আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৪৪৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৫-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬১। আবু তাহির আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারহ (রাহঃ) ......... আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুনাইনের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। আমি এবং আবু সুফিয়ান ইবনে হারেস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর একেবারে সঙ্গেই ছিলাম। আমরা কখনও তাঁর থেকে পৃথক হইনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সাদা বর্ণের খচ্চরের উপর আরোহণ করেছিলেন। সে খচ্চরটি ফারওয়া ইবনে নূফাসা হুযামী তাঁকে হাদিয়া স্বরূপ দিয়েছিলেন। (উহাকে দুলদুল নামে ডাকা হতো।) যখন মুসলমান এবং কাফির পরস্পর সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হল তখন মুসলমানগণ (যুদ্ধের এক পর্যায়ে) পশ্চাৎ দিকে পলায়ন করতে লাগলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় পায়ের গোড়ালী দিয়ে নিজের খচ্চরকে আঘাত করে কাফিরদের দিকে ধাবিত করছিলেন।
আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তার খচ্চরের লাগাম ধরে রেখে ছিলাম এবং একে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলাম যেন দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে না পারে। আর আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) তাঁর খচ্চরের ‘রেকাব’ (পাদানি) ধরে রেখেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আব্বাস! আসহাবে সামুরাকে (হুদায়বিয়ার বাবলা গাছের তলায় বায়আতকারী দল) আহবান কর। আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আর তিনি ছিলেন উচ্চ কণ্ঠের অধিকারী ব্যক্তি। তখন আমি উচ্চস্বরে আওয়াজ দিয়ে বললাম, হে আসহাবে সামুরা! (তোমরা কোথায় যাচ্ছ?) তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তা শোনামাত্র তাঁরা এমনভাবে প্রত্যাবর্তন করতে শুরু করলেন যেমনভাবে গাভী তার বাচ্চার আওয়াজ শুনে দ্রুত দৌড়ে আসে। এবং তারা বলতে লাগলো, আমরা আপনার নিকট হাযির, আমরা আপনার নিকট হাযির।
রাবী বলেন, এরপর তারা কাফিরদের সাথে পুনরায় যুদ্ধে লিপ্ত হন। তিনি আনসারদের প্রতি আহবান ছিল যে, হে আনসারগণ! রাবী বলেন, এরপর আহবান সমাপ্ত করা হল বনী হারেস ইবনে খাযরাজের মাধ্যমে (তাঁরা আহবান করলেন, হে বনী হারেস ইবনুল খাযরাজ।) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার খচ্চরের উপর আরোহণ অবস্থায় তার গর্দান উঁচু করে তাদের যুদ্ধের অবস্থা অবলোকন করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এটাই হল তন্দুর উত্তপ্ত হওয়ার সময় (যুদ্ধের উত্তেজনাপূর্ণ চরম মুহূর্ত।)
রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কংকর হাতে নিলেন। এবং এগুলি তিনি কাফিরদের মুখের উপর ছুড়ে মারলেন। এরপর বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর রবের কসম! তারা পরাজিত হয়েছে। আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধের অবস্থান পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখলাম যে, যথারীতি যুদ্ধ চলছে। এমন সময় তিনি কংকরগুলো নিক্ষেপ করলেন। আল্লাহর শপথ! তখন হঠাৎ দেখি যে, কাফিরদের শক্তি নিস্তেজ হয়ে গেল এবং তাদের যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল।
আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তার খচ্চরের লাগাম ধরে রেখে ছিলাম এবং একে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলাম যেন দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে না পারে। আর আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) তাঁর খচ্চরের ‘রেকাব’ (পাদানি) ধরে রেখেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আব্বাস! আসহাবে সামুরাকে (হুদায়বিয়ার বাবলা গাছের তলায় বায়আতকারী দল) আহবান কর। আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আর তিনি ছিলেন উচ্চ কণ্ঠের অধিকারী ব্যক্তি। তখন আমি উচ্চস্বরে আওয়াজ দিয়ে বললাম, হে আসহাবে সামুরা! (তোমরা কোথায় যাচ্ছ?) তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তা শোনামাত্র তাঁরা এমনভাবে প্রত্যাবর্তন করতে শুরু করলেন যেমনভাবে গাভী তার বাচ্চার আওয়াজ শুনে দ্রুত দৌড়ে আসে। এবং তারা বলতে লাগলো, আমরা আপনার নিকট হাযির, আমরা আপনার নিকট হাযির।
রাবী বলেন, এরপর তারা কাফিরদের সাথে পুনরায় যুদ্ধে লিপ্ত হন। তিনি আনসারদের প্রতি আহবান ছিল যে, হে আনসারগণ! রাবী বলেন, এরপর আহবান সমাপ্ত করা হল বনী হারেস ইবনে খাযরাজের মাধ্যমে (তাঁরা আহবান করলেন, হে বনী হারেস ইবনুল খাযরাজ।) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার খচ্চরের উপর আরোহণ অবস্থায় তার গর্দান উঁচু করে তাদের যুদ্ধের অবস্থা অবলোকন করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এটাই হল তন্দুর উত্তপ্ত হওয়ার সময় (যুদ্ধের উত্তেজনাপূর্ণ চরম মুহূর্ত।)
রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কংকর হাতে নিলেন। এবং এগুলি তিনি কাফিরদের মুখের উপর ছুড়ে মারলেন। এরপর বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর রবের কসম! তারা পরাজিত হয়েছে। আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধের অবস্থান পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখলাম যে, যথারীতি যুদ্ধ চলছে। এমন সময় তিনি কংকরগুলো নিক্ষেপ করলেন। আল্লাহর শপথ! তখন হঠাৎ দেখি যে, কাফিরদের শক্তি নিস্তেজ হয়ে গেল এবং তাদের যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ قَالَ عَبَّاسٌ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ فَلَزِمْتُ أَنَا وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نُفَارِقْهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَغْلَةٍ لَهُ بَيْضَاءَ أَهْدَاهَا لَهُ فَرْوَةُ بْنُ نُفَاثَةَ الْجُذَامِيُّ فَلَمَّا الْتَقَى الْمُسْلِمُونَ وَالْكُفَّارُ وَلَّى الْمُسْلِمُونَ مُدْبِرِينَ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْكُضُ بَغْلَتَهُ قِبَلَ الْكُفَّارِ قَالَ عَبَّاسٌ وَ أَنَا آخِذٌ بِلِجَامِ بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكُفُّهَا إِرَادَةَ أَنْ لاَ تُسْرِعَ وَأَبُو سُفْيَانَ آخِذٌ بِرِكَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَىْ عَبَّاسُ نَادِ أَصْحَابَ السَّمُرَةِ " . فَقَالَ عَبَّاسٌ وَكَانَ رَجُلاً صَيِّتًا فَقُلْتُ بِأَعْلَى صَوْتِي أَيْنَ أَصْحَابُ السَّمُرَةِ قَالَ فَوَاللَّهِ لَكَأَنَّ عَطْفَتَهُمْ حِينَ سَمِعُوا صَوْتِي عَطْفَةُ الْبَقَرِ عَلَى أَوْلاَدِهَا . فَقَالُوا يَا لَبَّيْكَ يَا لَبَّيْكَ - قَالَ - فَاقْتَتَلُوا وَالْكُفَّارَ وَالدَّعْوَةُ فِي الأَنْصَارِ يَقُولُونَ يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ قَالَ ثُمَّ قُصِرَتِ الدَّعْوَةُ عَلَى بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَقَالُوا يَا بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ يَا بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ . فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى بَغْلَتِهِ كَالْمُتَطَاوِلِ عَلَيْهَا إِلَى قِتَالِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا حِينَ حَمِيَ الْوَطِيسُ " . قَالَ ثُمَّ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَصَيَاتٍ فَرَمَى بِهِنَّ وُجُوهَ الْكُفَّارِ ثُمَّ قَالَ " انْهَزَمُوا وَرَبِّ مُحَمَّدٍ " . قَالَ فَذَهَبْتُ أَنْظُرُ فَإِذَا الْقِتَالُ عَلَى هَيْئَتِهِ فِيمَا أَرَى - قَالَ - فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَمَاهُمْ بِحَصَيَاتِهِ فَمَا زِلْتُ أَرَى حَدَّهُمْ كَلِيلاً وَأَمْرَهُمْ مُدْبِرًا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৫-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনে রাফে ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ফারওয়া ইবনে ’নুআছা’ স্থলে নু’আমা জুযামী কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন যে, তারা পরাজিত হয়েছে, কাবার রবের কসম! তারা পরাজিত হয়েছে কাবার রবের কসম!”
তিনি তাঁর হাদীসে একথাটিও অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, “অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করলেন”। রাবী বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে তাদের পিছন থেকে দেখলাম যে, তিনি তার খচ্চরের উপর থেকে নিজ পায়ের গোড়ালী দিয়ে একে আঘাত করে তাদের পিছনে ধাবিত করছিলেন।
তিনি তাঁর হাদীসে একথাটিও অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, “অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করলেন”। রাবী বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে তাদের পিছন থেকে দেখলাম যে, তিনি তার খচ্চরের উপর থেকে নিজ পায়ের গোড়ালী দিয়ে একে আঘাত করে তাদের পিছনে ধাবিত করছিলেন।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ، الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَرْوَةُ بْنُ نُعَامَةَ الْجُذَامِيُّ . وَقَالَ " انْهَزَمُوا وَرَبِّ الْكَعْبَةِ انْهَزَمُوا وَرَبِّ الْكَعْبَةِ " . وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ حَتَّى هَزَمَهُمُ اللَّهُ قَالَ وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْكُضُ خَلْفَهُمْ عَلَى بَغْلَتِهِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৫-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬৩। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুনাইনের যুদ্ধের দিন নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম ...... এরপর তিনি উল্লিখিত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে ইউনূস এবং মা’মার (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস বর্ণনার দিক দিয়ে অধিক বিস্তারিত এবং পরিপূর্ণ।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي كَثِيرُ، بْنُ الْعَبَّاسِ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ . غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ يُونُسَ وَحَدِيثَ مَعْمَرٍ أَكْثَرُ مِنْهُ وَأَتَمُّ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৬-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি বারা (রাযিঃ) কে বললেন, হে আবু উমরা! আপনারা কি হুনাইনের যুদ্ধে পলায়ন করেছিলেন? তিনি বললেন, না। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পলায়ন করেননি। বরং তাঁর সাহাবীদের মধ্যে একটি কম বয়সের অনভিজ্ঞ দল, যাদের কোন অস্ত্র কিংবা উল্লেখযোগ্য কোন ধরনের কোন হাতিয়ারও ছিলনা, (তাঁরা সরে পড়েন)। তাঁরা এমন একদল তীরান্দাযের মোকাবিলা করছিলেন, যাদের তীরের লক্ষ্য ব্যর্থ হত না। তারা ছিল হাওয়াযিন ও নযর গোত্রের লোক।
তারা এমনভাবে প্রবল ধারায় তীর ছুড়ছিল যে, তারা লক্ষ্যস্থলে আঘাত করতে ব্যর্থ হচ্ছিল না। তখন তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে এগিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে সময় তার সাদা রংের খচ্চরের উপর ছিলেন। আর আবু সুফিয়ান ইবনে হারেস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) একে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি অবতরণ করলেন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন। রাবী বলেন, যেন তিনি বলেছিলেনঃ আমি অবশ্যই নবী, একথা মিথ্যা নয়। আমি আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র (বংশধর)। তারপর তিনি তার সেনাদলকে সারিবদ্ধ করলেন।
তারা এমনভাবে প্রবল ধারায় তীর ছুড়ছিল যে, তারা লক্ষ্যস্থলে আঘাত করতে ব্যর্থ হচ্ছিল না। তখন তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে এগিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে সময় তার সাদা রংের খচ্চরের উপর ছিলেন। আর আবু সুফিয়ান ইবনে হারেস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) একে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি অবতরণ করলেন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন। রাবী বলেন, যেন তিনি বলেছিলেনঃ আমি অবশ্যই নবী, একথা মিথ্যা নয়। আমি আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র (বংশধর)। তারপর তিনি তার সেনাদলকে সারিবদ্ধ করলেন।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِلْبَرَاءِ يَا أَبَا عُمَارَةَ أَفَرَرْتُمْ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ لاَ وَاللَّهِ مَا وَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنَّهُ خَرَجَ شُبَّانُ أَصْحَابِهِ وَأَخِفَّاؤُهُمْ حُسَّرًا لَيْسَ عَلَيْهِمْ سِلاَحٌ أَوْ كَثِيرُ سِلاَحٍ فَلَقُوا قَوْمًا رُمَاةً لاَ يَكَادُ يَسْقُطُ لَهُمْ سَهْمٌ جَمْعَ هَوَازِنَ وَبَنِي نَصْرٍ فَرَشَقُوهُمْ رَشْقًا مَا يَكَادُونَ يُخْطِئُونَ فَأَقْبَلُوا هُنَاكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَقُودُ بِهِ فَنَزَلَ فَاسْتَنْصَرَ وَقَالَ " أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ " . ثُمَّ صَفَّهُمْ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৬-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬৫। আহমাদ ইবনে জানাব মিসসিসী (রাহঃ) ......... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি বারা (রাযিঃ) এর নিকট এসে বললো, আপনারা কি হুনায়নের দিনে পলায়ন করেছিলেন? তখন তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি পলায়ন করেন নি। কিন্তু কিছু সংখ্যক অতি ব্যস্ত ও বর্মহীন লোক হাওয়ায়িন গোত্রের দিকে গিয়েছিল। আর তারা ছিল তীরন্দায সম্প্রদায়। তারা তাদের প্রতি ঝাঁকে ঝাঁকে তীর ছুড়লো, যেন সেগুলো পঙ্গপালের পায়ের মত। তখন তারা পিছন দিকে হটে গেল। আর লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এগিয়ে এলো। আবু সুফিয়ান ইবনে হারেস (রাযিঃ) তাঁর খচ্চর টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি অবতরণ করলেন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে দুআ করলেন এবং তিনি বললেনঃ আমি অবশ্যই আল্লাহর নবী, একথা মিথ্যে নয়। আমি আব্দুল মুত্তালিব এর পুত্র। “ইয়া আল্লাহ! আপনার সাহায্য নাযিল করুন”।
বারা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! যুদ্ধের-উত্তেজনা যখন ঘোরতর হয়ে উঠল, তখন আমরা তার মাধ্যমে আত্মরক্ষা করতাম। নিশ্চয়ই আমাদের মাঝে বীরপুরুষ তিনিই যিনি যুদ্ধে তাঁর অর্থাৎ নবী (ﷺ) এর সামনে দাঁড়াতে সাহসী হত।
বারা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! যুদ্ধের-উত্তেজনা যখন ঘোরতর হয়ে উঠল, তখন আমরা তার মাধ্যমে আত্মরক্ষা করতাম। নিশ্চয়ই আমাদের মাঝে বীরপুরুষ তিনিই যিনি যুদ্ধে তাঁর অর্থাৎ নবী (ﷺ) এর সামনে দাঁড়াতে সাহসী হত।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي، إِسْحَاقَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى الْبَرَاءِ فَقَالَ أَكُنْتُمْ وَلَّيْتُمْ يَوْمَ حُنَيْنٍ يَا أَبَا عُمَارَةَ فَقَالَ أَشْهَدُ عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا وَلَّى وَلَكِنَّهُ انْطَلَقَ أَخِفَّاءُ مِنَ النَّاسِ وَحُسَّرٌ إِلَى هَذَا الْحَىِّ مِنْ هَوَازِنَ وَهُمْ قَوْمٌ رُمَاةٌ فَرَمَوْهُمْ بِرِشْقٍ مِنْ نَبْلٍ كَأَنَّهَا رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فَانْكَشَفُوا فَأَقْبَلَ الْقَوْمُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ يَقُودُ بِهِ بَغْلَتَهُ فَنَزَلَ وَدَعَا وَاسْتَنْصَرَ وَهُوَ يَقُولُ " أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ اللَّهُمَّ نَزِّلْ نَصْرَكَ " . قَالَ الْبَرَاءُ كُنَّا وَاللَّهِ إِذَا احْمَرَّ الْبَأْسُ نَتَّقِي بِهِ وَإِنَّ الشُّجَاعَ مِنَّا لَلَّذِي يُحَاذِي بِهِ . يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৬-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬৬। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বারা (রাযিঃ) এর কাছে শুনেছি, বনী কায়েসের এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আপনারা কি হুনায়নের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে পলায়ন করেছিলেন? তখন বারা (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অবশ্যই পলায়ন করেননি। (তবে ব্যাপার এ ছিল যে,) হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা দক্ষ তীরান্দায ছিল। আমরা যখন তাদের উপর আক্রমণ করলাম তখন তারা বিক্ষিপ্ত হলো। তখন আমরা গনিমতের মালের দিকে ছুটে গেলাম। তখন তারা ফিরে এসে আমাদের উপর (অতর্কিতে) পাল্টা আক্রমণ করে তীর নিক্ষেপ করতে শুরু করল। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর সাদা বর্ণের খাচ্চরের উপর দেখতে পেলাম। আর আবু সূফিয়ান ইবনে হারেস (রাযিঃ) তার লাগাম ধরে রেখেছিলেন। আর নবী (ﷺ) বলছিলেনঃ আমি অবশ্যই নবী, একথা মিথ্যে নয়। আমি আব্দুল মুত্তালিব এর বংশধর।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، وَسَأَلَهُ، رَجُلٌ مِنْ قَيْسٍ أَفَرَرْتُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ الْبَرَاءُ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَفِرَّ وَكَانَتْ هَوَازِنُ يَوْمَئِذٍ رُمَاةً وَإِنَّا لَمَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمُ انْكَشَفُوا فَأَكْبَبْنَا عَلَى الْغَنَائِمِ فَاسْتَقْبَلُونَا بِالسِّهَامِ وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ وَإِنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ الْحَارِثِ آخِذٌ بِلِجَامِهَا وَهُوَ يَقُولُ " أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৬-৪
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬৭। যুহাইর ইবনে হারব মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও আবু বকর ইবনে খাল্লাদ ......... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁকে এক ব্যক্তি বলল, হে আবু উমরা! ...... তারপর অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেন। এই হাদীস ছিল তাঁদের বর্ণিত হাদীস থেকে সংক্ষিপ্ত। আর তাদের হাদীস ছিল পূর্ণ।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا أَبَا عُمَارَةَ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَهُوَ أَقَلُّ مِنْ حَدِيثِهِمْ وَهَؤُلاَءِ أَتَمُّ حَدِيثًا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭৭
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
২৮. হুনায়নের যুদ্ধ
৪৪৬৮। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হুনায়নের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে থেকে যুদ্ধ করেছি। যখন আমরা শক্রদের সন্মুখীন হলাম, তখন এ পর্যায়ে আমি অগ্রসর হয়ে একটি টিলার উপর আরোহণ করলাম। তখন শক্রদলের এক ব্যক্তি আমার মোকাবিলায় অগ্রসর হল। আমি একটি তীর নিক্ষেপ করলাম, তখন সে আমার থেকে আত্মগোপন করল। আমি তখন বুঝতে পারিনি তার ব্যাপারটি কী হয়েছে। তারপর যখন শক্রদের প্রতি লক্ষ্য করলাম, তখন দেখতে পেলাম যে, তারা অপর এক টিলায় আরোহণ করেছে। তারপর তারা এবং নবী (ﷺ) এর সাথীরা সামনাসামনি হলো। তখন নবী (ﷺ) এর সাহাবাগণ পিছনে সরে পড়তে লাগল। আমি পরাজিত অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করলাম। তখন আমার পরিধানে ছিল দু’টি চাঁদর। তার একটি চাঁদর ছিল লুঙ্গী (ইযার) রূপে এবং অপরটি চাদর রূপে পরেছিলাম।
এক, পর্যায়ে আমার লুঙ্গিটি খুলে গেল। তখন আমি সে দু’টি একত্র করে করলাম। এবং পরাজিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছ দিয়ে গমন করলাম। আর তিনি তখন তাঁর সাদা রং এর খচ্চরের উপর আরোহিত ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইবনুল আকওয়া ভীতিকর কিছু দেখেছে। এরপর (তারা) শক্ররা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ঘিরে ফেললো। তখন তিনি তার খচ্চর থেকে অবতরণ করলেন।
তারপর এক মুষ্টি মাটি যমীন থেকে তুলে নিলেন। এরপর তাদের মুখমণ্ডলে তা নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, তাদের মুখমণ্ডল বিকৃত হোক। এরপর তাদের সকলের দু’চোখ-ই সে এক মুষ্টি মাটির ধুলায় ভরে গেল। তারা পশ্চাৎ দিকে পলায়ন করলো। আল্লাহ তাআলা এ দ্বারাই তাদেরকে পরাস্ত করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
এক, পর্যায়ে আমার লুঙ্গিটি খুলে গেল। তখন আমি সে দু’টি একত্র করে করলাম। এবং পরাজিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছ দিয়ে গমন করলাম। আর তিনি তখন তাঁর সাদা রং এর খচ্চরের উপর আরোহিত ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইবনুল আকওয়া ভীতিকর কিছু দেখেছে। এরপর (তারা) শক্ররা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ঘিরে ফেললো। তখন তিনি তার খচ্চর থেকে অবতরণ করলেন।
তারপর এক মুষ্টি মাটি যমীন থেকে তুলে নিলেন। এরপর তাদের মুখমণ্ডলে তা নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, তাদের মুখমণ্ডল বিকৃত হোক। এরপর তাদের সকলের দু’চোখ-ই সে এক মুষ্টি মাটির ধুলায় ভরে গেল। তারা পশ্চাৎ দিকে পলায়ন করলো। আল্লাহ তাআলা এ দ্বারাই তাদেরকে পরাস্ত করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন।
كتاب الجهاد والسير
باب فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا فَلَمَّا وَاجَهْنَا الْعَدُوَّ تَقَدَّمْتُ فَأَعْلُو ثَنِيَّةً فَاسْتَقْبَلَنِي رَجُلٌ مِنَ الْعَدُوِّ فَأَرْمِيهِ بِسَهْمٍ فَتَوَارَى عَنِّي فَمَا دَرَيْتُ مَا صَنَعَ وَنَظَرْتُ إِلَى الْقَوْمِ فَإِذَا هُمْ قَدْ طَلَعُوا مِنْ ثَنِيَّةٍ أُخْرَى فَالْتَقَوْا هُمْ وَصَحَابَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَلَّى صَحَابَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَرْجِعُ مُنْهَزِمًا وَعَلَىَّ بُرْدَتَانِ مُتَّزِرًا بِإِحْدَاهُمَا مُرْتَدِيًا بِالأُخْرَى فَاسْتَطْلَقَ إِزَارِي فَجَمَعْتُهُمَا جَمِيعًا وَمَرَرْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُنْهَزِمًا وَهُوَ عَلَى بَغْلَتِهِ الشَّهْبَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَى ابْنُ الأَكْوَعِ فَزَعًا " . فَلَمَّا غَشُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عَنِ الْبَغْلَةِ ثُمَّ قَبَضَ قَبْضَةً مِنْ تُرَابٍ مِنَ الأَرْضِ ثُمَّ اسْتَقْبَلَ بِهِ وُجُوهَهُمْ فَقَالَ " شَاهَتِ الْوُجُوهُ " . فَمَا خَلَقَ اللَّهُ مِنْهُمْ إِنْسَانًا إِلاَّ مَلأَ عَيْنَيْهِ تُرَابًا بِتِلْكَ الْقَبْضَةِ فَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَنَائِمَهُمْ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: