মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়

(তাঁর সময়কার পরিবেশ-পরিস্থিতি, তাঁর যুদ্ধাভিযানসমূহ, তাঁর নিকট আসা প্রতিনিধিদল, তাঁর শারীরিক গঠন-বৈশিষ্ট্য, তাঁর মর্যাদা এবং ওফাত পর্যন্ত তাঁর জীবনালেখ্য।)
(গোটা বিষয়বস্তুকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।)

পরিচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বংশ-পরিচয় ও কুল মর্যাদা
(১) ওয়াছিলা ইব্‌নল আসকা' (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা ইসমাঈলকে (আ) ইব্রাহীমের (আ) বংশ থেকে চয়ন করেছেন, আর কিনানাকে চয়ন করেছেন ইসমাঈলের (আ) বংশ থেকে। কিনানার বংশধর থেকে কুরাইশকে চয়ন করেছেন; আর বনু হাশিমকে চয়ন করেছেন কুরাইশ থেকে। আর তিনি আমাকে চয়ন করেছেন বনু হাশিম থেকে।
(তিরমিযী, হাদীসটি সহীহ)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم

وذكر أيامه وغزواته وسراياه والوفود إليه وشمائله وفضائله إلى أن لحق بالرفيق الأعلى وهو ثلاثة أقسام (القسم الأول من ابتداء نسبه الشريف ومولده إلى هجرته من مكة إلى المدينة)

باب ذكر نسبة الشريف وطيبة أصله المنيف
عن وائلة بن الأسقع (1) أن النبي صلى الله عليه وسلم قال أن الله عز وجل أصطفى من ولد إبراهيم (1) إسماعيل واصطفى من بني إسماعيل كنانة (2) واصطفى من بني كنانة قريشًا (3) واصطفى من قريش بني هاشم (4) واصطفاني من بني هاشم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়

(তাঁর সময়কার পরিবেশ-পরিস্থিতি, তাঁর যুদ্ধাভিযানসমূহ, তাঁর নিকট আসা প্রতিনিধিদল, তাঁর শারীরিক গঠন-বৈশিষ্ট্য, তাঁর মর্যাদা এবং ওফাত পর্যন্ত তাঁর জীবনালেখ্য।)
(গোটা বিষয়বস্তুকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।)

পরিচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বংশ-পরিচয় ও কুল মর্যাদা
(২) আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী'আ ইবনল হারিছ ইব্‌ন 'আবদিল মুত্তালিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) আনসারগণের মধ্য থেকে একদল লোক রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাছে আগমন করেন এবং বলেন, আমরা আপনার কওম (বংশ) সম্পর্কে বিভিন্ন কথা শুনতে পাই। এমনকি তাদের মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তি এমনও বলে থাকে যে, মুহাম্মদের (ﷺ) উদাহরণ হচ্ছে এমন একটি খেজুর বৃক্ষ, যা নিম্নমানের মাটিতে জন্মেছে। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, হে লোকসকল, (তোমরা বল) আমি কে? তারা বললো, আপনি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। রাসূল (ﷺ) বলেন, আমি মুহাম্মদ ইব্‌ন আবদুল্লাহ ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব। (রাবী বলেন, ইতিপূর্বে আমরা তাঁকে এভাবে পরিচয় দিতে শুনিনি)। (জেনে রাখ) নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সৃষ্ট (মানুষ ও জ্বিন) সৃষ্টি করে আমাকে তাঁর উত্তম সৃষ্টভুক্ত (মানুষ) করেছেন। সেই সৃষ্টিকেও (মানুষকে) দুইভাগে বিভক্ত করেছেন এবং সর্বোত্তমভাগে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন (অর্থাৎ আরব করে পাঠিয়েছেন)। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা আরবদের মধ্যে বিভিন্ন গোত্র ও কবীলা সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে সর্বোত্তম কবীলায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এরপর তিনি কবীলার মধ্যে বিভিন্ন ঘরানা সৃষ্টি করেছেন এবং সেখানেও আমাকে সর্বোত্তম ঘরানা (বনু হাশিম) দান করেছেন। সুতরাং আমি তোমাদের মধ্যে (সমগ্র মানব সন্তানের মধ্যে) বংশ ও ঘরানার দিক থেকে এবং ব্যক্তি হিসেবে সর্বোত্তম।
(তিরমিযী)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم

وذكر أيامه وغزواته وسراياه والوفود إليه وشمائله وفضائله إلى أن لحق بالرفيق الأعلى وهو ثلاثة أقسام (القسم الأول من ابتداء نسبه الشريف ومولده إلى هجرته من مكة إلى المدينة)

باب ذكر نسبة الشريف وطيبة أصله المنيف
عن عبد المطلب بن ربيعة (6) بن الحارث بن عبد المطلب قال أتى ناس من الأنصار النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا إنا لنسمع من قومك حتى يقول القائل منهم إنما مثل محمد مثل نخلة نبتت في كباء (7) قال حسين الكبا، الكناسة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أيها الناس من أنا؟ قالوا أنت رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال أنا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب، قال فما سمعناه قط يلثمى قبلها (8) ألا أن الله عز وجل خلق خلقه (9) فجعلني من خير خلقه، ثم فرقهم فرقتين فجعلني من خير الفرقتين ثم جعلهم قبائل فجعلني من خيرهم قبيلة ثم جعلهم بيوتًا (1) فجعلني من خيرهم بيتا (2) وأنا خيركم بيتاً (3) وخيركم نفسًا (4) صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়

(তাঁর সময়কার পরিবেশ-পরিস্থিতি, তাঁর যুদ্ধাভিযানসমূহ, তাঁর নিকট আসা প্রতিনিধিদল, তাঁর শারীরিক গঠন-বৈশিষ্ট্য, তাঁর মর্যাদা এবং ওফাত পর্যন্ত তাঁর জীবনালেখ্য।)
(গোটা বিষয়বস্তুকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।)

পরিচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বংশ-পরিচয় ও কুল মর্যাদা
(৩) মুসলিম ইব্‌ন হাইদম বর্ণনা করেন আল-আশ'আছ ইব্‌ন কায়স থেকে, তিনি বলেন, আমি (একদা) একটি প্রতিনিধিদলের সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আগমন করি। প্রতিনিধি দলের লোকজন আমাকে তাদের মধ্যে বংশগত দিক দিয়ে সর্বোত্তম মনে করতো না। তখন আমি রাসূলকে (ﷺ) বললাম, আমরা মনে করে থাকি যে, আপনি আমাদের বংশোদ্ভূত। রাসূল (ﷺ) বললেন, আমরা হচ্ছি বনূ নযর বিন কিনানা, আমরা আমাদের জননীগণকে অভিযুক্ত করি না এবং পিতা ভিন্ন অন্য কারো পরিচয়ে পরিচিত হই না। রাবী বলেন, এরপর থেকে আশ'আছ বলতেন, যে ব্যক্তি কুরাইশকে নযর বিন কিনানা-এর অংশ মনে করে না-তাকে আমি মিথ্যারোপের অভিযোগে শান্তি দেব।
(ইবন মাজাহ, হাদীসটি গরীব।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم

وذكر أيامه وغزواته وسراياه والوفود إليه وشمائله وفضائله إلى أن لحق بالرفيق الأعلى وهو ثلاثة أقسام (القسم الأول من ابتداء نسبه الشريف ومولده إلى هجرته من مكة إلى المدينة)

باب ذكر نسبة الشريف وطيبة أصله المنيف
عن مسلم بن هيضم (5) عن الأشعث بن قيس قال أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم في وفد لا يرون أني أفضلهم، فقلت يا رسول الله أننا نزعم أنكم منا، قال نحن بنو النضر بن كنانة لا نقفوا أمنا (6) ولا نلتقي من أبينا (7) قال فكان الأشعث يقول لا أوتي برجل نفى قريشًا من النضر بن كنانة إلا جلدته الحد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলের (ﷺ) মর্যাদা এবং তাঁর সর্বশেষ নবী হওয়া প্রসংগ
(৪) আল-'ইরবায ইবন সারীয়াহ আস-সুলামী (রা) থেকে বর্ণত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (ﷺ) বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর নিকট রক্ষিত উম্মুল কিতাবে সেই সময়ও সর্বশেষ নবী, যখন আদম (আ) তাঁর মৃত্তিকায় নিপতিত (অর্থাৎ তখনও আদমের দেহে রূহ দেওয়া হয়নি)। এই কথার ব্যাখ্যা তোমাদের জানিয়ে দিচ্ছি। আমি ইব্রাহীম (আ) এর দোয়া, ঈসা (আ) কর্তৃক তাঁর কওমের প্রতি সুসংবাদ, এবং আমার জননীর স্বপ্ন-তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, তাঁর থেকে একটি আলোকরশ্মি বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ আলোকিত করে ফেলেছে। এমনিভাবে সব নবীর জননীগণ স্বপ্ন দেখেছিলেন।
(হাকিম; তিনি এটাকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في بعض فضائله صلى الله عليه وسلم وأنه خاتم النبيين لا نبي بعده
عن العرباض بن سارية (1) السلمى قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وسلم يقول إني عند الله في أم الكتاب لخاتم النبيين (2) وأن آدم لمنجدل في طينته (3) وسأنبئكم بتأويل ذلك دعوة أبي إبراهيم (4) وبشارة عيسى قومه (5) ورؤيا أمي التي رأت أنه خرج منها نور أضاءت له قصور الشام، وكذلك ترى أمهات النبيين صلوات الله عليهم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলের (ﷺ) মর্যাদা এবং তাঁর সর্বশেষ নবী হওয়া প্রসংগ
(৫) আবদুল্লাহ ইব্‌ন শাক্বীক বর্ণনা করেছেন- মায়সারা আল-ফজর থেকে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কখন নবী ছিলেন, অথবা কখন আপনাকে নবী বানানো হয়? রাসূল (ﷺ) বলেন, সেই আদিতে যখন আদম (আ) ছিলেন শরীর ও আত্মার মধ্যবর্তী অবস্থায়।
(হায়ছামী; তাবারানী)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في بعض فضائله صلى الله عليه وسلم وأنه خاتم النبيين لا نبي بعده
عن عبد الله بن شقيق (6) عن ميسرة الفجر قال قلت يا رسول الله متى كنت (وفي لفظ جعلت) نبيا؟ قال وآدم عليه السلام بين الروح والجسد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলের (ﷺ) মর্যাদা এবং তাঁর সর্বশেষ নবী হওয়া প্রসংগ
(৬) হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে রয়েছে সাতাশজন মিথ্যাবাদী ও ধোঁকাবাজ। এদের মধ্যে চারজন স্ত্রীলোক। আমি হচ্ছি সর্বশেষ নবী, আমার পরে কোন নবী নেই।
(হাইছামী, তাবারানী ও বাযযার)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في بعض فضائله صلى الله عليه وسلم وأنه خاتم النبيين لا نبي بعده
عن حذيفة (خط) (7) أن نبي الله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وصحبه وسلم قال في أمتي كذابون (1) ودجالون سبعة وعشرون منهم منهم أربع ونسوة وأني خاتم النبيين لانبي بعدي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলের (ﷺ) মর্যাদা এবং তাঁর সর্বশেষ নবী হওয়া প্রসংগ
(৭) আবূ সা'ঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আমি কিয়ামত দিবসে বনূ আদমের সর্দার আর এতে আমার কোন অহঙ্কার নেই; কিয়ামতের দিবসে সর্বপ্রথম আমার উপর থেকেই মাটি বিদীর্ণ করা হবে (উত্থিত করা হবে) আর এতে আমার কোন অহংকার নেই; এবং আমিই কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম শাফা'আতকারী আর এতেও আমার কোন অহঙ্কার নেই।
(তিরমিযী ও ইবন মাজাহ। ইমাম তিরমিযীর মতে হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في بعض فضائله صلى الله عليه وسلم وأنه خاتم النبيين لا نبي بعده
عن أبي سعيد (3) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أنا سيد ولد آدم يوم القيامة ولا فخر (4) وأنا أول من تشق عنه الأرض (5) يوم القيامة ولا فخر (6) وأنا أول شافع يوم القيامة (7) ولا فخر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলের (ﷺ) মর্যাদা এবং তাঁর সর্বশেষ নবী হওয়া প্রসংগ
(৮) উবাই ইবন কা'ব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন আমি হবো নবীগণের (আ) ইমাম, খতীব (অন্য কাউকে কথা বলার অধিকার দেওয়া হবে না) এবং তাঁদের শাফায়াতকারী আর এতে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
(তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও মালিক।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في بعض فضائله صلى الله عليه وسلم وأنه خاتم النبيين لا نبي بعده
عن أبي بن كعب (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وصحبه وسلم إذا كان يوم القيامة (9) كنت إمام النبيين وخطيبهم (10) وصاحب شفاعتهم (11) ولا فخر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কতিপয় মোবারক নাম এবং তিনিই নবীগণের (আ) মধ্যে সর্বপ্রথম, সর্বশেষ ও সর্বোত্তম
(৯) মুহাম্মদ ইবন্ জুবাইর ইবন মুত'য়িম (রা) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমার কয়েকটি নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ; আমি আহমদ; আমি হাশির। আমার পায়ের কাছে মানুষকে একত্রিত করা হবে এবং আমি মাহী, আমার দ্বারাই কুফরকে মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং আমি আল আখির (সর্বশেষ) অর্থাৎ যার পরে আর কোন নবী নেই।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ذكر بعض أسمائه الشريفة وأنه أول النبيين وآخرهم وأفضلهم
عن محمد بن جبير بن طعم (1) عن أبيه عن النبي صلى الله علية وعلى آله وصحبه أجمعين وصحبه وسلم قال أن لي أسماء (1) أنا محمد وأنا أحمد وأنا الحاشرالذي يحشر الناس على قدمى، أنا المحاي الذي يمحي به الكفر (2) وأنا العاقب والعاقب الذي ليس بعده (نبي)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কতিপয় মোবারক নাম এবং তিনিই নবীগণের (আ) মধ্যে সর্বপ্রথম, সর্বশেষ ও সর্বোত্তম
(১০) আবূ মূসা আল আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাঁর নিজের কতিপয় নাম বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে আমরা কয়টি মুখস্থ রেখেছি। তিনি বলেছিলেন আমি মুহাম্মদ, আহমদ, আল-মুকফফী, আল-হাশির ও নবী য়্যুর রহমাহ। ইয়াযীদ বলেন এবং নবী য়্যুত তাওবা ও নবী-য়্যুল-মালহামা।
(মুসলিম)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ذكر بعض أسمائه الشريفة وأنه أول النبيين وآخرهم وأفضلهم
عن أبي موسى الأِعري (3) قال سمى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم نفسه أسماء، ومنها ما حفظنا فقال أنا محمد وأمحمد والمقفي (4) والحاشر ونبي الرحمة (5) قال يزيد (6) ونبي التوبة ونبي الملحمة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কতিপয় মোবারক নাম এবং তিনিই নবীগণের (আ) মধ্যে সর্বপ্রথম, সর্বশেষ ও সর্বোত্তম
(১১) হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি মদীনার রাস্তায় হাঁটছিলাম, এমন সময় আমি আল্লাহর রাসূলকে (ﷺ) যেতে দেখলাম এবং শুনতে পেলাম তিনি বলছেন- আমি মুহাম্মাদ। আমি আহমদ, নবী-য়্যুর রহমাহ, নবী য়্যুত্‌ তাওবাহ, আল-হাশির, আল-মুকফফী ও নবী য়্যুল মালাহিম।
(হাইছামী, বায়হাকী)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ذكر بعض أسمائه الشريفة وأنه أول النبيين وآخرهم وأفضلهم
عن حذيفة (7) قال بينما أنا أمشي في طريق المدينة أذا رسول الله صلى الله عليه وسلم يمشي فسمعته يقول أنا محمد وأنا أحمد ونبي الرحمة ونبي التوبة والحاشر والمقفي ونبي الملاحم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্ম
(১২) ইব্‌ন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) জন্মগ্রহণ করেন সোমবার, নবুয়তপ্রাপ্ত হয়েছেন সোমবার, ওফাত পেয়েছেন সোমবার, মক্কা থেকে মদীনার উদ্দেশ্যে বের হন সোমবার এবং হাজরুল আসওয়াদ উত্তোলন করেন সোমবার।
(হাইছামী, আহমদ ও তাবারানী।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في ذكر مولده صلى الله عليه وسلم
عن ابن عباس (1) قال ولد النبي صلى الله عليه وسلم يوم الاثنين واستنبئ يوم الاثنين، وتوفى يوم الاثنين، وخرج مهاجرًا من مكة إلى المدينة يوم الاثنين، وقدم المدينة يوم الاثنين، ورفع الحجر الأسود (2) يوم الاثنين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্ম
(১৩) আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ (ﷺ) আপনার সূচনার বিষয়টি কীরূপ? তিনি বলেন, (আমি) আমার পিতা ইব্রাহীমের (আ) দোয়া, ঈসার (আ) সুসংবাদ এবং আমার জননীর স্বপ্নে দেখা আলোকরশ্মি, যদ্বারা সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গিয়েছিল।
(হাইছামী ও তাবারানী, এর সনদ হাসান)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في ذكر مولده صلى الله عليه وسلم
عن أبي أمامة (3) قال قلت يا نبي الله كان كان أول بدء أمرك؟ قال دعوة أبي إبراهيم، وبشرى عيسى، ورأت أمي نورًا أضاءت منها قصور الشام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্ম
(১৪) কায়স ইব্‌ন মাখরামা ইব্‌ন আবদিল মুত্তালিব ইব্‌ন আবদ মানাফ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) হস্তি-বর্ষে (আমূল ফীল) জন্মগ্রহণ করেছি। সুতরাং আমরা দু'জন সমবয়সী একই বছরের জাতক। (ইবন ইসহাক। সনদ উত্তম।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في ذكر مولده صلى الله عليه وسلم
عن قيس بن مخرمة بن المطلب (1) بن عبد مناف قال ولدت أنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى آله وصحبه وسلم عام الفيل فنحن لدان (2) ولدنا مولدًا واحدًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দুগ্ধপান ও দুধ মা, লালন-পালনকারিনীগণ
(১৫) উম্মু সালামা (রা) থেকে যয়নব বিনতু আবী সালামা বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উম্মু হাবীবা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমার বোনের ব্যাপারে আপনার কোন আগ্রহ আছে কি? রাসূল (ﷺ) বলেন, তার বিষয়ে কী করতে চাও? তিনি বলেন, আপনি তাঁকে বিয়ে করুন। রাসূল (ﷺ) বললেন, তাই কি তুমি চাও? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ, আমি আপনার একজন মাত্র পত্নী নই আর আমার বোনই আমার সাথে কোন মঙ্গলে শরীক হওয়ার বেশী হকদার। তখন রাসূল (ﷺ) তাঁকে বললেন, সে (তোমার বোন) আমার জন্য হালাল নয়। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি জানতে পেরেছি যে, আপনি উম্মে সালামার কন্যা দুররা বিনতে আবী সালামাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চাচ্ছেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, সে যদি (এদিক থেকে) আমার জন্য হালাল হতও, তবুও আমি তাকে বিয়ে করতে পারতাম না। কারণ বনু হাশিমের দাসী ছুয়াইবা আমাকে এবং তার (দুররার) পিতাকে দুগ্ধ পান করিয়েছেন। সুতরাং তোমরা কখনো তোমাদের ভগ্নি ও তোমার কন্যাদেরকে আমার জন্য প্রস্তাব করবে না।
(বুখারী, মুসলিম ও শাফি'য়ী। হাদীসটি সহীহ।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في ذكر رضاعه صلى الله عليه وسلم ومراضعه وحواضنه
عن زينب بنت أبي سلمة (3) عن أم سلمة قالت جاءت أم حبيبة فقالت يا رسول الله هل لك في أختى، قال فاصنع بها ماذا؟ قالت تزوجها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وتحبين ذلك؟ فقال نعم لست لك بمخلية وأحق من شر كنى في خيرٍ أختي، فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم أنها لا تحل لي، قالت فوالله لقد بلغني أنك تخطب درة أبنة أم سلمة بنت أبي سلمة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأياها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن على أخواتكن ولا بناتكن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূল (ﷺ) কর্তৃক হালিমা সা'দিয়্যা (রা)-এর দুগ্ধপান এবং তাঁর থেকে শৈশবে নবুয়তের আলামত প্রকাশ পাওয়া
১৬. 'উতবা ইব্‌ন আব্দ আস্ সুলামী (রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহকে (ﷺ) জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আপনার শৈশবের অবস্থা কীরূপ ছিল? উত্তরে তিনি বলেন, আমার দুগ্ধমাতা ছিলেন বনূ সা'দ ইব্‌ন বাকর গোত্রীয়। একদা আমি ও তাঁর (দুগ্ধমাতার) ছেলে বকরী চরাতে গেলাম। কিন্তু আমরা সাথে খাবার সামগ্রী নিয়ে যাইনি। আমি বললাম, ভাই তুমি আমাদের মায়ের কাছ থেকে খাবার নিয়ে আস। আমার সেই ভাইটি চলে গেল। আমি (একা) ছাগপালের কাছে রয়ে গেলাম। এমন সময় দু'টি সাদা পাখি উড়ে এল। পাখি দু'টি বাজপাখির ন্যায়। একটি পাখি (ফেরেস্তা) তার সাথীকে বললো, এই কি সে? অতঃপর তাঁরা দু'জন দ্রুত আমার কাছে এল, আমাকে নিয়ে চিৎ করে শুইয়ে দিল এবং আমার পেট ফেঁড়ে ফেলল। এরপর আমার হৃদপিণ্ড বের করে আনল এবং তা ফেঁড়ে সেখান থেকে দু'টি কালো রক্তপিণ্ড বের করে ফেলল। তখন একজন অপরজনকে বলল, বরফপানি এনে দাও। তখন তাঁরা সেই বরফ-পানি দিয়ে আমার পেট ধৌত করল। এরপর একজন বলল, ঠাণ্ডা পানি এনে দাও। এরপর তাঁরা আমার হৃৎপিণ্ড সেই পানি দিয়ে ধৌত করল। এরপর একজন বললেন, প্রশান্তি নিয়ে আস। অতঃপর সেই প্রশান্তি আমার অন্তরে ঢেলে দিল। এরপর একজন অন্যজনকে বলল, সেলাই কর, তারপর তা সেলাই করে তার উপর নবুয়তের সীলমোহর মেরে দিল।

হাদীসের রাবী হাইওয়াহ (র) তাঁর হাদীসে বলেন, সেলাই কর, তখন সে সেলাই করল এবং তার উপর নবুয়তের সীল মেরে দিল। এরপর একজন অপরজনকে বলল, এঁকে এক পাল্লায় রাখ এবং তাঁর উম্মতের এক হাজার জনকে অপর পাল্লায় রাখ। ঐ সময় আমি আমার উপর সেই এক হাজার জনের প্রতি দৃষ্টিপাত করলাম। আমার ভয় হচ্ছিল যে, তাদের মধ্য থেকে কেউ না আমার উপর পড়ে যায়! বললেন, যদি এঁর সমগ্র উম্মতকেও তাঁর সাথে পরিমাপ করা হয়, তবুও ইনিই ভারি হবেন। এরপর তাঁরা চলে গেল এবং আমাকে ছেড়ে দিল। আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। এরপর আমার মায়ের কাছে উপস্থিত হয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। তিনি (ঘটনা শুনে) ঘাবড়ে গেলেন এবং আমার উপর জিনের আছর করার আশংকা করলেন এবং আল্লাহর কাছে আমার নিরাপত্তা প্রার্থনা করলেন। তারপর তিনি বাহক উট প্রস্তুত করলেন এবং আমাকে তাতে উঠালেন। অন্যতম রাবী ইয়াযীদ বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বাহনে উঠালেন, আমি তাঁর পেছনে বসলাম এবং আমার জননীর কাছে পৌঁছে গেলাম। আমার দুধ মা বললেন, আমি কি আমার আমানত ও যিম্মা আদায় করলাম? তিনি আমার মা'কে আমার সেই ঘটনার কথাও উল্লেখ করলেন। কিন্তু মা এতে ভীত হলেন না। তিনি (বরং) বললেন, আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম যে, আমার ভিতর থেকে একটি জ্যোতি বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ আলোকিত করে দিয়েছে।
(হাইছামী, আহমদ, তাবারানী।)
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ذكر رضاعة صلى الله عليه وسلم من حليمة السعدية وما ظهر عليه من آيات النبوة
عن عتبة بن عبد السلمى (4) أن رجلًا سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال كيف كان أول شأنك يا رسول الله؟ قال كانت حاضتي من بني سعد بن كعب فانطلقت أنا وأبن لها في سهم (1) لنا ولم نأخذ معنا زادا، فقلت يا أخي أذهب فأتنا بزاد من عندنا أمنا، فانطلق أخي ومكثت عند البهم فأقبل طيران ابيضان كأنهما نسران (2) فقال أحدهما لصاحبه أهو هو: قال فاقبلا يبتدراني فأخذاني فبطحاني إلى القفا (3) فشقا بطني ثم استخرجا قلبي، فشقاه فاخرجا منه علقتين سوداوين (4) فقال أحدهما لصاحبه أئتني بما ثلج (5) فغسلا به جوفي ثم قال ائتني بماء برد (6) فغسلا به قلبي ثم قال أئتني بالسكينة (7) فذارها في قلبي، ثم قال أحدهما لصاحبه حصة (8) فحاصه وختم عليه بخاتم النبوة: وقال حيوة (9) في حديثه حصة فحصه واختم عليه بخاتم النبوة (10) فقال أحدهما لصاحبه أجعله في كفه واجعل الفا من أمته في كفة، فإذا أنا أنظر إلى الألف فوقي أشفق أن يخر على بعضهم فقال لو أن أمته وزنت به لمال بهم، ثم انطلقا وتركاني، وفرقت فرفا (1) شديدًا، ثم انطلقت إلى أمي فأخربتها بالذي فأشفقت علي أن يكون البس بي (2) قالت أعيذك بالله فرحلت بعيرًا لها فجعلتني وقال يزيد (3) فحملتني على الرحل وركبت خلفي حتى بلغنا إلى أمي، فقالت أو أديت أمانتي وذمتي؟ وحدثتها بالذي لقيت فلم يروعها ذلك (4) فقال أني رأيت خرج من نور أضاءت منه قصور الشام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূল (ﷺ) কর্তৃক হালিমা সা'দিয়্যা (রা)-এর দুগ্ধপান এবং তাঁর থেকে শৈশবে নবুয়তের আলামত প্রকাশ পাওয়া
(১৭) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শৈশবে শিশু-কিশোরদের সাথে খেলা করতেন। (একদা) জনৈক আগন্তুক তাঁর কাছে এসে তাঁকে ধরে তাঁর পেট ফেঁড়ে ফেলল এবং সেখান থেকে জমাট রক্তপিণ্ড বের করে ছুড়ে ফেলে দিল এবং বলল এটি হচ্ছে আপনার মধ্যে শয়তানের অংশ। অতঃপর স্বর্ণের পাত্রে যমযমের পানি দিয়ে তা ধৌত করল। অতঃপর খেলার সাথীরা তাঁর দুগ্ধমাতার নিকট সংবাদ দিল মুহাম্মদ নিহত হয়েছেন। মুহাম্মদ নিহত হয়েছেন। অতঃপর তাঁর মা রাসূলের (ﷺ) সম্মুখে এলেন এবং দেখতে পেলেন মুহাম্মদ (ﷺ)-এর গায়ের রং ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। আনাস (রা) বলেন, আমরা তাঁর বুকে সেলাইর দাগ দেখতে পেতাম।
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ذكر رضاعة صلى الله عليه وسلم من حليمة السعدية وما ظهر عليه من آيات النبوة
عن ثابت عن أنس (6) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يلعب مع الصبيان فأتاه آت فأخذه فشق بطنه فاستخرج منه علقة فرمى بها وقال هذه نصيب الشيطان منك، ثم غسله في طست من ذهب من ماء زمزم (7) ثم لأمه فاقبل الصبيان إلى ظهئره (8) قتل محمد قتل محمد فاستقبلت رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد انتقع لونه، قال أنس فلقد كنا نرى أثر المخيط في صدره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহর (ﷺ) শৈশবে ছাগল চড়ানো এবং আল্লাহ্ কর্তৃক তাঁকে জাহেলিয়াতের পাপ-পঙ্কিলতা থেকে সুরক্ষা
(১৮) জাবির ইবন 'আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে আরাক গাছের ফল পাড়ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমরা কালো দেখে দেখে পাড়বে। কারণ, তাই বেশী সুস্বাদু। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আপনি কি ছাগল চড়াতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! প্রত্যেক নবীই (আ) ছাগল চড়িয়েছেন।
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في أنه صلى الله عليه وسلم كان يرعى الغنم في صغره وحفظ الله له وحياطته وصيانته من أقذار الجاهلية
من جابر بن عبدالله (1) قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم نجتني الكباث فقال عليكم بالأسود منه فأنه أطيبه، قال قلنا وكنت ترعى الغنم يارسول الله؟ قال نعم وهل من نبي إلا قد رعاها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: রাসূলুল্লাহর (ﷺ) শৈশবে ছাগল চড়ানো এবং আল্লাহ্ কর্তৃক তাঁকে জাহেলিয়াতের পাপ-পঙ্কিলতা থেকে সুরক্ষা
(১৯) আবূ সা'ঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উটের মালিক আর ছাগলের মালিক রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিকট গৌরব করছিল। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, গৌরব ও অহংকার রয়েছে উটের মালিকদের মধ্যে; আর প্রশান্তি ও ধৈর্য রয়েছে ছাগলের মালিকদের মধ্যে। রাসূল (ﷺ) আরও বলেন, মুসাকে (আ) নবুওয়াত দান করা হয়, আর তিনি তাঁর পরিবারের ছাগল চড়িয়েছেন। আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছে আর আমিও জিয়াদ নামক স্থানে আমার গোত্রের ছাগল চড়িয়েছি।
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في أنه صلى الله عليه وسلم كان يرعى الغنم في صغره وحفظ الله له وحياطته وصيانته من أقذار الجاهلية
عن أبى سعيد الخدري قال افتخر أهل الأبل والغنم عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم الفخر والخيلاء في أهل الأبل، والسكينة والوقار في أهل الغنم، وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث موسى عليه السلام وهو يرعى غنما على أهله، وبعثت أنا وأنا أرعى غنمًا لأهل بجياد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবনচরিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : দশ বছর কয়েকমাস বয়সে দ্বিতীয়বার রাসূলের (ﷺ) বক্ষ বিদারণ
(২০) উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ হুরাইরা (রা) এমন সব বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাছে জিজ্ঞেস করার ব্যাপারে অধিক উৎসাহী ছিলেন, যা (তিনি ভিন্ন) অন্য কেউ জিজ্ঞেস করত না। (একদা) তিনি জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, নবুয়ত (প্রাপ্তি) বিষয়ে সর্বপ্রথম আপনি কী দেখতে পান? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সোঁজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, আবূ হুরাইরা তুমি (এ বিষযে) প্রশ্ন করছ! (শোন তবে) আমার বয়স তখন দশ বছর কয়েক মাস। (একদা একসময়) আমি উন্মুক্ত মাঠে ছিলাম। হঠাৎ আমার মাথার উপর কথাবার্তার আওয়াজ শুনতে পেলাম। জনৈক ব্যক্তি অপর একজনকে বলেছেন- ইনিই কি তিনি? প্রথম জন বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তাঁরা দুজন আমার কাছে এগিয়ে আসলেন; তাঁদের চেহারা এমন, যা আমি অন্যকোন সৃষ্টিতে কখনও দেখিনি এবং তাঁদের আত্মার প্রকৃতি এরূপ, যা আমি অন্য কোন সৃষ্টিতে কখনও পাইনি। তাঁদের পরিধেয় বস্ত্র এইরূপ, যা আমি অন্য কাউকে কখনও পরতে দেখিনি। তাঁরা দুজন পায়ে হেঁটে আমার কাছে এলেন এবং আমার বাহু ধরলেন, কিন্তু আমি তাদের এই পাকড়াও অনুভব করতে পারিনি। তখন একজন অপরজনকে বললেন, শুইয়ে দাও। অতঃপর তারা দুজন মিলে আমাকে শুইয়ে দিলেন কোনরূপ জোর-জবরদস্তি ও কষ্ট প্রদান ব্যতিরেকে। এবার একজন অপরজনকে বললেন, এঁর বক্ষ বিদারণ কর। সেমতে (তাঁদের দু'জনের মধ্যে একজন) আমার বক্ষে মনোযোগী হল এবং রক্তপাত বা ব্যথা দেওয়া ব্যতিরেকেই তা চিরে ফেলল। প্রথমজন বললেন হিংসা-দ্বেষ বা পরশ্রীকাতরতা বের করে ফেল। তখন তিনি (দ্বিতীয় জন) রক্তপিণ্ডের ন্যায় একটি বস্তু (আমার বক্ষ থেকে) বের করে দূরে নিক্ষেপ করলেন। প্রথমজন বললেন, বিনয় ও দয়া-মায়া প্রবেশ করাও। অতঃপর তিনি রৌপ্যপিণ্ডের ন্যায় একটি বস্তু সেখানে (আমার বক্ষে) ঢুকালেন। এরপর আমার ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরে টান দিয়ে বলেন, প্রস্থান কর এবং নিরাপদে থাক। আমি (অতঃপর) তাই নিয়ে প্রত্যাবর্তন করি এবং তখন থেকেই ছোটদের স্নেহ এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি দয়া অনুভব করতে থাকি।
كتاب سيرة أول النبيين وخاتم المرسلين نبينا محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم
باب شق صدره الشريف للمرة الثانية وهو ابن عشر سنين واشهر
عن أبى بن كعب (1) أن أبا هريرة رضي الله عنه كان جريئًا على أن يسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن أشياء لا يسأله عنهما غيره، فقال يارسول الله ما أول ما رأيت في أمر النبوة؟ فاستوى رسول الله صلى الله عليه وسلم جالسًا وقال لقد سألت أبا هريرة (2)، أنى لفي صحراء ابن عشر سنين وأشهر (3) وإذا بكلام فوق برأسي وإذا رجل يقول لرجل أهو هو؟ قال نعم، فاستقبلاني بوجوه لم أراها لخلق قط وأرواح لم أجدها من خلق قط، وثياب لم أراها على أحد قط، فأقبلا الى يمشيان حتى أخذ كل واحد منهما بعضدى لا أجد لأحدهما مسًا، فقال أحدهما لصاحبه أضجمه فأضجماني بلا قصر (1) ولا هصر وقال أحدهما لصاحبه افلق صدره، فهوى أحدهما إلى صدري ففلقها فيما أرى بلا دم ولا وجع، فقال له أخرج الغل والحسد فأخرج شيئًا كهيئة العلقة ثم نبذها فطرحها، فقال له أدخل الرأفة والرحمة: فإذا مثل الذي أخرج يشبه الفضة، ثم هز ابهام الرجل اليمنى فقال اغد واسلم، فرجعت بها أغدو رقة على الصغير ورحمة للكبير
tahqiq

তাহকীক: