মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়

পরিচ্ছেদ : নবী ও রাসূলগণের সংখ্যা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী
(১) আবূ উমামা আল-বাহিলী থেকে বর্ণিত, আবু যর (রা) প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) নবীগণের সংখ্যা কত হয়েছিল? তিনি উত্তরে বলেন, এক লক্ষ চল্লিশ হাজার। তন্মধ্যে রাসূল হচ্ছেন তিনশত পনের জন, (অন্য শব্দে) তিনশত এবং দশের উপরে।
(মানাকিবুস সাহাবা (রা) অধ্যায়ে এই হাদীসের তাখরীজ বর্ণিত হবে ইনশাআল্লাহ্।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام

باب ما جاء فى عدد الأنبياء والرسل وأمور تتعلق بهم
عن أبى امامى الباهلى (8) قال قال أبو ذر رضى الله عنه يا رسول الله كم وفى عدة الانبياء؟ قال مائة الف وأربعة وعشرون الفا: الرسل من ذلك ثلاثمائة وخمسة عشر جما غفيرا (وفى لفظ) ثلاثمائة وبضعة عشر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়

পরিচ্ছেদ : নবী ও রাসূলগণের সংখ্যা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী
(২) আবূ সা'ঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা নবীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে পার্থক্য করো না।
(মুসলিম)
আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা প্রত্যেক নবীকে তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের ভাষায় প্রেরণ করেছেন।
(আহমদ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام

باب ما جاء فى عدد الأنبياء والرسل وأمور تتعلق بهم
عن أبى سعيد الخدرى (1) قال قال الله صلى الله عليه وسلم لا تخيروا بين الأنبياء (2) (عن أبى ذر) (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يبعث الله نبينا الا بلغة قومه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়

পরিচ্ছেদ : নবী ও রাসূলগণের সংখ্যা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী
(৩) আউস ইব্‌ন আবী আউস (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা যমিনের জন্য নবীগণের শরীর (লাশ) ভক্ষণ (নষ্ট) নাজায়েয বা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
(সপ্তম খণ্ডে এই হাদীসের তাখরীজ বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام

باب ما جاء فى عدد الأنبياء والرسل وأمور تتعلق بهم
عن أوس بن أبى أوس (4) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله عز وجل حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء صلوات الله وسلامه عليهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী ইদ্রীস (আ) ও আল্লাহর বাণী: وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا 'তাঁকে সুউচ্চ স্থানে আসীন করেছি’
(৪) আনাস ইবন মালিক (রা) মি'রাজ সংক্রান্ত হাদীসে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, অতঃপর আমাদেরকে চতুর্থ আকাশে নিয়ে যাওয়া হলো। জিব্রাইল (আ) দরজা খুলতে বলেন। তখন তাঁকে বলা হলো, আপনি কে? তিনি বলেন, মুহাম্মদ (ﷺ)। বলা হলো, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বলেন, হ্যাঁ, তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এরপর দরজা খোলা হল। তখনই আমি ইদ্রিসকে (আ) দেখতে পাই। তিনি আমাকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানান এবং আমার জন্য কল্যাণের দোয়া করেন। অতঃপর আল্লাহর বাণী উচ্চারণ করেন,
وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا
“এবং আমি তাঁকে সুউচ্চ স্থানে আসীন করেছি।”
(এই হাদীসের বিস্তারিত বিবরণ 'সিরাতুন নববী' অধ্যায়ে আসছে ইনশাআল্লাহ্।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكرا نبى الله درس عليه السلام وقول الله عز وجل ورفعناه مكانا عليا
عن أنس بن مالك (1) فى حديث الاسراء أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ثم عرج بنا إلى السماء الرابعة فاستفتح جبريل فقيل من أنت؟ قال جبريل، فقيل ومن معك؟ قال محمد صلى الله عليه وسلم فقيل وقد أرسل اليه؟ قال قد أرسل اليه، ففتح الباب فاذا أنا بادريس فرحب بى ودعا لى بخير، ثم قال يقول الله عز وجل ورفعناه مكانا عليا
হাদীস নং: ৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ্ নবী নূহ (আ) ও আল্লাহর বাণী “এইভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মতে পরিণত করেছি” প্রসংগ
(৫) আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন নূহকে (আ) ডাকা হবে এবং জিজ্ঞেস করা হবে, আপনি কি (আল্লাহর দ্বীনের দা'ওয়াত) পৌছিয়েছেন? তিনি বলবেন, হ্যাঁ। এরপর তাঁর সম্প্রদায়কে ডাকা হবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তিনি তোমাদের নিকট দাওয়াত পৌছিয়েছেন কি? তারা উত্তরে বলবে, আমাদের কাছে কোন 'নাযীর' বা ভয় প্রদর্শনকারী আসেনি, অথবা আমাদের কাছে কেউ আসেনি। তখন নূহকে (আ) বলা হবে, আপনার পক্ষে কে সাক্ষ্য দেবে? তিনি বলবেন, মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর উম্মত। রাসূল (ﷺ) বলেন, এটাই হচ্ছে আল্লাহ্ তা'আলার বাণী,
وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا
"আর এইভাবে আমি তোমাদেরেকে মধ্যমপন্থী উম্মতে পরিণত করেছি"-
এর মর্ম। তিনি আরো বলেন মধ্যমপন্থী মানে হচ্ছে ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তাঁদেরকে (উম্মতে মুহাম্মদী) ডাকা হবে এবং তাঁরা নূহের (আ) পৌছানোর পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবেন। এরপর আমি তোমাদের সত্যতার বিষয়ে সাক্ষ্য দেব।
(বুখারী, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى ذكر نبى الله نوح عليه السلام وقول الله عز وجل وكذلك جعلناكم أمة وسطا
عن أبى سعيد الخدرى (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يدعى نوح عليه السلام يوم القيامة فيقال له هل بلغت؟ فيقول نعم، فيدعى قومه فيقال لهم هل بلغكم؟ فيقولون ما أتانا من نذير أو ما أتانا من أحد، قال فيقال لنوح من يشهد لك فيقول محمد صلى الله عليه وسلم وأمته (2) قال فذلك قوله تعالى {وكذلك جعلناكم أمة وسطا} (3) قال الوسط العدل قال فيدعون فيشهدون له بالبلاغ (4) قال ثم أشهد عليكم (5)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ্ নবী নূহ (আ) ও আল্লাহর বাণী “এইভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মতে পরিণত করেছি” প্রসংগ
(৬) আবূ হুরাইরা (রা) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে সরাসরি বর্ণনা করেন, কিয়ামত দিবসে (হাশরবাসী) নূহ (আ) এর কাছে যাবে এবং আরয করবে, হে নূহ (আ), আপনি হচ্ছেন যমিনবাসীর প্রতি সর্বপ্রথম রাসূল আর আপনাকে আল্লাহ্ তা'আলা "কৃতজ্ঞ বান্দা" আখ্যায় ভূষিত করেছেন। সুতরাং আপনি আপনার প্রভুর কাছে আমাদের জন্য শাফায়াত করুন। আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, আমরা (কী অবর্ণনীয় অবস্থায়) কিসের মধ্যে আছি? আমাদের দুর্ভোগ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে? তখন নূহ (আ) উত্তরে বলবেন, আমার প্রভু আজকের দিনে এত বেশী ক্রোধান্বিত হয়েছেন যে, ইতিপূর্বে তিনি কখনও এইরূপ ক্রোধান্বিত হননি এবং এর পরেও কখনও এইরূপ ক্রোধান্বিত হবেন না। আমার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তো আমার একটি বদদোয়া ছিল। আমি তো আমার মুক্তি চাই, আমার মুক্তি চাই! আমার মুক্তি চাই! তোমরা অন্য কারো কাছে যাও।
(হাদীসটি গরীব)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى ذكر نبى الله نوح عليه السلام وقول الله عز وجل وكذلك جعلناكم أمة وسطا
عن أبي هريرة مرفوعا (1) ان أهل الموقف يأتون نوحا فيقولون يا نوح أنت أول الرسل (2) إلى أهل الأرض وسماك الله عبدا شكورا (3) فاشفع لنا عند ربك ألا ترى ما نحن فيه ألا ترى ما قد بلغنا؟ فيقول نوح ان ربى قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله (4) وانه كانت لى دعوة على قومى (5) نفسى نفسى نفسى اذهبوا الى غيرى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহ্ নবী নূহ (আ) ও আল্লাহর বাণী “এইভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মতে পরিণত করেছি” প্রসংগ
(৭) ইব্‌ন আব্বাস (রা) শাফায়তের হাদীসে আরো বলেন, অতঃপর নূহ (আ) বলবেন, আমি তোমাদের এই বিষয়ের যোগ্য নই। আমি একটি দোয়া করেছিলাম যার ফলে যমিনবাসী ডুবে গিয়েছিল। তাই আজ আমি আমার নিজের ব্যাপারেই চিন্তিত।
(হাদীসটি গরীব)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ما جاء فى ذكر نبى الله نوح عليه السلام وقول الله عز وجل وكذلك جعلناكم أمة وسطا
عن ابن عباس (6) فى حديث الشفاعة أيضا قال فيقول (يعنى نوحا) انى لست هنا كم انى دعوت بدعوة أغرقت أهل الأرض وإنه لا يهمنى اليوم الا نفسى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নূহ (আ)-এর সন্তান ও তাদের উদ্দেশ্যে তাঁর মৃত্যুকালীন অসিয়ত
(৮) ইমাম আহমদ বলেন, আমাকে রাওহ (রহ.) তাঁর লেখা থেকে পাঠ করে শোনান যে, তাঁকে সাঈদ ইব্‌ন আবূ 'আরুবা, তিনি কাতাদা থেকে, তিনি হাসান থেকে, তিনি সামুরা ইব্‌ন্ জুনদুব (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, সাম হচ্ছেন আরবের পিতা; ইয়াফেছ হচ্ছেন রোমের পিতা আর হাম হচ্ছেন হাবশের পিতা।
এছাড়া রাওহ (রহ.) বাগদাদে তাঁর হেফজ থেকে আহমদকে বলেন, নূহ (আ)-এর তিন পুত্র- সাম, হাম ও ইয়াফেস।
(হাদীসটি গরীব)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر أولاده ووصيته لهم عند وفاته
حدثنا روح من كتابه (7) ثنا سعيد بن أبى عروبة عن قتادة قال حدث الحسن عن سمرة بن جندب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال سام أبو العرب، ويافث أبو الروم، (8) وحام أبو الحبش وقال روح ببغداد من حفظه ولد نوح ثلاثة سام وحام ويافث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নূহ (আ)-এর সন্তান ও তাদের উদ্দেশ্যে তাঁর মৃত্যুকালীন অসিয়ত
(৯) 'আবদুল্লাহ্ ইবন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট জনৈক বেদুঈন আগমন করে। তার পরনে রেশমী সূতার পাড়বিশিষ্ট চাকচিক্যময় জুব্বা ছিল। সে বললো, তোমাদের এই সাথী প্রত্যেক রাখালের পুত্র রাখালকে (উচ্চ মর্যাদায়) উঠাতে চায় আর ঘোড়া পালকের পুত্র ঘোড়াপালককে অপদস্থ করতে চায়। একথা শুনে রাসূল (ﷺ) রাগান্বিত হয়ে উঠে দাঁড়ান এবং তার জুব্বার একপাশ ধরে টান দেন এবং বলেন, তোমার পরিধেয় পোশাক দেখে তোমাকে নির্বোধ মনে হয় না। এরপর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ফিরে গিয়ে তাঁর পূর্বের স্থানে বসলেন। তারপর বললেন, নূহের (আ) মৃত্যু ঘনিয়ে আসলে তিনি তাঁর পুত্রদ্বয়কে ডেকে বললেন, আমি খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তোমাদেরকে অসিয়ত করছি। দুটি বিষয় পালন করতে নির্দেশ দিচ্ছি; এবং দুইটি বিষয় থেকে নিষেধ করছি। আমি নিষেধ করছি শিরক থেকে এবং অহঙ্কার থেকে। নির্দেশ দিচ্ছি- 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র প্রতি। কারণ আকাশ ও যমিনসমূহ এবং এসবের মধ্যকার সবকিছু যদি নেকীর এক পাল্লায় উঠানো হয়; আর 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' কে যদি অপর পাল্লায় উঠানো হয়, তবে এটিই ভারী হবে। আর আকাশসমূহ ও যমিনকে যদি একটি বেষ্টনীতে পরিণত করা হয় এবং সেখানে 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' কে রাখা হয়, তবে সেখানে তার সংকুলান হবে না। আমি তোমাদেরকে আরো নির্দেশ দিচ্ছি 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী' এর প্রতি। কেননা এটিই প্রত্যেক বস্তুর সালাত এবং এর কারণেই প্রত্যেক বস্তুকে রিযিক দেওয়া হয়।
(হাদীসটি সহীহ। নাসাঈ ও বায়হাকী)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر أولاده ووصيته لهم عند وفاته
عن عبد الله بن عمرو (1) قال انى النبى صلى الله عليه وسلم اعرابى عليه جبة من طيالسة مكفوفة بديباج أو مزرورة بديباج، فقال ان صاحبكم هذا يريد أن يرفع كل راع ابن راع ويضع كل فارس ابن فارس، فقام النبى صلى الله عليه وسلم مغضبا فأخذ بمجامع جبته فاجتذبه وقال لا أرى عليك ثياب من لا يعقل، ثم رجع رسول الله صلى الله عليه وسلم فجلس فقال ابن نوحا عليه السلام لما حضرته الوفاة دعا ابليه فقال انى قاصر عليكما الوصية، آمركما باثنتين وأنها كما عن اثنتين، أنها كما عن الشرك والكبر، وآمركما بلا آله الا الله فان السموات والأرض وما فيهما لو وضعت فى كفة الخيرات ووضعت لا اله إلا الله في الكفة الأخرى كانت أرجح، ولو أن السماوات والأرض كانتا حلقة فوضعت لا إله إلا الله عليهما لقصمتهما أو لقصمتهما وآمركما بسبحان الله وبحمده فإنها صلاة كل شئ وبها يرزق كل شئ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী হূদ (আ)-এর আলোচনা শীর্ষক পরিচ্ছেদ
(১০) ইব্‌ন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হজ্জ পালনের সময় উসফান উপত্যকা পাড়ি দিচ্ছিলেন। তখন তিনি আবূ বকর সিদ্দীককে (রা) জিজ্ঞেস করেন, এটি কোন উপত্যকা! তিনি বলেন, উসফান উপত্যকা। রাসূল (ﷺ) বলেন, হুদ (আ) ও সালিহ (আ) তাঁদের লাল রংয়ের কমবয়সী উটে সওয়ার হয়ে তাঁদের সুন্দর ও মানানসই ইযার ও চাদর পরিধান করে, 'বাইতুল্লাহিল আতীক'-এর হজ্জ করার উদ্দেশ্যে তালবিয়া পাঠ করতে করতে এই উপত্যকা পাড়ি দিয়েছেন।
(হাদীসটি গরীব।
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله هود (1) عليه السلام
عن ابن عباس (2) قال لما مر رسول الله صلى الله عليه وسلم بوادى عسفان حين حج قال يا أبا بكر أى واد هذا؟ قال وادى عسفان (3) قال لقد مر به هود وصالح على بكرات (4) حمر خطمها الليف أزرهم العباء وأرديتهم النمار يلبون يحجون البيت العتيق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী হূদ (আ)-এর আলোচনা শীর্ষক পরিচ্ছেদ
(১১) আবু ওয়ায়িল বর্ণনা করেন হারিছ ইবন ইয়াযিদ আল-বাকরী থেকে; তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আল-'আলা ইবনুল হাদরামী সম্পর্কে কিছু অভিযোগ করার উদ্দেশ্যে বের হই। রাবাযাহ নামক গ্রামে আমি বনু তামীম গোত্রের জনৈকা বৃদ্ধাকে একাকিনী দেখতে পাই। তিনি আমাকে বললেন, ইয়া আবদাল্লাহ্, আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) নিকট আমার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। তুমি কি আমাকে তাঁর কাছে পৌছিয়ে দিবে? তখন আমি তাকে উঠিয়ে নিয়ে মদীনায় আগমন করি। এসে দেখি মসজিদ লোকে ভর্তি। কারো পতাকা উড়ছে এবং বিলাল (রা) রাসূলুল্লাহর (ﷺ) সম্মুখে খোলা তরবারি নিয়ে দণ্ডায়মান। আমি বললাম, ব্যাপার কি? লোকজন বললো, 'আমর ইব্‌নল 'আসকে অভিযানে নেতা হিসেবে পাঠাবেন। আমি তখন একটু বসলাম। রাসূল (ﷺ) তাঁর গৃহে প্রবেশ করলেন (অথবা বলেছেন-তাঁর সওয়ারীতে প্রবেশ করলেন)। আমি তাঁর অনুমতি চাইলাম। তিনি অনুমতি প্রদান করলেন। আমি সালাম দিয়ে (সেখানে) প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, বনূ তামীম গোত্রের সাথে তোমাদের কোন বিরোধ আছে কি? বললাম, হ্যাঁ। রাবী বলেন, তাদের কাছে আমাদের একটি পরাজয়ের গ্লানি ছিল। আর আমি বনূ তামীমের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এক বৃদ্ধার পাশ দিয়ে আসছিলাম, সে আমাকে অনুরোধ করলো- আমি যেন তাকে আপনার কাছে নিয়ে আসি। ঐ তো সে দরজার পাশে আছে। রাসূল (ﷺ) তখন তাঁকে অনুমতি দেন এবং সে প্রবেশ করে। (যাহোক), আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আপনি যদি আমাদের ও বনূ তামীমের মাঝে কোন সীমারেখা স্থির করে দিতে চান, তবে 'দাহনা'-কে তা করে দিন। (এই শুনে) বৃদ্ধা রাগান্বিত ও উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ), আপনি (আমাদের) ক্ষতি করতে কতদূর পর্যন্ত বাধ্য? তখন আমি বললাম, আমার দশা হয়েছে সেই ব্যক্তির ন্যায় যে না জেনে নিজের মৃত্যুকে ডেকে আনে। আমি বৃদ্ধকে (তার উপকারার্থে) নিয়ে আসলাম, অথচ আমি বুঝতে পারিনি যে, সে আমার প্রতিপক্ষ। আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি-আমি যেন "ওয়াফেদ-ই-'আদ" (আদের প্রতিনিধিদল) -এর ন্যায় না হই। তিনি বললেন, ওয়াফেদ-ই-'আদ কি? (অথচ তিনি) ওয়াফিদ-ই-'আদ সম্পর্কে তার চেয়ে অনেক বেশী জানেন, কিন্তু তিনি মজা করার জন্য এইরূপ জিজ্ঞেস করেন। আমি বললাম, 'আদ সম্প্রদায় বিপর্যয়ে (দুর্ভিক্ষে) পতিত হয়েছিল। তারা একজন প্রতিনিধিকে প্রেরণ করে, যাকে "কাইল" বলা হয়। সেই প্রতিনিধি মুআবিয়া ইব্‌ন বাকর-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিল, তার কাছে সে একমাস অবস্থান করে, সে তাকে মদ পান করায় এবং "জারাদাহ" নামী দুই যুবতী কৃতদাসী গায়িকা তাকে গান শোনায়। এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর সে তিহামা পর্বতমালায় বের হয়ে বলে, "হে আল্লাহ্, আপনি জানেন যে, আমি এখানে কোন রোগীর সেবা করতে অথবা কোন বন্দীর মুক্তিপণ নিয়ে আসিনি। হে আল্লাহ্, আপনি 'আদ সম্প্রদায়ের উপর বর্ষণ করুন যা আপনি তাদের উপর বর্ষণ করতে চান। তখন তার সম্মুখ দিয়ে কিছু কালো মেঘমালা ভেসে গেল এবং সেখান থেকে ডেকে বলা হলো, বেছে নাও (কোন একটি)। তখন সে একটি মেঘখণ্ডের প্রতি ইশারা করে বেছে নিল যা ছিল কালো। সেখান থেকে আওয়াজ শোনা গেল, এটি নিয়ে নাও ধ্বংস অনল রূপে, যা সকলকে জ্বালিয়ে ছারখার করে দেবে, 'আদের কাউকেই রেহাই দিবে না। আমার কাছে মনে হলো, তাদের উপর খুব সামান্য বায়ু-যা আমার এই আংটির ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, প্রেরিত হয়েছিল এবং তাতেই তারা সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আবূ ওয়ায়িল বলেন, তিনি সত্য বলেছেন; এবং এরপর থেকে যখনই স্ত্রীলোক ও পুরুষ তাদের কাউকে 'ওয়াফিদ' (প্রতিনিধি) হিসেবে প্রেরণ করে, তখনই তারা বলতো, "লা তাকুন্ কা ওয়াফিদি 'আদ" অর্থাৎ তোমরা 'আদের ওয়াফিদের মত হয়ো না।
(ইবনে কাছীর এই হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। তাছাড়া তিরমিযী ও নাসাঈ অন্য রাবীদের কাছ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله هود (1) عليه السلام
عن أبى وائل (5) عن الحرث ابن يزيد (1) البكري قال خرجت اشكوا العلاء بن الحضرمى الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فمررت بالربذة (2) فاذا عجوز من بنى تميم منقطع بها (3) فقالت لى يا عبد الله ان لى الى رسول الله صلى الله عليه وسلم حاجة فهل أنت مبلغى إليه؟ قال فحملتها فأتيت المدينة فاذا المسجد غاص بأهله واذا راية سوداء تخفق وبلال متقلد السيف بين يدى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقلت ما شأ، الناس؟ قالوا يريد أن يبعث عمرو ابن العاص وجها (4) قال فجلست قال فدخل منزله أو قال رحله فاستأذنت عليه فاذن لى فدخلت فسلمت، فقال هل كان بينكم وبين بنى تميم شئ؟ قال فقلت نعم، قال وكانت لنا الدبرة (5) عليهم ومررت بعجوز من بنى تميم سنقطع بها فسألتنى ان احملها اليك وها هى بالباب، فأذن لها فدخلت فقلت يا رسول الله أن رأيت أن تجعل بيننا وبين بنى تميم حاجزا فاجعل الدهناء (6) فحميت العجوز واستوفزت قالت يا رسول الله فالى اين تضطر مضرك؟ قال قلت انما مثلى ما قال الأول معزى حملت حتفها (7) حملت هذه ولا أشعر أنها كانت لى خصما: أعوذ بالله ورسوله أن أكون كوافد عاد، قال هيه (8) وما وافد عاد؟ وهو أعلم بالحديث منه ولكنه يستطعمه (9) قلت أن عادا افحطوا فبعثوا وافدا لهم يقال له قيل فمر بمعاوية بن بكر فأقام عنده شهرا يسقيه الخمر وتغنيه جاريتان يقال لهما الجرادتان، فلما مضى الشهر خرج الى جبال تهامة فنادى اللهم انك تعلم انى لم أجئ الى مريض فأداويه، ولا الى أسير فأفاديه، اللهم اسق عادا ما كنت تسقيه، فمرت، به سحابات سود فنودى منها أختر: فأومأ الى سحابة منها سوداء فنودى منها خذها رمادا (10) رمدداً لا تبقى من عاد احدا، قال فما بلغنى أنه بعث عليهم من الريح الا قدر ما يجرى فى خاتمى هذا حتى هلكوا، قال أبو وائل وصدق قال فكانت المرأة والرجل إذا بعثوا وأقدالهم قالوا لا تكن كوافد عاء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী সালিহ (আ)
(১২) জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (তাবুক যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে) যখন 'হিজর' নামক স্থান অতিক্রম করছিলেন, তখন বলেন, তোমরা 'আয়াত' বা নিদর্শন পেতে চেয়ো না, যেমনটি চেয়েছিল সালিহ (আ)-এর সম্প্রদায়। এই প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে সালিহ (আ)-এর উষ্ট্রী আবির্ভূত হতো এবং এই প্রশস্ত রাস্তা ধরেই সেই উষ্ট্রী বিচরণ করতো। কিন্তু তারা তাদের প্রভুর নির্দেশ অমান্য করে উষ্ট্রীকে হত্যা করে। সেই উষ্ট্রী একদিন তাদের পানি পান করতো, আর তারা একদিন উষ্ট্রীর দুধ পান করতো- কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা উষ্ট্রীকে হত্যা করলো। ফলে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) এক ভীষণ চিৎকার তাদেরকে পেয়ে বসে এবং আল্লাহ্ তা'আলা আকাশের নীচে অবস্থানকারী তাদের সবাইকে ধ্বংস করে ফেলেন-একজন বাদে। (আল্লাহ্ আযাব থেকে বেঁচে যাওয়া) সেই একজন আল্লাহর হারামের মধ্যে অবস্থান করছিল। জিজ্ঞেস করা হলো, সেই ব্যক্তিটি কে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)? তিনি বলেন, আবূ রাগাল। কিন্তু আবূ রাগাল যখন হারাম থেকে বের হয়ে আসে, তখন তাকে সেই আযাব পেয়ে বসলো, যা তার সম্প্রদায়কে পেয়েছিল।
(বুখারী, মুসলিম ও সুনান চতুষ্টয় প্রণেতাবৃন্দ।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله صالح عليه السلام
عن جابر (1) قال لما مر رسول الله صلى الله عليه وسلم بالحجر (2) قال لا تسألوا الآيات وقد سألها قوم صالح فكانت ترد (3) من هذا الفج وتصدر من هذا الفج فعتوا (4) عن أمر ربهم فعقروها فكانت تشرب ماءهم يوما ويشربون لبنها يوما فعقروها فأخذتهم صيحة أهمد الله عز وجل من تحت اديم السباء منهم (5) إلا رجلا واحدا كان فى حرم الله عز وجل، قيل من هو يا رسول الله. قال أبو رغال (6) فلما خرج من الحرم أصابه ما أصاب قومه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী সালিহ (আ)
(১৩) 'আম্মার ইবন ইয়াসির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও 'আলী (রা) গযওয়াতুল আশীরায় সহযোদ্ধা ছিলাম। অতঃপর তিনি একটি ঘটনা উল্লেখ করেন এবং তাতে তিনি এ কথাও উল্লেখ করেন যে, তাঁরা দু'জন মাটিতে ঘুমান। ঐদিনই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) 'আলীকে সম্বোধন করে বলেন, "ইয়া আবা তুরাব" (হে ধূলো-ধূসরিত!), যখন তিনি তার গায়ে মাটি দেখতে পান। রাসূল (ﷺ) আরো বলেন, আমি তোমাদেরকে সবচেয়ে পাষণ্ড দু'ব্যক্তির কথা কি বলবো না? আমরা বললাম জ্বি হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)। তিনি বললেন, (একজন) হচ্ছে, ছামুদের উহাইমির যে উষ্ট্রীকে হত্যা করেছিল এবং (দ্বিতীয়জন) হচ্ছে, হে 'আলী যে তোমাকে তোমার এই মাথায় আঘাত করবে এবং তাতে তোমার দাড়ি ভিজে যাবে।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি 'মানাকিবুস্ সাহাবা' অধ্যায়ে বর্ণিত হবে ইনশাআল্লাহ্।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله صالح عليه السلام
عن عمار بن ياسر (1) قال كنت أنا وعلى رفيقين فى غزوة ذات العشيرة فذكر نصة وذكر انهما ناما على التراب، قال فيومئذ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لعلى يا أبا تراب لما يرى عليه من التراب، قال ألا أحدثكما بأشقى الناس رجلين؟ قال قلنا بلى يا رسول الله، قال أحيمر ثمود الذى عقر الناقة والذى يضربك يا على على هذه يعنى قرنه حتى تبل منه هذه يعنى لحيته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী সালিহ (আ)
(১৪) 'আবদুল্লাহ ইব্‌ন যাম'আ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ভাষণ দেন এবং তাতে ছামূদের সেই উষ্ট্রীর উল্লেখ করেন এবং সেই উষ্ট্রীকে যে হত্যা করেছিল তার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, স্মরণ কর সেই ঘটনা-যখন তারা তাদের সবচেয়ে পাষণ্ড লোকটিকে উষ্ট্রী হত্যার জন্য পাঠিয়েছিল। সেই লোকটি ছিল দুষ্ট-চরিত্রহীন ও সম্প্রদায়ের ক্ষমতাশালী সর্দার, ইব্‌ন যাম'আর ন্যায় (বর্তমান হাদীসের রাবীও তাঁর সম্প্রদায়ে একজন অনুকরণীয় ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব)। অতপর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) মহিলাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং লোকজনকে মহিলাদের সম্পর্কে উপদেশ প্রদান করেন। আল-হাদীস...।
(এ হাদীসটি গরীব)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله صالح عليه السلام
عن عبد الله بن زمعة (2) قال خطب رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر الناقة وذكر الذى عقرها فقال اذا انبعث أشقاها لها رجل عارم (3) عزيز منيع فى رهطه مثل ابن زمعة ثم ذكر النساء فوعظهم فيهن الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর নবী সালিহ (আ)
(১৫) ইবনে 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ্জ পালনের সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন 'উসফান' উপত্যকা অতিক্রম করছিলেন, তখনতিনি বলেন, হে আবু বকর, আপনি কি জানেন, এটি কোন্ উপত্যকা? তিনি বলেন, উসফান উপত্যকা। রাসূল (ﷺ) বলেন, এই উপত্যকার উপর দিয়ে আল্লাহ্ নবী হুদ (আ) ও সালিহ (আ) বাইতুল্লাহর হজ পালনের উদ্দেশ্যে তালবিয়া পাঠ করতে করতে অগ্রসর হয়েছেন। তাঁরা লাল রংয়ের কমবয়সী উটে সওয়ার হয়ে, যার লাগাম ছিল খেজুর গাছের বাকলের, তাদের ইযার ছিল 'আবা' ও গায়ে ছিল ডোরাকাটা চাঁদর।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি পূর্বের পরিচ্ছেদের প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر نبى الله صالح عليه السلام
عن ابن عباس (5) قال لما مر النبى صلى الله عليه وسلم بوادى عسفان حين حج قال يا أبا بكر أى واد هذا؟ قال واد هذا؟ قال وادى عسفان قال لقد مر به هود وصالح على بكرات حمر حطمها الليف ازرهم العباء وأرديتهم النمار يلبون يحجون البيت العتيق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: তাবুকের যুদ্ধের বছর রাসূল (ﷺ) কর্তৃক ছামুদ সম্প্রদায়ের এলাকায় অবস্থিত আল- হিজর উপত্যকা পার হওয়া
(১৬) ইবন উমার (রা) থেকে নাফি' বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন তাবুকের যুদ্ধকালে লোকজন নিয়ে ছামূদ সম্প্রদায়ের লোকালয়ে 'আল-হিজর' উপত্যকায় উপনীত হলেন, তখন লোকজন ছামূদ সম্প্রদায়ের যেসব কূপ থেকে পানি পান করতো, সেই সব কূপ থেকে পানি পান করে। সেখানে তারা আটার খামির তৈয়ার করেন এবং গোশতের ডেকচি উনুনে চড়ান। তা দেখে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে ডেকচির গোস্ত ফেলে দিতে এবং আটার খামির উটকে খাইয়ে দিতে বললেন। তারা তাই করলেন। অতঃপর তাঁদের নিয়ে রাসূল (ﷺ) সেই কূপের কাছে অবতীর্ণ হন। যেখান থেকে সেই উষ্ট্রী পানি পান করতো। তিনি তাঁদেরকে শাস্তিপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের সীমানায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেন এবং বলেন, আমার ভয় হয়, তোমাদের উপর না সেই শাস্তি আপতিত হয়, যা তাদের উপর হয়েছিল। সুতরাং তোমরা তাদের সীমানায় প্রবেশ করো না।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب مرور النبى صلى الله عليه وسلم بوادى الحجر من أرض ثمود عام تبوك
عن نافع عن ابن عمر (6) قال لما نزل رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناس عام تبوك نزل بهم الحجر عند بيوت ثمود فاستقى الناس من الآبار التى كان يشرب منها ثمود فعجنوا منها ونصبوا القدور باللحم فأمرهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فأهراقوا القدور وعلقوا العجين الإبل ثم ارتحل بهم حتى نزل بهم على البتر التى كانت تشرب منها الناقة، ونهاهم ان يدخلوا على القوم الذين عذبوا، قال انى أخشى أن يصيبكم مثل ما أصابهم فلا تدخلوا عليهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: তাবুকের যুদ্ধের বছর রাসূল (ﷺ) কর্তৃক ছামুদ সম্প্রদায়ের এলাকায় অবস্থিত আল- হিজর উপত্যকা পার হওয়া
(১৭) সালিম ইব্‌ন আব্দুল্লাহ তাঁর পিতা (আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন আল-হিজর উপত্যকা অতিক্রম করেন, তখন (সাথীদের উদ্দেশ্যে) বলেন, ক্রন্দনরত অবস্থা ছাড়া তোমরা যালিমদের স্থানসমূহে প্রবেশ করো না; পাছে তোমাদেরকে পেয়ে বসে সেই শাস্তি, যা তাদেরকে পেয়েছিল এবং রাসূল (ﷺ) তাঁর বাহনে বসে চাঁদরে মুখ ঢেকে ঐ স্থান পাড়ি দেন। (অন্য বর্ণনায় এসেছে) যদি তোমরা ক্রন্দনরত হতে না পার, তবে তাদের সীমানায় প্রবেশ করবে না, পাছে তোমাদরেকেও সেই শান্তি পেয়ে বসে, যা তাদেরকে পেয়েছিল।
(ইবনে কাছীর হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন; এবং তিনি বলেছেন যে, এটি বুখারীতে আবদুল্লাহ্ ইব্‌নুল মুবারক থেকে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب مرور النبى صلى الله عليه وسلم بوادى الحجر من أرض ثمود عام تبوك
عن سالم بن عبد الله عن أبيه (7) أن النبى صلى الله عليه وسلم لما مر بالحجر قال لا تدخلوا أماكن الذين ظلموا إلا أن تكونوا باكين أن يصيبكم ما أصابهم وتقنع بردائه وهو على الرحل (زاد فى رواية) فان لم تكونوا باكين فلا تدخلو عليهم ان يصيبكم مثل ما أصابهم
হাদীস নং: ১৮
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: তাবুকের যুদ্ধের বছর রাসূল (ﷺ) কর্তৃক ছামুদ সম্প্রদায়ের এলাকায় অবস্থিত আল- হিজর উপত্যকা পার হওয়া
(১৮) মুহাম্মদ ইব্‌ন আবু কাবাশা আল-আনমারী তাঁর পিতার কাছ থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, তাবুক যুদ্ধের সময় (যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে) লোকজন 'আল-হিজর' উপত্যকাবাসীদের দিকে দ্রুত গমন করতে থাকে এবং তাদের সীমানায় প্রবেশ করতে থাকে। রাসূল (ﷺ) এ বিষয়টি জানতে পেরে লোকদেরকে এই মর্মে আহ্বান জানান যে, "সালাত (নামায) আরম্ভ হতে যাচ্ছে।" রাবী বলেন, আমি তখন রাসূলের (ﷺ) কাছে এসে দেখতে পাই, তিনি তাঁর উটকে থামিয়ে রেখেছেন এবং তিনি বলছিলেন, তোমরা আল্লাহর গযবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ে প্রবেশ করো না। তখন উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি বললো, আমরা সেই সম্প্রদায়ের কথা ভেবে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)। তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও বেশী আশ্চর্যজনক বিষয়ের কথা বলবো না? (আর তা হচ্ছে) তোমাদেরই মধ্যকার একজন লোক সংবাদ দিয়ে যাচ্ছেন তোমাদের পূর্ববর্তীদের সম্পর্কে এবং তোমাদের পরে যা ঘটবে সে সম্পর্কে। সুতরাং তোমরা সরল পথ ধারণ কর ও সঠিকভাবে চল। নিশ্চয় তোমাদের শাস্তি দিলে আল্লাহ্ তা'আলার কিছু যায় আসে না। অচিরে এমন সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে, যারা তাদের (আযাব থেকে) আত্মরক্ষায় কিছুই করতে পারবে না।
(ইবনে কাছীর তাঁর 'তারীখ'-এ উদ্ধৃত করেছেন।)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب مرور النبى صلى الله عليه وسلم بوادى الحجر من أرض ثمود عام تبوك
عن محمد أبى كبشة الانمارى عن أبيه (1) قال لما كان فى غزوة تبوك تسارع الى أهل الحجر يدخلون عليهم فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فنادى فى الناس الصلاة جامعة، قال فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو ممسك بعيره وهو يقول ما تدخلون على قوم غضب الله عليهم، فناداه رجل منهم تعجب منهم يا رسول الله، قال أفلا أنذركم بأعجب من ذلك؟ رجل من أنفسكم ينبئكم بما كان قبلكم وما هو كائن بعدكم فاستقيموا وسددوا فان الله عز وجل لا يعبأ بعذابكم شيئا، وسيأتى قوم لا يدفعون عن أنفسهم بشئ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর উল্লেখ ও তাঁর মর্যাদা
(১৯) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে "ইয়া খাইরাল বারিয়্যাহ” (হে পৃথিবীর মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি) বলে সম্বোধন করল। উত্তরে তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি হচ্ছেন, আমার পিতা ইব্রাহীম।
(বুখারী ও তিরমিযী)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر ابراهيم الخليل وفضله عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام
عن أنس (3) قال قال رجل النبى صلى الله عليه وسلم يا خير البرية فقال ذاك إبراهيم أبى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
নবীগণ (আ) সম্পর্কিত তথ্যাবলী অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর উল্লেখ ও তাঁর মর্যাদা
(২০) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক নবীর জন্য 'ওয়ালী' (অভিভাবক) থাকেন আর আমার ওয়ালী আমার পিতা ও আমার প্রভুর খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) ইব্রাহীম। এরপর রাসূল (ﷺ) পবিত্র কুরআনের এই আয়াত পাঠ করেন,
اِنَّ اَوۡلَی النَّاسِ بِاِبۡرٰہِیۡمَ لَلَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡہُ وَہٰذَا النَّبِیُّ وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ وَاللّٰہُ وَلِیُّ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
"ইবরাহীমের সাথে ঘনিষ্ঠতার সর্বাপেক্ষা বেশি হকদার লোক তারা, যারা তাঁর অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (অর্থাৎ শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং সেই সকল লোক, যারা ঈমান এনেছে। আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।" (আলে 'ইমরান: ৬৮)
كتاب أحاديث الأنبياء عليهم وعلى نبينا الصلاة والسلام
باب ذكر ابراهيم الخليل وفضله عليه وعلى نبينا الصلاة والسلام
عن عبد الله (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان لكل نبى ولاة وان وليي منهم أبى وخليل ربى ابراهيم قال ثم قرأ (أن أولى الناس بابراهيم) الخ الآية
tahqiq

তাহকীক: