আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
২৮- কসম-শপথ করার বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৪১১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-১
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১১৭। খালফ ইবনে হিশাম, কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও ইয়াহয়া ইবনে হাবীব হারিসী (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আশ’আরী গোত্রের কয়েকজন লোককে নিয়ে সওয়ারী চাওয়ার জন্য নবী (ﷺ) এর নিকট আসি। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সওয়ারী দিব না। আর আমার কাছে এমন কিছু নেই যাতে আমি তোমাদের সওয়ার করাতে পারি। আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) বললেন, আমরা অপেক্ষা করলাম, যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা ছিল। তারপর তার কাছে কিছু উট আসে। তিনি আমাদেরকে তিনটি সাদা কুঁজ বিশিষ্ট উট দেওয়ার হুকুম করেন।
যখন আমরা (তা নিয়ে) চলে আসি। তখন আমরা বললাম, (রাবী বলেন, অথবা বলেছেন, আমাদের একে অপরকে বলল) (এতে) আল্লাহ তাআলা আমাদের বরকত দিবেন না। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সওয়ারী চাইতে এসেছিলাম। তখন তিনি কসম করেছিলেন যে, আমাদের সওয়ারী দিবেন না। এরপর সওয়ারী আমাদের দিলেন। এরপর তারা নবী (ﷺ) এর নিকট এসে (তাঁর কসমের কথা) অবগত করালেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের সওয়ারী দেইনি; বরং আল্লাহ তোমাদের সওয়ারী দিয়েছেন। আর আল্লাহর কসম! ইনশাআল্লাহ আমি যখনই কোন বিষয়ের উপর কসম করি এরপর যদি এর তুলনায় (বিপরীতটিকে) উত্তম মনে করি, তবে আমি আমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিব এবং যা উত্তম তাই করবো।
যখন আমরা (তা নিয়ে) চলে আসি। তখন আমরা বললাম, (রাবী বলেন, অথবা বলেছেন, আমাদের একে অপরকে বলল) (এতে) আল্লাহ তাআলা আমাদের বরকত দিবেন না। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সওয়ারী চাইতে এসেছিলাম। তখন তিনি কসম করেছিলেন যে, আমাদের সওয়ারী দিবেন না। এরপর সওয়ারী আমাদের দিলেন। এরপর তারা নবী (ﷺ) এর নিকট এসে (তাঁর কসমের কথা) অবগত করালেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের সওয়ারী দেইনি; বরং আল্লাহ তোমাদের সওয়ারী দিয়েছেন। আর আল্লাহর কসম! ইনশাআল্লাহ আমি যখনই কোন বিষয়ের উপর কসম করি এরপর যদি এর তুলনায় (বিপরীতটিকে) উত্তম মনে করি, তবে আমি আমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিব এবং যা উত্তম তাই করবো।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، - وَاللَّفْظُ لِخَلَفٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، الأَشْعَرِيِّ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ " وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ " . قَالَ فَلَبِثْنَا مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ أُتِيَ بِإِبِلٍ فَأَمَرَ لَنَا بِثَلاَثِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قُلْنَا - أَوْ قَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ - لاَ يُبَارِكُ اللَّهُ لَنَا أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَحَلَفَ أَنْ لاَ يَحْمِلَنَا ثُمَّ حَمَلَنَا . فَأَتَوْهُ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ " مَا أَنَا حَمَلْتُكُمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ وَإِنِّي وَاللَّهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ ثُمَّ أَرَى خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ كَفَّرْتُ عَنْ يَمِينِي وَأَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-২
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১১৮। আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ আশআরী ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার সাথীরা তাদের জন্য সওয়ারী চাইতে আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পাঠায়, যখন তারা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ‘জায়শুল উসরা’ (সৎকারকালীন বাহিনী) (অর্থাৎ তাবুকের যুদ্ধে) তার সঙ্গে ছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমার সঙ্গীরা আমাকে আপনার নিকট তাদেরকে সওয়ারী দেয়ার জন্য পাঠিয়েছে। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের কোন বাহন দিব না। আর যখন আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত করি তখন তিনি ক্রোধান্বিত ছিলেন, অথচ আমি বুঝতে পারিনি। আমি চিন্তিত মনে ফিরে আসি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসম্মতির কারণে এবং এই ভয়ে যে, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উপর মনে মনে ক্রোধান্বিত হয়েছেন। তখন আমি আমার সাথীদের নিকট চলে আসি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন তা তাদের জানাই। অল্পক্ষণ অতিবাহিত না করতেই হঠাৎ শুনতে পাই যে, বিলাল (রাযিঃ) ডাক দিচ্ছেন হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! আমি উত্তর দিলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ডাকে সাড়া দিন। তিনি আপনাকে ডাকছেন।
যখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসি, তখন তিনি বললেনঃ এ জোড়া নাও, এ জোড়া নাও এবং এ জোড়া নাও। ছয়টি উট সম্পর্কে বললেন, (যা তিনি তখনই সা’দ (রাযিঃ) কাছ থেকে কিনেছিলেন) এবং এগুলো নিয়ে তোমার সাথীদের কাছে যাও আর বলো যে, আল্লাহ অথবা বলেন, আল্লাহর রাসুল তোমাদের এগুলো বাহনের জন্য দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা এর উপর আরোহণ করো।
আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমি এগুলি নিয়ে আমার সাথীদের নিকট আসি এবং বলি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এগুলো তোমাদের বাহন হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ছাড়বো না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ আমার সাথে সেই ব্যক্তির নিকট না যায়, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা শুনেছে, যখন আমি তার নিকট তোমাদের জন্য (বাহন) চেয়েছিলাম এবং তিনি প্রথমবারে নিষেধ করেন এবং পরে আমাকে তা প্রদান করেন। তোমরা ধারণা করোনা যে, আমি তোমাদের এমন কথা বলেছি যা তিনি বলেন নি।
তারা আমাকে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি আমাদের নিকট অবশ্যই সত্যবাদী। আর আপনি যা চাইছেন তাও আমরা অবশ্যই করবো। তারপর আবু মুসা (রাযিঃ) তাদের মধ্য থেকে করেকজনকে সাথে নিযে ঐসব লোকদের নিকটে এলেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা এবং তাদের দিতে তার নিষেধাজ্ঞা শুনেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর দেওয়া প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তারা তাদের কাছে হুবহু সেই বর্ণনাই দিলেন যা আবু মুসা (রাযিঃ) তাদের কাছে বর্ণনা করেছিলেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসম্মতির কারণে এবং এই ভয়ে যে, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উপর মনে মনে ক্রোধান্বিত হয়েছেন। তখন আমি আমার সাথীদের নিকট চলে আসি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন তা তাদের জানাই। অল্পক্ষণ অতিবাহিত না করতেই হঠাৎ শুনতে পাই যে, বিলাল (রাযিঃ) ডাক দিচ্ছেন হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! আমি উত্তর দিলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ডাকে সাড়া দিন। তিনি আপনাকে ডাকছেন।
যখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসি, তখন তিনি বললেনঃ এ জোড়া নাও, এ জোড়া নাও এবং এ জোড়া নাও। ছয়টি উট সম্পর্কে বললেন, (যা তিনি তখনই সা’দ (রাযিঃ) কাছ থেকে কিনেছিলেন) এবং এগুলো নিয়ে তোমার সাথীদের কাছে যাও আর বলো যে, আল্লাহ অথবা বলেন, আল্লাহর রাসুল তোমাদের এগুলো বাহনের জন্য দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা এর উপর আরোহণ করো।
আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমি এগুলি নিয়ে আমার সাথীদের নিকট আসি এবং বলি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এগুলো তোমাদের বাহন হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ছাড়বো না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ আমার সাথে সেই ব্যক্তির নিকট না যায়, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা শুনেছে, যখন আমি তার নিকট তোমাদের জন্য (বাহন) চেয়েছিলাম এবং তিনি প্রথমবারে নিষেধ করেন এবং পরে আমাকে তা প্রদান করেন। তোমরা ধারণা করোনা যে, আমি তোমাদের এমন কথা বলেছি যা তিনি বলেন নি।
তারা আমাকে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি আমাদের নিকট অবশ্যই সত্যবাদী। আর আপনি যা চাইছেন তাও আমরা অবশ্যই করবো। তারপর আবু মুসা (রাযিঃ) তাদের মধ্য থেকে করেকজনকে সাথে নিযে ঐসব লোকদের নিকটে এলেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা এবং তাদের দিতে তার নিষেধাজ্ঞা শুনেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর দেওয়া প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তারা তাদের কাছে হুবহু সেই বর্ণনাই দিলেন যা আবু মুসা (রাযিঃ) তাদের কাছে বর্ণনা করেছিলেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ أَرْسَلَنِي أَصْحَابِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْأَلُهُ لَهُمُ الْحُمْلاَنَ إِذْ هُمْ مَعَهُ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ - وَهِيَ غَزْوَةُ تَبُوكَ - فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابِي أَرْسَلُونِي إِلَيْكَ لِتَحْمِلَهُمْ . فَقَالَ " وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ عَلَى شَىْءٍ " . وَوَافَقْتُهُ وَهُوَ غَضْبَانُ وَلاَ أَشْعُرُ فَرَجَعْتُ حَزِينًا مِنْ مَنْعِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمِنْ مَخَافَةِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ عَلَىَّ فَرَجَعْتُ إِلَى أَصْحَابِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أَلْبَثْ إِلاَّ سُوَيْعَةً إِذْ سَمِعْتُ بِلاَلاً يُنَادِي أَىْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ . فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوكَ . فَلَمَّا أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خُذْ هَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ - لِسِتَّةِ أَبْعِرَةٍ ابْتَاعَهُنَّ حِينَئِذٍ مِنْ سَعْدٍ - فَانْطَلِقْ بِهِنَّ إِلَى أَصْحَابِكَ فَقُلْ إِنَّ اللَّهَ - أَوْ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلاَءِ فَارْكَبُوهُنَّ " . قَالَ أَبُو مُوسَى فَانْطَلَقْتُ إِلَى أَصْحَابِي بِهِنَّ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلاَءِ وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ أَدَعُكُمْ حَتَّى يَنْطَلِقَ مَعِي بَعْضُكُمْ إِلَى مَنْ سَمِعَ مَقَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ سَأَلْتُهُ لَكُمْ وَمَنْعَهُ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ ثُمَّ إِعْطَاءَهُ إِيَّاىَ بَعْدَ ذَلِكَ لاَ تَظُنُّوا أَنِّي حَدَّثْتُكُمْ شَيْئًا لَمْ يَقُلْهُ . فَقَالُوا لِي وَاللَّهِ إِنَّكَ عِنْدَنَا لَمُصَدَّقٌ وَلَنَفْعَلَنَّ مَا أَحْبَبْتَ . فَانْطَلَقَ أَبُو مُوسَى بِنَفَرٍ مِنْهُمْ حَتَّى أَتَوُا الَّذِينَ سَمِعُوا قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْعَهُ إِيَّاهُمْ ثُمَّ إِعْطَاءَهُمْ بَعْدُ فَحَدَّثُوهُمْ بِمَا حَدَّثَهُمْ بِهِ أَبُو مُوسَى سَوَاءً .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-৩
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১১৯। আবু রাবী’ আতাকী (রাহঃ) ......... যাহদাম জারমী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবু মুসা (রাযিঃ) এর নিকটে ছিলাম। তাঁর (খানার) দস্তরখান নিয়ে আসতে বললেন। তাতে মুরগীর গোশত ছিল। ইত্যবসরে তায়মুল্লাহ গোত্রের লাল বর্ণের এক লোক উপস্থিত হয়। যে গোলাম বা নও মুসলিম সদৃশ ছিল। আবু মুসা (রাযিঃ) তাকে বললেন, এসো। সে ইতস্তত করে। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, এসো। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তা খেতে দেখেছি। লোকটি বললো, আমি একে এমন কিছু খেতে দেখেছি যাতে আমার ঘৃণা হয়, তাই আমি কসম করেছি যে, তা আর খাবো না। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, এসো, এ ব্যাপারে আমি তোমাকে একটি হাদীস বলছি।
আমি একবার আশ’আরী গোত্রের কতিপয় লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সওয়ারী চাইতে আসি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সওয়ারী দিব না। আর তোমাদের দেওয়ার মত সওয়ারীও আমার কাছে নাই। তারপর যতক্ষণ আল্লাহর মর্জি হয়, আমরা অপেক্ষা করলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকটে কিছু গনিমতের উট আসে। তিনি আমাকে ডেকে পাঠান এবং সাদা কুঁজ বিশিষ্ট পাঁচটি উট আমাদের দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
যখন আমরা চললাম তখন আমাদের একে অন্যকে বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তার কসম সম্বন্ধে অমনোযোগী রেখেছি, আমাদের বরকত হবে না। তখন আমরা তার নিকট ফিরে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার নিকট সওয়ারী চাইতে এসেছিলাম। আর আপনি আমাদেরকে সওয়ারী না দেয়ার কসম করেছিলেন এবং তারপর আপনি আমাদের সওয়ারী দিয়ে দিয়েছিলেন। আপনি কি তা ভুলে গেছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! ইনশাআল্লাহ, আমি যখনই কোন কসম করি, তারপর তার বিপরীতটিকে উত্তম মনে করি তখন আমি উত্তমটিই করব এবং কসম থেকে হালাল হয়ে যাব (অর্থাৎ কাফফারা আদায় করব) সুতরাং তোমরা যাও, কেননা আল্লাহ তাআলা তোমাদের সওয়ারী দান করেছেন।
আমি একবার আশ’আরী গোত্রের কতিপয় লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সওয়ারী চাইতে আসি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সওয়ারী দিব না। আর তোমাদের দেওয়ার মত সওয়ারীও আমার কাছে নাই। তারপর যতক্ষণ আল্লাহর মর্জি হয়, আমরা অপেক্ষা করলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকটে কিছু গনিমতের উট আসে। তিনি আমাকে ডেকে পাঠান এবং সাদা কুঁজ বিশিষ্ট পাঁচটি উট আমাদের দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
যখন আমরা চললাম তখন আমাদের একে অন্যকে বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তার কসম সম্বন্ধে অমনোযোগী রেখেছি, আমাদের বরকত হবে না। তখন আমরা তার নিকট ফিরে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার নিকট সওয়ারী চাইতে এসেছিলাম। আর আপনি আমাদেরকে সওয়ারী না দেয়ার কসম করেছিলেন এবং তারপর আপনি আমাদের সওয়ারী দিয়ে দিয়েছিলেন। আপনি কি তা ভুলে গেছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! ইনশাআল্লাহ, আমি যখনই কোন কসম করি, তারপর তার বিপরীতটিকে উত্তম মনে করি তখন আমি উত্তমটিই করব এবং কসম থেকে হালাল হয়ে যাব (অর্থাৎ কাফফারা আদায় করব) সুতরাং তোমরা যাও, কেননা আল্লাহ তাআলা তোমাদের সওয়ারী দান করেছেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي، قِلاَبَةَ وَعَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ، - قَالَ أَيُّوبُ وَأَنَا لِحَدِيثِ الْقَاسِمِ، أَحْفَظُ مِنِّي لِحَدِيثِ أَبِي قِلاَبَةَ - قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى فَدَعَا بِمَائِدَتِهِ وَعَلَيْهَا لَحْمُ دَجَاجٍ فَدَخَلَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ أَحْمَرُ شَبِيهٌ بِالْمَوَالِي فَقَالَ لَهُ هَلُمَّ . فَتَلَكَّأَ فَقَالَ هَلُمَّ فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ مِنْهُ . فَقَالَ الرَّجُلُ إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ فَحَلَفْتُ أَنْ لاَ أَطْعَمَهُ فَقَالَ هَلُمَّ أُحَدِّثْكَ عَنْ ذَلِكَ إِنِّي أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ " وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ " . فَلَبِثْنَا مَا شَاءَ اللَّهُ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِنَهْبِ إِبِلٍ فَدَعَا بِنَا فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى قَالَ فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ أَغْفَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمِينَهُ لاَ يُبَارَكُ لَنَا . فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أَتَيْنَاكَ نَسْتَحْمِلُكَ وَإِنَّكَ حَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا ثُمَّ حَمَلْتَنَا أَفَنَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنِّي وَاللَّهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا فَانْطَلِقُوا فَإِنَّمَا حَمَلَكُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-৪
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২০। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... যাহদাম জারমী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘জারম’ এর এই গোত্র এবং আশ’আরীদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। একবার আমরা আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) এর নিকটে ছিলাম। তখন তাঁর সামনে খাদ্য উপস্থিত করা হলো, যার মধ্যে মুরগির গোশতও ছিল। পরবর্তী অংশ উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، وَالْقَاسِمِ، التَّمِيمِيِّ عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ، قَالَ كَانَ بَيْنَ هَذَا الْحَىِّ مِنْ جَرْمٍ وَبَيْنَ الأَشْعَرِيِّينَ وُدٌّ وَإِخَاءٌ فَكُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ طَعَامٌ فِيهِ لَحْمُ دَجَاجٍ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-৫
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২১। আলী ইবনে হুজর সা’দী, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও ইবনে নুমাইর, ইবনে আবু উমর ও আবু বাকুর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... যাহদাম জারমী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবু মুসা (রাযিঃ) এর নিকটে ছিলাম। অতঃপর সকলেই হাম্মাদ ইবনে যায়দের হাদীসের মর্মানুসারে ঘটনা বর্ণনা করেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، ابْنِ عُلَيَّةَ عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ الْقَاسِمِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، وَالْقَاسِمِ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى . وَاقْتَصُّوا جَمِيعًا الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-৬
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২২। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... যাহদাম জারমী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু মুসা (রাহঃ) এর নিকট গমন করি। তখন তিনি মুরগির গোশত খাচ্ছিলেন। তিনি হাদীসের পরবর্তী অংশ উক্ত বর্ণনাকারীদের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি এতে এতটুকু অধিক বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর কসম! আমি তা ভুলে যাইনি।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا الصَّعْقُ، - يَعْنِي ابْنَ حَزْنٍ - حَدَّثَنَا مَطَرٌ الْوَرَّاقُ، حَدَّثَنَا زَهْدَمٌ الْجَرْمِيُّ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي مُوسَى وَهُوَ يَأْكُلُ لَحْمَ دَجَاجٍ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ وَزَادَ فِيهِ قَالَ  " إِنِّي وَاللَّهِ مَا نَسِيتُهَا " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-৭
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সওয়ারী চাইতে উপস্থিত হই। তিনি বললেনঃ আমার নিকট এমন কিছু নাই যা তোমাদেরকে সওয়ারী হিসেবে দিতে পারি। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সওয়ারী দিব না। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (ছাই বর্ণের) সাদা কুঁজ বিশিষ্ট তিনটি উট আমাদের নিকট পাঠান। আমরা আলোচনা করলাম যে, সওয়ারী চাওয়ার জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসেছিলাম। তখন তিনি কসম খেয়েছিলেন যে, তিনি আমাদের সওয়ারী দিবেন না। এরপর আমরা তাঁর নিকট গিয়ে তাকে কসমের কথা জানালাম। তিনি বললেনঃ আমি কোন বিষয়ের উপর কসম করলে তার বিপরীত কাজ যদি উত্তম দেখি তবে অবশ্যই সে উত্তমটি করব।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ ضُرَيْبِ بْنِ، نُقَيْرٍ الْقَيْسِيِّ عَنْ زَهْدَمٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ " مَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ وَاللَّهِ مَا أَحْمِلُكُمْ " . ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثَةِ ذَوْدٍ بُقْعِ الذُّرَى فَقُلْنَا إِنَّا أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَحَلَفَ أَنْ لاَ يَحْمِلَنَا فَأَتَيْنَاهُ فَأَخْبَرْنَاهُ فَقَالَ " إِنِّي لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ أَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-৮
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৪। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা তামীম (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা পদাতিক ছিলাম। তাই আমরা নবী (ﷺ) এর নিকটে সওয়ারী চাইতে এলাম। এরপর জারীরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو السَّلِيلِ، عَنْ زَهْدَمٍ، يُحَدِّثُهُ عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنَّا مُشَاةً فَأَتَيْنَا نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ . بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫০-১
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৫। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকটে গভীর রাত পর্যন্ত দেরী করে (ইশার নামায আদায় করে)। এরপর তার পরিবারের কাছে গিয়ে দেখে যে, বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়েছে। তার স্ত্রী তার খাবার নিয়ে এলে সে সন্তানদের কারণে কসম করলো যে, সে খাবে না। পরে তার ভাবান্তর ঘটলো এবং সে খেয়ে নিল। এরপর সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসে ও তাঁকে উক্ত ঘটনা বলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে তার বিপরীতটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে ফেলে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَعْتَمَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ فَوَجَدَ الصِّبْيَةَ قَدْ نَامُوا فَأَتَاهُ أَهْلُهُ بِطَعَامِهِ فَحَلَفَ لاَ يَأْكُلُ مِنْ أَجْلِ صِبْيَتِهِ ثُمَّ بَدَا لَهُ فَأَكَلَ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِهَا وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ " .
হাদীস নং: ৪১২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫০-২
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৬। আবু তাহির (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে তার বিপরীতটিকে তার চেয়ে উত্তম মনে করে, তবে সে যেন তার কসমের কাফফারা দেয় এবং (ঐ কাজটি) করে ফেলে।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي، صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ وَلْيَفْعَلْ " .
হাদীস নং: ৪১২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫০-৩
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৭। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম করে, পরে তার বিপরীতটিকে তার চেয়ে উত্তম মনে করে, তবে সে যেন সেই উত্তম বিষয়টি সম্পাদন করে এবং কসমের কাফফারা আদায় করে দেয়।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُطَّلِبِ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ " .
হাদীস নং: ৪১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫০-৪
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৮। কাসিম ইবনে যাকায়িয়া (রাহঃ) ......... সুহাঈল (রাহঃ) এর সূত্রে উক্ত সনদে মালিক বর্ণিত হাদীসের মর্মানুরূপ বর্ণনা করেন। তবে এতে আছে, ″সে যেন তার কসমের কাফফারা দেয় এবং তাই করে যা উত্তম।″
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - حَدَّثَنِي سُهَيْلٌ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ  " فَلْيُكَفِّرْ يَمِينَهُ وَلْيَفْعَلِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .
হাদীস নং: ৪১২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১-১
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১২৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... তামীম ইবনে তারফা (রাহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন সাহায্যকারী আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) এর নিকট এলো। সে একজন দাসের মূল্য কিংবা দাসের মূল্যের কিছু অংশ সাহায্য করার প্রার্থনা জানায়। তিনি বললেন, একটা বর্ম ও লোহার টুপি ব্যতীত আমার নিকট তোমাকে দেওয়ার মত আর কিছুই নেই। আমি আমার পরিবারকে লিখে দিচ্ছি যেন তারা এ দু’টি তোমাকে দিয়ে দেয়। রাবী বলেন, সে ব্যক্তি এতে রাজি হলো না। আদী এতে ক্রোধাম্বিত হয়ে বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাকে দিব না।
পরে লোকটি রাযি হয়ে গেল। তখন তিনি বললেনঃ জেনে রাখ, আল্লাহর কসম! আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে একথা বলতে না শুনতাম যে, যে ব্যক্তি কোন ব্যাপারে কসম করে, অতঃপর তা অপেক্ষা আল্লাহর অধিক ভয় সম্পন্ন বিষয় দেখে, তবে সে যেন তাকওয়াপূর্ণ বিষয়টিই করে, তাহলে আমি আমার কসম প্রত্যাহার করতাম না।
পরে লোকটি রাযি হয়ে গেল। তখন তিনি বললেনঃ জেনে রাখ, আল্লাহর কসম! আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে একথা বলতে না শুনতাম যে, যে ব্যক্তি কোন ব্যাপারে কসম করে, অতঃপর তা অপেক্ষা আল্লাহর অধিক ভয় সম্পন্ন বিষয় দেখে, তবে সে যেন তাকওয়াপূর্ণ বিষয়টিই করে, তাহলে আমি আমার কসম প্রত্যাহার করতাম না।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ رُفَيْعٍ - عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، قَالَ جَاءَ سَائِلٌ إِلَى عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ فَسَأَلَهُ نَفَقَةً فِي ثَمَنِ خَادِمٍ أَوْ فِي بَعْضِ ثَمَنِ خَادِمٍ . فَقَالَ لَيْسَ عِنْدِي مَا أُعْطِيكَ إِلاَّ دِرْعِي وَمِغْفَرِي فَأَكْتُبُ إِلَى أَهْلِي أَنْ يُعْطُوكَهَا . قَالَ فَلَمْ يَرْضَ فَغَضِبَ عَدِيٌّ فَقَالَ أَمَا وَاللَّهِ لاَ أُعْطِيكَ شَيْئًا ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَ رَضِيَ فَقَالَ أَمَا وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ ثُمَّ رَأَى أَتْقَى لِلَّهِ مِنْهَا فَلْيَأْتِ التَّقْوَى " . مَا حَنَّثْتُ يَمِينِي .
হাদীস নং: ৪১৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১-২
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কসম করে, এরপর তার বিপরীতকে উত্তম মনে করে, তবে সে যেন উত্তমটিই করে, এবং কসম পরিত্যাগ (ভঙ্গ) করে।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَلْيَتْرُكْ يَمِينَهُ " .
হাদীস নং: ৪১৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১-৩
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩১। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও মুহাম্মাদ ইবনে তারিফ বাজালী (রাহঃ) ......... আদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ কোন কসম করে, এরপর তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখে, তবে সে যেন তার কাফফারা আদায় করে এবং তাই যেন করে যা উত্তম।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْبَجَلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ طَرِيفٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " إِذَا حَلَفَ أَحَدُكُمْ عَلَى الْيَمِينِ فَرَأَى خَيْرًا مِنْهَا فَلْيُكَفِّرْهَا وَلْيَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .
হাদীস নং: ৪১৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১-৪
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩২। মুহাম্মাদ ইবনে তারীফ (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) কে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বলতে শুনেছেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ .
হাদীস নং: ৪১৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১-৫
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একবার তার নিকট এক ব্যক্তি এসে একশ দিরহামের সাওয়ালকরে। তিনি বললেন, তুমি আমার নিকট একশ দিরহাম সাওয়ালকরছ! অথচ আমি হাতিম (তাই) এর পুত্র। আল্লাহর কসম! তোমাকে আমি দান করব না। এরপর তিনি বললেন, আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ কথা বলতে না শোনতাম যে, যে ব্যক্তি কসম করে, পরে তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখে, তবে সে যেন সেই উত্তমটিই পালন করে।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ، وَأَتَاهُ، رَجُلٌ يَسْأَلُهُ مِائَةَ دِرْهَمٍ . فَقَالَ تَسْأَلُنِي مِائَةَ دِرْهَمٍ وَأَنَا ابْنُ حَاتِمٍ وَاللَّهِ لاَ أُعْطِيكَ . ثُمَّ قَالَ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ ثُمَّ رَأَى خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .
হাদীস নং: ৪১৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১-৬
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩৪। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তার নিকট সাওয়ালকরে। এরপর উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং আরো বলেছেন যে, আমার প্রাপ্য (সরকারী) দান থেকে চারশ তোমার জন্য।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ تَمِيمَ بْنَ طَرَفَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَهُ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَزَادَ وَلَكَ أَرْبَعُمِائَةٍ فِي عَطَائِي .
হাদীস নং: ৪১৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫২-১
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩৫। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আব্দর রহমান ইবনে সামুরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ! তুমি শাসন ক্ষমতা চেয়ো না। কারণ, যদি তোমাকে চাওয়ার কারণে তা দেওয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব, তোমার উপর বর্তাবে। আর চাওয়া ব্যতীত তোমাকে তা অর্পণ করা হলে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে।
আর যখন তুমি কোন কাজের ব্যাপারে কসম কর; তারপর তার বিপরীত কাজকে তুমি উত্তম মনে কর, তবে তুমি তোমার কসমের কাফফারা আদায় করবে এবং যা উত্তম তা পালন করবে।
আবু আহমাদ আল জালুদী ......... জারীর ইবনে হাযিম (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
আর যখন তুমি কোন কাজের ব্যাপারে কসম কর; তারপর তার বিপরীত কাজকে তুমি উত্তম মনে কর, তবে তুমি তোমার কসমের কাফফারা আদায় করবে এবং যা উত্তম তা পালন করবে।
আবু আহমাদ আল জালুদী ......... জারীর ইবনে হাযিম (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَائْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .
قَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْجُلُودِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْمَاسَرْجَسِيُّ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، . بِهَذَا الْحَدِيثِ .
قَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْجُلُودِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْمَاسَرْجَسِيُّ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، . بِهَذَا الْحَدِيثِ .
হাদীস নং: ৪১৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫২-২
- কসম-শপথ করার বিধান
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১৩৬। আলী ইবনে হুজর সা’দী, আবু কামিল জাহদারী, ওয়াবদুল্লাহ ইবনে মুআয ও উকবা ইবনে মুকাররম আম্মী ......... আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে মুতামির তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণিত হাদীসে ’শাসন ক্ষমতার’ (ইমারাত) কথা উল্লেখ নেই।
كتاب الأيمان
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، وَمَنْصُورٍ، وَحُمَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ، وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَهِشَامِ، بْنِ حَسَّانَ فِي آخَرِينَ ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، ح وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ الْمُعْتَمِرِ عَنْ أَبِيهِ ذِكْرُ الإِمَارَةِ .
