মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
অধ্যায় : সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব

পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
১। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে সত্তার হাতে আমার আত্মা তার শপথ। নিশ্চয় তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না; যাবত না তোমরা ঈমানদার হবে, আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না; যাবত না তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে। এরপর তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কথা বলব, যা করলে তোমার মধ্যে ভালবাসার সৃষ্টি হবে? তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালাম প্রচলন করবে। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى

باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن أبى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذى نفسى بيده لا تدخلون الجنة حتى تؤمنوا (2) ولا تؤمنوا حتى تحابوا، ثم قال هل أدلكم على شيء اذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
২। নাফি' (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সালাম প্রচলন কর, (অভুক্তকে) খাবার দাও এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা একে অপরের ভাই হয়ে যাও। (ইবন মাজাহ)
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن نافع ان ابن عمر كان يقول أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أفشوا السلام وأطعموا الطعام (5) وكونوا اخوانا كما أمركم الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
৩। বারা ইবন 'আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সালাম প্রচলন কর, তবে তোমরা নিরাপদে থাকবে। (সালাম প্রদানের ক্ষেত্রে কাউকে) অগ্রাধিকার দেওয়া অহিতকর। (ইবন হিব্বান, আবু ইয়া'লা, বায়হাকী)
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن البراء بن عازب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أفشوا السلام تسلموا (8) والأثرة أشر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
৪। আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় আসেন, তখন লোকেরা তার দিকে দ্রুত ছুটে গেল। যারা দ্রুত ছুটে গিয়েছিল আমি তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। যখন আমি তার মুখমণ্ডলের দিকে দৃষ্টিপাত করলাম, তখন চিনতে পারলাম যে, তার মুখমণ্ডল কোন মিথ্যাবাদীর মুখমণ্ডল নয়। আমি সর্বপ্রথম তাকে যে কথা বলতে শুনেছি সেটা হল, তোমরা সালাম প্রচলন কর, (অভুক্তকে) আহার্য দাও। আত্মীয়তের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখ আর যখন লোকেরা নিদ্রামগ্ন থাকে তখন সালাত আদায় কর, তা হলে তোমরা নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযী, ইবন মাজাহ, দারেমী) তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি সহীহ।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن عبد الله بن سلام قال لما قدم النبي صلى الله عليه وسلم (يعنى المدينة) انجفل الناس عليه (2) فكنت فيمن انجفل، فلما تبينت وجهه عرفت أن وجهه ليس بوجه كذاب (3) فكان أول شيء سمعته يقول أفشوا السلام (4) وأطعموا الطعام (5) وصلوا الأرحام، وصلوا والناس نيام (6) تدخلوا الجنة بسلام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
৫। যুবায়র ইবন 'আওয়াম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে পূর্ববর্তী উম্মতের ব্যাধি অনুপ্রবেশ করেছে। অর্থাৎ হিংসা, শত্রুতা। এগুলো মুন্ডনকারী অর্থাৎ দীন মুন্ডন তথা ধ্বংসকারী। চুল মুন্ডনকারী নয়। যে সত্তার হাতে মুহাম্মদের আত্মা তার শপথ। তোমরা ঈমানদার হবে না; যাবত না তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন জিনিস সম্বন্ধে জানাব না, যা পালন করলে তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে? তোমরা পরস্পরে সালাম প্রচলন কর।
দ্বিতীয় সূত্রে তার থেকে বর্ণিত। তোমরা জান্নাতে যেতে পারবে না; যাবত না তোমরা ঈমানদার হবে। আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না; যাবত না তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে।
হাদীসটি হাফিয সুয়ূতী (র) জামিস' সাগীর গ্রন্থে বর্ণনা করে বলেছেন যে, এটা আহমাদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। এবং তিনি এটাকে সহীহ বলেছেন।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن الزبير بن العوام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم دب اليكم (9) داء الأمم قبلكم (10) الحسد والبغضاء هي الحالقة حالقة الدين (11) لا حالقة الشعر والذى نفس محمد بيده (12) لا تؤمنوا حتى تحابوا (13) أفلا أنبئكم بشئ إذ فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم (14) (وعنه من طريق ثان وفيه) (15) لا تدخلوا (16) الجنة حتى تؤمنوا، ولا تؤمنوا حتى تحابوا الخ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
৬। মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সালাম হল, জান্নাতবাসীদের অভিবাদন।
হাদীসটি নবী (ﷺ) এর বিনয় অনুচ্ছেদে বিস্তারিত বর্ণিত হবে।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن معاذ بن جبل أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال السلام تحية أهل الجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দান, সালামের মর্যাদা ও তা ছেড়ে দেওয়ার নিন্দা।
৭। আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রারম্ভে সালাম দেয় সে আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ) এর সর্বাধিক নিকটতম। (আবু দাউদ, তিরমিযী) তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب الحث على السلام وفضله وكراهة تركه
عن أبى أمامة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من بدأ بالسلام فهو أولى بالله عز وجل ورسوله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: ব্যাপকভাবে সালাম প্রচলন মুস্তাহাব এবং শুধু পরিচিত লোকদেরকে সালাম দেওয়া মাকরূহ।
৮। আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মসজিদে সালাতের ইকামত হলে আমরা আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর সঙ্গে (সালাত আদায়ের জন্য) আসলাম। লোকেরা রুকু করলে আবদুল্লাহ (রা) রুকু করলেন এবং আমরাও অগ্রসর হয়ে তার সঙ্গে রুকু করলাম। এক ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে বলল, السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর আবদুল্লাহ রুকুরত অবস্থায় বললেন, صَدّق اللهُ وَرَسُوله (আল্লাহ ও তার রাসূল সত্যই বলেছেন)। সালাত শেষ হলে একলোক তাকে জিজ্ঞাসা করল, যখন লোকটি আপনাকে সালাম দিল তখন কেন আপনি বললেন যে, صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ (আল্লাহ ও তার রাসূল সত্য বলেছেন)? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের একটি নিদর্শন হল, সালাম শুধু পরিচিতজনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।
(দ্বিতীয় সূত্রে) সাইয়ার (র) তারিক ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমরা আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় একলোক এসে বলল। সালাত আদায়ের জন্য ইকামত হয়েছে। তখন তিনি উঠলেন এবং আমরাও উঠলাম। মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম যে, লোকেরা মসজিদের সম্মুখভাবে রুকুরত আছে। তিনি তাকবীর বলে রুকু করলেন এবং আমরাও তার সঙ্গে রুকু করলাম। তারপর তিনি যেরূপ করলেন, সেরূপ আমরাও করলাম। সে সময় এক লোক দ্রুত এসে বলল, عَلَيْكَ السَّلَامُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ (বর্ণনাকারী বলেন,) তখন তিনি صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ (আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ) সত্য বলেছেন।) যখন আমরা সালাত আদায় করে ফিরে এলাম তখন তিনি নিজ পরিবারের নিকট চলে গেলেন। তারপর আমাদের মধ্যে একজন অপরজনকে বলতে লাগল, তিনি লোকটিকে صَدَقَ اللهُ رَسُلُهُ (আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তার রাসূলগণ যথাযথভাবে পৌছিয়েছেন।) বলে যে জবাব দিয়েছেন তোমরা কি তা শুনতে পাও নি? তোমাদের মধ্যে কে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবে? তখন তারিক (র) বললেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করব। তারপর তিনি (ঘর হতে) বেরিয়ে এসে নবী (ﷺ) সূত্রে বললেন যে, নিশ্চয় কিয়ামতের পূর্বে শুধু বিশেষ লোকদেরকে সালাম দেওয়া হবে, ব্যবসা-বানিজ্য প্রসার ঘটবে, এমনকি নারী তার স্বামীকে ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া হবে, সত্য সাক্ষ্য গোপন করা হবে এবং কলম-চর্চা অধিক পরিমাণে হবে।
(হাকিম)
হাদীসটি হায়সামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বাযযায ও তবারানী বর্ণনা করেছেন। আহমাদ ও বাযযাযের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب في استحباب تعميم السلام وكراهة تخصيصه بمن يعرف
عن الاسود بن يزيد قال اقيمت الصلاة في المسجد فجئنا نمشى مع عبد الله بن مسعود فلما ركع الناس ركع عبد الله وركعنا معه ونحن نمشى، فمر رجل بين يديه فقال السلام عليك يا ابا عبد الرحمن (5) فقال عبد الله وهو راكع صدق الله ورسوله، فلما انصرف سأله بعض القوم لم قلت حين سلم عليك الرجل صدق الله ورسوله؟ قال انى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان من أشراط الساعة إذا كانت التحية على المعرفة (6) (ومن طريق ثان (7) عن سيار عن طارق بن شهاب قال كنا عند عبد الله (يعنى ابن مسعود) جلوساً فجاء رجل فقال قد أقيمت الصلاة، فقام وقمنا معه فلما دخلنا المسجد رأينا الناس ركوعا في مقدم المسجد فكبر وركع وركعنا، ثم مشينا وصنعنا مثل الذي صنع، فمر رجل يسرع فقال عليك السلام يا أبا عبد الرحمن، فقال صدق الله ورسوله، فلما صلينا ورجعنا دخل إلى أهله جلسنا فقال بعضنا لبعض أما سمعتم رده على الرجل صدق لله وبلغت رسله، أيكم يسأله؟ فقال طارق أنا أسأله، فساله حين خرج فذكر عن النبي صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم أن بين يدى الساعة تسليم الخاصة (8) وفشو التجارة حتى تعين المرأة زوجها على التجارة (9) وقطع الأرحام وشهادة الزور وكتمان شهادة الحق وظهور القلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: ব্যাপকভাবে সালাম প্রচলন মুস্তাহাব এবং শুধু পরিচিত লোকদেরকে সালাম দেওয়া মাকরূহ।
৯। ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয়ই কিয়ামতের একটি নিদর্শন হল, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে শুধু একারণে সালাম দিবে যে, সে তার পরিচিত মানুষ।
(তবারানী) এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
হাদীসটি হায়সামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ ও বাযযায বর্ণনা করেছেন।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب في استحباب تعميم السلام وكراهة تخصيصه بمن يعرف
عن ابن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم أن من اشتراط الساعة أن يسلم الرجل على الرجل لا يسلم عليه إلى للمعرفة.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম ও তার জবাবের শব্দাবলী।
১০। আবূ তামীমা হুজায়মী (র) তার সম্প্রদায়ের জনৈক লোক থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমি মদীনার এক রাস্তায় রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। সে সময় তার গায়ে সূতি কাপড়েরর একটি ইযার ছিল, যার কিনারা বিক্ষিপ্ত ছিল। আমি বললাম وَعَلَيْكَ السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللَّهِ তখন তিনি বললেন, عَلَيْكَ السَّلَام মৃত ব্যক্তির জন্য অভিবাদন। নিশ্চয়ই عَلَيْكَ السَّلَامُ মৃত ব্যক্তির জন্য অভিবাদন। عَلَيْكُمْ ، سَلَامٌ عَلَيْكُمْ দু'বার বা তিনবার অনুরূপ শব্দে বললেন। হাদীসটি আবূ দাউদ বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। নাসাঈ ও তিরমিযী সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما جاء في ألفاظ السلام والرد
عن أبي تيمية الهجيمي عن رجل من قومه (3) قال لقيت رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم في بعض طرق المدينة وعليه أزار من قطن منتثر الحاشية فقلت عليك السلام يا رسول الله: فقال أن عليك السلام تحية الموتى، أن عليك السلام تحية الموتى، أن عليك السلام تحية الموتى سلام عليكم. سلام عليكم مرتين أو ثلاثا هكذا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম ও তার জবাবের শব্দাবলী।
১১। ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ তখন নবী (ﷺ) তাকে জবাব দিলেন এরপর বসে গেলেন এবং বললেন, দশ নেকী হল। এরপর অন্য একজন সালাম দিলেন তখন তিনি তার জবাব দিয়ে বসে গেলেন এবং বললেন, বিশ নেকী হল। এরপর অন্য এক ব্যক্তি এসে বলল, اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ, তখন তিনি তার জবাব দিয়ে বসে গেলেন এবং বললেন, বিশ নেকী হল। এরপর অন্য তৃতীয় এক ব্যক্তি এসে বলল, السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ, তখন তিনি তার জবাব দিয়ে বসে গেলেন এবং বললেন, ত্রিশ নেকী হল।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী) তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما جاء في ألفاظ السلام والرد
عن عمران ابن حصين أن رجلا جاء إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليكم، فرد عليه ثم جلس فقال عشر (3) ثم جاء آخر فقال السلام عليكم ورحمة الله، فرد عليه ثم جلس، فقال عشرون، ثم جاء آخر فقال السلام عليكم ورحمة الله وبركاته، فرد عليه ثم جلس، فقال ثلاثون
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাম ও তার জবাবের শব্দাবলী।
১২। বনু নুমায়র গোত্রের জনৈক ব্যক্তি তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে. একদা তিনি নবী-এর নিকট এসে বললেন যে, আমার পিতা আপনাকে সালাম বলেছেন। তখন নবী (ﷺ) বললেন, وَعَلَيْكَ وَعَلَى آبِيْكَ السّلام (তোমার ওপর এবং তোমার পিতার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।
হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদে একজন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করা হয় নি।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما جاء في ألفاظ السلام والرد
عن رجل من بني نمير عن أبيه عن جده أنه أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال أن أبي يقرأ عليك السلام، فقال النبي صلى الله عليه وسلم عليك وعلى أبيك السلام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাত আদায়রত ব্যক্তি এবং ইসতিঞ্জারত ব্যক্তিকে কেউ সালাম দিলে তারা কী করবে?
১৩। সুফিয়ান (র) যায়দ ইবন আসলাম (র) থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু 'আমর ইবন 'আওফ মসজিদ অর্থাৎ মসজিদু কুবায় সালাত আদায় করার জন্য প্রবেশ করলেন। তখন কিছু লোক সালাম দিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হল। তাদের সঙ্গে হযরত সুহায়ব (রা)-ও ছিলেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমি সুহায়ব (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সালাম দেওয়া হলে তিনি কি করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাতের সাহায্যে ইঙ্গিত করতেন। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (র) বলেন, আমি এক ব্যাক্তিকে বললাম, তুমি যায়দ (র)-কে জিজ্ঞাসা কর যে, আপনি কি আবদুল্লাহ (র)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি তাকে দেখেছি এরপর তার সঙ্গে কথা বলেছি।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, দারিমী) হাদীসটির সনদ সহীহ।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما يفعل المصلي والمتخلي إذا سلم أحد عليهما
حدثنا سفيان عن زيد بن أسلم عن عبد الله بن عمر قال دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم مسجد بني عمرو بن عوف مسجد قباء يصلي فيه فدخلت عليه رجال الأنصار يسلمون عليه ودخل معه صهيب، فسألت صهيبًا كيف كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصنع إذا سلم عليه؟ قال يشير بيده، قال سفيان قلت لرجل سل زيدًا أسمعته من عبد الله وبت أنا أن أسأله، فقال يا أبا أسامة سمعته من عبد الله بن عمر، قال أما أنا فقد رأيته فكلمته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাত আদায়রত ব্যক্তি এবং ইসতিঞ্জারত ব্যক্তিকে কেউ সালাম দিলে তারা কী করবে?
১৪। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী সুহায়ব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পাশ দিয়ে গমন করলাম। তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাকে সালাম দিলাম। তিনি আমাকে ইঙ্গিতে এর জবাব দিলেন। (বর্ণনাকারী বলেন, আমি কেবল এটাই জানি যে তিনি বলেছেন যে, হাতের আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করেছেন।
হাদীসটি সালাত অধ্যায়ে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما يفعل المصلي والمتخلي إذا سلم أحد عليهما
عن عبد الله بن عمر أن صهيب صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم ورضي عنه أنه قال مررت برسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يصلي فسلمت عليه فرّد إليّ أشارة، وقال لا أعلم إلا أنه قال أشارة بأصبعه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাত আদায়রত ব্যক্তি এবং ইসতিঞ্জারত ব্যক্তিকে কেউ সালাম দিলে তারা কী করবে?
১৫। আম্মার ইবন ইয়াসির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী (ﷺ) এর সামনে উপস্থিত হলাম। তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন। এই অবস্থায় আমি তাকে সালাম দিলাম। তিনি আমাকে (হাতের ইশারায়) সালামের জবাব দেন। (নাসাঈ) হাদীসটির সনদ সহীহ।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما يفعل المصلي والمتخلي إذا سلم أحد عليهما
عن عمار بن ياسر قال أتيت النبي صلى الله عليه وسلم وهو يصلي فسلمت عليه فرد عليَّ السلام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সালাত আদায়রত ব্যক্তি এবং ইসতিঞ্জারত ব্যক্তিকে কেউ সালাম দিলে তারা কী করবে?
১৬। ইবন জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি পেশাব করে উঠেছেন। আমি বললাম, السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ (ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।) কিন্তু তিনি আমাকে কোন জবাব দেন নি। আমি আবার বললাম, السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ; তখনও তিনি আমাকে জবাব দেন নি। আমি পূর্ণবার বললাম, اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللَّهِ: তখনও তিনি আমাকে জবাব দেন নি।(১)' এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চলতে শুরু করলেন। আমিও তার পিছনে চলছিলাম। অবশেষে তিনি নিজ গৃহে প্রবেশ করলেন। আর আমি মসজিদে গিয়ে ব্যথিত ও চিন্তিত অবস্থায় বসে রইলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পবিত্র হয়ে
عَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ عَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ , عَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ (তিনবার বললেন।) তারপর বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবন জাবির! আমি কি তোমাকে কুরআন মজীদের সর্বাধিক উত্তম সূরা সম্বন্ধে অবস্থিত করব না? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ। অবশ্যই তিনি বললেন, তুমি পড় الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ শেষ পর্যন্ত।
হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদে বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন 'আকীল-এর স্মৃতিশক্তি দূর্বল। তার থেকে বর্ণিত হাদীস হাসান। এ ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।
টিকা: (১) বস্তুত রাসুলুল্লাহ ওযুবিহীন অবস্থায় সালাম জবাব দেওয়া অপছন্দ করতেন এজন্য তিনি তার জবাব দেন নি।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب ما يفعل المصلي والمتخلي إذا سلم أحد عليهما
عن ابن جابر قال انتهيت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد أهراق الماء، فقلت السلام عليك يا رسول الله، فبم يرّد عليّ، فقلت السلام عليك يا رسول الله فلم يرد عليّ، فقلت السلام عليك يا رسول الله فلم يرد عليّ (5) فانطلق رسول الله صلى الله عليه وسلم يمشي وأنا خلفه حتى دخل على رحله ودخلت أنا المسجد فجلست كئيبًا حزينًا فخرج عليَّ سول الله صلى الله عليه وسلم وقد تظهر فقال عليك السلام ورحمة الله، وعليك السلام ورحمة الله، وعليك السلام ورحمة الله، ثم قال ألا أخبرك يا عبد الله بن جابر يخير سورة في القرآن (6) قلت بلى يا رسول الله قال اقرأ الحمد لله رب العالمين حتى تختمها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আগন্তুক এবং দণ্ডায়মান ব্যক্তির সালাম দেওয়া মুস্তাহাব।
১৭। আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ মজলিসে উপস্থিত হয়, তবে সে যেন সালাম বলে। তারপর যদি সে বসতে চায় তবে বসবে, তারপর যদি সে উঠে যেতে চায় আর লোকেরা বসা থাকে তবে সে সালাম বলবে। কেননা, প্রথমটি (আগমনের সময় সালাম) দ্বিতীয়টি (প্রস্থানের সময় সালাম) অপেক্ষা বেশি হক রাখে না। (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন হিব্বান, হাকিম) তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি হাসান।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب استجاب السلام من القادم والقائم
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا انتهى (2) أحدكم إلى المجلس فيسلم، فإن بدا (3) له أن يجلس فليجلس، ثم إن قام والقوم وجلوس فليسلم فليست الأولى (4) بأحق من الآخرة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আগন্তুক এবং দণ্ডায়মান ব্যক্তির সালাম দেওয়া মুস্তাহাব।
১৮। মু'আয ইবন আনাস জুহানী (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন মজলিসে উপস্থিত হয় তার কর্তব্য উপস্থিত লোকদেরেকে সালাম দেওয়া। আর যে ব্যক্তি কোন মজলিস থেকে উঠে আসে তারও কর্তব্য সালাম দেওয়া। এরপর জনৈক ব্যক্তি (মজলিস হতে) উঠে আসল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছিলেনو এজন্য সে সালাম দেয় নি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে খুব তাড়াতাড়ি ভুলে গেছে। (তাবারানী) হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ইবন লাহী'আ ও যাব্বান ইবন ফায়িদ দুর্বল। তবে তাদের হাদীস হাসান।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب استجاب السلام من القادم والقائم
عن معاذ بن أنس الجهني عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال حق علي من قام على مجلس أن يسلم عليهم، وحق على من قام من مجلس أن يسلم، فقام رجل ورسول الله صلى الله عليه وسلم يتكلم قلم يسلم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما أسرع ما نسى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আরোহী পদব্রজে চলমান ব্যক্তিকে সালাম দিবে।
১৯। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আরোহী ব্যক্তি পদব্রজে চলন্ত ব্যক্তিকে সালাম দিবে। পদব্রজে চলন্ত ব্যক্তি উপবিষ্টকে সালাম দিবে। (অন্য বর্ণনায়: مَاشِی শব্দের পরিবর্তে مَارٌّ শব্দ রয়েছে।) অল্পসংখ্যক লোক বেশি সংখ্যককে সালাম দিবে। (অন্য বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে এবং ছোট বড়কে সালাম দিবে।) (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب يسلم الراكب على الماشي
عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليسلم الراكب على الماشي والماشي على القاعد (وفي رواية والمار بدل الماشي) والقليل على الكثير (8) زاد في رواية والصغير على الكبير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
সালাম, (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের আদব অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আরোহী পদব্রজে চলমান ব্যক্তিকে সালাম দিবে।
২০। ফাযালা ইবন উবায়দ (রা) নবী (ﷺ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।
(তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন হিব্বান) তিরমিযী (র) বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
كتاب السلام والاستئذان وآداب أخرى
باب يسلم الراكب على الماشي
عن فضالة بن عبيد عن النبي صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم مثله
tahqiq

তাহকীক: