني بخير فكره رسول الله صلى الله عليه وسلم المسألة التي سألته عنها، فقال عويمر والله لا أنتهي حتى أسأله عنها، فأقبل عويمر حتى أتى النبي صلى الله عليه وسلم وسط الناس فقال لرسول الله صلى الله عليه وسلم أرأيت رجلا وجد مع امرأته رجلا أيقتله فتقتلونه أم كيف يفعل؟ فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم قد أنزل الله فيك وفي صاحبتك فائت بها، قال سهل بن سعد فتلاعنا وأنا مع الناس عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما فرغا قال عويمر كذبت عليها يا رسول الله إن أمسكتها فطلقها ثلاثا قبل أن يأمره رسول الله صلى الله عليه وسلم (زاد في رواية) قال فصارت سنة في المتلاعنين قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أبصروها فإن جاءت به اسحم ادعج العينين عظيم الأيتين فلا أراه إلا قد صدق، وإن جاءت به أحمر كأنه وحرة فلا أراه إلا كاذبا، قال فجاءت به على النعت والمكروه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৩
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : উওয়ায়মির আজলানী (রা) ও তার স্ত্রীর লি'আন-এর ঘটনা।
৫৩। সা'ঈদ ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন উমর (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে লি'আন করে (তার বিধান কি?)। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনূ 'আজলানের দুই স্বামী স্ত্রীকে পৃথক করে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তোমাদের দু'জনের একজন মিথ্যাবাদী, অতএব তোমাদের কেউ কি তাওবা করবে? এ কথা তিনি তিনবার বললেন।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب قصة عويمر العجلاني مع زوجته في اللعان
عن سعيد بن جبيرقال قلت لابن عمر رجل لاعن امرأته فقال فرسق رسول الله صلى الله عليه وسلم بين أخوي العجلان وقال إن أحدكما كاذب فهل منكما تائب ثلاثا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : উওয়ায়মির আজলানী (রা) ও তার স্ত্রীর লি'আন-এর ঘটনা।
৫৪। সাহল ইবন সা'দ সা'ঈদী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বনূ আজলান গোত্রের উওয়ায়মির (রা) স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে লি'আন করেন, তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি যদি তাকে রেখে দেই তবে তো আমি তাকে জুলুমকারীরূপে গণ্য হব। তাকে তালাক, তাকে তালাক, তাকে তালাক।
(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب قصة عويمر العجلاني مع زوجته في اللعان
عن سهل بن سعد الساعدي قال لما لاعن عويمر اخوبني العجلان امرأته قال يا رسول الله ظلمتها إن أمسكتها هي الطلاق وهي الطلاق وهي الطلاق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৫
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গর্ভবতী মহিলা হতে লি'আন নেওয়া এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যাপারে স্বীয় স্ত্রীকে অপবাদ দেয়া প্রসঙ্গ।
৫৫। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) গর্ভবতী মহিলা হতে লি'আন নিয়েছেন।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদে বর্ণনাকারী আব্বাদ ইবন মানসূর বিতর্কিত। অনেকে তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন আর অনেকে বলেছেন দুর্বল। তবে এর সহায়ক অনেক বর্ণনা রয়েছে, যা তাকে সমর্থন করে।)
كتاب اللعان
باب اللعان على الحمل ومن قذف امرأته برجل سماه
عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم لاعن بالحمل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গর্ভবতী মহিলা হতে লি'আন নেওয়া এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যাপারে স্বীয় স্ত্রীকে অপবাদ দেয়া প্রসঙ্গ।
৫৬। কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (র) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইবন আব্বাস (রা)-কে বলতে শুনেছেন, নবী (ﷺ) 'আজলানী ও তার স্ত্রী হতে লি'আন নিয়েছেন। তার স্ত্রী ছিল গর্ভবতী। 'আজলানী বলল, আল্লাহর শপথ! আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে খেজুর গাছের পরাগায়ন করার পর হতে দু'মাস সহবাস করি নি। বর্ণনাকারী বলেন, তার স্বামীর গোছা ও হাত হালকা পাতলা এবং চুল লাল বর্ণের ছিল। তার স্ত্রীকে যার সঙ্গে ব্যভিচার করার অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তার নাম ইবন সাহমা। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সে (স্ত্রীলোক) কাল বর্ণের হালকা ও কোকড়ানো চুল এবং মোটা হাতবিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে (অন্য শব্দেঃ মোটা হাতপা বিশিষ্ট সন্তান) বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ইবন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ ইবন আব্বাস (রা)-কে বলল, এই মহিলা কি সে, যার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, যদি আমি কাউকে প্রমাণ ব্যতীত রজম (প্রস্তরাঘাত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া) করতাম, তবে আমি তাকে রজম করতাম। ইবন আব্বাস (রা) বললেন, না। সে হল ঐ মহিলা, যার অপকর্ম ইসলামে প্রকাশিত হয়ে পড়েছিলাম। (কিন্তু কোন প্রমাণ বা স্বীকারোক্তি ছিল না।)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب اللعان على الحمل ومن قذف امرأته برجل سماه
عن القاسم بن محمد أنه سمع ابن عباس يقول إن رسول الله صلى الله عليه وسلم لاعن بين العجلاني وامرأته وكانت حبلى فقال والله ما قربتها منذ عفرنا والعفر أن يسقى النخل بعد أن يترك من السقي بعد الإبار بشهرين قال وكان زوجها حمش الساقين والذراعين أصهب الشعرة، وكان الذي رميت به ابن السحماء قال فولدت غلاما أسود أجلى جعدا أعبل الذراعين (وفي لفظ عبل الذراعين خدل الساقين) قال فقال ابن شداد بن الهاد لابن عباس أهي المرأة التي قال النبي صلى الله عليه وسلم لو كنت راجما بغير بينة لرجمتها؟ قال لا، تلك امرأة قد أعلنت في الإسلام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৭
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গর্ভবতী মহিলা হতে লি'আন নেওয়া এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যাপারে স্বীয় স্ত্রীকে অপবাদ দেয়া প্রসঙ্গ।
৫৭। সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ আসিম ইবন 'আদী (রা)- কে বলেছেন, তাকে (স্ত্রীলোক) সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত তোমার নিকটে রাখবে। যদি সে লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে তবে সন্তান হবে তার পিতা উওয়ায়মিরের, যার থেকে সন্তানকে অস্বীকার করা হয়েছে। আর যদি বেশি কোঁকড়ানো চুল, কালো জিহ্বাবিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে তা হবে ইবন সাহমা'র। আসিম (র) বললেন, তারপর সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আমি তাকে আমার কাছে নিয়ে এলাম। দেখলাম যে, তার মাথা ছোট মেষের ন্যায়। এরপর আমি তার দুই চিবুক ধরে দেখলাম যে, সে কুল ফলের ন্যায় লাল রংবিশিষ্ট। আর তার জিহ্বা আমার নিকট খেজুরের ন্যায় কালো মনে হল। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি বললাম, রাসূলূল্লাহ সত্যই বলেছেন।
(আবূ দাউদ। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب اللعان
باب اللعان على الحمل ومن قذف امرأته برجل سماه
عن سهل بن سعد قال قال رسول الله صلى الله عليه وآله وصحبه وسلم لعاصم بن عدي اقبضها إليك حتى تلد عندك فإن تلده أحمر فهو لأبيه الذي انتفى منه لعويمر، وإن ولدته قطط الشعر أسود اللسان فهو لابن السحماء قال عاصم فلما وقع أخذته إلي فإذا رأسه مثل فروة الحمل الصغير ثم أخذت بفقميه فإذا هو أحيمر مثل النبقة واستقبلني لسانه أسود مثل التمرة، قال فقلت صدق رسول الله صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কুমারিত্বের ওপর লি'আন গ্রহণ করা। অর্থাৎ কুমারী নারী (বৈধ উপায়ে) কৌমার্য ছিন্ন হওয়ার পূর্বে ব্যভিচার করে নি- এ মর্মে লি'আন নেওয়া।
৫৮। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি বনু 'আজলান গোত্রের এক আনসারী মহিলাকে বিবাহ করে এবং তার সঙ্গে সহবাসও করে, রাত্রিও যাপন করে। ভোর হলে সে বলল, আমি তাকে কুমারী পাইনি। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের এই সমস্যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উত্থাপন করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহিলাকে ডেকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, হ্যাঁ, আমি কুমারীই ছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলূল্লাহ তাদেরকে লি'আন করতে নির্দেশ দিলে তারা লি'আন করে। আর স্বামী তার মোহর আদায় করে।
(ইবন মাজাহ, বাযযার। বুসীরী (র) বলেছেন, হাদীসটির সূত্রে দুর্বলতা রয়েছে। কেননা, এর বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক মুদাল্লিস।)
كتاب اللعان
باب اللعان على العذرة وهي بضم العين المهملة وسكون الذال المعجمة ما للبكر من الالتحام قبل الافتضاض
عن ابن عباس قال تزوج رجل امرأة من الأنصار من بلعجلان فدخل بها فبات عندها فلما أصبح قال ما وجدتها عذراء قال فرفع شأنهما إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فدعا الجارية رسول الله صلى الله عليه وسلم فسألها فقالت بلى كنت عذراء، قال فأمر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم فتلاعنا وأعطاها المهر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৯
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: লি'আনকারী মহিলাকে খোরপোষ দিতে হবে না এবং তাকে (ব্যভিচারের) অপবাদ দেয়া যাবে না আর তার সন্তানকে পিতার সংগে সম্বন্ধযুক্ত করে ডাকা যাবে না।
৫৯। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লি'আনকৃত সন্তানের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে পিতার দিকে সম্বন্ধযুক্ত করে ডাকা যাবে না। যে সন্তানের মাকে অথবা তার সন্তানকে অপবাদ দিবে তাকে বেত্রাঘাত করা হবে। এবং তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, সে (মহিলা) যেহেতু তালাক ব্যতীত পৃথক হয়েছে এবং তাকে রেখে স্বামীর মৃত্যুও হয়নি তাই সে খোরপোষ এবং বাসস্থান পাবে না।
হাদীসটি লি'আন অধ্যায়ে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।
كتاب اللعان
باب سقوط نفقة الملاعنة وعدم قذفها وأن لا يدعى ولدها لأب
عن ابن عباس قال قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم في ابن الملاعنة أن لا يدعى لأب ومن رماها أو رمى ولدها فإنه يجلد الحد، وقضى أن لا قوت لها ولا سكنى من أجل أنهما يتفرقان من غير طلاق ولا متوفى عنها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬০
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: লি'আনকারী মহিলাকে খোরপোষ দিতে হবে না এবং তাকে (ব্যভিচারের) অপবাদ দেয়া যাবে না আর তার সন্তানকে পিতার সংগে সম্বন্ধযুক্ত করে ডাকা যাবে না।
৬০। ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে লি'আন করল এবং স্ত্রীর প্রসবকৃত সন্তানকে সে অস্বীকার করল। এ জন্য রাসূলূল্লাহ তাদের উভয়কে পরস্পর হতে পৃথক করে দেন এবং সন্তানকে মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেন।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, ইমামচতুষ্ঠয় ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب سقوط نفقة الملاعنة وعدم قذفها وأن لا يدعى ولدها لأب
عن ابن عمرأن رجلا لاعن امرأته وانتفى من ولدها ففرق رسول الله صلى الله عليه وسلم بينهما فألحق الولد بالمرأة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬১
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: লি'আনকারী মহিলাকে খোরপোষ দিতে হবে না এবং তাকে (ব্যভিচারের) অপবাদ দেয়া যাবে না আর তার সন্তানকে পিতার সংগে সম্বন্ধযুক্ত করে ডাকা যাবে না।
৬১। 'আমর ইবন শু'আয়ব (র) তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লি'আনকারী স্বামী-স্ত্রী সন্তানের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন যে, সে তার মায়ের ওয়ারিস হবে এবং মা তার ওয়ারিস হবে। যে ব্যক্তি তাকে (মাকে) সন্তানের ব্যাপারে অপবাদ দিবে তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে। আর যে ব্যক্তি সন্তানকে 'ব্যাভিচারের সন্তান' বলে ডাকবে তাকেও আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে।
(বুখারী, মুসলিম, ইমামচতুষ্ঠয় ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب سقوط نفقة الملاعنة وعدم قذفها وأن لا يدعى ولدها لأب
عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده قال قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم في ولد المتلاعنين أنه يرث أمه وترثه ومن قفاها به جلد ثمانين ومن دعاه ولد زنا جلد ثمانين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: লি'আনকারী স্বামী স্ত্রী কখনো (বিবাহে) একত্র হতে পারবে না আর মহিলা স্বীয় মহরের অধিকারী হবে।
৬২। সা'ঈদ ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন উমর (রা)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লি'আনকারী স্বামী স্ত্রীকে বলেছেন, তোমাদের (কে মিথ্যাবাদী আর কে সত্যবাদী সে) হিসাব আল্লাহ নিবেন। তোমাদের মধ্যে একজন তো অবশ্যই মিথ্যাবাদী। (বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি স্বামীকে বললেন,) তোমার তার ওপর কোন কর্তৃত্ব নেই। সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! তার নিকট আমার মাল রয়েছে। তিনি বললেন, তার নিকট তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি তার ব্যাপারে সত্য বলে থাক, তবে তুমি যেহেতু তার লজ্জাস্থান ব্যবহার করেছ, তাই তার বিনিময়ে সে তোমার মাল ভোগ করবে। আর যদি তুমি তার ব্যাপারে মিথ্যা বলে থাক, তবে তো তুমি মাল চাইতেই পার না।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب اللعان
باب لا يجتمع المتلاعنان أبدا ولها مهرها
عن سعيد بن جبيرقال سمعت ابن عمر يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم للمتلاعنين حسابكما على الله أحدكما كاذب لا سبيل لك عليها قال يا رسول الله مالي قال لا مال لك إن كنت صدقت عليها فهو بما استحللت من فرجها وإن كنت كذبت عليها فذلك أبعد لك منها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৩
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূল-এর যুগে কখন এবং কোথায় লি'আন সংঘটিত হয়েছিল?
৬৩। সাহল ইবন সা'দ ইবন সা'ঈদী (রা) থেকে বর্ণিত যে, যখন নবী (ﷺ) দুই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লি'আন-এর বিধান জারি করছিলেন তখন তিনি তার নিকট উপস্থিত ছিলেন। (তিনি বলেন,) স্বামী স্ত্রী দু'জন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে লি'আন করে। আমি তখন পনের বছর বয়সের বালক। পুরুষ লোকটি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি আমি তাকে রেখে দেই তবে তো আমি তাকে মিথ্যা দোষারোপকারী সাব্যস্ত হব। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর মহিলা এমন সন্তান জন্ম দেয়, যাকে সে লোক অপছন্দ করে।
(বুখারী, মুসলিম ও ইমামচতুষ্ঠয়)
كتاب اللعان
باب تحديد الزمان والمكان الذي حصل فيه اللعان على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم
عن سهل بن سعد الساعدي أنه شهد النبي صلى الله عليه وسلم في المتلاعنين فتلاعنا على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم قال وأنا ابن خمس عشرة قال يا رسول الله إن أمسكتها فقد كذبت عليها، قال فجاءت به للذي يكره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সন্তানের ব্যাপারে সন্দেহবশত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে অপবাদ দেয়া।
৬৪। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনূ ফাযারা গোত্রের এক লোক নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ! তার (আমার) স্ত্রী এক কালো সন্তান প্রসব করেছে। (বর্ণনাকারী বলেন,) একথা বলে সে ঐ সন্তানকে অস্বীকার করতে চাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি উট আছে? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সেগুলোর রং কি? সে বলল, লাল। তিনি বললেন, সেগুলোর মধ্যে কি কোন মিশ্রিত রংয়ের উট আছে? সে বলল, হ্যাঁ, আছে। তিনি বললেন, এগুলো কি করে জন্মালো? সে বলল, হয়ত এটা বংশগত কারণে জন্মেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলাহার বললেন, এই সন্তানও হয়ত বংশগত কারণে জন্মেছে। (অন্য বর্ণনায় অতিরিক্ত হল,) এবং তিনি তাকে সন্তান অস্বীকার করা অবকাশ দেন নি।
(বুখারী, মুসলিম ও ইমামচতুষ্ঠয়)
كتاب اللعان
باب من عرض يقذف زوجته للشك في الولد
عن أبي هريرة أن رجلا من بني فزارة أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا نبي الله إن امرأته ولدت غلاما أسود وكأنه يعرض أن ينتفي منه فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ألك إبل؟ قال نعم، قال ما ألوانها؟ قال حمر، قال فيها دود أورق؟ قال نعم فيها، قال ومما ذاك؟ قال لعله نزعه عرق قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وهذا لعله يكون نزعه عرق (زاد في رواية) ولم يرخص له في الانتفاء منه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৫
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সন্তান বিছানার (অর্থাৎ যার সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে হয়েছে); ব্যভিচারির নয় এবং সন্তানকে (কারো সঙ্গে) সম্পৃক্ত করা ও স্বীয় বংশের দাবী করা প্রসঙ্গ।
৬৫। উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সন্তান বিছানার (অর্থাৎ যার সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে হয়েছে) আর ব্যভিচারির জন্য পাথর (অর্থাৎ সন্তানের বংশ তার থেকে সাব্যস্ত হবে না।)
(ইবন মাজাহ, বায়হাকী। বুসীরী (র) বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب اللعان
باب أن الولد للفراش دون الزاني: وما جاء في إلحاق الولد ودعوى النسب
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الولد للفراش
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৬
লি'আন অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সন্তান বিছানার (অর্থাৎ যার সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে হয়েছে); ব্যভিচারির নয় এবং সন্তানকে (কারো সঙ্গে) সম্পৃক্ত করা ও স্বীয় বংশের দাবী করা প্রসঙ্গ।
৬৬। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, সন্তান বিছানার মালিকের (অর্থাৎ যার সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে হয়েছে। আর ব্যভিচারির জন্য পাথর (অর্থাৎ সন্তানের বংশ তার থেকে সাব্যস্ত হবে না।)
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب اللعان
باب أن الولد للفراش دون الزاني: وما جاء في إلحاق الولد ودعوى النسب
عن أبي هريرة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الولد لصاحب الفراش وللعاهر الحجر
tahqiq

তাহকীক: