আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
হাদীস নং: ৭৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪-১
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আমর আন নাকিদ ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যে ফাতিহাতুল কিতাব পাঠ করবে না তার (পরিপূর্ণ) নামায হবে না।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم  " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ " .
হাদীস নং: ৭৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪-২
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬১। আবুত তাহির ও হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) পাঠ করল না তার নামায হবে না।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْتَرِئْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ " .
হাদীস নং: ৭৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪-৩
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬২। আল হাসান ইবনে আলী আল হুলওয়ানি (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে উম্মুল কুরআন পাঠ করবে না তার নামায হবে না।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ الَّذِي، مَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِهِ مِنْ بِئْرِهِمْ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ " .
হাদীস নং: ৭৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪-৪
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্দ হুমায়দ- (রাহঃ) এর সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। সেখানেفَصَاعِدًا অর্থাৎ, আরেকটূ বেশী’ শব্দটি অতিরিক্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَزَادَ فَصَاعِدًا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫-১
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৪। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম আল হানযালী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি নামায আদায় করল (অথচ) তাতে উম্মুল কুরআন পাঠ করল না সে নামায হবে অসম্পূর্ণ। তিনি তিনবার এটা বললেন। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, আমরা তো ইমামের পেছনে থাকি (তখনো কি ফাতিহা পড়ব?) তিনি বললেন, তখন মনে মনে তা পড়। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে তা সে পাবে।
অতঃপর বান্দা যখন বলে, الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তাআলা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। সে যখন বলে, الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলী বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে। অতঃপর সে যখন বলে, مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (কর্মফল দিবসের মালিক), তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার উপর সোপর্দ করেছে। সে যখন বলে, إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন- এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে তা সে পাবে। যখন সে বলে, اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ (আমাদের সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথে যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায় তা সে পাবে।
সুফিয়ান বলেন, আলা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) আমার কাছে তখন বর্ণনা করেন যখন তিনি বাড়ীতে অসুস্থ ছিলেন। আমি (শুশ্রূষার জন্য) তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। অতঃপর এ সম্পর্কে তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম।
অতঃপর বান্দা যখন বলে, الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তাআলা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। সে যখন বলে, الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলী বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে। অতঃপর সে যখন বলে, مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (কর্মফল দিবসের মালিক), তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার উপর সোপর্দ করেছে। সে যখন বলে, إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন- এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে তা সে পাবে। যখন সে বলে, اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ (আমাদের সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথে যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায় তা সে পাবে।
সুফিয়ান বলেন, আলা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) আমার কাছে তখন বর্ণনা করেন যখন তিনি বাড়ীতে অসুস্থ ছিলেন। আমি (শুশ্রূষার জন্য) তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। অতঃপর এ সম্পর্কে তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ - ثَلاَثًا - غَيْرُ تَمَامٍ " . فَقِيلَ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ . فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ الْعَبْدُ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى حَمِدَنِي عَبْدِي وَإِذَا قَالَ ( الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي . وَإِذَا قَالَ ( مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ) . قَالَ مَجَّدَنِي عَبْدِي - وَقَالَ مَرَّةً فَوَّضَ إِلَىَّ عَبْدِي - فَإِذَا قَالَ ( إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ) . قَالَ هَذَا بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ . فَإِذَا قَالَ ( اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) . قَالَ هَذَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " . قَالَ سُفْيَانُ حَدَّثَنِي بِهِ الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فِي بَيْتِهِ فَسَأَلْتُهُ أَنَا عَنْهُ .
হাদীস নং: ৭৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫-২
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৫। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি’ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, ইবনে রুমহের বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি নামায আদায় করল যাতে সে উম্মুল কুরআন পড়েনি। অতঃপর সুফিয়ান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তাদের উভয়ের হাদীসে রয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি, এর অর্ধেক আমার জন্য এবং অর্ধেক আমার বান্দার জন্য।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، أَنَّ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى صَلاَةً فَلَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ " . بِمِثْلِ حَدِيثِ سُفْيَانَ وَفِي حَدِيثِهِمَا " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫-৩
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৬। আহমাদ ইবনে জা’ফর আল মা’কিরী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামায আদায় করল (অথচ) তাতে ফাতিহাতুল কিতাব পাঠ করল না সে নামায অসম্পূর্ণ। তিনি তিনবার এ বাক্যটি বললেন, উপরের বর্ণনাকারীদের হাদীসের অনুরূপ।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْ أَبِي وَمِنْ أَبِي السَّائِبِ، وَكَانَا، جَلِيسَىْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالاَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهْىَ خِدَاجٌ " . يَقُولُهَا ثَلاَثًا بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬-১
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, নামায হবে না কিরা’আত ছাড়া। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে নামায উচ্চস্বরে আদায় করেছেন তোমাদের জন্য আমরাও তা উচ্চস্বরে আদায় করি আর যা নিম্নস্বরে আদায় করেছেন আমরাও তা নিম্নস্বরে আদায় করি।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةٍ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمَا أَعْلَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْلَنَّاهُ لَكُمْ وَمَا أَخْفَاهُ أَخْفَيْنَاهُ لَكُمْ .
হাদীস নং: ৭৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬-২
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৮। আমর আন নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, প্রত্যেক নামাযে (নামায)-এই কিরা’আত পাঠ করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে সব নামায আমাদের কে শুনিয়ে কিরা’আত পাঠ করেছেন সে সব নামায আমরাও তোমাদের কে শুনিয়ে পাঠ করি। আর যে সব নামাযে কিরা’আত নীরবে পাঠ করেছেন সে সব নামাযে আমরাও নীরবে পাঠ করি। অতঃপর তাকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, আমি যদি উম্মুল কুরআন এর চেয়ে আর বেশী না পড়ি? তিনি বললেন, তুমি যদি উম্মূল কুরআনের পর আরো বেশী পড় তাহলে তা হবে উত্তম। আর যদি শুধু উম্মুল কুরআনই পড় তাহলে তা হবে তোমার জন্য যথেষ্ট।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ الصَّلاَةِ يَقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَا مِنْكُمْ . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنْ لَمْ أَزِدْ عَلَى أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَالَ إِنْ زِدْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ خَيْرٌ وَإِنِ انْتَهَيْتَ إِلَيْهَا أَجْزَأَتْ عَنْكَ .
হাদীস নং: ৭৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬-৩
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, প্রত্যেক নামাযে কিরা’আত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে যে নামাযে [কিরা’আত] শুনিয়েছেন, আমরাও সে নামাযে তোমাদের কে শোনাই আর যে নামাযে তিনি নীরবে পাঠ করেছেন আমরাও সে নামাযে নীরবে পাঠ করি। যে ব্যক্তি উম্মুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে তার জন্য তা যথেষ্ট হবে। আর যে আরো বেশী পাঠ করবে তা হবে উত্তম।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - عَنْ حَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ صَلاَةٍ قِرَاءَةٌ فَمَا أَسْمَعَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَاهُ مِنْكُمْ وَمَنْ قَرَأَ بِأُمِّ الْكِتَابِ فَقَدْ أَجْزَأَتْ عَنْهُ وَمَنْ زَادَ فَهُوَ أَفْضَلُ .
হাদীস নং: ৭৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭-১
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৭০। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন একটি লোক প্রবেশ করল। সে নামায আদায় করল। তারপর এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সালাম করল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ফিরে গিয়ে নামায আদায় কর। কারণ তোমার নামায হয়নি। লোকটি ফিরে গিয়ে নামায আদায় করল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে সালাম করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উত্তর দিয়ে বললেন, ফিরে গিয়ে নামায আদায় কর। কারণ তোমার নামায হয়নি। এরূপ তিনবার করলেন।
অতঃপর লোকটি বলল, আপনাকে সত্য নবী করে পাঠিয়েছেন সেই সত্তার কসম! নামায আদায়ের এর চেয়ে ভাল কোন পন্থা থাকলে আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি নামাযের জন্য দাঁড়াবে তখন তাকবীর বলবে। তারপর তুমি কুরআনের যতটুকু জানো তা থেকে যা সহজ হয় তাই পাঠ করবে। তারপর রুকু করবে। এমন কি নিবিষ্টভাবে (কিছুক্ষণ) রুকু করতে থাকবে। তারপর (রুকু থেকে) উঠবে, সোজা ভাবে (কিছুক্ষণ) দণ্ডায়মান থাকবে। তারপর সিজদা করবে। (কিছুক্ষণ) নিবিষ্টভাবে সিজদারত থাকবে। তারপর উঠে বসবে। এবং (কিছুক্ষণ) সোজাভাবে বসে থাকবে। তোমার গোটা নামাযেই এরূপ করবে।
অতঃপর লোকটি বলল, আপনাকে সত্য নবী করে পাঠিয়েছেন সেই সত্তার কসম! নামায আদায়ের এর চেয়ে ভাল কোন পন্থা থাকলে আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি নামাযের জন্য দাঁড়াবে তখন তাকবীর বলবে। তারপর তুমি কুরআনের যতটুকু জানো তা থেকে যা সহজ হয় তাই পাঠ করবে। তারপর রুকু করবে। এমন কি নিবিষ্টভাবে (কিছুক্ষণ) রুকু করতে থাকবে। তারপর (রুকু থেকে) উঠবে, সোজা ভাবে (কিছুক্ষণ) দণ্ডায়মান থাকবে। তারপর সিজদা করবে। (কিছুক্ষণ) নিবিষ্টভাবে সিজদারত থাকবে। তারপর উঠে বসবে। এবং (কিছুক্ষণ) সোজাভাবে বসে থাকবে। তোমার গোটা নামাযেই এরূপ করবে।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّلاَمَ قَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ " . ثُمَّ قَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا عَلِّمْنِي . قَالَ " إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا " .
হাদীস নং: ৭৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭-২
- নামাযের অধ্যায়
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে*
৭৭১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন এক পাশে ছিলেন। এরপর রাবী উপরোক্ত ঘটনার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ রিওয়ায়াতটিতে রাবীদ্বয় আরেকটু যোগ করেছেন যে, ″যখন তুমি নামাযের ইচ্ছা করবে তখন সুন্দর করে উযু করবে তারপর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর বলবে″।
كتاب الصلاة
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَاحِيَةٍ وَسَاقَا الْحَدِيثَ بِمِثْلِ هَذِهِ الْقِصَّةِ وَزَادَا فِيهِ  " إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ " .

