মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায় প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
১. 'আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বরেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর চেয়ে বেশি কেউ মর্যাদাবোধ সম্পন্ন নেই। যে কারণে তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সমস্ত অশ্লীল কাজ হারাম করেছেন। আর আল্লাহ্ তা'আলার মত প্রশংসাপ্রিয় ব্যক্তি আর কেউ নেই। 
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তবে সেখানে অতিরিক্ত আছে, এজন্যই আল্লাহ তা'আলা নিজ স্বত্ত্বার প্রশংসা করেছেন।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তবে সেখানে অতিরিক্ত আছে, এজন্যই আল্লাহ তা'আলা নিজ স্বত্ত্বার প্রশংসা করেছেন।
كتاب المدح والذم
كتاب المدح والذم
باب ما يجوز من المدح
باب ما يجوز من المدح
عن عبد الله (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا أحد أغير من الله عز وجل فلذلك حرم الفواحش ما ظهر منها وما بطن ولا أحد أحب إليه المدح من الله عز وجل (وعنه من طريق ثان مثله) (8) وزاد (ولذلك مدح نفسه) بعد قوله من الله عز وجل

তাহকীক:
হাদীস নং: ২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায় প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
২. আসওয়াদ ইব্ন সারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহ্ রাসূল (ﷺ)! আমি কি আপনাকে ওইসব প্রশংসা আবৃত্তি করে শুনাব যেগুলোতে আমি আমার রবের প্রশংসা করেছি? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, তোমার রব প্রশংসা করা পছন্দ করেন।
كتاب المدح والذم
كتاب المدح والذم
باب ما يجوز من المدح
باب ما يجوز من المدح
عن الأسود بن سريع (1) قال قلت يا رسول الله ألا أنشدك محامد حمدت بها ربي تبارك وتعالى؟ قال أما إن ربك عز وجل يحب المدح

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায় প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
৩. মুততরিফ ইবন 'আবদুল্লাহ (র) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বনি আমেরের একটি দলের সাথে প্রতিনিধি হিসাবে আগমন করেন। তিনি বলেন, আমরা তাঁর কাছে এসে তাঁকে সালাম দিলাম এরপর বললাম, আপনি আমাদের অভিভাবক, আমাদের নেতা এবং দানের ক্ষেত্রে উচ্চ মর্যাদাবান। ইউনুস (র) বলেন, আপনি আমাদের উপর দানের ক্ষেত্রে সর্বউচ্চ ও মর্যাদাবান আপনি আমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ, আপনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম মেহমানদার। তখন তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের দ্বীনে যেভাবে অনুমোদন করা হয়েছে, সেভাবে আমাকে ডাক, অর্থাৎ আমাকে নবী ও রাসূল বলে ডাক, সেভাবে আল্লাহ্ তাঁর কিতাবে আমার নাম রেখেছেন। (হে নবী! হে রাসূল!) তোমরা যেভাবে তোমাদের নেতা ও রাজাদেরকে ডাক, সেভাবে আমাকে নেতা বলে ডাকবে না। শয়তান যেন তোমাদের পরাজিত না করে। বর্ণনাকারী সম্ভবত বলেছেন, শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত বা আকৃষ্ট না করে।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বললো, আপনি কুরায়শদের সর্দার বা সাইয়েদ তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ হলেন সর্দার বা সাইয়েদ। সে বললো, আপনি কথার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম এবং মেহমানদারীতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ কিতাবে যেভাবে আমাকে ডাকা হয়েছে, তোমাদের কেউ ডাকলে যেন আমাকে সেভাবে ডাকে। (অর্থাৎ বলে, হে নবী! হে রাসূল (ﷺ)!) আর শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে বললো, আপনি কুরায়শদের সর্দার বা সাইয়েদ তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ হলেন সর্দার বা সাইয়েদ। সে বললো, আপনি কথার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম এবং মেহমানদারীতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ কিতাবে যেভাবে আমাকে ডাকা হয়েছে, তোমাদের কেউ ডাকলে যেন আমাকে সেভাবে ডাকে। (অর্থাৎ বলে, হে নবী! হে রাসূল (ﷺ)!) আর শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে।
كتاب المدح والذم
كتاب المدح والذم
باب ما يجوز من المدح
باب ما يجوز من المدح
عن مطرف بن عبد الله بن الشخير عن أبيه (2) انه قد وفدالى النبي صلى الله عليه وسلم في رهط من بني عامر قال فأتيناه فسلمنا عليه فقلنا أنت ولينا وأنت سيدنا وأنت أطول علينا قال يونس (3) وانت أطول علينا طولا وانت أفضل علينا فضلا وانت الجفنة الغراء (4) فقال قولوا قولكم (5) ولا يستجرينكم الشيطان (6) قال وربما قال ولا يستهوينكم (وعنه من طريق ثان) (7) عن أبيه قال جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال انت سيد قريش فقال النبي صلى الله عليه وسلم السيد الله فقال أنت أفضلها فيها قولا وأعظمها فيها طولا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليقل أحدكم بقوله ولا يستجرنه الشيطان أو الشياطين

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায় প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
৪. আবু বকর ইবন আবূ যুহায়র (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে 'নাবাআহ' বা 'নাবাওয়াত' নামক স্থানে বলতে শুনেছি -নাফের সন্দেহ- 'নাবাওয়াহ' তায়েফের একটি স্থানের নাম। তিনি বলেছিলেন, হে মানুষ! তোমরা অচিরেই জান্নাতী লোকদেরকে জাহান্নামীদের থেকে পৃথকভাবে চিনতে পারবে, অথবা তোমাদের খারাপ লোকদের থেকে ভাল লোকদেরকে। তখন লোকদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তা কিভাবে? তিনি বললেন, সুপ্রশংসা ও কুপ্রশংসা দ্বারা। তোমরা পৃথিবীতে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ হতে নিযুক্ত সাক্ষী।
كتاب المدح والذم
كتاب المدح والذم
باب ما يجوز من المدح
باب ما يجوز من المدح
عن أبي بكر بن زهير (8) الثقفي عن أبيه قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم بالنباءة أو النباوة (1) شك نافع من الطائف وهو يقول يا أيها الناس انكم توشكون ان تعرفوا اهل الجنة من اهل النار أو قال خياركم من شراركم قال فقال رجل من الناس بم يا رسول الله؟ قال بالثناء السيء والثناء الحسن (2) وأنتم شهداء الله بعضكم على بعض

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
অধ্যায় প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
পরিচ্ছেদ: কি ধরনের প্রশংসা জায়েয
৫. আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! কোন ব্যক্তি কেবল আল্লাহ্ সন্তুষ্টি লাভের আশায় আমল করে আর লোকজন তার সেই কাজের জন্য প্রশংসা করে;(এটা কি তার কোন গুনাহ হবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সেটা তো ঈমানদার ব্যক্তির জন্য আগাম সুসংবাদ।
كتاب المدح والذم
كتاب المدح والذم
باب ما يجوز من المدح
باب ما يجوز من المدح
عن عبد الله بن الصامت عن أبي الذر (3) أنه قال يا رسول الله الرجل يعمل العمل فيحمده الناس عليه ويثنون عليه به فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم تلك عاجل بشرى المؤمن

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
৬. 'আবদুর রহমান ইব্ন আবূ বাকরা (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) বলেছে, তারা রাসূলের সামনে এক ব্যক্তির উল্লেখ করলো, তখন এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহ্ রাসূল (ﷺ)! আল্লাহর রাসূলের পরে তার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি কেউ নেই! তার মধ্যে এমন এমন গুণ রয়েছে। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, তোমার জন্য আক্ষেপ! তুমি তোমার বন্ধুর ঘাড় ভেঙে দিলে, তিনি কয়েকবার এ কথা বললেন তিনি তারপর বললেন, তোমার কেউ যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করে, তবে যেন এতটুকু বলে, 'আমি অমুকের ব্যাপারে এ ধারণা করি, যদি তার ধারণায় ওই ব্যক্তি এমন হয়। আর আল্লাহর প্রতি সোপর্দ না করে আমি কারো সাফাই পেশ করি না।  আল্লাহই তার সম্পর্কে অধিক জানেন। আমি তো তাকে এরূপ এরূপ মনে করি।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট তার সাথীর প্রশংসা করলে তিনি বললেন, তোমার জন্য ধ্বংস! তুমি তোমার বন্ধুর ঘাড় ভেঙ্গে দিলে! তুমি যদি প্রশংসা করতেই চাও, তবে এতটুকু বলবে সে, আমি এমন এমন ধারণা করি। আল্লাহ তার হিসাব নিবেন। আমি আল্লাহর প্রতি সোপর্দ না করে আমি কারো সাফাই পেশ করি না।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট তার সাথীর প্রশংসা করলে তিনি বললেন, তোমার জন্য ধ্বংস! তুমি তোমার বন্ধুর ঘাড় ভেঙ্গে দিলে! তুমি যদি প্রশংসা করতেই চাও, তবে এতটুকু বলবে সে, আমি এমন এমন ধারণা করি। আল্লাহ তার হিসাব নিবেন। আমি আল্লাহর প্রতি সোপর্দ না করে আমি কারো সাফাই পেশ করি না।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
عن عبد الرحمن بن أبي بكرة عن أبيه (5) عن النبي صلى الله عليه وسلم انهم ذكروا رجلا عنده فقال رجل يا رسول الله ما من رجل بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم افضل منه في كذا وكذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم ويحك قطعت عنق صاحبك (6) مرارا يقول ذلك قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان كان احدكم مادحا اخاه لا محالة فليقل احسب فلانا ان كان يرى انه كذاك ولا ازكى على الله تبارك وتعالى احدا (7) وحسيبه الله احسبه كذا وكذا (وعنه من طريق ثان عن ابيه) (8) أن رجلا مدح صاحبا له عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال ويلك قطعت عنقه ان كنت مادحا لا محالة فقل احسبه كذا وكذا والله حسيبه ولا أزكى على الله تعلى احدا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
৭. 'আতা ইব্ন আবু রাবাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি ইবন 'উমর (রা)-এর প্রশংসা করে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন ইবন 'উমর (রা)) বলেন, তুমি এভাবে তার মুখমণ্ডলে ধুলাবালি নিক্ষেপ কর। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তোমরা যখন চাটুকারকে দেখবে, তখন তার মুখে ধুলাবালি নিক্ষেপ করবে।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
عن عطاء بن ابي رباح (9) قال كان رجل يمدح ابن عمر قال فجعل ابن عمر يقول هكذا يحثو في وجهه التراب قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إذا رأيتم المداحين فاحثوا (1) في وجوههم التراب

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
৮. মিহজান ইব্ন আদরা' (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূল (ﷺ)-এর সাথে মসজিদের দরজায় অবস্থান করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি নামায পড়ছিল। তিনি বললেন, তোমার ধারণায় সে কি নামাযে আন্তরিক? আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! এ অমুক, সে মদীনাবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম অথবা বললাম, সে মদীনায় সবচেয়ে বেশী নামায আদায়কারী, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এই প্রশংসা থাকে শুনাবে না, তাহলে তাকে ধ্বংস করা হবে। একথা তিনি দুই বার অথবা তিন বার বলেন। এরপর তিনি বলেন, তোমরা এমন উম্মত, আমি তোমাদের জন্য সহজনীতিই প্রত্যাশা করি।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
عن محجن بن الأدرع (2) أنه كان مع النبي صلى الله عليه وسلم بباب المسجد إذا رجل يصلي قال اتقوله صادقا (3) قال قلت يا نبي الله هذا فلان وهذا من أحسن أهل المدينة أو قال أكثر أهل المدينة صلاة قال لا تسمعه فتهلكه (4) مرتين أو ثلاثا انكم امة أريد بكم اليسر

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
৯. আবু মূসা আশয়ারী (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে অন্য এক ব্যক্তির প্রশংসা করতে শুনলেন এবং প্রশংসার ক্ষেত্রে সে সীমা অতিক্রম করছিল। তখন তিনি বললেন, তোমরা তাকে ধ্বংস করেছ; অথবা লোকটির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছ।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
عن أبي موسى الأشعري (6) قال سمع النبي صلى الله عليه وسلم رجلا يثنى على رجل ويطريه في المدحة (7) فقال لقد أهلكتم أو قطعتم ظهر الرجل

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
১০. মুজাহিদ (রা) থেকে বর্ণিত। সা'ঈদ ইবনুল 'আস ইরাক থেকে একদল প্রতিনিধি 'উছমান (রা)- এর নিকট পাঠালেন, তারা এসে 'উসমান (রা)-এর প্রশংসা শুরু করলো। তখন মিকদাদ (রা) তাদের মুখে ধুলা-বালি নিক্ষেপ করলেন। তারপর বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন চাটুকারের মুখে ধূলা-বালি নিক্ষেপ করি। সুফিয়ান (রা) বলেন, মিকদাদ দাঁড়ালেন তারপর বললেন; আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, চাটুকারদের মুখে ধুলা-বালি নিক্ষেপ করবে। যুবায়র (রা) বলেন, মিকদাদ (রা) কে যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তিনি তা পালন করেছেন।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
عن مجاهد (8) أن سعيد بن العاص بعث وفدا من العراق الى عثمان فجاءوا يثنون عليه فجعل المقداد يحثو في وجهوهم التراب (9) وقال أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن نحثوا في وجوه المداحين التراب وقال سفيان مرة فقام المقداد فقال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول احثوا في وجوه المداحين التراب قال الزبير أما المقداد فقد قضى ما عليه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
১১. তাঁর থেকে আরো বর্ণিত। আবু মা'মার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে কোন এক আমিরের প্রশংসা করছিল (তিনি ছিলেন উছমান রা)। তখন মিকদাদ (রা) ধুলা-বালি নিয়ে তার মুখে নিক্ষেপ করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে চাটুকারের মুখে ধুলা-বালি নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
وعنه أيضا (11) عن أبي معمر قال قام رجل يثني على أمير من الأمراء (1) فجعل المقداد يحثى في وجهه التراب وقال أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن نحثي في وجوه المداحين التراب

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: যে ধরনের প্রশংসা করা জায়েয নেই
১২. আবূ বাকরা (রা) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, অবশ্যই তোমাদের কেউ যেন একথা না বলে যে, আমি সমস্ত রমযানে কিয়াম করেছি, অথবা রোযা রেখেছি। -বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানিনা তিনি তাযকীয়া অপছন্দ করেছেন কিনা?- কারণ কখনও না কখনো মানুষ গাফলতী অথবা শয়ন করতে বাধ্য হয়।
كتاب المدح والذم
باب مالا يجوز من المدح
عن أبي بكرة (2) عن النبي قال لا يقولن أحدكم اني قمت رمضان كله أو صمته قال فلا ادري (3) أكره التزكية ام لا فلا بد من غفلة أو رقدة

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৩. উসামা ইব্ন যায়দ (রা) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আমার মৃত্যুর পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিক বিপর্যয়কর ফিতনা আর কিছু রেখে যাব না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن أسامة بن زيد (4) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما تركت في الناس بعدي (5) فتنة أضر على الرجال من النساء

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৪
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৪. আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুনিয়ার উল্লেখ করে বললেন, নিশ্চয় দুনিয়া সবুজ-শ্যামল ও লোভনীয়। সাবধান। দুনিয়া ও নারীদের সম্পর্কে সতর্ক হও। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনি ইসরাঈলের তিনজন মহিলার কথা উল্লেখ করেন। এদের দু'জন ছিলেন লম্বা, তাদেরকে চেনা যেত এবং একজন ছিলেন খাট, তাকে চেনা যেতো না। যে খাট ছিল, সে কাঠের জুতা পরিধান করে লম্বা আকৃতি ধারণ করলো এবং মিশক পরিপূর্ণ করে একটি আংটি পরিধান করলো। যখন সে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতো, তখন আংটি উচিয়ে ধরে সুগন্ধ ছড়াতো, বর্ণনাকারী আল-মুসতামির বলেন, সেটা ছিল তার বাম হাতের কনিষ্ট আংগুলিতে। সে এ আংগুলটি দেখাতো বাকী তিন আংগুল দেখাতো না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن أبي سعيد الخدري (6) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر الدنيا فقال ان الدنيا خضرة حلوة فاتقوها واتقوا النساء ثم ذكر نسوة ثلاثا من بني اسرائيل امرأتين طويلتين تعرفان وامرأة قصيرة لا تعرف فاتخذت رجلين من خشب (7) وصاغت خاتما فحشبه من أطيب الطيب المسك وجعلت له غلقا فإذا مرت بالملاء أو المجلس قالت به (8) ففتحته ففاح ريحه قال المستمر بخنصره (9) اليسرى فأشخها دون أصابعه الثلاث شيئا وقبض الثلاثة

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৫
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৫. 'আবদুর রহমান ইব্ন শিবল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুষ্কর্মকারীরা জাহান্নামবাসী হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করা হলো, দুষ্কর্মকারী কারা? তিনি বললেন, মহিলারা। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তারা কি আমাদের মা, বোন, স্ত্রী নয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হলেও তারা শোকর করে না এবং পরীক্ষা করা হলে ধৈর্যধারণ করে না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن عبد الرحمن بن شبل (10) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الفساق هم أهل النار قيل يا رسول الله ومن الفساق؟ قال النساء وقال رجل يا رسول الله أو لسن أمهاتنا وأخواتنا وأزواجنا قال بلى ولكنهن إذا أعطين لم يشكرن (1) واذا ابتلين لم يصبرن

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৬. ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি দোযখ দেখলাম, সেখানে আজকের মত ভয়ানক দৃশ্য আর কখনো দেখিনি। আমি দেখলাম দোযখের অধিকাংশ অধিবাসীই স্ত্রীলোক। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ), তার কারণ কি? তিনি বললেন, এর কারণ হলো তারা অকৃতজ্ঞ। প্রশ্ন করা হলো, তারা কি আল্লাহর সাথে কুফরী করে? তিনি উত্তর দিলেন, তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তার ইহসান অস্বীকার করে। তোমরা কেউ যদি তাদের কারোর প্রতি সারা জীবন মহৎ আচরণ কর, এরপর সে তোমার মধ্যে সামান্য ত্রুটি পায়, তা হলে চট করেই সে বলে ফেলবে: তোমার কাছে সারা জীবনেও একটি ভাল ব্যবহার পেলাম না।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن ابن عباس (2) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال رأيت النار فلم أر كاليوم منظرا قط ورأيت أكثر أهلها النساء قالوا لم يا رسول الله؟ قال بكفرهن قيل أيكفرن بالله؟ قال يكفرن العشير ويكفرن الاحسان لو أحسنت إلى احداهن الدهر ثم رأت منك شيئا قالت ما رأيت منك خيرا قط

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৭
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৭. 'উমারা ইবন খুযায়মা ইবন ছাবিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা 'আমর ইবনুল 'আস (রা)-এর সাথে হজ্জের সময় মাররুজ জাহরান নামক স্থানে ছিলাম। তখন একজন নারী তার হাওদাজে (অন্য বর্ণনায় একজন নারী তার হাতে আংটি ও এক প্রকার সাজ সজ্জা পরিহত অবস্থায় ছিল।) এবং তার হাত হাওদাজে রেখেছিল। তখন তিনি (আমর) পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে নিচে প্রবেশ করলেন, (অর্থাৎ নারী যে পথে ছিল, সে পথ পরিবর্তন করে অন্য পথে চললেন) এবং আমরাও তার সাথে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, আমরা এ স্থানে রাসূল (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। সে সময় আমরা সেখানে অনেকগুলো কাক দেখতে পেলাম। তার মধ্যে দু'ডানা বিশিষ্ট একটি সাদা কাক দেখতে পেলাম। তার ঠোট ও দু পা ছিল লাল রংয়ের, তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, এ কাক জাতির মধ্যে থেকে একেকটি যে রকম ভিন্নতর, মহিলাদের মধ্যেও এ রকম ভিন্নতর যারা, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে (অর্থাৎ স্বল্প সংখ্যক নারী। কারণ এ রংয়ের কাকের সংখ্যা খুবই কম হয়।)
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن عمارة بن خزيمة بن ثابت (3) قال كنا مع عمرو بن العاص (رضي الله عنه) في حج حتى اذا كنا يمر الظهران فإذ امرأة في هودجها (وفي رواية فإذا امرأة في يديها حبائرها (4) وخواتيمها) قد وضعت يديها على هودجها (5) قال فمال فدخل الشعب (6) فدخلنا معه فقال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في هذا المكان فإذا نحن بغربان كثيرة فيها غراب أعصم (7) أحمر المنقار والرجلين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يدخل الجنة من النساء الا مثل هذا الغراب في هذه الغربان

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৮. ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার সামনে জাহান্নাম উপস্থিত করা হয়েছিল। আমি দেখলাম, তার অধিকাংশ অধিবাসীই স্ত্রীজাতি। আর আমার সামনে জান্নাত উপস্থিত করা হয়েছিল। আমি দেখলাম, তার অধিকাংশ অধিবাসীই দরিদ্র।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن عمران بن حصين (9) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اطلعت في النار فرأيت أكثر اهلها النساء واطلعت في الجنة فرأيت أكثر أهلها الفقراء

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৯
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: মহিলাদের নিন্দা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
১৯. আবু তাইয়াহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুতররিফ (রা) কে বলতে শুনেছি, তার দু'জন স্ত্রী ছিল। সে তাদের একজনের কাছে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন স্ত্রী তার মাথা থেকে পাগড়ী খুলে নিয়ে বলে, তুমি কি তোমার অন্য স্ত্রীর কাছ থেকে এসেছো? সে বললো, আমি 'ইমরান ইব্ন হুসায়নের কাছ থেকে এসেছি। তারপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ)বলেছেন, জান্নাতে খুব কম সংখ্যক নারী বসবাস করবে।
كتاب المدح والذم
باب ما جاء في ذم النساء
عن أبي التياح (10) قال سمعت مطرفا يحدث انه كانت له امرأتان قال فجاء إلى احداهما قال فجعلت تنزع به عمامته (11) وقال جئت من عند امرأتك قال جئت من عند عمران بن حصين فحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم حسب (12) أنه قال ان أقل ساكني الجنة النساء

তাহকীক:
হাদীস নং: ২০
প্রশংসা ও ভর্ৎসনা সম্পর্কে অধ্যায়
অনুচ্ছেদ: আ'শার কাহিনী
২০. নাদলা ইবন তারিফ (র) বলেন, এক লোককে 'আ'শা' বলা হতো, তার নাম ছিল 'আবদুল্লাহ ইবন আওয়ার। তার একজন স্ত্রী ছিল, তাকে বলা হত 'মুয়াযাহ'। লোকটি খাদ্যের তালাশে রজব মাসে 'হাজার' নামক স্থান থেকে বের হয়ে পড়লো। তখন তার স্ত্রী তার অবাধ্য হয়ে পালিয়ে গিয়ে মুতাররিফ ইবন বুহসল-এর কাছে আশ্রয় নেয়। লোকটি মহিলাকে তার বাহনের পিছনে লুকিয়ে রাখলো। তারপর যখন স্বামী ফিরে এসে তার স্ত্রীকে ঘরে পেল না, আর তাকে বলা হলো, তার স্ত্রী অবাধ্য হয়ে চলে গেছে এবং সে এখন মুতাররিফ ইব্ন বুহসলের আশ্রয়ে রয়েছে, লোকটি তখন তার কাছে গিয়ে বললো, হে চাচাত ভাই! তোমার নিকট কি আমার স্ত্রী মুয়াযাহ আছে? যদি সে থাকে, তবে তাকে আমার নিকট দিয়ে দাও। লোকটি বললো, সে আমার নিকট নেই, আর থাকতও আমি তাকে ফেরত দিতাম না। মুতাররিফ ছিল তার চেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। তখন তিনি নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে আশ্রয় চাইলো এবং বলতে লাগলো, হে মানুষের সর্দার, আরবদের উপর ক্ষমতাবান, আপনার কাছে আমি এক মন্দ স্বভাব নারীর খিয়ানতের ব্যাপারে অভিযোগ করছি, যে কাল নেকড়ের মত মরীচিকার ছায়ায় লুকিয়ে পড়েছে। আমি যখন রজব মাসে তার খাবারের তালাশে বের হই, তখন সে আমার সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে যায়, এবং অঙ্গিকার ভংগ করে। তারপর সে লেজ দিয়ে নিজেকে পেছিয়ে রাখলো। আর আমাকে ঘন জঙ্গল পূর্ণ গাছের মাঝখানে ফেলে গেলো, আর এ জাতীয় মহিলারা, যে বিজয়ী হয় খুব খারাপ ভাবেই তার পক্ষ অবলম্বন করে। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, আসলেই তারা যে বিজয়ী হয় খুব খারাপ ভাবেই তার পক্ষ অবলম্বন করে। তখন মহিলা রাসূল (ﷺ)-এর কাছে অভিযোগ করে বললো, সে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। সে এটাও জানালো যে, সে তাদের মধ্য থেকে মুতাররিফ ইবন বহসুলের আশ্রয়ে আছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুতাররিফের কাছে লিখলেন যে, অমুকের স্ত্রী মুয়াযাকে তুমি ফেরত দাও। রাসূল (ﷺ)-এর চিঠি তার কাছে পৌঁছলে তাকে তা পড়ে শুনানো হলে সে বললো, হে মুয়াযা! এটা রাসূল (ﷺ)-এর চিঠি আমি তোমাকে তার কাছে হস্তান্তর করছি। তখন মহিলা বললো যে, আগে তার কাছ থেকে ওয়াদা এবং নবী (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে এ কথা আদায় কর যে, আমি যা করেছি, তার জন্য আমাকে শাস্তি দেয়া হবে না, মুতাররিফ তখন এ অংগিকার আদায় করার পর তাকে ফেরত দিলো। তখন সে বলতে লাগলো, আমি শপথ করে বলছি, কোন কুচক্রির কুমন্ত্রণা এবং কোন পুরনো অংগিকারের কারণে মুয়াযার প্রতি আমার ভালবাসায় ফাটল ধরবেনা। অনুরূপভাবে সে যে অন্যায় করেছে তার সংশোধন করে নেওয়ার পর, তাও তাকে আমার ভালবাসা থেকে দূরে সরাতে পারবে না। যদিও তাকে আমার অনুপস্থিতিতে পথভ্রষ্ট লোকেরা পরামর্শ দিয়ে পথভ্রষ্ট করেছিল।
দ্বিতীয় বর্ণনায় এসেছে 'আশা আল মাযেনী বলেছেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে আবৃত্তি করলাম, হে মানুষের মালিক ও আরবদের বিচারক, আমি এক মন্দ স্বভাব নারীর সম্মুখীন হয়েছি, আমি যখন রজব মাসে তার জন্য খাবারের তালাশে বের হই, তখন সে আমার সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে যায়, এবং অঙ্গিকার ভংগ করে। তারপর সে লেজ দিয়ে নিজেকে পেঁচিয়ে রাখলো। আর এ জাতীয় মহিলারা, যে বিজয়ী হয় খুব খারাপ ভাবেই তার পক্ষ অবলম্বন করে। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, আসলেই তারা যে বিজয়ী হয় খুব খারাপ ভাবেই তার পক্ষ অবলম্বন করে।
দ্বিতীয় বর্ণনায় এসেছে 'আশা আল মাযেনী বলেছেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে আবৃত্তি করলাম, হে মানুষের মালিক ও আরবদের বিচারক, আমি এক মন্দ স্বভাব নারীর সম্মুখীন হয়েছি, আমি যখন রজব মাসে তার জন্য খাবারের তালাশে বের হই, তখন সে আমার সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে যায়, এবং অঙ্গিকার ভংগ করে। তারপর সে লেজ দিয়ে নিজেকে পেঁচিয়ে রাখলো। আর এ জাতীয় মহিলারা, যে বিজয়ী হয় খুব খারাপ ভাবেই তার পক্ষ অবলম্বন করে। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, আসলেই তারা যে বিজয়ী হয় খুব খারাপ ভাবেই তার পক্ষ অবলম্বন করে।
كتاب المدح والذم
فصل منه في قصة الأعشى عبد الله بن الأعور مع زوجته معاذة
عن نضلة بن طريف) (1) أن رجلا منهم يقال له الأعشى واسمه عبد الله بن الأعور كانت عنده امرأة يقال لها معاذة خرج في رجب يمير (2) أهله من هجر فهربت امرأته بعده ناشرا عليه (3) فعاذت برجل منهم يقال له مطرف بن بهصل بن كعب بن قميشع بن دلف بن أهصم بن عبد الله بن الحرماز فجعلها خلف ظهره فلما قدم ولم يجدها في بيته وأخبر انها نشزت عليه وانها عادت بمطرف بن بهصل فأتاه فقال يا ابن العم أعندك امرأتي معاذة فادفعها إلى؟ فقال ليست عندي ولو كانت عندي لم أدفعها اليك قال وكان مطرف أعز منه فخرج حتى أتى النبي صلى الله عليه وسلم فعاذبه وأنشأ يقول:
يا سيد الناس وديان (4) العرب ... اليك اشكو ذربة (5) من الذرب
كالذئبة الغبشاء (6) في ظل السرب (7) ... خرجت أبغيها الطعام (8) في رجب
فخلقتني (9) بنزاع وهرب ... أخلفت العهد ولطت (10) بالذنب
وقذفتني بين عيص (11) مؤتشب ... وهن شر غالب لمن غلب (12)
فقال النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك وهن شر غالب لمن غلب فشكا اليه امرأته وما صنعت به وأنه عند رجل منهم يقال له مطرف بن بهصل فكتب له النبي صلى الله عليه وسلم إلى مطرف انظر امرأة هذا (1) معاذة فادفعها اليه فأتاه كتاب النبي صلى الله عليه وسلم فقرئ عليه فقال لها يا معاذة هذا كتاب النبي صلى الله عليه وسلم فيك فأنا دافعك اليه قالت خذ لي عليه العهد والميثاق وذمة نبيه لا يعاقبني فيما صنعت فأخذ لها ذلك عليه ودفعها مطرف اليه فأنشأ يقول:
لعمرك ما حبي معاذة بالذي ... يغيره الواشي (2) ولا قدم العهد
ولا سوء ما جاءت به اذ أزالها ... غواة الرجال إذ يناجونها (3) بعدي
(ومن طريق ثان) (4) عن صدقة بن طيسلة حدثني معن بن ثعلبة المازني والحي بعد (5) قال حدثني الأعشى المازني قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم فأنشدته:
يا مالك الناس وديان العرب ... اني لقيت ذربة من الذرب
غدوت أبغيها الطعام في رجب ... فخلفتني بنزاع وهرب
أخلفت العهد ولطت بالذنب ... وهن شر غالب لمن غلب
قال فجعل يقول النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك وهن شر غالب لمن غلب
يا سيد الناس وديان (4) العرب ... اليك اشكو ذربة (5) من الذرب
كالذئبة الغبشاء (6) في ظل السرب (7) ... خرجت أبغيها الطعام (8) في رجب
فخلقتني (9) بنزاع وهرب ... أخلفت العهد ولطت (10) بالذنب
وقذفتني بين عيص (11) مؤتشب ... وهن شر غالب لمن غلب (12)
فقال النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك وهن شر غالب لمن غلب فشكا اليه امرأته وما صنعت به وأنه عند رجل منهم يقال له مطرف بن بهصل فكتب له النبي صلى الله عليه وسلم إلى مطرف انظر امرأة هذا (1) معاذة فادفعها اليه فأتاه كتاب النبي صلى الله عليه وسلم فقرئ عليه فقال لها يا معاذة هذا كتاب النبي صلى الله عليه وسلم فيك فأنا دافعك اليه قالت خذ لي عليه العهد والميثاق وذمة نبيه لا يعاقبني فيما صنعت فأخذ لها ذلك عليه ودفعها مطرف اليه فأنشأ يقول:
لعمرك ما حبي معاذة بالذي ... يغيره الواشي (2) ولا قدم العهد
ولا سوء ما جاءت به اذ أزالها ... غواة الرجال إذ يناجونها (3) بعدي
(ومن طريق ثان) (4) عن صدقة بن طيسلة حدثني معن بن ثعلبة المازني والحي بعد (5) قال حدثني الأعشى المازني قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم فأنشدته:
يا مالك الناس وديان العرب ... اني لقيت ذربة من الذرب
غدوت أبغيها الطعام في رجب ... فخلفتني بنزاع وهرب
أخلفت العهد ولطت بالذنب ... وهن شر غالب لمن غلب
قال فجعل يقول النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك وهن شر غالب لمن غلب

তাহকীক: