মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়

পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
১. আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা মক্কার 'বাহা' অর্থাৎ কংকরময় এলাকা আমার জন্য স্বর্ণে পরিণত করার প্রস্তাব করেন; তখন আমি জবাব দিলাম, আমার রব। তাতে আমার কোন প্রয়োজন নেই, আমি একদিন তৃপ্তি করে খাব, আর একদিন উপবাস থাকব, একই কথা তিনি তিনবার বা তদ্রূপ বললেন, আমি যখন উপবাস থাকবো, তখন তোমার নিকট বিনীতভাবে প্রার্থনা করব এবং তোমাকেই স্মরণ করবো। আর যখন তৃপ্তি সহকারে আহার করব তখন তোমার শোকর আদায় করব ও তোমার প্রশংসা করব।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف

باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن أبي أمامة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال عرض علي ربي عز وجل (3) ليجعل لي بطحاء مكة (4) ذهبا فقلت لا يارب اشبع يوما واجوع يوما أو نحو ذلك فإذا جعت تضرعت إليك وذكرتك وإذا شبعت حمدتك وشكرتك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
২. আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ঘরে প্রবেশ করেছিলাম, সে সময় তিনি রশি দিয়ে তৈরী একটি খাটের উপর শুয়েছিলেন এবং তার মাথার নীচের বালিশ ছিল চামড়ার তৈরী এবং এর ভিতরে ছিল খেজুর গাছের আঁশ, সে সময় তাঁর কাছে একদল সাহাবী এবং উমর (রা) প্রবেশ করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিছানায় একটু ঘুরে বসলে 'উমর (রা) তার পাশে ও খাটের মাঝে কোন কাপড় দেখতে পাননি। বরং তিনি দেখলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পার্শ্বদেশে রশির দাগ পড়ে গেছে তা দেখে তিনি কান্না শুরু করলেন। নবী করীম (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, উমর তুমি কাঁদছ কেন? তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আপনি কিসরা ও কায়সারের চেয়ে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি, তা আমি জানি, তারা উভয়েই দুনিয়াতে বিলাস-বাসনে জীবন যাপন করছে, আর আমি আপনাকে কোন স্থানে বাস করতে দেখলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি জেনে খুশী হবে যে, এসব পার্থিব বিলাশ ও খেল-তামাশা দুনিয়াতে তাদের জন্য। আর আমাদের জন্য পরকালে রয়েছে স্থায়ী সুখ শান্তি তখন 'উমার (রা) বলেন, এরূপই হবে? জবাবে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ এরূপই হবে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن أنس بن مالك قال دخلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو على سرير مضطجع مرمل بشريط (6) وتحت رأسه وسادة من أدم (7) حشوها ليف فدخل عليه نفر من أصحابه ودخل عمر فانحرف رسول الله صلى الله عليه وسلم انحرافة فلم ير عمر بين جنبيه وبين الشريط ثوبا وقد اثر الشريط بجنب رسول الله صلى الله عليه وسلم فبكى عمر فقال النبي صلى الله عليه وسلم ما يبكيك يا عمر؟ قال والله الا أن اكون اعلم أنك أكرم على الله عز وجل من كسرى وقيصر وهما يعبثان (1) في الدنيا فيما يعبثان فيه وأنت يا رسول الله بالمكان الذي أرى فقال النبي صلى الله عليه وسلم أما ترضى أن تكون لهم الدنيا (2) ولنا الآخرة قال عمر بلى قال فإنه كذاك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৩. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একমাস নিজের স্ত্রীদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার শপথ করেছিলেন। 'উমর (রা) তার ঘরে আসেন এবং তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন যে, তার পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে আছে। তখন তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কিসরাগণ (বাদশাহগণ) স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পান করছে, আর আপনার এ অবস্থা? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, দুনিয়ার জীবনে তারা এসব ভোগ-বিলাস সামগ্রী অগ্রিম পেয়েছে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن أبي هريرة قال هجر رسول الله صلى الله عليه وسلم نساءه شهرا فأتاه عمر ابن الخطاب وهو في غرفة على حصير قد أثر الحصير بظهره فقال يا رسول الله كسرى يشربون في الذهب والفضة وأنت هكذا فقال صلى الله عليه وسلم إنهم عجلت لهم طيباتهم في حياتهم الدنيا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৪. ইবন 'আব্বাস (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা 'উমর (রা) তাঁর কাছে প্রবেশ করে দেখেন, তিনি একটি খেজুর পাতার মাদুরে শুয়েছিলেন, যে কারণে তাঁর পার্শ্বদেশে মাদুরের দাগ বসে আছে, 'উমর (রা) বললেন, হে আল্লাহর নবী (ﷺ)! আপনি যদি এমন একটি বিছানা ব্যবহার করতেন, যা একটু নরম হতো। তিনি বললেন, দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক। আমার আর দুনিয়ার উদাহরণ হলো, একজন মুসাফিরের ন্যায়, যে গরমের দিন সফর শুরু করলো, পথিমধ্যে সে একটি গাছের ছায়ায় দিনের এক ঘণ্টা আশ্রয় নিল, এরপর সে তা ত্যাগ করে গন্তব্যের পানে চলে গেল।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل عليه عمر رضي الله عنه وهو على حصير قد أثر في جنبه فقال يا نبي الله لو اتخذت فراشا أوثر (5) من هذا فقال مالي وللدنيا ما مثلي ومثل الدنيا الا كراكب سار في يوم صائف فاستظل تحت شجرة ساعة من نهار ثم راح وتركها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৫. 'আলী ইবনে রিবাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি 'আমর ইবন 'আস (রা) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর শপথ। তোমরা এমন বস্তুর প্রতি অধিক আগ্রহশীল হয়ে সকাল সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছে, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পরিত্যাগ করতেন। তোমরা দুনিয়ার প্রতি আগ্রহী হয়েছ, অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুনিয়া বিমুখ ছিলেন। আল্লাহর শপথ করে বলছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন কোন রাত্রি যাপন করেননি, যেখানে তাঁর অভাব তাঁর সম্পদের চেয়ে অধিক ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, 'আমর ইবন 'আস (রা) কে রাসুলের কোন কোন সাথী বললেন, তিনি ঋণগ্রস্ত থাকতেন। অন্য বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর শপথ। রাসূল (ﷺ)- এর উপর তিনদিন এমন অতিবাহিত হয়নি, যেখানে তার সম্পদের চেয়ে তার অভাব অধিক ছিল না। অন্য বর্ণনায় 'আমর ইবন 'আস (রা) মিশরে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেন, তোমরা তোমাদের নবীর পথ থেকে অনেক দূরে চলে গেছ। তোমাদের নবী দুনিয়া বিমুখ ছিলেন, আর তোমরা দুনিয়ার প্রতি অধিক লোভী হয়েছ।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن علي ابن رباح قال سمعت عمرو بن العاص رضي الله عنه يقول لقد اصبحتم وأمسيتم ترغبون فيما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزهد فيه أصبحتم ترغبون في الدنيا وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزهد فيها والله ما أتت على رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة من دهره إلا كان الذي عليه أكثر مما له قال فقال له بعض أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يتسلف (وقال غير يحيى) (7) والله ما مر برسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثة من الدهر إلا والذي عليه أكثر من الذي له (ومن طريق ثان) حدثنا عبد الله بن يزيد (8) قال حدثنا موسى (9) قال سمعت أبي يقول سمعت عمرو بن العاص يخطب الناس بمصر يقول ما أبعد هديكم من هدى نبيكم صلى الله عليه وسلم أما هو فكان أزهد الناس في الدنيا وأما أنتم فأرغب الناس فيها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৬. আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ঈশার সময় মদীনার পাথুরে অঞ্চলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন আমরা উহুদ পর্বতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু যার! আমি বললাম, লাব্বায়ক ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরপর তিনি বললেন, আমি এই উহুদ পাহাড়টি আমার জন্য স্বর্ণ হয়ে যাক তা আমি পছন্দ করি না। আর ঋণ পরিশোধের জন্য ছাড়া, সেখান থেকে একটি দীনার আমার নিকট তিন দিন থাকবে তাও আমার অপছন্দনীয়। বরং আমি তা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এভাবে, এভাবে বিতরণ করে দেব। একথা বলে তিনি তার ডানে, বামে, সামনে ইংগিত করলেন 'আবু যার (রা) বলেন, আমরা পথ চলতে লাগলাম। এরপর তিনি বললেন, হে আবু যার। বিত্তশালী লোকেরাই হবে কিয়ামতের দিন গরীব, তবে যারা ব্যয় করেছে এভাবে, এভাবে, যেভাবে তিনি প্রথম বার করেছিলেন সেরূপ করলেন। ডানে, বামে সামনের দিকে ইঙ্গিত করলেন, আবু যার (র) বললেন, আমরা পথ চলতে লাগলাম। এরপর তিনি বললেন, হে আবু যার। আমি তোমার কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত তুমি এখানে অবস্থান কর। রাবী বলেন, এরপর তিনি যেতে যেতে আমার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন, আবূ যার (রা) বলেন, এরপর আমি কতিপয় অর্থহীন শব্দ এবং আওয়ায শুনতে পেলাম এবং মনে করলাম যে, হয়তো রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কোন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। তখন আমি তাঁর অনুসরণ করার ইচ্ছা করলাম, হঠাৎ তার নির্দেশটি আমার স্মরণ হলো, "আমি তোমার নিকট ফিরে না আসা পর্যন্ত তুমি এখানে অবস্থান করবে।" আবূ যার (রা) বলেন, আমি তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে তিনি ফিরে আসার পর আমি যা শুনতে পেয়েছিলাম, তা তাঁর নিকট বর্ণনা করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইনি হলেন জিবরাঈল (আ)। তিনি আমার নিকট এসে বললেন, আপনার উম্মতের কোন লোক যদি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক না করে মৃত্যুবরণ করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবূ যার (রা) বলেন, আমি বললাম, যদি সে চুরি এবং ব্যভিচার করে, তবুও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি সে চুরি ও ব্যভিচার করে তবুও।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হে আবু যার! এটি কোন পাহাড়? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। এটি উহুদ পাহাড়। তিনি বললেন, সে সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমি আনন্দিত যে, আমার নিকট যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তার সবটুকু আমি আল্লাহর পথে ব্যয় করে দেব, তা থেকে এক কিরাত পরিমাণও আমি রেখে দেব না। আবু যর (রা) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। কিনতার পরিমাণও না? তিনি বললেন, কিরাত পরিমাণ। একথা তিনি তিনবার বললেন। এরপর বললেন, হে আবু যার। আমিতো কমের কথা বলেছি, অধিকের কথা বলিনি।
তাঁর তৃতীয় বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, এতে আমি খুশী নই যে, আমার জন্য উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ হোক, আর আমি সে দিনই মৃত্যুবরণ করি যে, সে স্বর্ণ থেকে একটি দীনার বা আধা দীনার আমার কাছে অবশিষ্ট থাকুক। তবে সে দীনার ব্যতিত, যা আমি কারো ঋণ পরিশোধ করার জন্য প্রস্তুত রাখি।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن أبي ذر قال كنت أمشي مع النبي صلى الله عليه وسلم في حرة (2) المدينة عشاء ونحن ننظر إلى أحد فقال يا أبا ذر قلت لبيك يا رسول الله قال ما أحب أن احد (3) ذاك عندي ذهبا (4) أمسى ثالثه وعندي منه دينار إلا دينار (5) أرصده لدين إلا أن أقول به في عباد الله هكذا وحثا عن يمينه وبين يديه وعن يساره قال ثم مشينا فقال يا أبا ذر إن الاكثرين هم الاقلون ليوم القيامة إلا من قال هكذا وهكذا وهكذا وحثا عن يمينه وبين يديه وعن يساره قال ثم مشينا فقال يا أباذر كما أنت حتى آتيك قال فانطلق حتى توارى عني قال فسمعت لغطا وصوتا قال فقلت لعل رسول الله صلى الله عليه وسلم عرض له قال فهممت ان اتبعه ثم تذكرت قوله لا تبرح حتى آتيك فانتظرته حتى جاء فذكرت له الذي سمعت فقال ذاك جبريل عليه السلام أتاني فقال من مات من أمتك لا يشرك بالله شيئا دخل الجنة (6) قال قلت وان زنى وان سرق (7) قال وان زنى وان سرق (وعنه من طريق ثان) (8) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا أبا ذر اي جبل هذا؟ قلت أحدد يا رسول الله قال والذي نفسي بيده ما يسرني أن لي ذهبا قطعا أنفقه في سبيل الله ادع منه قيراطا قال قلت قنطارا يا رسول الله قال قيراطا قالها ثلاث مرات ثم قال يا ابا ذر انما أقول الذي أقل (9) ولا اقول الذي هو أكثر (وعنه من طريق ثالث) (10) قال ما يسرني أن لي أحدا ذهبا أموت يوم أموت وعندي منه دينار أو نصف دينار إلا أن أرصده لغريم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৭. আবূ আসমা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু যার (রা)-এর নিকট প্রবেশ করেন, তিনি তখন মদীনার 'রাবযা' নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। তার সাথে ছিলো জনৈক কালো ক্ষুধার্ত ক্লান্ত মহিলা আর তার শরীরে জাফরান দ্বারা রং করা সাজ-সজ্জা ও সুগন্ধি ছিল না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবু যার (রা) বললেন, তোমরা লক্ষ্য কর, কালো মহিলা আমাকে কি নির্দেশ দিচ্ছে। সে আমাকে নির্দেশ দিচ্ছে যে, আমি যেন ইরাকে যাই। পরে আমি যখন ইরাকে যাই, তখন আমি ভয় করছিলাম যে, সম্পদ দ্বারা হয়তো আমি দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বো, অথচ আমার বন্ধু মুহাম্মদ (ﷺ) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, জাহান্নামের উপরের সেতু অতিক্রম করতে হবে, যা মসৃণ ও পিচ্ছিল, আমাকে সেখানে যেতে হবে এবং যা অতিক্রম করে মুক্তি পাওয়ার প্রস্তুতি আমাদের সামান্য রয়েছে। আর আমরা শুধু ঘোড়া ও খচ্চরের মাধ্যমে তা অতিক্রম করব।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن أبي أسماء أنه دخل على أبي ذر رضي الله وتبارك وتعالى عنه وهو بالربذة (13) وعنده امرأته سوداء مسغبة (14) ليس عليها أثر المجاسد (1) ولا الخلوق قال فقال لا تنظرون إلى ما تأمرني به هذه السويداء تأمرني أن آتي العراق فإذا اتيت العراق مالوا علي بدنياهم (2) وان خليلي صلى الله عليه وسلم عهد إلى ان دون جسر جهنم (3) طريقا ذا دحض (4) ومزلة وأنا نأتي عليه وفي أحمالنا اقتدار (5) أحرى أن ننجو عن أن تأتي عليه ونجن مواقير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৮. মু'য়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাকে ইয়ামনে পাঠান, তখন বলেছিলেন, বিলাসিতা ও প্রাচুর্য থেকে সাবধান থাকবে, আল্লাহর বান্দাগণ প্রাচুর্য অবলম্বন করে না।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن معاذ بن جبل أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لما بعث به إلى اليمن قال اياك والتنعيم (8) فإن عباد الله ليسوا بالمتنعمين
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও চাকচিক্য থেকে বিরত থাকা
৯. আবি 'আসিব (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসুলুল্লাহ (ﷺ) রাতে বের হলেন এবং আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে আমাকে তার নিকট ডাকলেন। তখন আমি বের হলাম। এরপর আবু বকর (রা) নিকট দিয়ে অতিক্রম কালে তাকে ডাকলেন এবং তিনি তাঁর কাছে বের হয়ে আসলেন। তারপর 'উমর (রা)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম কালে তাকেও ডাকলেন এবং তিনিও বের হয়ে আসলেন। এরপর চলতে চলতে তিনি শেষ পর্যন্ত কোন এক আনসারের দেয়াল পর্যন্ত পৌছলেন এবং দেয়ালের মালিককে বললেন, আমাদেরকে কাঁচা-পাকা ও শুকনা খেজুর খেতে দাও। সে গিয়ে একটি খেজুরের কাঁদি নিয়ে আসলো এবং তা তাদের সামনে রাখলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ তা খেলেন। তারপর তিনি তাকে ঠান্ডা পানি আনতে বললেন। তিনি পানি পান করে বললেন, তুমি কিয়ামতের দিন এ সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর 'উমর (রা) খেজুরের কাঁদিটি হাতে নিলেন এবং তা মাটিতে আঘাত করলেন, তাতে কাঁচা খেজুরগুলো রাসূলের (ﷺ) সামনে ছড়িয়ে পড়লো। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। এ সম্পর্কেও কি আমরা কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে তিনটি জিনিস ব্যতীত, এক টুকরা কাপড়, যা দিয়ে কোন ব্যক্তি তার সতর ডাকে, এক খণ্ড রুটি যা দিয়ে তুমি ক্ষুধা নিবারণ কর এবং ঠান্ডা ও রৌদ্র থেকে বাঁচার জন্য তুমি যে কামরায় বসবাস কর।
অন্য বর্ণনায়, জাবির ইবন 'আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমার নিকট নবী করিম (ﷺ) 'আবু বকর (রা) ও 'উমর (রা) আসলেন। তখন আমি তাদের জন্য তাজা খেজুর ও পানির ব্যবস্থা করলাম। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, এসব নিয়ামত সম্পর্কে কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب في الزهد في الدنيا وزخرفها ونعيمها
عن أبي عسيب قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلا فمر بي فدعاني اليه فخرجت ثم مر بأبي بكر فدعاه فخرج إليه ثم مر بعمر فدعاه فخرج إليه فانطلق حتى دخل حائطا لبعض الأنصار فقال لصاحب الحائط اطعمنا بسرا (10) فجاه بعذق فوضعه فأكل فأكل رسول الله صلى الله عليه وسلم وأصحابه ثم دعا بماء بارد فشرب فقال لتسئلن عن هذا يوم القيامة قال فأخذ عمر العذق فضرب به الأرض حتى تناثر البسر قبل رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال يا رسول أئنا لمسئولون عن هذا يوم القيامة؟ قال نعم إلا من ثلاث خرقة كف بها الرجل عورته (11) أو كسرة سد بها جوعته أو حجرا (12) يتدخل فيه من الحر والقر
عن جابر بن عبد الله) (1) قال أتاني النبي صلى الله عليه وسلم وأبو بكر وعمر فأطعمتهم رطبا واسقيتهم ماءا فقال النبي صلى الله عليه وسلم هذا من النعيم الذي تسألون عنه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১০. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছে, যাকে প্রয়োজন মাফিক রিযিক দান করা হয়েছে এবং যে আল্লাহ যা দিয়েছে তাতেই পরিতুষ্ট থেকেছে, সে-ই সফলকাম হয়েছে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن عبد الله بن عمرو بن العاص أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قد أفلح من اسلم ورزق كفافا (3) وقنعه الله بما آتاه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১১. ফুদালা ইবনে উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী করিম (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن فضالة بن عبيد) (4) عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১২. উছমান ইবনে 'আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ঠাণ্ডা ও শীত নিবারণের জন্য একটি ঘর, শুকনো রুটি, সতর ঢাকার জন্য এক টুকরো কাপড় এবং পানি এর অতিরিক্ত কোন জিনিসে আদম সন্তানের কোন অধিকার নেই। (অর্থাৎ হালালভাবে এসব ব্যবহার করলে এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা হবে না)।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن عثمان بن عفان أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال كل شيء سوي ظل بيت (6) وجلف الخبز وثوب يوارى عورته (7) والماء فما فضل عن هذا فليس لابن آدم فيهن حق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৩. উতবা ইবন আবদুস সুলামী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট পরিধানের বস্ত্র চেয়েছিলাম। তিনি তখন ফুলওয়ালা দুইটি বস্ত্র আমাকে পরিধান করালেন। এরপর তিনি আমাকে জামা দুটি পরিধান করতে দেখলেন, আর আমিই সকল সাহাবীদের মধ্যে উত্তম বস্ত্র পরিধানকারী ছিলাম।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن عتبة بن عبد السلمي قال استكسيت (10) رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم فكساني خيشتين (11) فلقد رأيتني البسهما وأنا من أكسي أصحابي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৪. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমির ইবন রাবী'য়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তাঁর পিতা ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে কোন এক অভিযানে পাঠিয়েছিলেন। আমার পিতা বললেন, হে প্রিয় বৎস! আমাদের নিকট পুরানো খেজুর খাদ্য সম্ভার ছাড়া আর কিছুই নেই। এরপর তিনি তা মুষ্টি মুষ্টি করে বণ্টন করলেন, শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন একজনকে একটি করে খেজুর দেয়া হলো। তখন আমি তাঁকে বললাম, হে পিতা। একটি খেজুর দিয়ে তোমাদের কি হতো? তিনি বললেন, হে বৎস। এমন কথা বলো না। এরপর আমরা একটি খেজুর পেতেও ব্যর্থ হলাম এবং তখন একটি খেজুর পাওয়ারও অভাব আমরা অনুভব করলাম।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن عبد الله بن عامر بن ربيعة عن أبيه وكان بدريا قال لقد كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يبعثنا في السرية يا بني مالنا زاد الا السلف من التمر فيقسمه قبضة قبضة حتى يصير إلى تمرة تمرة قال فقلت له يا أبت وما عسى أن تغني التمرة عنكم؟ قال لا تقل ذلك يا بني فبعد أن فقدناها فاختللنا اليها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৫. 'আবদুল্লাহ ইবন শাকীক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা)-এর সাথে মদীনায় এক বছর অবস্থান করেছিলাম। একদিন তিনি আমাকে বললেন, আমরা তখন 'আয়েশা (রা)-এর হুজরার নিকট উপস্থিত ছিলাম, তিনি আমাদেরকে দেখলেন তখন কালো ডোরা কাটা পোশাক ছাড়া আমাদের পরিধান কিছুই ছিল না। আমাদের কারও কারও দিনের পর দিন এমনভাবে কাটতো যে, খাওয়ার অভাবে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার ক্ষমতা ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমাদের কেউ কেউ পাথর পেটের নিচে দিয়ে তা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতেন, যাতে মেরুদণ্ড সোঁজা করে দাঁড়ানো যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন আমাদের মাঝে কিছু খেজুর বণ্টন করলেন, তাতে আমরা প্রত্যেকে সাতটি করে খেজুর খেলাম। আর সেগুলো ছিল শুকনো খেজুর। এতে আমি খুশী নই যে, আমার জন্য এর স্থানে উত্তম খেজুরের ব্যবস্থা হোক। তিনি বলেন, আমি বললাম, কেন? তিনি বললেন, তাহলে তা চর্বন করা আমার জন্য কঠিন হতো।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن عبد الله بن شقيق قال أقمت بالمدينة مع أبي هريرة سنة فقال لي ذات يوم ونحن عند حجرة عائشة رضي الله عنها لقد رأيتنا وما لنا ثياب إلا البرد (4) المتفتقة وإنا ليأتي على أحدنا الأيام ما يجد طعاما يقيم به صلبه حتى ان كان أحدنا ليأخذ الحجر فيشده على أخمص بطنه ثم يشده بثوبه ليقيم به صلبه فقسم رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم بيننا تمرا فأصاب كل انسان منا سبع تمرات فيهن خشفة (5) فما سرني ان لي مكانها تمرة جيدة قال قلت لم؟ قال تشد لي من مضغى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৬. 'আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা আমাকে রাসূলের সাথে দেখেছ, যখন অভাবের কারণে আমি আমার পেটে পাথর বেঁধেছি। আর আজ আমার সদকা বা যাকাতের পরিমাণ চল্লিশ হাজার দীনার পৌঁছেছে।
অন্য বর্ণনায় আছে, আমার মালের সদকা বা যাকাত চল্লিশ হাজার দীনারে পৌঁছেছে।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن علي رضي الله عنه قال لقد رأيتني مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وإني لأربط الحجر على بطني من الجوع وان صدقتي اليوم لأربعون الفا (وفي رواية وإن صدقة مالي لتبلغ أربعين الف دينار)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৭. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলের সাথে আমাদের খাদ্য ছিল মাত্র দুইটি কালো বর্ণের খেজুর এবং পানি। আল্লাহর শপথ! তোমাদের এ গম আমরা কখনও চোখে দেখিনি এবং সেটা কি, তাও আমরা অবগত নই। তেমনিভাবে রাসূলের সাথে আমাদের পোশাক ছিল বুরাওয়াদ অর্থাৎ ডোরা কাটা আরবের পোশাক।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن أبي هريرة قال انما كان طعامنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم الأسودان التمر والماء والله ما كنا نرى سمراءكم (1) هذه ولا ندري ما هي وإنما كان لباسنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم النمار (2) يعني برود الأعراب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৮. আবূ হিসবা মুসলিম ইবন উকায়স (র) থেকে বর্ণিত। তিনি আযাদকৃত গোলাম ছিলেন আবদুল্লাহর। তিনি আবু উবায়দা ইবনে জাররা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তাঁর নিকট প্রবেশ করেছে, সে উল্লেখ করেছে যে, সে আবু 'উবায়দা (রা) কে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পায়, তখন সে বলে, হে আবু 'উবায়দা। তুমি কাঁদছ কেন? তিনি বললেন, আমি এজন্য কাঁদছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন উল্লেখ করেন যে, আল্লাহ মুসলমানদেরকে বিজয় দেবেন এবং সন্ধিসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের ব্যবস্থা করবেন, শেষ পর্যন্ত তিনি সিরিয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি তোমার মৃত্যু দীর্ঘায়িত হয়। হে আবূ 'উবায়দা! তোমার জন্য তিনজন খাদেমই যথেষ্ট, একজন তোমার খিদমত করবে, একজন তোমার সফর সঙ্গী হবে এবং একজন তোমার পরিবারের খিদমত করবে। তিনি পুনরায় বললেন, তোমার জন্য তিনটি জন্তুই যথেষ্ট, একটি তোমার সফরের জন্য, একটি তোমার মালপত্র বহনের জন্য ও একটি তোমার গোলামের জন্য, এখন আমার ঘরের দিকে লক্ষ্য কর; দাসদাসীতে আমার ঘর পরিপূর্ণ হয়ে গেছে এবং দেখ, আমার অশ্বশালা পশুতে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। এরপর কিভাবে আমি রাসূলের (সা) সাথে মিলিত হবো? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে অসিয়ত করেছেন, তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় এবং সবচেয়ে আমার নিকটবর্তী হবে সে ব্যক্তি, যে আমার সাথে মিলিত হবে ঐ অবস্থায়, যে অবস্থায় আমি তাকে ছেড়ে এসেছি।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن أبي حسبة مسلم بن أكيس مولى عبد الله بن عامر عن أبي عبيدة بن الجراح رضي الله عنه قال ذكر من دخل عليه فوجده يبكي فقال ما يبكيك يا أبا عبيدة؟ فقال نبكي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر يوما ما يفتح الله على المسلمين ويفيء عليهم حتى ذكر الشأم فقال إن ينسأ في أجلك (4) يا أبا عبيدة فحسبك (5) من الخدم ثلاثة خادم يخدمك وخادم يسافر معك وخادم يخدم أهلك ويرد عليهم وحسبك من الدواب ثلاثة دابة لرحلك ودابة لثقلك (6) ودابة لغلامك ثم ها انذا انظر إلى بيتي قد امتلأ رقيقا وانظر إلى مربطي قد امتلأ دواب فكيف القى رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد هذا وقد أوصانا رسول الله صلى الله عليه وسلم إن احبكم إلي وأقربكم مني من لقيني على مثل الحال الذي فارقني عليها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
১৯. শাকীক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুয়াবিয়া (রা) তার মামা আবু হাশিম ইবনে 'উতবার অসুস্থ অবস্থায় তার সেবা করার জন্য তার নিকট প্রবেশ করেন, তখন তিনি কাঁদতে ছিলেন, মুয়াবীয়া (রা) তাকে বললেন, মামা আপনি কেন কাঁদছেন? রোগ যাতনায় আপনাকে অস্থির করে তুলেছে, নাকি দুনিয়ার প্রতি লোভ-লালসা? তিনি জবাব দিলেন, কোনটাই না, বরং আমার কান্নার কারণ এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি বলেন, হে আবুল হাশিম। সম্ভবত তুমি অনেক সম্পদের অধিকারী হবে যা কোন জাতির কাছ থেকে তোমাদের কাছে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু তোমার জন্য অতটুকু সম্পদ গ্রহণ করাই যথেষ্ট, তা হলো একটি খাদিম ও আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার জন্য একটি বাহন। অথচ আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আমি অনেক সম্পদ জমা করে ফেলেছি।
অন্য বর্ণনায়, আবূ ওয়ায়েল (রা) থেকে বর্ণিত। মু'য়াবীয়া 'আলী ইবনে আবি হাশেমের অসুস্থতার সময় তার নিকট প্রবেশ করেন, তিনি তখন কাঁদছিলেন। এরপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن شقيق قال دخل معاوية على خاله أبي هاشم بن عتبة يعوده قال فبكى قال فقال له معاوية ما يبكيك يا خال أوجعا يشئزك (8) أم حرصا على الدنيا؟ قال فقال فكلا (9) لا ولكن رسول الله صلى الله عليه وسلم عهد إلينا فقال يا أبا هاشم انها علها تدرك أموالا يؤتاها أقوام وانما يكفيك في جمع المال خادم ومركب في سبيل الله تبارك وتعالى وانى اراني قد جمعت (ومن طريق ثان) (10) عن أبي وائل قال دخل معاوية على أبي هاشم بن عتبة وهو مريض يبكي فذكر معناه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২০
সংযম, দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ যে সব বিষয়ে দুনিয়ার প্রতি কম আকর্ষণ ও অল্পে তুষ্ট থাকতেন, সে বিষয় সম্পর্কে
২০. হারিছা ইবন মুদাররিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাব্বাব (রা)-এর নিকট প্রবেশ করলাম। অসুখের কারণে তাকে সাতটি সেবা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমার জানা নেই যে, আমার চেয়ে কঠিন যন্ত্রণায় কেউ আক্রান্ত হয়েছে কিনা? আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে একথা বলতে না শুনতাম যে, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে, তাহলে আমি মৃত্যু কামনা করতাম। তোমরা আমাকে রাসূলের (ﷺ) সাথে থাকা অবস্থায় দেখেছ, আমি কোন দিরহামের মালিক ছিলাম না, অথবা আমার ঘরে এখন চল্লিশ হাজার দিরহাম, তিনি বলেন, এরপর তার জন্য কাফনের কাপড় আনা হলো, তা দেখে তিনি কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, কিন্তু হামযা (রা) (যিনি ওহোদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন) তিনি একখানা সাদা কালো চাদর ছাড়া কাফনের জন্য কিছুই পাননি। অবস্থা এমন হয়েছিল যে, যদি তা দিয়ে তার মাথা আবৃত করতাম, তখন তাঁর পা দু'টি বের হয়ে পড়তো। আর যদি পা দুটি ঢাকা হতো, তাহলে মাথা বের হয়ে যেত। এমতাবস্থায় তার মাথা ঢেকে পা দুটির ওপর ইযখির নামক ঘাস বিছিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
كتاب الزهد والتقليل من الدنيا والرضا بالكفاف
باب الترغيب فيما كان عليه النبي صلى الله عليه وسلم وأصحابه من التقليل في الدنيا والرضا منها بالكفاف
عن حارثة بن مضرب قال دخلت على خباب (2) وقد اكتوى سبعا فقال ما أعلم أحدا لقي من البلاء ما لقيت (3) لولا اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا يتمنى أحدكم الموت لتمنيته (4) ولقد رأيتني مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ما أملك درهما وان في جانب بيتي الآن لأربعين ألف درهم قال ثمم أتى بكفنه فلما رآه بكى وقال لكن حمزة (5) لم يوجد له كفن إلا بردة ملحاء إذا جعلت على رأسه قلصت (7) عن قدميه وإذا جعلت على قدميه قلصت على رأسه حتى مدت على رأسه (8) وجعل على قدميه الإذخر
tahqiq

তাহকীক: