মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

ইদ্দাত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
ইদ্দাত অধ্যায়
অধ্যায় : ইদ্দাত

পরিচ্ছেদ: গর্ভবতী মহিলার ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- সে তালাক প্রাপ্তা হোক বা তার স্বামী মারা যাক। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, 'গর্ভবতী নারীদের ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।’
১। আবূ সালামা ইবন আবদির রহমান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ও আবু হুরায়রা (রা)-কে ঐ মহিলা (এর ইদ্দাত) সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হয় যার স্বামী মারা গিয়েছে। ইবন আব্বাস (রা) বললেন, সে (দু'টি মেয়াদের মধ্যে) দীর্ঘতমটি গ্রহণ করবে। আবু হুরায়রা (রা) বললেন, যখনই সে (সন্তান) প্রসব করবে, তখনই তার ইদ্দাত পূর্ণ হবে। এরপর আবূ সালামা ইবন আবদির রহমান (র) নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিণী উম্মু সালামা (রা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, সুবায়'আর স্বামীর মৃত্যুর পর অর্ধ মাস অতীত হলে সে সন্তান প্রসব করে। তারপর তাকে দুই ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তাদের একজন ছিল যুবক আর অপরজন ছিল মধ্যম বয়সী। সে যুবকের দিকে ধাবিত হয়ে পড়ল। মধ্য বয়সী লোকটি বলল, তুমি এখনো (বিবাহের জন্য) হালাল হওনি। (বর্ণনাকারী বলেন) সুবায়'আর পরিবার সে সময় উপস্থিত ছিল না। সে (মধ্য বয়সী) লোকটি মনে করল যে, তার পরিবারের নিকট গেলে হয়ত তারা তাকে অগ্রাধিকার দিবে। এরপর সুবায়'আ (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে বললেন, তুমি হালাল হয়ে গেছো। এখন তুমি যাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পার।
(বুখারী, মুসলিম, মালিক, তিরমিযী)
كتاب العدد
كتاب العدد

باب أن عدة الحامل بوضع الحمل سواء كانت مطلقة أو متوفى عنها لقول الله عز وجل {وألات الأحمال أجلهن أن يضعن حملهن}
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن أنه قال سئل عبد الله بن عباس وأبو هريرة عن المتوفى عنها زوجها فقال ابن عباس آخر (وفي لفظ أبعد الأجلين) وقال أبو هريرة إذا ولدت فقد حلت فدخل أبو سلمة بن عبد الرحمن إلى أم سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم فسألها عن ذلك فقالت ولدت سبيعة الأسلمية بعد وفاة زوجها بنصف شهر فخطبها رجلان أحدهما شاب والآخر كهل فحطت إلى الشاب فقال الكهل لم تحل وكان أهلها غيبا ورجا إذا جاء أهلها أن يؤثروه فجاءت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال قد حللت فانكحي من شئت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গর্ভবতী মহিলার ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- সে তালাক প্রাপ্তা হোক বা তার স্বামী মারা যাক। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, 'গর্ভবতী নারীদের ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।’
২। আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুবায়'আ বিনত হারিস (রা)-এর স্বামীর মৃত্যুর পর পনের রাত অতীত হলে সে সন্তান প্রসব করে। এরপর আবু সানাবিল তার নিকট গিয়ে বলল, বোধ হয় আপনি মনে মনে বিয়ের কথা ভাবছেন। আপনি এটা পারবেন না; যাবত না (দুই মেয়াদের) দীর্ঘতমটি অতীত হয়। উম্মু সালামা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আবূ সানাবিল যা বলেছে সে সম্বন্ধে তাকে সংবাদ দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আবূ সানাবিল ঠিক বলে নি। যদি তোমার পছন্দের কেউ আসে (অন্য শব্দে: যদি তোমার সম পর্যায়ের কেউ আসে) তবে তাকে আমার নিকট নিয়ে আসবে অথবা বললেন, তবে আমাকে জানাবে। এরপর তিনি তাকে সংবাদ দিলেন যে, তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গেছে।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। হায়ছামী (র) বলেছেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب العدد
كتاب العدد

باب أن عدة الحامل بوضع الحمل سواء كانت مطلقة أو متوفى عنها لقول الله عز وجل {وألات الأحمال أجلهن أن يضعن حملهن}
عن عبد الله بن مسعود أن سبيعة بنت الحارث وضعت حملها بعد وفاة زوجها بخمس عشرة ليلة فدخل عليها أبو السنابل فقال كأنك تحدثين نفسك بالباءة مالك ذلك حتى ينقضي أبعد الأجلين فانطلقت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبرته بما قال أبو السنابل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم كذب أبو السنابل، إذا أتاك أحد ترضينه (وفي لفظ إذا أتاك كفؤ) فأتيني به أو قال فأنبئيني به فأخبرها أن عدتها قد انقضت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গর্ভবতী মহিলার ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- সে তালাক প্রাপ্তা হোক বা তার স্বামী মারা যাক। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, 'গর্ভবতী নারীদের ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।’
৩। আসওয়াদ (র) সূত্রে আবূ সানাবিল ইবন বা'কাক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুবায়'আ বিনত হারিস (রা)-এর স্বামীর মৃত্যুর পর তেইশ রাত অথবা পঁচিশ রাত অতীত হলে সে সন্তান প্রসব করে। তারপর সে (নিফাস হতে) পবিত্র হয়ে বিয়ের জন্য সাজসজ্জা করতে শুরু করে। তখন আবূ সানাবিল তাতে আপাত্তি জানায়। নবী (ﷺ)-এর নিকট এটা ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, সে চাইলে তা করতে পারে। কেননা, তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়েছে।
(নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ। তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি মাশহুর ও গারীব।)
كتاب العدد
كتاب العدد

باب أن عدة الحامل بوضع الحمل سواء كانت مطلقة أو متوفى عنها لقول الله عز وجل {وألات الأحمال أجلهن أن يضعن حملهن}
عن الأسود عن أبي السنابل بن بعكك قال وضعت سبيعة بنت الحارث بعد وفاة زوجها بثلاث وعشرين أو خمس وعشرين ليلة فلما تعلت تشوفت للنكاح فأنكر ذلك عليها وذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقال إن تفعل فقد حل أجلها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গর্ভবতী মহিলার ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- সে তালাক প্রাপ্তা হোক বা তার স্বামী মারা যাক। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, 'গর্ভবতী নারীদের ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।’
৪। আবু সালামা ইবন আবদির রহমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সুবায়'আ বিনত আবূ বারযা আসলামী (রা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে তার ঘটনা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি সা'দ ইবন খাওলা (রা)-এর বিবাহাধীন ছিলাম। তার ইনতিকাল হয়ে গেল। তারপর দু'ই মাস গত হলে আমি সন্তান প্রসব করি। তখন বনূ আবদুদ্দার গোত্রের আবু সানাবিল ইবন বা'কাক (রা) আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি বিয়ের জন্য তৈরী হলাম। তখন আমার এক দেবর আমার নিকট উপস্থিত হল। আমি তখন খেযাব দিয়ে প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। সে বলল, হে সুবায়'আ! তুমি কী চাও? তিনি বললেন, আমি বিয়ে করতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ! তুমি বিয়ে করতে পারবে না; যাবত না তুমি চার মাস দশদিন ইদ্দাত পালন করবে। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে এ সম্বন্ধ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তুমি হালাল হয়ে গেছ। এখন বিয়ে করতে পারবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ)
كتاب العدد
كتاب العدد

باب أن عدة الحامل بوضع الحمل سواء كانت مطلقة أو متوفى عنها لقول الله عز وجل {وألات الأحمال أجلهن أن يضعن حملهن}
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن قال دخلت على سبيعة بنت أبي برزة الأسلمية فسألتها عن أمرها فقالت كنت عند سعد بن خولة فتوفي عني فلم أمكث إلا شهرين حتى وضعت قالت فخطبني أبو السنابل بن بعكك أخو بني عبد الدار فتأهبت للنكاح، قالت فدخل علي حموي وقد اختضبت وتهيأت، فقال ماذا تريدين يا سبيعة؟ قالت فقلت أريد أن أتزوج، قال والله مالك من زوج حتى تعتدين أربعة أشهر وعشرا، قالت فجئت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فقال صلى الله عليه وسلم قد حللت فتزوجي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গর্ভবতী মহিলার ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- সে তালাক প্রাপ্তা হোক বা তার স্বামী মারা যাক। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, 'গর্ভবতী নারীদের ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।’
৫। আবদুল্লাহ ইবন 'আমর (রা) সূত্রে উবাই ইবন কা'ব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বললাম, وَأُولَاتُ الْأَحْمالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ (এবং গর্ভবতী নারীদের ইদ্দাতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।) এটা তিন তালাকপ্রাপ্তার জন্য, নাকি যার স্বামী মারা গিয়েছে তার জন্য। তিনি বললেন, এটা তিন তালাকপ্রাপ্তার জন্যও এবং যার স্বামী মারা গিয়েছে তার জন্যও।
(দারাকুতনী, আবূ ইয়া'লা। হায়ছামী (র) বলেছেন, হাদীসটির সনদে বর্ণনাকারী মুসান্না ইবন সাব্বাহ-কে ইবন মা'ঈন (র) নির্ভরযোগ্য বলেছেন। কিন্তু অধিকাংশ হাদীসবিশারদ তাকে দুর্বল বলেছেন।)
كتاب العدد
كتاب العدد

باب أن عدة الحامل بوضع الحمل سواء كانت مطلقة أو متوفى عنها لقول الله عز وجل {وألات الأحمال أجلهن أن يضعن حملهن}
عن عبد الله بن عمرو عن أبي بن كعب قال قلت للنبي صلى الله عليه وسلم (وألات الأحمال أجلهن أن يضعن حملهن) للمطلقة ثلاثا وللمتوفى عنها؟ قال هي للمطلقة ثلاثا وللمتوفى عنها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : যে মহিলা গর্ভবতী নয়, সে মৃত স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন ইদ্দাত পালন করবে। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে।”
৬। কাবীসা ইবন যুওয়ায়ব (র) সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা আমাদের ওপর আমাদের নবী (ﷺ)-এর সুন্নাতকে বিকৃত করো না। উম্মু ওয়ালাদের মনিব মারা গেলে সে চার মাস দশদিন ইদ্দাত পালন করবে।
(আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ, হাকিম। হাকিম (র) বলেছেন, হাদীসটি সহীহ এবং বুখারী মুসলিমের শর্তে উপনীত।)
كتاب العدد
باب عدة المتوفى عنها إذا كانت غير حامل أربعة أشهر وعشر لقول الله عز وجل {والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا يتربصن بأنفسهن أربعة أشهر وعشرا}
عن قبيصة بن ذؤيب عن عمرو بن العاص قال لا تلبسوا علينا سنة نبينا صلى الله عليه وسلم عدة أم الولد إذا توفى عنها سيدها أربعة أشهر وعشر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীর শোক পালন এবং তার বর্জনীয় বিষয়সমূহ
৭। যায়নাব বিনতে উম্মে সালামা (র) সূত্রে তার মা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলার স্বামী মারা গেলে তার চোখে রোগ দেখা দেয়। লোকেরা নবী (ﷺ)-কে এ সম্বন্ধে অবহিত করল এবং তারা সুরমা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করল। তারা বলল, আমরা তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইতঃপূর্বে প্রত্যেক মহিলা তার ঘরে বসে থাকত আর এমন মোটা ও নিকৃষ্ট বস্ত্র পরিধান করত যা উটের হাওদার নীচে দেওয়া হত। এভাবে সে এক বছর অতিবাহিত করত। আর তার পাশ দিয়ে কুকুর গমন করলে সে গোবর নিক্ষেপ করতে হত। এখন কি তোমরা চার মাস দশদিনও থাকতে পারবে না?
(বুখারী, মুসলিম, ইমামচতুষ্ঠ ও ইমামদ্বয়)
كتاب العدد
باب ما جاء في أحداد معتدة الوفاة وما تجتنبه
عن زينب بنت أم سلمة عن أمها أن امرأة توفي زوجها فاشتكت عينها فذكروها للنبي صلى الله عليه وسلم وذكروا الكحل قالوا نخاف على عينها قال قد كانت إحداكن تمكث في بيتها في شر أحلاسها في شر بيتها حولا فإذا مر بها كلب رمت ببعرة أفلا أربعة أشهر وعشرا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীর শোক পালন এবং তার বর্জনীয় বিষয়সমূহ
৮। উম্মু সালামা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে মহিলার স্বামী মারা গিয়েছে সে কুসুম বর্ণের কাপড়, লাল বর্ণের কাপড় পরবে না এবং খিযাব লাগাবে না, সুরমা ব্যবহার করবে না।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, বায়হাকী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب العدد
باب ما جاء في أحداد معتدة الوفاة وما تجتنبه
عن أم سلمة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم إنه قال المتوفى عنها زوجها لا تلبس المعصفر من الثياب ولا الممشقة ولا الحلي ولا تختضب ولا تكتحل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীর শোক পালন এবং তার বর্জনীয় বিষয়সমূহ
৯। উম্মু 'আতিয়্যা আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মহিলা (কারো জন্য) তিনদিনের বেশি শোক পালন করবে না। তবে স্বামীর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সে তার জন্য চার মাস দশদিন শোক পালন করবে। সে কোন রঙ্গিন কাপড় পরবে না। তবে যে কাপড় সুতা রং করার পর বয়ন করা হয় তা ব্যতিক্রম। আর সে সুরমা, সুগন্ধি লাগাবে না। তবে পবিত্রতার সময় ব্যতিক্রম। যখন সে হায়েয হতে পবিত্র হবে তখন কিছু কুসত এবং আযফার ব্যবহার করতে পারবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب العدد
باب ما جاء في أحداد معتدة الوفاة وما تجتنبه
عن أم عطية الأنصارية قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تحد المرأة فوق ثلاث إلا على زوج فإنها تحد عليه أربعة أشهر وعشرا، ولا تلبس ثوبا مصبوغا إلا عصبا ولا تكتحل ولا تمس طيبا إلا عند طهرها، فإذا طهرت من حيضها نبذة من قسط وأظفار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীর শোক পালন এবং তার বর্জনীয় বিষয়সমূহ
১০। যায়নাব বিনত উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সহধর্মিণী উম্মু হাবীবা (রা)-এর এক ঘনিষ্ঠজন (পিতা) মারা গেলে হলুদ আনিয়ে তার দু' হাত মুছে নেন এবং বলেন, আমি এটা এ জন্য করেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট শুনেছি, (বর্ণনাকারী) হাজ্জাজ (র) বলেন, কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মুসলমান নারী, যে আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে, তার জন্য তিনদিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ নয়। (অন্য শব্দে: তিন রাত।) তবে স্বামীর জন্য হলে সেটা ব্যতিক্রম। এ ক্ষেত্রে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে। হাদীসটি যায়নাব (রা) উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সহধর্মিণী যায়নাব (রা) থেকে অথবা নবী (ﷺ)-এর জনৈক সহধর্মিণী থেকে অপর হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
(যা উক্ত অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করা হয়েছে)।
كتاب العدد
باب ما جاء في أحداد معتدة الوفاة وما تجتنبه
عن حميد بن نافع عن زينب بنت أم سلمة قالت توفي حميم لأم حبيبة (زوج النبي صلى الله عليه وسلم) فدعت بصفرة فمسحت بذراعيها وقالت إنما أصنع هذا لشيء، سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال حجاج لأن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يحل لامرأة مسلمة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تحد فوق ثلاث (وفي لفظ ثلاث ليال) إلا على زوجها أربعة أشهر وعشرا، وحدثته زينب عن أمها وعن زينب زوج النبي صلى الله عليه وسلم أو عن امرأة من بعض أزواج النبي صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : যে মহিলার স্বামী মারা গিয়েছে সে কোথায় ইদ্দাত পালন করবে? এবং সে কি খোরপোষ পাবে, না পাবে না?
১১। ফুরায়'আ বিনত মালিক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমার স্বামী তার কতিপয় (পালিয়ে যাওয়া) দাসের সন্ধানে বের হন। তিনি তাদেরকে 'তারফুল কাদুম' (মদীনা থেকে ছয় মাইল দূরবর্তী একটি স্থান) নামক স্থানে পেয়ে যান। দাসেরা তাকে হত্যা করে ফেলল। আমার নিকট এ শোক সংবাদ আসল। আমি আমার পরিবার থেকে অনেক দূরবর্তী স্থানে বসবাস করতাম। (বর্ণনাকারী বলেন) তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলাম এবং বললাম, আমার নিকট আমার স্বামীর মৃত্যুসংবাদ আসে আর আমি এমন স্থানে বাস করি যা আমার পরিবার হতে অনেক দুরে। স্বামী আমার জন্য কোন খোরপোষ রেখে যান নি। আর তার ওয়ারিসদের নিকটও মাল নেই এবং স্বামীর কোন বাসস্থানও নেই। এমতাবস্থায় যদি আমি আমার আপনজন এবং মামাদের নিকট ফিরে যাই তবে এটা আমার জন্য অনেক ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি ফিরে যাও। যখন আমি মসজিদের দিকে অথবা (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিবিদের কোন) এক হুজরা দিয়ে বের হলাম তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। (অথবা বললেন,) তিনি আমার ব্যাপারে আদেশ করলে আমাকে ডাকা হল। তিনি বললেন, যে ঘরে তুমি তোমার স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেয়েছ সেখানে তুমি অবস্থান করবে; যাবত না আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত ইদ্দাত শেষ হয়। সুতরাং আমি সেখানেই চার মাস দশদিন ইদ্দাত পালন করি। তারপর উসমান (রা) আমার নিকট লোক পাঠালে আমি তাকে এটা জানালাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন।
(মালিক, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন হিব্বান, দারিমী, হাকিম। তিরমিযী (র), হাকিম (র) যাহাবী (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب العدد
باب أين تعتد المتوفى عنها- وهل لها نفقة أما لا؟
عن فريعة بنت مالك قالت خرج زوجي في طلب أعلاج فأدركهم بطرف القدوم فقتلوه فأتاني نعيه وأنا في دار شاسعة من دور أهلي فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فقلت أن نعي زوجي أتاني في دار شاسعة من دور أهلي ولم يدع لي نفقة ولا مال لورثته وليس السكن لي فلو تحولت إلى أهلي وأخوالي كان أرفق بي في بعض شأني، قال تحولي، فلما خرجت إلى المسجد أو إلى الحجرة دعاني أو أمر بي فدعيت فقال امكثي في بيتك الذي أتاك فيه نعي زوجك حتى يبلغ الكتاب أجله، قالت فاعتددت فيه أربعة أشهر وعشرا، قالت فأرسل إلى عثمان فأخبرته فأخذ به
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: তালাকপ্রাপ্তা নারী গর্ভবতী না হলে তার ইদ্দাত তিন হায়য। আর অতিবৃদ্ধ ও অল্পবয়স্ক মহিলার ইদ্দাত তিনমাস। কেননা, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, “তালাকপ্রাপ্তা নারীগণ তিন ঋতু কাল প্রতীক্ষায় থাকবে।” এবং তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের যে সকল নারীর আর ঋতুমতী হওয়ার আশা নেই তাদের ইদ্দাত সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দাতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনো ঋতুবতী হয়নি তাদেরও।
১২। 'ইকরিমা (র) সূত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরা (রা)-এর স্বামী গোলাম ছিল। তাকে 'মুগীস' বলে ডাকা হত। আমি তাকে দেখতাম, সে মদীনার অলি-গলিতে বারীরার পিছু অবলম্বন করে চলত আর তার বিরহে দু'চোখ হতে অশ্রু বিসর্জন দিত। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (ﷺ) তার ব্যাপারে চারটি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, ওয়ালা (আযাদকৃত দাসের সম্পত্তি) আযাদকারীর প্রাপ্য এবং তিনি তাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন এবং স্বাধীন মহিলার ন্যায় ইদ্দাত পালনের জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, একদা তার নিকট কিছু সাদাকা আসলে তিনি তা হতে কিছু অংশ 'আয়েশা (রা)-এর নিকট পাঠান। তিনি নবী (ﷺ)-কে এটা জানালে তিনি বললেন, এটা তার জন্য সাদাকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া।
(দারাকুতনী, তায়ালিসী। হায়ছামী (র) বলেছেন, হাদীসটির সূত্র বিশুদ্ধ।)
كتاب العدد
باب عدة المطلقة غير الحامل ثلاثة قروء وعدة اليائسة والصغيرة ثلاثة أشهرلقول الله عز وجل (والمطلقات يتربصن بأنفسهن ثلاثة قروء) وقوله تعالى (واللائي يئسن من المحيض من نسائكم إن ارتبتم فعدتهن ثلاثة أشهر واللائي لم يحضن)
عن عكرمة عن ابن عباس أن زوج بريرة كان عبدا أسود يدعى مغيثا وكنت أراه يتبعها في سكك المدينة يعصر عينيه عليها قال فقضى فيها النبي صلى الله عليه وسلم أربع قضيات، قضى أن الولاء لمن أعتق وخيرها، وأمرها أن تعتد عدة الحرة قال وتصدق عليها بصدقة فأهدت منها إلى عائشة فذكرت ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقال هو عليها صدقة ولنا هدية
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৩। আবূ সালামা ইবন আবদির রহমান ইবন 'আওফ (র) সূত্রে যাহহাক ইবন কায়স (রা)-এর বোন ফাতিমা বিনত কায়স (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু 'আমর ইবন হাফস ইবন মুগীরা-এর বিবাহাধীন ছিলাম। তিনি আমাকে তিন তালাক দেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত 'আলী ইবন আবিতালিব (রা) কে ইয়ামান প্রেরণকালে তিনিও তার সঙ্গে সফর করেন। তিনি সেখান থেকে (পত্রযোগে) তৃতীয় তালাক পাঠান। মদীনায় আইয়াশ ইবন আবি রবী'আ ইবন মুগীরা তার উকীল ছিল। আমি আইয়াশ-কে বললাম, আমার জন্য খোরপোশ এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা কর। সে বলল, তুমি আমাদের নিকট কোন প্রকার খোরপোষ এবং বাসস্থান পাবে না। তবে আমরা তোমার প্রতি অনুগ্রহবশত কিছু দিলে সেটা ভিন্ন কথা। ফাতিমা (রা) বলেন, আমি বললাম, যদি আমার অধিকার না থাকে তবে আমার অনুগ্রহ প্রাপ্তির প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে তাকে আমার ঘটনা জানালাম এবং আইয়াশ যা বলেছে তা বললাম। তখন তিনি বললেন, সে সত্য বলেছে। তুমি তাদের নিকট খোরপোষও পাবে না, বাসস্থানও না এবং তাদের নিকট ফিরেও যেতে পারবে না। আর তোমাকে ইদ্দাত পালন করতে হবে। সুতরাং তুমি তোমার চাচাত বোন উম্মু শারীক- এর নিকট চলে যাও। তুমি তার কাছে হালাল হওয়া পর্যন্ত বসবাস কর। ফাতিমা (রা) বলেন, তারপর তিনি বললেন, না, ঐ মহিলার নিকট তার মুসলমান ভাইয়েরা যাতায়াত করে। (তার নিকট ইদ্দাত পূর্ণ করা তোমার জন্য কঠিন হবে)। কাজেই তুমি তোমার চাচাত ভাই আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম (রা)- এর নিকট চলে যাও। কেননা, সে দৃষ্টিশক্তিহীন। তুমি তার নিকট অবস্থান কর। যখন তুমি হালাল হবে তখন তুমি (আমাকে না জানিয়ে) নিজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিবে না। ফাতিমা (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ! একথা শুনে তখন আমি ধারণা করছিলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবেন। যখন আমি হালাল হলাম, তখন তিনি উসামা (রা)-এর জন্য আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং তার সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেন। আবূ সালামা বলেন, ফাতিমা (রা) আমার দ্বারা তার উক্ত ঘটনা লিখিয়েছেন আর আমি স্বীয় হাত দ্বারা তা লিখেছি।
দ্বিতীয় সূত্রে তার অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে এবং তাতে অতিরিক্ত আছে, ফাতিমা বিনতে কায়স (রা) বলেন, আমি (ইদ্দাত পূর্ণ করে) হালাল হলে মু'আবিয়া (রা) এবং আবূ জাহম ইবন হুযায়ফা (রা) আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মু'আবিয়া তো নিঃস্ব, তার কোন সম্পদ নেই আর আবু জাহম তো তার কাঁধ হতে লাঠি কখনও নামিয়ে রাখে না (অর্থাৎ তিনি স্ত্রীকে অত্যাধিক মারপিট করেন, অথবা এর অর্থ হল, তিনি অত্যাধিক সফর করেন।) সুতরাং উসামা ইবন যায়দ (রা)-এর সঙ্গে তুমি তাদেরকে কোন দিক দিয়ে তুলনা করবে? (বর্ণনাকারী বলেন,) মনে হয় তার পরিবার এটাকে অপছন্দ করেছিল; এ জন্য (জোরালোভাবে) তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন আমি শুধু তাকেই বিয়ে করব। সুতরাং তিনি উসামা (রা)-কে বিয়ে করেন।
(তৃতীয় সূত্রে তিনি ফাতিমা বিনতে কায়স (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,) আবু 'আমর ইবন হাফস (রা) তাকে আলবাত্তা (চূড়ান্ত) তালাক দেন। আর তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। এরপর বর্ণনাকারী উপরোক্ত ঘটনা বর্ণনা করেন (এবং তিনি বলেন,) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে বিয়ে কর। কিন্তু আমি তাকে অপছন্দ করলাম। তিনি আবার বললেন, তুমি উসামা ইবন যায়দ (রা) কে বিয়ে কর। সুতরাং আমি তাকে বিবাহ করলাম। আল্লাহ এর মধ্যে আমাকে কল্যাণ দান করেছেন।
(মুসলিম, বায়হাকী, ইমামচতুষ্ঠয় ও ইমামদ্বয়)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن بن عوف عن فاطمة بنت قيس أخت الضحاك بن قيس قالت كنت عند أبي عمرو بن حفص بن المغيرة وكان قد طلقني تطليقتين ثم إنه سار مع علي بن أبي طالب إلى اليمن حين بعثه رسول الله صلى الله عليه وسلم فبعث إلي بتطليقتي الثالثة وكان صاحب أمره بالمدينة عياش بن أبي ربيعة بن المغيرة قالت فقلت له نفقتي وسكناي، فقال ما لك علينا من نفقة ولا سكنى إلا أن نتطول عليك من عندنا بمعروف نصنعه قالت فقلت لئن لم يكن لي ما لي به من حاجة قالت فجئت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبرته خبري وما قال لي عياش فقال صدق، ليس لك عليهم نفقة ولا سكن وليس لك فيهم ردة وعليك العدة فانتقلي إلى أم شريك ابنة عمك فكوني عندها حتى تحلي، قالت ثم قال لا، تلك امرأة يزورها أخوتها من المسلمين ولكن انتقلي إلى ابن عمك ابن أم مكتوم فإنه مكفوف البصر فكوني عنده فإذا حللت فلا تفوتيني بنفسك، قالت والله ما أظن رسول الله صلى الله عليه وسلم حينئذ يريدني إلا لنفسه، قالت فلما حللت خطبني على أسامة بن زيد فزوجنيه، فقال أبو سلمة أملت علي حديثها هذا وكتبته بيدي
(وعنه من طريق ثان بنحوه وفيه) فلما حللت خطبني معاوية وأبو جهم بن حذيفة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أما معاوية فعائل لا مال له، وأما أبو جهم فإنه لا يضع عصاه من عاتقه أين أنتم من أسامة بن زيد، وكأن أهلها كرهوا ذلك فقالت لا أنكح إلا الذي دعاني إليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فنكحته
(وعنه من طريق ثالث) عن فاطمة بنت قيس أن أبا عمرو بن حفص طلقها البتة وهو غائب فذكره معناه وقال انكحي أسامة بن زيد فكرهته فقال انكحي أسامة بن زيد فنكحته فجعل الله لي فيه خيرا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৪। আবূ বকর ইবন আবিল জাহম (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আবূ সালামা (রা) ফাতিমা বিনত কায়স (রা)-এর নিকট গেলাম। বর্ণনাকারী বলেন, তখন ফাতিমা (রা) বলল, আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছেন, কিন্তু তিনি আমার জন্য কোন বাসস্থান এবং খোরপোষের ব্যবস্থা করেন নি। ফাতিমা (রা) বলেন, তিনি আমার জন্য তার এক চাচাত ভাইয়ের নিকট দশ কাফীয (একটি পাত্রের মাপ) রাখলেন। এর পাঁচ কাফীয ছিল যব আর পাঁচ কাফীয ছিল খেজুর। ফাতিমা (রা) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললাম, এই সব তিনি দিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে যথার্থই করেছে। তিনি আমাকে অমুকের ঘরে ইদ্দাত পালনের নির্দেশ দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ 'আমর ইবন হাফস তাকে 'বায়িন' (চূড়ান্ত) তালাক দিয়েছিলেন
(মুসলিম, ইবন মাজাহ)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن أبي بكر بن أبي الجهم قال دخلت أنا وأبو سلمة على فاطمة بنت قيس قال فقالت طلقني زوجي فلم يجعل لي سكنى ولا نفقة، قالت ووضع لي عشرة أقفزة عند ابن عم له خمسة شعير وخمسة تمر قالت فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت ذلك له، قال فقال صدق فأمرني أن أعتد في بيت فلان قال وكان قد طلقها طلاقا بائنا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৫। হুসাইন ইবন আবদির রহমান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে 'আমির (র) ফাতিমা বিনতে কায়স (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তার স্বামী তাকে তিন তালাক দিলে তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট অভিযোগ নিয়ে আসলেন। কিন্তু তিনি তার জন্য বাসস্থান এবং খোরপোষের ফয়সালা দেন নি। উমর ইবন খাত্তাব (রা) বললেন, আমরা এক মহিলার কথার ওপর নির্ভর করে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবী (ﷺ)র সুন্নাহ বর্জন করতে পারি না। সম্ভবত সে ভুলে গিয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, 'আমির (র) বললেন, এবং তিনি আমাকে বলেছেন যে, নবী (ﷺ) তাকে ইবন উম্মে মাকতুম (রা)-এর ঘরে ইদ্দাত পালন করতে নির্দেন দেন।
(মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن حصين بن عبد الرحمن ثنا عامر عن فاطمة بنت قيس أن زوجها طلقها ثلاثا فأتت النبي صلى الله عليه وسلم تشكو إليه فلم يجعل لها سكنى ولا نفقة، قال عمر بن الخطاب لا ندع كتاب الله عز وجل وسنة نبيه لقول امرأة، لعلها نسيت قال قال عامر وحدثتني أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرها أن تعتد في بيت ابن أم مكتوم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৬। কাবীসা ইবন যুওয়াইব (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা'ঈদ ইবন যায়দ ইবন 'আমর ইবন নুফায়লের এক কন্যা- ফাতিমা বিনতে কায়স যার খালা হন- তিনি 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন উসমান- এর স্ত্রী ছিলেন। সে তাকে তিন তালাক দেয়। তখন তার খালা ফাতিমা বিনতে কায়স (রা) তার নিকট দূত পাঠিয়ে তাকে নিজ ঘরে নিয়ে আসেন। সে সময় মারওয়ান ইবনুল হাকাম মদীনার শাসক ছিলেন। কাবীসা (র) বলেন, মারওয়ান আমাকে তার নিকট পাঠান। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কি কারণে তিনি এক মহিলাকে নিজ ঘর থেকে ইদ্দাত পূর্ণ করার পূর্বে বের করে নিয়ে এসেছেন? তিনি বললেন, কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি আমাকে নিজ ঘটনা বর্ণনা করেন। তারপর বলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আল্লাহর কিতাবের মাধ্যমে বিবাদ করব । আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
إِذَا طَلَقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ وَاتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ.
(তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর, তবে তাদেরকে তালাক দিবে ইদ্দাতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং তোমরা ইদ্দাতের হিসাব রাখবে এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বহিস্কার করবে না এবং তারাও বের হবে না। যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়)
হতে
لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا
(হয়ত আল্লাহর ইহার পর কোন উপায় করে দিবেন)
এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
فَأُمْسِكُوْهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوْهُنَّ بِمَعْرُوفٍ
(তাদের ইদ্দাত পূরণের কাল আসন্ন হলে (অর্থাৎ তৃতীয় হায়য শুরু হলে) তোমরা হয় যথাবিধি তাদেরকে রেখে দিবে, না হয় তাদেরকে যথাবিধি পরিত্যাগ করবে।)
আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তৃতীয় হায়েযের পর আটক রাখার কথা বলেন নি। এ ছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে অনুরূপ নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি মারওয়ানের নিকট এসে তাকে এই ঘটনা জানালাম। তখন সে বলল, এটা তো এক মহিলার ঘটনা। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সে মহিলার ব্যাপারে নির্দেশ দিলে তাকে নিজ গৃহে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তার ইদ্দাত শেষ হয়।
(নাসাঈ। হাদীসটির সূত্র উত্তম।)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن قبيصة بن ذؤيب أن بنت سعيد بن زيد عمرو بن نفيل وكانت فاطمة بنت قيس خالتها وكانت عند عبد الله بن عمرو ابن عثمان طلقها ثلاثا: فبعثت إليها خالتها فاطمة بنت قيس فنقلتها إلى بيتها ومروان بن الحكم على المدينة، قال قبيصة فبعثني إليها مروان فسألتها ما حملها على أن تخرج امرأة من بيتها قبل أن تنقضى عدتها؟ قال فقالت لأن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرني بذلك، قال ثم قصت علي حديثها، ثم قالت وأنا أخاصمكم بكتاب الله يقول الله عز وجل {إذا طلقتم النساء فطلقوهن لعدتهن وأحصوا العدة واتقوا الله ربكم ولا تخرجوهن من بيوتهن ولا يخرجن إلا أن يأتين بفاحشة مبينة} إلى {لعل الله يحدث بعد ذلك أمرا} ثم قال الله عز وجل {فإذا بلغن أجلهن (الثالثة) فأمسكوهن بمعروف أو فارقوهن بمعروف} والله ما ذكر الله بعد الثالثة عبسا مع ما أمرني به رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال فرجعت إلى مروان فأخبرته خبرها فقال حديث امرأة قال ثم أمر بالمرأة فردت إلى بيتها حتى انقضت عدتها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৭। উবায়দুল্লাহ ইবন আবদিল্লাহ (র) থেকে বর্ণিত যে, আবু 'আমর ইবন হাফস ইবন মুগীরা 'আলী (রা)-এর সঙ্গে ইয়ামান চলে যান। সেখান থেকে তিনি ফাতিমা বিনত কায়স (রা)-এর নিকট এক তালাক পাঠান। যা তার অবশিষ্ট তালাক ছিল। আর তিনি হারিস ইবন হিশাম এবং আইয়াশ ইবন আবি রবী'আকে তার জন্য খোরপোষ দানের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা তাকে বলল, আল্লাহর শপথ! তুমি কোন খোরপোষ পাবে না। তবে যদি তুমি গর্ভবতী হতে তা হলে খোরপোষ পেতে। এরপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে তাদের উক্ত কথা তাকে জানালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না, (তুমি খোরপোষ পাবে না) তবে যদি গর্ভবতী হতে তা হলে পেতে। (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর তিনি স্থানান্তর হওয়ার জন্য অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তাকে অনুমতি দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমি কোথায় থাকব? তিনি বললেন, ইবন উম্মে মাকতুম (রা)-এর নিকট। তিনি দৃষ্টিহীন ছিলেন। তিনি তার নিকট গায়ের কাপড় ফেলে রাখতেন। ইবন উম্মে মাকতুম (রা) তাকে দেখতে পেতেন না। বর্ণনাকারী বলেন, যখন তার ইদ্দাত শেষ হয় তখন নবী (ﷺ) তাকে উসামা ইবন যায়দ (রা)-এর সঙ্গে বিবাহ দেন। এরপর মারওয়ান তার নিকট কুবায়সা ইবন যুওয়াইবকে উক্ত ঘটনা জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠালে তিনি তা বর্ণনা করেন। এটা শুনে মারওয়ান বলল, আমরা এই হাদীস এক মহিলা ব্যতীত অন্য কারো নিকটে শুনতে পাইনি। আমরা মানুষের মধ্যে প্রচলিত নির্ভরযোগ্য বিষয়কে গ্রহণ করব। এরপর ফাতিমা (রা)-এর নিকট মারওয়ানের এ বক্তব্য পৌছুলে তিনি বললেন, আমার তোমাদের মধ্যে কুরআন আছে।
لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُؤْتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ
(তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বহিস্কার করবে না এবং তারাও বের হবে না। যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়)
হতে
لَا تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا
(হয়ত আল্লাহ ইহার পর কোন উপায় করে দিবেন।)
পর্যন্ত পাঠ করলেন।
এরপর তিনি বললেন, এ বিধান তার জন্য যে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। তা না হলে তিন হায়েয অতিক্রান্ত হওয়ার পর আর কি উপায় সৃষ্টি হতে পারে?
(মুসলিম, নাসাঈ)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن عبيد الله بن عبد الله أن أبا عمرو بن حفص بن المغيرة خرج مع علي بن أبي طالب إلى اليمن فأرسل إلى فاطمة بنت قيس بتطليقة كانت بقيت من طلاقها وأمر لها الحارث بن هشام وعياش بن أبي ربيعة بنفقة. فقال لها والله ما لك من نفقة إلا أن تكوني حاملا فأتت النبي صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له قولهما، فقال لا إلا أن تكوني حاملا واستأذنته للانتقال فأذن لها فقالت أين ترى يا رسول الله؟ قال إلى ابن أم مكتوم وكان أعمى تضع ثيابها عنده ولا يراها قال فلما مضت عدتها أنكحها النبي صلى الله عليه وسلم أسامة بن زيد، فأرسل إليها مروان قبيصة بن ذؤيب يسألها عن هذا الحديث فحدثته به، فقال مروان لم نسمع بهذا الحديث إلا من امرأة سنأخذ بالعصمة التي وجدنا الناس عليها فقالت فاطمة حين بلغها قول مروان بيني وبينكم القرآن قال الله عز وجل {لا تخرجوهن من بيوتهن ولا يخرجن إلا أن يأتين بفاحشة} حتى بلغ {لعل الله يحدث بعد ذلك أمرا} قالت هذا لمن كان له مراجعة فأي أمر يحدث بعد الثلاث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৮। আবূ সালামা ইবন আবদির রহমাদন (র) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা বিনতে কায়স (রা) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি 'আবু 'আমর ইবন হাফস ইবন মুগীরা এর স্ত্রী ছিলেন। সে তাকে সর্বশেষ তৃতীয় তালাক দেয়। তিনি বলেন যে, তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে নিজ ঘর থেকে বের হওয়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। নবী (ﷺ) তাকে ইবন উম্মে মাকতুম (রা) যিনি অন্ধ ছিলেন-এর ঘরে গিয়ে বসবাস করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু মারওয়ান ফাতিমা (রা) কর্তৃক বর্ণিত তালাকপ্রাপ্তা মহিলার নিজ গৃহ থেকে বাইরে বের হওয়া সম্পর্কিত বিধান অস্বীকার করল।
(মুসলিম, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن أبي سلمة ابن عبد الرحمن أن فاطمة بنت قيس أخبرته أنها كانت تحت أبي عمرو بن حفص بن المغيرة فطلقها آخر ثلاث تطليقات فزعمت أنها جاءت إلى النبي صلى الله عليه وسلم فاستفتته في خروجها من بيتها فأمرها أن تنتقل إلى بيت ابن مكتوم الأعمى، فأبى مروان إلا أن يتهم حديث فاطمة في خروج المطلقة من بيتها وزعم عروة قال فأنكرت ذلك عائشة على فاطمة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: বায়েন তালাকপ্রাপ্তা নারীর খোরপোষ, বাসস্থান এবং প্রয়োজনের সময় বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে।
১৯। জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খালাকে তালাক দেওয়া হলে তিনি তার খেজুর গাছ থেকে ফল কুড়াতে চাইলেন। তখন এক ব্যক্তি তাকে ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে ধমকাল। তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট আসলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি তোমার গাছের ফল পার, হয়ত তুমি তা সদাকা করবে অথবা এর দ্বারা কোন কল্যাণজনক কাজ করবে।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাই, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب العدد
باب ما جاء في نفقة المبتوتة وسكناها وخروجها الحاجة
عن جابر بن عبد الله قال طلقت خالتي فأرادت أن تجد نخلها فزجرها رجل أن تخرج فأتت النبي صلى الله عليه وسلم فقال بلى، فجدي نخلك فإنك عسى أن تصدقي أو تفعلي معروفًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
ইদ্দাত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাজঈ তালাকপ্রাপ্তা এবং মহিলার জন্য খোরপোষ ও বাসস্থান।
২০। 'আমির শা'বী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় এসে ফাতিমা বিনতে কায়স (রা)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র-এর যুগে তার স্বামী তাকে তালাক দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে অভিযানে পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, এরপর তার ভাই আমাকে বলল, তুমি ঘর হতে বেরিয়ে যাও। আমি বললাম, আমি তো ইদ্দাত শেষ হওয়া পর্যন্ত খোরপোষ এবং বাসস্থান পাব। সে বলল, না। ফাতিমা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললাম, অমুক আমাকে তালাক দিয়েছে আর তার ভাই আমাকে তাদের ঘর হতে বের করে দিয়েছে এবং বাসস্থান ও খোরপোষ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ডেকে পাঠান। সে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, তোমার ও কায়স-এর কন্যার মধ্যে কি হয়েছে? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ভাই তাকে তিন তালাক দিয়েছে। ফাতিমা (রা) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে কায়স বংশের কন্যা। তুমি লক্ষ্য কর, স্বামীর নিকট তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী খোরপোষ এবং বাসস্থান তখনই পাবে যখন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার থাকবে। যদি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার না থাকে তবে তার ওপর স্ত্রীকে খোরপোষ এবং বাসস্থান দেওয়া আবশ্যক হবে না। সুতরাং তুমি অমুক মহিলার নিকট চলে যাও। তারপর তিনি বললেন, (না,) লোকেরা তার নিকট এসে কথাবার্তা বলে। তুমি বরং ইবন উম্মে মাকতুম (রা)-এর ঘরে যাও। সে অন্ধ, তোমাকে দেখতে পাবে না। এরপর (ইদ্দাত শেষ হলে) তুমি কাউকে বিয়ে করবে না; যাবত না আমি তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করি। তিনি বলেন, এরপর কুরায়শের এক পুরুষ আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে আমি রাসুলুল্লাহ-এর নিকট তাঁর অনুমতি নেওয়ার জন্য আসলাম। তিনি বললেন, লক্ষ্য কর, সে লোক অপেক্ষা আমার নিকট যে বেশি প্রিয় তাকে কি তুমি বিয়ে করবে না? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! হ্যাঁ। আপনি যাকে ভালবাসেন তার সঙ্গে আমাকে বিয়ে দিন। ফাতিমা বলেন, এরপর উসামা ইবন যায়দ (রা)-এর সঙ্গে তিনি আমাকে বিয়ে দেন।
এক বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, এরপর আমি তাকে বিয়ে করলাম। আল্লাহ আমাদর জন্য এর মধ্যে অনেক কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।
(পূর্বোক্ত অনুচ্ছেদে উবায়দুল্লাহ ইবন আবদিল্লাহ (র) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, নবী (ﷺ) ফাতিমা বিনত কায়স (রা)-এর জন্য খোরপোষ দানের নির্দেশ দেন নি। তবে সে গর্ভবতী হলে খোরপোষ পেত। শাওকানী (র) বলেছেন, হাদীসটি শুধু মুজালিদ ইবন সা'ঈদ মারফু বর্ণনা করেছেন। তিনি দুর্বল।)
كتاب العدد
باب النفقة والسكنى للمعتدة الرجعية والمبتوتة الحامل
عن عامر(يعني الشعبي) قال قدمت المدينة فأتيت فاطمة بنت قيس فحدثتني أن زوجها طلقها على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فبعثه رسول الله صلى الله عليه وسلم في سرية قالت فقال لي أخوه اخرجي من الدار، فقلت إن لي نفقة وسكنى حتى يحل الأجل، قال لا، قالت فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت أن فلانا طلقني وإن أخاه أخرجني ومنعني السكنى والنفقة: فأرسل إليه فقال ما لك ولابنة آل قيس؟ قال يا رسول الله أخي طلقها ثلاثا جميعا، قالت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انظري يا ابنة آل قيس، إنما النفقة والسكنى للمرأة على زوجها ما كانت له عليها رجعة فإذا لم يكن له عليها رجعة فلا نفقة ولا سكنى اخرجي فانزلي على فلانة ثم قال إنه يتحدث انزلي على ابن أم مكتوب فإنه أعمى لا يراك ثم لا تنكحي حتى أكون أنكحك، قالت فخطبني رجل من قريش فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم أستأمره فقال ألا تنكحين من هو أحب إلي منه؟ فقلت بلى يا رسول الله فأنكحني من أحببت، قالت فأنكحني أسامة بن زيد زاد في رواية فنكحته فجعل الله لي فيه خيرا كثيرا (هذا) وتقدم في الباب السابق في حديث عبيد الله بن عبد الله أن النبي صلى الله عليه وسلم لم يأذن لفاطمة بنت قيس بالنفقة إلا أن تكون حاملا
tahqiq

তাহকীক: