আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ৪৪৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৪-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৪৯৮। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবান জু’ফি (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদিন নবী (ﷺ) বায়তুল্লাহ শরীফের নিকট নামায আদায় করছিলেন। আবু জাহল ও তার কতক সাথী (অদুরে) উপবিষ্ট ছিল। আগেরদিন সেখানে একটি উট যবাই করা হয়েছিলো। আবু জাহল বলল, কে অমুক গোত্রের উটের (নাড়িভুঁড়িসহ) জরায়ু নিয়ে আসবে এবং মুহাম্মাদ যখন সিজদায় যারে, তখন তার দুই কাঁদের মধ্যবর্তী স্থানে তা রেখে দেবে? তখন সম্প্রদায়ের সবচাইতে দূরাচার লোকটি উঠে দাঁড়ালো এবং তা নিয়ে আসলো এবং যখন নবী (ﷺ) সিজদায় গেলেন তখন তার দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে তা রেখে দিল। তখন তারা হাসাহাসি করতে লাগলো এবং একে অপরের গায়ের উপর ঢলে পড়তে লাগলো আর আমি তখন দাঁড়িয়ে তা দেখলাম। যদি আমার প্রতিরোধের সাধ্য থাকতো তবে আমি তা অবশাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিঠ থেকে ফেলে দিতাম।
নবী (ﷺ) সিজদায় রইলেন এবং তিনি মাথা উঠাচ্ছিলেন না। অবশেষে একব্যক্তি গিয়ে ফাতিমাকে খবর দিল। ফাতিমা তৎক্ষণাৎ আসলেন। আরা তিনি তখন কিশোরী (বালিকা)। তিনি তা তাঁর উপর থেকে ফেলে দিলেন। তারপর তাদের দিকে মুখ করে তাদেরকে বকা দিতে থাকেন।
তারপর যখন নবী (ﷺ) নামায সম্পন্ন করলেন তখন উচ্চঃস্বরে তাদেরকে বদ দুআ দিলেন আর তিনি যখন দুআ করতেন (সাধারণত) তিনবার করতেন এবং যখন কিছু প্রার্থনা করতেন তখন তিনি তিনবার করতেন। তারপর তিনি তিন তিনবার বললেনঃ “ইয়া আল্লাহ! তোমার উপরেই কুরাইশদের (বিচারের ভার) ন্যস্ত করলাম।
যখন তারা তার আওয়ায শুনতে পেল তখন তাদের হাসি চলে গেল এবং তারা তার বদ দুআয় ভয় পেয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আবু জাহল ইবনে হিশাম, উৎবা ইবনে রাবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, ওলীদ ইবনে উকবা, উমাইয়া ইবনে খালফ ও উকবা ইবনে আবু মুআইতের শাস্তির ভার তোমার উপর ন্যস্ত।
রাবী বলেন, তিনি সপ্তম জনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আমি তা স্মরণ রাখতে পারিনি। মুহাম্মাদ (ﷺ) কে যে পবিত্র সত্তা সত্যসহ রাসুলরূপে প্রেরণ করেছেন, তার কসম! তিনি যাদের নাম সেদিন উচ্চারণ করেছিলেন বদরের দিন তাদের পতিত লাশ আমি দেখেছি। তারপর তাদের হেঁচড়িয়ে বদরের একটি কাঁচা কূপে নিক্ষেপ করা হয়।
আবু ইসহাক বলেন, ওলীদ ইবনে উকবার নাম এখানে ভুলে উক্ত হয়েছে।
নবী (ﷺ) সিজদায় রইলেন এবং তিনি মাথা উঠাচ্ছিলেন না। অবশেষে একব্যক্তি গিয়ে ফাতিমাকে খবর দিল। ফাতিমা তৎক্ষণাৎ আসলেন। আরা তিনি তখন কিশোরী (বালিকা)। তিনি তা তাঁর উপর থেকে ফেলে দিলেন। তারপর তাদের দিকে মুখ করে তাদেরকে বকা দিতে থাকেন।
তারপর যখন নবী (ﷺ) নামায সম্পন্ন করলেন তখন উচ্চঃস্বরে তাদেরকে বদ দুআ দিলেন আর তিনি যখন দুআ করতেন (সাধারণত) তিনবার করতেন এবং যখন কিছু প্রার্থনা করতেন তখন তিনি তিনবার করতেন। তারপর তিনি তিন তিনবার বললেনঃ “ইয়া আল্লাহ! তোমার উপরেই কুরাইশদের (বিচারের ভার) ন্যস্ত করলাম।
যখন তারা তার আওয়ায শুনতে পেল তখন তাদের হাসি চলে গেল এবং তারা তার বদ দুআয় ভয় পেয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আবু জাহল ইবনে হিশাম, উৎবা ইবনে রাবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, ওলীদ ইবনে উকবা, উমাইয়া ইবনে খালফ ও উকবা ইবনে আবু মুআইতের শাস্তির ভার তোমার উপর ন্যস্ত।
রাবী বলেন, তিনি সপ্তম জনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আমি তা স্মরণ রাখতে পারিনি। মুহাম্মাদ (ﷺ) কে যে পবিত্র সত্তা সত্যসহ রাসুলরূপে প্রেরণ করেছেন, তার কসম! তিনি যাদের নাম সেদিন উচ্চারণ করেছিলেন বদরের দিন তাদের পতিত লাশ আমি দেখেছি। তারপর তাদের হেঁচড়িয়ে বদরের একটি কাঁচা কূপে নিক্ষেপ করা হয়।
আবু ইসহাক বলেন, ওলীদ ইবনে উকবার নাম এখানে ভুলে উক্ত হয়েছে।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ الْجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الأَوْدِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عِنْدَ الْبَيْتِ وَأَبُو جَهْلٍ وَأَصْحَابٌ لَهُ جُلُوسٌ وَقَدْ نُحِرَتْ جَزُورٌ بِالأَمْسِ فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ أَيُّكُمْ يَقُومُ إِلَى سَلاَ جَزُورِ بَنِي فُلاَنٍ فَيَأْخُذُهُ فَيَضَعُهُ فِي كَتِفَىْ مُحَمَّدٍ إِذَا سَجَدَ فَانْبَعَثَ أَشْقَى الْقَوْمِ فَأَخَذَهُ فَلَمَّا سَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَضَعَهُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ قَالَ فَاسْتَضْحَكُوا وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَمِيلُ عَلَى بَعْضٍ وَأَنَا قَائِمٌ أَنْظُرُ . لَوْ كَانَتْ لِي مَنَعَةٌ طَرَحْتُهُ عَنْ ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاجِدٌ مَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ حَتَّى انْطَلَقَ إِنْسَانٌ فَأَخْبَرَ فَاطِمَةَ فَجَاءَتْ وَهِيَ جُوَيْرِيَةُ فَطَرَحَتْهُ عَنْهُ . ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ تَشْتِمُهُمْ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ رَفَعَ صَوْتَهُ ثُمَّ دَعَا عَلَيْهِمْ وَكَانَ إِذَا دَعَا دَعَا ثَلاَثًا . وَإِذَا سَأَلَ سَأَلَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَلَمَّا سَمِعُوا صَوْتَهُ ذَهَبَ عَنْهُمُ الضِّحْكُ وَخَافُوا دَعْوَتَهُ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِأَبِي جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ " . وَذَكَرَ السَّابِعَ وَلَمْ أَحْفَظْهُ فَوَالَّذِي بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُ الَّذِينَ سَمَّى صَرْعَى يَوْمَ بَدْرٍ ثُمَّ سُحِبُوا إِلَى الْقَلِيبِ قَلِيبِ بَدْرٍ . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ غَلَطٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৪-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৪৯৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিজদারত ছিলেন এবং তার আশেপাশে কুরাইশের কিছু লোকজন জড়ো ছিল। এমন সময় উকবা ইবনে আবু মুআইত (উটনীর নাড়িভুঁড়িসহ) জরায়ু নিয়ে এল এবং তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিঠের উপর নিক্ষেপ করলো। তিনি মাথা উঠাতে পারছিলেন না। তারপর ফাতিমা আসলেন এবং তা তার পিঠ থেকে সরিয়ে দিলেন এবং যে ব্যক্তি তা করেছে, তাকে বদ দুআ করলেন।
তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ!। তোমার উপরই কুরাইশ সম্প্রদায়ের আবু জাহল ইবনে হিশাম, উকবা ইবনে রাবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, উকবা ইবনে আবু মুআইত, উমাইয়া ইবনে খালফ অথবা উবাই ইবনে খালফ (এদের বিচারের ভার) ন্যস্ত। রাবী শুবা (শেষের দুই নামের কোনটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, সে ব্যাপারে) সন্দেহ করেন।
রাবী বলেন, এরপর আমি বদরের দিন তাদের দেখেছি যে, তারা সকলে নিহত হয়েছে এবং একটি কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কেবল উমাইয়া বা উবাই এর লাশ বাদ ছিল। কেননা তার লাশ জোড়ায় জোড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বিধায় কূপে নিক্ষেপ করা হয়নি।
তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ!। তোমার উপরই কুরাইশ সম্প্রদায়ের আবু জাহল ইবনে হিশাম, উকবা ইবনে রাবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, উকবা ইবনে আবু মুআইত, উমাইয়া ইবনে খালফ অথবা উবাই ইবনে খালফ (এদের বিচারের ভার) ন্যস্ত। রাবী শুবা (শেষের দুই নামের কোনটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, সে ব্যাপারে) সন্দেহ করেন।
রাবী বলেন, এরপর আমি বদরের দিন তাদের দেখেছি যে, তারা সকলে নিহত হয়েছে এবং একটি কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কেবল উমাইয়া বা উবাই এর লাশ বাদ ছিল। কেননা তার লাশ জোড়ায় জোড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বিধায় কূপে নিক্ষেপ করা হয়নি।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاجِدٌ وَحَوْلَهُ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ بِسَلاَ جَزُورٍ فَقَذَفَهُ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَخَذَتْهُ عَنْ ظَهْرِهِ وَدَعَتْ عَلَى مَنْ صَنَعَ ذَلِكَ فَقَالَ " اللَّهُمَّ عَلَيْكَ الْمَلأَ مِنْ قُرَيْشٍ أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَعُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَعُقْبَةَ بْنَ أَبِي مُعَيْطٍ وَشَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ أَوْ أُبَىَّ بْنَ خَلَفٍ " . شُعْبَةُ الشَّاكُّ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُمْ قُتِلُوا يَوْمَ بَدْرٍ فَأُلْقُوا فِي بِئْرٍ غَيْرَ أَنَّ أُمَيَّةَ أَوْ أُبَيًّا تَقَطَّعَتْ أَوْصَالُهُ فَلَمْ يُلْقَ فِي الْبِئْرِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫০০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৪-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী সুফিয়ান (রাহঃ) বাড়িয়ে বলেছেন, “এবং তিনি তিনবার (বলা) পছন্দ করতেন। তিনি বলছিলেন, ইয়া আল্লাহ! কুরাইশের (এদের) (বিচারের ভার) তোমার উপর ন্যস্ত। ইয়া আল্লাহ! কুরাইশদের (বিচারের ভার) তোমার উপর ন্যস্ত। ইয়া আল্লাহ! কুরাইশের (বিচারের ভার) তোমার উপরই ন্যস্ত। এভাবে তিনবার তিনি বলেন, এবং এদের মধ্যে ওয়ালীদ ইবনে উতবা ও উমাইয়া ইবনে খালফের কথা উল্লেখ করেন এবং রাবী তাতে কোনরূপ সন্দেহ প্রকাশ করেননি। রাবী আবু ইসহাক বলেন, আমি সপ্তম (অভিশপ্ত) ব্যক্তির নাম ভুলে গেছি।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي، إِسْحَاقَ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَزَادَ وَكَانَ يَسْتَحِبُّ ثَلاَثًا يَقُولُ " اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ " . ثَلاَثًا وَذَكَرَ فِيهِمُ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ وَلَمْ يَشُكَّ . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ وَنَسِيتُ السَّابِعَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫০১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৪-৪
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০১। সালামা ইবনে শাবীব (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে কুরাইশের ছয় ব্যক্তির জন্য বদ দুআ করলেন। তাদের মধ্যে আবু জাহল, উমাইয়া ইবনে খালফ, উতবা ইবনে রবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, উকবা ইবনে আবু মু’আইত রয়েছে। আল্লাহর কসম করে বলছি আমি তাদের পতিত শবদেহগুলো বদরে দেখেছি! সূর্যতাপ তাদের বিকৃত করে ফেলেছিল। আর সেই দিনটিও ছিল অত্যন্ত গরমের।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اسْتَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيْتَ فَدَعَا عَلَى سِتَّةِ نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ . فِيهِمْ أَبُو جَهْلٍ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَعُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى عَلَى بَدْرٍ . قَدْ غَيَّرَتْهُمُ الشَّمْسُ وَكَانَ يَوْمًا حَارًّا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৫
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০২। আবু তাহির আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারাহ, হারামালা ইবনে ইয়াহয়া ও আমর ইবনে সাওয়াদ আমেরী (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার জীবনে কি উহুদ দিবসের চাইতেও কঠোরতর কোন দিন এসেছে? তিনি বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের হাতে আকাবার দিন যে নিগ্রহের সম্মুখীন হয়েছি, তা এর চাইতেও কঠোরতর ছিল। যখন আমি (আল্লাহর পানে দাওয়াত দিতে গিয়ে) ইবনে আব্দ ইয়ালীল ইবনে আব্দ কিলালের কাছে নিজেকে পেশ করেছিলাম। কিন্তু সে আমার ডাকে (আশানুরূপ) সাড়া দেয়নি।
তখন আমি অত্যন্ত দিকভ্রান্ত অবস্থায় সম্মুখের দিকে চলতে লাগলাম এবং ’কারনুস ছা’আলিব’ নামক স্থানে না পৌছা পর্যন্ত আমি (কেন কোথায় যাচ্ছি তার) সম্বিৎ ফিরে পাইনি। তারপর যখন আমি মাথা উঠলাম তখন দেখি, একখণ্ড মেঘ আমাকে ছায়াপাত করছে এবং এর মধ্যে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে দেখতে পেলাম। তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, মহা মহিমানিত আল্লাহ আপনার প্রতি আপনার সম্প্রদায়ের উক্তি এবং আপনাকে প্রদত্ত তাদের উত্তরও শুনেছেন এবং তিনি আপনার নিকট পাহাড়ের ফিরিশতাকে পাঠিয়েছেন, যেন আপনি আপনার সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যাপারে যেরূপ ইচ্ছা সেরূপ আদেশ তাকে করেন।
তখন পাহাড়ের ফিরিশতাও আমাকে ডাক দিলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ! আপনার প্রতি আপনার সম্প্রদায়ের লোকজনের উক্তি আল্লাহ তাআলা শুনেছেন। আর আমি হানাম পাহাড়ের (তত্ত্বাবধানকারী) ফিরিশতা। আপনার রব আপনার কাছে আমাকে এজন্যে পাঠিয়েছেন যেন আপনি আপনার ইচ্ছামত আমাকে নির্দেশ দেন। (আপনি বললে) আমি এ পাহাড় দুটিকে তাদের উপর চাপা দিয়ে দিব। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি বরং আশা করছি যে, আল্লাহ তাআলা হয়ত এদের ঔরস থেকেই এমন বংশধরদের জন্ম দিবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার সঙ্গে কিছুকে শরীক করবে না।
তখন আমি অত্যন্ত দিকভ্রান্ত অবস্থায় সম্মুখের দিকে চলতে লাগলাম এবং ’কারনুস ছা’আলিব’ নামক স্থানে না পৌছা পর্যন্ত আমি (কেন কোথায় যাচ্ছি তার) সম্বিৎ ফিরে পাইনি। তারপর যখন আমি মাথা উঠলাম তখন দেখি, একখণ্ড মেঘ আমাকে ছায়াপাত করছে এবং এর মধ্যে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে দেখতে পেলাম। তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, মহা মহিমানিত আল্লাহ আপনার প্রতি আপনার সম্প্রদায়ের উক্তি এবং আপনাকে প্রদত্ত তাদের উত্তরও শুনেছেন এবং তিনি আপনার নিকট পাহাড়ের ফিরিশতাকে পাঠিয়েছেন, যেন আপনি আপনার সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যাপারে যেরূপ ইচ্ছা সেরূপ আদেশ তাকে করেন।
তখন পাহাড়ের ফিরিশতাও আমাকে ডাক দিলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ! আপনার প্রতি আপনার সম্প্রদায়ের লোকজনের উক্তি আল্লাহ তাআলা শুনেছেন। আর আমি হানাম পাহাড়ের (তত্ত্বাবধানকারী) ফিরিশতা। আপনার রব আপনার কাছে আমাকে এজন্যে পাঠিয়েছেন যেন আপনি আপনার ইচ্ছামত আমাকে নির্দেশ দেন। (আপনি বললে) আমি এ পাহাড় দুটিকে তাদের উপর চাপা দিয়ে দিব। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি বরং আশা করছি যে, আল্লাহ তাআলা হয়ত এদের ঔরস থেকেই এমন বংশধরদের জন্ম দিবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার সঙ্গে কিছুকে শরীক করবে না।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ فَقَالَ " لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ وَكَانَ أَشَدَّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ الْعَقَبَةِ إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلاَلٍ فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِي فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلاَّ بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ فَنَادَانِي فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الْجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ قَالَ فَنَادَانِي مَلَكُ الْجِبَالِ وَسَلَّمَ عَلَىَّ . ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَأَنَا مَلَكُ الْجِبَالِ وَقَدْ بَعَثَنِي رَبُّكَ إِلَيْكَ لِتَأْمُرَنِي بِأَمْرِكَ فَمَا شِئْتَ إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ " . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلاَبِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ وَحْدَهُ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا " .
হাদীস নং: ৪৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৬-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... জুনদব ইবনে সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর একটি আঙ্গুল কোন একটি অভিযানে রক্তাক্ত (আহত) হয়। তখন তিনি (উক্ত আঙ্গুলকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ তুমি তো একটি আঙ্গুল মাত্র, তুমি আহত হয়েছ এবং তুমি যে কষ্ট পেয়েছ, তা আল্লাহর পথেই (গণ্য)।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَ دَمِيَتْ إِصْبَعُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ تِلْكَ الْمَشَاهِدِ فَقَالَ " هَلْ أَنْتِ إِلاَّ إِصْبَعٌ دَمِيتِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৬-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ইবনে কায়েস (রাহঃ) থেকে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রাবী আরও বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কোন এক গুহায় (বাহিনীতে) ছিলেন, তখন তার আঙ্গুলের যখম হয়।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ فَنُكِبَتْ إِصْبَعُهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৭-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০৫। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ইবনে কায়েস থেকে বর্ণিত যে, তিনি জুন্দুব (রাহঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আসতে বিলম্ব করেন। এতে মুশরিকরা বলতে লাগলো, মুহাম্মাদ পরিত্যক্ত হয়েছেন। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “শপথ পূর্বাহ্নের, শপথ রজনীর, যখন তা হয় নিঝুম, তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি বিরূপও হন নি।”
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جُنْدُبًا، يَقُولُ أَبْطَأَ جِبْرِيلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ قَدْ وُدِّعَ مُحَمَّدٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৭-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০৬। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি’ (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ইবনে কায়িস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জুনদুব ইবনে সুফিয়ান (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি, (একবার) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পিড়িত হন বিধায় দুই বা তিন রাত্রি জাগতে পারেন নি (তাহাজ্জুদের জন্য)। তখন একটি মহিলা এসে বললো, “মুহাম্মাদ, আশা করি, এবার তোমার শয়তান তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে। কেননা, দুই বা তিন রাত যাবৎ তোমার নিকটে তার আগমন লক্ষ্য করছি না।” তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “শপথ পূর্বাহ্নের, শপথ রজনীর, যখন তা হয় নিঝুম, তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি।”
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدُبَ بْنَ سُفْيَانَ، يَقُولُ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَقُمْ لَيْلَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونَ شَيْطَانُكَ قَدْ تَرَكَكَ لَمْ أَرَهُ قَرِبَكَ مُنْذُ لَيْلَتَيْنِ أَوْ ثَلاَثٍ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৭-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৫০৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) শু’বা (রাহঃ) থেকে এবং ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে উভয়ে উক্ত সনদে আসওয়াদ ইবনে কায়েস (রাহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الجهاد والسير
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْمُلاَئِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِهِمَا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: