আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৮- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৩৫০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫-৫
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫০৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবাকে? আমি বললাম, এক বিধবাকে। তিনি বললেন, তবে কুমারী ও তাদের আমোদ ফুর্তি হতে তুমি কোথায় (কুমারীর সঙ্গসুধা তুমি ত্যাগ করলে কেন)?
(মধ্যবর্তী) রাবী শু’বা (রাহঃ) বলেন, পরে আমি আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) এর নিকট এ হাদীস উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আমিও তো জাবির (রাযিঃ) এর নিকট তা শুনেছি। তিনি তো বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেনঃ তবে কোন কিশোরী (তরুনী) কে কেন নয়- যে তোমার সঙ্গে হাস্য-লাস্য করত তুমিও তার সঙ্গে আমোদ স্ফুর্তি করতে?
(মধ্যবর্তী) রাবী শু’বা (রাহঃ) বলেন, পরে আমি আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) এর নিকট এ হাদীস উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আমিও তো জাবির (রাযিঃ) এর নিকট তা শুনেছি। তিনি তো বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেনঃ তবে কোন কিশোরী (তরুনী) কে কেন নয়- যে তোমার সঙ্গে হাস্য-লাস্য করত তুমিও তার সঙ্গে আমোদ স্ফুর্তি করতে?
كتاب الرضاع
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَارِبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تَزَوَّجْتَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " أَبِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا " . قُلْتُ ثَيِّبًا . قَالَ " فَأَيْنَ أَنْتَ مِنَ الْعَذَارَى وَلِعَابِهَا " . قَالَ شُعْبَةُ فَذَكَرْتُهُ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ فَقَالَ قَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ جَابِرٍ وَإِنَّمَا قَالَ " فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫-৬
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫০৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও আবুর রাবী যাহরানী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) মৃত্যু (শাহাদাত) বরণ করলেন এবং নয়টি (কিংবা তিনি বলেছেন, সাতটি) কন্যা রেখে গেলেন। পরে আমি (জাবির) এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে জাবির! তুমি বিয়ে করেছ? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা কুমারী কিংবা বিধবা? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ বরং বিধবা ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, তবে তা কোন তরূনী (কুমারী) কেন নয় যে, (ইয়াহয়া রিওযায়াতে) তুমি তাঁর সঙ্গে আনন্দ-স্ফূর্তি করতে সেও তোমার সঙ্গে আনন্দ-স্ফূর্তি করত কিংবা তিনি বলেছিলেন, তুমি তার সঙ্গে হাস্য-রস করতে সেও তোমার সঙ্গে হাস্য-রস করত।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, (আমার পিতা) আব্দুল্লাহ নয়টি (কিংবা সাতটি) মেয়ে রেখে মৃত্যু বরণ করেছেন এবং আমি তাদের মাঝে তাদের মত একজনকে নিয়ে আসা অপছন্দ করলাম। তাই আমি এমন একটি মহিলাকে নিয়ে আসা পছন্দ করলাম যে তাদের দেখাশুনা করবে এবং তাদের শুধরে দিবে ও গড়ে তুলবে। নবী (ﷺ) বললেন, তবে আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন। তিনি আমাকে (এ ধরনের) কোন উত্তম কথা বললেন। আবুর রাবী (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, “তুমি তার সঙ্গে আনন্দ-স্ফূর্তি করতে এবং সেও তোমার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করত, সেও তোমার সঙ্গে হাস্যরস করত।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, (আমার পিতা) আব্দুল্লাহ নয়টি (কিংবা সাতটি) মেয়ে রেখে মৃত্যু বরণ করেছেন এবং আমি তাদের মাঝে তাদের মত একজনকে নিয়ে আসা অপছন্দ করলাম। তাই আমি এমন একটি মহিলাকে নিয়ে আসা পছন্দ করলাম যে তাদের দেখাশুনা করবে এবং তাদের শুধরে দিবে ও গড়ে তুলবে। নবী (ﷺ) বললেন, তবে আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন। তিনি আমাকে (এ ধরনের) কোন উত্তম কথা বললেন। আবুর রাবী (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, “তুমি তার সঙ্গে আনন্দ-স্ফূর্তি করতে এবং সেও তোমার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করত, সেও তোমার সঙ্গে হাস্যরস করত।
كتاب الرضاع
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، هَلَكَ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ - أَوْ قَالَ سَبْعَ - فَتَزَوَّجْتُ امْرَأَةً ثَيِّبًا فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا جَابِرُ تَزَوَّجْتَ " . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَبِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ " . قَالَ قُلْتُ بَلْ ثَيِّبٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ " . أَوْ قَالَ " تُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ " . قَالَ قُلْتُ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ هَلَكَ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ - أَوْ سَبْعَ - وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ آتِيَهُنَّ أَوْ أَجِيئَهُنَّ بِمِثْلِهِنَّ فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَجِيءَ بِامْرَأَةٍ تَقُومُ عَلَيْهِنَّ وَتُصْلِحُهُنَّ . قَالَ " فَبَارَكَ اللَّهُ لَكَ " . أَوْ قَالَ لِي خَيْرًا وَفِي رِوَايَةِ أَبِي الرَّبِيعِ " تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ وَتُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫-৭
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫০৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ তুমি কি বিবাহ করেছ হে জাবির? তিনি হাদীসটির পূর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন- যার শেষে রয়েছেঃ এমন একটি মহিলাকে যে তাদের তত্ত্বাবধান করবে এবং তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে। নবী (ﷺ) বললেনঃ “তুমি সঠিক করেছ” ......... এর পরের অংশ তিনি (কুতায়বা) উল্লেখ করেন নি।
كتاب الرضاع
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ نَكَحْتَ يَا جَابِرُ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ إِلَى قَوْلِهِ امْرَأَةً تَقُومُ عَلَيْهِنَّ وَتَمْشُطُهُنَّ قَالَ " أَصَبْتَ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫-৮
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫০৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা যখন ফিরে প্রত্যাগমন করতে লাগলাম তখন আমি আমার একটি ধীরগামী উটে করে দ্রুত চলার চেষ্টা করলাম। আমার পিছন থেকে একজন আরোহী আমার সঙ্গে মিলিত হল এবং সে তার হাতের একটি ছোট্ট বর্শা দিয়ে আমার উটকে খোঁচা দিল। ফলে আমার উটটি তোমার দেখা উটপালের শ্রেষ্ঠ উটের ন্যায় দ্রুতগতিতে চলতে লাগল। আমি তখন পিছনের দিকে তাকালাম- দেখি যে, আমি রয়েছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পাশে। তিনি বললেন, হে জাবির! তোমার এ ব্যস্ততা কেন? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি ঘরে নতুন স্ত্রী রেখে এসেছি। তিনি বললেন, তুমি কি কোন কুমারীকে বিয়ে করেছ না কোন বিধবাকে?
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ বিধবাকে। নবী (ﷺ) বললেন, কোন তরুনী (কুমারী) কে কেন বিয়ে করলে না যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করতে এবং সেও তোমার সঙ্গে ক্রীড়া-কৌতুক করত। জাবির (রাযিঃ) বললেন, আমরা যখন মদীনার সন্নিকটে উপনীত হয়ে সেখানে প্রবেশ করতে উদ্যত হলাম তখন নবী (ﷺ) বললেন, একটু অবকাশ দাও, রাত পর্যন্ত অর্থাৎ ইশার সময় আমরা প্রবেশ করব- যাতে এলোকেশিণী তার কেশ বিন্যাস করে নিতে পারে এবং স্বামী প্রবাসিণী ক্ষৌরকর্ম করে নিতে পারে। জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আরো বলেন, তুমি যখন পৌঁছে যাবে তখন সন্তান অন্বেশায় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ বিধবাকে। নবী (ﷺ) বললেন, কোন তরুনী (কুমারী) কে কেন বিয়ে করলে না যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করতে এবং সেও তোমার সঙ্গে ক্রীড়া-কৌতুক করত। জাবির (রাযিঃ) বললেন, আমরা যখন মদীনার সন্নিকটে উপনীত হয়ে সেখানে প্রবেশ করতে উদ্যত হলাম তখন নবী (ﷺ) বললেন, একটু অবকাশ দাও, রাত পর্যন্ত অর্থাৎ ইশার সময় আমরা প্রবেশ করব- যাতে এলোকেশিণী তার কেশ বিন্যাস করে নিতে পারে এবং স্বামী প্রবাসিণী ক্ষৌরকর্ম করে নিতে পারে। জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আরো বলেন, তুমি যখন পৌঁছে যাবে তখন সন্তান অন্বেশায় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে।
كتاب الرضاع
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا أَقْبَلْنَا تَعَجَّلْتُ عَلَى بَعِيرٍ لِي قَطُوفٍ فَلَحِقَنِي رَاكِبٌ خَلْفِي فَنَخَسَ بَعِيرِي بِعَنَزَةٍ كَانَتْ مَعَهُ فَانْطَلَقَ بَعِيرِي كَأَجْوَدِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنَ الإِبِلِ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا يُعْجِلُكَ يَا جَابِرُ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ . فَقَالَ " أَبِكْرًا تَزَوَّجْتَهَا أَمْ ثَيِّبًا " . قَالَ قُلْتُ بَلْ ثَيِّبًا . قَالَ " هَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ " . قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ ذَهَبْنَا لِنَدْخُلَ فَقَالَ " أَمْهِلُوا حَتَّى نَدْخُلَ لَيْلاً - أَىْ عِشَاءً - كَىْ تَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ وَتَسْتَحِدَّ الْمُغِيبَةُ " . قَالَ وَقَالَ " إِذَا قَدِمْتَ فَالْكَيْسَ الْكَيْسَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫১০
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫-৯
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫১০। মুহাম্মাদ ইবনে মুনান্না (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে একটি গাযওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমার উটটি আমাকে নিয়ে ধীরে ধীরে চলল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন আমার কাছে এসে আমাকে বললেন, হে জাবির! আমি বললাম, জ্বী! তিনি বললেন, তোমার ব্যাপার কি? আমি বললাম, আমার উট আমাকে নিয়ে ধীরে চলছে এবং পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে আমি পিছনে পড়ে গিয়েছি। তখন নবী (ﷺ) নেমে পড়ে তার (বাঁকামাথা) লাঠি দিয়ে উটকে গুতো দিলেন। এরপর বললেন, অরোহণ কর, আমি তখন আরোহী করলাম। আমি (উটটিকে তার অতি দ্রুত গামীতার কারণে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অতিক্রম করে যেতে দেখে ঠেকাতে লাগলাম।
তখন নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললামঃ বিধবা। তিনি বললেন, তবে কোন কুমারীকে কেন বিয়ে করলে না, যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করতে, সেও তোমার সঙ্গে রীড়া-কৌতুক করত?
আমি বললাম, আমার বেশ ক’টি বোন (অবিবাহিতা) রয়েছে। তাই আমি এমন নারীকে বিয়ে করা পছন্দ করলাম যে তাদের গুছিয়ে রাখবে, তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে এবং তাদের দেখাশোনা করবে। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি তো (মদীনায়) উপনীত হতে যাচ্ছ। যখন পৌছে যাবে তখন (সন্তান অনেষায়) স বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে।
পরে তিনি বললেন, তোমার উটটি বেচবে কি? আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি তখন আমার নিকট হতে এক উকিয়ার (চল্লিশ দিরহাম সমমূল্যের) বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যথাসময়ে মদীনায় পৌঁছলেন। আমিও সকালে আগমন করে মসজিদে (নববীতে) পৌছলাম এবং তাঁকে মসজিদের দরজায় পেয়ে গেলাম। তিনি বলেন, আমি যখন এলাম তুমি কি তখন এসেছ? আমি বললাম, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তবে তোমার উটটি রেখে দাও এবং (মসজিদে) প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করে নাও।
জাবির বলেন, আমি প্রবেশ করে নামায আদায় করলাম। পরে ফিরে এলে নবী (ﷺ) আমাকে এক উকিয়া ওজন করে দেওয়ার জন্য বিলাল (রাযিঃ) কে হুকুম করলেন। বিলাল (রাযিঃ) তখন আমাকে ওজন করে দিলেন এবং ওজনে পাল্লা ঝুকিয়ে দিলেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি চলে যেতে লাগলাম। আমি কিছু দূর গেলে নবী (ﷺ) বললেন, জাবিরকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন আমাকে ডাকা হল। আমি (মনে মনে) বললাম, এখন উটটি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন অথচ আমার কছে ওর চেয়ে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছু ছিল না। তিনি বললেন, ″তোমার উট তুমি নিয়ে যাও আর তোমার মূল্য তোমারই রইল।″
তখন নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললামঃ বিধবা। তিনি বললেন, তবে কোন কুমারীকে কেন বিয়ে করলে না, যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করতে, সেও তোমার সঙ্গে রীড়া-কৌতুক করত?
আমি বললাম, আমার বেশ ক’টি বোন (অবিবাহিতা) রয়েছে। তাই আমি এমন নারীকে বিয়ে করা পছন্দ করলাম যে তাদের গুছিয়ে রাখবে, তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে এবং তাদের দেখাশোনা করবে। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি তো (মদীনায়) উপনীত হতে যাচ্ছ। যখন পৌছে যাবে তখন (সন্তান অনেষায়) স বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে।
পরে তিনি বললেন, তোমার উটটি বেচবে কি? আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি তখন আমার নিকট হতে এক উকিয়ার (চল্লিশ দিরহাম সমমূল্যের) বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যথাসময়ে মদীনায় পৌঁছলেন। আমিও সকালে আগমন করে মসজিদে (নববীতে) পৌছলাম এবং তাঁকে মসজিদের দরজায় পেয়ে গেলাম। তিনি বলেন, আমি যখন এলাম তুমি কি তখন এসেছ? আমি বললাম, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তবে তোমার উটটি রেখে দাও এবং (মসজিদে) প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করে নাও।
জাবির বলেন, আমি প্রবেশ করে নামায আদায় করলাম। পরে ফিরে এলে নবী (ﷺ) আমাকে এক উকিয়া ওজন করে দেওয়ার জন্য বিলাল (রাযিঃ) কে হুকুম করলেন। বিলাল (রাযিঃ) তখন আমাকে ওজন করে দিলেন এবং ওজনে পাল্লা ঝুকিয়ে দিলেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি চলে যেতে লাগলাম। আমি কিছু দূর গেলে নবী (ﷺ) বললেন, জাবিরকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন আমাকে ডাকা হল। আমি (মনে মনে) বললাম, এখন উটটি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন অথচ আমার কছে ওর চেয়ে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছু ছিল না। তিনি বললেন, ″তোমার উট তুমি নিয়ে যাও আর তোমার মূল্য তোমারই রইল।″
كتاب الرضاع
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيَّ - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ فَأَبْطَأَ بِي جَمَلِي فَأَتَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " يَا جَابِرُ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " مَا شَأْنُكَ " . قُلْتُ أَبْطَأَ بِي جَمَلِي وَأَعْيَا فَتَخَلَّفْتُ . فَنَزَلَ فَحَجَنَهُ بِمِحْجَنِهِ ثُمَّ قَالَ " ارْكَبْ " . فَرَكِبْتُ فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَكُفُّهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَتَزَوَّجْتَ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ " أَبِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا " . فَقُلْتُ بَلْ ثَيِّبٌ . قَالَ " فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ " . قُلْتُ إِنَّ لِي أَخَوَاتٍ فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَتَزَوَّجَ امْرَأَةً تَجْمَعُهُنَّ وَتَمْشُطُهُنَّ وَتَقُومُ عَلَيْهِنَّ . قَالَ " أَمَا إِنَّكَ قَادِمٌ فَإِذَا قَدِمْتَ فَالْكَيْسَ الْكَيْسَ " . ثُمَّ قَالَ " أَتَبِيعُ جَمَلَكَ " . قُلْتُ نَعَمْ . فَاشْتَرَاهُ مِنِّي بِأُوقِيَّةٍ ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدِمْتُ بِالْغَدَاةِ فَجِئْتُ الْمَسْجِدَ فَوَجَدْتُهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ " الآنَ حِينَ قَدِمْتَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَدَعْ جَمَلَكَ وَادْخُلْ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ " . قَالَ فَدَخَلْتُ فَصَلَّيْتُ ثُمَّ رَجَعْتُ فَأَمَرَ بِلاَلاً أَنْ يَزِنَ لِي أُوقِيَّةً فَوَزَنَ لِي بِلاَلٌ فَأَرْجَحَ فِي الْمِيزَانِ - قَالَ - فَانْطَلَقْتُ فَلَمَّا وَلَّيْتُ قَالَ " ادْعُ لِي جَابِرًا " . فَدُعِيتُ فَقُلْتُ الآنَ يَرُدُّ عَلَىَّ الْجَمَلَ . وَلَمْ يَكُنْ شَىْءٌ أَبْغَضَ إِلَىَّ مِنْهُ فَقَالَ " خُذْ جَمَلَكَ وَلَكَ ثَمَنُهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫১১
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৫-১০
- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫১১। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আবু নযরা (রাহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। আমি ছিলাম আমার একটি (পানিবাহী) উটের পিঠে। ওটি ছিল কাফিলার পশ্চাদ্বর্তীদের মাঝে। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে পিটুনী দিলেন কিংবা (বর্ণনা দ্বিধা) তিনি বলেছেন যে, তাকে খোচা দিলেন- আমার (আবু নযর) ধারণা, তিনি (জাবির) বলেছেন যে, কোন কিছু দিয়ে যা তার সঙ্গে ছিল।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপরে সে (উট) কাফিলার লোকদের আগে আগে চলে যেতে লাগল এবং আমাকে (আমার ধরে রাখা লাগামসহ) টেনে নিয়ে যেতে লাগল। এমনকি আমি তাকে ঠেকিয়ে রাখছিলাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এত এত-র বিনিময় এটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ এটি আপনার জন্য ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ! তিনি বললেন, এত এত-তে সেটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, এটি আপনার ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ!
জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে আরও বললেন, তোমার পিতার (মৃত্যুর) পরে তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, বিধবাকে না কুমারীকে? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, বিধবাকে। তিনি বললেন, তবে তুমি কোন কুমারীকে বিয়ে করলে না কেন- যে তোমার সাথে আমোদ করত আর তুমিও তার সাথে আমোদ করতে। আর সে তোমার সাথে ক্রীড়া করত এবং তুমিও তার সাথে ক্রীড়া করতে।
আবু নযরা (রাহঃ) বলেন, এ কথাটি (অর্থাৎ আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন) ছিল একটি বাক্যারূপ যা মুসলামনগণ তাদের কথাবার্তায় (কথার মাত্রা ও বাচনভঙ্গীরূপে) উচ্চারণ করতেন। তারা বলতেন এরূপ ও এমন কর ...... আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপরে সে (উট) কাফিলার লোকদের আগে আগে চলে যেতে লাগল এবং আমাকে (আমার ধরে রাখা লাগামসহ) টেনে নিয়ে যেতে লাগল। এমনকি আমি তাকে ঠেকিয়ে রাখছিলাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এত এত-র বিনিময় এটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ এটি আপনার জন্য ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ! তিনি বললেন, এত এত-তে সেটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, এটি আপনার ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ!
জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে আরও বললেন, তোমার পিতার (মৃত্যুর) পরে তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, বিধবাকে না কুমারীকে? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, বিধবাকে। তিনি বললেন, তবে তুমি কোন কুমারীকে বিয়ে করলে না কেন- যে তোমার সাথে আমোদ করত আর তুমিও তার সাথে আমোদ করতে। আর সে তোমার সাথে ক্রীড়া করত এবং তুমিও তার সাথে ক্রীড়া করতে।
আবু নযরা (রাহঃ) বলেন, এ কথাটি (অর্থাৎ আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন) ছিল একটি বাক্যারূপ যা মুসলামনগণ তাদের কথাবার্তায় (কথার মাত্রা ও বাচনভঙ্গীরূপে) উচ্চারণ করতেন। তারা বলতেন এরূপ ও এমন কর ...... আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন।
كتاب الرضاع
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا فِي مَسِيرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عَلَى نَاضِحٍ إِنَّمَا هُوَ فِي أُخْرَيَاتِ النَّاسِ - قَالَ - فَضَرَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ نَخَسَهُ - أُرَاهُ قَالَ - بِشَىْءٍ كَانَ مَعَهُ قَالَ فَجَعَلَ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَقَدَّمُ النَّاسَ يُنَازِعُنِي حَتَّى إِنِّي لأَكُفُّهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَبِيعُنِيهِ بِكَذَا وَكَذَا وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ هُوَ لَكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ " أَتَبِيعُنِيهِ بِكَذَا وَكَذَا وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ هُوَ لَكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ وَقَالَ لِي " أَتَزَوَّجْتَ بَعْدَ أَبِيكَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " ثَيِّبًا أَمْ بِكْرًا " . قَالَ قُلْتُ ثَيِّبًا . قَالَ " فَهَلاَّ تَزَوَّجْتَ بِكْرًا تُضَاحِكُكَ وَتُضَاحِكُهَا وَتُلاَعِبُكَ وَتُلاَعِبُهَا " . قَالَ أَبُو نَضْرَةَ فَكَانَتْ كَلِمَةً يَقُولُهَا الْمُسْلِمُونَ . افْعَلْ كَذَا وَكَذَا وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَكَ .

তাহকীক:
