মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

৬. পবিত্রতা অর্জন - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৭৩৫ - ১
পবিত্রতা অর্জন
প্রথম পরিচ্ছেদ
পবিত্রতা অধ্যায়

পানির বিধান বিষয়ক পরিচ্ছেদসমূহ

(১) পরিচ্ছেদঃ কৃপ ও সমুদ্রের পানির পবিত্রতা প্রসঙ্গে
(১) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করে বলে, আমরা সমুদ্রযানে আরোহণ করে সমুদ্রে গমন করি। আমাদের সাথে সামান্য পরিমাণ পানি নিয়ে যাই। যদি আমরা সেই পানি দিয়ে ওযূ করি তাহলে আমাদেরকে পিপাসার্ত হতে হবে। এমতাবস্থায় আমরা কি সমুদ্রের পানি দিয়ে ওযূ করতে পারি? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল।
তাঁর (আবূ হুরাইরা (রা)) থেকে অন্য সূত্রে বর্ণিত আছে যে, কিছু মানুষ নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলেঃ আমরা গভীর সমুদ্রে চলে যাই আর সাথে এক পাত্র বা দুই পাত্র মাত্র পানি থাকে। আবার গভীর সমুদ্রে না গেলে শিকার পাওয়া যায় না। এমতাবস্থায় আমরা কি সমুদ্রের পানি দিয়ে ওযূ করব? তিনি বলেন, হ্যাঁ, করবে; কারণ সমুদ্রের মৃত প্রাণী হালাল এবং তার পানি পবিত্র।
كتاب الطهارة
(1)
كتاب الطهارة
(أبواب أحكام المياه) (الباب الأول في طهورية ماء البحر وماء البئر)
(1) عن أبي هريرة رضي الله عنه قال سأل رجل (1) رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إنا نركب البحر ونحمل معنا القليل من الماء فإن توضأنا به عطشنا، أفنتوضأ من ماء البحر؟ قال فقال النبي صلى الله عليه وسلم هو الطهور ماؤه (2) الحل ميتته
(وعنه من طريق آخر) (3) أن ناساً أتوا النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا إنا نبعد في البحر ولا نحمل من الماء إلا الإداوة (4) والإداوتين لأنا لا نجد الصيد حتى نبعد

أفنتوضأ بماء البحر قال نعم فإنه الحل ميتته الطهور ماؤه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩০৯৬
পবিত্রতা অর্জন
(১) পরিচ্ছেদঃ কৃপ ও সমুদ্রের পানির পবিত্রতা প্রসঙ্গে
(২) আব্দুল্লাহ ইবন্ মুগীরাহ ইবন্ আবী বুরদাহ আল-কিনানী (রা) থেকে বর্ণিত, বনু মুদলিজ গোত্রের কিছু মানুষ তাঁকে বলেছেন যে, তাঁরা শিকারের জন্য কাঠের ভেলা ইত্যাদিতে চড়ে সমুদ্রে গমন করতেন এবং তাদের সাথে পান করার জন্য কিছু পানি রাখতেন। তারা সমুদ্রের মধ্যে থাকা অবস্থায় সালাতের সময় উপস্থিত হয়। তারা বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উল্লেখ করেন এবং বলেন, আমরা যদি আমাদের নিকট রক্ষিত পানি দিয়ে ওযু করি তাহলে পিপাসায় পড়তে হয়। আর যদি আমরা সমুদ্রের পানি দিয়ে ওযূ করি তাহলে আমাদের মনে মধ্যে দ্বিধা ও খটকা লাগে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল ।
كتاب الطهارة
(1) (الباب الأول في طهورية ماء البحر وماء البئر)
(2) عن عبد الله بن المغيرة بن أبي بردة الكناني أن بعض بني مدلج (1) أخبره أنهم كانوا يركبون الأرماث في البحر للصيد فيحملون معهم ماء للسقاة فتدركهم الصلاة وهم في البحر وأنهم ذكروا ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقالوا إن نتوضأ بمائنا عطشنا وإن نتوضأ بماء البحر وجدنا في أنفسنا فقال لهم هو الطهور ماؤه الحلال ميتته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০১২
পবিত্রতা অর্জন
(১) পরিচ্ছেদঃ কৃপ ও সমুদ্রের পানির পবিত্রতা প্রসঙ্গে
(৩) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন সমূদ্রের পানির বিষয়ে “সমুদ্রের পানি পবিত্র ও তার মৃত হালাল।”
كتاب الطهارة
(1) (الباب الأول في طهورية ماء البحر وماء البئر)
(3) عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال في البحر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১৮
পবিত্রতা অর্জন
(১) পরিচ্ছেদঃ কৃপ ও সমুদ্রের পানির পবিত্রতা প্রসঙ্গে
(৪) মুসা ইবন সালামাহ (রা) থেকে বর্ণিত যে, সিনান ইবন্ সালামাহ আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাস (রা)-কে সমুদ্রের পানি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি উত্তরে বলেনঃ “সমুদ্রের পানি পবিত্র।”
كتاب الطهارة
(1) (الباب الأول في طهورية ماء البحر وماء البئر)
(4) عن موسى بن سلمة أن سنان بن سلمة سأل ابن عباس رضي الله عنهما عن ماء البحر فقال ماء البحر طهور.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৮
পবিত্রতা অর্জন
(১) পরিচ্ছেদঃ কৃপ ও সমুদ্রের পানির পবিত্রতা প্রসঙ্গে
(৫) আলী ইবন্ আবূ তালিব (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হজ্জের বর্ণনা প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাওয়াফে ইফাদাহ আদায় করেন। এরপর এক বালতি যমযমের পানি চেয়ে নিয়ে তা পান করেন এবং তা দিয়ে ওযূ করেন। এরপর তিনি বলেন, হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশধরেরা! তোমরা যমযমের পানি উঠাও। যদি মানুষের চাপে যমযমের পানি উঠানো ও পান করানোর সম্মান থেকে তোমাদের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকত তাহলে আমি নিজ হাতে যমযমের কূপ থেকে পানি উঠাতাম।
كتاب الطهارة
(1) (الباب الأول في طهورية ماء البحر وماء البئر)
(5) ز عن علي رضي الله عنه في صفة حج رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ثم أفاض (1) رسول الله صلى الله عليه وسلم فدعا بسجل (2) من ماء زمزم فشرب منه وتوضأ ثم قال انزعوا يا بني عبد المطلب فلولا أن تغلبوا (3) عليها لنزعت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৬ - ১
পবিত্রতা অর্জন
(২) পরিচ্ছেদঃ পানি না পাওয়া গেলে 'নাবীয' *দ্বারা ওযূ করার বিধান
(৬) আব্দুল্লাহ ইবন্ মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে রাত্রিতে জিনগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আগমন করে সেই রাত্রিতে সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই জন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে রাত্রি যাপন না করে পিছনে থেকে যান । তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা ফজরের সালাত আপনার সাথে আদায় করব। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তোমার কাছে কি পানি আছে? আমি বললাম, আমার কাছে পানি নেই, তবে একটি পাত্রে কিছু নাবীয আছে। তখন তিনি বললেন, ফল পবিত্র এবং পানিও পবিত্র। এরপর তিনি সেই নাবীয দিয়ে ওযূ করলেন।
আব্দুল্লাহ ইবন্ মাসউদ (রা) থেকে দ্বিতীয় এক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, (জিনদের রাত্রিতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তোমার কাছে কি ওযূর পানি আছে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে এই পাত্রে কি আছে? আমি বললাম, “নাবীয।” তিনি বললেন, আমাকে দেখাও। ফল পবিত্র এবং পানিও পবিত্র। এরপর তিনি তা দিয়ে ওযূ করলেন এবং সালাত আদায় করলেন।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে তৃতীয় এক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি জিনদের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন। তখন নবী (ﷺ) তাঁকে বলেনঃ আব্দুল্লাহ! তোমার সাথে কি পানি আছে? তিনি বলেন, আমার কাছে একটি পাত্রে কিছু নাবীয আছে। তিনি বলেনঃ সেটাই আমাকে ঢেলে দাও। এভাবে তিনি তা দিয়ে ওযূ করেন । আব্দুল্লাহ ইবন্ মাসউদ (রা) বলেন, তখন নবী (ﷺ) বলেন, হে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ! পবিত্র পানীয়।

* “নাবীয” অর্থ পানি মিশ্রিত ফলের রস। খেজুর, কিসমিস, মধু, গম, যব ইত্যাদি ফল বা খাদ্য শস্য পানিতে ভিজিয়ে যে 'পানীয়' তৈরী করা হয় তাকে আরবীতে নবীয বলা হয়।
كتاب الطهارة
(2) باب في حكم الطهارة بالنبيذ إذا لم يوجد الماء
(6) عن ابن مسعود رضي الله عنه قال لما كان ليلة الجن (1) تخلف منهم رجلان وقالا نشهد الفجر معك يا رسول الله فقال لي النبي صلى الله عليه وسلم أمعك ماء؟ قلت ليس معي ماء ولكن معي إداوة (2) فيها نبيذ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ثمرة طيبة (3) وماء طهور فتوضأ
(وعنه من طريق ثان) (4) قال قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم أمعك طهور قلت لا قال فما ذها في الإداوة قلت نبيذ قال أرنيها، ثمرة طيبة وماء طهور فتوضأ منها وصلى
(وعنه من طريق ثالث) (5) أنه كان مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة الجن فقال له النبي صلى الله عليه وسلم يا عبد الله أمعك ماء قال معي نبيذ في إداوة فقال اصبب علي فتوضأ قال فقال النبي صلى الله عليه وسلم يا عبد الله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯৭৮
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(৭) আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয়ে একত্রে একই পাত্রের পানি দিয়ে গোসল করতাম। আমরা দু'জনেই নাপাক অবস্থায় গোসল করতাম, কিন্তু এতে পানি তো আর নাপাক হয় না।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(7) عن عائشة رضي الله عنها لقد كنت أغتسل أنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد وإنا لجنبان ولكن الماء لا يجنب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০৮৯
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(৮) আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয়ে একত্রে একই পাত্রের পানি দিয়ে গোসল করতাম। তিনি বড় গামলা জাতীয় পাত্রে পানি রেখে গোসল করতেন।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(8) عن عروة عن عائشة رضي الله عنها قالت كنت أغتسل أنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد وكان يغتسل من القدح وهو الفرق (1)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৯৯ - ১
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(৯) মু'আযাহ আল-আদাবীয়্যাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়িশা (রা) আমাকে বলেছেন, আমি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয়ে একত্রে একই পাত্রের পানি দিয়ে গোসল করতাম। আমি তাঁকে বলতাম, আমার জন্য কিছু পানি রাখুন! আমার জন্য কিছু পানি রাখুন!
(দ্বিতীয় এক বর্ণনায় তিনি বলেন,) আমি তাঁর সাথে পাল্লা দিয়ে আগে আগে পানি তুলে নিতাম এবং বলতাম, আমার জন্য রাখুন! আমার জন্য রাখুন!!
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(9) عن معاذة العدوية عن عائشة رضي الله عنها أنها أخبرتها قالت

كنت أغتسل أنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد وأنا أقول له أبق لي ابق لي
(وعنها من طريق آخر بنحوه) (1) وفيه فأبادره وأقول دع لي دع لي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯৯১
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১০) উরওয়া ইবন যুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়েশা (রা) তাঁকে বলেছেন যে, তিনি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একই পাত্র থেকে গোসল করতেন। (কখনো) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর আগে আঁজলা ভরে পাত্র থেকে পানি নিতেন। আবার কখনো তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আগে আঁজলা ভরে পাত্র থেকে পানি নিতেন। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর আগেই শুরু করতেন।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(10) عن عروة عن عائشة رضي الله عنها حدثته أنها كانت تغتسل هي ورسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد يغرف قبلها وتغرف (2) قبله (وفي لفظ) كان يبدأ قبلها.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৯৭
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১১) মাইমূনা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একই পাত্র থেকে গোসল করতাম।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(11) عن ميمونة رضي الله عنها قالت كنت أغتسل أنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৪৯৮
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১২) যাইনাব বিন্ত উম্মু সালামাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি (তাঁর আম্মা, নবী-পত্নী) উম্মু সালামাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একত্রে একই পাত্র থেকে অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য (ফরয) গোসল করতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিয়াম পালন অবস্থায় তাঁকে চুমু দিতেন।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(12) عن زينب بنت أم سلمة عن أم سلمة رضي الله عنها أنها كانت هي ورسول الله صلى الله عليه وسلم يغتسلان من إناء واحد من الجنابة وكان يقبلها وهو صائم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৪৯
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১৩) উম্মু সালামার খাদিম নাইম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ উম্মু সালামাহ (রা)-কে প্রশ্ন করা হয়, মহিলা কি পুরুষের সাথে একত্রে গোসল করতে পারে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তা পারে, যদি সে বুদ্ধিমতী হয়। আমি নিজে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে একত্রে একই পাত্র থেকে গোসল করতাম। প্রথমে আমরা আমাদের হাতগুলোর ওপর পানি ঢেলে ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতাম। এরপর আমরা পাত্র থেকে নিজের দেহের ওপর পানি ঢালতাম ।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(13) عن ناعم مولى أم سلمة أن أم سلمة رضي الله عنها سئلت أتغتسل المرأة مع الرجل فقالت نعم إذا كانت كيسة (1) رأيتني ورسول الله صلى الله عليه وسلم تغتسل مرتين (2) واحد نقيض على أيدينا حتى ننقيها ثم نفيض علينا الماء.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২১০৫
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১৪) আনাস ইবনু মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তাঁর স্ত্রীদের যে কোন এক জন এক সাথে একই পাত্র থেকে গোসল করতেন। তিনি পাঁচ মাক্কুক (প্রায় ৫ লিটার) পানি দ্বারা গোসল করতেন এবং এক মাক্কুক পানি দ্বারা ওযূ করতেন।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(14) عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال كان النبي صلى الله عليه وسلم والمرأة من نسائه يغتسلان من إناء واحد وكان يغتسل بخمس مكاكي (2) ويتوضأ بمكوك.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭০৬৭
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১৫) সালিম ইবন্ সারজ বলেন, আমি উম্মু সুবাইয়াহ আল-জুহানিয়্যাহ (রা) (মহিলা সাহাবী)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার হাত ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাত একই পাত্রের পানিতে ওযূ করতে উঠা-নামা করেছে। (আমি তাঁর সাথে একই পাত্রের পানি দিয়ে ওযূ করেছি)।*

* এখানে প্রশ্ন উঠে, ওযূর সময় মুখ, মাথা, হাত ইত্যাদি অংশ অনাবৃত করে ধৌত করতে হয়। উম্মু সুবাইয়াহ (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর 'মাহরাম' বা নিকটাত্মীয় ছিলেন না। তিনি কিভাবে তাঁর সাথে একত্রে ওযূ করলেন? এর ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেছেন যে, সম্ভবত পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পূর্বে মহিলারা পুরুষদের সাথে ওযূ করেছেন। অথবা পাত্রের মাঝে পর্দা ছিল, ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় অংশ অনাবৃত করতে অসুবিধা ছিল না ।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(15) عن سالم بن سرج (3) قال سمعت أم صبية الجهنية رضي الله

عنها تقول اختلفت (1) يدي ويد رسول الله صلى الله عليه وسلم في الوضوء من إناء واحد.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮১ - ১
পবিত্রতা অর্জন
(৩) পরিচ্ছেদঃ স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রের পানিতে গোসল করলে পানির পবিত্রতা নষ্ট হয় না
(১৬) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে পুরুষ ও মহিলাগণ একত্রে একই পাত্রের পানি দিয়ে ওযূ করতেন।
তাঁর (আব্দুল্লাহ ইবন্ উমর (রা) দ্বিতীয় এক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে পুরুষ ও মহিলাগণ একত্রে একই পাত্রের পানি দিয়ে ওযূ করতেন।
(আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) তৃতীয় এক সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে মহিলাগণ ও পুরুষ একত্রে একই পাত্রের পানি দিয়ে ওযূ করতেন। তাঁরা সকলেই একত্রে ওযূ শুরু করতেন।*
*এখানে পুরুষ ও মহিলা বলতে সম্ভবত স্বামী-স্ত্রীদেরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সে যুগে সকল পরিবারেই স্বামী-স্ত্রী একত্রে একই পাত্রে ওযূ করতেন।
كتاب الطهارة
(3) باب في أن غسل الرجل مع زوجته من إناء واحد لا يسبب طهورية الماء
(16) عن ابن عمر رضي الله عنهما قال رأيت الرجال والنساء يتوضؤن على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد (2)
(وعنه من طريق ثان) (3) أن الرجال والنساء كانوا يتوضؤن على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم من الإناء الواحد جميعاً
(وعنه من طريق ثالث) (4) قال كان النساء والرجال يتوضؤن على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم من إناء واحد ويشرعون فيه جميعاً
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৯৮
পবিত্রতা অর্জন
(৪) পরিচ্ছেদঃ ওযূতে ব্যবহৃত পানি পবিত্র
(১৭) (মুহাম্মাদ) ইবন্ আল মুনকাদির থেকে বর্ণিত, তিনি জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা)-কে বলতে শুনেছেন, আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি । তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবূ বকর (রা) আমাকে দেখতে আসেন। তাঁরা দু'জনই হেঁটে আসেন। সে সময়ে আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম । ফলে তাঁর সাথে কথা বলতে পারি নি। তিনি তখন ওযূ করেন এবং ওযূর পানি আমার দেহে ঢেলে দেন। এতে আমি সংজ্ঞা ফিরে পাই। তখন আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল। আমার তো কয়েকজন বোন ছাড়া কেউ নেই, এক্ষেত্রে আমি আমার সম্পদের কি করব? তখন উত্তরাধিকার বিষয়ক নিম্নের আয়াত নাযিল হয়। “লোকে তোমার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়। বল, 'পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্বন্ধে তোমাদেরকে আল্লাহ ব্যবস্থা জানাচ্ছেন, কোনো পুরুষ মারা গেলে সে যদি সন্তানহীন হয় এবং তার এক ভগ্নি থাকে.......(সূরা ৪০ নিসাঃ ১৭৬ আয়াত।)
كتاب الطهارة
(4) باب في طهارة الماء المتوضأ به
(17) عن ابن المنكدر أنه سمع جابراً رضي الله عنه يقول مرضت فأتاني النبي صلى الله عليه وسلم هو وأبو بكر رضي الله عنه ماشيين وقد أغمي علي فلم أكلمه فتوضأ فصبه علي (1) فأفقت فقلت يا رسول الله كيف أصنع في مالي ولي أخوات قال فنزلت آية الميراث (يستفوتنك قل الله يفتيكم في الكلالة) كان ليس له ولد وله أخوات (إن امرؤ هلك ليس له ولد وله أخت).
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯১০
পবিত্রতা অর্জন
(৪) পরিচ্ছেদঃ ওযূতে ব্যবহৃত পানি পবিত্র
(১৮) মিসওয়ার ইবন মাখরামাহ ও মারওয়ান ইবনুল হাকাম থেকে হুদাইবয়ার সন্ধির বর্ণনায় বর্ণিত হাদীসে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা বলেনঃ কুরাইশদের দূত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কেমন আদব ও ভক্তির সাথে আচরণ করেন। তিনি কখনো ওযূ করলে সঙ্গে সঙ্গে সাহাবীগণ তাঁর ওযূতে ব্যবহৃত পানি গ্রহণের জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন। তিনি যখনই থুথু নিক্ষেপ করছেন তখনই সাহাবীগণ সেই থুথু গ্রহণ করার জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন। তাঁর কোনো একটি চুল পড়লে তা তাঁরা নিয়ে নিচ্ছেন।
كتاب الطهارة
(4) باب في طهارة الماء المتوضأ به
(18) وعن المسور بن مخرمة ومروان بن الحكم في حديث صلح الحديبية أن رسول قريش قام من عبد رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد رأى ما يصنع به أصحابه لا يتوضأ وضوء إلا ابتدروه (2) ولا يبسق بساقاً إلا ابتدروه ولا يسقط من شعره شيء إلا أخذوه.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭৫৭
পবিত্রতা অর্জন
(৪) পরিচ্ছেদঃ ওযূতে ব্যবহৃত পানি পবিত্র
(১৯) আবূ জুহাইফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুপুরের সময়ে বেরিয়ে আসেন। তারপর তিনি ওযূ করেন। তখন (সমবেত) মানুষেরা তাঁর ওযূতে ব্যবহৃত পানির ছিটেফোঁটা হাতে-দেহে মুছতে থাকেন। এরপর তিনি দুই রাক'আত জোহরের সালাত (কসর) আদায় করেন। এ সময় তাঁর সামনে একটি বল্লম (সুতরা হিসাবে) ছিল।
كتاب الطهارة
(4) باب في طهارة الماء المتوضأ به
(19) عن أبي جحيفة رضي الله عنه قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بالهاجرة (3) فتوضأ فجعل الناس يتمسحون بفضل وضوئه فصلى الظهر
ركعتين وبين يديه عنزة.
হাদীস নং: ২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০১২
পবিত্রতা অর্জন
(৫) পরিচ্ছেদঃ ওযূ-গোসলের পরে অবশিষ্ট পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জনে নিষেধাজ্ঞা
(২০) হুমাইদ ইবন্ আব্দুর রহমান আল-হিম্ইয়ারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হয়। যিনি চার বছর নবী (ﷺ)-এর সাহচর্যে ছিলেন, যেভাবে আবূ হুরাইরা (রা) চার বছর তাঁর সাহচর্যে ছিলেন। উক্ত সাহাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিষেধ করেছেন, যেন আমাদের কেউ প্রতিদিন চুল না আঁচড়ায়, যেন কেউ তার গোসলের স্থানে পেশাব না করে, পুরুষের (স্বামীর) গোসলের পরে অবশিষ্ট পানি দিয়ে যেন মহিলা (স্ত্রী) গোসল না করে এবং মহিলার গোসলের পরে অবশিষ্ট পানি দিয়ে যেন পুরুষ গোসল না করে। মহিলা এবং পুরুষ (স্বামী-স্ত্রী) একসাথে আঁজলা ভরে পানি নিবে।
كتاب الطهارة
(5) باب في النهي عن الطهارة بفضل الطهور
(20) عن حميد بن عبد الرحمن الحميري قال لقيت رجلا قد صحب النبي صلى الله عليه وسلم كما صحبه أبو هريرة أربع سنين قال نهانا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يمتشط أحدنا (1) كل يوم وأن يبول في مغتسله وأن تغتسل المرأة بفضل الرجل وأن يغتسل الرجل بفضل المرأة وليغترفوا جميعا (2)
tahqiq

তাহকীক: