মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
শিকার ও যবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
শিকার পর্ব
পরিচ্ছেদ : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বাযপাখী এবং অনুরূপ জন্তর শিকার
পরিচ্ছেদ : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বাযপাখী এবং অনুরূপ জন্তর শিকার
১। আবদুল্লাহ ইবন আমর (র) থেকে বর্ণিত যে, আবূ সা'লাবা খুশানী (রা) নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কিছু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আছে। আপনি আমাকে এগুলোর শিকারের ব্যাপারে নির্দেশ দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর থাকে তবে এগুলো যা তোমার জন্য ধরে তা খাবে, আবূ সা'লাবা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যেগুলো মরে যায়, কিংবা যেগুলোর আত্মা অবশিষ্ট থাকে সেগুলোও? তিনি বললেন, যেগুলো মরে যায়, কিংবা যেগুলোর আত্মা অবশিষ্ট থাকে সেগুলোও খাবে। আবু সা'লাবা (রা) বললেন, যদি শিকারের কিছু অংশ খেয়ে ফেলে? তিনি বললেন, যদিও কিছু অংশ খেয়ে ফেলে। আবূ সা'লাবা (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে আমার তীর (দ্বারা শিকার করা) সম্বন্ধে নির্দেশ দিন। তিনি বললেন, তোমার তীর তোমার জন্য যা শিকার করবে তা খাবে। আবূ সা'লাবা (রা) বললেন, যেগুলো মরে যায়, কিংবা যেগুলোর আত্মা অবশিষ্ট থাকে সেগুলোও? তিনি বললেন, যেগুলো মরে যায়, কিংবা যেগুলোর আত্মা অবশিষ্ট থাকে সেগুলোও খাবে। আবূ সা'লাবা (রা) বললেন, যদি (তীরের আঘাতের পর) শিকার আমার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়? তিনি বললেন, যদিও তোমার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়, তবুও খেতে পারবে; যতক্ষণ না তাতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় এবং তোমার তীরের চিহ্ন ব্যতীত অন্য কোন চিহ্ন না পাও। আবু সা'লাবা (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা অপারগ হলে অগ্নিউপাসকদের বাসনপত্র ব্যবহার করতে পারব কি না- এ সম্বন্ধে নির্দেশ দিন। তিনি বললেন, যদি অপারগ হও তবে তোমরা তা পানি দ্বারা ধুয়ে তাতে রান্না করবে।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ। নববী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ। নববী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الصيد 
باب ما جاء في صيد الكلب المعلم والبازي ونحوهما
باب ما جاء في صيد الكلب المعلم والبازي ونحوهما
عن عبد الله بن عمرو أن أبا ثعلبة الخشى (1) أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إن لي كلابا مكلبة (3) فأفتنى في صيدها؟ فقال إن كانت لك كلاب مكلبة فكل مما أمسكت عليك، فقال يا رسول الله ذكي (3) وغير ذكي قال ذكي، قال وإن أكل منه؟ قال وإن أكل منه (4) قال يا رسول الله أفتني في قوسي؟ قال كل ما أمسكت عليك قرسك (5) قال ذكي وغير ذكي؟ قال ذكي وغير ذكي، قال وإن تغيب عني؟ قال وإن تغيب عنك ما لم يصل (6) يعني يتغير أو تجد فيه أثر غير سهمك، قال يا رسول الله أفتنا في آنية المجوس إذا اضطررنا إليها؟ قال إذا اضطررتم إليها فاغسلوها بالماء واطبخوا فيها

তাহকীক:
হাদীস নং: ২
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
শিকার পর্ব
পরিচ্ছেদ : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বাযপাখী এবং অনুরূপ জন্তর শিকার
পরিচ্ছেদ : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বাযপাখী এবং অনুরূপ জন্তর শিকার
২। আবু সা'লাবা খুশানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা আহলে কিতাবের (ইয়াহূদ ও নাসারা) এলাকায় বসবাস করি, আমরা কি তাদের বাসনপত্রে খেতে পারব? এবং আমরা শিকারের এলাকায় থাকি, আমি আমার তীর দ্বারা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা, অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা শিকার করি, এর মধ্যে কোনটা হালাল হবে সে সম্বন্ধে আপনি আমাকে বলে দিন। তিনি বললেন, তুমি যে বললেন, তোমরা কিতাবীদের এলাকায় বাস কর এবং তাদের বাসনপত্রে আহার কর। যদি তোমরা তাদের পাত্র ব্যতীত অন্য পাত্র পাও তবে তাদের পাত্রে খাবে না। আর যদি তাদের পাত্র ব্যতীত কোন পাত্র না পাও তবে, তা ধুয়ে নিবে, তারপর তাতে খাবে। তুমি যে বললে তোমরা শিকারের এলাকায় বাস কর (সে বিষয়ে নির্দেশ হচ্ছে,) তুমি আল্লাহর নাম নিয়ে তোমার ধনুক দিয়ে যে শিকার হত্যা করবে তা খাবে। আর তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দ্বারা যা শিকার করবে তাতে আল্লাহর নাম নিবে। এরপর তা খাবে। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন কুকুর দ্বারা যা শিকার করলে তা যবাহ করার সুযোগ পেলে খেতে পারবে।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الصيد 
باب ما جاء في صيد الكلب المعلم والبازي ونحوهما
باب ما جاء في صيد الكلب المعلم والبازي ونحوهما
عن أبي ثعلبة الخشني (8) قال قلت يا رسول الله إنا بأرض أهل كتاب أفنأكل في آنيتهم؟ وإنا في أرض صيد أصيد بقوسي وأصيد بكلبي المعلم وأصيد بكلبي الذي ليس بمعلم فأخبرني ماذا يصلح؟ فقال أما ما ذكرت أنكم بأرض أهل كتاب تأكل في آنيتهم فإن وجدتم غير آنيتهم فلا تأكلوا فيها، وإن لم تجدوا غير آنيتهم فاغسلوها ثم كلوا فيها، وأما ما ذكرت أنكم بأرض صيد فإن صدت بقوسك وذكرت اسم الله فكل، وما صدت بكلبك المعلم فاذكر اسم الله ثم كل (9) وما صدت بكلبك الذي ليس بمعلم فأدركت ذكاته فكل

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
শিকার পর্ব
পরিচ্ছেদ : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বাযপাখী এবং অনুরূপ জন্তর শিকার
পরিচ্ছেদ : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, বাযপাখী এবং অনুরূপ জন্তর শিকার
৩। 'আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এমন এক জাতি যারা এসব কুকুর এবং বাযপাখী দ্বারা শিকার করে থাকি। আমাদের জন্য এসবের মধ্যে কোনটা হালাল হবে? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য সে সব জন্তুর শিকার হালাল যেগুলোকে তোমরা (শিকারকার্য) শিক্ষা দিয়েছ, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। এসব জন্তু যা তোমাদের জন্য ধরে আনে তা তোমরা খাবে এবং তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। এরপর বললেন, তুমি যে কুকুর এবং বাযপাখীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে পাঠাবে, সে যা তোমার জন্য ধরে আনবে তা তুমি খাবে। আমি বললাম, যদি শিকার মেরে ফেলে? তিনি বললেন, যদি মেরে ফেলে আর তা হতে কিছু না খায় তবুও (তা খাবে), কেননা, এটা তোমার জন্য ধরেছে। আমি বললাম, যদি আমাদের কুকুর (শিকারের জন্য) পাঠানোর সময় এদের সঙ্গে অন্য কুকুরও মিলিত হয় তবে এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি খাবে না; যাবত না এ বিষয়ে অবগত হবে যে, এটাই তোমার জন্য শিকার ধরে এনেছে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এমন এক জাতি যারা মি'রায ভারী কাঠ বিশেষদ্বারা শিকার করি। সুতরাং আমাদের জন্য কোন বস্তু হালাল হবে? তিনি বললেন, মি'রায দ্বারা যা শিকার কর তা খেয়ো না; তবে যা যবাহ কর তা ব্যতিক্রম।
(বুখারী, মুসলিম ও ইমামচতুষ্টয়)
(বুখারী, মুসলিম ও ইমামচতুষ্টয়)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الصيد 
باب ما جاء في صيد الكلب المعلم والبازي ونحوهما
باب ما جاء في صيد الكلب المعلم والبازي ونحوهما
عن عدي بن حاتم (2) قال قلت يا رسول الله إنا قوم نتصيد بهذه الكلاب والبزاة (63) فما يحل لنا منها؟ قال يحل لكم ما علمتم من الجوارح مكلبين تعلمونهن مما علمكم الله فكلوا مما أمسكن عليكم واذكروا اسم الله عليه: فما علمت من كلب أو باز ثم أرسلت وذكرت اسم الله عليه فكل مما أمسك عليك، قلت وإن قتل؟ قال وإن قتل ولم يأكل منه شيئا (4) فإنما أمسكه عليك، قلت أفرأيت إن خالط كلابنا كلاب أخرى حين نرسلها؟ قال لا تأكل حتى تعلم أن كلبك هو الذي أمسك عليك (5) قلت يا رسول الله إنا قوم نرمي بالمعراض فما يحل لنا؟ قال لا تأكل ما أصبت بالمعراض إلا ما ذكيت

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : শিকারের কিছু অংশ কুকুর খেয়ে ফেললে তার বিধান।
৪। 'আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কুকুরের শিকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, যদি তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ছেড়ে দাও এবং তাতে বিসমিল্লাহ উচ্চারণ কর, তবে সে যা যা শিকার করে তা যবাহ করতে পারলে যবাহ করবে (এবং খাবে)। যদি মেরে ফেলে তবুও খাবে। আর যদি কিছু অংশ খেয়ে ফেলে তবে তা খাবে না। (অন্য বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে,) কেননা, সে এটা নিজের জন্য ধরেছে।
(বুখারী, মুসলিম, ইমামচতুষ্টয় ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম, ইমামচতুষ্টয় ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء فيما إذا أكل الكلب من الصيد
عن عدي بن حاتم (7) قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن صيد الكلب؟ فقال إذا أرسلت كلبك المعلم فسميت عليه فأخذنا فأدركت ذكاته فذكه، وإن قتل فكل، فإن أكل منه فلا تأكل (1) (زاد في رواية) فإنما أمسك على نفسه

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : শিকারের কিছু অংশ কুকুর খেয়ে ফেললে তার বিধান।
৫। ইবরাহীম (র) সূত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি তুমি তোমার কুকুর ছেড়ে দাও তারপর সে শিকার হতে কিছু অংশ খেয়ে ফেলে তবে তা তুমি খাবে না। কেননা, সে এটা নিজের জন্য ধরেছে। আর যদি তুমি তাকে পাঠাও আর সে শিকারকে মেরে ফেলে; কিন্তু তা হতে কিছু না খায়, তবে তা খাবে। কেননা, সে এটা তার মালিকের জন্য ধরেছে।
(বাযযার। হায়ছামী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(বাযযার। হায়ছামী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء فيما إذا أكل الكلب من الصيد
عن إبراهيم عن ابن عباس (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أرسلت الكلب فأكل من الصيد فلا تأكل فإنما أمسك على نفسه، وإذا أرسلته فقتل ولم يأكل فكل فإنما أمسك على صاحبه

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কুকুর বা এরূপ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) প্রাণী পাঠানোর সময় 'বিসমিল্লাহ' বলা।
৬। 'আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া নাবিয়্যআল্লাহ, আমরা শিকারকারী জাতি। (সুতরাং আমাদেরকে এ সম্বন্ধে কিছু নির্দেশ দিন।) তিনি বললেন, যদি তোমাদের কেউ তার তীর নিক্ষেপ করে তবে সে যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। যদি এতে শিকার মরে যায়, তবে সে যেন তা খায়। আর যদি তা পানিতে পড়ে যায়, তারপর সে তাকে মৃত পায় তবে সে যেন তা না খায়। কেননা, সে জানে না, হয়ত পানিতে পড়ে এটার মৃত্যু হয়েছে। যদি সে তার তীর একদিন বা দু'দিন পর শিকারের ওপর পায়, আর তার তীরের চিহ্ন ব্যতীত অন্য কোন চিহ্ন না পায়, তবে ইচ্ছা করলে সে তা খেতে পারবে। তিনি আরো বললেন, যদি শিকারী তাঁর কুকুর ছাড়ে তবে সে যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। যদি সে শিকারকে মৃত পায় তবে সে তা খাবে। কিন্তু যদি কুকুর তা হতে কিছু খায় তবে সে তা খাবে না। কেননা, কুকুর এটাকে নিজের জন্য ধরে এনেছে। মালিকের জন্য ধরে আনে নি। আর যদি শিকারী তার কুকুর ছাড়ে এবং তার সঙ্গে আরো কুকুর মিলিত হয়; যাদের ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় নি, তবে সে শিকার খাবে না। কেননা, সে জানে না তাদের মধ্যে কে মেরেছে।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء في التسمية عند إرسال الكلب ونحوه
عن عدى بن حاتم (4) قال قلت يا نبي الله إنا أهل صيد، فقال إذا رمى أحدكم بسهمه فليذكر أسم الله تعالى (5) فإن قتل فليأكل وإن وقع في ماء فوجده ميتا فلا يأكله (6) لأنه لا يدري لعل الماء قتله، فإن وجد سهمه في صيد بعد يوم أو اثنين ولم يجد فيه أثر غير سهمه فإن شاء فليأكله قال وإذا أرسل عليه كلبه فليذكر اسم الله عز وجل فإن أدركه قد قتله فليأكل، وإن أكل منه فلا يأكل فإنه إنما أمسك على نفسه ولم يمسك عليه، وإذا أرسل كلبه فخالط كلابا لم يذكر اسم الله عليه فلا يأكل فإنه لا يدري إيها قتل

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কুকুর বা এরূপ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) প্রাণী পাঠানোর সময় 'বিসমিল্লাহ' বলা।
৭। তারই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মি'রায-এর শিকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, যদি তীরের ধারালো অংশ লাগে, তবে তা খাবে আর যদি তার পার্শ্ব দ্বারা আঘাত লাগে তবে তা ওয়াকীয (ছড়ি, পাথর, কাঠ ইত্যাদি যা ধারালো নয়, এমন বস্তু দ্বারা শিকার মারা হলে তা খাওয়া যাবে না।)-এর ন্যায় হারাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমি তাকে কুকুরের শিকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, যদি তুমি 'বিসমিল্লাহ' বলে কুকুর ছেড়ে থাক, আর সে তোমার জন্য শিকার ধরে আনে, তবে তা খাবে। আর যদি তোমার কুকুরের সঙ্গে অন্য কুকুর পাও আর দেখ যে সেই তাকে মেরেছে এবং তুমি আশংকা করেছ যে, সে তাকে তার সঙ্গে নিয়ে গেছে, তবে তুমি সে শিকার খাবে না। কেননা, তুমি কেবল তোমার কুকুরের ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করেছ, অন্য কুকুরের ওপর উচ্চারণ কর নি। 
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء في التسمية عند إرسال الكلب ونحوه
وعنه أيضاً (2) قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن صيد المعراض (3) فقال ما أصاب بجده فكل، وما أصاب بعرضه فهو وقيذ (4) وسألت عن صيد الكلب فقال إذا أرسلت كلبك وذكرت اسم الله عليه فأمسك عليك فكل، وإن وجدت معه كلبا غير كلبك وقد قتله وخشيت أن يكون قد أخذه معه فلا تأكل، فإنك إنما ذكرت اسم الله على كلبك ولم تذكره على غيره

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: কুকুর বা এরূপ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) প্রাণী পাঠানোর সময় 'বিসমিল্লাহ' বলা।
৮। তারই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার আব্বা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতেন। মেহমানদের মেহমানদারী করতেন। এভাবেই তিনি অন্যান্য কাজ করতেন। অতঃপর তিনি বললেন তোমার আব্বা যা চেয়েছেন তা পেয়েছেন, অতঃপর আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ যখন আমি কোন জন্তু শিকার করি, তখন তা যবাহ করার জন্য ধারালো পাথর এবং ধারালো কাঠ ব্যতীত কিছু না পাই, তবে কি করব? তিনি বললেন, যা দ্বারা চাও রক্ত প্রবাহিত করবে এবং আল্লাহ তা'আলার নাম উচ্চারণ করবে। আমি বললাম, কিছু খাদ্যবস্তু এমন আছে যা কেবল গোনাহের আশংকায় ছেড়ে দেই। তিনি বললেন, যে ক্ষেত্রে তুমি নাসারাদের মত সাব্যস্ত না হও, তা ছাড়বে না।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম, ইবন হিব্বান। হাকিম (র) হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন এবং যাহাবী (র) তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আবূ দাউদ (র) ও মুনযিরী (র) এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেননি।)
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম, ইবন হিব্বান। হাকিম (র) হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন এবং যাহাবী (র) তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আবূ দাউদ (র) ও মুনযিরী (র) এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেননি।)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء في التسمية عند إرسال الكلب ونحوه
وعنه أيضا (6) قال قلت يا رسول الله أرمي الصيد ولا أجد ما أذكيه به إلا المروة (7) والعصار؟ قال أمر (8) الدم بما شئت ثم أذكر اسم الله عز وجل، قلت طعام ما أدعه إلا تحرجا (9) قال ما ضارعت فيه نصرانية فلا تدعه

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ধনুক দ্বারা শিকার করা এবং আঘাতপ্রাপ্ত শিকার অদৃশ্য হলে অথবা পানিতে পড়ে গেলে তার বিধান।
৯। উকবা ইবন আমির (রা) ও হুযায়ফা ইবন ইয়ামান (রা) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমার ধনুক যা শিকার করে তা তুমি খাও।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। এর সনদে একজন বর্ণনাকারী 'শুরাহবীল-এর আযাদকৃত দাস, তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। এর সনদে একজন বর্ণনাকারী 'শুরাহবীল-এর আযাদকৃত দাস, তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।)
كتاب الصيد والذبائح
باب الصيد بالقوس وحكم الرمية إذا غابت أو وقعت في ماء
عن عقبة بن عامر وحذيفة بن اليمان رضي الله عنهما يقولان قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل ما ردت عليك قوسك

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ধনুক দ্বারা শিকার করা এবং আঘাতপ্রাপ্ত শিকার অদৃশ্য হলে অথবা পানিতে পড়ে গেলে তার বিধান।
১০। আবু সা'লাবা খুশানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল বলেছেন, যদি তোমার তীর নিক্ষেপ কর আর তা তিনরাত পর্যন্ত অদৃশ্য থাকার পর তার সন্ধান পাও, তবে তুমি সে শিকার খাবে; যাবত না তা দুর্গন্ধযুক্ত হয়।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ)
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ)
كتاب الصيد والذبائح
باب الصيد بالقوس وحكم الرمية إذا غابت أو وقعت في ماء
وعن أبي ثعلبة الخشني (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا رميت بسهمك فغاب ثلاث ليال فأدركته فكل ما لم ينتن

তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ধনুক দ্বারা শিকার করা এবং আঘাতপ্রাপ্ত শিকার অদৃশ্য হলে অথবা পানিতে পড়ে গেলে তার বিধান।
১১। আদী ইবন হাতিম তাই (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে (শিকার সম্বন্ধে) জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেন, আমি বলেছি যে, আমাদের এলাকা শিকারের এলাকা। আমাদের কেউ হয়ত শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করল তারপর সেটা একরাত বা দুইরাত তার থেকে অদৃশ্য থাকল, তারপর সে সেটাকে পেল এবং দেখল যে, তাতে তার তীর রয়েছে (সে কি তা খেতে পারবে?) তিনি বললেন, যখন তুমি তার মধ্যে তোমার তীর পাবে এবং অন্য কোন চিহ্ন তাতে না পাবে আর তোমার বিশ্বাস হবে যে, তোমার তীরই তাকে মেরেছে, তবে তুমি তা খেতে পার। (অন্য শব্দে: যখন তাতে তোমার তীর পাও আর দেখ যে, তা হতে কোন হিংস্র পশু খায়নি, তবে তুমি খেতে পার।)
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী)
كتاب الصيد والذبائح
باب الصيد بالقوس وحكم الرمية إذا غابت أو وقعت في ماء
عن عدي بن حام الطائي (4) قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قلت إن أرضنا أرض صيد فيرمي أحدنا الصيد فيغيب عنه ليلة أو ليلتين (5) فيعده وفيه سهمه، قال إذا وجدت سهمك ولم تجد فيه أثر غيره وعلمت أن سهمك قتله فكله

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : ধনুক দ্বারা শিকার করা এবং আঘাতপ্রাপ্ত শিকার অদৃশ্য হলে অথবা পানিতে পড়ে গেলে তার বিধান।
১২। তারই সূত্রে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি তোমার শিকার পানিতে পড়ে ডুবে যায় তবে তা খাবে না।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب الصيد بالقوس وحكم الرمية إذا غابت أو وقعت في ماء
وعنه أيضاً ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: فإذا وقعت رميتك في الماء فغرق فلا تأكل

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : মি'রায (ভারী কাঠ ইত্যাদির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত) শিকার।
১৩। 'আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মি'রায দ্বারা শিকার করা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, যদি তীরের ধারালো অংশ বিদ্ধ হয় তবে তা খাবে আর যদি তার পার্শ্ব দ্বারা আঘাত লাগে, তারপর তা মরে যায় তবে তা খাবে না, কেননা, এটা ওয়াকীয (ছড়ি, পাথর, কাঠ ইত্যাদি যা ধারালো নয়, এমন বস্তু দ্বারা শিকার মারা হলে তা খাওয়া যাবে না।)-এর শ্রেণীভুক্ত হবে।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء في الصيد بالمعراض
عن عدي بن حاتم (1) قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن صيد المعراض (2) فقال ما أصاب بحده فخزق فكل (3)، وما أصاب بعرضه (4) فقتل فإنه وقيذ (5) فلا تأكل

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : মি'রায (ভারী কাঠ ইত্যাদির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত) শিকার।
১৪। তারই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমার কুকুর 'বিসমিল্লাহ' বলে ছাড়, এরপর তা অন্য কুকুরের সঙ্গে মিশে তারা একসঙ্গে শিকার করে তবে তুমি তা খাবে না। কেননা, তুমি জান না কোন কুকুর তা ধরেছে। আর যদি তুমি 'বিসমিল্লাহ' বলে তীর নিক্ষেপ কর, এরপর তা শিকারের ওপর বিদ্ধ হয় তবে তা খাবে। যদি তা বিদ্ধ না হয় তবে খাবে না। মি'রাযের (অর্থাৎ ভারী কাঠ ইত্যাদি দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত) শিকার খাবে না; তবে যা যবাহ করতে পারবে তা ব্যতিক্রম। বন্দুকের শিকার খাবে না; তবে যা যবাহ করবে তা ব্যতিক্রম।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء في الصيد بالمعراض
وعنه أيضا (6) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أرسلت كلبك وسميت فخالط كلابا أخرى فأخذته جميعا فلا تأكل، فأنك لا تدري أيها أخذه (7)، وإذا رميت فسميت فخرقت فكل، فإن لم يتخرق فلا تأكل (8) ولا تأكل من المعراض إلا ما ذكيت (9) ولا تأكل من البندقة (10) إلا ما ذكيت

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : মি'রায (ভারী কাঠ ইত্যাদির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত) শিকার।
১৫। তারই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা মি'রায দ্বারা শিকারকারী লোক। আমাদের জন্য কোনটা হালাল হবে? তিনি বললেন, মি'রায দ্বারা শিকারকৃত জন্তু খাবে না; তবে যা যবাহ করতে পারবে তা ব্যতিক্রম।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب ما جاء في الصيد بالمعراض
وعنه أيضاً قلت يا رسول الله إنا قوم نرمي بالمعراض فما يحل لنا؟ قال لا تأكل ما أصبت بالمعراض إلا ما ذكيت

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গুলি বা এ জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ।
১৬। আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন যে, এর দ্বারা কোন শত্রুকে প্রতিহত করা যায় না এবং কোন শিকারও মারা যায় না।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب النهي عن الرمي بالبندق وما في معناه
عن عبد الله بن مغفل (13) قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الخذف وقال إنها لا ينكأ (1) بها عدو ولا يصاد بها صيد

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গুলি বা এ জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ।
১৭। সা'ঈদ ইবন জুবায়র (র) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল (রা)-এর জনৈক আপনজন পাথর নিক্ষেপ করলে তিনি তাকে এটা করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, এটা কোন কিছু শিকার করে না এবং কোন শত্রুকেও ঘায়েল করে না; তবে এটা দাঁত ভাঙ্গে আর চোখে ফোঁড়ে। 
বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি পুনরায় এ কাজ করলে। তিনি বললেন, আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এটা নিষেধ করেছেন, তারপরও তুমি আবার এটা করলে? আমি তোমার সঙ্গে কখনও কথা বলব না।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি পুনরায় এ কাজ করলে। তিনি বললেন, আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এটা নিষেধ করেছেন, তারপরও তুমি আবার এটা করলে? আমি তোমার সঙ্গে কখনও কথা বলব না।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب النهي عن الرمي بالبندق وما في معناه
عن سعيد بن جبير (3) أن قريبا لعبد الله بن مغفل حذف فنهاه وقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عنت الخذف وقال إنها لا تصيد صيدا ولا تنكأ عدوا ولكنها تكسر السن وتفقأ العين (4) قال فعاد فقال حدثتك أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عنها ثم عدت؟ لا أكلمك أبدا

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৮
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গুলি বা এ জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ।
১৮। সাবিত (র) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বাকরা (রা) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) একদা তাঁর এক চাচাত ভাই পাথর হাতে নিলে তিনি তাকে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এটা নিষেধ করেছেন। কিন্তু সে নিক্ষেপ করল। এরপর তিনি বললেন, শুন! আমি কি তোমাকে জানাইনি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এটা নিষেধ করেছেন? এরপরও তুমি পাথর নিক্ষেপ করছ? আল্লাহর শপথ! আমি যতদিন বেঁচে থাকি অথবা বললেন অবশিষ্ট থাকি অথবা এরূপ কিছু বললেন- কিছুতেই তোমার সঙ্গে কথা বলব না।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে আবূ বাকরা (রা) হতে বর্ণনাকারী সাবিত-এর শ্রবণ সাব্যস্ত নেই।)
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে আবূ বাকরা (রা) হতে বর্ণনাকারী সাবিত-এর শ্রবণ সাব্যস্ত নেই।)
كتاب الصيد والذبائح
باب النهي عن الرمي بالبندق وما في معناه
عن ثابت (6) أن أبا بكرة قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الخذف فأخذ ابن عم له فقال عن هذا وخذف، فقال ألا أراني أخبرك عن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عنه وأنت تخذف؟ والله لا أكلمك عزمة (7) ما عشت أو بقيت أو نحو هذا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গুলি বা এ জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ।
১৯। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পশুর প্রতি তীর নিক্ষেপ করে তা খেতে নিষেধ করেছেন। (তিনি বলেছেন,) তবে তাকে যবাহ করা হবে সুতরাং তারা যে পরিমাণ ইচ্ছা তীর নিক্ষেপ করুক।
(তায়ালিসী। হায়ছামী (র) বলেছেন, হাদীসটির সূত্রে 'ইবন লাহি'আ' নামের এক বর্ণনাকারী আছে। তার হাদীস হাসান।)
(তায়ালিসী। হায়ছামী (র) বলেছেন, হাদীসটির সূত্রে 'ইবন লাহি'আ' নামের এক বর্ণনাকারী আছে। তার হাদীস হাসান।)
كتاب الصيد والذبائح
باب النهي عن الرمي بالبندق وما في معناه
عن أبي هريرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه نهى عن الرمية أن ترمي الدابة (9) ثم تؤكل ولكن تذبح ثم ليرموا إن شاءوا

তাহকীক:
হাদীস নং: ২০
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গুলি বা এ জাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ।
২০। আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বন্দুকের শিকার খেয়ো না; তবে যা তুমি যবাহ করতে পারবে তা ব্যতিক্রম।
كتاب الصيد والذبائح
باب النهي عن الرمي بالبندق وما في معناه
عن عدي بن حاتم (10) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وصحبه وسلم قال لا تأكل من البندقة إلا ما ذكيت

তাহকীক: