মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১. আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ঈর্ষণীয় হলো সেই মুমিন ব্যক্তি যার অবস্থা খুবই হাল্কা অর্থাৎ স্বল্প সম্পদ ও ক্ষুদ্র পরিবার বিশিষ্ট। যে নামাযে গভীর মনোযোগী এবং আল্লাহর ইবাদতে সবচেয়ে নিম্ন। মানুষের মাঝে অখ্যাত, আঙ্গুল নিয়ে মানুষ তার প্রতি ইশারা করে না, অর্থাৎ মানুষ তাকে কোন গুরুত্ব দেয় না। হঠাৎ তার মৃত্যু হয়, তার পরিত্যক্ত সম্পদও কম, তাই তার জন্য বিলাপকারীর সংখ্যাও কম।
كتاب الفقر والغنى
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن ابي أمامة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان أغبط أوليائي (وفي رواية ان اغبط الناس) عندي (2) مؤمن خفيف الحاذ (3) ذو حظ من صلاة أحسن عبادة ربه وكان في الناس غامضا (4) لا يشار إليه بالأصابع (5) فعجلت منيته (6) وقل تراثه وقلت بواكيه

তাহকীক:
হাদীস নং: ২
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
২. বারা' সালিতী, তিনি নুকাদা আল-আসাদী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি উষ্ট্রী ধার আনার জন্য পাঠান, কিন্তু সে ব্যক্তি তাঁকে ধার দিলো না। অতঃপর তিনি আমাকে আরেক ব্যক্তির নিকট পাঠান, সে তাঁর জন্য একটি উষ্ট্রী পাঠিয়ে দিলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নুকাদাকে উষ্ট্রীটি চালিয়ে আসতে দেখেন, তখন বলেন, হে আল্লাহ্! তুমি এতে বরকত দাও এবং যে ব্যক্তি এটা পাঠিয়েছে তাকেও বরকত দান কর। নুকাদা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললাম, যে ব্যক্তি এই উষ্ট্রী নিয়ে এসেছে, তার জন্যও দু'আ করুন। এরপর তিনি নির্দেশ দিলে উন্ত্রীর দুধ দোহন করা হলো এবং তা পরিমাণে পর্যাপ্ত হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আল্লাহ্। অমুক ব্যক্তির ধন ও সন্তান বৃদ্ধি করুন। আর সে ছিল প্রথম নিষেধকারী। আর যে ব্যক্তি উষ্ট্রীটি পাঠিয়েছে তাকে দৈনিক হারে রিযিক দিন। অর্থাৎ উটের মালিক, যে তা পাঠিয়েছে।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن البراء السليطي عن نقادة الأسدي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان بعث نقادة الأسدي إلى رجل يستمنحه (8) ناقة له وأن الرجل رده فأرسل به إلى رجل آخر سواه فبعث إليه بناقة فلما أبصر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم قد جاء بها نقادة يقودها قال اللهم بارك فيها وفيمن أرسل بها قال نقادة يا رسول الله وفيمن جاء بها قال وفيمن جاء بها فأمر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم فحلبت فدرت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم أكثر مال فلان وولده يعني المانع (1) الأول اللهم اجعل رزق فلان يوما بيوم يعني صاحب الناقة الذي ارسل بها

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৩. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, হে আল্লাহ্! আমার পরিবারকে (আবদুল মুত্তালিবের বংশধরকে) ন্যূনতম প্রয়োজন পরিমাণ রিযিক দান করুন।
(তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায়) হে আল্লাহ্। আপনি মুহাম্মাদের (ﷺ) পরিবারকে কেবল জীবন ধারণোপযোগী পরিমাণ রিযিক দান করুন।
(তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায়) হে আল্লাহ্। আপনি মুহাম্মাদের (ﷺ) পরিবারকে কেবল জীবন ধারণোপযোগী পরিমাণ রিযিক দান করুন।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اللهم (3) أجعل رزق آل بيتي (4) قوتا (وعنه من طريق ثان) (5) بلفظ اللهم اجعل رزق آل محمد (6) قوتا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৪. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন ধনী-গরীব প্রত্যেকেই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করবে যে, তাদেরকে যদি পৃথিবীতে জীবন ধারণোপযোগী রিযিক দান করা হতো। ইয়ালী ইবন ইয়াযীদ বলেন, প্রয়োজন অনুপাতে।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن أنس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من أحد يوم القيامة غني ولا فقير الا ود انما كان أوتي من الدنيا قوتا قال يعلي في الدنيا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৫. ফুদালা ইবন 'উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মানুষের সাথে নামায পড়তেন, তখন ক্ষুধা ও দুর্বলতার কারণে লোকেরা দাঁড়ানো থেকে পড়ে যেতো। আর তারা ছিলেন আসহাবে সুফ্ফাহ। তাদের এ অবস্থা দেখে আরবের মরুবাসিরা বলতো এরা পাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করে তাদের নিকট গিয়ে বলতেন, তোমরা যদি জানতে, আল্লাহর নিকট তোমাদের জন্য কি পুরস্কার রাখা হয়েছে, তাহলে তোমরা অধিক ভালবাসতে যে, তোমাদের অভাব ও প্রয়োজন আরো বেড়ে যাক। ফুদালা (রা) বলেন, সেদিন আমি রাসূলুল্লাহ  (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن فضالة بن عبيد قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا صلى بالناس خر رجال من قامتهم (1) في الصلاة لما بهم من الخصاصة (2) وهم من أصحاب الصفة (3) حتى يقول الأعراب إن هؤلاء مجانين فإذا قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم الصلاة انصرف إليهم فقال لهم لو تعلمون مالكم عند الله عز وجل لأحببتم لو أنكم تزدادون حاجة وفاقة قال فضالة وأنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يومئذ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৬. মাহমুদ ইবনে লাবীদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, দুটি জিনিস সচরাচর বনি আদম অপছন্দ করে থাকে। একটি হলো- মৃত্যু; অথচ মুমিনদের জন্য ফিতনার চেয়ে মৃত্যু কল্যাণকর। অন্যটি হলো সম্পদ কম হওয়া। কারণ সম্পদ কম হলে হিসাব সহজ করা হবে।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن محمود بن لبيد أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اثنتان يكرهما ابن آدم (5) الموت والموت خير للمؤمن من الفتنة ويكره قلة المال وقلة المال أقل للحساب

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৭. আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (ﷺ) বলেন, একদা মূসা (আ) বলেন, হে আমার রব। তুমি তোমার মুমিন বান্দাকে দুনিয়াতে কম রিযিক দিয়ে থাক। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মুসার জন্য জান্নাতের দরজা খুলা হয়, যাতে মুসা দেখতে পান, আল্লাহ যে মুমিন বান্দার জন্য কি নিয়ামত প্রস্তুত করে রেখেছেন। তখন মূসাকে বলা হবে, এসব তার জন্য তৈরী করে রাখা হয়েছে। তখন মূসা (আ) বলবেন, আমার রব। মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব তোমারই। যদি মুমিন বান্দার হাত পা কাটা থাকে এবং সে মুখের উপর ভর করে জন্ম থেকে কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকে, তারপর তার ঠিকানা এ জান্নাত হয়, তাহলেও সে কোন কষ্ট অনুভব করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর মূসা (আ) বললেন, হে আমার রব! আপনি তো কাফির বান্দাহকে দুনিয়াতে প্রচুর রিযিক দান করেছেন। তখন তার জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে মূসা (আ) কে বলা হয়, হে মুসা! এটা আমি তার জন্য তৈরী করে রেখেছি। তখন মূসা বললেন, হে আমার রব! আপনার ইজ্জত ও মহত্বের শপথ করে বলছি। যেদিন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেদিন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যদি পুরা দুনিয়াই তার হয় এবং তার প্রত্যাবর্তন এ জাহান্নামে হয়, তাহলে সে কোন কল্যাণ লাভ করেনি।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن أبي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال إن موسى عليه الصلاة والسلام قال أي رب عبدك المؤمن تقتر عليه في الدنيا قال فيفتح له باب الجنة (8) فينظر إليها قال يا موسى هذا ما أعددت له فقال موسى أي رب وعزتك وجلالك لو كان أقطع اليدين والرجلين يسحب على وجهه منذ يوم خلقته إلى يوم القيامة وكان هذا مصيره لم ير بؤسا قط قال ثم قال موسى أي رب عبدك الكافر توسع عليه في الدنيا قال فيفتح له باب من النار (9) فيقال يا موسى هذا ما أعددت له فقال موسى أي رب وعزتك وجلالك لو كانت له الدنيا منذ يوم خلقته إلى يوم القيامة وكان هذا مصيره كان لم ير خيرا قط

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৮. সিমাক ইবন হারব (রা) থেকে বর্ণিত। একদা নু'মান ইবনে বশির (রা) কুফার মসজিদের মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! নবী করিম (ﷺ) অথবা তিনি বলেন, তোমাদের নবী (ﷺ) নিম্নমানের খেজুর খেয়ে পরিতৃপ্ত হতেন, অথচ তোমরা খুরমা ও মাখনের বিভিন্ন প্রকার খাদ্য ব্যতীত সন্তুষ্ট হও না।
(তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায়:) তিনি নু'মান ইবন বশিরকে খুতবা দিতে শুনেছেন, তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা'আলার। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর এমন মাস অতিক্রম হয়েছে যে, তিনি ক্ষুধার তাড়ণায় অস্থির থাকতেন এবং নিম্নমানের একটি খেজুর খেয়েও তৃপ্তি লাভ করতে পারতেন না।
(তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায়:) তিনি নু'মান ইবন বশিরকে খুতবা দিতে শুনেছেন, তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা'আলার। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর এমন মাস অতিক্রম হয়েছে যে, তিনি ক্ষুধার তাড়ণায় অস্থির থাকতেন এবং নিম্নমানের একটি খেজুর খেয়েও তৃপ্তি লাভ করতে পারতেন না।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن سماك بن حرب قال حدثنا النعمان ابن بشير يقول على منبر الكوفة والله ما كان النبي صلى الله عليه وسلم أو قال نبيكم عليه السلام يشبع من الدقل (2) وما ترضون دون الوان التمر والزبد (وعنه من طريق ثان) (3) أنه سمع النعمان بن بشير يخطب وهو يقول أحمد الله تعالى فربما أتى على رسول الله صلى الله عليه وسلم الشهر يظل يتلوى ما يشبع من الدقل

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
৯. আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিবারের জন্য কখনো উত্তম যবের রুটির ব্যবস্থা হয়নি।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن أبي أمامة قال ما كان يفضل (5) على أهل بيت رسول الله صلى الله عليه وسلم خبز الشعير

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: সৎকর্মশীলের সাথে গরীব হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১০. আবুল 'আলা ইবনে শিখখীর (রা) থেকে বর্ণিত। বনি সালিমের কোন ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করেন, আমি তার পরিচয় জানতে পারিনি, তবে রাসূলুল্লাহ  (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা তার বান্দাকে যে রিযিক প্রদান করেন, এ ব্যাপারে তাকে পরীক্ষা করা হবে। (অর্থাৎ সে তা কোন পথে ব্যয় করে)। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য যেভাবে বণ্টন করেন, সে যদি তাতে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে তার সে সম্পদে আল্লাহ বরকত দান করেন। আর যে ব্যক্তি তাতে সন্তুষ্ট থাকবে না, তার জন্য বরকত দান করবেন না।
كتاب الفقر والغنى
باب الترغيب في الفقر مع الصلاح
عن أبي العلاء بن الشخير حدثني أحد بني سليم ولا أحسبه إلا قد رأى رسول الله صلى الله عليه وسلم (7) أن الله تبارك وتعالى يبتلي عبده بما أعطاه (8) فمن رضى بما قسم الله عز وجل له بارك الله له فيه ووسعه ومن لم يرض لم يبارك له

তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১১. 'আবদুল্লাহ ইবন 'উমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন একদিন বলেন, আর আমরা তখন তাঁর পাশেই ছিলাম, অপরিচিতদের জন্য শুভ সংবাদ! (অর্থাৎ জান্নাত) এরপর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, অপরিচিত কারা? তিনি বললেন, অসংখ্য খারাপ লোকদের মাঝে কিছু সংখ্যক সৎলোক, যাদের মধ্যে আনুগত্য কারীদের চেয়ে অমান্যকারীদের সংখ্যা অধিক। তিনি বললেন, অন্য এক দিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ছিলাম, যখন সূর্য উদিত হলো, তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, কিয়ামতের দিন আমার কিছু উম্মতদের উপস্থিত করা হবে, যাদের চেহারা হবে সূর্যের কিরণের মত। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তারা কারা? অন্য বর্ণনায়, আবু বকর (রা) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমরাই কি সে দল? তিনি উত্তর দেন, না। তোমাদের জন্য অনেক কল্যাণ রয়েছে। তখন তিনি বলেন, হিজরতকারী গরীব মানুষেরা বিপদের সময় যাদের দ্বারা নিরাপত্তা পায়, তাদের কেউ মৃত্যুবরণ করেছে অথচ তার প্রয়োজন তার অন্তরেই বিদ্যমান রয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাদেরকে কিয়ামতের দিন একত্র করা হবে।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم ونحن عنده طوبى (10) للغرباء فقيل من الغرباء يا رسول الله؟ قال أناس صالحون في أناس سوء كثير من يعصيهم أكثر ممن يطيعهم قال وكنا عند رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما آخر حين طلعت الشمس فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم سيأتي اناس من أمتي يوم القيامة نورهم كضور الشمس قلنا من أولئك يا رسول الله؟ (وفي رواية فقال أبو بكر نحن هم يا رسول الله؟ قال لا ولكم خير كثير) فقال فقراء المهاجرين الذين تتقى بهم المكارة يموت أحدهم وحاجته في صدره يحشرون من أقطار الأرض

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১২. 'আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবনে 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন মুহাজির ফকীর ব্যক্তিগণ ধনীদের চেয়ে চল্লিশ বছর পূর্বে জান্নাতে পৌছে যাবে, 'আবদুল্লাহ বললেন, তোমরা চাইলে আমার নিকট যা আছে, আমি তা তোমাদেরকে দান করব, তোমরা চাইলে বাদশাহর নিকট আমি তোমাদের আলোচনা করব, একথা শুনে তারা বললো, আমরা ধৈর্য ধারণ করব, আমরা কিছুই চাইব না।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
وعنه أيضا قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان فقراء المهاجرين يسبقون الأغنياء يوم القيامة بأربعين خريفا (2) قال عبد الله فإن شئتم أعطيناكم مما عندنا وان شئتم ذكرنا أمركم للسلطان قالوا فإنا نصبر فلا نسأل شيئا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১৩. আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি জান্নাতে প্রবেশ করে এক ব্যক্তিকে দেখতে পাই ক্ষীণ শব্দে আমার সামনে চলছে। আমি বললাম, তুমি কে? সে বললো, আমি বেলাল। তিনি বলেন এরপর আমি চললাম এবং দেখলাম, জান্নাতের অধিকাংশ অধিবাসী মুহাজির ফকীরগণ এবং মুসলমানদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানগণ। তবে নারী ও ধনীদের মধ্যে ন্যূনতম কাকেও দেখলাম না। তখন আমাকে বলা হলো। ধনীগণ দরজার পাশে রয়েছে, তাদের কাছ থেকে হিসাব নেওয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে পরিশোধন করা হচ্ছে। আর নারীগণ স্বর্ণ ও রেশমী পোশাকের লোভে আটকা পড়েছে। তিনি বলেন, এরপর আমি জান্নাতের আট দরজার এক দরজা দিয়ে বের হলাম। আমি যখন দরজার কাছে ছিলাম, তখন একটি বাটখারা নিয়ে আসা হলো, তা এক পাল্লায় রাখা হলো, আর আমার উম্মতকে এক পাল্লায় রাখা হলো, আমার উম্মতের পাল্লাটি নুয়ে পড়লো। তারপর আবু বকর (রা) কে উপস্থিত করা হলো, তাকে এ পাল্লায় রাখা হলো। আর আমার সমস্ত উম্মতকে এক পাল্লায় রাখা হলো, তাঁর পাল্লাটি নুয়ে পড়লো বা ভারী হলো। তারপর 'উমর (রা) কে আনা হলো এবং তাকে এক পাল্লায় রাখা হলো, আর সকল উম্মতকে এক পাল্লায় রাখা হলে 'উমর (রা)-এর পাল্লাটি ভারী হলো। তারপর আমার উম্মতের একজন একজন করে উপস্থাপন করা হলো। এরপর তারা অতিক্রম করেছিল, কিন্তু 'আবদুর রহমান খুব ধীর গতিতে চলছিলেন, তখন আমি হতাশ হয়ে পড়লে সে ফিরে আসে। আমি বললাম, আবদুর রহমান। তোমার কি হয়েছে? সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, যিনি আপনাকে সত্য দীন সহকারে পাঠিয়েছেন, আমি আপনার নিকট উপস্থিত হতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত আমি ধারণা করেছিলাম যে, বার্ধক্য অবস্থার পর ছাড়া আমি আপনাকে দেখতে পাব না। রাসূল (ﷺ) বললেন, এর কারণ কি? 'আবদুর রহমান বললেন, আমার অধিক সম্পদের কারণে আমার দীর্ঘ হিসাব হবে এবং পরিশুদ্ধ করা হবে, যে কারণে আমার জান্নাতে প্রবেশে দেরী
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
حدثنا الهذيل بن ميمون الكوفي الجعفي كان يجلس في مسجد المدينة يعني مدينة أبي جعفر قال عبد الله (4) هذا شيخ قديم كوفي عن مطرح (5) بن يزيد عن عبيد الله بن زحر (6) عن علي بن يزيد عن القاسم (يعني ابن عبد الرحمن) عن أبي أمامة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم دخلت الجنة فرجدت فيها خشفة (7) بين يدي فقلت ما هذا؟ قال بلال قال فمضيت فإذا أكثر أهل الجنة فقراء المهاجرين وذرارى المسلمين ولم أر أحدا أقل من الأغنياء والنساء والنساء فقيل لي أما الأغنياء فهم هاهنا بالباب يحاسبون ويمحصون وأما النساء فألهاهن الأحمران الذهب والحرير قال ثم خرجنا من أحد أبواب الجنة الثمانية فلما كنت عند الباب أتيت بكفة فوضعت فيها ووضعت أمتي في كفة فرجحت بها ثم أتى بأبي بكر رضي الله عنه فوضع في كفة وجيئ بجميع أمتي في كفة فوضعوا فرجح أبو بكر رضي الله عنه وجيئ بعمر فوضع في كفة وجيء بجميع أمتي فرجح عمر رضي الله عنه وعرضت أمتي رجلا رجلا فجعلوا يمرون فاستبطأت عبد الرحمن بن عوف ثم جاء بعد الإياس فقلت عبد الرحمن فقال بأبي وأمي يا رسول الله والذي بعثك بالحق ما خلصت إليك حتى ظنن أني لا أنظر إليك أبدا إلا بعد المشيبات قال وما ذاك؟ قال من كثرة مالي أحاسب وأمحص

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১৪. আব্বাস ইবনে সালিম আল-লাখমী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'উমর ইবনে 'আবদুল 'আযীয (র) আমাকে আবু সালাম হাবশীর নিকট ডেকে পাঠান। আমি খচ্চরের পিঠে সওয়ার হয়ে হাওযে কাওছার সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য তার নিকট গমন করি। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গোলাম ছাওবানকে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, আমার হাওয 'এডেন থেকে আয়লা' পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, এর পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। এর পাত্র সংখ্যা হবে আকাশের তারকারাজির সমান। যে কেউ এ হাওয থেকে এক ঢোক পানি পান করবে, সে আর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। দরিদ্র মুহাজিরগণ সর্বপ্রথম এর পানি পানের সৌভাগ্য লাভ করবে। তখন 'উমর ইবন খাত্তাব (রা) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। এরা কারা? তিনি বললেন, যাদের মাথার চুল এলোমেলো, পোশাক নোংরা, যারা ধনবান পরিবারের মেয়েদের বিবাহ করতে পারেনি, যাদের আপ্যায়নের জন্য ঘরের দরজাসমূহ খোলা হয়নি। এরপর 'উমর ইবনে 'আবদুল 'আযীয (র) বললেন, আমি তো ধনীর দুলালী বিবাহ করেছি, আমার জন্য সব দরজাই তো উন্মুক্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ্ আমার উপর দয়া করেছেন। আল্লাহর শপথ! এখন থেকে আমি আমার চুল এলোমেলো না হওয়া পর্যন্ত তেল দিব না এবং আমি আমার পরিধেয়ের বস্ত্র ময়লাযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ধৌত করবো না।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
عن العباس بن سالم اللخمي قال بعث عمر بن عبد العزيز إلى أبي سلام الحبشي فحمل إليه على البريد ليسأله عن الحوض فقدم به عليه فسأله فقال سمعت ثوبان (3) يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن حوضى من عدن إلى عمان البلقاء ماؤه أشد بياضا من اللبن وأحلى من العسل وأكاويبه عدد النجوم من شرب منه شربة لم يظمأ بعدها أبدا أول الناس ورودا عليه فقراء المهاجرين فقال عمر بن الخطاب من هم يا رسول الله؟ قال هم الشعث (4) رءوساء الدنس ثيابا الذين لا ينكحون المتنعمات (5) ولا تفتح لهم أبواب السدد (6) فقال عمر بن عبد العزيز لقد نكحت المتنعمات وفتحت لي السدد (7) إلا ان يرحمني الله والله لا جرم أن لا أدهن رأسي حتى يشعث ولا أغسل ثوبي الذي يلي جسدي حتى يتسخ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১৫. আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি। তোমরা আমার সন্তুষ্টি নিঃস্ব দুর্বলদের মধ্যে অন্বেষণ কর। কেননা, তোমরা তাদের ওসীলায় সাহায্য ও রিযিকপ্রাপ্ত হও।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
عن أبي الدرداء قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ابغوني (2) ضعفائكم فإنكم انما ترزقون وتنصرون بضعفائكم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১৬. 'আয়িয ইবন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত। একদা সালমান (রা) সুহায়ব) ও বিলাল (রা) একদল লোকের সাথে বসা ছিলেন। তখন আবু সুফিয়ান (রা) তাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাঁরা বললেন, আল্লাহর তরবারীসমূহ আল্লাহর দুশমনদের গর্দানে কি যথাসময়ে আঘাত করেনি? আবু বকর (রা) বললেন, তোমরা কি একজন প্রবীণ কুরায়শ নেতা সম্পর্কে এমন কথা বলছ? তিনি নবী করিম (ﷺ) কে এ কথাটি অবহিত করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু বকর। তুমি বোধ হয় তাকে তাদের বিরুদ্ধে রাগিয়েছ। যদি তাদের রাগিয়ে থাক, তাহলে তুমি তোমার রবকেই রাগিয়েছ। এরপর আবু বকর (রা) তাঁদের কাছে এসে বললেন, হে ভাই সকল। আমি তোমাদেরকে রাগিয়েছি, তাই না? তারা বললেন, না, হে আবু বকর। আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিন।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
عن عائد بن عمرو أن سلمان وصهيبا وبلالا كانوا قعودا في أناس فمر بهم أبو سفيان ابن حرب فقالوا ما أخذت سيوف الله تبارك وتعالى من عنق عدو الله مأخذها بعد (4) فقال أبو بكر اتقولون هذا لشيخ قريش وسيدها؟ قال فاخبر بذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا أبا بكر لعلك أغضبتهم فلئن كنت أغضبتهم لقد اغضبت ربك تبارك وتعالى (5) فرجع إليهم فقال أي أخوتنا لعلكم غضبتم؟ فقالوا لا يا أبا بكر يغفر الله لك

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গরীব ও মিসকিনদের ফযীলত এবং তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদের সাথে মেলামেশার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৭. আবু বকর ছিদ্দিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দরিদ্র মু'মিনগণ ধনীদের তুলনায় চারশত বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হাসান উল্লেখ করেছেন, চল্লিশ বছর পূর্বে। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন কোন সাহাবী বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, চারশত বছর পূর্বে। বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে ধনী ব্যক্তি বলবে, আফসোস। আমি যদি দরিদ্র হতাম।
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তাদের নাম আমাদের বলে দিবেন? রাসূল (ﷺ) বললেন, তারা হলো-যদি অপছন্দনীয় কিছু ঘটে অর্থাৎ যুদ্ধ বিগ্রহ হয় তাহলে তাদের জন্য পাঠানো হবে। আর যদি গনীমতের মাল পাওয়া যায় তাহলে তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের কাছে পাঠানো হবে এবং তাদেরকে জান্নাতের দরজায় আটকে দেয়া হবে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। তাদের নাম আমাদের বলে দিবেন? রাসূল (ﷺ) বললেন, তারা হলো-যদি অপছন্দনীয় কিছু ঘটে অর্থাৎ যুদ্ধ বিগ্রহ হয় তাহলে তাদের জন্য পাঠানো হবে। আর যদি গনীমতের মাল পাওয়া যায় তাহলে তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের কাছে পাঠানো হবে এবং তাদেরকে জান্নাতের দরজায় আটকে দেয়া হবে।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل الفقراء والمساكين والترغيب في حبهم ومجالستهم
حدثنا محمد بن جعفر ثنا شعبة عن زيد أبي الحوارى عن أبي الصديق (7) عن اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال يدخل فقراء المؤمنين الجنة قيل أغنيائهم بأربعمائة عام قال فقلت ان الحسن يذكر أربعين عاما (8) فقال عن أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم عن النبي صلى الله عليه وسلم أربعمائة عام قال حتى يقول الغني يا ليتني كنت عيلا قال قلنا يا رسول الله سمهم لنا بأسمائهم؟ قال هم الذين إذا كان مكروه بعثوا له وإذا كان مغتم بعث إليه سواهم وهم الذين يحجبون عن الأبواب

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গরীব ও মিসকিনদের ফযীলত এবং তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদের সাথে মেলামেশার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৮. আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দরিদ্র মুমিনগণ ধনীদের তুলনায় অর্ধ দিন আগে বেহেশতে প্রবেশ করবে। আর অর্ধ দিনের পরিমাণ হবে পাঁচশত বছর।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل الفقراء والمساكين والترغيب في حبهم ومجالستهم
عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخل فقراء المسلمين الجنة قبل أغنيائهم بنصف يوم وهو خمسمائة عام

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গরীব ও মিসকিনদের ফযীলত এবং তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদের সাথে মেলামেশার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৯. আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ  (ﷺ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের সংবাদ দেব না? জান্নাতবাসী হলো প্রত্যেক দুর্বল, অক্ষম ব্যক্তি, যাকে লোকেরা তুচ্ছ মনে করে, এলোমেলো চুল ও ছিন্ন বস্ত্র পরিধানকারী ব্যক্তি। সে যদি আল্লাহর কাছে শপথ করে কিছু প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন। আর জাহান্নামবাসীগণ হলো- প্রত্যেক গর্ব, অহংকারকারী সম্পদ জমাকারী ব্যক্তি, অধিকাংশ মানুষ ও আত্মীয়-স্বজন যার অনুসরণ করে থাকে।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل الفقراء والمساكين والترغيب في حبهم ومجالستهم
عن أنس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال ألا أخبركم بأهل النار وأهل الجنة؟ أما أهل الجنة فكل ضعيف متضعف أشعث ذي طمرين (3) لو أقسم على الله لأبره وأما أهل النار فكل جعظرى (4) جواظ جماع مناع ذي تبع

তাহকীক:
হাদীস নং: ২০
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: গরীব ও মিসকিনদের ফযীলত এবং তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদের সাথে মেলামেশার প্রতি উৎসাহ প্রদান
২০. আবু 'সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনসারদের এক মজলিসে ছিলাম। আমাদের কেউ কেউ নগ্নতা থেকে বাঁচার জন্য অন্যের আড়ালে ছিল এবং আমাদের মাঝে একজন পাঠক ছিল, সে আমাদের পাঠ করে শুনাচ্ছিল। আর আমরা আল্লাহর কিতাব থেকে শুনতে ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে এসে দাঁড়ালেন এবং আমাদের মাঝে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য বসে পড়লেন। তখন কারী পড়া বন্ধ করে দিলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি করছিলে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদের মধ্যে একজন কারী ছিল, সে আমাদেরকে আল্লাহর কিতাব পড়ে শুনাচ্ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হাতের ইশারা করে বললেন, তোমরা গোল হয়ে বস। তখন লোকেরা গোল হয়ে বসলো, এ সময় তিনি আমাকে ছাড়া অন্য কাকেও চিনতে পারেননি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি বললেন, হে ফকীরদের দল, তোমরা ধনীদের অর্ধ দিন পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে, অর্থাৎ পাঁচশত বছর পূর্বে।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل الفقراء والمساكين والترغيب في حبهم ومجالستهم
عن أبي سعيد الخدري قال كنت في حلقة من الأنصار وإن بعضنا ليستتر ببعض من العرى وقارئ لنا يقرؤ علينا فنحن نسمع إلى كتاب الله اذ وقف علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم وقعد فينا ليعد نفسه معهم فكف القارئ فقال ما كنتم تقولون؟ فقلنا يا رسول الله كان قارئ لنا يقرؤ علينا كتاب الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بيده وحلق بها يرمئ اليهم أن تحلقوا فاستدارت الحلقة فما رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم عرف منهم أحدا غيري قال فقال ابشروا يا معشر الصعاليك (7) تدخلون الجنة قبل الأغنياء بنصف يوم وذلك خمسمائة عام

তাহকীক: