মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৪৩
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৩। আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় যখন আল্লাহ তা'আলা রোগ সৃষ্টি করেন তখন এর জন্য ঔষধও সৃষ্টি করেন। সুতরাং তোমরা (অসুস্থ হলে) ঔষধ গ্রহণ করবে।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে ইমরানুল 'আমা ব্যতিক্রম। ইবন হিব্বান (র) ও অন্যান্যরা তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। কিন্তু ইবন মা'ঈন (র) ও আরো অনেকে তাকে দুর্বল বলেছেন।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن أنس ابن مالك (8) قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الله عز وجل حيث خلق الداء خلق الدواء فتداووا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৪। জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রত্যেক রোগের জন্য ঔষধ রয়েছে। সুতরাং রোগের ঔষধ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আল্লাহর নির্দেশে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।
(মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن جابر بن عبد الله (9) عن النبى صلى الله عليه وسلم أنه قال لكل داء دواء: فإذا أصبت دواء الداء برأ بإذن الله تعالى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৫
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৫। যিয়াদ ইবন ইলাকা (র) সূত্রে উসামা ইবন শারীক (র)-যিনি তারই সম্প্রদায়ের লোক, থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট কে? তিনি বললেন, যার চরিত্র সর্বাধিক উত্তম। তারপর বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা (রুগ্ন হলে) ঔষধ ব্যবহার করব? তিনি বললেন, তোমরা ঔষধ ব্যবহার করবে। কেননা, আল্লাহ যে কোন রোগ সৃষ্টি করেছেন, তার জন্য ঔষধও সৃষ্টি করেছেন। তিনি যাকে শিখিয়েছেন সেই এ সম্বন্ধে জ্ঞান রাখে আর যাকে শেখান নি, সে এ সম্বন্ধে অজ্ঞাত।
দ্বিতীয় সূত্রে শু'বা (র) যিয়াদ ইবন 'ইলাকা (র) থেকে, তিনি উসামা ইবন শারীক (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট আসলাম। সে সময় তাঁর নিকট তাঁর সাহাবীগণ উপস্থিত ছিলেন। (তাঁরা এমন অবস্থায় ছিলেন,) যেন তাদের মাথায় পাখি উপবিষ্ট রয়েছে। আমি তাঁকে সালাম দিয়ে বসে গেলাম। তারপর কয়েকজন বেদুঈন এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি (রুগ্ন হলে) ঔষধ ব্যবহার করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তোমরা ঔষধ ব্যবহার করবে কেননা, আল্লাহ যে কোন রোগ সৃষ্টি করেছেন, তার জন্য ঔষধের ব্যবস্থা করেছেন। তবে একটি রোগ ব্যতিক্রম। সেটা হল, বার্ধক্য। (অন্য বর্ণনায়: তবে মৃত্যু ও বার্ধক্য ব্যতিক্রম। বর্ণনাকারী বলেন, যখন উসামা (রা) বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হন, তখন তিনি বলতেন, এখন কি তোমরা আমার জন্য কোন ঔষধের ব্যবস্থা করতে পারবে? বর্ণনাকারী বলেন, বেদুঈনগণ তাঁকে আরো কিছু বিষয় সম্বন্ধে প্রশ্ন করলেন। তারা বললেন, আমাদের জন্য এরূপ এরূপ বিষয়ে কি কোন অসুবিধা আছে? তিনি বললেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ! যেসব ক্ষেত্রে কষ্ট হয় আল্লাহ সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে যদি অত্যাচারিত ব্যক্তি অত্যাচারীর নিকট কিয়ামতের দিন নিজ হক দাবী করে তাহলে এটা হবে (অত্যাচারীর জন্য) কষ্ট ও ধ্বংসের কারণ। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষকে যে সব বস্তু দান করা হয়েছে, তন্মধ্যে উৎকৃষ্টতম কোনটি? তিনি বললেন, উত্তম চরিত্র।
(হাকিম, তায়ালিসী ও ইমামচতুষ্টয়। তিরমিযী (র), হাকিম ও ইবন খুযায়মা (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী (র) ও এটা সমর্থন করেছেন।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن زياد بن علاقة (1) عن أسامة بن شريك رجل من قومه قال جاء أعرابى إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله أي الناس خير؟ قال أحسنهم خلقاً (2) ثم قال يا رسول الله أتتداوى؟ قال تداووا فإن الله لم ينزل داءاً إلا أنزل له شفاءاً (3) علمه من علمه (4) وجهله من جهله (ومن طريق ثان) (5) عن شعبة عن زياد بن علاقة عن أسامة بن شريك رضى الله عنه قال أتيت النبى صلى الله عليه وسلم وأصحابه عنده وكأنما على رؤسهم الطير (6) قال فسلمت عليه وقعدت، قال فجاءت الأعراب فسالوه فقالوا يا رسول الله، نتداوى؟ قال نعم تداووا، فإن الله لم يضع داءاً إلا وضع له دواءاً غير داء واحد الهرم (وفى رواية إلا الموت والهرم) (7) قال وكان أسامة حين كبر يقول هل ترون لى من دواء الآن؟ قال وسألوه عن أشياء هل علينا حرج في كذا وكذا (8) قال عباد الله، وضع الله الحرج (9) إلا أمراً اقتضى أمراً مسلماً ظلماً فذلك حرج وهلك (10) قالوا ما خير ما أعطى الناس يا رسول الله؟ قال خلق حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৬
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৬। হিলাল ইবন ইসাফ (র) যাকওয়ান (র) থেকে, তিনি আনসার সম্প্রদায়ের জনৈক লোক থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক আহত ব্যক্তিকে দেখতে গেলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তার জন্য অমুক গোত্রের চিকিৎসক ডেকে আন। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা তাকে ডেকে পাঠাল। সে লোক এসে বলল, রাসূলাল্লাহ! ঔষধও কোন প্রয়োজন মিটাতে পারে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পৃথিবীতে এমন কোন রোগ অবতীর্ণ করেননি, যা হতে আরোগ্যলাভের ব্যবস্থা করেননি।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن هلال بن يساف (11) عن ذكوان عن رجل من الأنصار قال عاد رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلاً به جرح فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أدعوا له طبيب بنى فلان، قال فدعوه فجاء فقال يا رسول الله ويغنى الدواء شيئاً؟ فقال سبحان الله وهل أنزل الله من داء في الأرض إلا جعل له شفاءاً
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৭
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৭। আতা ইবন সায়িব (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ আবদির রহমান (র)-এর নিকট এসে দেখলাম যে, তিনি এক বালককে সেক দিচ্ছেন। তখন আমি বললাম, আপনি তাকে সেক দিচ্ছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এটা আরবদের ঔষধ। আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ যে কোন রোগ অবতীর্ণ করেছেন, তার সঙ্গে ঔষধও অবতীর্ণ করেছেন। যাকে এ বিষয়ে শিক্ষা দেননি, সে অজ্ঞাত রয়েছে আর যাকে তিনি শিখিয়েছেন, সে অবগত হয়েছে।
(নাসাঈ, হাকিম। ইবন হিব্বান (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং হাকিম (র) ও যাহাবী (র) এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেন নি।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن عطاء بن السائب (12) قال أتيت أبا عبد الرحمن فإذا هو يكوى غلاماً قال قلت تكويه؟ قال نعم هو دواء العرب، قال عبد الله بن مسعود قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله عز وجل لم ينزل داءاً إلا وقد أنزل معه دواءاً جهله منكم من جهله وعلمه منكم من علمه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৮
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৮। আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আগুনে পোড়ানো লোহা দ্বারা দাগ দেওয়ার স্থলবর্তী হল, সেঁক দেওয়া, নাসারন্ধ্রে নেকড়া ঢুকানোর স্থলবর্তী হল, নাকে ফোঁটা ফোঁটা ঔষধ প্রয়োগ করা এবং ফুঁক দেওয়ার স্থলবর্তী হল, মুখে ফোঁটা ফোঁটা ঔষধ প্রয়োগ করা।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ (র) বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনাকারী ইবরাহীম-এর শ্রুতি প্রমাণিত নেই।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن عائشة رضى الله عنها (2) قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مكان الكى التكميد (3) ومكان العلاق السَّعوط (4) ومكان النفخ اللدود
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৯
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
চিকিৎসা পর্ব

পরিচ্ছেদ: ঔষধ গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান। প্রত্যেক রোগের প্রতিষেধক রয়েছে।
৪৯। ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত যে, বনু হারিস ইবন সা'দ ইবন হুযায়মের ইবন আবি খুযামা (রা) তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা যে ঔষধ ব্যবহার করি, মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করি এবং যে সব পথ্য মেনে চলি, এগুলো কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্য প্রত্যাখ্যান করতে পারে? তিনি বললেন, এগুলোও আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক নির্ধারিত।
(ইবন মাজাহ, তিরমিযী। তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
أبواب الطب

باب ما جاء في الحث على التداوى وأن لكل داء دواءاً
عن ابن شهاب (6) أن أبا خزامة أحد بنى الحارث بن سعد بن هريم حدثه أنه قال يا رسول الله أرأيت دواءاً نتداوى به ورقى نسترقيها (7) وتسقى نتقيها (8) هل يرد ذلك من قدر الله تبارك وتعالى من شئ؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إنه من قدر الله (9) عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫০
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ যে সব বস্তু হারাম করেছেন, সেগুলো ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
৫০। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিকৃষ্ট বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বিষ দ্বারা।
(মুসলিম, ইবন মাজাহ, তিরমিযী, আবু দাউদ)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب النهى عن التداوى بما حرمه الله عز وجل
عن أبى هريرة (10) قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الدواء الخبيث (11) يعني السم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫১
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ যে সব বস্তু হারাম করেছেন, সেগুলো ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
৫১। তারিক ইবন সুওয়াইদ হাযরামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের এলাকায় অনেক আঙ্গুর রয়েছে। আমরা কি তা নিংড়িয়ে রস পান করতে পারবো? তিনি বললেন, না। (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, না। তারপর আমি আবার জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, না। এরপর বললাম, আমরা এর দ্বারা রোগের চিকিৎসা করি। তিনি বললেন, এটা রোগনিরামক নয়; বরং এটা নিজেই রোগ।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب النهى عن التداوى بما حرمه الله عز وجل
عن طارق بن سويد الحضرمى (1) قال قلت يا رسول الله إن بأرضنا عناباً نعصرها فنشرب منها؟ (2) قال لا: فراجعته فقال: لا: ثم راجعته فقال لا: فقلت إنا نستشفى بها للمرض، قال إنه ليس بشفاء ولكنه داء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫২
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ যে সব বস্তু হারাম করেছেন, সেগুলো ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
৫২। আলকামা ইবন ওয়ায়িল (র) সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হলেন। সে সময় তাঁকে সুওয়াইদ ইবন তারিক (রা) নামক খাস'আম গোত্রে জনৈক ব্যক্তি মদ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে তা পান করতে নিষেধ করেন। তারপর সে লোক বললেন, আমরা তো ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য এটা তৈরী করি? তখন নবী (ﷺ) বললেন, এটা তো (রোগপ্রতিষেধক নয়; বরং) রোগ।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب النهى عن التداوى بما حرمه الله عز وجل
عن علقمة بن وائل عن أبيه (4) أنه شهد النبى صلى الله عليه وسلم وسأله رجل من خثعم يقال له سويد بن طارق (5) عن الخمر فنهاه، فقال إنما هو شئ نصنعه دواءاً، فقال النبى صلى الله عليه وسلم إنما هو داء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৩
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ যে সব বস্তু হারাম করেছেন, সেগুলো ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
৫৩। আবদুর রহমান ইবন উসমান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক চিকিৎসক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর একটি ঔষধ সম্বন্ধে আলোচনা করল এবং বলল যে, এতে ব্যাঙ ব্যবহার করা হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ব্যাঙ হত্যা করতে নিষেধ করলেন।
(হাদীসটি 'হত্যা ও জিনায়াত' অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب النهى عن التداوى بما حرمه الله عز وجل
عن عبد الرحمن بن عثمان (6) قال ذكر طبيب عند رسول الله صلى الله عليه وسلم دواءاً وذكر الضفدع يجعل فيه فنهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن قتل الضفدع
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৫৪। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের তাপ হতে। সুতরাং তোমরা পানি দ্বারা এটাকে শীতল কর।
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن عبد الله بن عمر (7) عن النبى صلى الله عليه وسلم الحمى من فيح جهنم (8) فابردوها (9) بالماء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৫
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৫৫। তারই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমরা জ্বর অনুভব করবে তখন ঠাণ্ডা পানি দ্বারা তাকে দমন করবে।
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
وعنه أيضاً (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أحسستم بالحمى فأطفئوها (2) بالماء البارد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৫৬। রাফি' ইবন খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ।
(অন্য বর্ণনায় : فَوْرِ جَهَنَّمَ এর স্থলে مِنْ فَيْحٍ جَهَنَّمَ অথ্যাৎ জাহান্নামের উত্তাপ হতে উৎপন্ন) সুতরাং তোমরা পানি দ্বারা এটাকে শীতল করবে।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
আবু বাশীর আনসারী (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।
হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ ও তবারানী বর্ণনা করেছেন। এর সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن رافع بن خديج (3) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن الحمى فور (4) جهنم (وفى لفظ من فور جهنم) فأبردوها بالماء
(وعن أبى بشير الأنصارى) (5) عن النبى صلى الله بمثله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৭
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৫৭। আবূ জামরা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস এর নিকট আসতাম। তারপর কয়েকদিন আসতে পারলাম না তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন কিসে তোমাকে বিরত রেখেছে? আমি বললাম, জ্বর। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় জ্বর জাহান্নামের তাপ হতে সৃষ্ট। সুতরাং তোমরা যমযমের পানি দ্বারা এটাকে শীতল কর।
(বুখারী)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن أبى جمرة (6) قال كنت ادفع الناس عن ابن عباس رضى الله عنهما فاحتبست أياماً فقال ما حبسك؟ قلت الحمى، قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الحمى من فيح جهنم فابردوها بماء زمزم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৫৮। আয়েশা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, নিশ্চয় জ্বর অথবা বললেন, জ্বরের তীব্রতা জাহান্নামের তাপ হতে সৃষ্ট। সুতরাং তোমরা পানি দ্বারা এটাকে শীতল কর।
(তিরমিযী। তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن عائشة رضى الله عنها عن النبى صلى الله عليه وسلم إن الحمى أو شدة الحمى من فيح جهنم فابردوها بالماء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৯
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৫৯। জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জ্বর নবী (ﷺ)-এর নিকট অনুমতি চাইলে তিনি বললেন, সে কে? জ্বর বলল, আমি উম্মু মিলদাম (জ্বরের উপনাম)। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি তাকে কুবাবাসীদের নিকট যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। এরপর তারা যে কী জ্বরে আক্রান্ত হল তা আল্লাহ তা'আলাই জানেন। ফলে তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ সম্বন্ধে অভিযোগ করল। তিনি বললেন, তোমরা কী চাও? যদি তোমরা ইচ্ছা কর, তবে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দু'আ করব, তাহলে তিনি এটা তোমাদের হতে সরিয়ে নিবেন আর যদি ইচ্ছা কর যে, এটা তোমাদের জন্য (গোনাহ থেকে) পবিত্রতার কারণ হোক, তবে এটা কামনা করতে পার। তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরূপ হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারা বলল, তবে এটাকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দিন।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। এর সনদ হাসান।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن جابر بن عبد الله قال استأذنت الحمى على النبى صلى الله عليه وسلم فقال من هذه؟ قالت أم ملدم (10) قال فأمر بها إلى أهل قباء (11) فلقوا منها ما يعلم الله فأتوه فشكو ذلك إليه، فقال ماشئتم، إن شئتم أن أدعوا الله لكم فيكشفها عنكم، وإن شئتم أن تكون لكم طهورا (1) قالوا يا رسول الله أو تفعل؟ قال نعم، قالوا فدعها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬০
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৬০। আসমা (রা) থেকে বর্ণিত যে, যখন তার নিকট কোন (জ্বরাক্রান্ত) মহিলাকে এই উদ্দেশ্যে আনা হত যে, তিনি তার জন্য দু'আ করবেন, তখন তিনি তার বক্ষদেশের ভিতরে পানি ঢেলে দিতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমরা পানি দ্বারা এটাকে ঠাণ্ডা করি এবং বলেছেন, এটা জাহান্নামের তাপ হতে সৃষ্ট।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن أسماء أنها كانت إذا أتيت (3) بالمرأة لتدعو لها صبت الماء بينها وبين جبيبها (4) وقالت إن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرنا أن نبرّدها (5) بالماء وقال إنها من فيح جهنم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬১
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৬১। আবূ উমামা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জ্বর জাহান্নামের হাপর হতে সৃষ্ট। মু'মিন এটা দ্বারা আক্রান্ত হলে, সে জাহান্নাম হতে তার অংশ ভোগ করে। (এর ফলে সে সকল গোনাহ হতে পবিত্র হয়ে যায়।)
(তবারানী, বায়হাকী। মুনযিরী (র) বলেছেন, আহমাদ (র)-এর সূত্রে দূষণীয় কিছু নেই।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن أبى أمامة عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الحمى من كير جهنم (7) فما أصاب المؤمن منها كان حظه (8) من النار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২
চিকিৎসা, ঝাড়ফুঁক, বদ-নযর ও শুভাশুভ লক্ষণ গ্রহণ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জ্বর ও তার চিকিৎসা।
৬২। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে জ্বর এবং ব্যাথা-বেদনার জন্য এই দু'আ শিক্ষা দিয়েছেন,
بِسْمِ اللهِ الْكَبِيْرِ ، أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ، مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَغَارٍ ، وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ .
"মহান আল্লাহর নামে শুরু করলাম। আমি মহান আল্লাহর নিকট সমস্ত রক্তচলাচলের শিরার অনিষ্টতা হতে এবং জাহান্নামের উত্তাপের অনিষ্টতা হতে আশ্রয় চাই।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ। তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি গরীব, ইহার সূত্রে বর্ণনাকারী 'ইসমা'ঈল ইবন আবি হাবীবা' দুর্বল।)
كتاب الطب والرقى والعين والعدوى والتشاؤم والفأل
باب ما جاء في الحمى وعلاجها
عن ابن عباس قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعلمنا من الحمى والأوجاع، بسم الله الكبير، أعوذ بالله من شر عرق نعَّار (10) ومن شر حر النار
tahqiq

তাহকীক: