মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(১) ইমরান ইবন হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, হে বনু তামীম, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর। তারা বলল, আপনি তো (ইতিপূর্বে) সুসংবাদ প্রদান করেছেন। এবার আমাদেরকে (সম্পদ) দান করুন। (অন্য বর্ণনায় অতঃপর রাসূলের (ﷺ) চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায়)। তখন তিনি বললেন, হে ইয়ামনবাসী তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর (অন্য বর্ণনায়, যেহেতু বনু তামীম তা গ্রহণ করলো না)। তারা বলল, আমরা তা গ্রহণ করলাম। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে বলুন। তা কেমন ছিল? তিনি বললেন, সবকিছুর পূর্বে একমাত্র আল্লাহই ছিলেন (তাঁর অস্তিত্বই ছিল একমাত্র অস্তিত্ব); এবং তাঁর আরশ ছিল পানির উপর। তিনি লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করেন এবং তাতে সবকিছু উল্লেখ করেন। বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় জনৈক আগন্তুক এসে আমাকে বলল, হে ইমরান, তোমার উটনি রশির বন্ধন খুলে ফেলেছে। সুতরাং আমি (দ্রুত) বের হয়ে আসি আর (শুধু) মরীচিকা দেখতে পাই, যা আমার দৃষ্টি থেকে উষ্ট্রিকে আড়াল করে রাখে। তাই আমি উষ্ট্রীর পদচিহ্ন অনুসরণ করে (খুঁজতে) বের হয়ে পড়ি। ফলে হাদীসের বাকী অংশে (আমি বের হয়ে আসার পর) কী ছিল, তা আমি জানি না।
(বুখারী ও তিরমিযী)
(বুখারী ও তিরমিযী)
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن عمران بن حصين (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقبلوا البشرى يا بني تميم (1) قال قالوا قد بشرتنا فأعطنا (2) (وفي رواية فتغير وجه رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم) (3) قال اقبلوا البشرى يا أهل اليمن (4) (زاد في رواية إذ لم يقبلها بنو تميم) قال قلنا قد قبلنا فأخبرنا عن أول هذا الأمر كيف كان (5) قال كان الله تبارك وتعالى قبل كل شئ وكان عرشه على الماء وكتب في اللوح (6) ذكر كل شئ قال وأتانى آت فقال يا عمران (7) انحلت ناقتك من عقالها، قال فخرجت فإذا السراب (8) ينقطع بيني وبينها (8) قال فخرجت فى أثرها فلا أدرى ما كان بعدى

তাহকীক:
হাদীস নং: ২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(২) ওয়াকী' ইবন হুদুস তাঁর চাচা রাযীন আল-উক্বাইলী থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ), আমাদের মহান প্রভু আল্লাহ্ তা'আলা আকাশসমূহ ও মৃত্তিকা সৃষ্টির পূর্বে কোথায় ছিলেন? তিনি বলেন, পাতলা বা মিহি মেঘমালায়, যার উপর হাওয়া ছিল এবং নীচেও হাওয়া ছিল। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা পানির উপর তাঁর আরশ সৃষ্টি করেন।
(তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ)
(তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ)
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن وكيع بن حدس (11) عن عمه أبى رزين العقيلى أنه قال يا رسول الله أين كان ربنا عز وجل أن يخلق السماوات والأرض؟ قال كان في عماء ما فوقه هواء وما تحته هواء ثم خلق عرشه على الماء

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(৩) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! আমি যখন আপনাকে দেখি, তখন আমার অন্তর পরিতুষ্ট হয়ে যায় এবং চক্ষু জুড়িয়ে যায়। সুতরাং সব বিষয়ে আমাকে সংবাদ দিন। তখন তিনি বললেন, সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে পানি থেকে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! আপনি আমাকে এমন বিষয়ের সংবাদ দিন যা আমল করলে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো। তিনি বললেন, সালাম বিস্তার কর, খাবার দান কর, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখ এবং রাত্রে মানুষ যখন নিদ্রায় থাকে তখন তুমি উঠে পড় (আল্লাহর উদ্দেশ্যে সালাত বা তাসবীহ-তাহলীল-এর উদ্দেশ্যে) তারপর তুমি নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ কর।
(তিরমিযী ও ইবন মাজাহ।
(তিরমিযী ও ইবন মাজাহ।
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن أبى هريرة (1) قال قلت يا رسول الله أنى إذا رأيتك طابت نفسى وقرت عينى فأنبئنى عن كل شئ؟ فقال كل شئ خلق من ماء: قال قلت يا رسول الله أنبئنى عن أمر إذا أخذت به دخلت الجنة؟ قال أفش السلام وأطعم الطعام وصل الأرحام وقم بالليل والناس نيام ثم ادخل الجنة بسلام

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(৪) 'উবাদাহ ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, সর্বপ্রথম আল্লাহ্ তা'আলা সৃষ্টি করেন কলম। এরপর কলমকে লিখতে নির্দেশ দেন। সেই মুহূর্তে কলম লিখতে শুরু করে – কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে তার সবকিছু।
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইব্ন মাজাহ ও অন্যান্য।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইব্ন মাজাহ ও অন্যান্য।)
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن عبادة بن الصامت (2) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه آله وصحبه وسلم يقول أول ما خلق الله تبارك وتعالى القلم (3) ثم قال له أكتب (4) فجرى في تلك الساعة بما هو كائن الى يوم القيامة

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(৫) আব্বাস ইবন আবদিল মুত্তালিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা বাতহা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় একখণ্ড মেঘ ভেসে গেল। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা জান এটা কী? আমরা বললাম, মেঘ। তিনি বললেন, মুয্ন (মেঘ)। আমরা বললাম 'মুয্ন'। তিনি বললেন 'আনান' (মেঘ)। আমরা তখন চুপ করে রইলাম। তিনি বললেন, তোমরা জান কি আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্ব কত? আমরা বললাম আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল (ﷺ) সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বললেন, পাঁচশত বছরের রাস্তা এবং এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব বা অবস্থান পাঁচশত বছরের রাস্তা; এবং প্রতিটি আকাশের ঘনত্বের পরিমাণ পাঁচশত বছরের রাস্তা এবং সপ্তম আকাশের উপর রয়েছে একটি সমুদ্র, যার তলদেশ ও উপরিভাগের দূরত্ব আকাশ ও যমিনের দূরত্বের সমান। তাছাড়া এর উপরে রয়েছে আটটি মেষ (সদৃশ ফেরেশতা), যাদের হাঁটু ও খুরের দূরত্ব আকাশ ও যমিনের দুরত্বের সমান। এর উপর স্থাপিত আরশ যার তলদেশ ও উপরিভাগের দূরত্ব আকাশ ও যমিনের দূরত্ব বরাবর। আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা এর উপর উপবিষ্ট এবং আদম সন্তানের কোন আমল বা কর্ম তাঁর অগোচরে নেই।
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ।)
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن العباس بن عبد المطلب (5) قال كنا جلوسا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بالبطحاء (6) فمرت سحابة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أتدرون ما هذا؟ قال قلنا السحاب، قال والمزن (1) قلنا والمزن، قال والعنان، قال فسكتنا، فقال هل تدرن كم بين السماء والأرض؟ قال قلنا الله ورسوله أعلم، قال بينهما مسيرة خمسمائة سنة، ومن كل سماء مسيرة خمسمائة سنة، وكيف كل سماء (2) مسيرة خمسمائة سنة، وفوق السماء السابعة بحر بين أسفله كما بين السماء والأرض، ثم فوق ذلك ثمانية أو عال (3) بين ركبهن واظلافهن (4) كما بين السماء والارض ثم فوق ذلك العرش بين أسفله وأعلاه كما بين السماء والارض والله تبارك وتعالى فوق ذلك، وليس يخفى عليه من أعمال بنى آدم شئ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(৬) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, যখন তোমরা আল্লাহ্ তা'আলার কাছে যাঞ্চা করবে (প্রার্থনা করবে) তখন ফিরদাউস প্রার্থনা করবে; কারণ ফিরদাউস হচ্ছে জান্নাতসমূহের মাঝখানে ও সর্বোচ্চ অবস্থানে, এর উপরে রয়েছে করুণাময় আল্লাহ্ তা'আলার আরশ; আর জান্নাতের নহরসমূহ সেখান থেকেই প্রবাহিত হয় 
(এখানে শব্দ تَفَجَّرُ না تَنْفَجِرُ সে সম্বন্ধে আবূ আমের নামক জনৈক বর্ণনাকারী দ্বিধান্বিত ছিলেন)।
আবূ হুরাইরা (রা) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ﷺ) উপর্যুক্ত বর্ণনা শেষে বলেন, এর উপর রয়েছে করুণাময়ের আরশ এবং সেখান থেকে প্রবাহিত হয়েছে জান্নাতের নহরসমূহ।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
(এখানে শব্দ تَفَجَّرُ না تَنْفَجِرُ সে সম্বন্ধে আবূ আমের নামক জনৈক বর্ণনাকারী দ্বিধান্বিত ছিলেন)।
আবূ হুরাইরা (রা) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ﷺ) উপর্যুক্ত বর্ণনা শেষে বলেন, এর উপর রয়েছে করুণাময়ের আরশ এবং সেখান থেকে প্রবাহিত হয়েছে জান্নাতের নহরসমূহ।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن أبى هريرة (5) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا سألتم الله عز وجل فسلوه الفردوس، فانه وسط الجنة وأعلى الجنة وفوق (6) عرش الرحمن عز وجل ومنه تفجر أو تفجر أو تنفجر أنهار الجنة شك أبو عامر (احد الرواة) (وعنه من طريق ثان) (7) قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكره (8) وقال فوقه عرش الرحمن ومنه تفجر أنهار الجنة

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
পরিচ্ছেদ: প্রথম দিককার সৃষ্ট বস্তুসমূহ: এতে পানি, আরশ, লাওহ ও কলম এর উল্লেখ রয়েছে
(৭) ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ উমাইয়্যা ইব্ন আবিস সাল্ত  কিছু কবিতায় সত্য বলেছে। সে বলেছেঃ  
رَجُلٌ وَثَوْرٌ تَحْتَ رِجْلِ يَمِينِهِ ... وَالنَّسْرُ لِلْأُخْرَى وَلَيْثٌ مُرْصَدُ .
"তাঁর ডান পায়ের নীচে রয়েছে একজন মানুষ ও একটি বলদ, আর বাম পায়ের নীচে একটি শকুন ও ওৎ পেতে থাকা বাঘ।"
রাসূল (ﷺ) বললেন, সে সত্য বলেছে। সে আরো বলেছে,
وَالشَّمْسُ تَطْلُعُ كُلَّ أَخِرِ لَيْلَةٍ ... حَمْرَاءَ يُصْبِحُ لَوْنُهَا يَتَوَرَّدُ.
"প্রতিটি রাত্রি শেষে সূর্য উদিত হয় রক্তলাল অবস্থায় (এবং) তা গোলাপী রং ধারণ করে। প্রতিদিন উদিত হয় অনুতপ্ত ও ভীত অবস্থায়।"
রাসূল (ﷺ) বলেন, সে সত্য বলেছে।
رَجُلٌ وَثَوْرٌ تَحْتَ رِجْلِ يَمِينِهِ ... وَالنَّسْرُ لِلْأُخْرَى وَلَيْثٌ مُرْصَدُ .
"তাঁর ডান পায়ের নীচে রয়েছে একজন মানুষ ও একটি বলদ, আর বাম পায়ের নীচে একটি শকুন ও ওৎ পেতে থাকা বাঘ।"
রাসূল (ﷺ) বললেন, সে সত্য বলেছে। সে আরো বলেছে,
وَالشَّمْسُ تَطْلُعُ كُلَّ أَخِرِ لَيْلَةٍ ... حَمْرَاءَ يُصْبِحُ لَوْنُهَا يَتَوَرَّدُ.
"প্রতিটি রাত্রি শেষে সূর্য উদিত হয় রক্তলাল অবস্থায় (এবং) তা গোলাপী রং ধারণ করে। প্রতিদিন উদিত হয় অনুতপ্ত ও ভীত অবস্থায়।"
রাসূল (ﷺ) বলেন, সে সত্য বলেছে।
كتاب خلق العالم
كتاب خلق العالم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
باب أول المخلوقات وفيه ذكر الماء والعرش واللوح والقلم
عن ابن عباس (9) أن النبى صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم صدق أمية (بن أبى الصلت) في شئ من شعره فقال: (رجل وثور تحت رجل يمينه، والنسر للأخرى وليث مرصد) فقال النبى صلى الله عليه وسلم صدق: وقال: والشمس تطلع كل آخر ليلة.. حمراء يصبح لونها يتورد. 
تأتى فما تطلع لنا فى رسلها.. الا معذبة والا تجلد
فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق
تأتى فما تطلع لنا فى رسلها.. الا معذبة والا تجلد
فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জান্নাত ও জাহান্নাম প্রসংগ। উভয়টি এখনই বিদ্যমান
(৮) উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে এক আনসারী কিশোরের জানাযায় ডাকা হয়। তখন আমি তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! এর জন্য কল্যাণ হোক, এ তো জান্নাতের চড়ুই পাখিসমূহের একটি; কোন মন্দ সে পায়নি এবং মন্দ করেওনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে আয়েশা! বিষয়টি আসলে এইরূপ নয়। আল্লাহ্ তা'আলা জান্নাতের জন্য কিছু অধিবাসী সৃষ্টি করেছেন, তাদের জন্য জান্নাত সৃষ্টি করে রেখেছেন সেই সময় যখন তারা তাদের নিজ নিজ পিতার ঔরসে ছিল। অনুরূপ জাহান্নামের জন্য কিছু অধিবাসী সৃষ্টি করেছেন, তাদের জন্যও জাহান্নাম সৃষ্টি করে রেখেছেন (এমন সময়) যখন তারা নিজ নিজ পিতার ঔরষে ছিল।
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ ও ইব্ন মাজাহ
(মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ ও ইব্ন মাজাহ
كتاب خلق العالم
باب ما ورد فى خلق الجنة والنار وأنهما موجودتان الآن
عن عائشة أم المؤمنين (1) رضى الله عنها قالت دعى النبي صلى الله عليه وسلم الى جنازة غلام من الأنصار فقلت يا رسول الله طوبى لهذا: عصفور من عصافير الجنة لم يدرك الشر ولم يعلمه: قال أو غير ذلك يا عائشة؟ (2) ان الله عز وجل خلق الجنة أهلا، خلقها لهم وهم فى أصلاب أبائهم، وخلق للنار أهلا، خلقها لهم وهم فى أصلاب أبائهم

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: জান্নাত ও জাহান্নাম প্রসংগ। উভয়টি এখনই বিদ্যমান
(৯) জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলের সাথে যোহর অথবা আসরের সালাতের কাতারে ছিলাম। হঠাৎ দেখা গেল রাসূল (ﷺ) কোন কিছু ধরার চেষ্টা করছেন, আবার (পরক্ষণেই) তিনি পেছনে সরে এলেন, লোকজনও পেছনে সরে এল। সালাত শেষে উবাই ইব্ন কা'ব (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি সালাতে এমন কিছু করেছেন, যা কখনও করেন না। (এর কারণ কী?) উত্তরে রাসুল (ﷺ) বলেন, আমার সম্মুখে ফলমূল ও তার শোভাসহ জান্নাত পেশ করা হয়। আমি সেখান থেকে আঙ্গুরের একটি গোছা তোমাদের কাছে নিয়ে আসার জন্য হাত বাড়াই। কিন্তু (তখনই) আমার ও সেই আঙ্গুরের মধ্যে আড়াল করে দেওয়া হয়। যদি আমি তা আনতে পারতাম, তাহলে আকাশ ও যমিনের মধ্যকার সবাই তা ভক্ষণ করতে পারতো, তারপরও তা সামান্যও কমতো না। এরপর আমার সম্মুখে দোযখ পেশ করা হয়। আমি যখন এর বিভীষিকাময় কালো ধোঁয়া দেখলাম তখন পেছনে সরে এলাম। সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে আমি যাদের দেখলাম, তারা অধিকাংশই সেই সব মহিলা, যাদের কাছে কোন আমানত (গোপন কথা) রাখলে তারা তা ফাঁস করে দেয়, তাদের কাছে কিছু চাওয়া হলে কৃপণতা করে, কিন্তু তারা (নিজেরা) কিছু চাইলে তা পেতে পীড়াপীড়ি করে। (হাদীসের জনৈক বর্ণনাকারী হুসাইন বলেন), যদি তাদেরকে কিছু প্রদান করা হয়, তবে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। আমি সেখানে লুহাই ইবন আমরকেও দেখেছি, তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে আগুনে জ্বলছে। আমি তাকে মা'বাদ ইব্ন আকছাম আল-কাবী সদৃশ দেখতে পেয়েছি। তখন মা'বাদ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)। সে তো আমার পূর্বপুরুষ, এই সাদৃশ্যের কারণে আমারও কোন ভয়ের কারণ আছে কি? রাসূল (ﷺ) বললেন, না। কারণ, তুমি মুমিন আর সে কাফির, সে আরববাসীকে মূর্তি পুজায় উদ্বুদ্ধ করেছিল।
(হাইছামী ও আহমদ)
(হাইছামী ও আহমদ)
كتاب خلق العالم
باب ما ورد فى خلق الجنة والنار وأنهما موجودتان الآن
عن جابر (4) قال بينما نحن مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في صفوفنا في صلاة الظهر أو العصر فاذا رسول الله صلى الله عليه وسلم يتناول شيئا ثم تأخر فتأخر الناس، فلما قضى الصلاة قال أبى بن كعب شيئا صنعته فى الصلاة لم تكن تصنعه؟ قال عرضت على الجنة بما فيها من الزهرة والنضرة فتناولت منها قطفا (5) من عنب لآتيكم به فحيل بينى وبينه، ولو أتيتكم به لآكل منه من بين السماء والأرض لا ينقصونه شيئا: ثم عرضت على النار فبما وجدت سفعها (6) تأخرت عنها، وأكثر من رأيت فيها النساء اللاتي ان ائتمن أفشين (7) وان يسألن بخلن وان يسألن ألحقن (8) قال حسين (9) وإن وإن أعطين لم يشكرن، ورأيت فيها لحى بن عمرو (1) يجر قصبه (2) فى النار وأشبه ما رأيت به معبد بن أكثم الكعبى، قال يا رسول الله أيخشى على من شبهه وهو والد؟ (3) فقالا لا، أنت مؤمن وهو كافر، وكان أول من حمل العرب على عبادة الآوثان

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১০) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (একদা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে বসে ছিলাম। এই সময় একটি পাতলা মেঘমালা উড়ে গেল। তিনি বললেন, তোমরা জান, এটা কি? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বলেন, এই মেঘমালা ও মৃত্তিকাসঞ্জীবনী পানি আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সেই বান্দাদের কাছে পৌছিয়ে দেন, যারা তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না এবং তাঁকে ডাকেও না। তোমরা জান তোমাদের উপরে এটা কি? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বললেন, রাকী' (আকাশ), নিরুদ্ধ তরঙ্গমালা ও সুরক্ষিত ছাদ। তোমরা জান তোমাদের কাছ থেকে এর দুরত্ব কত? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসুল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, পাঁচশত বছরের রাস্তা। এই আকাশের উপর কী আছে, তা কি তোমরা জান? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসুল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, অন্য আরেকটি আকাশ। এই আকাশ থেকে সেই আকাশের দূরত্ব কত, তোমরা তা জান কি? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসুল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, পাঁচশত বছরের রাস্তা। এইভাবে তিনি সাত-আসমান পর্যন্ত গণনা করেন। এরপর তিনি বলেন, (এই সপ্তম আকাশের) উপর কী আছে, তা তোমরা জান কি? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসুল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, 'আরশ। তোমরা জান কী আরশ ও সপ্তম আকাশের মধ্যে দূরত্ব কতটুকু? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, পাঁচশত বছরের রাস্তা। এরপর তিনি বলেন, তোমরা জান এর নীচে কী আছে? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, যমিন। যমিনের নীচে কী আছে, তা তোমরা জান কি? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, আরো একটি যমিন। এই যমিন ও সেই যমিনের মধ্যে তফাৎ কতটুকু তা তোমরা জান কি? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাতা। তিনি বলেন, পাঁচশত বছরের রাস্তা। এইভাবে তিনি সাত যমিন গণনা করেন। এরপর তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ, তোমরা যদি কাউকে সপ্তম ও নিম্নতম যমিনে রশির মাধ্যমে নিক্ষেপ কর, তবে সে নিশ্চিত সেখানে গিয়ে পতিত হবে। এরপর তিনি পাঠ করেন:
هُوَ الْأَوَّلُ وَالْأَخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সর্বপ্রথম, সর্বশেষ, প্রকাশমান ও গুপ্ত এবং তিনিই সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
(তিরমিযী, বাযযার ও ইব্ন আবী হাতিম)
هُوَ الْأَوَّلُ وَالْأَخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সর্বপ্রথম, সর্বশেষ, প্রকাশমান ও গুপ্ত এবং তিনিই সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
(তিরমিযী, বাযযার ও ইব্ন আবী হাতিম)
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن أبى هريرة) (5) قال بينما نحن جلوس عند النبي صلى الله عليه وسلم اذ مرت سحابة فقال أتدرون ما هذه؟ قال قلنا الله ورسوله أعلم، قال العنان (6) وروايا الارض يسوقه الله الى من لا يشكره من عباده ولا يدعونه (7) أتدرون ما هذه فوقكم؟ (8) قلنا الله ورسوله أعلم، قال الرقيع (9) مرج مكفوف وسقف محفوظ، أتدرون كم بينكم وبينها؟ قلنا الله ورسوله أعلم، قال مسيرة خمسمائة عام، قال أتدرون ما التى فوقها؟ قلنا الله ورسوله أعلم، قال سماء أخرى، أتدرون كم بينها وبينها؟ (10) قلنا الله ورسوله أعلم، قال مسيرة خمسمائة عام حتى عد سبع سموات (11) ثم قال أتدرون ما فوق ذلك؟ قلنا الله ورسوله أعلم، قال العرش، قال أتدرون كم بينه وبين السماء السابعة؟ قلنا الله ورسوله أعلم، قال مسيرة خمسمائة عام ثم قال أتدرون ما هذا تحتكم؟ قلنا الله ورسوله أعلم، قال أرض (1) أتدرون ما تحتها؟ قلنا الله ورسوله أعلم، قال أرض أخرى، أتدرون كم بينها وبينها، قال الله ورسوله أعلم، قال مسيرة خمسمائة عام حتى عد سبع أرض (2) ثم قال وأيم الله لودليتم أحدكم بحب الى الارض السفلى السابعة لهبط (3) ثم قرأ هو الأول والآخر والظاهر (4) والباطن وهو بكل شئ عليم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১১) আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার হাত ধরেন এবং বলেন, আল্লাহ যমিন সৃষ্টি করেছেন শনিবার, তাতে পাহাড় সৃষ্টি করেছেন রবিবার। বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেছেন সোমবার। অপছন্দনীয় বিষয় সৃষ্টি করেছেন মঙ্গলবার। নূর বা জ্যোতি সৃষ্টি করেছেন বুধবার। জীবজন্তুর বিচরণ ঘটিয়েছেন বৃহস্পতিবার এবং শেষ সৃষ্টি আদমকে (আ) সৃষ্টি করেছেন শুক্রবার বাদ আসর জুমার দিনের শেষ প্রহরে অর্থাৎ আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে।
(মুসলিম ও নাসাঈ।)
(মুসলিম ও নাসাঈ।)
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن أبى هريرة (5) قال أخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم بيدى فقال خلق الله التربة (6) يوم السبت، وخلق الجبال فيها يوم الأحد، وخلق الشجر فيها يوم الاثنين، وخلق المكروه (7) يوم الثلاثاء، وخلق النور يوم الاربعاء، وبث فيها الدواب (8) يوم الخميس، وخلق آدم عليه السلام بعد العصر يوم الجمعة آخر الخلق في آخر ساعة من ساعات الجمعة فيما بين العصر الى الليل

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১২) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (ﷺ) কাছে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। ফলে আমাদের বড় ভাল লাগত যদি বেদুঈনদের মধ্য হতে বুদ্ধিমান কোন ব্যক্তি এসে তাঁর কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করতো। তখন আমরা তা শুনতাম। একদিন গ্রামাঞ্চল থেকে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে মুহাম্মদ, আপনার দূত আমাদের কাছে গিয়ে আমাদেরকে বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন, আল্লাহ্ আপনাকে প্রেরণ করেছেন? রাসূল (ﷺ) বলেন, হ্যাঁ, সে ঠিক বলেছে। বেদুঈন বললো, তাহলে আকাশ সৃষ্টি করেছে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ্। সে বলল, যমিন সৃষ্টি করেছে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ্। সে বলল, এইসব পর্বতমালা কে স্থাপন করেছে এবং তাতে যা কিছু প্রয়োজন তা কে দিয়েছে? তিনি বললেন, আল্লাহ্। সে বলল, তাহলে যিনি আকাশ, যমিন ও এইসব পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন, সেই মহান আল্লাহর শপথ করে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি তিনিই কি আপনাকে প্রেরণ করেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ।
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن أنس بن مالك (1) قال كنا قد نهينا ان نسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن شئ فكان يعجبنا أن يجئ الرجل من أهل البادية العاقل فيسأله ونحن نسمع، فجاء رجل من أهل البادية فقال يا محمد أتانا رسولك فزعم لنا أنك تزعم أن الله أرسلك، قال صدق، قال فمن خلق السماء؟ قال الله، قال فمن خلق الأرض؟ قال الله، قال فمن نصب هذه الجبال وجعل فيها ما جعل؟ قال الله، قال فبا الذى خلق السماء والأرض ونصب هذه الجبال الله أرسلك؟ قال نعم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১৩) আবূ সালামা ইব্ন আবদির রহমান থেকে বর্ণিত, (একদা) তিনি আয়েশা (রা)-এর কাছে উপস্থিত হলেন। তিনি একখণ্ড জমি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন। মা আয়েশা (রা) তাঁকে বললেন, হে আবু সালামা, জমি থেকে দূরে থাক। কারণ, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ জমি যুলুম করে আত্মসাত করবে, কিয়ামতের দিন সত্তর স্তর জমি তার গলায় বেড়ি করে পড়িয়ে দেওয়া হবে।
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن أبى سلمة عبد الرحمن (2) أنه دخل على عائشة رضى الله عنها وهو يخاصم فى أرض، فقالت عائشة يا أبا سلمة اجتنب الأرض: فان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ظلم قيد شبر من الأرض طوقه يوم القيامة من سبع أرضين

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৪
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১৪) সা'ঈদ ইবন যায়েদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি অন্যের জমি দখল করে নেয়, কিয়ামতের দিন সপ্ত স্তর জমি দ্বারা তার গলায় বেড়ি পরানো হবে। আর যে ব্যক্তি তার স্বীয় সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ।
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن سعيد بن زيد (3) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من أخذ من الأرض ما ليس له طوقه الى السابعة من الأرض يوم القيامة، ومن قتل دون ماله فهو شهيد

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১৫) ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন যুলুম (অত্যাচার) সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার ভাইয়ের অধিকার থেকে একগজ জমি ছিনিয়ে নেওয়া। মাটির একটি ঢিলা বা পাথরও যদি ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তবে কিয়ামতের দিন তা এমন গভীর জমিসহ তার গলায় বেড়ি হয়ে যাবে, যার গভীরতা তার সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন অন্য কেউ জানে না।
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن ابن مسعود (4) قال قلت يا رسول الله أى الظلم أعظم؟ قال ذراع من الأرض يلتقصه من حق أخيه: فليست حصاة من الأرض أخذها الا طوفها يوم القيامة الى قعر الأرض ولا يعلم قعرها الا الذى خلقها

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১৬) উমারাহ ইবন খুযাইমা তাঁর পিতা (খুযাইমা) থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মানুষের কাছে শয়তান উপস্থিত হয়ে প্রশ্ন করে- আকাশমণ্ডলী সৃষ্টি করেছিন কে? সে বলে, আল্লাহ্। পুনরায় শয়তান প্রশ্ন করে, যমিন সৃষ্টি করেছে কে? সে বলে আল্লাহ্। এইভাবে অগ্রসর হয়ে শয়তান (একপর্যায়ে) প্রশ্ন করে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে কে? তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এইরূপ (দেখতে) পায়, সে যেন বলে দেয়- 'আমানতু বিল্লাহি ওয়া রাসূলিহি" (আমি আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি।)
(হাইছামী, বাযযার ও অন্যান্য; হাদীসের রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
(হাইছামী, বাযযার ও অন্যান্য; হাদীসের রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن عمارة بن خزيمة (5) يحدث عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يأتي الشيطان الإنسان فيقول من خلق السموات؟ فيقول الله، ثم يقول من خلق الأرض؟ فيقول الله، حتى يقول من خلق الله، فاذا وجد أحدكم ذلك فليقل آمنت بالله ورسوله صلى الله عليه وسلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : সপ্ত আকাশ ও সপ্ত যমীন এবং এসবের মধ্যস্থিত যা কিছু রয়েছে সেসবের সৃষ্টি প্রসংগ
(১৭) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ আমাকে বলে দিয়েছেন যে, তোমার উম্মত পরস্পর প্রশ্ন উত্থাপন করতে থাকবে এবং (একপর্যায়ে) তারা বলবে, আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে কে? 
(মুসলিম)
(মুসলিম)
كتاب خلق العالم
باب ما ورد في خلق السماوات السبع والأرضين السبع وما بينهن
عن أنس (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله تعالى قال لى أن أمتك لا يزالون يتساءلون فيما بينهم حتى يقولوا هذا الله خلق الناس فمن خلق الله؟

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : পাহাড়-পর্বত, লোহা, আগুন, পানি, বাতাস, যুগ, রাত ও দিন সৃষ্টি প্রসংগ
(১৮) আনাস (রা) থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আল্লাহ্ তা'আলা যমিন সৃষ্টি করলেন, তখন তা টালমাটাল করতে থাকে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করে যমিনের উপর স্থাপন করলেন এবং তাতে যমিন সুস্থির হয়ে গেল। এতদ্দর্শনে ফেরেস্তারা অবাক হয়ে আরজ করলেন, প্রভু, পাহাড়ের চেয়েও শক্তিশালী কোন সৃষ্টি আপনার আছে কি? আল্লাহ্ বললেন, হাঁ, লোহা। তাঁরা বললেন, প্রভু লোহার চেয়েও শক্তিশালী আপনার কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ্ বললেন, হ্যাঁ, আগুন। তাঁরা বললেন, প্রভু, আগুনের চেয়েও শক্তিশালী কোন সৃষ্টি আপনার আছে কি? আল্লাহ্ বললেন, হ্যাঁ, পানি। তাঁরা বললেন, প্রভু, পানির চেয়েও শক্তিশালী কোন সৃষ্টি আপনার আছে কি? আল্লাহ্ বললেন, হ্যাঁ বায়ু। তাঁরা বললেন, প্রভু, বায়ুর চেয়েও কোন শক্তিশালী সৃষ্টি আপনার কাছে আছে কি? আল্লাহ্ বললেন, হ্যাঁ, আদম সন্তান, যে তার ডান হাতে যা দান করে, তা তার বাম হাতের কাছে গোপন করে।
(মুসলিম)
(মুসলিম)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء في خلق الجبال والحديد والنار والماء والريح والدهر والليل والنهار
وعنه ايضا (2) قال لما خلق الله عز وجل جعلت تميد فخلق الجبال فالفاها عليها فاستقرت: فتعجبت الملائكة من خلق الجبال فقالت يارب هل من خلقك شئ أشد من الجبال؟ قال نعم الحديد، قالت يارب هل من خلقك شئ أشد من الحديد؟ قال نعم النار، قالت يارب هل من خلقك شئ أشد من النار؟ قال نعم الماء، قالت يارب فهل من خلقك شئ أشد من الماء؟ قال نعم الريح قالت يارب فهل من خلقك شئ أشد من الريح؟ قال نعم ابن آدم يتصدق بيمينه يخفيها من شماله

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : পাহাড়-পর্বত, লোহা, আগুন, পানি, বাতাস, যুগ, রাত ও দিন সৃষ্টি প্রসংগ
(১৯) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু এরশাদ করেন, আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, তারা 'কাল' কে গালি দেয়, অথচ আমিই কাল (বা সময়), আমার হাতেই সবকিছুর নির্দেশনা, আমিই রাত ও দিনকে পরিবর্তন করি।
(বুখারী, মুসলিম, আবুদাউদ ও নাসাঈ।)
(বুখারী, মুসলিম, আবুদাউদ ও নাসাঈ।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء في خلق الجبال والحديد والنار والماء والريح والدهر والليل والنهار
عن أبى هريرة (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الله عز وجل يؤذيني ابن آدم (4) يسب الدهر (5) وأنا الدهر (6) بيدي الأمر أقلب الليل والنهار

তাহকীক:
হাদীস নং: ২০
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : পাহাড়-পর্বত, লোহা, আগুন, পানি, বাতাস, যুগ, রাত ও দিন সৃষ্টি প্রসংগ
(২০) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা 'কাল'কে গালি দিও না; কেননা আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন আমিই 'কাল' রাত ও দিনসমূহ আমারই (সৃষ্টি), আমিই রাত ও দিনকে নতুন রূপ দিই, আবার পুরাতনও করে দিই এবং আমি এক বাদশাহর পর অন্য বাদশাহ নিয়ে আসি। 
(হাদীসটির সনদ উত্তম, যদিও অন্য কোন মুহাদ্দিস তা বর্ণনা করেননি।)
(হাদীসটির সনদ উত্তম, যদিও অন্য কোন মুহাদ্দিস তা বর্ণনা করেননি।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء في خلق الجبال والحديد والنار والماء والريح والدهر والليل والنهار
وعنه أيضا (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسبوا الدهر فان الله عز وجل قال أنا الدهر الأيام والليالي لي أجددها وأبليها وآنى بملوك بعد ملوك

তাহকীক: