আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২৮৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩০-১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২২. অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ
২৮৫৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হাঙ্গামা [হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ ও আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর মধ্যকার সংঘাত] চলাকালীন সময়ে উমরা করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ পৌঁছতে আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই তবে (অনুরূপ পরিস্থিতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যেরূপ করেছিলাম, এখন তদ্রূপ করব। অতএব তিনি রওয়ানা হলেন এবং উমরার ইহরাম বাঁধলেন, তিনি সফর অব্যাহত রাখলেন; যতক্ষণ না আর বায়দা নামক স্থানে পৌছলেন।
এখানে তিনি নিজের সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, হজ্জ ও উমরা উভয়ের নিয়ম একই। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি নিজের জন্য হজ্জকে উমরার সাথে বাধ্যতামূক করলাম। (রাবী বলেন) অতএব তিনি রওয়ানা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌছলেন, সাতবার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি এবং নিজের (হজ্জ ও উমরার) জন্য এটাই (এক তাওয়াফ ও এক সাঈ) যথেষ্ট বিবেচনা করলেন এবং কুরবানী করলেন।
এখানে তিনি নিজের সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, হজ্জ ও উমরা উভয়ের নিয়ম একই। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি নিজের জন্য হজ্জকে উমরার সাথে বাধ্যতামূক করলাম। (রাবী বলেন) অতএব তিনি রওয়ানা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌছলেন, সাতবার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি এবং নিজের (হজ্জ ও উমরার) জন্য এটাই (এক তাওয়াফ ও এক সাঈ) যথেষ্ট বিবেচনা করলেন এবং কুরবানী করলেন।
كتاب الحج
باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - خَرَجَ فِي الْفِتْنَةِ مُعْتَمِرًا وَقَالَ إِنْ صُدِدْتُ عَنِ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَسَارَ حَتَّى إِذَا ظَهَرَ عَلَى الْبَيْدَاءِ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ . فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا جَاءَ الْبَيْتَ طَافَ بِهِ سَبْعًا وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعًا لَمْ يَزِدْ عَلَيْهِ وَرَأَى أَنَّهُ مُجْزِئٌ عَنْهُ وَأَهْدَى .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩০-২
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২২. অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ
২৮৬০। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ এবং সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ উভয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সাথে কথা বললেন- যে বছর হাজ্জাজ ইবনে ইউসূফ আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল। তারা উভয়ে বললেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কি ক্ষতি আছে? কারণ আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে- গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আপনি বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন না। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, যদি তা আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়ও তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করেছেন, আমিও তদ্রূপ করব।
কুরাইশ কাফিররা যখন তাঁর ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল, এ সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি উমরার নিয়ত করলাম। অতঃপর তিনি রওয়ানা হয়ে যুল হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছে উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন। অতঃপর বললেন, যদি আমার পথ উন্মুক্ত থাকে, তবে আমি উমরা পূর্ণ করব। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করেছেন আমিও তাই করব। সে সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ” (সূরা আহযাবঃ ২১)।
তিনি আবার চলতে লাগলেন, যতক্ষণ না বায়দার উপকণ্ঠে পৌঁছলেন। এখানে পৌছে তিনি বললেনঃ হজ্জ ও উমরার বিধান একই। যদি আমার এবং উমরার মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে আমার এবং হজ্জের মাঝেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি আমার উমরার সাথে হজ্জকেও বাধ্যতামূলক করে নিলাম। অতঃপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছে কুরবানীর পশু ক্রয় করলেন। অতঃপর হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য এক তাওয়াফ (সাত চক্কর) ও এক সাঈ (সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার দৌড়) করলেন এবং ইহরাম খুললেন না, বরং হজ্জ সমাপন করে কুরবানীর দিন উভয়ের ইহরাম খুললেন।
কুরাইশ কাফিররা যখন তাঁর ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল, এ সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি উমরার নিয়ত করলাম। অতঃপর তিনি রওয়ানা হয়ে যুল হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছে উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন। অতঃপর বললেন, যদি আমার পথ উন্মুক্ত থাকে, তবে আমি উমরা পূর্ণ করব। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করেছেন আমিও তাই করব। সে সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ” (সূরা আহযাবঃ ২১)।
তিনি আবার চলতে লাগলেন, যতক্ষণ না বায়দার উপকণ্ঠে পৌঁছলেন। এখানে পৌছে তিনি বললেনঃ হজ্জ ও উমরার বিধান একই। যদি আমার এবং উমরার মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে আমার এবং হজ্জের মাঝেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি আমার উমরার সাথে হজ্জকেও বাধ্যতামূলক করে নিলাম। অতঃপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছে কুরবানীর পশু ক্রয় করলেন। অতঃপর হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য এক তাওয়াফ (সাত চক্কর) ও এক সাঈ (সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার দৌড়) করলেন এবং ইহরাম খুললেন না, বরং হজ্জ সমাপন করে কুরবানীর দিন উভয়ের ইহরাম খুললেন।
كتاب الحج
باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، كَلَّمَا عَبْدَ اللَّهِ حِينَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ لِقِتَالِ ابْنِ الزُّبَيْرِ قَالاَ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَحُجَّ الْعَامَ فَإِنَّا نَخْشَى أَنْ يَكُونَ بَيْنَ النَّاسِ قِتَالٌ يُحَالُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْبَيْتِ قَالَ فَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ حِينَ حَالَتْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً . فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ فَلَبَّى بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ قَالَ إِنْ خُلِّيَ سَبِيلِي قَضَيْتُ عُمْرَتِي وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ . ثُمَّ تَلاَ ( لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ) ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَهْرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ إِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْعُمْرَةِ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْحَجِّ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَةٍ . فَانْطَلَقَ حَتَّى ابْتَاعَ بِقُدَيْدٍ هَدْيًا ثُمَّ طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ مِنْهُمَا حَتَّى حَلَّ مِنْهُمَا بِحَجَّةٍ يَوْمَ النَّحْرِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩০-৩
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২২. অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ
২৮৬১। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। হাজ্জাজ যে বছর ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল ঐ বছর ইবনে উমর (রাযিঃ) হজ্জের সংকল্প করলেন। অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এই সূত্রে হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ আছে যে, তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি হজ্জ ও উমরার জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধল, তার জন্য এক তাওয়াফই (সাত চক্কর) যথেষ্ট এবং উভয়ের অনুষ্ঠান সমাপ্ত না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলবে না।
كتاب الحج
باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ أَرَادَ ابْنُ عُمَرَ الْحَجَّ حِينَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ هَذِهِ الْقِصَّةِ وَقَالَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ وَكَانَ يَقُولُ مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ كَفَاهُ طَوَافٌ وَاحِدٌ وَلَمْ يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩০-৪
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২২. অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ
২৮৬২। মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ ও কুতায়বা (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। হাজ্জাজ ইবনে ইউসূফ যে বছর ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল সেই বছর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করলেন। তাকে বলা হল, লোকদের মধ্যে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে- তারা আপনাকে বাধা দিবে। তিনি বললেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুল (ﷺ) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (সূরা আহযাব ২১)। এইরূপ পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করেছেন, আমিও অনুরূপ করব। আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে নিশ্চয়ই আমি উমরার সংকল্প করেছি। অতঃপর তিনি রওয়ানা হলেন। অবশেষে যখন বায়দার উপকণ্ঠে পৌছলেন তখন তিনি বললেন, হজ্জ ও উমরার অবস্থা একই, তোমরা সাক্ষী থাক।
ইবনে রুমহের বর্ণনায় আছে আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি নিশ্চয়ই আমার উমরার সাথে হজ্জ অনিবার্য করে নিলাম। অতঃপর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিলেন যা তিনি কুদায়দ নামক স্থানে ক্রয় করেছিলেন।
অতঃপর তিনি হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বেধে অগ্রসর হলেন। অবশেষে মক্কায় পৌঁছে তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করলেন না। তিনি কুরবানীও করেননি। মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাটেননি এবং (ইহরামের কারণে) যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল তার কোনটি হালাল করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করলেন ও মাথা কামালেন এবং তার মত অনুযায়ী তিনি তার প্রথম তাওয়াফ দ্বারাই হজ্জ ও উমরার তাওয়াফ সস্পাদন করে ফেলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করেছেন।
ইবনে রুমহের বর্ণনায় আছে আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি নিশ্চয়ই আমার উমরার সাথে হজ্জ অনিবার্য করে নিলাম। অতঃপর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিলেন যা তিনি কুদায়দ নামক স্থানে ক্রয় করেছিলেন।
অতঃপর তিনি হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বেধে অগ্রসর হলেন। অবশেষে মক্কায় পৌঁছে তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করলেন না। তিনি কুরবানীও করেননি। মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাটেননি এবং (ইহরামের কারণে) যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল তার কোনটি হালাল করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করলেন ও মাথা কামালেন এবং তার মত অনুযায়ী তিনি তার প্রথম তাওয়াফ দ্বারাই হজ্জ ও উমরার তাওয়াফ সস্পাদন করে ফেলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করেছেন।
كتاب الحج
باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَرَادَ الْحَجَّ عَامَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ فَقَالَ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً . ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلاَّ وَاحِدٌ اشْهَدُوا - قَالَ ابْنُ رُمْحٍ أُشْهِدُكُمْ - أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي . وَأَهْدَى هَدْيًا اشْتَرَاهُ بِقُدَيْدٍ ثُمَّ انْطَلَقَ يُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يَنْحَرْ وَلَمْ يَحْلِقْ وَلَمْ يُقَصِّرْ وَلَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَنَحَرَ وَحَلَقَ وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الأَوَّلِ . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩০-৫
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২২. অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ
২৮৬৩। আবুর-রবী যাহরানী, আবু কামিল ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ ঘটনা বর্ণনা করেন। তবে এ সূত্রে হাদীসের প্রথমাংশে তিনি নবী (ﷺ) এর উল্লেখ করেছেন যখন তাকে বলা হল, আপনি বায়তুল্লাহ পৌছতে বাধাগ্রস্ত হবেন। তখন তিনি বললেন, তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেরূপ করেছেন, আমিও তদ্রূপ করব। তিনি হাদীসের শেষে উল্লেখ করেননি যে, ″রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করেছেন″- যেমন লাঈস (রাহঃ) এর বর্ণনায় রয়েছে।
كتاب الحج
باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ، حَرْبٍ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، . بِهَذِهِ الْقِصَّةِ . وَلَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ حِينَ قِيلَ لَهُ يَصُدُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ . قَالَ إِذًا أَفْعَلَ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . كَمَا ذَكَرَهُ اللَّيْثُ .

তাহকীক:
