মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১. 'আবদুল্লাহ ইবনে 'উমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা কুরায়শের এক কন্যার সাথে আমাকে বিবাহ দেন। সে যখন আমার নিকট আসে আমার শক্তি ও যৌবন থাকা সত্ত্বেও তার প্রতি আমার কোন আকর্ষণ ও গুরুত্ব ছিল না। বরং আমি সমস্ত সময় ও শক্তি রোযা, নামায ও ইবাদতে ব্যয় করতাম। তখন 'আমর ইবনুল আস (রা) তার স্ত্রীর ভাইয়ের নিকট প্রবেশ করে। এ সময় তার ভাই বোনকে জিজ্ঞেস করে তোমার স্বামী কেমন? সে বলে, ভাল পুরুষ অথবা পুরুষদের মধ্যে ভাল স্বামী, সে আমার নিকটে আসে না, খোঁজ খবর নেয় না, আমার বিছানার সাথে তাঁর কোন পরিচয় নেই। সে আমার কাছে এসে জিহ্বা দিয়ে আমাকে চেটে নেয়। তখন তার ভাই তাকে বলে, তুমি কুরায়শের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যাকে বিবাহ করেছ, অথচ তুমি তার সাথে স্ত্রীসুলভ আচরণ করছো না। তুমি তার সাথে এ ধরনের নিকৃষ্ট ব্যবহার করছো! অতঃপর তার ভাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে। নবী করিম (ﷺ) আমাকে ডেকে পাঠান। আমি সেখানে উপস্থিত হলে রাসূল (ﷺ) আমাকে বলেন, তুমি কি দিনে রোযা রাখ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি রাতে ইবাদতে মশগুল থাক? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কিন্তু আমিতো রোযা রাখি এবং ইফতার করি, রাতে নামায পড়ি এবং ঘুমাই এবং স্ত্রীকে স্পর্শ করি। যে আমর সুন্নত বর্জন করবে, সে আমার উম্মত বলে গণ্য হবে না। তারপর  রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি প্রতি মাসে একবার কুরআন খতম করবে। আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশী পড়ার শক্তি রাখি। তিনি বললেন, তাহলে প্রতি দশ দিনে এক খতম দেবে। আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশী পড়ার শক্তি রাখি। বর্ণনাকারীদের মধ্যে হোসাইন অথবা মুগীরা বললো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, প্রতি তিন দিনে এক খতম দাও। (অন্য বর্ণনায়, তিনি বললেন, প্রত্যেক সাত দিনে এক খতম দেবে, অবশ্যই এর চেয়ে অধিক নয়)। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা রাখবে। আমি বললাম, এর চেয়েও বেশী রোযা রাখতে আমি সক্ষম। অথবা তিনি বললেন, আমি এর চেয়ে বেশী রোযা রাখার ইচ্ছে পোষণ করলাম। তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি একদিন রোযা রাখবে এবং একদিন ইফতার করবে আর এটা হলো সবচেয়ে উত্তম (নফল) রোযা। এ ধরনের রোযা আমার ভাই দাউদ (আ) রেখেছিলেন, হোসাইন তার বর্ণনায় বলেন,  রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, প্রত্যেক ইবাদতকারীর একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে, প্রত্যেক আকাঙ্ক্ষার মাঝে বিরতি থাকে। সেটা সুন্নতের ক্ষেত্রে হোক বা বিদয়াতের ক্ষেত্রে হোক। যদি সে বিরতি সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়, তাহলে সে সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়। আর যদি সে বিরতি অন্য ক্ষেত্রে হয়, তাহলে সে ধ্বংস হয়। মুজাহিদ (র) বলেন, সম্ভবত: 'আবদুল্লাহ ইবনে 'উমর বয়োবৃদ্ধ হওয়ার দরুণ সে সময় রোযা রাখতে অক্ষম ছিলেন। এভাবে তারা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী রোযা পালন করতেন এবং ঐ দিনগুলো গণনা করে ইফতার করতেন। তেমনিভাবে প্রত্যেক দল কুরআন পড়তেন, কোন সময় বেশী পড়তেন, আবার কোন সময় কম পড়তেন। তবে তারা দিনের হিসাব পূর্ণ করতেন। সাত দিন অথবা তিন দিনে তারা খতম করতেন। এরপর ইবন উমর (রা) বলেন, আমি যদি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর দেয়া অনুমতি (ছাড়) গ্রহণ করতাম, তবে সেটা মানার জন্য উত্তম হতো, যে কাজ আমি করছিলাম তা থেকে। কিন্তু আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে যে কাজ করা অবস্থায় ছেড়েছি, তার বিপরীত কিছু করতে অপছন্দ করি।
كتاب الاقتصاد
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
باب الاقتصاد في الأعمال
حدثنا هشيم عن حصين بن عبد الرحمن ومغيرة الضي عن مجاهد عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال زوجني أبي امرأة من قريش فلما دخلت على جعلت لا أنحاش (6) لها عما بي من القوة على العبادة من الصوم والصلاة فجاء عمرو بن العاص إلى كنته (7) حتى دخل عليها فقال لها كيف وجدت بعلك؟ قالت خير الرجال أو كخير البعولة (8) من رجل لم يفتش لنا كنفا (9) ولم يعرف لنا فراشا فأقبل علي فعذمني (10) وعضني بلسانه فقال انكحتك امرأة من قريش ذات حسب فعضلتها (11) وفعلت وفعلت ثم انطلق إلى النبي صلى الله عليه وسلم فشكاني فأرسل إلي النبي صلى الله عليه وسلم فأتيته فقال لي أتصوم النهار؟ قلت نعم قال وتقوم الليل؟ قلت نعم قال لكني أصوم وأفطر وأصلي وأنام وأمس النساء فمن رغب عن سنتي فليس مني قال اقرأ القرآن كل شهر قلت إني اجدني أقوى من ذلك قال فاقرأه في كل عشرة أيام قلت إني أجدني أقوى من ذلك قال أحدهما أما حصين وإما مغيرة (1) قال فاقرأه في كل ثلاث (وفي رواية قال فاقرأه في كل سبع لا تزيدن على ذلك) قال ثم قال صم في كل شهر ثلاثة أيام فلت إني أقوى من ذلك قال فلم يزل يرفعني (2) حتى قال صم يوما وافطر يوما فإنه أفضل الصيام وهو صيام أخي داود قال حصين في حديثه ثم قال صلى الله عليه وسلم فإن لك عابد شرة (3) فترة فإما إلى سنة وإما إلى بدعة فمن كانت فترته إلى سنة فقد اهتدى ومن كانت فترته إلى غير ذلك فقد هلك قال مجاهد فكان عبد الله بن عمرو حيث قد ضعف وكبر يصوم الأيام كذلك يصل بعضها إلى بعض ليتقوى بذلك ثم يفطر بعد (4) تلك الأيام قال وكان يقرأ في كل حزب كذلك يزيد أحيانا وينقص أحيانا غير أنه يوفي العدد إما في سبع وإما في ثلاث قال ثم كان يقول بعد ذلك لأن أكون قبلت رخصة رسول الله صلى الله عليه وسلم أحب إلي مما عدل به (5) أو عدل لكني فارقته على أمر أكره أن أخالفه إلى غيره

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ২
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
২. জাবির ইবনে 'আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সকল কাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন ও যথাযথভাবে পালন করবে, অর্থাৎ কোন কাজে বাড়াবাড়ি করবে না। শুধু কাজের মাধ্যমে তোমাদের কেউ আযাব থেকে মুক্তি পাবে না। তারা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। আপনি নিজেও কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি নিজেও, যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর রহমতে আমাকে ঢেকে নেন।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن جابر (يعني ابن عبدالله) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قاربوا (7) وسددوا فإنه ليس أحد منكم ينجيه عمله (8) قالوا ولا إياك يا رسول الله؟ قال ولا إياي إلا أن يتغمدني (1) الله برحمته

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৩. আবদুল্লাহ ইবনে 'উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তাঁর কিছু সাথী সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়, যারা ইবাদত করতে করতে কঠিনভাবে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়তো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা ইসলামে একটি নিয়মিত অভ্যাস ও লোভ-লালসার কাজ। প্রত্যেক অভ্যাসে লোভ লালসা বিদ্যমান এবং প্রত্যেক লোভ লালসায় বিরতি রয়েছে। যে ব্যক্তি কিতাব ও সুন্নাহর কাজে বিরতি দেয়, অর্থাৎ সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ করে না; সে সঠিক পথ পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের পথে চেষ্টা না করে গুনাহের কাজে চেষ্টা করে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن عبدالله بن عمرو قال ذكر لرسول الله صلى الله عليه وسلم رجال ينصبون (3) في العبادة من أصحابه نصبا شديدا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم تلك ضراوة (4) الإسلام وشرته (5) ولكل ضراوة شرة ولكل شرة فترة فمن كانت فترته إلى الكتاب والسنة (6) فلأم (7) ماهو ومن كانت فترته إلى معاصي الله (8) فذلك هو الهالك

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৪. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী নিয়মিত নেক আমল কর। উত্তম আমল হলো তা, যা নিয়মিত করা হয়। যদি সেটা পরিমাণে কমও হয়।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أكلفوا (10) من العمل ما تطيقون فإن خير العمل أدومه وإن قل

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৫. আবু সালিহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা 'আইশা (রা) ও উম্মে সালমা (রা) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাসূলের নিকট কোন আমলটি সবচেয়ে প্রিয়। তারা উভয়েই বলেন, যে আমল নিয়মিত করা হয়, সেটা স্বল্প (অন্য বর্ণনায়) আসওয়াদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আইশা (রা) উদ্দেশ্যে বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট যে আমলটি সবচেয়ে প্রিয়, সে আমলটি বর্ণনা করুন। 'আইশা (রা) বললেন, তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো- যে কাজটি কোন ব্যক্তি নিয়মিত করে, যদি সেটা সহজ কাজও হয়।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن أبي صالح قال سئلت عائشة وأم سلمة رضي الله عنهما أي العمل كان أعجب (2) إلى النبي صلى الله عليه وسلم قالتا ما دام وإن قل (ومن طريق ثان) (3) عن الأسود قال قلت لعائشة رضي الله عنها حدثيني بأحب العمل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت كان أحب العمل إليه الذي يدوم عليه الرجل وإن كان يسيرا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৬. 'আইশা (রা) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নিকট প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে অমুক নারী উপস্থিত 'আইশা (রা) তার নামাযের কথা উল্লেখ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, "মাহ" অর্থাৎ তার প্রশংসা থেকে চুপ থাক। সামর্থ্য অনুযায়ী আমল কর, আল্লাহ ছাওয়াব ও বরকত দানে ক্লান্তিবোধ করেন না, অথচ তোমরাই আমল করতে করতে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে পড়। আল্লাহর নিকট প্রিয় দ্বীন ও আমল হলো, যে ব্যক্তি তা নিয়মিত পালন করে।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن عائشة رضي الله عنها (4) أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليها وعندها فلانه (5) لامرأة فذكرت من صلاتها فقال (6) عليكم بما تطيقون (7) فوالله لا يمل (8) الله عز وجل حتى تملوا إن أحب الدين (9) إلى الله ما داوم عليه صاحبه

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৭. পুনরায় 'আইশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হাওলা বিনতে তুয়াইত রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) হাওলা বিনতে তুয়াইত রাতে অধিক নামায পড়ে। যখন তার ঘুম আসে, তখন সে রশি দিয়ে নিজেকে বেঁধে রেখে এর সাথে ঝুলে থাকে। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী নামায পড়বে। আর যখন তন্দ্রা আসবে, তখন ঘুমিয়ে পড়বে।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
وعنها أيضا قالت مرت برسول الله صلى الله عليه وسلم الحولاء بنت تويت (11) فقيل له يا رسول الله صلى الله عليه وسلم إنها تصلى بالليل صلاة كثيرة فإذا غلبها النوم ارتبطت بحبل فتعلقت به فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فلتصل ما قويت على الصلاة فإذا نعست فلتنم

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৮. আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশ করে দুই খামের মাঝে একটি রশি টানানো দেখলেন। তখন তিনি বললেন, এটি কী? তারা বললো, এটা যয়নাবের। যখন তিনি নামাযে অলসতা কিংবা দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করেন, তখন ঐ রশি দিয়ে নিজেকে বেঁধে নেন। তখন  রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটি খুলে দাও। তোমাদের যে কেউ উদ্যম ও উৎসাহী হয়ে সালাত আদায় করবে। যখন অলসতা ও ক্লান্তি অনুভব করবে, তখন বসে পড়বে (যাতে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়), অন্য শব্দে বর্ণিত: বোধশক্তি থাকা পর্যন্ত নামায পড়বে, আর যখন ঘুম তোমাকে পরাভূত করবে, তখন ঘুমিয়ে পড়বে।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن أنس بن مالك قال دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم المسجد وحبل ممدود بين ساريتين (2) فقال ما هذا؟ فقالوا لزينب فإذا كسلت (3) أو فترت أمسكت به فقال حلوه ثم قال ليصل أحدكم نشاطه فإذا كسل أو فتر فليقعد (4) (وفي لفظ) لتصل ما عقلت فإذا غلبت (5) فلتنم

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
৯. 'আবদুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদের দুই খামের মাঝে রশি টানানো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটি কার? সাহাবীরা বললো, হামনা বিনতে জাহাসের। তিনি যখন নামায পড়তে পড়তে অক্ষম হয়ে পড়েন, তখন রশির সাথে নিজেকে বেঁধে রাখেন। নবী করিম (সা) বললেন, তুমি তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী নামায আদায় করবে, আর যখন অক্ষম হয়ে পড়বে তখন বসে পড়বে।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن عبدالرحمن قال رأى النبي صلى الله عليه وسلم حبلا ممدودا بين ساريتين فقال لمن هذا؟ قالوا لحمنة (7) بنت جحش فإذا عجزت تعلقت به فقال لتصل ما أطاقت فإذا عجزت فلتقعد

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১০. আবু সালমা (রা) 'আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমল করবে। কেননা আল্লাহ্ নিশ্চয় ছাওয়াব ও রহমত দানে ক্লান্তিবোধ করবেন না অথচ তোমরাই আমল করতে করতে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়বে। 'আইশা (রা) বলেন,  রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট অধিক প্রিয় নামায হলো, যখন তোমরা নামায (নফল) পড়বে, তা নিয়মিত পড়বে।
আবু সালমা (রা) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেছেন, যারা নিয়মিত তাদের নামায আদায় করে।
(হাফেয সুয়ূতী, আল-জামেউস সগীর)
আবু সালমা (রা) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেছেন, যারা নিয়মিত তাদের নামায আদায় করে।
(হাফেয সুয়ূতী, আল-জামেউস সগীর)
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن أبي سلمة عن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خذوا من العمل ما تطيقون فإن الله عز وجل لا يمل حتى تملوا قالت عائشة وكان أحب الصلاة إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا صلى صلاة داوم عليها (9) قال أبو سلمة قال الله عز وجل (الذين هم على صلاتهم دائمون)

তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১১. হাকাম ইবনে হাযাম আল কুলফী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে মানুষ! তোমাদেরকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তোমরা তা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে কখনও সমর্থ্য নও। কিন্তু তোমরা সঠিকভাবে ও আনন্দ চিত্তে পালন কর।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن الحكم ابن حزن الكلفي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا أيها الناس إنكم لن تفعوا ولن تطيقوا كل ما أمرتم به ولكن سددوا وأبشروا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১২. আইশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সাহাবাদেরকে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে কোন কাজের আদেশ দিতেন, তখন তারা বলতো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমরাতো আপনার সমতুল্য নই, নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনার পূর্বের ও পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। 'আইশা (রা) বলেন, একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাগান্বিত হলেন, এমনকি তাঁর চেহারায় তখন রাগের চিহ্ন ফুটে উঠলো।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن عائشة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا أمرهم بما يطيقون من العمل يقولون يا رسول الله إنا لسنا كهيئتك إن الله عز وجل قد غفر لك ما تقدم من ذنبك وما تأخر قالت فيغضب (13) حتى يعرف الغضب في وجهه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৩. আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এ দ্বীন শক্তিশালী ও কঠিন। তোমরা তা সহজভাবে গ্রহণ কর।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أن هذا الدين متين (2) فأوغلوا فيه برفق

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৪. আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। জনৈক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, তোমাদের দ্বীন উত্তম, তোমরা তা সহজভাবে গ্রহণ কর। তোমাদের দ্বীন উত্তম, তোমরা তা সহজভাবে গ্রহণ কর। অর্থাৎ দ্বীনের মধ্যে কোন জটিলতা নেই।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن أبي قتادة عن اعرابي سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن خير دينكم أيسره (4) إن خير دينكم أيسره

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৫. মিহজান ইবনে আদরায়া' (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি মসজিদে রাসূলের (ﷺ) হাত ধরলেন এবং পরে রাসূলের (ﷺ) স্ত্রীদের কোন একজন স্ত্রীর হুজরায় আসলেন। এরপর তিনি তাঁর হাত আমার হাত থেকে ঝেড়ে ফেলে বললেন, তোমাদের দ্বীন উত্তম, তোমরা তা সহজভাবে গ্রহণ কর। তোমাদের দ্বীন উত্তম, তোমরা তা সহজভাবে গ্রহণ কর।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن محجن بن الأدرع أنه كان آخذا بيد النبي صلى الله عليه وسلم في المسجد قال ثم أتى حجرة امرأة من نسائه فنفض يده من يدي قال إن خير دينكم أيسره أن خير دينكم أيسره

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৬. বুরায়দা আসলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি প্রয়োজনে বের হলাম। আমি যখন নবী করিম (ﷺ) এর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি আমার হাত ধরলেন। এরপর আমরা সকলে হেঁটে চললাম। আমাদের সামনে এক ব্যক্তি নামায পড়ছিল এবং বেশী বেশী রুকু, সিজদা করছিল। নবী করিম (ﷺ) বললেন, আমি যাকে দেখি, তোমরা কি তাকে দেখ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তখন তিনি তাঁর হাত থেকে আমার হাত ছেড়ে দিলেন এবং তাঁর দুহাত একত্রিত করে সোঁজা উপরের দিকে উঠিয়ে বললেন, তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। যে দ্বীনের মধ্যে কঠোরতা অবলম্বন করে, সে ব্যর্থ হয়।
(অন্য শব্দে) তিনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন, পরে তিনি তাঁর দুই হাতের তালু বিছিয়ে পুনরায় একত্রিত করে কাঁধের উপর উঠিয়ে বললেন, তোমাদের উচিৎ মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা একথা তিনি তিনবার বললেন, যে দ্বীনের মধ্যে কঠোরতা অবলম্বন করে, সে ব্যর্থ হয়।
(অন্য শব্দে) তিনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন, পরে তিনি তাঁর দুই হাতের তালু বিছিয়ে পুনরায় একত্রিত করে কাঁধের উপর উঠিয়ে বললেন, তোমাদের উচিৎ মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা একথা তিনি তিনবার বললেন, যে দ্বীনের মধ্যে কঠোরতা অবলম্বন করে, সে ব্যর্থ হয়।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن بريدة الأسلمي قال خرجت يوما لحاجة فإذا أنا بالنبي صلى الله عليه وسلم يمشى بين يدي فأخذ بيدي فانطلقنا نمشي جميعا فإذا نحن بين أيدينا برجل يصلي يكثر الركوع والسجود فقال النبي صلى الله عليه وسلم أتراه يراني؟ فقلت الله ورسوله أعلم فترك يدي من يده ثم جمع بين يديه فجعل يصوبهما ويرفعهما ويقول عليكم هديا قاصدا (7) عليكم هديا قاصدا عليكم هديا قاصدا (8) فإنه من يشاد هذا الدين يغلبه (وفي لفظ) فأرسل يدي ثم طبق بين كفيه فجمعهما وجعل يرفعهما بحيال منكبيه ويضعهما ويقول عليكم هديا قاصدا ثلاث مرات فإنه من يشاد الدين يغلبه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৭. মুজাহিদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও ইয়াহইয়া ইবনে জা'আদা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আনসার সাথীদের জনৈক ব্যক্তির নিকট প্রবেশ করলাম। তখন তাঁর নিকট বনী আব্দুল মুত্তালিবের একজন দাসীর ইবাদতের বিষয় উল্লেখ করা হলো। তারা বললেন, সে রাতে ইবাদত করে, দিনে রোযা রাখে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি ঘুমাই এবং নামায পড়ি, রোযা রাখি এবং ইফতার করি। যে আমার অনুসরণ করবে সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে। সুতরাং যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। প্রত্যেক কাজে একটি আকাংখা থাকে, তারপর বিরতি থাকে। যার বিরতি বিদয়াতের ক্ষেত্রে হয়, সে ধ্বংস হয়, আর যার বিরতি সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়, সে সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن مجاهد قال دخلت أنا ويحيى بن جعدة على رجل من الأنصار من أصحاب الرسول صلى الله عليه وسلم قال ذكروا عند رسول الله صلى الله عليه وسلم مولاة لبني عبد المطلب (10) فقالوا أنها تقوم الليل وتصوم النهار قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لكني أنا أنام وأصلى وأصوم وأفطر فمن اقتدى بي فهو مني ومن رغب عن سنتي فليس مني ان لكل عمل شرة ثم فترة فمن كانت فترته إلى بدعة فقد ضل ومن كانت فترته إلى سنة فقد اهتدى

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৮. 'আইশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিছু লোক কঠিন ইবাদতে আতত্মনিয়োগ করে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে এ থেকে নিষেধ করে বললেন আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের চেয়ে প্ররাহকে বেশী জানি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁকে বেশী ভয় করি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা এমন আমল গ্রহণ করবে, যা পালন করতে তোমরা সক্ষম। নিশ্চয় আল্লাহ ছাওয়াব দানে ক্লান্ত ও বিরক্ত হবেন না, বরং তোমরাই ক্লান্ত হয়ে পড়বে।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
عن عائشة) رضي الله عنها أن أناسا كانوا يتعبدون في عبادة شديدة (2) فنهاهم النبي صلى الله عليه وسلم فقال والله إني لأعلمكم بالله عز وجل وأخشاكم له وكان يقول عليكم من العمل ما تطيقون فإن الله عز وجل لا يمل حتى تملوا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
১৯. আইশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সকল কাজ সঠিকভাবে মধ্যম পন্থা অবলম্বন সহকারে এবং সহজভাবে পালন কর। তোমাদের কেউ-ই শুধু কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তারা বললো, আপনি নিজেও কি নন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তিনি বলেন, আমি নিজেও নই যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর রহমতের দ্বারা আমাকে ঢেকে নেন। জেনে রাখ, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল হলো যা স্থায়ী ও নিয়মিত করা হয়, যদিও তা পরিমাণে কমও হয়।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
وعنها أيضا أنها كانت تقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم سددوا وقاربوا ويسروا فإنه لن يدخل الجنة أحدا عمله قالوا ولا انت يا رسول الله؟ قال ولا أنا إلا أن يتغمدني الله عز وجل رحمة واعلموا أن احب العمل إلى الله عز وجل أدومه وإن قل

তাহকীক:
হাদীস নং: ২০
মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আমলের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
২০. 'আইশা (রা) থেকে আরো বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট খুওয়াইলা বিনতে হাকীম ইবন উমাইয়া ইবনে হারেছা ইবন আওকাস আস-সুলমীয়া প্রবেশ করেন। তিনি ছিলেন 'উছমান ইবনে মাযয়ূনের স্ত্রী। 'আইশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে পোশাকে জরা জীর্ণ অবস্থায় দেখলেন। (অর্থাৎ তার মধ্যে কোন সাজ সজ্জা ছিল না, চুলগুলো ছিল এলোমেলো)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আইশা (রা) খুওয়াইলার এ অবস্থা কেন? 'আইশা (রা) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। সে এমন একজন নারী, যার স্বামী নেই, অর্থাৎ তার স্বামী থেকেও নেই। সে দিনে রোযা রাখে এবং রাতে নামায পড়ে। সে ঐ মহিলার মত, যার স্বামী নেই, যে কারণে সে সাজ-সজ্জায় সময় নষ্ট করা থেকে নিজেকে পরিহার করেছে, (অর্থাৎ স্বামী তার সাথে আনন্দ উপভোগ থেকে বিরত থাকার কারণে সে সবকিছু বর্জন করেছে)। 'আইশা (রা) বলেন, তখন  রাসূলুল্লাহ (ﷺ) 'উছমান ইবনে মাষয়ূনকে ডেকে পাঠালেন। সে আসলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কি আমার পথ অনুসরণ করতে আগ্রহী নও? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। অবশ্যই বরং আমি আপনার পথ অনুসরণে উৎসাহী। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি রাতে নিদ্রা যাই এবং নামায পড়ি, রোযা রাখি, আবার বিরতি দেই, মহিলাদের বিবাহও করি। হে উছমান। আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই তোমার পরিবারের উপর তোমার হক রয়েছে, তোমার উপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে, তোমার উপর তোমার নিজের হক রয়েছে। সুতরাং তুমি রোযা রাখবে আবার বিরতি দেবে, নামায পড়বে এবং নিদ্রাও যাবে।
كتاب الاقتصاد
باب الاقتصاد في الأعمال
وعنها أيضا قالت دخلت على خويلة بنت حكيم بن أمية بن حارثة بن الأوقص السلمية وكانت عند عمان بن مطعون قالت فرأى رسول الله صلى الله عليه وسلم بذاذة هيئتها فقال لي يا عائشة ما أبذ هيئة خويلة؟ قالت فقلت يا رسول الله امرأة لها زوج يصوم النهار ويقوم الليل فهي كمن لا زوج لها فتركت نفسها وأضاعتها قالت فبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى عثمان بن مظعون فجاءه فقال يا عثمان أرغبة عن سنتي؟ قال فقال لا والله يا رسول الله ولكن سنتك أطلب قال فإني أنام وأصلى وأصوم وأفطر وانكح النساء فاتق الله يا عثمان فإن لأهلك عليك حقا فصم وافطر وصل ونم

তাহকীক: