আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৪৭৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৯
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬০। সাঈদ ইবনে আমর আশ’আসী ও সুয়াইদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি জাবির (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি (এসে) বললো, আমি যদি নিহত হই তবে কোথায় থাকবো ইয়া রাসুলাল্লাহ! জবাবে তিনি বললেনঃ জান্নাতে। লোকটি তখন তার হাতের খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো এবং অবশেষে শহীদ হলো। সুওয়ায়দ (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছেঃ উহুদ যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) কে বললো।
كتاب الإمارة
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِسَعِيدٍ - أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ أَيْنَ أَنَا يَا، رَسُولَ اللَّهِ إِنْ قُتِلْتُ قَالَ  " فِي الْجَنَّةِ " . فَأَلْقَى تَمَرَاتٍ كُنَّ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ . وَفِي حَدِيثِ سُوَيْدٍ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ .
হাদীস নং: ৪৭৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০০
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনু নবীতের এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এলো। তিনি বলেন ...... অন্য রিওয়ায়াতে আহমাদ ইবনে জানাব মিসসীসী (রাহঃ) ......... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের অন্তর্ভুক্ত একটি কবীলা বনু নবীতের এক ব্যক্তি আসলো এবং বললো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আপনি তাঁর বান্দা ও রাসুল। তারপর সে অগ্রসর হলো এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। এমন কি শেষ পর্যন্ত সে শহীদ হলো। তখন নবী (ﷺ) বললেন, এ লোকটি কম কাজ করেও অনেক সাওয়াব পেয়ে গেল।
كتاب الإمارة
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّبِيتِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ حَدَّثَنَا عِيسَى - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - عَنْ زَكَرِيَّاءَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّبِيتِ - قَبِيلٍ مِنَ الأَنْصَارِ - فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّكَ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ . ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم  " عَمِلَ هَذَا يَسِيرًا وَأُجِرَ كَثِيرًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০১
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬২। আবু বকর ইবনে নযর ইবনে আবু নযর, হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ ইবনে রাফি ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বুসায়সা (রাযিঃ) কে আবু সুফিয়ানের বাণিজ্যিক কাফিলার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে প্রেরণ করেন। তারপর তিনি ফিরে আসলেন। তখন আমি ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছাড়া ঘরে আর কেউই ছিল না। রাবী বলেন, আমি স্মরণ করতে পারছি না, তিনি (আনাস) নবী (ﷺ) এর কোন সহধর্মিনীর (না থাকার) কথাও বলছেন কিনা। এরপর সে তার সঙ্গে কথা বলল। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হলেন এবং লেকাজনকে লক্ষ্য করে তিনি বললেনঃ আমার গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কাজ আছে। যার সওয়ারী মওজুদ আছে সে যেন আমাদের সঙ্গে সওয়ার হতে পারে।
তখন কিছুলোক মদীনার উঁচু অনুকুল থেকে তাদের সওয়ারী নিয়ে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেনঃ না, কেবল যাদের সওয়ারী প্রস্তুত আছে তারাই যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ রওয়ানা করলেন এবং মুশরিকদের পূর্বেই বদরে গিয়ে উপনীত হলেন। এর পরপরই মুশরিকরা এসে পৌছাল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের কেউ যেন কোন ব্যাপারে আমার অগ্রবর্তী না হয়, যতক্ষণ না আমি তার সামনে থাকি।
এরপর মুশরিকরা নিকটবর্তী হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। রাবী বলেন, উমায়র ইবনে হুমাম আনসারী (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার ন্যায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। উমায়র বলে উঠলেন, বাহ, বাহ, (কি চমৎকার)! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বাহ, বাহ বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো হে?
তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিছু না! তবে আল্লাহর কসম! আমি তার অধিবাসী হওয়ার আশায়ই এরূপ বলছি। তখন তিনি বললেনঃ তুমি নিশ্চয়ই তার অধিবাসী (হবে)। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাঁর তীরদান থেকে কয়েকটি খেজুর বের করলেন এবং তা খেতে লাগলেন। তারপর বললেন, আমি যদি এ খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত বেঁচে যাই তবে তাও হবে এক দীর্ঘ জীবন। রাবী বলেন, তারপর তাঁর কাছে রক্ষিত খেজুরগুলো তিনি ফেলে দিলেন তারপর যুদ্ধে নেমে পড়লেন, এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন।
তখন কিছুলোক মদীনার উঁচু অনুকুল থেকে তাদের সওয়ারী নিয়ে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেনঃ না, কেবল যাদের সওয়ারী প্রস্তুত আছে তারাই যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ রওয়ানা করলেন এবং মুশরিকদের পূর্বেই বদরে গিয়ে উপনীত হলেন। এর পরপরই মুশরিকরা এসে পৌছাল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের কেউ যেন কোন ব্যাপারে আমার অগ্রবর্তী না হয়, যতক্ষণ না আমি তার সামনে থাকি।
এরপর মুশরিকরা নিকটবর্তী হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। রাবী বলেন, উমায়র ইবনে হুমাম আনসারী (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার ন্যায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। উমায়র বলে উঠলেন, বাহ, বাহ, (কি চমৎকার)! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বাহ, বাহ বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো হে?
তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিছু না! তবে আল্লাহর কসম! আমি তার অধিবাসী হওয়ার আশায়ই এরূপ বলছি। তখন তিনি বললেনঃ তুমি নিশ্চয়ই তার অধিবাসী (হবে)। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাঁর তীরদান থেকে কয়েকটি খেজুর বের করলেন এবং তা খেতে লাগলেন। তারপর বললেন, আমি যদি এ খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত বেঁচে যাই তবে তাও হবে এক দীর্ঘ জীবন। রাবী বলেন, তারপর তাঁর কাছে রক্ষিত খেজুরগুলো তিনি ফেলে দিলেন তারপর যুদ্ধে নেমে পড়লেন, এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন।
كتاب الإمارة
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُسَيْسَةَ عَيْنًا يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَ وَمَا فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ أَدْرِي مَا اسْتَثْنَى بَعْضَ نِسَائِهِ قَالَ فَحَدَّثَهُ الْحَدِيثَ قَالَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ فَقَالَ " إِنَّ لَنَا طَلِبَةً فَمَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا فَلْيَرْكَبْ مَعَنَا " . فَجَعَلَ رِجَالٌ يَسْتَأْذِنُونَهُ فِي ظُهْرَانِهِمْ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ " لاَ إِلاَّ مَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا " . فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَتَّى سَبَقُوا الْمُشْرِكِينَ إِلَى بَدْرٍ وَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُقَدِّمَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَى شَىْءٍ حَتَّى أَكُونَ أَنَا دُونَهُ " . فَدَنَا الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُومُوا إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ " . قَالَ يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ الأَنْصَارِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَنَّةٌ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ بَخٍ بَخٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا يَحْمِلُكَ عَلَى قَوْلِكَ بَخٍ بَخٍ " . قَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ رَجَاءَةَ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِهَا . قَالَ " فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِهَا " . فَأَخْرَجَ تَمَرَاتٍ مِنْ قَرْنِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ مِنْهُنَّ ثُمَّ قَالَ لَئِنْ أَنَا حَيِيتُ حَتَّى آكُلَ تَمَرَاتِي هَذِهِ إِنَّهَا لَحَيَاةٌ طَوِيلَةٌ - قَالَ - فَرَمَى بِمَا كَانَ مَعَهُ مِنَ التَّمْرِ . ثُمَّ قَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০২
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস (রাহঃ) বলেনঃ আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, আর তিনি ছিলেন তখন শক্রর মুখোমুখি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই জান্নাত রয়েছে তরবারীর ছায়ায়। তখন আলুথালু বেশের এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো এবং বললো, হে আবু মুসা! আপনি কি নিজে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তা বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন সে ব্যক্তি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলো। তারপর বললো, আমি তোমাদেরকে (বিদায়ী) সালাম জানাচ্ছি। এরপর সে তার তরবারীর কোষ ভেঙ্গে ফেলে তা দুরে নিক্ষেপ করলো। তারপর নিজ তরবারীসহ শক্রদের কাছে গিয়ে উপনীত হলো। এবং তা দিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে গেল।
كتاب الإمارة
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ، بِحَضْرَةِ الْعَدُوِّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " إِنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ " . فَقَامَ رَجُلٌ رَثُّ الْهَيْئَةِ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى آنْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ هَذَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمَ . ثُمَّ كَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ فَأَلْقَاهُ ثُمَّ مَشَى بِسَيْفِهِ إِلَى الْعَدُوِّ فَضَرَبَ بِهِ حَتَّى قُتِلَ .
হাদীস নং: ৪৭৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭-১১
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬৪। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কতিপয় লোক নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললো, আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক দিন যারা আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ শিক্ষা দিবেন। তখন তিনি আনসারদের সত্তর ব্যক্তিকে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন। তাদের কুররা (ক্বারী সমাজ) বলা হতো। এদের মধ্যে আমার মামা হারামও ছিলেন। তারা কুরআন তিলওযাত করতেন এবং রাত্রে এর অর্থ অনুধাবন ও শিক্ষায় অতিবাহিত করতেন আর দিনের বেলায় (জলাশয়ে গিয়ে) পানি এন মসজিদে রাখতেন এবং কাঠ সংগ্রহ করে তা বিক্রী করে (বিক্রয়লব্ধ অর্থে) সুফফাবাসী এবং নিঃস্ব ফকীরদের জন্যে খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতেন। এদেরকেই নবী (ﷺ) তাদের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। ওরা রাস্তায়ই তাদের উপর আক্রমণ করলো এবং তারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছবার পূর্বে তাদেরকে হত্যা করলো।
তখন তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের নবীর কাছে সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে আমরা আপনার সন্নিধানে পৌছে গিয়েছি এবং আপনার প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছি আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন। তিনি রাবী বলেন, এক ব্যক্তি আনাস (রাযিঃ) এর মামা হারাম (রাযিঃ) এর পিছন দিক দিয়ে এসে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করে জান বের করে নিল। হারাম (রাহঃ) বলে উঠলেন, কাবার মালিকের কসম! আমি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের ভাইগণ নিহত হয়েছেন। আর তারা বলেছেন, হে আল্লাহ আমাদের নবীকে সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে, আমরা তোমার সন্নিধানে পৌছে গিয়েছি এ অবস্থায় যে, আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
তখন তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের নবীর কাছে সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে আমরা আপনার সন্নিধানে পৌছে গিয়েছি এবং আপনার প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছি আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন। তিনি রাবী বলেন, এক ব্যক্তি আনাস (রাযিঃ) এর মামা হারাম (রাযিঃ) এর পিছন দিক দিয়ে এসে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করে জান বের করে নিল। হারাম (রাহঃ) বলে উঠলেন, কাবার মালিকের কসম! আমি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের ভাইগণ নিহত হয়েছেন। আর তারা বলেছেন, হে আল্লাহ আমাদের নবীকে সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে, আমরা তোমার সন্নিধানে পৌছে গিয়েছি এ অবস্থায় যে, আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
كتاب الإمارة
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا أَنِ ابْعَثْ مَعَنَا رِجَالاً يُعَلِّمُونَا الْقُرْآنَ وَالسُّنَّةَ . فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ سَبْعِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُمُ الْقُرَّاءُ فِيهِمْ خَالِي حَرَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَدَارَسُونَ بِاللَّيْلِ يَتَعَلَّمُونَ وَكَانُوا بِالنَّهَارِ يَجِيئُونَ بِالْمَاءِ فَيَضَعُونَهُ فِي الْمَسْجِدِ وَيَحْتَطِبُونَ فَيَبِيعُونَهُ وَيَشْتَرُونَ بِهِ الطَّعَامَ لأَهْلِ الصُّفَّةِ وَلِلْفُقَرَاءِ فَبَعَثَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فَعَرَضُوا لَهُمْ فَقَتَلُوهُمْ قَبْلَ أَنْ يَبْلُغُوا الْمَكَانَ . فَقَالُوا اللَّهُمَّ بَلِّغْ عَنَّا نَبِيَّنَا أَنَّا قَدْ لَقِينَاكَ فَرَضِينَا عَنْكَ وَرَضِيتَ عَنَّا - قَالَ - وَأَتَى رَجُلٌ حَرَامًا خَالَ أَنَسٍ مِنْ خَلْفِهِ فَطَعَنَهُ بِرُمْحٍ حَتَّى أَنْفَذَهُ . فَقَالَ حَرَامٌ فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ  " إِنَّ إِخْوَانَكُمْ قَدْ قُتِلُوا وَإِنَّهُمْ قَالُوا اللَّهُمَّ بَلِّغْ عَنَّا نَبِيَّنَا أَنَّا قَدْ لَقِينَاكَ فَرَضِينَا عَنْكَ وَرَضِيتَ عَنَّا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০৩
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬৫। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার যে চাচার নামানুসারে আমার নামকরণ করা হয়েছে তিনি [আনাস ইবনে নযর (রাযিঃ)] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি। রাবী বলেন, এটা ছিল তার জন্যে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি (প্রায়ই) বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথম যে যুদ্ধটি করেছিলেন, তাতে আমি শরীক হতে পারলাম না। এরপর যদি আল্লাহ তাআলা আমাকে তাঁর কোন যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দান করেন তা হলে আমি কি করি তা আল্লাহ দেখবেন। রাবী বলেন, এর বেশী কিছু বলতে তিনি ভয় পেলেন।
তারপর উহুদের যুদ্ধের দিন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। সা’দ ইবনে মু’আয (রাযিঃ) যখন সামনের দিক থেকে আগমন করলেন তখন আনাস (রাযিঃ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবু আমর! কোথায় (যাচ্ছ)? আহা, আমি উহুদ প্রান্ত থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ পাচ্ছি। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাদের (কাফিদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়ে গেলেন। তার শবদেহে আশিটিরও অধিক তরবারী, বর্শা ও তীরের আঘাত পাওয়া যায়।
রাবী আনাস (রাযিঃ) বলেন, তার বোন এবং আমার ফুফু রাবীআ বিনতে নযর (রাযিঃ) বলেন, (শহীদের ক্ষত-বিক্ষত দেহের) কেবল তার আঙ্গুলের জোড়া দেখেই তাকে আমি শনাক্ত করেছি। (অন্য কোন পরিচয়ই অবশিষ্ট ছিল না।) তখন আয়াত নাযিল হলোঃ এরা হচ্ছে সে সব ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার সত্যায়ন করে দেখিয়েছে। তাদের কেউ তার (অঙ্গীকারকারী) ইতিমধ্যেই পূরণ করে ফেলেছে আর কেউ তার প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা মোটেই পরিবর্তিত হয়নি। রাবী বলেন, সাহাবীগণ মনে করতেন যে এ আয়াতখানা তার এবং তার সঙ্গী-সাথীদের ব্যাপারেই নাযিল হয়েছিল।
তারপর উহুদের যুদ্ধের দিন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। সা’দ ইবনে মু’আয (রাযিঃ) যখন সামনের দিক থেকে আগমন করলেন তখন আনাস (রাযিঃ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবু আমর! কোথায় (যাচ্ছ)? আহা, আমি উহুদ প্রান্ত থেকে জান্নাতের ঘ্রাণ পাচ্ছি। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাদের (কাফিদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়ে গেলেন। তার শবদেহে আশিটিরও অধিক তরবারী, বর্শা ও তীরের আঘাত পাওয়া যায়।
রাবী আনাস (রাযিঃ) বলেন, তার বোন এবং আমার ফুফু রাবীআ বিনতে নযর (রাযিঃ) বলেন, (শহীদের ক্ষত-বিক্ষত দেহের) কেবল তার আঙ্গুলের জোড়া দেখেই তাকে আমি শনাক্ত করেছি। (অন্য কোন পরিচয়ই অবশিষ্ট ছিল না।) তখন আয়াত নাযিল হলোঃ এরা হচ্ছে সে সব ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার সত্যায়ন করে দেখিয়েছে। তাদের কেউ তার (অঙ্গীকারকারী) ইতিমধ্যেই পূরণ করে ফেলেছে আর কেউ তার প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা মোটেই পরিবর্তিত হয়নি। রাবী বলেন, সাহাবীগণ মনে করতেন যে এ আয়াতখানা তার এবং তার সঙ্গী-সাথীদের ব্যাপারেই নাযিল হয়েছিল।
كتاب الإمارة
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ عَمِّيَ الَّذِي سُمِّيتُ بِهِ لَمْ يَشْهَدْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَدْرًا - قَالَ - فَشَقَّ عَلَيْهِ قَالَ أَوَّلُ مَشْهَدٍ شَهِدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غُيِّبْتُ عَنْهُ وَإِنْ أَرَانِيَ اللَّهُ مَشْهَدًا فِيمَا بَعْدُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَرَانِيَ اللَّهُ مَا أَصْنَعُ - قَالَ - فَهَابَ أَنْ يَقُولَ غَيْرَهَا - قَالَ - فَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ - قَالَ - فَاسْتَقْبَلَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَالَ لَهُ أَنَسٌ يَا أَبَا عَمْرٍو أَيْنَ فَقَالَ وَاهًا لِرِيحِ الْجَنَّةِ أَجِدُهُ دُونَ أُحُدٍ - قَالَ - فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ - قَالَ - فَوُجِدَ فِي جَسَدِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ بَيْنِ ضَرْبَةٍ وَطَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ - قَالَ - فَقَالَتْ أُخْتُهُ عَمَّتِيَ الرُّبَيِّعُ بِنْتُ النَّضْرِ فَمَا عَرَفْتُ أَخِي إِلاَّ بِبَنَانِهِ . وَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلاً) قَالَ فَكَانُوا يُرَوْنَ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ .

