আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ৪৪৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৩-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৭৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয আম্বরী (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, হুদাইবিয়া দিবসে আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এবং মুশরিকদের মধ্যে সন্ধি পত্র লিপিবদ্ধ করলেন, তিনি লিখলেন, এই (সন্ধিটি) চুক্তি করেছেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। তখন তারা বললো, ‘রাসূলুল্লাহ’ কথাটি লেখবেন না। যদি আমরা বিশ্বাস করতাম যে,আপনি আল্লাহর রাসুল, তবে তো আপনার সাথে আমরা যুদ্ধ করতাম না।
তখন নবী (ﷺ), আলী (রাযিঃ) কে বললেন, এ অংশটি মুছে দাও। তখন আলী বললেন, আমি তা মুছবার লোক নই। এরপর নবী (ﷺ)-ই নিজ হাতে তা মুছে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধির একটি শর্ত এ ছিল যে, তারা মক্কায় প্রবেশ করে তিন দিন অবস্থান করতে পারবে এবং তখন তাঁরা কোন অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু খাপবদ্ধ তলোয়ার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। আমি আবু ইসহাককে জিজ্ঞাসা করলাম, جلبانُ السِّلاَحِ এর অর্থ কি? তিনি তখন বলেন, এর অর্থ খাপ এবং এর মধ্যে যা থাকে।
তখন নবী (ﷺ), আলী (রাযিঃ) কে বললেন, এ অংশটি মুছে দাও। তখন আলী বললেন, আমি তা মুছবার লোক নই। এরপর নবী (ﷺ)-ই নিজ হাতে তা মুছে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধির একটি শর্ত এ ছিল যে, তারা মক্কায় প্রবেশ করে তিন দিন অবস্থান করতে পারবে এবং তখন তাঁরা কোন অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু খাপবদ্ধ তলোয়ার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। আমি আবু ইসহাককে জিজ্ঞাসা করলাম, جلبانُ السِّلاَحِ এর অর্থ কি? তিনি তখন বলেন, এর অর্থ খাপ এবং এর মধ্যে যা থাকে।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الصُّلْحَ بَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ فَكَتَبَ " هَذَا مَا كَاتَبَ عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ" . فَقَالُوا لاَ تَكْتُبْ رَسُولُ اللَّهِ فَلَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لَمْ نُقَاتِلْكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ " امْحُهُ " . فَقَالَ مَا أَنَا بِالَّذِي أَمْحَاهُ . فَمَحَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ قَالَ وَكَانَ فِيمَا اشْتَرَطُوا أَنْ يَدْخُلُوا مَكَّةَ فَيُقِيمُوا بِهَا ثَلاَثًا وَلاَ يَدْخُلُهَا بِسِلاَحٍ إِلاَّ جُلُبَّانَ السِّلاَحِ . قُلْتُ لأَبِي إِسْحَاقَ وَمَا جُلُبَّانُ السِّلاَحِ قَالَ الْقِرَابُ وَمَا فِيهِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৩-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনু, বাশশার (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুদায়বিয়াবাসীদের মধ্যে সন্ধি করলেন, আলী (রাযিঃ) উভয়ের মধ্যে একটি সন্ধিপত্র লিখলেন। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) লিখলেন, ’মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ’ তারপর মুআয বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার হাদীসে مَا كَاتَبَ (যা চুক্তি করেছেন) কথাটি উল্লেখ করেননি।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ لَمَّا صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ الْحُدَيْبِيَةِ كَتَبَ عَلِيٌّ كِتَابًا بَيْنَهُمْ قَالَ فَكَتَبَ " مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ " ثُمَّ ذَكَرَ بِنَحْوِ حَدِيثِ مُعَاذٍ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ " هَذَا مَا كَاتَبَ عَلَيْهِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৩-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮০। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী ও আহমাদ ইবনে জানাব মিসসিসী (রাহঃ) ......... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) যখন (উমরার জন্য আগমন করে) বায়তুল্লাহ শরীফের নিকট বাধাগ্রস্ত হলেন, তখন মক্কাবাসীরা এ মর্মে তার সঙ্গে সন্ধি করলো যে, (পরবর্তী বছর) তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন এবং সেখানে তিনদিন অবস্থান করবেন এবং কোষবদ্ধ তরবারী ছাড়া আর কিছু নিয়ে সেখানে ঢুকবেন না এবং কোন অধিবাসীকে নিয়ে মক্কা থেকে তার সাথে নিয়ে যাবেন না। পক্ষান্তরে তার সাথীদের কেউ যদি সেখানে থেকে যেতে চায়, তবে তাকে বারণ করবেন না।
তখন তিনি আলী (রাযিঃ) কে বললেনঃ আমাদের মধ্যকার শর্তগুলো এভাবে লিখে নাও “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম” এ হচ্ছে সেই সন্ধি যা মুহাম্মাদূর রাসূলুল্লাহ চূড়ান্ত করেছেন। তখন মুশরিকরা তাঁকে বললো, আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূলই জানতাম তবে আপনার অনুসরণই করতাম, বরং লিখুন, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ। তখন তিনি আলী (রাযিঃ) কে তা মুছে ফেলতে নির্দেশ দিলেন। আলী (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তা মুছতে পারব না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তা হলে আমাকেই তার স্থান দেখিয়ে দাও। তিনি সে স্থান দেখিয়ে দিলেন আর তিনি তা (স্বহস্তে) মুছে ফেললেন এবং [আলী (রাযিঃ)] লিখলেন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ।
তারপর (পরের বছর তিনি সাহাবাদের নিয়ে) সেখানে তিনি তিনদিন অবস্থান করলেন। যখন তৃতীয় দিন সমাগত হলো, তখন তারা আলী (রাযিঃ) কে বললে। এটা হচ্ছে তোমার সাথীর (নেতার) শর্তের স্থিরকৃত শেষ দিবস। তাঁকে বল তিনি যেন বের হয়ে যান। তখন তিনি তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি বেরিয়ে গেলেন।
ইবনে জানাব তার রিওয়ায়াতে بَايَعْنَاكَ এর স্থলে تَابَعْنَاكَ বলে বর্ণনা করেছেন।
তখন তিনি আলী (রাযিঃ) কে বললেনঃ আমাদের মধ্যকার শর্তগুলো এভাবে লিখে নাও “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম” এ হচ্ছে সেই সন্ধি যা মুহাম্মাদূর রাসূলুল্লাহ চূড়ান্ত করেছেন। তখন মুশরিকরা তাঁকে বললো, আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূলই জানতাম তবে আপনার অনুসরণই করতাম, বরং লিখুন, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ। তখন তিনি আলী (রাযিঃ) কে তা মুছে ফেলতে নির্দেশ দিলেন। আলী (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তা মুছতে পারব না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তা হলে আমাকেই তার স্থান দেখিয়ে দাও। তিনি সে স্থান দেখিয়ে দিলেন আর তিনি তা (স্বহস্তে) মুছে ফেললেন এবং [আলী (রাযিঃ)] লিখলেন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ।
তারপর (পরের বছর তিনি সাহাবাদের নিয়ে) সেখানে তিনি তিনদিন অবস্থান করলেন। যখন তৃতীয় দিন সমাগত হলো, তখন তারা আলী (রাযিঃ) কে বললে। এটা হচ্ছে তোমার সাথীর (নেতার) শর্তের স্থিরকৃত শেষ দিবস। তাঁকে বল তিনি যেন বের হয়ে যান। তখন তিনি তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি বেরিয়ে গেলেন।
ইবনে জানাব তার রিওয়ায়াতে بَايَعْنَاكَ এর স্থলে تَابَعْنَاكَ বলে বর্ণনা করেছেন।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ، جَمِيعًا عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، - وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ - أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ لَمَّا أُحْصِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ الْبَيْتِ صَالَحَهُ أَهْلُ مَكَّةَ عَلَى أَنْ يَدْخُلَهَا فَيُقِيمَ بِهَا ثَلاَثًا وَلاَ يَدْخُلَهَا إِلاَّ بِجُلُبَّانِ السِّلاَحِ السَّيْفِ وَقِرَابِهِ . وَلاَ يَخْرُجَ بِأَحَدٍ مَعَهُ مِنْ أَهْلِهَا وَلاَ يَمْنَعَ أَحَدًا يَمْكُثُ بِهَا مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ . قَالَ لِعَلِيٍّ " اكْتُبِ الشَّرْطَ بَيْنَنَا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ " . فَقَالَ لَهُ الْمُشْرِكُونَ لَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ تَابَعْنَاكَ وَلَكِنِ اكْتُبْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ . فَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يَمْحَاهَا فَقَالَ عَلِيٌّ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَمْحَاهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرِنِي مَكَانَهَا " . فَأَرَاهُ مَكَانَهَا فَمَحَاهَا وَكَتَبَ " ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ " . فَأَقَامَ بِهَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا أَنْ كَانَ يَوْمُ الثَّالِثِ قَالُوا لِعَلِيٍّ هَذَا آخِرُ يَوْمٍ مِنْ شَرْطِ صَاحِبِكَ فَأْمُرْهُ فَلْيَخْرُجْ . فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَقَالَ " نَعَمْ " . فَخَرَجَ . وَقَالَ ابْنُ جَنَابٍ فِي رِوَايَتِهِ مَكَانَ تَابَعْنَاكَ بَايَعْنَاكَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৪
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশরা নবী (ﷺ) এর সাথে সন্ধি করল। তাদের মধ্যে (কুরাইশ পক্ষ) সুহাঈল ইবনে আমরও ছিল। তখন নবী (ﷺ) আলী (রাযিঃ) কে বললেনঃ লিখ, بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ সুহাঈল বললো, বিসমিল্লাহ? আমরা তো জানিনা বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম কী? তবে আমরা যা জানি বি-ইসমিকা আল্লাহুম্মা, (হে আল্লাহ! তোমার নামে) তাই লিখ।
তারপর নবী (ﷺ) বললেনঃ লিখ, মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ এর পক্ষ থেকে। তখন তারা বলে উঠলো, আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূলই জানতাম, তাহলে তো আমরা আপনার অনুসরণই করতাম। বরং আপনি আপনার নাম এবং আপনার পিতার নাম লিখুন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ লিখ, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে।
তারা নবী (ﷺ) এর উপর এ মর্মে শর্ত আরোপ করলো যে, যারা আপনাদের নিকট থেকে চলে আসবে, আমরা তাকে ফেরত পাঠাবো না, কিন্তু আমাদের কেউ যদি আপনাদের নিকট চলে যায়, তবে আপনারা তাকে অবশ্যই ফেরত পাঠাবেন।
তখন সাহাবীগণ বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি এরূপ লিখবো? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি তাদের কাছে যায় তবে আল্লাহই তাকে (রহমত থেকে) সরিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে যে আমাদের কাছে আসবে (তাকে ফেরত দিলেও) আল্লাহ অচিরেই তার কোন ব্যাবস্থা ও পথ বের করে দিবেন।
তারপর নবী (ﷺ) বললেনঃ লিখ, মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ এর পক্ষ থেকে। তখন তারা বলে উঠলো, আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূলই জানতাম, তাহলে তো আমরা আপনার অনুসরণই করতাম। বরং আপনি আপনার নাম এবং আপনার পিতার নাম লিখুন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ লিখ, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে।
তারা নবী (ﷺ) এর উপর এ মর্মে শর্ত আরোপ করলো যে, যারা আপনাদের নিকট থেকে চলে আসবে, আমরা তাকে ফেরত পাঠাবো না, কিন্তু আমাদের কেউ যদি আপনাদের নিকট চলে যায়, তবে আপনারা তাকে অবশ্যই ফেরত পাঠাবেন।
তখন সাহাবীগণ বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি এরূপ লিখবো? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি তাদের কাছে যায় তবে আল্লাহই তাকে (রহমত থেকে) সরিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে যে আমাদের কাছে আসবে (তাকে ফেরত দিলেও) আল্লাহ অচিরেই তার কোন ব্যাবস্থা ও পথ বের করে দিবেন।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ قُرَيْشًا، صَالَحُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِيهِمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ " اكْتُبْ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ " . قَالَ سُهَيْلٌ أَمَّا بِاسْمِ اللَّهِ فَمَا نَدْرِي مَا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَلَكِنِ اكْتُبْ مَا نَعْرِفُ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ فَقَالَ " اكْتُبْ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ " . قَالُوا لَوْ عَلِمْنَا أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لاَتَّبَعْنَاكَ وَلَكِنِ اكْتُبِ اسْمَكَ وَاسْمَ أَبِيكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اكْتُبْ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ " . فَاشْتَرَطُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ مَنْ جَاءَ مِنْكُمْ لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكُمْ وَمَنْ جَاءَكُمْ مِنَّا رَدَدْتُمُوهُ عَلَيْنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَكْتُبُ هَذَا قَالَ " نَعَمْ إِنَّهُ مَنْ ذَهَبَ مِنَّا إِلَيْهِمْ فَأَبْعَدَهُ اللَّهُ وَمَنْ جَاءَنَا مِنْهُمْ سَيَجْعَلُ اللَّهُ لَهُ فَرَجًا وَمَخْرَجًا " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৫-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবুল ওয়ায়েল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ) সিফফিন দিবসে উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের (অধিক) হওয়ার সম্ভাবনামুক্ত মনে করবে। আমরা হুদায়বিয়ার দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ছিলাম। আমরা এটিকে (সিফফীনের চলমান বিরোধকে যথার্থ) যুদ্ধ মনে করলে অবশ্যই আমরা যুদ্ধ করতাম। আমি বলতে চাই সেই সন্ধির কথা যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং মুশরিকদের মধ্যে হয়েছিল।
তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি সত্যের উপর নই আর তারা বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ তাই। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের নিহত (শহীদ)রা কি জান্নাতী এবং তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়?। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, তাহলে কী কারণে আমরা দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি মেনে নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে তাদের ও আমাদের মধ্যে আল্লাহর কোন ফয়সালা করেন নি!
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাত্তাব পুত্র! নিঃসন্দেহে আমি আল্লাহর রাসুল। আর তিনি অবশ্যই কখনো আমাকে বিনাশ করবেন না। রাবী বলেন, তখন উমর (রাযিঃ) চলে গেলেন। তিনি ক্রোধে ধৈর্যধারণ করতে পারছিলেন না। তাই আবু বকরের কাছে এলেন এবং তাঁকে বললেন, হে আবু বকর! আমরা কি হকের উপর এবং তারা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেন, অবশ্যই। আবার তিনি বললেন, আমাদের নিহতরা কি জান্নাতী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়? বললেন, নিশ্চয়ই। তখন তিনি বললেনঃ তা হলে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে আমাদের এবং তাদের মধ্যে আল্লাহ কোন ফয়সালা দেননি! তখন তিনি বললেন, হে খাত্তাব পুত্র! নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ কখনও তাঁর বিনাশ করবেন না।
রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে কুরআন অবতীর্ণ হলো। তখন তিনি উমরকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁর সম্মুখে তা পাঠ করলে তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কি বিজয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তাঁর অন্তর শান্ত হল এবং তিনি ফিরে গেলেন।
তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি সত্যের উপর নই আর তারা বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ তাই। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের নিহত (শহীদ)রা কি জান্নাতী এবং তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়?। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, তাহলে কী কারণে আমরা দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি মেনে নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে তাদের ও আমাদের মধ্যে আল্লাহর কোন ফয়সালা করেন নি!
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাত্তাব পুত্র! নিঃসন্দেহে আমি আল্লাহর রাসুল। আর তিনি অবশ্যই কখনো আমাকে বিনাশ করবেন না। রাবী বলেন, তখন উমর (রাযিঃ) চলে গেলেন। তিনি ক্রোধে ধৈর্যধারণ করতে পারছিলেন না। তাই আবু বকরের কাছে এলেন এবং তাঁকে বললেন, হে আবু বকর! আমরা কি হকের উপর এবং তারা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেন, অবশ্যই। আবার তিনি বললেন, আমাদের নিহতরা কি জান্নাতী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়? বললেন, নিশ্চয়ই। তখন তিনি বললেনঃ তা হলে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে আমাদের এবং তাদের মধ্যে আল্লাহ কোন ফয়সালা দেননি! তখন তিনি বললেন, হে খাত্তাব পুত্র! নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ কখনও তাঁর বিনাশ করবেন না।
রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে কুরআন অবতীর্ণ হলো। তখন তিনি উমরকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁর সম্মুখে তা পাঠ করলে তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কি বিজয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তাঁর অন্তর শান্ত হল এবং তিনি ফিরে গেলেন।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ سِيَاهٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَامَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ يَوْمَ صِفِّينَ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا أَنْفُسَكُمْ لَقَدْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَلَوْ نَرَى قِتَالاً لَقَاتَلْنَا وَذَلِكَ فِي الصُّلْحِ الَّذِي كَانَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَسْنَا عَلَى حَقٍّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ قَالَ " بَلَى " . قَالَ أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ قَالَ " بَلَى " . قَالَ فَفِيمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا وَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَقَالَ " يَا ابْنَ الْخَطَّابِ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَلَنْ يُضَيِّعَنِي اللَّهُ أَبَدًا " . قَالَ فَانْطَلَقَ عُمَرُ فَلَمْ يَصْبِرْ مُتَغَيِّظًا فَأَتَى أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ أَلَسْنَا عَلَى حَقٍّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ قَالَ بَلَى . قَالَ أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ قَالَ بَلَى . قَالَ فَعَلاَمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا وَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَقَالَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ إِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ وَلَنْ يُضَيِّعَهُ اللَّهُ أَبَدًا . قَالَ فَنَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْفَتْحِ فَأَرْسَلَ إِلَى عُمَرَ فَأَقْرَأَهُ إِيَّاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَفَتْحٌ هُوَ قَالَ " نَعَمْ " . فَطَابَتْ نَفْسُهُ وَرَجَعَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৫-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮৩। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুূল আলা ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সিফফীন দিবসে সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ) কে আমি বলতে শুনেছি হে লোক সকল! তোমাদের নিজেদের অভিমতকে (অধিক হওয়ার সম্ভাবনায়) অভিযুক্ত মনে করবে। আল্লাহর কসম! আমি আবু জান্দালের সে দিনটি (অর্থাৎ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন) প্রত্যক্ষ করেছি। যদি আমার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশ প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য থাকতো, তরে অবশ্যই তা প্রত্যাখ্যান করতাম। আল্লাহর কসম! যখন আমরা কখনো কোন (ভীষণ) সমস্যার (যুদ্ধের) সমাধানের জন্য তরবারি কাঁধে তুলে তা (অবশেষে) এমন সমাধানের পর্যায়ে পৌঁছে যা আমাদের জন্য বোধগম্য ছিল। কিন্তু তোমাদের এ ব্যপারটি তার বিপরীত।
ইবনে নুমাইর তার বর্ণনায় إِلَى أَمْرٍ قَطُّ (কোন ব্যাপারে) কথাটি উল্লেখ করেননি।
ইবনে নুমাইর তার বর্ণনায় إِلَى أَمْرٍ قَطُّ (কোন ব্যাপারে) কথাটি উল্লেখ করেননি।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، يَقُولُ بِصِفِّينَ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا رَأْيَكُمْ وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَنِّي أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَرَدَدْتُهُ وَاللَّهِ مَا وَضَعْنَا سُيُوفَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا إِلَى أَمْرٍ قَطُّ إِلاَّ أَسْهَلْنَ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ إِلاَّ أَمْرَكُمْ هَذَا . لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ نُمَيْرٍ إِلَى أَمْرٍ قَطُّ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৫-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮৪। উসমান ইবনে আবি শাঈবা, ইসহাক ও আবু সাঈদ আশাজ্জ্ব (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে তাদের হাদীসে إِلَى أَمْرٍ يُفْظِعُنَا (এমন বিষয় যা আমাদের ঘাবড়িয়ে দেয়) উল্লেখ রয়েছে।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
وَحَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي حَدِيثِهِمَا إِلَى أَمْرٍ يُفْظِعُنَا.
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৬-৪
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮৫। ইবরাহীম ইবনে সাঈদ জাওহারী (রাহঃ) ......... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহল ইবনু হুনায়ফ (রাযিঃ) কে সিফফীনে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের নিজেদের মতকে তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে অভিযুক্ত মনে করবে। কারণ, আমি আবু জান্দলের দিনটি প্রত্যক্ষ করেছি। যদি আমার সেদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশ সীমালংঘনের সামর্থ্য থাকতো (তবে তাই করতাম, এখন ব্যাপার এত সঙ্গীন হয়ে দাড়িয়েছে যে) আমরা এক দিকের ছিদ্র বন্ধ করলে অন্য দিকের ছিদ্র ফুটে উঠে।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، بِصِفِّينَ يَقُولُ اتَّهِمُوا رَأْيَكُمْ عَلَى دِينِكُمْ فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - مَا فَتَحْنَا مِنْهُ فِي خُصْمٍ إِلاَّ انْفَجَرَ عَلَيْنَا مِنْهُ خُصْمٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৬-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮৬। নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) তাঁদের বলেছেন, হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যবর্তনের সময় যখন এ আয়াত নাযিল হলোঃ “নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়, যেন আল্লাহ (তোমার ক্রটিসমূহ) মার্জনা করেন ...... মহা সাফল্য” পর্যন্ত (সূরা ফাতহঃ ১-৪) তখন তাদের মন দুঃখ বেদনা ক্ষোভে পূর্ণ ছিলো। আর তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] হুদায়বিয়াতেই (কুরবানীর) পশুগুলো কুরবানী করলেন। তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেন, আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল হয়েছে, যা সমগ্র দুনিয়া থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয়।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي، عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُمْ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ( إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا * لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ) إِلَى قَوْلِهِ ( فَوْزًا عَظِيمًا) مَرْجِعَهُ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَهُمْ يُخَالِطُهُمُ الْحُزْنُ وَالْكَآبَةُ وَقَدْ نَحَرَ الْهَدْىَ بِالْحُدَيْبِيَةِ فَقَالَ " لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آيَةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا جَمِيعًا " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৬-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮৭। আসিফ ইবনে নাযার তায়মী (রাহঃ) ......... ইবনে মুসান্না, আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) ও ইবনে আবু আরুবা (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
كتاب الجهاد والسير
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، جَمِيعًا عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ .
তাহকীক: