মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

৭. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৮১৫
নামাযের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ নামায ফরয হওয়া প্রসঙ্গে এবং তা কখন ফরয হয়
(১) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক নবী (ﷺ)-এর কাছে আসলেন। তারপর বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহ তা'আলা আমার উপর কি কি নামায ফরয করেছেন, সে সম্বন্ধে বলুন। তখন মহানবী (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। লোকটি বলল, এর আগে বা পরে কি আমাকে আর কিছু পড়তে হবে? মহানবী (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন । একথা তিনবার বলেছেন । লোকটি বলল, আল্লাহ্ শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে প্রেরণ করেছেন, আমি এতে বাড়াবো না বা এর থেকে কিছু কমাব না। রাবী বলেন, তখন রাসূল (ﷺ) বলেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে যদি তার কথা সত্য হয়।
كتاب الصلاة
(1) باب فى افتراضها ومتى كان
(1) عن أنس بن مالك رضى الله عنه قال جاء رجلٌ إلى النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله أخبرنى بما افترض الله علىَّ من الصَّلاة، فقال أفترض الله على عباده صلواتٍ خمسًا، قال هل علىَّ قبلهنَّ أو بعدهنَّ؟ قال أفترض الله على عباده صلواتٍ خمسًا قالها ثلاثًا، قال والَّذي بعثك بالحقِّ لا أزيد فيهنَّ شيئًا ولا أنقص منهنَّ شيئًا، قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل الجنَّة إن صدق
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৮৯ - ১
নামাযের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ নামায ফরয হওয়া প্রসঙ্গে এবং তা কখন ফরয হয়
(২) ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের নবী (ﷺ)-এর উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর প্রভুকে তা কমাবার জন্য অনুরোধ করলে পাঁচ ওয়াক্ত করা হয়।
(অপর এক সূত্রে তাঁর থেকে বর্ণিত আছে) তোমাদের নবী (ﷺ)-কে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায পড়ার আদেশ করা হয়। অতঃপর বাকি হাদীস পূর্বের মত উল্লেখ করেন।
كتاب الصلاة
(1) باب فى افتراضها ومتى كان
(2) عن ابن عبَّاس رضي الله عنهما قال فرض على نبيِّكم صلى الله عليه وسلم خمسون
صلاة فسأل ربه عزَّ وجلَّ فجعلها خمسًا
(وعنه من طريقٍ آخر) أمر نبيُّكم صلى الله عليه وسلم بخمسين صلاة فذكر الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১২৮৮
নামাযের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ নামায ফরয হওয়া প্রসঙ্গে এবং তা কখন ফরয হয়
(৩) আনাস ইবন মালিক থেকে (উবাই ইবন্ কা'বের সূত্রে এক দীর্ঘ হাদীসে যা পরে ইসরা অধ্যায়ে পরিপূর্ণভাবে বর্ণিত হবে।) বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছিলেন। তিনি (রাসূল) আরও বলেন, আমি তা নিয়ে ফিরে আসছিলাম। মুসা (আ)-এর সামনে এলে তিনি তখন জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তোমার উম্মতের উপর কি কি ফরয করলেন? আমি বললাম, তাদের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তখন মুসা (আ) তাঁকে বললেন, তুমি তোমার রবের কাছে ফিরে যাও। কারণ তোমার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। তিনি (রাসূল (ﷺ)) বলেন, তখন আমি আমার রবের কাছে ফিরে গেলাম। তখন তিনি তার অর্ধেক মাফ করে দিলেন। তখন আমি মুসা (আ)-এর কাছে ফিরে এসে তাঁকে এ সংবাদ দিলাম। তখন সংবাদ শুনে তিনি আবার বললেন, তুমি তোমার রবের কাছে আবার যাও, কারণ, তোমার উম্মত তাও পালন করতে পারবে না। তিনি (রাসূল (ﷺ)) বলেন, তখন আমি আমার রবের কাছে আবার ফিরে গেলাম। তখন (আল্লাহ্ তা'আলা) বললেন, তা পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলাম। তবে তার সাওয়াব হবে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান, আমার কথার পরিবর্তন হবে না।
كتاب الصلاة
(1) باب فى افتراضها ومتى كان
(3) عن أنس بن مالك (من حديث طويل عن أبيِّ بن كعب سيأتي بتمامه فى الإسراء) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فرض الله تبارك وتعالى على أمَّتى خمسين صلاةً، قال فرجعت بذلك حتَّى أمرَّ على موسى عليه السَّلام، فقال ماذا فرض ربُّك تبارك وتعالى على أمَّتك؟ قال فرض عليهم خمسين صلاةً، فقال له موسى عليه السَّلام راجع ربَّك تبارك وتعالى فإنَّ أمتك لا تطيق ذلك، قال فراجعت ربِّى عزَّ وجلَّ فوضع شطرها فرجعت إلى موسى فأخبرته، فقال راجع ربَّك فإن أمَّتك لا تطيق ذلك، قال فراجعت ربِّى، فقال هى خمسٌ وهى خمسون لا يبدَّل القول لدىَّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৯৬৭
নামাযের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ নামায ফরয হওয়া প্রসঙ্গে এবং তা কখন ফরয হয়
(৪) আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (মূলত) নামায ফরয করা হয়েছিল দু'রাক'আত দু'রাক'আত করে। অতঃপর রাসূল (ﷺ) মুকীম অবস্থায় নামায বৃদ্ধি করেছিলেন। আর সফরের নামায পূর্বের অবস্থায় রেখেছিলেন।
كتاب الصلاة
(1) باب فى افتراضها ومتى كان
(4) عن عائشة رضى الله عنها قالت فرضت الصَّلاة ركعتين فزاد رسول الله صلى الله عليه وسلم فى صلاة الحضر وترك صلاة السَّفر على نحوها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১২৪
নামাযের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ নামায ফরয হওয়া প্রসঙ্গে এবং তা কখন ফরয হয়
(৫) ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তা'আলা তোমাদের নবীর মুখে নামায ফরয করলেন মুকীমদের উপর চার রাকাত করে। আর মুসাফিরদের উপর দু 'রাক'আত করে। আর ভয়গ্রস্তদের উপর এক রাক'আত করে।
كتاب الصلاة
(1) باب فى افتراضها ومتى كان
(5) عن ابن عبَّاس رضى الله عنهما إنَّ الله عزَّ وجلَّ فرض الصَّلاة على لسان نبيكم، على المقيم أربعًا، وعلى المسافر ركعتين، وعلى الخائف ركعة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৮৪
নামাযের অধ্যায়
(১) পরিচ্ছেদঃ নামায ফরয হওয়া প্রসঙ্গে এবং তা কখন ফরয হয়
(৬) ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামায (মূলত) পঞ্চাশ ওয়াক্ত ফরয ছিল। আর জানাবতের গোসল সাতবার । পেশাবের কারণে গোসল ছিল সাতবার করে । রাসূল (ﷺ) বারবার কমাবার জন্য অনুরোধ করতে থাকলেন। পরিশেষে নামায ফরয করা হল পাঁচ ওয়াক্ত। জানাবতের গোসল ফরয করা হল একবার আর পেশাবের জন্য গোসল ফরয করা হল একবার ।

[এখানে গোসল শব্দটি অভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত। অর্থাৎ একবার ধোয়া ফরয করা হলো।]
كتاب الصلاة
(1) باب فى افتراضها ومتى كان
(6) عن ابن عمر رضى الله عنهما قال كانت الصلاة خمسين، والغسل من الجنابة سبع مرارٍ، والغسل من البول سبع مرارٍ، فلم يزل رسول الله صلى الله عليه وسلم يسأل حتى جعلت الصَّلاة خمسًا، والغسل من الجنابة مرَّةً، والغسل من البول مرةً
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯১৯৭
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(৭) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং এক জুমু'আ হতে অপর জুমু'আ, এক রমযান হতে অপর রমযান, এর মধ্যের সব সাগীরাহ গুনাহ ক্ষমাকারী, যদি কবীরাহ গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয় ।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(7) عن أبى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
الصَّلوات الخمس والجمعة إلى الجمعة ورمضان إلى رمضان مكفِّرات لما بينهن ما اجتنبت الكبائر
হাদীস নং: ৮
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৭৬
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(৮) তিনি নবী (ﷺ) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে, এক নামায তার পূর্বের সময় পর্যন্ত (সকল সাগীরাহ গুনাহ) বিলীনকারী । এক জুমু'আ তার পূর্বের জুমু'আ পর্যন্ত (সকল সাগীরাহ গুনাহ) বিলীনকারী। এক মাস তার পূর্বের মাস পর্যন্ত (সকল সাগীরাহ গুনাহ) বিলীনকারী । তবে এর দ্বারা তিন প্রকারের গুনাহ মাফ হবে না । রাবী বলেন এতে আমরা বুঝতে পারলাম এটা একটা নতুন বিষয়। (এক) আল্লাহর সাথে শিরক করার গুনাহ (দুই) চুক্তি ভঙ্গের গুনাহ। (তিন) সুন্নত তরকের গুনাহ । আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই যে, আল্লাহর সাথে শিরক করার কথা আমরা বুঝলাম । কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ ও সুন্নত তরকের গুনাহ বলতে কি বুঝিয়েছেন? তিনি উত্তরে বললেন, চুক্তি ভঙ্গ হলো তুমি কারো হাতে বাই'আত করলে অতঃপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করলে। আর সুন্নত তরক হলো আহলে সুন্নত জামা'আত হতে বের হয়ে যাওয়া (বিদ'আত আরম্ভ করা।)
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(8) وعنه أيضًا عن النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم قال الصَّلاة إلى الصَّلاة الَّتى قبلها كفَّارة، ولجمعة إلى الجمعة الَّتى قبلها كفَّارة، والشَّهر إلى الشَّهر الَّذي قبله كفَّارةٌ إلاَّ من ثلاثٍ، قال فعرفنا أنَّه أمرٌ حدث، إلاَّ من الشرك بالله ونكث الصَّفقة وترك السُّنَّة، قلنا يا رسول الله هذا الشِّرك بالله قد عرفناه، فما نكث الصَّفقة وترك السُّنَّة؟ قال أمَّا نكث الصَّفقة فأن تعطى رجلًا بيعتك ثمَّ تقاتله بسيفك، وأما ترك السُّنَّة فالخروج من الجماعة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭০৭
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(৯) আবূ উসমান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সালমান ফারসী (রা)-এর সাথে এক গাছের নীচে ছিলাম। তখন তিনি একটা শুকনো ঢাল নিয়ে তা ঝাড়া দিলেন। ফলে তার পাতাগুলো ঝরে পড়লো। তারপর বললেন, হে আবূ উসমান, আমি এরূপ কেন করলাম সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করবে না? আমি বললাম, কেন এরূপ করলেন? তিনি বললেন, রাসূল (ﷺ) এরূপ আমার সাথে করেছিলেন। তখন আমি তাঁর সাথে ছিলাম। একটি গাছের নীচে । তখন তিনি সে গাছ থেকে একটা শুকনো ডাল নিলেন। তারপর তা ঝাড়া দিলেন ফলে তাঁর পাতাগুলো পড়ে গেল। তখন বললেন, হে সালমান! কেন এরকম করলাম জিজ্ঞাসা করব না? আমি বললাম, এরূপ কেন করলেন? তিনি উত্তরে বললেন, মুসলমান যখন ওযূ করেন এবং তা উত্তমভাবে করে তারপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে তখন তার গুনাহগুলো এভাবেই ঝড়ে পড়ে যেমন এ পাতাগুলো ঝরে পড়লো। তিনি আরও বললেন, وأقم الصَّلاة طرفي النَّهار وزلفًا من الَّليل، إنَّ الحسنات يذهبن السَّيِّئات، ذلك ذكرى للذَّاكرين "আর দিনের দু'প্রান্তেই নামায কায়েম করবে রাতের প্রান্ত ভাগেও। পুণ্য কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়। এটা একটা মহা স্মারক যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য। [সূরা হুদঃ ১১ঃ৪]]
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(9) عن أبى عثمان قال كنت مع سلمان الفارسىِّ رضى الله عنه تحت شجرة وأخذ منها غصنًا يابسًا فهزَّه حتَّى تحاتَّ ورقه، ثمَّ قال يا با عثمان ألا تسألنى لم أفعل هذا، قلت ولم تفعله؟ قال هكذا فعل بى رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنا معه تحت شجرة فأخذ منها غصنًا يابسًا فهزَّه حتَّى تحاتَّ ورقه، فقال يا سلمان ألا تسألنى لم أفعل هذا، قلت ولم تفعله؟ قال إنَّ المسلم إذا توضَّأ فأحسن الوضوء ثمَّ صلَّى الصَّلوات الخمس تحانَّت خطاياه كما يتحاتُّ
هذا الورق، وقال {وأقم الصَّلاة طرفي النَّهار وزلفًا من الَّليل، إنَّ الحسنات يذهبن السَّيِّئات، ذلك ذكرى للذَّاكرين}
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫৫৬
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১০) আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) (একবার) শীতকালে বের হলোন। তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল। তখন রাসূল (ﷺ) এক গাছ থেকে দু'টি ঢাল ভেঙ্গে নিলেন। তিনি বলেন, তখন পাতাগুলো ঝরে পড়তে (ﷺ) বললেন, মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামায পড়েন তখন তার গুনাহগুলো ঝরে পড়ে যেমন এ গাছের ডাল থেকে তার পাতাগুলো ঝড়ে পড়ছে।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(10) عن أبى ذرٍّ رضى الله عنه أنَّ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم خرج زمن الشّتاء والورق يتهافت فأخذ بغصنين من شجرة قال فجعل ذلك الورق يتهافت، قال فقال يا أبا ذرٍّ قلت لبَّيك يا رسول الله، قال إنَّ العبد المسلم ليصلِّى الصَّلاة يريد بها وجه الله تعالى فتهافت عنه ذنوبه كما يتهافت هذا الورق عن هذه الشَّجرة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৩
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১১) উসমান ইবন্ আফ্ফানের (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম হারিছ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন উসমান (রা) বসলেন, আমরাও তাঁর সাথে বসলাম । তখন তাঁর কাছে মুয়াযযিন আসলেন। তখন তিনি একটি পাত্রে পানি চাইলেন । আমার মনে হয় তাতে এক মুদ্দ পরিমাণ পানি হবে। তখন তিনি ওযূ করলেন। তারপর বললেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে সেভাবে ওযূ করতে দেখেছি। তারপর তিনি (রাসূল সা) বলেছিলেন, যে আমার এরূপ ওযূ করবে তারপর দাঁড়িয়ে জোহরের নামায পড়বে তার জোহর থেকে সকাল পর্যন্ত কৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অতঃপর আসরের নামায পড়লে তা থেকে জোহর পর্যন্ত কৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করলে মাগরিব থেকে আসরের মধ্যেকৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অতঃপর ইশার নামায পড়লে ইশা থেকে মাগরিবের মধ্যে কৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে । অতঃপর হয়ত বা সে সারা রাত এপাশ ওপাশ করে ঘুমাবে। তারপর ঘুম হতে উঠে ওযূ করে সকালের নামায পড়লে তখন সকাল থেকে ইশার মধ্যে কৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। কারণ, এগুলো সৎকর্ম যা পাপকে দূরীভূত করে দেয়। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেন, এ সব নামায যদি হাসানাত তথা সৎকর্ম হয় তাহলে বাকিয়াত বা স্থায়ী আমল হবে কি, হে উসমান ! তিনি উত্তরে বললেন, তা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্ ।”
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(11) عن الحارث مولى عثمان (بن عفَّان) رضي الله عنه قال جلس عثمان يومًا وجلسنا معه فجاءه المؤذِّن فدعا بماءٍ فى إناء أظنُّه سيكون فيه
مدٌّ فتوضَّأ ثمَّ قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يتوضَّأ وضوئى هذا، ثمَّ قال ومن توضَّأ وضوئي ثمَّ قام فصلَّى صلاة الظُّهر غفر له ما كان بينها وبين الصُّبح، ثمَّ صلَّى العصر غفر له ما بينها وبين صلاة الظُّهر، ثمَّ صلَّى المغرب غفر له ما بينها وبين صلاة العصر ثمَّ صلَّى العشاء غفر له ما بينها وبين صلاة المغرب، ثمَّ لعلَّه أن يبيت يتمرَّغ ليلته، ثمَّ إن قام فتوضَّأ وصلَّى الصُّبح غفر له ما بينها وبين صلاة العشاء، وهنَّ الحسنات يذهبن السَّيِّئات، قالوا هذه الحسنات فما الباقيات يا عثمان؟ قال هنَّ لا إله إلا الله وسبحان الله والحمد لله والله أكبر ولا حول ولا قوة إلاَّ بالله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৪
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১২) হুমরান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসমান (রা) মুসলমান হবার পর থেকে প্রতিদিন একবার করে গোসল করতেন। একদিন আমি তাঁর ওযূর পানি দিলাম। তিনি ওযূ শেষ করে বললেন, আমি তোমাদেরকে একটা হাদীস শুনাতে চাই, যা আমি মহানবী (ﷺ) হতে শুনেছি। তারপর বললেন, এখন আমার মনে হচ্ছে তা তোমাদের না শুনানোই ভাল । তখন হাকাম ইবন্ আস বললেন, আমিরুল মু'মিনীন, তা যদি (আমাদের জন্য) কল্যাণকর হয় তাহলে তা আমরা তা গ্রহণ করবো। আর যদি অকল্যাণকর হয় তাহলে তা থেকে বিরত থাকবো। রাবী বলেন, তখন তিনি বললেন, আমি তা তোমাদের শুনাব। রাসূল (ﷺ) এভাবে ওযূ করলেন। তারপর বললেন, যে এ রকম উত্তমভাবে ওযূ করবে, অতঃপর নামাযে দাঁড়াবে, রুকু সিজদাগুলো ভাল করে আদায় করবে, তার সে নামায এবং অপর নামাযের মধ্যে কৃত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। যতক্ষণ না ধ্বংসাত্মক কোন গুনাহ করবে অর্থাৎ কবীরা গুনাহ করবে।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(12) عن حمران قال كان عثمان رضى الله عنه يغتسل كلَّ يوم مرَّة من منذ أسلم فوضعت وضوءًا له ذات يوم للصَّلاة، فلمَّا توضَّأ قال إنِّي أردت أن أحدِّثكم بحديثٍ سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثمَّ قال بدا لى أن لا أحدِّثكموه فقال الحكم بن العاص يا أمير المؤمنين إن كان خيرًا فنأخذ به أو شرًّا فنتَّقيه، قال فقال فإنِّي محدِّثكم به، توضَّأ رسول الله صلى الله عليه وسلم هذا الوضوء ثمَّ قال من توضأ هذا الوضوء فأحسن الوضوء، ثمَّ قام إلى الصَّلاة فأتمَّ ركوعها وسجودها كفَّرت عنه ما بينها وبين الصَّلاة الأخرى ما لم يصب مقتلةً، يعنى كبيرةً
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৩) উসমান ইবন আফফান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে লোক আল্লাহর নির্দেশ মত ওযূ করলো তারপর ফরয নামাযগুলো আদায় করলো, তার সে নামাযগুলো মধ্যের গুনাহগুলোর কাফ্ফারা হয়ে যাবে।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(13) عن عثمان بن عفَّان رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
من أتمَّ الوضوء كما أمره الله فالصَّلوات المكَّتوبات كفارات لما بينهن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৮
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৪) তাঁর থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে মনে কর তোমাদের কারও বাড়ির পাশে যদি প্রবাহমান নদী থাকে, সে যদি তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কি ময়লা থাকবে? তাঁরা বললেন, কিছুই থাকতে পারে না। তারপর তিনি বললেন, নামায ঐরূপ গুনাহগুলোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়, যেমনি পানি ময়লা পরিষ্কার করে দেয়।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(14) وعنه أيضًا قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول أرأيت لو كان بفناء أحدكم نهر يجرى يغتسل منه كلَّ يوم خمس مرَّات ما كان يبقى من درنه قالوا لا شيء، قال إنَّ الصَّلاة تذهب الذُّنوب كما يذهب الماء الدَّرن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯২৪
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৫) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনও রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন। তোমরা বলো, তোমাদের কারো বাড়ির দরজায় যদি একটা নদী থাকে আর যদি সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার গায়ে কি কোন ময়লা থাকতে পারে? তাঁরা বললেন, তার গায়ে কোন ময়লা থাকতে পারে না। (অতঃপর) তিনি বললেন, এটা হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মত। আল্লাহ তা'আলা এর দ্বারা গুনাহ মাফ করে দেন।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(15) عن أبى هريرة رضى الله عنه أنَّه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول أرأيتم لو أنَّ نهرًا بباب أحدكم يغتسل منه كلَّ يومٍ خمس مرَّاتٍ ما تقولون هل يبقى من درنه؟ قالوا لا يبقى من درنه شيءٌ، قال ذاك مثل الصَّلوات الخمس يمحو الله بها الخطايا
হাদীস নং: ১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩৪
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৬) আমির ইবন সা'দ ইবন্‌ আবূ ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি সাদসহ রাসূল (ﷺ)-এর আরও কতক সাহাবীকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলের যুগে দুটি লোক পরস্পর বন্ধু ছিলেন। তাদের একজন অপরজনের চেয়ে ভাল ছিলেন । এতদুভয়ের মধ্যে ভালজন মারা গেলেন। অতঃপর দ্বিতীয়জন চল্লিশ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকলেন । তারপর তিনিও মারা গেলেন। তারপর রাসূল (ﷺ)-এর কাছে দ্বিতীয়জনের ওপর প্রথমজনের ফযীলাতের কথা আলোচনা করা হলো। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, সে কি (দ্বিতীয়জন) নামায পড়তো না? তারা বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এতে কোন ত্রুটি ছিল না। তারপর মহানবী (ﷺ) বললেন, তোমরা বুঝতে পারছ না তাঁর নামায তাঁকে কত উর্ধ্বে নিতে পারে। তাঁর নামায তাঁকে কোথায় নিয়ে গেছে। তারপর তখনই আবার বললেন, নামাযের উদাহরণ হলো, তোমাদের কারো বাড়ির সামনের মিষ্টি পানির গভীর স্রোতস্বিনীর মত। সে যদি তাতে প্রতি দিন অবগাহন করে তাহলে তোমরা কি মনে কর তার (শরীরে) ময়লা থাকতে পারে?
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(16) عن عامر بن سعد بن أبى وقَّاص قال سمعت سعدًا وناسًا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يقولون كان رجلان أخوان فى عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان أحدهما أفضل من الآخر، فتوفّي الذى هو أفضلهما، ثم عمَّر الآخر
بعده أربعين ليلة، ثمَّ توفِّى فذكر لرسول الله صلى الله عليه وسلم فضل الأوَّل على الآخر، فقال ألم يكن يصلِّى؟ فقالوا بلى يا رسول الله فكان لا بأس به، فقال ما يدريكم ماذا بلغت به صلاته، ثمَّ قال عند ذلك إنما مثل الصَّلاة كمثل نهرٍ جارٍ غمرٍ عذبٍ بباب أحدكم يقتحم فيه كلَّ يومٍ خمس مرَّات فما ترون يبقى من درنه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪০৮
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৭) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উদাহরণ হলো প্রবহমান স্রোতস্বিনীর মতো যা তোমাদের কারো বাড়ির সামনে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(17) عن جابر بن عبد الله رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مثل الصَّلوات الخمس كمثل نهرٍ جارٍ غمرٍ على باب أحدكم يغتسل منه كلَّ يومٍ خمس مرَّاتٍ
হাদীস নং: ১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮১১
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৮) ইবন মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে লোক আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে নেয় আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তিনি (ইবন্ মাসউদ (রা)) আরও বলেন, আমি আরও একটা কথা বলছি যা আমি তাঁর কাছে শুনি নি। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে মারা যাবে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর এই নামাযগুলো হল তার মধ্যের গুনাহগুলো তিরোহিতকারী, যতক্ষণ না তিনি হত্যা থেকে বিরত থাকবেন ।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(18) عن ابن مسعودٍ رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من جعل لله ندًّا جعله الله فى النَّار، وقال وأخرى أقولها لم أسمعها منه، من مات لا يجعل لله ندًّا أدخله الجنَّة، وإنَّ هذه الصَّلوات كفَّارات لما بينهنَّ ما اجتنب القتل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২২৩৭
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(১৯) আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যখনই কোন মুসলমানের ফরয নামাযের সময় হয়, আর তিনি গিয়ে উত্তমভাবে ওযূ করে উত্তমভাবে নামায আদায় করেন তখনই আল্লাহ তা'আলা এ নামায দ্বারা তার এই নামায ও নামাযের মধ্যের (ছোট) গুনাহগুলো মাফ করে দেন। অতঃপর আর এক ফরয নামাযের সময় উপস্থিত হলে এবং তা উত্তমভাবে আদায় করলে তখন সে নামায এবং তার পূর্বের নামাযের মধ্যের (সাগীরাহ) গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়। অতঃপর আর এক ফরয নামাযের সময় হলে এবং তা উত্তমভাবে আদায় করলে তখনই তার সে নামায এবং তার পূর্বের নামাযের মধ্যের গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায় ।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(19) عن أبى أمامة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من امرئ
مسلم تحضره صلاةٌ مكتوبةٌ فيقوم فيتوضَّأ فيحسن الوضوء ويصلِّى فيحسن الصَّلاة إلاَّ غفر الله له بها ما كان بينها وبين الصَّلاة الَّتى كانت قبلها من ذنوبه، ثمَّ يحضر صلاةً مكتوبةً فيصلِّى فيحسن الصَّلاة إلاَّ غفر له ما بينها وبين الصَّلاة الَّتى كانت قبلها من ذنوبه
হাদীস নং: ২০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫০৩
নামাযের অধ্যায়
(২) পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মর্যাদা ও সেগুলোর দ্বারা গুনাহ মাফ হওয়া প্রসঙ্গে
(২০) আবূ আইয়ূব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলতেন, প্রতি নামায তার সামনের অপরাধগুলোকে মিটিয়ে দেয়।
كتاب الصلاة
(2) باب فى فضل الصلوات الخمس وانها مكفرة للذنوب
(20) عن أبى أيوب الأنصاريِّ رضى الله عنه أنَّ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم كان يقول إنَّ كلّ صلاةٍ تحطُّ ما بين يديها من خطيئة
tahqiq

তাহকীক: