আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৮- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৪৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৩-১
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৪৯৮। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাওদা বিনতে যাম’আ (রাযিঃ) এর চেয়ে অধিক পছন্দনীয়া কোন নারীকে আমি দেখি নি‘ যার ’খোলসে’ আমি আমার অবস্থান পছন্দ করব- এমন এক নারী যার মাঝে ছিল (ব্যক্তিত্ব সুলভ) তেজস্বীতা। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, বৃদ্ধা হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তাঁর প্রাপ্য (পালার) দিনটি আয়িশা (রাযিঃ) কে হিবা করে দিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার কাছে আমার পালার দিনটি আয়িশার জন্য দিয়ে দিলাম। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য দু’দিন পালা বন্টন করতেন, তার নিজের (এক) দিন এবং সাওদা (রাযিঃ) এর (এক) দিন।
كتاب الرضاع
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ امْرَأَةً أَحَبَّ إِلَىَّ أَنْ أَكُونَ فِي مِسْلاَخِهَا مِنْ سَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ مِنِ امْرَأَةٍ فِيهَا حِدَّةٌ قَالَتْ فَلَمَّا كَبِرَتْ جَعَلَتْ يَوْمَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعَائِشَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ جَعَلْتُ يَوْمِي مِنْكَ لِعَائِشَةَ . فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُ لِعَائِشَةَ يَوْمَيْنِ يَوْمَهَا وَيَوْمَ سَوْدَةَ .
হাদীস নং: ৩৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৩-২
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৪৯৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ), আমরুন নাকিদ, মুজাহিদ ইবনে মুসা সকলে হিশাম (রাহঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত সনদে রিওয়ায়াত করেন যে, সাওদা (রাযিঃ) যখন বৃদ্ধ হয়ে গেলেন (পূর্বোক্ত যুহাইর সনদের উর্ধতন রাবী) জারীর (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ। তবে (মুজাহিদ সনদের উর্ধতন রাবী) শাকীক (রাহঃ) তাঁর হাদীসে অধিক বলেছেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, তিনি (সাওদা (রাযিঃ)) ছিল প্রথম নারী, যাকে নবী (ﷺ) আমার পরে বিয়ে করেছিলেন।
كتاب الرضاع
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ سَوْدَةَ، لَمَّا كَبِرَتْ . بِمَعْنَى حَدِيثِ جَرِيرٍ وَزَادَ فِي حَدِيثِ شَرِيكٍ قَالَتْ وَكَانَتْ أَوَّلَ امْرَأَةٍ تَزَوَّجَهَا بَعْدِي .
হাদীস নং: ৩৫০০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৪-১
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৫০০। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে নারীরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর (স্ত্রী হওয়ার জন্য) আত্মনিবেদিতা হত, আমি তাদের নির্লজ্জতায় বিস্ময় প্রকাশ করতাম এবং বলতাম, কোন নারী কি (এভাবে নির্লজ্জ হয়ে) আত্মনিবেদন করতে পারে? পরে যখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করলেন- “তুমি তাদের (স্ত্রীগণের মধ্যে) যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হতে দুরে সরিয়ে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছে স্থান দিতে পার এবং যাকে তুমি দুরে রেখেছ তাকে (পুনরায়) কামনা করলে তাতে তোমার কোন অপরাধ হবে না।” (আহযাবঃ ৫১)। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি তো দেখছি আপনার প্রতিপালক আপনার মনোবাঞ্ছা পূরণে দ্রুতই সাড়া দিয়ে থাকেন।
كتاب الرضاع
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغَارُ عَلَى اللاَّتِي وَهَبْنَ أَنْفُسَهُنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَقُولُ وَتَهَبُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَلَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ) قَالَتْ قُلْتُ وَاللَّهِ مَا أَرَى رَبَّكَ إِلاَّ يُسَارِعُ لَكَ فِي هَوَاكَ.
হাদীস নং: ৩৫০১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৪-২
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৫০১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলতেন, কোন নারী কি কোন পুরুষের কাছে নিজেকে নিবেদিতা করতে লজ্জাবোধ করে না? অবশেষে আল্লাহ নাযিল করলেন, ″তুমি তাদের যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট থেকে দুরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছে স্থান দিতে পার″ তখন আমি বললাম, “অবশ্যই আপনার প্রতিপালক আপনার মনোবাঞ্ছা পূরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।”
كتاب الرضاع
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ أَمَا تَسْتَحْيِي امْرَأَةٌ تَهَبُ نَفْسَهَا لِرَجُلٍ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ) فَقُلْتُ إِنَّ رَبَّكَ لَيُسَارِعُ لَكَ فِي هَوَاكَ.
হাদীস নং: ৩৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৫-১
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৫০২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সারিফ নামক স্থানে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর সঙ্গে নবী (ﷺ) পত্নী মায়মুনা (রাযিঃ) এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইনি নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী। সুতরাং তোমরা যখন তার কফিন (লাশ) তুলবে তখন তাকে খুব জোরে নাড়া দিবে না এবং কাঁপাবে না; নরম ও আলতোভাবে তাঁকে তুলবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নয়জন স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের আটজনের জন্য রাত যাপনের পালা নির্ধারণ করতেন এবং একজনের জন্য করতেন না। (মধ্যবর্তী) রাবী আতা (রাহঃ) বলেন, যার জন্য পালা নির্ধারণ করতেন না তিনি হলেন সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই ইবনে আখতাব (রাযিঃ)।
كتاب الرضاع
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ بَكْرٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ حَضَرْنَا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَنَازَةَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِسَرِفَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هَذِهِ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا رَفَعْتُمْ نَعْشَهَا فَلاَ تُزَعْزِعُوا وَلاَ تُزَلْزِلُوا وَارْفُقُوا فَإِنَّهُ كَانَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعٌ فَكَانَ يَقْسِمُ لِثَمَانٍ وَلاَ يَقْسِمُ لِوَاحِدَةٍ . قَالَ عَطَاءٌ الَّتِي لاَ يَقْسِمُ لَهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৫-২
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৫০৩। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) সূত্রে ঐ সনদে বর্ণিত। এতে তিনি বলেছেন যে, আতা (রাহঃ) বলেছেন, ইনি (সাফিয়্যা/মায়মুনা) ছিলেন তাঁদের মাঝে সব শেষে মৃত্যুবরণকারিণী, তিনি মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন।
كتاب الرضاع
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ قَالَ عَطَاءٌ كَانَتْ آخِرَهُنَّ مَوْتًا مَاتَتْ بِالْمَدِينَةِ .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: