মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১. তামীম ইব্‌ন ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন একজন সাহাবী বলেন; একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুতবা দেওয়ার সময় বললেন, হে মানুষ, দুটি অঙ্গের দুষ্কর্ম থেকে আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন, সে বেহেশতে প্রবেশ কবে। তখন আনসারদের এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), সে দুটি অংগ সম্পর্কে আমাদের সংবাদ দিবেন না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দুটি অংগের দুষ্কর্ম থেকে আল্লাহ্ যাকে রক্ষা করেন, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। অবশেষে সে যখন তৃতীয় বার প্রশ্ন করতে চেয়েছিল, তখন রাসূলের সাহাবাগণ তাকে বসিয়ে দিয়ে বললো, তুমি লক্ষ্য করনি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছিলেন, আর তুমি তাকে বিরত রাখছ? সে বললো, আমি ভয় করছি যে লোকেরা এর উপর নির্ভর করবে (ফলে অন্যান্য আমল ছেড়ে দিবে)। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ্ দু'চোয়ালের মধ্যবর্তীস্থানের অর্থাৎ মুখের দুষ্কর্ম এবং দু'পায়ের মধ্যবর্তী স্থানের অর্থাৎ যৌনাঙ্গের দুষ্কর্ম থেকে রক্ষা করেন, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن تميم بن يزيد (1) مولى بني زمعة عن رجل من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم قال أيها الناس ثنتان من وقاه الله شرهما دخل الجنة قال فقام رجل من الانصار فقال يا رسول الله لا تخبرنا (2) ما هما ثم قال اثنان من وقاه الله شرهما دخل الجنة حتى إذا كانت الثالثة أجلسه أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا ترى رسول الله صلى الله عليه وسلم يريد يبشرنا فتمنعه؟ فقال اني اخاف ان يتكل الناس فقال ثنتان من وقاه الله شرهما دخل الجنة ما بين لحييه (3) وما بين رجليه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
২. আবূ সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, আদম সন্তান যখন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, তখন তার শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার মুখের কাছে অনুনয় বিনয় করে বলে, আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা, আমরা তোমার সাথেই আছি। তুমি যদি ঠিক থাক তবে আমরাও ঠিক থাকব। আর যদি তুমি বাঁকা পথ ধর, তবে আমরাও খারাপ হয়ে যাব।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن أبي الصبهاء (4) قال سمعت سعيد بن جبير يحدث عن أبي سعيد الخدري (رضي الله عنه) لا أعلمه الا رفعه قال اذا اصبح ابن آدم فإن أعضاءه تكفر (5) اللسان تقول اتق الله فينا فإنك إن استقمت استقمنا وان اعوججت اعوججنا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৩. 'আলী ইব্‌ন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মানুষের ইসলামের একটি সৌন্দর্য হচ্ছে অনর্থক সবকিছু পরিহার করা।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن علي بن حسين (6) عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم من حسن اسلام المرء تركه ملا يعنيه
হাদীস নং: ৪
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৪. সুফিয়ান ইব্‌ন 'আবদুল্লাহ আস-সাকাফী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল আমাকে এমন একটি জিনিস বলে দিন, যাকে আমি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবো।
(অন্য শব্দে:) ইসলামের মধ্যে আমাকে এমন একটি নির্দেশ দিন, যাতে আপনার পরে আর কাউকে তা জিজ্ঞেস করতে না হয়। তিনি বললেন, তুমি বল: "আল্লাহ্ আমার রব। (অন্য শব্দে: আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি) তারপর এর উপর তুমি অবিচল থাক। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার ব্যাপারে আপনি কোন জিনিষের অধিক ভয় করেন? অন্য শব্দ কোন জিনিসকে আপনি আমার জন্য ভয়ের কারণ বলে মনে করেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নিজের জিহ্বা ধরে বলেন, এটিকে।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن سفيان بن عبد الله الثقفي (1) قال قلت يا رسول الله حدثني بأمر اعتصم به (وفي لفظ) مرني في الاسلام بأمر لا أسأل عنه أحدا بعدك قال قل ربي الله (وفي لفظ آمنت بالله) ثم استقم قال قلت يا رسول الله ما أخوف (وفي لفظ ما أكبر) ما تخاف علي (وفي لفظ فأي شيء اتقي) قال فأخذ بلسان نفسه ثم قال هذا
হাদীস নং: ৫
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৫. 'আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ইসলামে কোন জিনিস সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে, সে-ই সর্বোত্তম মুসলমান।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن عبد الله بن عمرو (2) أن رجلا قال يا رسول الله اي الاسلام أفضل؟ قال من سلم المسلمون من لسانه ويده
হাদীস নং: ৬
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৬. বারা' ইবন 'আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) এক বেদুঈনকে কিছু নেক আমল করার নির্দেশ দেন। তাতে ছিল- সৎকাজের আদেশ দাও ও অন্যায় কাজে নিষেধ কর, তাতে যদি সমর্থ্য না হও, তাহলে কল্যাণের কথা ছাড়া সবকিছু থেকে জিহ্বাকে বিরত রাখো।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن البراء بن عازب (3) أن النبي صلى الله عليه وسلم أمر أعرابيا بخصال من أنواع البر (فيها) وأمر بالمعروف وانه عن المنكر فان لم تطق ذلك فكف لسانك إلا من الخير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৭. 'মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমাকে সব কিছুর মাথা ও বুনিয়াদ এবং সর্বোচ্চ শীর্ষদেশ স্বরূপ আমল সম্পর্কে অবহিত করব কি? তিনি বললেনঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বললেনঃ সব কিছুর মাথা হল ইসলাম, বুনিয়াদ হল নামায আর সর্বোচ্চ শীর্ষ হল জিহাদ। এরপর বললেনঃ এ সব কিছুর মূল পুঁজি সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব কি? আমি বললামঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটিকে সংযত রাখ। আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী, আমরা যে কথাবর্তা বলি সেই কারণেও কি আমাদের পাকড়াও করা হবে? তিনি বললেনঃ তোমাদের মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক,* হে মু’আয! লোকদের অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ্ত হওয়ার জন্য এই যবানের কামাই ছাড়া আর কি কিছু আছে নাকি?
*একটি বাক রীতি। কোন কথার গুরুত্ব বুঝাতে এবং শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণার্থে এই বাক–ভঙ্গিমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن معاذ بن جبل (4) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال له الا اخبرك برأس الأمر وعموده وذروة سنامه؟ (5) قال فقلت بلى يا رسول الله قال رأس الأمر وعموده الصلاة وذروة سنامه الجهاد ثم قال ألا اخبرك بملاك (6) ذلك كله؟ فقلت بلى يا نبي الله فأخذ بلسانه فقال كف عليك هذا فقلت يا رسول الله وانا لمؤاخذون بما نتكلم به؟ فقال ثكلتك (7) أمك يا معاذ وهل يكب الناس على وجوههم في النار أو قال على مناخرهم الا حصائد (8) السنتهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৮. ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সেই সত্তার কসম! যাঁহার হাতে আমার প্রাণ! কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হইবে না যে পর্যন্ত না তাহার অন্তর ও মুখ মুসলমান হইবে।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن ابن مسعود (9) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذي نفسي بيده لا يسلم عبد حتى يسلم قلبه ولسانه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯. সাহাল ইব্‌ন সা'আদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার দু'চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থানের (জিহ্বা) এবং দু'পায়ের মধ্যবর্তী স্থানের (যৌনাংগ) নিশ্চয়তা দিতে পারবে, আমি তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা দিতে পারব।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن سهل بن سعد (1) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من توكل لي (2) ما بين لحييه (3) وما بين رجليه توكلت (4) له بالجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১০. মুহাম্মদ ইব্‌ন 'আবদুর রহমান আত-তুফাউয়ী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু গদীয়া, ও হাবিব ইব্‌ন হারিছ ও উম্মে আবু আলীয়া হিজরত করে মদীনায় রাসূলের নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন মহিলাটি বলে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে অসিয়ত করুন। রাসূল (ﷺ) বললেন, তুমি অন্যের কাছ থেকে মন্দ কথা শুনা থেকে তোমার কানকে হিফাজত রাখ।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن محمد بن عبد الرحمن الطفاوى (5) قال خرج أبو الغادية (6) وحبيب بن الحارث وأم أبي العالية مهاجرين الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأسلموا فقالت المرأة أوصني يا رسول الله قال إياك (7) وما يسوء الأذن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১১. সুলায়মান ইব্‌ন সুহায়ম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার মা থেকে বর্ণনা করেন। তার মা (আবূ হাকাম গাফফারীর মেয়ে) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি: কোন ব্যক্তি জান্নাতের এত নিকটবর্তী হয় যে, তার মাঝে ও জান্নাতের মাঝে এক গজ দূরত্ব থাকে। এরপর সে এমন অসন্তুষ্টিমূলক কথা বলে, যার দরুন সে জান্নাত থেকে 'সানআ' শহরের চেয়ে অধিক দুরে চলে যায়।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن سليمان بن سحيم (8) عن أمه ابنة أبي الحكم الغفاري قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان الرجل ليدنو من الجنة حتى ما يكون بينه وبينها قيد (9) ذراع فيتكلم بالكلمة (10) فيتباعد منها أبعد من صنعاء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১২. আবু মুসা আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن أبي موسى الأشعري (12) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حفظ ما بين فقميه (13) وفرجه دخل الجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায়- রসনার ক্ষতি সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ : অধিক কথা বলা থেকে ভীতি প্রদর্শন এবং চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৩. বিলাল ইব্‌ন হারিছ আল্-মুযানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পছন্দনীয় কথা বলে, তার প্রতিদান সম্পর্কে সে ধারণাও করে না। আল্লাহ্ তা'আলা তার এ কথার বিনিময়ে তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ ও সন্তোষ লিখে দেন। পক্ষান্তরে, কোন ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা বলে, (চিন্তা ভাবনা না করে), যার পরিণতি সম্পর্কে সে বেখবর। আল্লাহ্ এ কথার বিনিময়ে তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর অসন্তুষ্টি লিখে দেন।
'আল্কামা (রা) বলেন, বিলাল ইব্‌ন হারিছের নিকট থেকে আমি যে হাদীস শুনেছি, তা আমাকে অনেক কথাই বলতে বাধা দেয়।
كتاب آفات اللسان
كتاب آفات اللسان

باب ما جاء في الترهيب من كثرة الكلام وما جاء في الصمت
عن بلال بن الحرث المزني قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الرجل ليتكلم بالكلمة من رضوان الله عز وجل (15) ما يظن أن تبلغ ما بلغت (16) يكتب الله عز وجل له بها رضوانه إلى يوم القيامة (1) وإن الرجل ليتكلم بالكلمة من سخط (2) الله عز وجل ما يظن أن تبلغ ما بلغت (3) يكتب الله عز وجل بها عليه سخطه إلى يوم القيامة (4) قال فكان علقمة يقول كم من كلام قد منعنيه حديث بلال بن الحرث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৪. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে চুপ থাকে, সে মুক্তি পায়।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الصمت
عن عبد الله بن عمرو بن العاص (5) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من صمت نجا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৫. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন মেহমানকে সমাদর করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে, অন্যথায় চুপ থাকে।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الصمت
عن ابي هريرة (6) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه ومن كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلا يؤذ جاره ومن كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرا أو ليسكت
হাদীস নং: ১৬
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: চুপ থাকা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৬. 'আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। সেখানে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে, অথবা চুপ থাকে।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الصمت
عن عائشة (7) رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله (وفيه) ومن كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرا أو ليصمت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গীবত ও অপবাদ সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
১৭. আবু হুরায়রা (রা) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তোমার ভাইয়ের এমন প্রসংগ আলোচনা করা, যা তার মধ্যে নেই। সে বললো, আমি যা বললাম, যদি তা তার মধ্যে থাকে, তাহলে? তিনি বললেন, যে সব দোষ তুমি বর্ণনা করেছ, তা যদি সত্যিই তার মধ্যে থেকে থাকে, তবেই তো তার গীবত করলে; আর যদি তার মধ্যে সেসব দোষ না থাকে, তবে তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الترهيب من الغيبة والبهت
عن أبي هريرة (8) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال هل تدرون ما الغيابة (9) قالوا الله ورسوله أعلم قال ذكرك أخاك بما ليس فيه قال أرأيت ان كان في اخي ما أقول له؟ قال ان كان فيه ما تقول فقد اغتبته وان لم يكن فيه فقد بهته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গীবত ও অপবাদ সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
১৮. আবু বারযা আল-আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হে আমার কাওম! যে ব্যক্তি মুখে ঈমান আনে এবং সে ঈমান তার অন্তরে প্রবেশ করে না, তা তার কোন উপকারে আসবেনা। তোমরা মুসলমানদের গীবত করবে না। তাদের গোপন জিনিস খুঁজে বেড়াবে না।
অন্য বর্ণনায় আছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জোরে ডাক দিলেন যে ঘরের ভিতরের মহিলারাও শুনতে পেল, তিনি বললেনঃ হে জনগণ! তোমরা যারা মুখে মুখে ঈমান এনেছ, কিন্তু অন্তরে এখনও ঈমান প্রবেশ করেনি, তোমরা মুসলমানদের গীবত করো না এবং তাদের ইযযাতও নষ্ট করো না। কেননা, যারা মুসলমানদের ইযযাত নষ্ট করতে চায়, আল্লাহ তাদের ইযযাত নষ্ট করেন। আর আল্লাহ যাকে অসম্মানিত করতে চান, তাকে তিনি তার ঘরেই অপদস্থ করেন।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الترهيب من الغيبة والبهت
عن أبي برزة الأسلمي (11) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم (وفي رواية نادى رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى أسمع العواتق فقال) يا معشر من آمن بلسانه ولم يدخل الايمان قلبه لا تغتابوا المسلمين ولا تتبعوا عوراتهم فإنه من يتبع عوراتهم يتبع الله عورته ومن يتبع الله عورته يفضحه في بيته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গীবত ও অপবাদ সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
১৯. আবূ হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। একদা 'আয়েশা (রা) রাসূল (ﷺ)-এর নিকট সফিয়্যা বিনতে হুয়াই-এর খাটো হওয়ার বিষয় উল্লেখ করেন। তখন নবী করিম (ﷺ) বলেন, তুমি তার গীবত করলে।
অন্য বর্ণনায় আছে আবূ হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। 'আয়েশা (রা) বলেন, আমি নবী কারিম (ﷺ) কে এক ব্যক্তির অবস্থা নকল করে দেখালাম। তিনি বললেন, আমাকে এ পরিমাণ সম্পদ দেয়া হলেও কারো অবস্থা নকল করা আমাকে আনন্দ দেয় না। 'আয়েশা (রা) বলেন; আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! সফিয়্যা তো বেঁটে স্ত্রীলোক, এ বলে তিনি তা হাতের ইশারায় দেখালেন। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, তুমি তোমার আমল মিশিয়ে দিয়েছ, অন্য বর্ণনায় তুমি তোমার আমলকে এমন একটি কথার সাথে মিশিয়ে দিয়েছ, যা সাগরের পানিতে মিশিয়ে দেয়া হলে উক্ত পানি দুষিত করে ফেলবে।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الترهيب من الغيبة والبهت
عن أبي حذيفة (1) أن عائشة رضي الله عنها حكت امرأة (2) عند النبي صلى الله عليه وسلم ذكرت قصرها فقال النبي صلى الله عليه وسلم قد اغتبتها (ومن طريق ثان) (خط) (3) عن أبي حذيفة ايضا عن عائشة رضي الله عنها قالت حكيت للنبي صلى الله عليه وسلم رجلا فقال ما يسرني أني حكيت رجلا وان لي كذا وكذا (4) قالت فقلت يا رسول الله ان صفية امرأة وقال بيده (يعني الراوي) كأنه يعني قصيرة فقال (أي النبي صلى الله عليه وسلم) لقد مزحت (وفي لفظ لقد تكلمت) بكلمة لو مزج بها ماء البحر مزجت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
রসনার ক্ষতি সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : গীবত ও অপবাদ সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম 'উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, দু'জন মহিলা রোযা রেখেছিল। তখন এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাদের এখানে দু'জন মহিলা রোযা রেখেছে, কিন্তু পানির পিপাসায় তারা মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার এ কথা শুনে চুপ করে থাকলেন। তিনি চুপ থাকার কারণে সে পুনরায় কথাটি বললো। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা, যখন ব্যক্তিটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে খবর দিয়েছিল, তখন দুপুরের কঠিন গরমের সময় ছিল। সে বললো, হে আল্লাহ্ নবী! তারা মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছে। তিনি বললেন, তাদেরকে ডাক। যখন তারা আসলো, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললে একটি গ্লাস অথবা বড় একটি পাত্র নিয়ে আসা হলো। তিনি তাদের একজনকে বললেন, তুমি বমি কর। তখন সে পুঁজ, রক্ত, ইত্যাদি বমি করলে পাত্রের অর্ধেক ভরে গেল। তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বললো, তার জন্য একটি পাত্র আনা হয় এবং সে তাতে রক্ত, পুজ ও টাটকা মাংস ইত্যাদি বমি করে, ফলে পাত্র ভরে যায়। তারপর তিনি বলেন, এরা দু'জন আল্লাহ্ জন্য বৈধ রোযা রেখেছে, কিন্তু তারা আল্লাহর হারাম করা জিনিস দ্বারা ইফতার করেছে এবং তারা পরস্পর বসে মানুষের মাংস ভক্ষণ করেছে, অর্থাৎ গীবত করেছে।
كتاب آفات اللسان
باب ما جاء في الترهيب من الغيبة والبهت
عن عبيد مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم (6) ان امرأتين صامتا وأن رجلا قال يا رسول الله ان هاهنا امرأتين قد صامتا وانهما قد كادتا أن تموتا من العطش فأعرض عنه أو سكت ثم عاد (قال الراوي) وأراه قال بالهاجرة قال يا نبي الله انهما والله قد ماتتا أو كادتا أن تموتا قال ادعهما قال فجاءتا قال فجيئي بقدح أوعس فقال لاحداهما قيئي فقاءت قيحا أو دما وصديدا ولحما حتى قاءت نصف القدح ثم قال للأخرى قيئي فقاءت من قيح ودم وصديد ولحم عبيط وغيره حتى ملأت القدح ثم قال ان هاتين صامتا عما احل الله وافطرتا على ما حرم الله عز وجل عليهما جلست إحداهما إلى الأخرى فجعلتا يأكلان لحوم الناس
tahqiq

তাহকীক: