আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
হাদীস নং: ১২৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬১০-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৫৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে রূমহ (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) একদিন আসরের নামাযে কিছুটা দেরী করলেন। তখন উরওয়া (রাহঃ) তাঁকে বললেন, এতে কোন সন্দেহ নাই যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইমাম হয়ে নামায আদায় করেন। উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) বললেন, হে উরওয়া! তুমি যা বলবে, বুঝে বলবে। তিনি (উরওয়া) বললেন, আমি বাশীর ইবনে আবু মাসউদকে বলতে শুনেছিঃ তিনি বলেন, আমি আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) নাযিল হয়ে আমার ইমামতি করেন। আমি তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করি। তারপর তাঁর সঙ্গে আবার নামায আদায় করি। তারপর তার সঙ্গে নামায আদায় করি। তারপর তার সঙ্গে আবার নামায আদায় করি। তারপর তার সঙ্গে আবার নামায আদায় করি। তারপর তাঁর সঙ্গে আবার নামায আদায় করি। তিনি তাঁর অঙ্গুলি দ্বারা (এরূপ) পাঁচ ওয়াক্ত নামায গণনা করেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخَّرَ الْعَصْرَ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ قَدْ نَزَلَ فَصَلَّى إِمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْلَمْ مَا تَقُولُ يَا عُرْوَةُ . فَقَالَ سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَزَلَ جِبْرِيلُ فَأَمَّنِي فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ " . يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১২৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬১০-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৫৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া আত তামীমী (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) একদা নামাযে দেরী করে ফেললেন। তখন উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তাঁর নিকট এসে বললেন, মুগীরা ইবনে শুবা (রাযিঃ) কুফায় থাকতে একদিন নামায দেরী করে আদায় করেছিলেন। তখন আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) তাঁর নিকট এসে বললেন, হে মুগীরা। আপনি একি করলেন? আপনি কি জানেন না যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করে নামায আদায় করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর আবার তিনি নামায আদায় করলেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাঁর সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন।
তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনাকে এরূপই (নামায আদায় করতে) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তখন উমর উরওয়াকে বললেন, হে উরওয়া! তুমি যা বলবে চিন্তা করে বলবে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে নামাযের ওয়াক্ত ঠিক করে দিয়েছেন? উরওয়া বললেন, বাশীর ইবনে আবু মাসউদ তার পিতা থেকে এরূপই বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাঁর সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তার সঙ্গে) নামায আদায় করলেন।
তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনাকে এরূপই (নামায আদায় করতে) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তখন উমর উরওয়াকে বললেন, হে উরওয়া! তুমি যা বলবে চিন্তা করে বলবে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে নামাযের ওয়াক্ত ঠিক করে দিয়েছেন? উরওয়া বললেন, বাশীর ইবনে আবু মাসউদ তার পিতা থেকে এরূপই বর্ণনা করেছেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " بِهَذَا أُمِرْتُ " . فَقَالَ عُمَرُ لِعُرْوَةَ انْظُرْ مَا تُحَدِّثُ يَا عُرْوَةُ أَوَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ هُوَ أَقَامَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقْتَ الصَّلاَةِ فَقَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১২৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৫৮। উরওয়া বলেন, নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) আমার কাছে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামায আদায় করেছেন, যখন সূর্যের কিরণ হুজরার আঙ্গিনায় ছিল-তা উপরে উঠার আগে।
আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আমর আন নাকিদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আসরের নামায আদায় করেন যখন সূর্যের কিরণ আমার হুজরায় পড়ছিল। তখনো তার ছায়া পড়েনি। আবু বকরের বর্ণনায় রয়েছে, ″তখনো ছায়া উপরে উঠেনি।″
আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আমর আন নাকিদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আসরের নামায আদায় করেন যখন সূর্যের কিরণ আমার হুজরায় পড়ছিল। তখনো তার ছায়া পড়েনি। আবু বকরের বর্ণনায় রয়েছে, ″তখনো ছায়া উপরে উঠেনি।″
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي لَمْ يَفِئِ الْفَىْءُ بَعْدُ . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ بَعْدُ .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي لَمْ يَفِئِ الْفَىْءُ بَعْدُ . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ بَعْدُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৫৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... নবী-সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামায আদায় করেন যখন সূর্যের কিরণ তার হুজরার ভিতর ছিল, হুজরা থেকে উপরে উঠেনি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ فِي حُجْرَتِهَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১-৪
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের নামায আদায় করেন। যখন সূর্যের কিরণ আমার হুজরায় পড়ছিল।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ وَاقِعَةٌ فِي حُجْرَتِي .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬১। আবু গাসসান মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যখন ফজরের নামায আদায় করবে, সেটাই ফজরের ওয়াক্ত, যতক্ষণ না সূর্যের উপরাংশ উদিত হয়। তারপর যখন তোমরা যূহরের নামায আদায় করবে, সেটাই যোহরের ওয়াক্ত, যতক্ষণ না আসরের ওয়াক্ত হয়। তারপর যখন তোমরা আসরের নামায আদায় করবে সেটাই আসরের ওয়াক্ত, সূর্যরশ্মি হলুদ বর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত। অনন্তর যখন তোমরা মাগরিবের নামায আদায় করবে, সেটাই মাগরিবের ওয়াক্ত শাফাক (সন্ধাকাশের পশ্চিম দিগন্তে উদ্ভাসিত সাদা আলো চিহ্ন) অস্ত না হওয়া পর্যন্ত। আর যখন তোমরা ইশার নামায আদায় করবে, সেটাই তার ওয়াক্ত অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا صَلَّيْتُمُ الْفَجْرَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ قَرْنُ الشَّمْسِ الأَوَّلُ ثُمَّ إِذَا صَلَّيْتُمُ الظُّهْرَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ يَحْضُرَ الْعَصْرُ فَإِذَا صَلَّيْتُمُ الْعَصْرَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ فَإِذَا صَلَّيْتُمُ الْمَغْرِبَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ يَسْقُطَ الشَّفَقُ فَإِذَا صَلَّيْتُمُ الْعِشَاءَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬২। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আল আম্বারী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যোহরের ওয়াক্ত থাকে আসরের ওয়াক্ত না আসা পর্যন্ত। আসরের ওয়াক্ত থাকে সূর্য কিরণ হলুদ বর্ণ না হওয়া পর্যন্ত। মাগরিবের ওয়াক্ত (পশ্চিমাকাশে) শাফাকের অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত। ইশার ওয়াক্ত রয়েছে অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত এবং ফজরের ওয়াক্ত সুর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، وَاسْمُهُ يَحْيَى بْنُ مَالِكٍ الْأَزْدِيُّ وَيُقَالُ الْمَرَاغِيُّ، وَالْمَرَاغُ حَيٌّ مِنَ الْأَزْدِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَقْتُ الظُّهْرِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ، وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ، وَوَقْتُ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَسْقُطْ ثَوْرُ الشَّفَقِ، وَوَقْتُ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ، وَوَقْتُ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৩। যুহাইর ইবনে হারব এবং আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) উভয়ে উপরোক্ত সনদে ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন। এবং এদের হাদীস রয়েছে যে, শুবা (রাহঃ) উক্ত হাদীস এক বার ’মারফূ’ রূপে বর্ণনা করেন এবং আরো দুই বার বর্ণনা করতে গিয়ে ’মারফু’ করেন নি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي حَدِيثِهِمَا قَالَ شُعْبَةُ رَفَعَهُ مَرَّةً وَلَمْ يَرْفَعْهُ مَرَّتَيْنِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২-৪
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৪। আহমাদ ইবনে ইবরাহীম আদ-দাওরাকী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সূর্য চলে যাওয়ার পর যোহরের ওয়াক্ত হয় এবং মানুষের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া ও আসরের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত থাকে। আসরে ওয়াক্ত সুর্য হলুদ না হওয়া পর্যন্ত। মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে শাফাক গায়েব না হওয়া পর্যন্ত রয়েছে। ইশার ওয়াক্ত থাকে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত। এবং ফজরের ওয়াক্ত থাকে উষার উদয়কাল হতে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত। আর যখন সূর্য উদয় হতে থাকে তখন নামায থেকে বিরত থাকবে। কেননা, সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্য দিয়ে উদিত হয়।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَقْتُ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ وَكَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ كَطُولِهِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَغِبِ الشَّفَقُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ الأَوْسَطِ وَوَقْتُ صَلاَةِ الصُّبْحِ مِنْ طُلُوعِ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ فَإِذَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَأَمْسِكْ عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২-৫
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৫। আহমাদ ইবনে ইউসুফ আল আযদী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, ফজরের নামাযের ওয়াক্ত সূর্যের উর্ধাংশের উদয় না হওয়া পর্যন্ত। যোহরের নামাযের ওয়াক্ত মধ্যাকাশ থেকে সূর্য ঢলার পর আসর না হওয়া পর্যন্ত। আসরের ওয়াক্ত সূর্য হলুদ না হওয়া এবং তার নিম্নাংশ অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত। মাগরিবের নামাযের ওয়াক্ত সূর্যান্ত থেকে শাফাক গায়েব না হওয়া পর্যন্ত এবং এশার নামাযের ওয়াক্ত অর্ধরাত্রি পর্যন্ত।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَزِينٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، - يَعْنِي ابْنَ طَهْمَانَ - عَنِ الْحَجَّاجِ، - وَهُوَ ابْنُ حَجَّاجٍ - عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ وَقْتِ الصَّلَوَاتِ فَقَالَ " وَقْتُ صَلاَةِ الْفَجْرِ مَا لَمْ يَطْلُعْ قَرْنُ الشَّمْسِ الأَوَّلُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ عَنْ بَطْنِ السَّمَاءِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَيَسْقُطْ قَرْنُهَا الأَوَّلُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ مَا لَمْ يَسْقُطِ الشَّفَقُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২-৬
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া আত তামীমী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, যে, দৈহিক সুখ ভোগের সাথে জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، لاَ يُسْتَطَاعُ الْعِلْمُ بِرَاحَةِ الْجِسْمِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৭। যুহাইর ইবনে হারব ও উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কে একব্যক্তি নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাকে বললেন, তুমি আমাদের সঙ্গে এই দুই দিন নামায আদায় কর। তারপর (প্রথম দিন) সূর্য ঢলে পড়তেই তিনি বিলাল (রাযিঃ) কে আযান দিতে বললেন। তিনি আযান দিলেন। তারপর তাঁকে নির্দেশ দিলেন তিনি যোহরের ইকামত দিলেন। তারপর তিনি নির্দেশ দিলেন বিলাল (রাযিঃ) আসরের ইকামত দিলেন। তখন সূর্য উপরে-অবস্থিত শুভ্র, স্বচ্ছ। তারপর তাঁকে নির্দেশ দিলেন। তিনি মাগরিবের ইকামত দিলেন তখন সূর্য অস্তমিত হয়েছে। তারপর তাকে নির্দেশ দিলেন, তিনি ইশার ইকামত দিলেন। তখন শাফাক অদৃশ্য হয়েছে। তারপর নির্দেশ দিলেন। তিনি ফজরের ইকামত দিলেন। তখন মাত্র সুবহে সা’দিক হয়েছে।
তারপর দ্বিতীয় দিন এলে তিনি যোহরের জন্য তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার পর আযানের নির্দেশ দিলেন। তিনি তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার অপেক্ষা করলেন এবং তাপ যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়ার পর যোহর আদায় করলেন। তিনি অতঃপর আসর পড়লেন। সূর্য তখনও উপরে, কিন্তু প্রথম দিন অপেক্ষা বিলম্বে। অতঃপর মাগরিব আদায় করলেন-শাফাক অদৃশ্য হওয়ার আগে। তারপর ইশা আদায় করলেন-রাত্রির এক তৃতীয়াংশের পর। তারপর ফজর পড়লেন সুব্হে সাদিক ফর্সা হওয়ার পর। তারপর বললেন, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি। তিনি বললেন, তোমাদের নামাযের সময় এই দুই দিন যা দেখলে তার মাঝখানে।
তারপর দ্বিতীয় দিন এলে তিনি যোহরের জন্য তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার পর আযানের নির্দেশ দিলেন। তিনি তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার অপেক্ষা করলেন এবং তাপ যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়ার পর যোহর আদায় করলেন। তিনি অতঃপর আসর পড়লেন। সূর্য তখনও উপরে, কিন্তু প্রথম দিন অপেক্ষা বিলম্বে। অতঃপর মাগরিব আদায় করলেন-শাফাক অদৃশ্য হওয়ার আগে। তারপর ইশা আদায় করলেন-রাত্রির এক তৃতীয়াংশের পর। তারপর ফজর পড়লেন সুব্হে সাদিক ফর্সা হওয়ার পর। তারপর বললেন, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি। তিনি বললেন, তোমাদের নামাযের সময় এই দুই দিন যা দেখলে তার মাঝখানে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَزْرَقِ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً سَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ لَهُ " صَلِّ مَعَنَا هَذَيْنِ " . يَعْنِي الْيَوْمَيْنِ فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي أَمَرَهُ فَأَبْرَدَ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ بِهَا فَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ بِهَا وَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ أَخَّرَهَا فَوْقَ الَّذِي كَانَ وَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ وَصَلَّى الْعِشَاءَ بَعْدَ مَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ وَصَلَّى الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَقْتُ صَلاَتِكُمْ بَيْنَ مَا رَأَيْتُمْ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১২৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৮। ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আর’আরা আল সামী (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (ﷺ) এর নিকট একব্যক্তি নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, তুমি আমাদের সঙ্গে নামাযে উপস্থিত থাকবে। তারপর বিলাল (রাযিঃ)-কে আদেশ করলেন। তিনি আযান দিলেন ভোরের আধারে। তারপর ফজর আদায় করলেন সূবহি সা’দিক হলে। তারপর যোহরের (আযান দিতে) আদেশ করলেন সূর্য মধ্য আকাশ থেকে ঢলে পড়লে। তারপর আসরের (আযান দিতে) নির্দেশ দিলেন যখন সূর্য উপরে রয়েছে। তারপর মাগরিবের নির্দেশ দিলেন সূর্য অস্ত যেতেই। তারপর এশার নির্দেশ দিলেন শাফাক গায়েব হয়ে গেলে।
তারপর দ্বিতীয় দিন তাঁকে আদেশ করলেন। তিনি ফজর আদায় করলেন ভোরের আলো উদ্ভাসিত হওয়ার পর। তারপর তাকে যোহরের আদেশ দিলেন; সূর্যের তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার পর তা আদায় করলেন। তারপর আসরের নির্দেশ দিলেন শাফাক শুরু হওয়ার কিছু পূর্বে। তারপর মাগরিবের নির্দেশ দিলেন শাফাক ডুবে যাওয়ার ক্ষণিক আগে। তারপর তাঁকে ইশার নির্দেশ দিলেন রাতের এক তৃতীয়ংশ অথবা রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হলে, হারামীর এতে সন্দেহ রয়েছে। তারপর যখন ভোর হল তখন বললেন, কোথায় জিজ্ঞাসাকারী? তুমি যা দেখলে এর মাঝখানেই নামায ওয়াক্ত।
তারপর দ্বিতীয় দিন তাঁকে আদেশ করলেন। তিনি ফজর আদায় করলেন ভোরের আলো উদ্ভাসিত হওয়ার পর। তারপর তাকে যোহরের আদেশ দিলেন; সূর্যের তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার পর তা আদায় করলেন। তারপর আসরের নির্দেশ দিলেন শাফাক শুরু হওয়ার কিছু পূর্বে। তারপর মাগরিবের নির্দেশ দিলেন শাফাক ডুবে যাওয়ার ক্ষণিক আগে। তারপর তাঁকে ইশার নির্দেশ দিলেন রাতের এক তৃতীয়ংশ অথবা রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হলে, হারামীর এতে সন্দেহ রয়েছে। তারপর যখন ভোর হল তখন বললেন, কোথায় জিজ্ঞাসাকারী? তুমি যা দেখলে এর মাঝখানেই নামায ওয়াক্ত।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ " اشْهَدْ مَعَنَا الصَّلاَةَ " . فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ بِغَلَسٍ فَصَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ عَنْ بَطْنِ السَّمَاءِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ حِينَ وَقَعَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ الْغَدَ فَنَوَّرَ بِالصُّبْحِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ لَمْ تُخَالِطْهَا صُفْرَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ عِنْدَ ذَهَابِ ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ بَعْضِهِ - شَكَّ حَرَمِيٌّ - فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ مَا بَيْنَ مَا رَأَيْتَ وَقْتٌ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১২৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এক প্রশ্নকারী এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। তিনি তখন তার কোনও উত্তর দিলেন না। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, তারপর ফজর আদায় করলেন যখন ফজরের ওয়াক্ত (মাত্র) প্রতিভাত হল। আর লোকেরা (অন্ধকারের জন্য) একে অন্যকে চিনতে পারছিল না। তারপর তাকে (বিলালকে) আদেশ করলেন। অতঃপর তিনি যোহররের ইকামত দিলেন সূর্য হেলামাত্র। তখন কেউ কেউ বলাবলি করছিল যে, এখন দুপুর হয়েছে মাত্র। অথচ তিনি তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত ছিলেন। তারপর তাঁকে (বিলালকে) আদেশ করলেন। তিনি আসরের ইকামত দিলেন সূর্য তখনও উপরেই ছিল। তারপর তাকে (বিলালকে) আদেশ করলেন। তিনি মাগরিব আদায় করলেন সূর্য অস্ত যাওয়ামাত্র। তারপর তাকে (বিলালকে) আদেশ করলেন। তিনি এশার ইকামত দিলেন শাফাক অদৃশ্য হওয়ার পর।
এর পরের দিন ফজরের নামায বিলম্বিত করলেন এমন কি নামায শেষ করার পর কেউ কেউ বলাবলি করছিল যে, সূর্য উঠে গেছে কিংবা প্রায় উঠে উঠে। তারপর যোহর দেরী করে আদায় করলেন গত দিনের আসরের ওয়াক্তের কাছাকাছি সময়ে। তারপর আসর এতখানি দেরী করে আদায় করলেন যাতে নামাযশেষে লোকেরা বলছিল যে, সূর্য লাল হয়ে গিয়েছে। তারপর মাগরিবে এতখানি দেরী করলেন যে, শাফাক গায়েব হওয়ার কাছাকাছি সময় এসে গেল। তারপর এশা রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করলেন। তারপর ভোর হলে প্রশ্নকারীকে ডেকে বললেন, ওয়াক্ত এই দুই সীমার মধ্যবতী।
এর পরের দিন ফজরের নামায বিলম্বিত করলেন এমন কি নামায শেষ করার পর কেউ কেউ বলাবলি করছিল যে, সূর্য উঠে গেছে কিংবা প্রায় উঠে উঠে। তারপর যোহর দেরী করে আদায় করলেন গত দিনের আসরের ওয়াক্তের কাছাকাছি সময়ে। তারপর আসর এতখানি দেরী করে আদায় করলেন যাতে নামাযশেষে লোকেরা বলছিল যে, সূর্য লাল হয়ে গিয়েছে। তারপর মাগরিবে এতখানি দেরী করলেন যে, শাফাক গায়েব হওয়ার কাছাকাছি সময় এসে গেল। তারপর এশা রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করলেন। তারপর ভোর হলে প্রশ্নকারীকে ডেকে বললেন, ওয়াক্ত এই দুই সীমার মধ্যবতী।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَتَاهُ سَائِلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ وَالنَّاسُ لاَ يَكَادُ يَعْرِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدِ انْتَصَفَ النَّهَارُ وَهُوَ كَانَ أَعْلَمَ مِنْهُمْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَخَّرَ الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ أَوْ كَادَتْ ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ حَتَّى كَانَ قَرِيبًا مِنْ وَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعَصْرَ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدِ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى كَانَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعِشَاءَ حَتَّى كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الأَوَّلُ ثُمَّ أَصْبَحَ فَدَعَا السَّائِلَ فَقَالَ " الْوَقْتُ بَيْنَ هَذَيْنِ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১২৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৭০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন এক প্রশ্নকারী নবী (ﷺ) এর কাছে এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্বন্ধে প্রশ্ন করল-পরবর্তী অংশ উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছে দ্বিতীয় দিন মাগরিবের নামায আদায় করলেন ’শাফাক’ গায়েব হওয়ার পূর্বে
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى، سَمِعَهُ مِنْهُ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ سَائِلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: