মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
৪. ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৫১
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(১) ইবন মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, কেবল দু'টি বিষয়ে ঈর্ষা করা যায়। (এক) সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তা'আলা সম্পদ দান করেছেন এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে সেই সম্পদ ব্যয় করার ক্ষমতাও প্রদান করেছেন এবং (দুই) সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তা'আলা 'হিকমত' দান করেছেন, আর সে সেই হিকমত অনুযায়ী ফায়সালা করেন এবং মানুষকে তা শিক্ষা দেন ।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(1) عن ابن مسعود رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم لا حسد 2 إلا في اثنتين، رجل آتاه الله مالا فسلطه على هلكته في الحق ورجل آتاه الله حكمة 3 فهو يقضي بها ويعلمها الناس

তাহকীক:
হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬০০
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(২) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যমীনে আলিমগণের উদাহরণ হচ্ছে আকাশে নক্ষত্ররাজির ন্যায়। এদের সাহায্যে জল ও স্থলের অন্ধকারে পথের দিশা পাওয়া যায়। আর যদি তারকারাজি নির্মিলিত হয়ে যায়, তবে পথ নির্দেশকদের ভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(2) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه قال قال النبي صلى الله عليه وسلم إن مثل العلماء في الأرض كمثل النجوم في السماء يهتدى بهم في ظلمات البر والبحر فإذا انطمست النجوم يوشك 1 أن تضل الهداة

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫৭৩
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৩) আবূ মুসা আল-আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) যখন তাঁর সাহাবীগণের মধ্য থেকে কাউকে কোন বিশেষ কাজে প্রেরণ করতেন, তখন তিনি (তাদেরকে উপদেশ দিয়ে) বলতেন, তোমরা সুসংবাদ প্রদান করবে, লোকদেরকে দূরে সরিয়ে দিবে না। সহজ করে উপস্থাপন করবে, কঠিন করবে না (অর্থাৎ ইসলামী দাওয়াহ্ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে এ বিষয়গুলো অনুসরণ করবে) এবং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমাকে হিদায়াত ও ইল্ম যা প্রদান করে প্রেরণ করেছেন, এর উদাহরণ হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাতের ন্যায় যা যমীনে পতিত হয়। এক প্রকার যমীন বৃষ্টির পানি গ্রহণ করে এবং প্রচুর পরিমাণে তরুলতা ও ঘাস ইত্যাদি জন্মায়। তন্মধ্যে কিছু রয়েছে জলাধার যা পানি ধরে রাখে, সেই পানি দ্বারা আল্লাহ মানুষের উপকার সাধন করেন, তারা সেই পানি-পান করে, এবং চতুষ্পদ জন্তু চরায়, কৃষি কাজ করে, পানি পান করায়। অন্য আর এক প্রকার ( যমীন আছে) যাকে বলে বিরাণ ভূমি; তা পানি ধরে রাখতে পারে না এবং তরুলতাও জন্মায় না। সুতরাং (প্রথমটি) হচ্ছে ঐ ব্যক্তির উদহারণ, যিনি আল্লাহ তা'আলার দীনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং আল্লাহ তা'আলা তার উপকার সাধন করেছেন ঐ বিষয়ের মাধ্যমে যা দিয়ে আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন (হিদায়াত ও ইল্ম)। তিনি তা দ্বারা নিজে যেমন উপকৃত হন, তেমনি অন্যকে শিক্ষা দেন এবং শিখান। (আর দ্বিতীয় প্রকারের যমীন হচ্ছে) ঐ লোকের উদাহরণ, যে এ ব্যাপারে মস্তক উত্তোলন করে নি (সাড়া দেয় নি) এবং আল্লাহ তাআলার সেই হিদায়াতও গ্রহণ করে নি- যা দিয়ে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে। 
টীকাঃ এ হাদীসে রাসূল (ﷺ) তাঁর প্রভুর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত দীন ও ইলমের উদাহরণ দিয়েছেন বৃষ্টিপাতের সাথে। যে বৃষ্টি মানুষের প্রয়োজনের সময় আসে এবং মৃত প্রায় ভূমিকে পুনর্জীবন দান করে। ইলমে দীনও ঠিক অনুরূপ। এর দ্বারা মৃত আত্মা জীবন লাভ করে। অতঃপর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বিভিন্ন প্রকার ভূমির সাথে তুলনা করেছেন। আলিমগণের মধ্যে যেমন আমিল, মুয়াল্লিম আছেন, তাঁরা হচ্ছে উত্তম ভূমির ন্যায়, যা বৃষ্টি পানি গ্রহণ করে শস্যাদি উৎপাদন করে থাকে, আবার আলিমদের মধ্যে এমন কিছুসংখ্যক এমন যে, তারা ইল্ম অর্জন করেন, কিন্তু তদানুসারে আমল করেন না, তবে তাঁর কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়ে থাকে । এঁদের উদাহরণ হচ্ছে ঐ জলাধারের ন্যায়, যা বৃষ্টির পানি ধরে রাখে, এর দ্বারা শস্য উৎপন্ন না হলেও এর পানি পান করা যায়। অন্য আর এক প্রকার এমন, যারা আদতেই আল্লাহর হিদায়াত গ্রহণ করে না, এরা হচ্ছে সেই ভূমির ন্যায় যা পানি ধারণও করে না, ফলে শস্য উৎপাদনও করতে পারে না এবং পানীয় সরবরাহ করতে পারে না । আল্লাহ সর্বোত্তম জ্ঞাত।
টীকাঃ এ হাদীসে রাসূল (ﷺ) তাঁর প্রভুর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত দীন ও ইলমের উদাহরণ দিয়েছেন বৃষ্টিপাতের সাথে। যে বৃষ্টি মানুষের প্রয়োজনের সময় আসে এবং মৃত প্রায় ভূমিকে পুনর্জীবন দান করে। ইলমে দীনও ঠিক অনুরূপ। এর দ্বারা মৃত আত্মা জীবন লাভ করে। অতঃপর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বিভিন্ন প্রকার ভূমির সাথে তুলনা করেছেন। আলিমগণের মধ্যে যেমন আমিল, মুয়াল্লিম আছেন, তাঁরা হচ্ছে উত্তম ভূমির ন্যায়, যা বৃষ্টি পানি গ্রহণ করে শস্যাদি উৎপাদন করে থাকে, আবার আলিমদের মধ্যে এমন কিছুসংখ্যক এমন যে, তারা ইল্ম অর্জন করেন, কিন্তু তদানুসারে আমল করেন না, তবে তাঁর কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়ে থাকে । এঁদের উদাহরণ হচ্ছে ঐ জলাধারের ন্যায়, যা বৃষ্টির পানি ধরে রাখে, এর দ্বারা শস্য উৎপন্ন না হলেও এর পানি পান করা যায়। অন্য আর এক প্রকার এমন, যারা আদতেই আল্লাহর হিদায়াত গ্রহণ করে না, এরা হচ্ছে সেই ভূমির ন্যায় যা পানি ধারণও করে না, ফলে শস্য উৎপাদনও করতে পারে না এবং পানীয় সরবরাহ করতে পারে না । আল্লাহ সর্বোত্তম জ্ঞাত।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(3) وعن أبي موسي الأشعري رضي الله عنه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا بعث أحدا من أصحابه في بعض أمره قال بشروا ولا تنفروا ويسروا ولا تعسروا وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن مثل ما بعثني الله عز وجل به من الهدى والعلم كمثل غيث 2 أصاب الأرض فكانت منه 3 طائفة قبلت فأنبتت الكلأ والعشب الكثير، وكانت منها أجادب أمسكت الماء فنفع الله عز وجل بها ناسا فشربوا فرعوا 4 وسقوا وزرعوا وأسقوا، وأصابت طائفة منها أخرى إنما هي قيعان 5 لا تمسك ماءا ولا تنبت كلأ فذلك مثل من
فَقُهَ 1 في دين الله عز وجل ونفعه الله عز وجل بما بعثني به ونفع به فعَلَّمَ وعَلِمَ، ومثل من لم يرفع بذلك رأسا ولم يقبل هدى الله الذي أرسلت به
فَقُهَ 1 في دين الله عز وجل ونفعه الله عز وجل بما بعثني به ونفع به فعَلَّمَ وعَلِمَ، ومثل من لم يرفع بذلك رأسا ولم يقبل هدى الله الذي أرسلت به

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৪) নাফি' ইবন্ আব্দিল হারছ্ থেকে বর্ণিত, তিনি একদা 'উসফান' নামক স্থানে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। (উল্লেখ্য) উমর (রা) তাঁকে তাঁর এলাকার গভর্নরের দায়িত্বে নিয়োজিত করেছিলেন। হযরত উমর (রা) তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি উপত্যকা এলাকার জনগণের দায়িত্বে কাকে ভারপ্রাপ্ত করে রেখে এসেছ? তিনি বললেন, ইবন্ আবযা কে? প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে রেখে এসেছি। উমর (রা) বললেন, ইবন্ আবযা কে? তিনি বললেন, ইবন্ আবযা হচ্ছে আমাদের আশ্রিত সম্প্রদায়ের একজন। উমর (রা) বললেন, একজন আশ্রিতকে তুমি জনগণের দায়িত্বে রেখে এসেছ! তিনি বললেন, ইবন্ আবযা একজন কিতাবুল্লাহর ক্বারী (বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠকারী), ফারাইয বিষয়ে অভিজ্ঞ আলিম ও ন্যায় বিচারক। উমর (রা) এসব বিষয় অবগত হওয়ার পর বললেন, জেনে রাখ, তোমাদের নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্পাক এই কিতাবের মাধ্যমে কোন কোন দলের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, আবার এর মাধ্যমেই অন্যদেরকে হেয় করেন।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(4) عن نافع بن عبد الحرث أنه لقي عمر بن الخطاب رضي الله عنه بعسفان وكان عمر استعمله على ملكه فقال له عمر من استخلفت على أهل الوادي؟ قال استخلفت عليهم ابن أبزى، قال وما ابن أبزى؟ فقال رجل من موالينا فقال عمر استخلفت عليهم مولى، فقال إنه قارئ لكتاب الله عالم بالفرائض قاض، فقال عمر رضي الله عنه أما إن نبيكم صلى الله عليه وسلم قد قال إن الله يرفع بهذا الكتاب أقواما ويضع به آخرين

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪৮১
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৫) আনাস ইবন্ মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, একবার ইয়ামেনবাসী কিছুসংখ্যক লোক রাসূল (ﷺ)-এর সমীপে আগমন করেন এবং রাসূল (ﷺ)-কে বলেন যে, আমাদের সাথে এমন একজনকে প্রেরণ করুন, যিনি আমাদেরকে (দীনের যাবতীয় বিষয়) শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। তখন রাসূল (ﷺ) আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা)-এর হাত ধরলেন এবং তাঁকেই তাদের সাথে প্রেরণ করলেন; আর বললেন, ইনি হচ্ছেন এই উম্মতের আমীন বা আমানতদার ।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(5) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه أن أهل اليمن قدموا على رسول
الله صلى الله عليه وسلم فقالوا ابعث معنا رجلا يعلمنا فأخذ بيد أبي عبيدة بن الجراح رضي الله عنه فأرسله معهم فقال هذا أمين هذه الأمة
الله صلى الله عليه وسلم فقالوا ابعث معنا رجلا يعلمنا فأخذ بيد أبي عبيدة بن الجراح رضي الله عنه فأرسله معهم فقال هذا أمين هذه الأمة

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৫৫
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৬) উবাদা ইবনুস্ সামিত (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সেই ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে আমাদের বড়দের (মুরবীগণের) শ্রদ্ধা করে না, ছোটদের স্নেহ বা সহানুভূতি প্রদর্শন করে না এবং আমাদের আলিমগণের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে না। আব্দুল্লাহ বলেন, এ হাদীসটি আমিও হারূনের কাছে শুনেছি।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(6) حدثنا عبد الله حدثني أبي ثنا هارون ثنا ابن وهب حدثني مالك بن الخير الزيادي عن أبي قبيل المعافري عن عبادة بن الصامت (رضي الله عنه) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس من أمتي 1 من لم يجل كبيرنا ويرحم صغيرنا ويعرف لعالمنا قال عبد الله وسمعته أنا من هارون

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯০
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৭) ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীন বিষয়ে গভীর জ্ঞান দান করেন।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(7) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهُّ فِي الدِّينِ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৮৩৪
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৮) মু'আবিয়া ইবন্ আবু সুফিয়ান (রা) থেকে (উপরোক্ত হাদীসের) অনুরূপ (হাদীস) বর্ণিত আছে।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(8) وعن معاوية بن أبي سفيان (رضي الله عنهما) عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৯৪
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(৯) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল (ﷺ) থেকে পূর্বানুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন, তাতে আরও অতিরিক্ত আছে  وإنما أنا قاسم ويعطي الله عز وجل অবশ্য আমি হচ্ছি বণ্টনকারী আর (মূল) দাতা হচ্ছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(9) وعن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله وزاد وإنما أنا قاسم ويعطي الله عز وجل

তাহকীক:
হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৮৩৪
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(১০) মু'আবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন আল্লাহ কোন বান্দার কল্যাণ চান তখন তাকে দীনের গভীর জ্ঞান দান করেন। 'আব্দুল্লাহ বলেন, আমি এ বাক্যটি আমার পিতার লেখায় পেয়েছি। লেখাটি তিনি নিজ হাতে লিখেছিলেন এবং তার উপর রেখা টেনে দিয়েছিলেন। তবে তা তিনি আমাকে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন কি না তা আমার মনে নেই। নিশ্চয় শিষ্টাচার সম্পন্ন শ্রোতার বিপক্ষে কোন দলীল নেই, আর অবশিষ্ট শ্রোতার পক্ষে কোন দলীল নেই । (অর্থাৎ কোন দলিল-প্রমাণের প্রয়োজন হয় না।)
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(10) حدثنا عبد الله حدثني أبي ثنا روح قال ثنا حماد بن سلمة عن جبلة بن عطية عن ابن محيريز عن معاوية (بن أبي سفيان رضي الله عنه) عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا أراد الله بعبد خيرا يفقهه في الدين حدثنا عبد الله قال وجدت هذا الكلام 1 في كتاب أبي بخط يده متصلا به وقد خط عليه فلا أدري أقرأه علي أم لا، وأم السامع المطيع لا حجة عليه وأن السامع العاصي لا حجة له

তাহকীক:
হাদীস নং: ১১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৪৫
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(১১) জাবির ইবন্ আব্দিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, মানুষ হচ্ছে খনি (খনির ন্যায়, যার মধ্যে ভাল ও মন্দের সমাহার দেখা যায়) । অতএব, জাহিলিয়াত যুগে যাঁরা উত্তম ছিলেন ইসলাম গ্রহণের পরও তাঁরা উত্তম। যদি তাঁরা দীনের জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(11) وعن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الناس
معادن فخيارهم في الجاهلية 1 خيارهم في الإسلام إذا فقهوا
معادن فخيارهم في الجاهلية 1 خيارهم في الإسلام إذا فقهوا

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭১৫
 ইলমের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ ইলম ও উলামার ফযীলত বা মর্যাদা প্রসঙ্গে
(১২) আবুদ্ দারদা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আবিদ'-এর উপর 'আলিম' এর মর্যাদা হচ্ছে সমগ্র তারকারাজির উপর চন্দ্রের মর্যাদার ন্যায়। নিশ্চয় আলিমগণ হচ্ছে নবী (আ)-গণের উত্তরাধিকারী । তাঁরা (নবীগণ) কোন দীনার কিংবা দিরহাম ওয়ারেসী সম্পত্তি হিসেবে রেখে যান না। বরং তাঁরা রেখে যান ‘ইলম' । সুতরাং যাঁরা এই ইলম গ্রহণ করলেন, তাঁরা পরিপূর্ণ অংশই গ্রহণ করলেন।
كتاب العلم
(1) باب فضل العلم والعلماء
(12) وعن أبي الدرداء رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول فضل العالم على العابد كفضل القمر على سائر الكواكب، إن العلماء هم ورثة الأنبياء لم يرثوا دينارا ولا درهما وإنما ورثوا العلم فمن أخذه أخذ بحظ وافر

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭১৫
 ইলমের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ ইলমের অন্বেষায় সফর ও অন্বেষণকারীর মর্যাদা প্রসঙ্গে ।
(১৩) কায়স ইবন্ কাছীর (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আবূদ্ দারদা (রা)-এর কাছে মদীনা থেকে জনৈক ব্যক্তি আগমন করেন। তিনি তখন দামেস্কে অবস্থান করছিলেন। আবুদ দারদা (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ভাই সাহেব, আপনি কেন এসেছেন? বললেন, একটি হাদীস, আমি জানতে পেরেছি যে, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তা বর্ণনা করেছেন। আবুদ দারদা (রা) বললেন, আপনি কোন প্রকার বাণিজ্য করতে আসেন নি? বললেন, জ্বি না । আবু দারদা (রা) বললেন, আপনি অন্য কোন প্রয়োজনে আসেন নি? তিনি বললেন, জ্বি না। আবুদ দারদা বললেন, আপনি শুধু এই হাদীস অন্বেষণে এসেছেন? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। আবুদ দারদা (রা) বললেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইমের অন্বেষায় রাস্তা অতিক্রম করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের রাস্তা অতিক্রম করিয়ে দেন এবং ফিরিশতাগণ ইলম অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য তাঁদের পাখা বিস্তার করে রাখেন এবং আলিমের জন্য আকাশমণ্ডলী ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে সবাই দু'আ ও ইস্তেগফার করে থাকে। এমনকি পানিতে অবস্থানরত মৎস্যকুলও। আর আবিদ (অর্থাৎ এমন ইবাদতকারী যিনি আলিম নন।) এর উপর আলিমের মর্যাদা এরূপ যেমন চন্দ্রের মর্যাদা সমগ্র তারকারাজির উপর। নিশ্চয় আলিমগণ হচ্ছে নবীগণের উত্তরাধিকারী, তাঁরা কোন দীনার বা দিরহাম উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যান না, বরং তাঁরা রেখে যান ইলম । সুতরাং যিনি তা গ্রহণ করবেন, তিনি এক বিরাট অংশই গ্রহণ করবেন ।
كتاب العلم
(2) باب في الرحلة في طلب العلم وفضل طالبه
(13) عن قيس بن كثير قال قدم رجل من المدينة إلى أبي الدرداء (رضي الله عنه) وهو بدمشق فقال ما أقدمك أي أخي قال حديث، بلغني أنك تحدث به عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أما قدمت لتجارة؟ قال لا قال أما قدمت لحاجة؟ قال لا، قال ما قدمت إلا في طلب هذا الحديث؟ قال نعم، قال فإني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من سلك 2 طريقا يطلب فيه علما سلك الله به طريقا إلى الجنة، وإن الملائكة لتضع أجنحتها 3 رضا لطالب
-[الرحلة إلى طلب العلم]-
العلم , وإنه ليستغفر للعالم من فى السموات والارض حتى الحيتان فى الماء وفضل العالم على العابد كفضل القمر على سائر الكواكب , إن العلماء هم ورثة الانبياء لم يرثوا دينارا ولا درهما وإنما ورثوا العلم فمن أخذه أخذ بحظ وافر (1)
-[الرحلة إلى طلب العلم]-
العلم , وإنه ليستغفر للعالم من فى السموات والارض حتى الحيتان فى الماء وفضل العالم على العابد كفضل القمر على سائر الكواكب , إن العلماء هم ورثة الانبياء لم يرثوا دينارا ولا درهما وإنما ورثوا العلم فمن أخذه أخذ بحظ وافر (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৮৯
 ইলমের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ ইলমের অন্বেষায় সফর ও অন্বেষণকারীর মর্যাদা প্রসঙ্গে ।
(১৪) যির ইবন্ হুবাইশ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা প্রত্যুষে সাফওয়ান ইবন্ আসসাল (রা)-এর সমীপে উপস্থিত হই এবং তাঁকে পায়ের মোজার উপর মাসহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি (অর্থাৎ ওযূর সময় পা ধৌত না করে মোজার উপর মাসেহ করার মাসআলা জিজ্ঞেস করি)। তিনি আমাকে বললেন, তুমি কী উদ্দেশ্যে আগমন করেছ? আমি বললাম, ইলম অন্বেষণের উদ্দেশ্যে। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে সুসংবাদ প্রদান করবো না? অতঃপর তিনি রাসূল (ﷺ)-এর হাদীস বর্ণনা করেন। রাসূল (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় ফিরিশতাগণ তাঁদের পাখা বিস্তার করে রাখেন ইলম অন্বেষণকারীর জন্য তার ইলম অন্বেষণে সন্তুষ্ট হয়ে।
كتاب العلم
(2) باب في الرحلة في طلب العلم وفضل طالبه
(14) وعن زر بن حبيش قال غدوت الى صفران بن عسال المرادى رضى الله عنه أساله عن المسح على الخفين فقال ما جاء بك قلت ابتغاء العلم قال إلا أبشرك ورفع الحديث الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أن الملائكة لتضع أجنحتها لطالب العلم رضاً بما يطلب

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৯৬৯
 ইলমের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ ইলমের অন্বেষায় সফর ও অন্বেষণকারীর মর্যাদা প্রসঙ্গে ।
(১৫) আব্দুল্লাহ ইবন্ বুরাইদাহ (রা) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূল (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে একজন সাহাবী (রা) ফাদালা বিন 'উবাইদ (রা)-এর নিকট গমন করেন, তিনি তখন মিশরে অবস্থান করছিলেন এবং তাঁর উটনি চরাচ্ছিলেন। আগন্তুক বললেন, আমি আপনার কাছে বেড়াতে আসি নি (অর্থাৎ কেবল সেই জন্য সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে আসি নি) বরং এসেছি একটি হাদীসের জন্য যা রাসূল (ﷺ) থেকে আমার কাছে পৌঁছেছে। আমি আশা করি সেই বিষয়ে আপনার কাছে কোন ইলম থাকতে পারে। আগন্তুক ফাদালাকে মলিন ও উস্কু-খুশকু কোণ বাজি সম্বলিত দেখতে পেলেন এবং প্রশ্ন করলেন, কী ব্যাপার, আমি আপনাকে মলিন দেখতে পাচ্ছি! অথচ আপনি তো শহরের (আপনার এলাকার) আমীর বা ধনাঢ্য ব্যক্তি। ফাদালা উত্তর করলেন, রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে অধিক পরিমাণে সাজ-সজ্জা করতে নিষেধ করতেন। আগন্তুক ফাদালা (রা) তাঁকে নগ্নপদ দেখতে পেলেন; ফাদালা (রা) বললেন, রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে কখনও কখনও নগ্নপদে চলাফেরা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
كتاب العلم
(2) باب في الرحلة في طلب العلم وفضل طالبه
(15) وعن عبدالله بن بريدة أن رجلاً من أصحاب النبى صلى الله عليه وسلم رحل إلى
-[الحث على طلب العلم]-
فضالة بن عبيد (رضى الله عنه) وهو بمصر فقدم عليه وهو يمد ناقة له (1) فقال إنى لم آتك زائراً إنما اتيتك لحديث بلغنى عن رسول الله صلى الله عليه وسلم رجوت أن يكون عندك منه علم فرآه شعثاً (2) فقال مالى أراك شعثاً وأنت أمير البلاد قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ينهانا عن كثير من الإرفاه (3) ورآه حافيا قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرنا أن نحتفى (4) أحيانا.
-[الحث على طلب العلم]-
فضالة بن عبيد (رضى الله عنه) وهو بمصر فقدم عليه وهو يمد ناقة له (1) فقال إنى لم آتك زائراً إنما اتيتك لحديث بلغنى عن رسول الله صلى الله عليه وسلم رجوت أن يكون عندك منه علم فرآه شعثاً (2) فقال مالى أراك شعثاً وأنت أمير البلاد قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ينهانا عن كثير من الإرفاه (3) ورآه حافيا قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم أمرنا أن نحتفى (4) أحيانا.

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩১৬
 ইলমের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ ইলমের অন্বেষায় সফর ও অন্বেষণকারীর মর্যাদা প্রসঙ্গে ।
(১৬) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের জন্য কোন রাস্তা অতিক্রম করে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।
كتاب العلم
(2) باب في الرحلة في طلب العلم وفضل طالبه
(16) وعن أبى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سلك طريقاً يلتمس فيه علما سهل الله له طريقا الى الجنة

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৪৮৪
 ইলমের অধ্যায়
(৩) পরিচ্ছেদঃ ইল্ম শিক্ষা দানে উৎসাহ প্রদান এবং শিক্ষকের সম্মান প্রসঙ্গে
(১৭) ‘ইয়াদ' বিন হিমার আল-মুজাশিয়ী (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাঁর প্রদত্ত এক ভাষণে বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি তোমাদেরকে তা শিক্ষা দিই যা তোমরা জান না । আজকের দিনে আল্লাহ আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তন্মধ্যে আছে, আল্লাহ বলেছেন, আমার বান্দাগণকে যা কিছু উপঢৌকন, ও হিবা হিসেবে দান করেছি তা তাদের জন্য হালাল । (অর্থাৎ যদি তা হারাম বা নিষিদ্ধ না করা হয়ে থাকে)।
كتاب العلم
(3) باب الحث على تعليم العلم واداب المعلم
(17) عن عياض بن حمار المجلشعى رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فى خطبة خطبها إن الله عز وجل أمرنى أن أعلمكم ما جهلتم مما علمني
-[آداب المعلم والشكوت عند الغطب]-
يومي هذا وأنه قال إن كل ما نحلته (1) عبادى فهو حلال
-[آداب المعلم والشكوت عند الغطب]-
يومي هذا وأنه قال إن كل ما نحلته (1) عبادى فهو حلال

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২১৩৬ - ১
 ইলমের অধ্যায়
(৩) পরিচ্ছেদঃ ইল্ম শিক্ষা দানে উৎসাহ প্রদান এবং শিক্ষকের সম্মান প্রসঙ্গে
(১৮) ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা সুসংবাদ প্রদান কর, কাঠিন্য আরোপ করো না। তোমাদের কেউ যদি রাগান্বিত হয়ে ওঠে, তবে যেন চুপ থাকে।
(একই বর্ণনাকারী থেকে অন্যভাবে) রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, তোমরা শিক্ষা দাও, সুসংবাদ প্রদান কর এবং সহজ কর। কঠিন করো না । আর যদি রাগান্বিত হয়ে যাও, তবে চুপ থাক, যদি রাগান্বিত হও, তবে চুপ থাক, যদি রাগান্বিত হও তবে চুপ থাক। (আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর এ শিক্ষা বিশেষ করে দাওয়াতী কাজে এবং শিক্ষা দানকালীন সময়ে অবশ্য পালনীয়।)
(একই বর্ণনাকারী থেকে অন্যভাবে) রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, তোমরা শিক্ষা দাও, সুসংবাদ প্রদান কর এবং সহজ কর। কঠিন করো না । আর যদি রাগান্বিত হয়ে যাও, তবে চুপ থাক, যদি রাগান্বিত হও, তবে চুপ থাক, যদি রাগান্বিত হও তবে চুপ থাক। (আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর এ শিক্ষা বিশেষ করে দাওয়াতী কাজে এবং শিক্ষা দানকালীন সময়ে অবশ্য পালনীয়।)
كتاب العلم
(3) باب الحث على تعليم العلم واداب المعلم
(18) وعن ابن عباس رضى الله عنهما عن النبى صلى الله عليه وسلم أنه قال علموا وبشروا ولا تعسروا وإذا غضب أحدكم فليسكت
(وعنه بلفظ اخر) (2) عن النبي صلى الله عليه وسلم علموا ويسروا ولا تعسروا واذا غضبت فاسكت واذا غضبت فاسكت واذا غضبت فاسكت
(وعنه بلفظ اخر) (2) عن النبي صلى الله عليه وسلم علموا ويسروا ولا تعسروا واذا غضبت فاسكت واذا غضبت فاسكت واذا غضبت فاسكت

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৩৩
 ইলমের অধ্যায়
(৩) পরিচ্ছেদঃ ইল্ম শিক্ষা দানে উৎসাহ প্রদান এবং শিক্ষকের সম্মান প্রসঙ্গে
(১৯) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সহজ (করে উপস্থাপন) কর, কঠিন করো না এবং সুসংবাদ (প্রদানের মাধ্যমে) তাদের প্রশান্ত কর এবং তাদের দূরে ঠেলে দিও না।
كتاب العلم
(3) باب الحث على تعليم العلم واداب المعلم
(19) وعن انس ابن مالك رضى الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يسروا ولا تعسروا وسكنوا (3) ولا تنفروا
-[حرص النبي صلى الله عليه وسلم على تعليم اصحابه]-
-[حرص النبي صلى الله عليه وسلم على تعليم اصحابه]-

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ২০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৩৬১
 ইলমের অধ্যায়
(৩) পরিচ্ছেদঃ ইল্ম শিক্ষা দানে উৎসাহ প্রদান এবং শিক্ষকের সম্মান প্রসঙ্গে
(২০) আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাদেরকে এমন অবস্থায় রেখে গিয়েছেন যে, আকাশে কোন পাখি পাখা নাড়াচাড়া করলে তার সম্বন্ধেও কিছু জ্ঞান দান করেছেন (অর্থাৎ আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদের) জীবন চলার পথের প্রয়োজনীয় যাবতীয় শিক্ষা তাঁর ওফাতের পূর্বে সম্পন্ন করে গিয়েছেন। কোন কিছুই বাদ রাখেন নি।)
كتاب العلم
(3) باب الحث على تعليم العلم واداب المعلم
(20) وعن أبي ذر رضى الله عنه قال لقد تركنا محم صلى الله عليه وسلم وما يحرك طائر جناحيه فى السماء إلا أذكرنا منه علما

তাহকীক: