মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

৩. তাক্বদীরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৭৯
তাক্বদীরের অধ্যায়
তাকদীর অধ্যায়ঃ

(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(১) আব্দুল্লাহ ইবন্ আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহপাক আকাশমণ্ডলী ও ভূখণ্ড সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে তাকদীরসমূহ নির্ধারণ করে রেখেছেন । (মুসলিম, তাবারানী ও তিরমিযী, তিনি হাদীসটি হাসান ও সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। )
كتاب القدر
(3) كتاب القدر 4
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(1) عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال سمعت
رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول قدر الله المقادير قبل أن يخلق السموات والأرض بخمسين ألف سنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪৪
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(২) উপরোক্ত বর্ণনাকারী থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা তাঁর সৃষ্টিজগতকে অন্ধকারে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি তাদের ওপর তাঁর নূর বা জ্যোতি বিকিরণ করেন। অনন্তর যে সৃষ্টি বা যারা ঐ সময় তাঁর নূর প্রাপ্ত হয়েছে তারা হিদায়াত প্রাপ্ত হয়েছে, অপরদিকে যে বা যারা তা (নূর) পায় নি, তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। এ কারণে আমি বলছি যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কলম শুকিয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ হিদায়াত প্রাপ্তি কিংবা ভ্রষ্টতা যার তাকদীরে যা কিছু আছে, তা আল্লাহর ইমের আওতাধীন। এই হাদীসে বর্ণিত 'অন্ধকার' বলতে তাকদীর সৃষ্টির পূর্বেকার ভাগ্য-সমতাকে বোঝানো হয়েছে। (তাবারানী, বায়হাকী ও তিরমিযী, তিনি হাদীসটি সহীহ বলে মন্তব্য করেন।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(2) وعنه أيضا قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن الله عز وجل خلق خلقه في ظلمة 1 ثم ألقى عليهم من نوره يومئذ فمن أصابه من نوره يومئذ اهتدى ومن أخطأه ضل فلذلك أقول جف القلم على علم الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৯৩
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৩) তাউস ইবন্ য়ামানী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে বহু লোককে বলতে শুনেছি যে, প্রতিটি বস্তু (অস্তিত্ব লাভ করে) সুনির্দিষ্ট কদর (তাকদীর) নিয়ে। বর্ণনাকারী বলেন, আর আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবন্ 'উমর (রা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি বস্তু সুনির্দিষ্ট কদর (তাকদীর)-এর সাথে যুক্ত। এমনকি অপারগতা ও সক্ষমতা (অর্থাৎ কোন কিছু করার শক্তি-সামর্থ এবং না পারার অপারগতাও তাকদীরের সাথে সংযুক্ত।) (মুসলিম, মালিক)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(3) وعن طاوس بن اليماني قال أدركت ناسا من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم يقولون كل شيء بقدر قال وسمعت ابن عمر (رضي الله عنهما) يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل شيء بقدر حتى العجز والكيس 2
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৮৮
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৪) আবুদ্ দারদা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা আদম (আ)-কে যখন সৃষ্টি করলেন তখন তাঁর (আদমের) ডান কাঁধে মৃদু আঘাত করলেন এবং তাঁর একদল শুভ্র বংশধরকে বের করে আনলেন- তাঁরা যেন পিপীলিকা সদৃশ (উজ্জ্বল) আবার আল্লাহ তাঁর (আদমের) বাম কাঁধে মৃদু আঘাত করলেন এবং একদল কৃষ্ণ বর্ণের বংশধর বের করে আনলেন তারা যেন কয়লা সদৃশ। অতঃপর আল্লাহ ডান দিকের বংশধরদের উদ্দেশ্যে বললেন, এরা জান্নাতী এবং আমি তাতে বেপরোয়া! আর বাম কাঁধের বংশধরদের উদ্দেশ্যে বললেন, এরা দোযখী এবং আমার তাতে কিছু যায় আসে না। (তাবারানী, ইবন্ আসাকির, আহমদ হাইছুমী ও তানকীহ গ্রন্থের লেখক আহমদের বর্ণনাকারীগণকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(4) وعن أبي الدرداء رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال خلق الله آدم حين خلقه فضرب كتفه اليمنى فأخرج ذرية بيضاء كأنهم الذر 1 وضرب كتفه اليسرى فأخرج ذرية سوداء كأنهم الحمم فقال للذي في يمينه إلى الجنة ولا أبالي وقال للذي في كفه اليسرى إلى النار ولا أبالي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০২৮৬
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৫) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয় কোন লোক (এমন দেখা যায় যে,) দীর্ঘ কালব্যাপী জান্নাতবাসীগণের ন্যায় আমল করতে থাকবে, কিন্তু আল্লাহ তার পরিসমাপ্তি ঘটাবেন দোযখবাসীদের আমলের মাধ্যমে এবং তাকে দোযখবাসী করে দিবেন এবং নিশ্চয় কোন লোক দীর্ঘকালব্যাপী দোযখবাসীদের আমলের ন্যায় আমল করবে, কিন্তু আল্লাহ তাঁর আমলের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন জান্নাতবাসীগণের আমল দ্বারা। (পরিশেষে) তাকে জান্নাতীগণের অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। (মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(5) وعن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن الرجل ليعمل الزمان الطويل بأعمال أهل الجنة ثم يختم الله له بأعمال أهل النار فيجعله من أهل النار وإن الرجل ليعمل الزمان الطويل بأعمال أهل النار ثم يختم الله له عمله بأعمال أهل الجنة فيجعله من أهل الجنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১৪
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৬) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, শেষ পরিণতি কী হয় তা না দেখে কারো সম্পর্কে তোমাদের পুলকিত কিংবা অবাক হওয়া উচিত নয়। কেননা, (এটা সত্য যে,) কোন আমলকারী তার জীবনের সুদীর্ঘকাল অথবা তার সময়কালের বিরাট অংশ নেক আমল করে কাটিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারতো। কিন্তু (পরবর্তীতে) সে উল্টে যায় এবং বদ আমল করতে থাকে। (অবশেষে তার পরিণতি হয় দোযখ), অপরদিকে (দেখা যায় যে,) আল্লাহ্ কোন বান্দা তার সময়কালের বিরাট অংশ বদ আমল করলো, যদি ঐ সময়ে তার মৃত্যু হতো, তবে সে দোযখে প্রবেশ করতো। (কিন্তু না) পরে সে প্রত্যাবর্তন করে এবং নেক আমল করতে থাকে এবং যখন আল্লাহ তা'আলা কোন বান্দার জন্য কল্যাণ চান তখন সেই বান্দাকে মৃত্যুর পূর্বে কল্যাণে নিয়োজিত করেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! কিভাবে তাকে কল্যাণে নিয়োজিত করবেন? উত্তরে তিনি বললেন, তাকে সৎ কর্মের তাওফীক দান করবেন। অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান। (তিরমিযী, এই হাদীসটিকে সহীহ্ বলেছেন। হাদীসটি আবূ ইয়ালা সাঈদ ইবন্ মনসুর, আব্দ ইবন্ হুমাইদ প্রমুখও বর্ণনা করেছেন।) -
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(6) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا عليكم ألا تعجبوا بأحد حتى تنظروا بم يختم له، فإن العامل يعمل زمانا طويلا من عمره أو برهة من دهره بعمل صالح لو مات عليه دخل الجنة، ثم يتحول
فيعمل عملا سيئا، وإن العبد ليعمل البرهة من دهره بعمل سيء لو مات عليه دخل النار ثم يتحول فيعمل عملا صالحا، وإذا أراد الله بعبد خيرا استعمله قبل موته، قالوا يا رسول الله وكيف يستعمله قال يوفقه لعمل صالح ثم يقبضه عليه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৭৬২
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৭) উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয় কোন ব্যক্তি (এরূপ আছে যে,) জান্নাতবাসী লোকদের ন্যায় সৎ আমল করছে, অথচ সে (আল্লাহ্) কিতাবে (তাকদীরে) দোযখবাসীদের অন্তর্গত। সুতরাং মৃত্যুর পূর্বে সে (তার পূর্ববর্তী আমল থেকে) প্রত্যাবর্তন করে এবং দোযখবাসীদের ন্যায় আমল করে। অতঃপর তার মৃত্যু হয় এবং দোযখে প্রবেশ করে এবং অবশ্যই কোন ব্যক্তি (এরূপ রয়েছে যে, দোযখবাসীদের ন্যায় আমল করে যাচ্ছে, অথচ সে (আল্লাহ্) কিতাবে (ইমে অথবা তাকদীরে) জান্নাতবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যখন তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে, তখন সে (তার পূর্ববর্তী আমল থেকে) প্রত্যাবর্তন করে আর জান্নাতবাসীদের ন্যায় আমল শুরু করে। অতঃপর তার মৃত্যু হয় এবং জান্নাতে প্রবেশ করে।
(এই হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি, তবে এ হাদীসটির পক্ষে বুখারী ও মুসলিমে ইবনে মাসউদ ও সাহল ইবন্ সা'দ থেকে এবং ইমাম মালিক ও তিরমিযীর কিতাবে উমর (রা) থেকে সাক্ষ্য পাওয়া যায়।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(7) وعن عائشة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الرجل ليعمل بعمل أهل الجنة وإنه لمكتوب في الكتاب من أهل النار فإذا كان قبل موته تحول فعمل بعمل أهل النار فمات فدخل النار، وإن الرجل ليعمل بعمل أهل النار وإنه لمكتوب في الكتاب من أهل الجنة فإذا كان قبل موته تحول فعمل بعمل أهل الجنة فمات فدخلها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৯৪
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৮) আবূ নাদরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাহাবীগণ তাঁর সেবা ও পরিচর্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর গৃহে প্রবেশ করেন। লোকটি কেঁদে ফেলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, ওহে আল্লাহর বান্দা! তুমি কাঁদছ কেন? আল্লাহর রাসূল কি তোমাকে বলেন নি যে, তুমি তোমার মোছ কাটতে থাক এবং (তোমার মৃত্যুর পর) আমার সাথে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত, এ অবস্থায় দৃঢ়ভাবে থাক, উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ (আল্লাহর রাসূল (ﷺ)) বলেছেন। কিন্তু আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা তাঁর দক্ষিণ হস্তের পাঞ্জা দিয়ে একটি মুষ্টি ধারণ করেছেন এবং বলেছেন, এটি (অর্থাৎ এই মুষ্টির অর্ন্তগত সব আত্মা) এর জন্য (অর্থাৎ জান্নাতের জন্য) এবং আমি কোন পরোয়া করি না। এমনিভাবে তিনি তাঁর অপর হস্তের পাঞ্জা দিয়ে অপর একটি মুষ্টি ধারণ করলেন এবং বললেন, এটি (অর্থাৎ এর মধ্যস্থিত যাবতীয় আত্মা) এর জন্য (অর্থাৎ দোযখের জন্য) এবং এতে আমি (কাউকে) পরোয়া করি না। সুতরাং আমার তো জানা নেই যে, আমি আল্লাহ্ সেই মুষ্টিদ্বয়ের কোনটিতে আছি?
(এ হাদীসটিও অন্যত্র পাওয়া যায় নি। তবে ইমাম আহমদ, তিরমিযী ও আবূ দাউদ এই হাদীসের পক্ষে আব্দুর রহমান ইবন্ কাতাদাহ আস-সলমী থেকে বর্ণনা করেছেন। আহমদের রাবীগণ হাসান পর্যায়ের।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(8) وعن أبي نضرة قال مرض رجل من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فدخل عليه أصحابه يعودونه فبكى فقيل له ما يبكيك يا عبد الله ألم يقل لك رسول الله صلى الله عليه وسلم خذ من شاربك ثم أقره 1 حتى تلقاني، قال بلى ولكني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن الله تبارك وتعالى قبض قبضة
بيمينه فقال هذا لهذه ولا أبالي وقبض قبضة أخرى يعني بيده الأخرى 1 فقال هذه لهذه ولا أبالي فلا أدري في أي القبضتين أنا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৭৭
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(৯) মু'আয বিন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে তাঁর বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, (আল্লাহ তা'আলা) তাঁর দুই হস্ত দ্বারা দুইটি মুষ্টি ধারণ করলেন এবং বললেন, এটি জান্নাতের জন্য এবং আমি পরোয়া করি না এবং এইটি দোযখের জন্য এবং আমি পরোয়া করি না । (এ হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। তানকীহ গ্রন্থের লেখক ইমাম আহমদ এ হাদীসকে হাসান বলেছেন।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(9) وعن معاذ بن جبل رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه وفيه فقبض بيده قبضتين فقال هذه في الجنة ولا أبالي وهذه في النار ولا أبالي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৭১৯
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(১০) 'আব্দুল্লাহ ইবন 'আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ছোট গুনাহ সম্পর্কে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) রাসূল (ﷺ) থেকে যা বর্ণনা করেছেন। তা থেকে অধিক মিল আর কোন বস্তুতে দেখি না। (বর্ণনাটি এরূপ রাসূল (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা বনী আদমের ভাগ্যে যিনা বা ব্যভিচারের অংশ লিখে রেখেছেন যা সে অবশ্যই লাভ করবে । (যেমন) চোখের যিনা দৃষ্টিপাত, জিহ্বার যিনা কথন, অন্তর কামনা-বাসনা করে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। (বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ ও নাসায়ী।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(10) وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال ما رأيت شيئا أشبه باللمم 2 مما قال أبو هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم إن الله عز وجل كتب على ابن آدم حظه من الزنا أدركه لا محالة، وزنا العين النظر، وزنا اللسان النطق، والنفس
تمنى وتشتهي والفرج يصدق كل ذلك أو يكذبه 1
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৭২
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(১১) ইমাম যুহরী (রহ)-এর বর্ণনা থেকে জানা যায় ---- তিনি আবূ খুযা'আর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি (একদা) রাসূল (ﷺ)-কে বললাম এবং সুফিয়ান বলেন, (মধ্যবর্তী একজন বর্ণনাকারী) একদা আমি আল্লাহর রাসূলকে জিজ্ঞেস করলামঃ আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে ঔষধ ব্যবহার করি, ঝাড়ফুঁক ব্যবহার করি এবং তাবিয তুমার গ্রহণ করে কষ্ট থেকে বাঁচতে চাই এসবের ব্যাপারে আপনার মতামত কী? এটা কি আল্লাহর ভাগ্যলিপি থেকে কিছু পরিবর্তন সাধন করতে পারে? রাসূল (ﷺ) বললেনঃ এটাও আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার কদরে (লিপিতে) বিদ্যমান।
(ইবন্ মাজাহ, তিরমিযী তিনি এ হাদীসটিকে সহীহ্ ও হাসান আখ্যায়িত করেছেন। হাকিমও হাদীসটি বর্ণনা করে সহীহ্ বলে দাবী করেছেন, আর যাহাবী তাঁর বক্তব্য সমর্থন করেছেন।
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(11) حدثنا عبد الله حدثني أبي ثنا سفيان بن عيينة عن الزهري عن أبي خزاعة عن أبيه قال قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال سفيان مرة سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم أرأيت دواءًا نتداوى به ورقى نسترقي بها وتقى نتقيها ترد من قدر الله شيئا قال إنها من قدر الله تبارك وتعالى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬৯ - ১
তাক্বদীরের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের বাস্তবতা ও এর তাৎপর্য প্রসঙ্গে
(১২) ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পেছনে সওয়ারীতে উপবিষ্ট হন । তখন রাসূল (ﷺ) তাঁকে বলেন, ওহে বৎস! আমি তোমাকে কিছু সংখ্যক কালেমা (উপদেশ বাণী) শিক্ষা দিচ্ছি (এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তোমার মঙ্গল করবেন) আল্লাহর বিধান মেনে চলবে আল্লাহ তোমাকে হিফাজত করবেন। আল্লাহর বিধান মেনে চলবে তাতে আল্লাহকে তোমার দিকে সদয় পাবে। যখন কোন কিছু যাঞ্ছা করবে, তখন আল্লাহর নিকটই যাঞ্ছা করবে। আর যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন আল্লাহ্ই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে। জেনে রাখ, সমগ্র উম্মত যদি তোমার উপকার করার নিমিত্ত একত্রিত হয়, তবুও আল্লাহ যা তোমার জন্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন তার বাইরে তারা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না। অপরদিকে তারা যদি তোমার কোন ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়, তবু আল্লাহ তোমার জন্য যা লিখে রেখেছেন তার বাইরে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (মনে রাখবে) কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং (রেজিস্টার) বহিসমূহ শুকিয়ে গিয়েছে (অর্থাৎ উপকার বা অপকার যা কিছু হওয়ার তা আল্লাহর রেকর্ডে লেখা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।)

(ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে দ্বিতীয় একটি বর্ণনা ধারায়) এরূপই বর্ণিত হয়েছে। তবে তাতে অতিরিক্ত আছে (তোমার সুসময়ে আল্লাহকে চিনার চেষ্টা কর, আল্লাহ তোমাকে তোমার কষ্টের সময়ে চিনে নিবেন)। (এতে আরও আছে) যদি সমগ্র সৃষ্টিকুল তোমার সামান্য উপকার করতে ইচ্ছুক হয়, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিপিবদ্ধ করেন নি, তবে তারা তা করতে সক্ষম হবে না এবং যদি তারা তোমার এমন কোন অনিষ্ট করতে চায়, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিখেন নি, তবে তারা তা করতে পারবে না। জেনে রাখ! দুঃসময়ে ধৈর্যধারণ করার মধ্যে বহুবিধ কল্যাণ নিহিত এবং ধৈর্যের সাথেই থাকে (আল্লাহ্) সাহায্য আর বিজয়। বিপদের সাথেই থাকে প্রশান্তি এবং কষ্টের পরেই আসানী বা সুখ।
(হাকিম ও তিরমিযী, তিনি হাদীসটি হাসান ও সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب القدر
(1) باب في ثبوت القدر وحقيقته
(12) وعن ابن عباس رضي الله عنهما أنه ركب خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما يا غلام إني معلمك كلمات (ينفعك الله بهن) احفظ الله يحفظك، احفظ الله تجده تجاهك، إذا سألت فلتسأل الله وإذا استعنت فاستعن بالله واعلم أن الأمة لو اجتمعوا على أن ينفعوك لم ينفعوك إلا بشيء قد كتبه الله عليك، رفعت الأقلام وجفت الصحف

(وعنه من طريق ثان) 2 بنحوه وفيه زيادة (تعرف إلى الله في الرخاء يعرفك في الشدة (وفيه أيضا) فلو أن الخلق كلهم جميعا أرادوا أن ينفعوك بشيء لم يكتبه الله عليك لم يقدروا عليه، واعلم أن في الصبر على ما تكره خيرا كثيرا وأن النصر مع
الصبر وأن الفرج مع الكرب وأن مع العسر يسرا
فصل منه في محاجة آدم وموسى عليهما السلام
হাদীস নং: ১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৮৭
তাক্বদীরের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ হযরত আদম ও মুসা (আ)-এর মধ্যকার এতদবিষয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে
(১৩) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আদম ও মুসা (আ) আপোষে বিতর্কে লিপ্ত হন। মুসা (আ) বললেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা, আপনি আমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছেন এবং জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছেন। (অন্য বর্ণনায় এসেছে আপনি সেই আদম, আপনার বিচ্যুতি বা ভুল আপনাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে)। আদম উত্তরে বললেন, হে মুসা, আপনাকে আল্লাহ তা'আলা তাঁর কালামের জন্য (অথবা কালামের মাধ্যমে) নির্বাচিত করেছেন। আর একবার (আদম) বললেন, তাঁর রিসালাতের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং স্বয়ং নিজ হাতে লিখেছেন আপনার জন্য আর আপনি (মুসা) কি না এমন একটি বিষয়ে আমাকে ভর্ৎসনা করছেন, যে বিষয়টি আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর পূর্বে নির্ধারণ করে রেখেছেন। রাসূল (ﷺ) বলেন, আদম বিজয়ী হলেন মুসার ওপর, আদম বিজয়ী হলেন মুসার ওপর ।
(বুখারী, মুসলিম, হাকিম, ও চার সুনান গ্রন্থ)
كتاب القدر
فصل منه في محاجة آدم وموسى عليهما السلام
(13) عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احتج آدم وموسى عليهما السلام فقال موسى يا آدم أنت أبونا خيبتنا وأخرجتنا من الجنة (وفي رواية أنت آدم الذي أخرجتك خطيئتك من الجنة) فقال له آدم يا موسى أنت اصطفاك الله بكلامه وقال مرة برسالته وخط لك 1 بيده أتلومني على أمر قدره الله علي قبل أن يخلقني بأربعين سنة قال حج آدم موسى حج آدم موسى 2
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪৪
তাক্বদীরের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ তাকদীরে সন্তুষ্টি ও এর ফযীলত প্রসঙ্গে।
(১৪) সা'দ ইবন্ আবী ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহর নিকট 'ইস্তিখারা করা (ভাল চাওয়া) করা বনী আদমের জন্য কল্যাণকর এবং আল্লাহর কদরে (ভাগ্যলিপি) সন্তুষ্ট থাকা আদম সন্তানের জন্য কল্যাণকর। (অপরদিকে) আল্লাহর নিকট ‘ইস্তিখারা করা পরিত্যাগ করা তার জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহর নির্ধারিত বন্দরে অসন্তুষ্ট থাকায় তার অকল্যাণ। (তিরমিযী, হাকিম হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণিত।)
كتاب القدر
فصل آخر في الرضا بالقضاء وفضله
(14) عن سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سعادة ابن آدم استخارته الله 3 ومن سعادة ابن آدم رضاه بما قضاه
الله ومن شقوة ابن آدم تركه استخارة الله، ومن شقوة ابن آدم سخطه بما قضاه الله عز وجل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৯২৪
তাক্বদীরের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ তাকদীরে সন্তুষ্টি ও এর ফযীলত প্রসঙ্গে ।
(১৫) সুহাইব ইবন্ সিনান (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ মু'মিন বান্দার জন্য আল্লাহর ফয়সালা (তাকদীর) দেখে আমি আশ্চর্যান্বিত (বা খুশী) হই। কেননা মু'মিনের সব কাজ কর্মই ভাল (মঙ্গলময়)। আর তা মু'মিন ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। (যেমন) যদি সে (মু'মিন) কোন কল্যাণ লাভ করে, তবে আল্লাহর শুক্র করে, যা তার জন্য (পরিণামের বিচারে) উত্তম। আর যদি সে কোন অকল্যাণ বা ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তবে সে সবর করে যা তার জন্য কল্যাণকর। (মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب القدر
فصل آخر في الرضا بالقضاء وفضله
(15) وعن صهيب بن سنان رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عجبت من قضاء الله للمؤمن إن أمر المؤمن كله خير وليس ذلك إلا للمؤمن إن أصابته سراء فشكر كان خيرا له وإن أصابته ضراء فصبر كان خيرا له
হাদীস নং: ১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০২৮৩
তাক্বদীরের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ তাকদীরে সন্তুষ্টি ও এর ফযীলত প্রসঙ্গে ।
(১৬) আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মু'মিনের জন্য আনন্দ সংবাদ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর জন্য যা কিছুই লিপিবদ্ধ করুন না কেন তাতেই তার কল্যাণ । (সুয়ূতী, আবূ ইয়া'লা আবূ নাঈম, সুয়ূতী হাদীসটির পাশে হাসান হবার প্রতীক ব্যবহার করেছেন।
كتاب القدر
فصل آخر في الرضا بالقضاء وفضله
(16) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عجبا للمؤمن لا يقضي الله له شيئا إلا كان خيرا له
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২৪
তাক্বদীরের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ মাতৃগর্ভে অবস্থানকালীন সময়ে মানুষের অবস্থা প্রসঙ্গে
(১৭) আব্দুল্লাহ ইবন্ মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে বলেছেন-যিনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ সত্যবাদীর সত্যবাদী (মাতৃগর্ভে তোমাদের সৃষ্টি চল্লিশ দিন (প্রথম চল্লিশ) পর্যন্ত জমা করা হয়। এরপর চল্লিশ দিন থাকে ঝুলন্ত রক্তপিণ্ড অবস্থায়। এরপর চল্লিশ দিন থাকে মাংসপিণ্ড অবস্থায় । এরপর তার কাছে একজন ফিরিশতা প্রেরণ করা হয়, যিনি তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেন এবং তাঁকে চারটি বিষয় (লিপিবদ্ধ করার জন্য) নির্দেশ প্রদান করা হয় অর্থাৎ তার রিযিক, আয়ুস্কাল, আমল ও নেককার কিংবা বদকার হওয়ার বিষয়।
সুতরাং সেই সত্তার শপথ! যিনি ভিন্ন অন্য কোন ইলাহ নেই। নিশ্চয় তোমাদের সঙ্গে কেউ (অথবা অনেকে জান্নাতবাসীগণের আমলের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমনকি ঐ ব্যক্তি ও জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক বিঘত বা এক গজ দূরত্ব অবশিষ্ট থাকে । এমতাবস্থায় তার ভাগ্যলিপি বিজয়ী হয়, আর সে দোযখবাসীর ন্যায় আমল করে এবং এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়, সে সেখানে প্রবেশ করে। অপরদিকে তোমাদের কেউ দোযখবাসীদের আমলের ন্যায় আমল করতে থাকে— এমনকি সেই ব্যক্তি ও দোযখের মধ্যে মাত্র এক বিঘত ব্যবধান বিদ্যমান থাকে। কিন্তু এ সময় তার ভাগ্যলিপি এগিয়ে আসে, তার পরিসমাপ্তি (মৃত্যু) ঘটানো হয় জান্নাতবাসীগণের আমলের মাধ্যমে। অতঃপর সে জান্নাতে প্রবেশ করে । (বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবন মাজাহ্)
كتاب القدر
(2) باب في تقدير حال الإنسان وهو في بطن أمه
(17) عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق إن أحدكم يجمع خلقه في بطن أمه في أربعين يوما ثم يكون علقة مثل ذلك ثم يكون مضغة مثل ذلك ثم يرسل إليه الملك
فينفخ فيه الروح ويؤمر بأربع كلمات، رزقه وأجله وعمله وشقي أم سعيد فوالذي لا إله غيره إن أحدكم ليعمل بعمل أهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها إلا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيختم له بعمل أهل النار فيدخلها وإن الرجل ليعمل بعمل أهل النار حتى ما يكون بينه وبينها إلا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيختم له بعمل أهل الجنة فيدخلها
হাদীস নং: ১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫২৬৯
তাক্বদীরের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ মাতৃগর্ভে অবস্থানকালীন সময়ে মানুষের অবস্থা প্রসঙ্গে
(১৮) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন পুরুষের বীর্য স্ত্রীলোকের জরায়ুতে চল্লিশ দিন অথবা চল্লিশ রাত্রি স্থিতি লাভ করে, তখন আল্লাহ তা'আলা তার কাছে (জরায়ুতে) একজন ফিরিশতা প্রেরণ করেন। ফিরিশতা জিজ্ঞেস করেন প্রভু হে, এর রিযিক কী? (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তখন তাকে তা বলে দেওয়া হয়। আবার জিজ্ঞেস করেন, এর আয়ুস্কাল কী? তাও তাকে বলে দেওয়া হয়। আবার জিজ্ঞেস করেন, প্রভু হে! ছেলে না মেয়ে? তখন তাও তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। পুনরায় প্রশ্ন করেন, প্রভু হে! বদকার না নেককার? তখন তাও তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। (আর সেই ফিরিশতা আল্লাহর নির্দেশ মত তার ভাগ্যলিপিতে এ সবই লিখে রাখেন।) (হাদীসটি এ গ্রন্থ ছাড়া অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এতে একজন বিতর্কিত রাবী আছেন।)
كتاب القدر
(2) باب في تقدير حال الإنسان وهو في بطن أمه
(18) وعن جابر بن عبد الله رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا استقرت النطفة في الرحم أربعين يوما أو أربعين ليلة بعث الله إليه 1 ملكا فيقول يا رب ما أجله فيقال له فيقول يا رب ذكر أم أنثى فيعلم 2 فيقول يا رب شقي أو سعيد فيعلم.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬১৪২
তাক্বদীরের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ মাতৃগর্ভে অবস্থানকালীন সময়ে মানুষের অবস্থা প্রসঙ্গে
(১৯) হুযায়ফা ইবন আসীদ আল-গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি অথবা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, (মায়ের) জরায়ুতে বীর্য চল্লিশ রাত্রি পর্যন্ত স্থিতি লাভ করার পর তাতে একজন ফিরিশতা প্রবেশ করেন। (হাদীসের একজন বর্ণনাকারী) সুফিয়ান বলেন, অথবা পঁয়তাল্লিশ রাত্রি অতিবাহিত হওয়ার পর ফিরিশতা প্রবেশ করেন এবং প্রশ্ন করেন হে প্রভু! কী (লিখবো)? বদকার না নেককার? পুরুষ না স্ত্রী? তখন তাঁকে আল্লাহ যা বৃত্তান্ত বলে দেন, তা-ই লিপিবদ্ধ করা হয় । অতঃপর ফিরিশতা প্রশ্ন করেন- পুরুষ না স্ত্রী? আল্লাহ উত্তর বলে দেন এবং তা লিখে নেয়া হয়। এরপর তার আমল, মৃত্যুর স্থান, তার বিপদাপদ, তার রিযিক ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করা হয়, এরপর 'সহীফা' বা রেজিস্টার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এরপরে আর কোন কিছু বৃদ্ধি করা হয় না এবং হ্রাসও করা হয় না। (মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب القدر
(2) باب في تقدير حال الإنسان وهو في بطن أمه
(19) حدثنا عبد الله حدثني أبي ثنا سفيان عن عمرو عن أبي الطفيل عن حذيفة بن أسيد الغفاري رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم أو قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخل الملك على النطفة بعدما تستقر في الرحم بأربعين ليلة وقال سفيان مرة أو خمسة 3 وأربعين ليلة فيقول يا رب ماذا؟ أشقيٌ
أم سعيد أذكر أم أنثى فيقول الله تبارك وتعالى 1 فيكتبان 2 فيقول ماذا أذكر أم أنثى؟ فيقول الله عز وجل فيكتبان 3 فيكتب عمله وأثره 4 ومصيبته ورزقه ثم تطوى الصحيفة فلا يزاد على ما فيها ولا ينقص
হাদীস নং: ২০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭২৩
তাক্বদীরের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ মাতৃগর্ভে অবস্থানকালীন সময়ে মানুষের অবস্থা প্রসঙ্গে
(২০) আবূদ দারদা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি ; প্রত্যেক বান্দার পাঁচটি বিষয় আল্লাহ পাক স্থির করে রেখেছেন; (সেগুলো হচ্ছে) তার আয়ুষ্কাল, তার রিযিক, তার মৃত্যুর স্থান এবং সে বদকার অথবা নেককার (হওয়ার বিষয়টি)।
(তাবারানী, “তানকীহ” গ্রন্থে বলা হয়েছে আহমদের সনদের রাবীগণ হাসান পর্যায়ের।)
كتاب القدر
(2) باب في تقدير حال الإنسان وهو في بطن أمه
(20) وعن أبي الدرداء رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول فرغ الله إلى كل عبد من خمس، من أجله ورزقه وأثره وشقي أم سعيد
tahqiq

তাহকীক: