আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫৪- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৬৯৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৫৮
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (অন্য সনদে) ইবনে নুমাইর (অন্য সনদে) ইয়াহয়া ইবনে ইয়াইয়া (অন্য সনদে) মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (অন্য সনদে) মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... বনু ফিহরের ভ্রাতা মুসতাওরিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর শপথ! দুনিয়া আখিরাতের তুলনায় অতটুকুই, যেমন তোমাদের কেউ তার এ আঙ্গুলটি নদীতে ভিজিয়ে দেখলো যে, এতে কি পরিমাণ পানি লেগেছে। এ সময় বর্ণনাকারী ইয়াহয়া শাহাদাত আঙ্গুলের দ্বারা ইশারা করেছেন। ইয়াহয়া ব্যতীত সকলের বর্ণনায় আছে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ কথা বলতে শুনেছি। আবু উসামার বর্ণনার মধ্যে এ কথা উল্লেখিত রয়েছে যে, (রাবী) ইসমাঈল বৃদ্ধাঙ্গুলির দ্বারা ইশারা করেছেন।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ، حَاتِمٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، قَالَ سَمِعْتُ مُسْتَوْرِدًا، أَخَا بَنِي فِهْرٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَاللَّهِ مَا الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ مِثْلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ إِصْبَعَهُ هَذِهِ - وَأَشَارَ يَحْيَى بِالسَّبَّابَةِ - فِي الْيَمِّ فَلْيَنْظُرْ بِمَ يَرْجِعُ " . وَفِي حَدِيثِهِمْ جَمِيعًا غَيْرَ يَحْيَى سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ . وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ أَخِي بَنِي فِهْرٍ وَفِي حَدِيثِهِ أَيْضًا قَالَ وَأَشَارَ إِسْمَاعِيلُ بِالإِبْهَامِ .
হাদীস নং: ৬৯৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৫৯-১
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন লোকদেরকে একত্রিত করা হবে খালি পা, উলঙ্গ দেহ এবং খাৎনা বিহীন অবস্থায়। এ কথা শুনে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! পূরুষ এবং মহিলা এক সাথেই উত্থিত হবে কি? তবে তো তারা পরস্পর একে অন্যের প্রতি নযর করবে। অতঃপর তিনি বলেলেন, হে আয়িশা! তখনকার অবস্থা তারা একে অন্যের প্রতি দেখার অবস্থা থেকে কঠিন হবে।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ النِّسَاءُ وَالرِّجَالُ جَمِيعًا يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ قَالَ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ الأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يَنْظُرَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ " .
হাদীস নং: ৬৯৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৫৯-২
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... হাতিম ইবনে সাগীরা থেকে এ সনদে অনুরূপ (হাদীস বর্ণনা করেছেন)। তবে তিনি এতغُرْلاً খাতনাবিহীন শব্দটি উল্লেখ করেন নি।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَاتِمِ، بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِهِ " غُرْلاً " .
হাদীস নং: ৬৯৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৬০-১
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৬। আবু বকর ইবনে শায়বা, যুহাইর ইবনে হারব, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) কে খুতবাইয় একথা বলতে শুনেছেন যে, অবশ্যই তোমরা আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে পায়ে হেঁটে, খালি পা, নগ্নদেহ ও খাতনাহীন অবস্থায়। তবে যুহাইর (রাহঃ) তার হাদীসে ’খুতবায়’ কথাটি উল্লেখ করেননি।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي، عُمَرَ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ وَهُوَ يَقُولُ " إِنَّكُمْ مُلاَقُو اللَّهِ مُشَاةً حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً " . وَلَمْ يَذْكُرْ زُهَيْرٌ فِي حَدِيثِهِ يَخْطُبُ .
হাদীস নং: ৬৯৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৬০-২
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (অন্য সনদে) উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (অন্য সনদে) মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উপদেশ সম্বলিত ভাষণ দানের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হয়ে বললেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর সামনে খালি পা এবং নগ্নদেহ অবস্থায় উপস্থিত হবে। যেমন প্রথম দিন সৃষ্টি শুরু করেছিলাম, তেমনি তার পুনরাবৃত্তি করবো। এটা আমার একটা ওয়াদা, তা পালন অবশ্যই আমি (সম্পাদন) করব। শুনে রাখ, কিয়ামতের দিন সবার মাঝে সর্বপ্রথম ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কে পোশাক পরানো হবে। ওহে! আমার উম্মতের অনেক লোককে আনা হবে এবং তাদেরকে বাঁ দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।
তখন আমি বলবো, হে আমর রব! এরা তো আমারই উম্মত। জবাবে আমাকে বলা হবে, তুমি জানো না তোমার পরে এরা কত নতুন বিষয় উদ্ভাবন করেছিল। আমি তখন আল্লাহর নেক বান্দা [ঈসা (আলাইহিস সালাম)] এর মত বলবো, এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী; কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই সর্ব বিষয়ে সাক্ষী, তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তবে তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। তখন বলা হবে, তুমি তাদের থেকে বিদায় গ্রহণের পর তারা সর্বদা মুখ ফিরিয়ে উল্টো পথে চলছিল। ওয়াকী এবং মুআযের হাদীসের মধ্যে রয়েছে فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ।
তখন আমি বলবো, হে আমর রব! এরা তো আমারই উম্মত। জবাবে আমাকে বলা হবে, তুমি জানো না তোমার পরে এরা কত নতুন বিষয় উদ্ভাবন করেছিল। আমি তখন আল্লাহর নেক বান্দা [ঈসা (আলাইহিস সালাম)] এর মত বলবো, এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী; কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই সর্ব বিষয়ে সাক্ষী, তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তবে তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। তখন বলা হবে, তুমি তাদের থেকে বিদায় গ্রহণের পর তারা সর্বদা মুখ ফিরিয়ে উল্টো পথে চলছিল। ওয়াকী এবং মুআযের হাদীসের মধ্যে রয়েছে فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كِلاَهُمَا، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا بِمَوْعِظَةٍ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تُحْشَرُونَ إِلَى اللَّهِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً ( كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ) أَلاَ وَإِنَّ أَوَّلَ الْخَلاَئِقِ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَلاَ وَإِنَّهُ سَيُجَاءُ بِرِجَالٍ مِنْ أُمَّتِي فَيُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي . فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ . فَأَقُولُ كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُ ( وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدٌ * إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ) قَالَ فَيُقَالُ لِي إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ " . وَفِي حَدِيثِ وَكِيعٍ وَمُعَاذٍ " فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ " .
হাদীস নং: ৬৯৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৬১
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৮। যুহাইর ইবনে হারব (অন্য সনদে) মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেনঃ লোকদেরকে তিন দলে বিভক্ত করে একত্রিত করা হবে। প্রথম দল (জান্নাতের) আশাবাদী এবং (জাহান্নামের ভয়ে) ভীত লোকদের দল। দ্বিতীয় দলে সে সব লোক যাদের দু’জন থাকবে এক উটৈর উপর, কোন উটের উপর তিনজন, কোনটির উপর চারজন, আর কোনটির উপর সওয়ার হবে দশজন। অবিশিষ্টদের আগুন তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। তারা যেখানে রাত্রিযাপন করবে আগুনও তাদের সঙ্গে রাত কাটাবে। তারা যেখানে দিবা শয়ন (বিশ্রাম) করবে আগুনও তাদের সাথে বিশ্রাম করবে। যেখানে তারা সকাল করবে আগুনও তাদের সাথে সকাল করবে। আর সেখানে তাদের সন্ধ্যা হবে একই সঙ্গে আগুনও তাদের সাথে সন্ধ্যা করবে।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى ثَلاَثِ طَرَائِقَ رَاغِبِينَ رَاهِبِينَ وَاثْنَانِ عَلَى بَعِيرٍ وَثَلاَثَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَأَرْبَعَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَعَشَرَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَتَحْشُرُ بَقِيَّتَهُمُ النَّارُ تَبِيتُ مَعَهُمْ حَيْثُ بَاتُوا وَتَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا وَتُصْبِحُ مَعَهُمْ حَيْثُ أَصْبَحُوا وَتُمْسِي مَعَهُمْ حَيْثُ أَمْسَوْا " .
তাহকীক: